নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - ittefaq.com.bd
স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব ও কাজের মানুষ হিসেবে বেশ পরিচিত বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের সানা মেরিন। কিন্তু এবার তার বিরুদ্ধে সরকারি কোষাগার থেকে পরিবারের জন্য সকালের নাস্তার বিল মেটানো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তদন্ত করছে ফিনল্যান্ড পুলিশ।
আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণকে সার্বভৌম করা হয়েছে। অর্থাৎ, দেশের জনসাধারণ সব কর্তৃত্বের মালিক। তাদের পক্ষ থেকে একদল ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে এ সার্বভৌম শক্তির ব্যবহার করার কথা। মানুষের সম্মিলিত চাওয়া-পাওয়া এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই জনগণের পক্ষ থেকে " সেবক বা শাসক " নির্বাচিত করা হয়। তাদেরকে বলা হয় " Public Servant বা সরকারী কর্মচারী / জনগণের চাকর "।
রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জনগণের কথায় চলবেন,এটাই মূল কথা। জনগণ যদি পছন্দ না করেন তাহলে তারা যেকোনো সময় তাদের কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন করতে পারবেন।কাগজে-কলমে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এখন " জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী " এই নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত।তবে এই নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে উন্নত দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশ তথা তৃতীয় বিশ্বের দেশের মাঝে কত পার্থক্য তা আমরা আমাদের চারপাশেই প্রতিনিয়ত দেখি এবং বাস্তবে এর চর্চাটা উন্নত দেশে কেমন তা বোঝার জন্য ফিনল্যান্ডের এই খবর পর্যালোচনা করে দেখতে পারি আমরা।
ছবি - ittefaq.com.bd
" সরকারি টাকায় নাস্তা করে বিপাকে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী " - ঘটনার সূত্রপাত -
ফিনল্যান্ডের একটি জনপ্রিয় ট্যাবলয়েডে এই খবরে প্রকাশ," ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে নিজের ও পরিবারের সকলের নাস্তার বিল বাবদ প্রতি মাসে ৩০০ ইউরো খরচ করা হয়েছে"।
ফিনল্যান্ডের একটি জনপ্রিয় ট্যাবলয়েডে এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরেই ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়।ফিনল্যান্ডের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগে বলছে, "সরকারি টাকায় প্রধানমন্ত্রী তার নিজের ও পরিবারের সকলের নাস্তার বিল কেন মেটাবেন "? সমালোচনা শুরু হতেই ফিনল্যান্ডের পুলিশ ও প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তারা জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের করের টাকায় অবৈধভাবে প্রধানমন্ত্রী নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নাস্তার খরচ প্রধানমন্ত্রী মিটিয়েছেন কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
যদিও প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন দাবি করেন, " আগে যারা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তারাও এই সুবিধা ভোগ করেছেন। এক টুইটে পুলিশি তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছে বলেছেন, তদন্ত চলাকালীন তিনি ওই সুবিধা নেওয়া বন্ধ রাখবেন। এমনকি এ ধরনের সুবিধা আইনবিরুদ্ধ হলে তা আর নেবেন না"।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে ফিনল্যান্ডের ক্ষমতায় আসার পর সানা মেরিনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র তার স্বচ্ছতা। তার নেতৃত্বে ফিনল্যান্ডে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। মহাদেশটির মধ্যে ফিনল্যান্ডেই করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে কম।
ফিনল্যান্ডের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা খবর দেয়, দেশটির প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের পরিবার সকালের নাস্তার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে মাসে ৩৬৫ ডলার খরচ করছে। এরপর সে দেশের বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের প্রাতরাশের জন্য এমন অর্থ ব্যয় দেশটির আইন অনুযায়ী বৈধ নয় বলে স্মরণ করিয়ে দেয়। দেশটির পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। তারা দেখতে চান, নাস্তার নামে জনগণের করের টাকা অবৈধভাবে ভর্তুকি নেয়া হচ্ছে কি না। অন্য দিকে এক টুইট বার্তায় মারিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ সুবিধা চাইনি, এমন সুবিধা নেয়ার সিদ্ধান্ত আমি নিইনি।
ছবি - rhythmsystems.com
আইন ভঙ্গ করে যে পরিমাণ অর্থ নাস্তার জন্য খরচ করা হচ্ছে, টাকার অঙ্কে সেটা ৩০ হাজার টাকার কিছু বেশী। আর সেই টাকা খরচ করা হয়েছে শুধু কোনো একজন ব্যক্তির জন্য নয়, প্রধানমন্ত্রীর পুরো পরিবারের জন্য। এরপরেও এমন খবর দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ট্যাবলয়েডটির ওপর ক্ষেপে যাননি। তিনি বরং পিছু হটেছেন এবং তিনি বলেছেন , এ ব্যাপারে তিনি জানতেন না। উত্তর ইউরোপের এ দেশটি বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অন্যতম। এ দেশের মাথাপিছু জিডিপি প্রায় ৫০ হাজার ডলার। টাকার অঙ্কে ৪০ লাখ। দেশটির মাত্র একজন ব্যক্তিই আয় করেন গড়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। সেই হিসেবে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে মাসে নাস্তা বাবদ ৩০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে খরচ করে ফেলার অপরাধকে খাটো করে দেখা হয়নি।
আইনের শাসন বা জনগণের ইচ্ছার মূল্যটা আমরা এ ঘটনা থেকে বুঝতে পারব। ট্যাবলয়েড পত্রিকাটি যে খবর দিয়েছে সেটা জনস্বার্থে। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের এ দুর্নীতি নিয়ে খবর প্রকাশে পত্রিকাটিকে একবারও ভাবতে হয়নি। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী চুপ থেকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন, তার কোনো উপায় নেই। রাষ্ট্রের নিয়োজিত পুলিশ বাহিনী নিজের কর্তব্য পালনে দ্বিধাগ্রস্ত নয়। অভিযোগ উত্থাপনের সাথে সাথে দেশটির গোয়েন্দা পুলিশ সেটা তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। জনগণের পক্ষ থেকে শাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে, প্রধানমন্ত্রী থেকে পুলিশ পর্যন্ত কারো মধ্যে কোনো জড়তা নেই।
পুলিশকে এ তদন্ত পরিচালনার জন্য অভিযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়নি। অর্থ্যাৎ রাষ্ট্রের শক্তি পুরোটাই জনগণের পক্ষে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ রাষ্ট্রব্যবস্থা পুরোপুরি জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে। তাই নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে পুলিশের কনস্টেবল পর্যন্ত জনগণের সেবক বা সার্ভেন্ট।
এ খবর " জনগণের নামে পরিচালিত শাসনের " চিত্র আমাদের সামনে পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরেছে। আর তাইতো আমরা সারা দুনিয়ায় এক দিকে যেমন দেখি - " শাসকের প্রজা শাসন " আবার অন্য দিকে দেখি " শাসকের জনগণের সেবা "। অনেক দেশেই আজকালকার শাসকরা জনগণের সার্বভৌম শক্তিকে হাইজ্যাক করে প্রকৃতপক্ষে শাসকরা নিজেদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং এটিকে তারা কায়দা করে ব্যবহার করছেন জনগণের বিরুদ্ধেই। এমন শাসকের নজির এখন সারা দুনিয়ায় ভূরি ভূরি। এর উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না।
অন্য দিকে আবার রয়েছেন জনগণের সেবক সার্ভেন্ট বা জনগনের চাকর । তারা সত্যিকার অর্থে জনগণের সেবাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাদের সংখ্যা বেশী না হলেও নেহায়েত কম নয়। তারা নিজেদের কর্মকাণ্ডে জনগণের ইচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটিয়ে থাকেন।তাদের কাছে জনগনের কথাই শেষ কথা।
আর এত সব কিছুর মাঝে আমাদের জন্য রয়েছে " শিক্ষণীয় বিষয় ",যদি আমরা শিখতে চাই।
তথ্যসূত্র - ittefaq.com.bd
০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নয়া পাঠক ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য এবং আমার ব্লগে স্বাগতম।
স্বচ্ছতা - শুদ্ধতা - পবিত্রতা এ কারো কারো শুধু কথার কথা আবার কারো কারো কাছে তা বাইবেল-কোরআনের চেয়েও বেশী।কারন তারা মনে করেন স্বচ্ছতা - শুদ্ধতা - পবিত্রতা না থাকলে মানুষের মাঝে আর আর যাই হোক মানবিকতা থাকেনা।আর সেই মানুষগুলোই মানবিকতা তথা মানব ধর্মকে জীবনের সব কিছুর উপরে স্থান দেন।
স্বচ্ছতা - শুদ্ধতা - পবিত্রতা'র ক্ষেত্রে ধর্ম আলোকবর্তিকা স্বরুপ । কারন দুনিয়ায় প্রচলিত সকল ধর্মেই এর প্রতি সর্বাধিক
গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আর আমাদের ইসলামে বলা আছে, " আল্লাহ মানুষের সকল অপরাধ ক্ষমা করে দিবেন তবে যারা অপর মানুষের হক নষ্ঠ করবেন তাদের কখনো ক্ষমা করবেন না যতক্ষণ না সেই মানুষের হক ফেরত দেওয়া বা তার কাছ থেকে ক্ষমা লাভ না করে"। আর এসব ব্যাপারে যে কোন শাসকদেরই সবচেয়ে বেশী দায় । কারন তাদের হাতেই অনেক মানুষের হক আমানত থাকে এবং তাদের দ্বারাই সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মানুষের হক নষ্ঠ হবার সম্ভাবনা থাকে।
যে দিন মানুষের তথা আমাদের দেশেও শাসকদের মাঝে বাকী সব কিছু থেকে মানবিকতা সবার উপরে স্থান পাবে সেদিন আমাদের দেশেও এমন সুন্দর ঘটনার অবতারনা হবে।
আবরো আপনাকে ধন্যবাদ আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
২| ০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: সানা মেরিন দেখতে অনেক সুন্দর।
০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
ঠিক তাই।
সানা মেরিন আসলেই অনেক সুন্দর বয়সও কম। তবে ইউরোপ তথা শীতপ্রধান দেশের মানুষজন সুন্দরই হয় ।এতে তার বাবা-মায়ের অবদান থেকে আবহাওয়ার অবদান কোন অংশে কম নয়।
৩| ০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৪
আমি সাজিদ বলেছেন: অনেকে ১৫০০ বছর আগে যেতে চায়। এর চেয়ে বর্তমানে সমস্যাগুলোকে অতীতের ভালো জিনিসটার সাপেক্ষে সমাধান করা উচিত নয় কি?
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী খুবই সুন্দরী।
০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আমি সাজিদ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
" তুলনামুলক আলোচনা " আসলে যে কোন জিনিষের ভালো-মন্দ আলোচনা করতে গেলেই চলে আসে। সেখানে " অতীতের সাথে বর্তমানের বা বর্তমানের সাথে অতীতের " আগে পরে হতে পারে। তবে যে ভাবেই হোক উভয়ের মাঝেই চেষ্টা থাকে অপেক্ষাকৃত ভালোটা গ্রহণ করার বা সবচেয়ে ভালো অপশন সম্পর্কে জানা।এটা দোষের কিছু নয় বরং এটাই সর্বোত্তম প্রক্রিয়া।
আহা !!! ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আসলেই খুব সুন্দরী আমাদের বংগবাসী তথা বংগ ললনাদের তুলনায়।তবে আমাদের বাদামি-শ্যমলা বংগ ললনাদের যে সৌন্দর্য তা সেই সাদা চামড়া তথা ইউরোপীয়ানদের নেই এটাও সত্যি।
৪| ০৩ রা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
নয়া পাঠক বলেছেন: আমি সাজিদ বলেছেন: অনেকে ১৫০০ বছর আগে যেতে চায়। এর চেয়ে বর্তমানে সমস্যাগুলোকে অতীতের ভালো জিনিসটার সাপেক্ষে সমাধান করা উচিত নয় কি?
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী খুবই সুন্দরী।
মনে হয় কথাটি আমাকে নিয়েই বলা। আরে ভাই আমি তো তবুও অতীতে গিয়ে অতীতের মুসলিম শাসকদের শাশনের কথা মনে করে কিছু বলেছি। আর যখন করার কিছুই থাকে না তখন আশায় বুক বেঁধেছি।
কিন্তু কেউ কেউ তো এমন একটা পোষ্টে কেবলমাত্র একজনের ব্যক্তি সৌন্দর্যটুকুই দেখলেন। তাদের চোখে তার কর্ম, এবং জাগ্রত বিবেক ও মানবিকতা চোখে পড়লনা, চোখে পড়ল শুধুমাত্র তার দৈহিক সৌন্দর্যটুকুই।
০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, চলার পথে এবং আমাদের আশেপাশে অনেক কিছুই ঘটে এবং অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করে। তার থেকে যেটা আমাদের জন্য ভাল সেটা গ্রহণ করা এবং যা আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় সে ব্যাপারে কিছু না বলা বা চুপ থাকাই শিস্টাচার এবং এটাই পরমত সহিষ্ণুতা।৷৷ আর আমরা প্রত্যেকই আমাদের নিজ নিজ অবস্থান বা দৃস্টিভংগী থেকে যে কোন বিষয়ে ব্যাখ্যা বা মূল্যায়ন করতে চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে কারও কারও সাথে মতের অমিল হতেই পারে।আর এই পারস্পারিক আলাপ আলোচনার মাঝেই সমস্যার সবচেয়ে ভাল সমাধান বেরিয়ে আসে। এটাই গনতান্ত্রিক সৌনদয' বা পরমত সহিষ্ণুতা।৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ আর ভাই, আমাদের দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে" আগে দশ'ন দারি,তার পর গুণ বিচারি"। ভাই এটাই সত্যি। তবে দৈহিক সৌন্দর্য দেখে আপাতদৃষ্টিতে মুগ্ধতার প্রকাশ পেলেও চুড়ান্ত ভাবে কারো কাজ-বিবেক- শিক্ষা এবং আত্মিক সৌন্দয' দিয়েই মূল্যায়ন করা হয়।
৫| ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ৮:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহামমদ কামরুজজামান ,
ভালো কিছু আমরা কখনও শিখতে চাইনা। আমরা জনগণের ট্যাক্সের টাকা তছরূপ কিভাবে ও কতো প্রকারে করা যায় তা্ শেখাই। কি করে দলেবলে আত্মীয়সজন- সাঙ্গপাঙ্গো নিয়ে সরকারী টাকায় বিদেশ ভ্রমন করা যায় তা শেখাই । খাওয়া দাওয়া তো মামুলী ব্যাপার, ওটা ফাও।
০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১১:০৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই, আপনার মন্তব্য এর জন্য।৷৷৷৷ ভাই আমরা আমরাই। এই জন্যই লেখক লিখেছেন এবং গায়ক গেয়েছেন," এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি ".৷৷৷৷৷৷ ৷৷৷৷৷ আমরা খাইতে এবং খাওয়াইতে পছন্দ করি।আর এইজন্যই আমাদের পরিচিতি " বাংগালী অতিথিপরায়ণ " জাতি হিসেবে। আর আমাদের মন ছোট নয় যে সামান্য ৩০ হাজার টাকা খাওয়ার জন্য প্রশ্ন উত্থাপন করব। আমাদের শিক্ষা এটাই, যতক্ষণ ক্ষুধা ততক্ষণ খাওয়া ও খাওয়ানো এবং নিজে খাওয়ার পর পরবর্তী ১০ প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া। এটা আমাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করে যা প্রশংসনীয় কাজ ও বটে।
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১২:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: একজন অমুসলিম আমাদের ১৪০০ বছর আগের খলিফাদের সমকক্ষ হতে পারেন শুনতে ভালো লাগলেও কিন্তু কোন মুসলিম শাসক হতে পারলোনা দেখে দুঃখিত।আমরা ১৪০০ বছর আগের যা জানি সে সব গল্প কিন্তু এই ঘটনা বর্তমান ও বাস্তব।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১:৩৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার আক্ষেপ কিন্তু রুঢ় সত্য মন্তব্য এর জন্য। ভোগ- বিলাসে মত্ত মুসলিম জাতি ইসলামের সঠিক শিক্ষা ভুলে আজ নোংগর বিহীন নৌকার মত উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে চলছে। যেখানে মুসলমানদের হওয়ার কথা দুনিয়ার সবার সামনে সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের তথা আদশ' ধারী সেখানে আমরা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ভুলে হয়ে গেছি ভোগ-বিলাসের দাস। এখন আমরা সবাই শুধু নামেই মুসলমান। কাজে আমাদের ইসলামের শিক্ষার প্রভাব তেমন একটা নেই। আর এ নিয়ে আমাদের মনে হয় কোন উপলব্ধি ও নেই। আর তাইত আজ সারাদুনিয়ায় মুসলমানরা তাদের সম্মান হারিয়ে ফেলছে। এটাই বাস্তবতা।
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১:৪০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ রাজিব নুর ভাই আপনাকে। আমাদের মুসলমানদের এই শিক্ষা হওয়া উচিত। কেউ আপনার দিকে এককদম আসলে আপনাকেও তারদিকে এককদম এগিয়ে যাওয়া। আর কেউ কোন মন্তব্য করলে তার জবাব দেওয়া, সালামের জবাব দেওয়ার মত আবশ্যক হয়ে পড়ে আমাদের জন্য।
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ১০:০২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে আইনের শাসন ও তার যথাযথ প্রয়োগ থাকে বলেই সরকারি কোষাগারের টাকার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকে। আমি কানাডার কিছু ঘটনার উল্লেখ করছি।
- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পল মার্টিনকে কানাডার অডিটর জেনারেলের এক প্রতিবেদনের কারণে এক কমিশনের তদন্তের সম্মুখীন হতে হয়। এই স্ক্যান্ডালের কারণেই পরিশেষে তাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
- ট্রুডোর সরকার সম্প্রতি কানাডা স্টুডেন্ট সামার গ্রান্ট প্রোগ্রামের কন্ট্রাক্ট দেয়ার কেলেঙ্কারির কারণে চরম সমালোচনার সম্মুখীন হয় এবং জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেও তার অর্থমন্ত্রী বিল মনরোকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়।
- টরোন্টোর প্রাক্তন মেয়র প্রয়াত রব ফোর্ডকেও তার নিজের সকার ক্লাবের জন্য তিন হাজার ডলারের ডোনেশন গ্রহণের কারণে কমিশনের তদন্তের সম্মুখীন হয়ে পদ হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে হয়।
আসলে উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ে চেক এন্ড ব্যালান্স আছে বলেই রাষ্ট্র নিয়মতান্ত্রিকভাবেই পরিচালনা সম্ভবপর হচ্ছে।
আমাদের দেশে অডিটর জেনারেল পদটি কি বা তার ভূমিকা কি দেশের সংখ্যাগরিষ্ট লোকজনই তা বলতে পারবেন বলে মনে হয় না।
০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ গুরু, স্বামী বিশুদ্ধানন্দ - আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে আইনের শাসন ও তার যথাযথ প্রয়োগের পিছনে অনেকগুলি শক্ত কারণ নিহিত আছে।তার মাঝে প্রথম যেটা আসে,সেটা হল নৈতিকতা।
- তাদের মাঝে কঠোর-কঠিন নৈতিকতা গড়ে উঠে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে।কারন,একটি শিশু জন্মের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত তার জীবনে যত কিছুর প্রয়োজন রাষ্ট্র তার সবকিছুর সমর্থন-সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করে । আর প্রতিটি নাগরিক বিশ্বাস করে যে , তার যোগ্যতা অনুযায়ী সে সুযোগ পাবে এবং তার জন্য কেউ অনৈতিক কিছু করার ভাবনা অবধি করেনা। তা সে সরকারী চাকুরীজীবি কি রাজনৈতিক নেতা যেই হোকনা ।
- তাদের দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্তথেকে স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে এবং কোন চাপের ফলেই তারা ন্যায় থেকে বিচ্যুত হয়না কার কঠিন নৈতিকতা বোধের মানুষজন দেশের বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে তাদের দায়িত্ব পালন করে।
- আর সবশেষে , যে কোন দেশ বা প্রতিষ্ঠানে Chck & Balance নীতি যত ভালভাবে প্রয়োগ হবে সে দেশ বা প্রতিষ্ঠান তত
সুষ্ঠু ও দুর্নীতিমুক্ত ভাবে চলে।
আমাদের দেশে তার কোন একটিও সঠিক ভাবে নেই এবং যাও কিছুটা নামেমাত্র আছে সেগুলিও যথাযথভাবে কাজ করেনা।তাদের সেখানে আইনের শাসনই শেষ কথা আর আমাদের এখানে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তির ইচছাই শেষ কথা,আইনে যাই থাকুক না কেন।
৯| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১৭
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একটু নাস্তা খাওয়ায় এত দোষ?
০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কঙ্কাবতী রাজকন্যা - আপনার প্রশ্ন সহ মন্তব্যের জন্য।
- আসলেই কি এই সামান্য কিছু টাকার নাস্তা খাওয়া দোষের? এই প্রশ্ন আমাদের উপমহাদেশের যে কাউকে করলে তাকে পাগল বলবে মানুষ। কারন,শুধুমাত্র ৩০ হাজার টাকার জন্য কিছু বললে যে বলবে তার মানষিক সুস্থ্তা নিয়েই বাকী সবাই প্রশ্ন তুলবে। যদিও আমরা গরীব এলাকার মানুষজন তবে আমাদের মন অনেক বড়।ভারতীয় উপমহাদেশে এটা কোন টাকাই নয়।তারপরেও ৩০ হাজার টাকা কেন ৩০ কোটি বা ৩০০ কোটিও আমরা গুনিনা।৩০০০ কোটি হলে হয়ত বলবে ,"এটি আমাদের জিডিপির তুলনায় খুব বেশি অর্থ নয়" - কাজেই এ নিয়ে সমালোচনার কিছু নেই।
- আর যদি নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন মানুষ তথা উন্নত দেশের হয় তাহলে তা বিশাল ব্যাপার ।তার জন্য নিজেই অপরাধবোধে ভূগবে এমনকি তার জন্য নিজেরা ক্ষমা চাওয়া বা ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া সহ আরও অনেক কিছুই তারা করবে।
কাজেই,এটা দোষ কিংবা দোষ নয় মানুষে মানুষ তা নির্ভর করবে।কারো কাছে তা মহাদোষের আর কারো কাছে তা হবে হাস্যকর ব্যাপার মাত্র।
১০| ০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৩৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ৩০ হাজার টাকার নাস্তা খেয়েছে!
আমি ভাবছিলাম কত আর হবে। ১০/১২ হাজার টাকা।
০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হাঃ হাঃ বোন কঙ্কাবতী রাজকন্যা - আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
আমিও ভাবছি - ৩০ হাজার :# ৩০ হাজার টাকা!!!! এত বড় পরিমাণের টাকা একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী নাস্তা খেয়ে শেষ করে ফেলল-এটা কিছু হল?
-
১১| ০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৫৬
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আসলে এসব মন্তব্য আমি করতামই না।
কিন্তু আমি চাচ্ছি আপনি আমার এবারের সিরিজটা পড়েন।
তাই এই সব আজগুবী মন্তব্য করে দৃষ্টি আকর্ষন করছি ভাইয়া।
নইলে কোন দেশের মন্ত্রী কত টাকার খেলো আমার জানবার বা ভাববার দরকারই নেই কোনো।
০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কঙ্কাবতী রাজকন্যা - আপনার নিমন্ত্রণের জন্য ।
যেখানে একজন বাবলী র সাথে দেখা করার জন্য একটু কথা বলার জন্য দৈনিক ২৪(১২+১২) মাইল সাইকেল চালিয়েছি সেখানে আপনি তাও রাজকন্যা আমার দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য চেষ্টা করেছেন !!!! আমিত হাওয়ায় ভাসতেছি - আহা কি সুখ!!
রাজকন্যা - নামটা শুনলেই মনে ভেসে উঠে এক অন্যরকম ছবি আর নানান রকমের সুখ স্বপ্ন ।সাধারন মানুষের কাছে রাজকন্যা এক অধরা এবং অসূর্ষস্পর্শা আর সেখানে রাজকন্যা নিজে আমার মত এক আম আদমীর দৃষ্টি আকর্ষন তথা আমাকে কিছু বলেছে। এ যে আমার জন্য মানা ফরজে আইন।
এখন থেকে প্রতিনিয়ত আমাকে পাবেন আপনার আংগিনায় তথা আপনার ব্লগে যার চেষ্টা-ধ্যাণ- জ্ঞান থাকবে রাজন্যার মন পাবার তথা তার দৃষ্টি আকর্ষনের।আশা করি আমজনতার উপর রাজকন্যার সহানুভূতি বহাল থাকবে।
আবারো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং নিয়মিত পাবেন আপনার সাথে আপনার মাঝে ,যদি জীবিত থাকি এবং ব্লগে থাকি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
নয়া পাঠক বলেছেন: আহা! সাধু! সাধু!! সাধু!!! খবরটি পড়ে মনে হচ্ছিল স্বপ্ন দেখছি! অথবা আমি টাইম মেশিনে চেপে চলে গিয়েছিলাম প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বে। যখন ন্যায় বিচারক বা বিবেক দিয়ে নতুন ইসলামী শাসন কর্তারা সারা মুসলিম জাহান শাসন করতেন।
আমরা কি এমন বিষয় দেখতে পারব আমাদের এই সোনার বাংলায়?
অপেক্ষায় রইলাম, হয়ত আমার দেখা হবে না, হয়ত দেখবে আমার পরবর্তী ৩-১০ম প্রজন্মের কেউ! রইলাম অপেক্ষায়!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সামনে আনার জন্য।