নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তালেবানদের আফগান শাসনের রোডম্যাপ (ইশতেহার) প্রকাশ । কোন পথে এবং কতদূর নিয়ে যেতে চাচ্ছে তালেবানরা আফগানিস্তানকে ? (তালেবানদের কাবুল দখল পরবর্তী ফলোআপ পোস্ট - ৩)।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৪


ছবি - bbc.com

গত ১৫/০৮/২০২১ রোববার ,কাবুল দখল করেছে তালেবানরা। এর আগেও ১৯৯৬-২০০১ সালের কাবুল শাসন করেছে তালেবানরা। তখন তালেবানরা নারীদের স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পুরুষ আত্মীয় ছাড়া নারীদের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি বাইরে বের হওয়ার সময় নারীদের চেহারা দেখানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল। তবে এবার তালেবানরা নিজেদের রক্ষণশীল মনোভাব থেকে অনেকটাই সরে এসেছে বলে মনে করা হয়।যদিও তারা এখনো সরকারে আসীন হয়নি বা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়নি তবে তাদের সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে । হয়ত কিছুদিনের মাঝেই তালেবানরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হবে এবং আফগান শাসন করবে ।এরই ধারাহিকতায় তারা আফগান শাসনের রোডম্যাপ (ইশতেহার) প্রকাশ করেছে বা ভবিষ্যতে কিভাবে আফগান শাসন করবে বা কিভাবে চলবে তার রুপরেখা (ইশতেহার) দিয়েছে।দিয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও। আসুন দেখি সেগুলি কি বা কিভাবে দেশ চালাতে চাচ্ছে তালেবানরা এবং কতদূর নিয়ে যেতে চাচ্ছে আফগানিস্তানকে -

১। আশরাফ গনি ও আমরুল্লাহ সালেহকে ক্ষমা ঘোষনা এবং সকল সরকারী চাকুরীজীবিকে নিজ নিজ কাজে যোগদানের অনুরোধ এবং কোন আফগানকে দেশ ত্যাগ না করতে অনুরোধ -

ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহকে ক্ষমা করে দিয়ে তালেবান বলেছে, " তারা ইচ্ছা করলে আফগানিস্তানে ফিরে আসতে পারে"। জিও নিউজকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে সিনিয়র তালেবান নেতা খলিলুর রহমান হাক্কানি বলেন, " আশরাফ গনি, আমরুল্লাহ সালেহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মুহিবের সাথে তালেবানের কোনো বিরোধ নেই।
তিনি বলেন, আমরা আশরাফ গনি, আমরুল্লাহ সালেহ ও হামদুল্লাহ মুহিবকে ক্ষমা করে দিয়েছি"।তিনি আরো বলেন, "আমাদের পক্ষ থেকে সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি"।হাক্কানি আরো বলেন, যারা পালাচ্ছে, " তারা ঠিক করছে না। তাদের কারণে শত্রুরা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে যে তালেবান তাদের ওপর প্রতিশোধ নেবে"।তিনি বলেন, সকল আফগান তথা তাজিক, বালুচ, হাজারা ও পশতুনরা সবাই আমাদের ভাই।তিনি আরো বলেন, " সব আফগান আমাদের ভাই। আর এ কারণে যারা দেশের বাইরে আছে তারাও সবাই চাইলেই দেশে ফিরতে পারে। আমাদের মধ্যকার বিরোধের একমাত্র কারণ হলো, সিস্টেম পরিবর্তনের উচ্চাভিলাষ নিয়ে।কোন আফগান নাগরিকের সাথে নয়।"তিনি আরো বলেন, " তালেবানরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চায় না। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশে হামলা চালানোর কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছি। আমরা আমাদের সংস্কৃতি, ধর্ম ও দেশকে রক্ষার জন্য তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি"।


ছবি - এএফপি

২। কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়,সবার সংগে বন্ধুত্ব -

কাবুল দখলে নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ আন্তর্জাতিক পক্ষের সঙ্গে যেকোনো সংঘাত এড়ানোর কথা বলেন। তিনি বলেন, "কারো প্রতি ইসলামিক এমিরেটের শত্রুতা বা বৈরিতা নেই। বৈরিতার অবসান হয়েছে এবং আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ও সকলের সাথে মিলেমিশে বসবাস করতে চাই। আমরা কোনো অভ্যন্তরীন বা বহিরাগত শত্রু চাই না।

৩। কারো প্রতি কোন প্রতিশোধ নেওয়া হবে না -

তালেবানরা কাবুল দখলের পর ভীত সন্ত্রস্ত আফগান দেশ ছাড়তে উন্মুখ হয়ে ওঠেন। তালেবান মুখপাত্র তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, " আমি আমার স্বদেশিদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমরিকার অনুবাদক, সামরিক কার্যক্রমের সঙ্গে বা সাধারণ নাগরিক যারাই আছেন না কেন সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। কারো প্রতি প্রতিশোধমূলক আচরণ করা হবে না।

৪। সকল বিদেশিদের নিরাপত্তা থাকবে -

কাবুলে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে তালেবান মুখপাত্র বলেন, "দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যেসব এলাকায় দূতাবাস আছে সেখানে পুরোপুরি নিরাপত্তা থাকবে। সব বিদেশি রাষ্ট্র, প্রতিনিধি, দূতাবাস, মিশন, আন্তর্জাতিক সংস্থা দাতা সংস্থাগুলোকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই তাদের বিপক্ষে আমরা কিছু করতে দিব না। আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

৫। সকল প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা হবে -

জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, " আমি আমাদের প্রতিবেশী দেশ, আঞ্চলিক দেশগুলোকে আশ্বস্ত করতে চাই যে তাদের বিরুদ্ধে বা কোনো দেশের ক্ষতিসাধনে আমাদের ভূমি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। আমরা আন্তর্জাতিক সীমানা ও যোগাযোগকে স্বীকৃতি দেই। আমাদের সেভাবেই বিবেচনা করা উচিত যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের কোন সমস্যা নেই"।

৬। নারীদের অধিকার ও তাদের মর্যাদা রক্ষা করা হবে -

সংবাদ সম্মেলন মুজাহিদ বলেন, "ইসলামিক এমিরেট শরিয়া কাঠামোর আলোকে নারীদের অধিকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের বোন, আমাদের পুরুষরা একই অধিকার ভোগ করবেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা আমাদের নিয়ম ও নীতির আলোকে কাজ কাজ করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই নারীদের প্রতি কোনো বৈষম্য করা হবে না, তবে অবশ্যই সেটি আমাদের সামজিক কাঠামোর মধ্যে হবে"।

৭। গণমাধ্যমে নারীরা কাজ করতে পারবে -

সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদ জানান, " নতুন সরকারের গঠন হলে তাদের ইসলামিক শরীয়া আইন অনুযায়ী নারীরা গণমাধ্যম থেকে শুরু করে অন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতেও কাজ করতে পারবে। তবে দ্রুতই বিষয়টি পরিস্কার করা হবে"।

৮। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করা হবে -

মুজাহিদ বলেন, " আমরা গণমাধ্যমকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক কাঠামোর মধ্যে গণমাধ্যমের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বেসরকারি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অব্যহত থাকবে। তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। এমন আশ্বাস দিলেও মুজাহিদ বলেন, গণমাধ্যমের কার্যক্রমে ইসলামি মূল্যবোধের প্রতিফলন থাকতে হবে। গণমাধ্যমকে নিরপেক্ষ হতে হবে।তারা আমাদের কাজের সমালোচনা করতে পারবে যাতে আমরা উন্নতি করতে পারি।

৯। মাদক ও চোরাচালান রোধ করা হবে -

মুজাহিদ সংবাদ সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, " আমরা দেশের পুরুষ, নারী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলতে চাই কোন ধরনের মাদক আমরা উৎপাদন করব না। কেউ মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকতে পারবে না। তবে মাদকমুক্ত আফগানিস্তান গড়তে ও বিকল্প শস্যের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছেও সহায়তা চান।

১০ । অর্থনীতি পুনর্গঠন করা হবে -

দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তালেবান মুখপাত্র বলেন, " আমরা দেশের জন্য শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবকাঠামো গড়ে তুলব। এজন্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা করা হবে। অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা, বিনির্মাণ ও সমৃদ্ধির জন্য আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ ও অন্য যে সম্পদ আছে তা নিয়ে কাজ করব। এজন্য আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ করছি যে খুব দ্রুতই পুরো পরিস্থিতি, আমাদের অর্থনীতি আমরা বদলে ফেলতে পারব।

১১। সরকারে সকল পক্ষের অংশগ্রহণ থাকবে -

সবার অংশগ্রহণে অংশীদারমূলক সরকার নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে মুজাহিদ জানান, " আফগানিস্তানে একটি শক্তিশালী ইসলামিক সরকার থাকবে। নাম কী হবে কিংবা আর কী করা হবে সেটি রাজনৈতিক নেতাদের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি আমরা। তারা এ নিয়ে জরুরিভিত্তিতে আলোচনা করছেন। কিন্তু একটা বিষয় নিশ্চিত যে আমাদের মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে একটি ইসলামিক ও শক্তিশালী সরকার গঠন করা হবে এবং আমাদের নাগরিকদের মূল্যবোধ বা স্বার্থবিরোধী হবে না "।

তালেবানের ইশতেহার অনুসারে কোন পথে আফগানিস্তান ?

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল নিয়ন্ত্রণে আসার পর তালেবান (ইসলামিক এমিরেটস আফগানিস্তান-আইইএ) যুদ্ধের অবসান ঘোষণা করে বলেছে, শিগগিরই নতুন সরকার গঠন করা হচ্ছে। এই সরকার গঠনের পরিণতির দিকে নেয়ার জন্য তালেবানরা তাদের দেশ শাসনের রোডম্যাপ বা ইশতেহার প্রকাশ করেছে। ইশতেহার অনুসারে যা দেখা যাচছে -

১। তালেবানরা তাদের শাসন ক্ষমতায় ক্ষমা উদারতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে যাচছে -

তালেবানদের এবারের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে যে বিষয়টি বিশেষভাবে দেখা গেছে সেটি হলো, তারা ক্ষমা উদার মনোভাব অন্তর্ভুক্তিমূলক মানসিকতা আর মৌলিক বিষয়ে বিচ্যুত না হওয়ার নীতি অনুসরণ করেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার পরও সেই নীতিই তারা অনুসরণ করবে বলে মনে হচ্ছে। তারা রাষ্ট্রের সব ধরনের পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবস্থায় কর্মরতরা যেভাবে আছে সেভাবেই রাখবে এবং তাদের উদ্দীপ্ত করার জন্য ৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে দেবে বলে ঘোষনা করেছে। আফগান নিরাপত্তাবাহিনীর যেসব সদস্য রয়েছেন তাদের মধ্যে যারা চাকরিতে বহাল থাকতে চাইবে তাদের তিন থেকে ছয় মাসের একটি উদ্বুদ্ধকরণ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এতে যারা সততা ও কমিটমেন্টের ব্যাপারে উপযুক্ত প্রমাণীত হবে তারা সেনাবাহিনী বা পুলিশ বাহিনীর চাকরিতে ফিরে যেতে পারবে। আর তালেবান মিলিশিয়া বা যোদ্ধাদের মধ্যে যারা সামরিক বাহিনী বা পুলিশে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মত বয়স ও অন্যান্য বিবেচনায় যোগ্য হবেন তারাই এর অন্তর্ভুক্ত হবেন। বাস্তবে তালেবান প্রশাসনের ধরন ঠিক কী হবে সেটি একেবারে নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে তালেবানের এখন নেতৃত্বের যে কয়েকটা স্তর রয়েছে তাতে জাতিগত পশতুন তাজিক উজবেক হাজারা তুর্কমেন সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এবারের লড়াইটাও সেভাবেই হয়েছে।


ছবি - বিবিসি।

তালেবানদের অতীতেও রাষ্ট্র চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে ২০ বছর আগের পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট থেকে এখন অনেকটাই ভিন্ন। এক দিকে চল্লিশ বছরের এক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, অন্য দিকে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে বিভক্তি এবং আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহের নতুন করে প্রক্সি-যুদ্ধে জড়ানোর আশঙ্কা আর বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে যে বৈশ্বিক দ্বন্দ্ব সঙ্ঘাত রয়েছে তার প্রভাব পড়া। তালেবান নেতৃত্বের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে এই ক্ষেত্রে যে বিশেষ প্রভাব লক্ষণীয় সেটি হলো তারা আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানে যার যতটুকু সম্পৃক্ততা ঠিক ততটুকু আলোচনা সমঝোতা করে যেতে চেষ্টা করেছেন।আমেরিকা - চীন ও রাশিয়ার সাথে তালেবানদের আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা সমঝোতা হয়েছে।এর বাইরে অন্য প্রতিবেশীদের সাথেও তালেবানরা ক্ষমতা গ্রহণের আগে একধরনের সমঝোতায় গেছেন।

এসব সমঝোতায় যে কয়েকটি মৌলিক বিষয় উঠে এসেছে তা হলো -

১। আফগানিস্তানের বাইরের কোনো দেশের বিরুদ্ধে দেশটির ভূমি ব্যবহার করে কোনো ধরনের তৎপরতা চালানোর সুযোগ দেয়া হবে না। আবার আফগানিস্তানও বাইরের কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সাথে যুক্ত হবে না।
২। অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও অন্যান্য সহযোগিতা গ্রহণের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত হবে, এ ক্ষেত্রে কেবল আফগানিস্তানের জাতীয় স্বার্থ মুখ্য বিবেচিত হবে।
৩।আফগানিস্তানের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা, দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা এবং ন্যায়ভিত্তিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হবে।
৪।অভ্যন্তরীণভাবে ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকব্যবস্থা অনুসরণ করা হবে আর আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, মানবাধিকার রক্ষা ইত্যাদি বৈশ্বিক অনুশাসনের সাথে সমন্বয় করা হবে।

২। তালেবানের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ বা তাদের যা মোকাবেলা করতে হতে পারে -

রাষ্ট্র হিসেবে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি শক্তিশালী কূটনৈতিক বা বৈশ্বিক অংশীদার এবং পক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তিন বৃহৎ বৈশ্বিক শক্তি আমেরিকা,চীন ও রাশিয়া। এই তিন পক্ষের তিনটি ভিন্ন নিরাপত্তাগত উদ্বেগ রয়েছে। যেমন -

*** আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে আলকায়েদা ও আইএস-এর মতো উগ্রবাদী শক্তি যারা আমেরিকার স্বার্থে আঘাত হানতে চায়। এ ধরনের শক্তি যাতে আফগানিস্তানে প্রশ্রয় না পেতে পারে তার জন্য য়ুক্তরাষ্ট্রের সাথে তালেবানদের চুক্তি হয়েছে। মার্কিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কাবুলে ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বীকৃতি এখনো দেয়নি আর পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারাও বলতে অস্বীকার করেছেন যে, আমেরিকা এখনো আশরাফ গনিকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কি না। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ভবিষ্যতের আফগান সম্পর্ক তালেবানদের কর্মের ওপর নির্ভর করবে। আফগানিস্তানে তালেবান সরকারকে কেবল তখনই স্বীকৃতি দেয়া হবে যদি সরকার নারীর অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং সন্ত্রাসীদের থেকে দূরে থাকে।


ছবি - বিবিসি।

*** চীনের প্রধান নিরাপত্তা উদ্বেগ হলো জিংজিয়াং। আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশ তাদের একই বৃহত্তর জাতিগোষ্ঠীর সদস্য আর ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও রয়েছে অভিন্নতা। যুক্তরাষ্ট্র এই চীনা উইঘুরদের সমর্থনের জন্য আফগানিস্তানের ভূমিকে অতীতে ব্যবহার করেছে। সেটি যাতে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে তার নিশ্চয়তা বিধান করতে তালেবানরা চেিনর সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

*** রাশিয়ার উদ্বেগ হলো মধ্য এশিয়া এবং তার ককেসাস অংশ নিয়ে। এই অঞ্চলের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী তুর্কি জাতিগোষ্ঠী ধারার এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সুন্নি মুসলিম। আফগানিস্তানকে যাতে এই অঞ্চলের কোনো শক্তি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত হতে চায়, যেটি আমেরিকার একটি কৌশলগত কাজের অংশ হতে পারে বলে মস্কোর আশঙ্কা রয়েছে। তালেবানরা মস্কোর এই নিরাপত্তা উদ্বেগের ব্যাপারেও প্রতিশ্রতিবদ্ধ।

*** আবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও ইরানের নিরাপত্তা উদ্বেগ হলো দেশ দু’টির অন্তর্ঘাত ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়া। আগের শাসনে পাকিস্তানের প্রধান উদ্বেগ ছিল আফগান ফ্রন্ট। এখান থেকে মদদ নিয়ে খাইবারপাখতুন খোয়ায় টিটিপি ও বেলুচিস্তানে বালুচ বিদ্রোহীরা অন্তর্ঘাতী কাজ চালিয়ে গেছে। তালেবান সরকার কোনোভাবেই এ ধরনের কোনো সুযোগ দেবে না বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর ইরানের বেলুচদের মধ্যে যে বিদ্রোহী তৎপরতা রয়েছে তারাও যাতে কাবুল সরকারের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদদ না পায় সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

*** কিছুটা দূরবর্তী প্রতিবেশী ভারতের সাথে তালেবানের কোনো আনুষ্ঠানিক সমঝোতা হওয়ার কথা এখনো জানা যায়নি। তবে তালেবান দিল্লির প্রতি যে বার্তা দিয়েছে সেটি হলো তারা ভারত আফগানিস্তানের উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছে সেটিকে স্বাগত জানায়। তবে একই সাথে ভারত যদি আফগানিস্তানের কোনো শত্রুকে এ দেশে অস্থিরতা তৈরির কোনো তৎপরতায় ইন্ধন না দেয় তাহলে আফগানিস্তানও তার মাটিকে ভারতের বিরুদ্ধে কোনো কাজে ব্যবহার হতে দেবে না। ভারতের সাথে তালেবানের সম্পর্কের বিষয়টি রিসিপ্রোকাল বা পরস্পরমুখী।

ক্ষমতা নেয়ার পর আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে সব পক্ষের কূটনৈতিক অংশীদার বা বিদেশী শক্তির কাছে যে অঙ্গীকার দেয়া হয়েছে সেটি রক্ষা করা। এটি করতে হলে অভ্যন্তরীণ জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহনশীল ও সমন্বয়ের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সামাজিক ক্ষোভ ও বিরোধের বিষয়গুলো যথাসম্ভব দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সদস্য বেশ ক’টি দেশ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাদের নীতিনির্ধারণের কথা বলেছে। কেউ কেউ সর্বাত্মক অবরোধের হুমকিও দিয়েছে। অবরোধ বা প্রক্সি-যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার মতো কোনো নীতি বা পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্য কঠোর থাকতে হবে তালেবান নেতৃত্বকে। তবে এ কথা সত্যি, যে আদর্শ ও মূল্যবোধ তালেবানকে ২০ বছরের কঠিন যুদ্ধে বিজয়ের এই পর্যন্ত এনে দিয়েছে সেটি তারা পরিত্যাগ করবে না।

এটি ঠিক যে, এখনি আফগানিস্তানে তালেবান শাসিত সরকারের প্রকৃতি কেমন হতে পারে তা বলা মুশকিল, কিন্তু এটাও ঠিক যে,বর্তমানে আফগান তালেবান নেতাদের একটি নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে, যারা বিশ্ব ভ্রমণ করেছে, বিশ্ব দেখেছে এবং অন্যান্য অনেক সরকারের সাথে আলোচনা করেছে। যে কেউ আশা করবে যে তারা তাদের নির্বাসনের সময় যা কিছু দেখেছে-শিখেছে, প্রধানত অমুসলিম শক্তির আন্তর্জাতিক পরিবেশে বসবাসের বাস্তবতাকে স্বীকার করা ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোনো বিকল্প নেই এবং সেসব মেনেই তাদের শাসন পদ্ধতি সাজাতে হবে।

৩। জটিল ভূরাজনৈতিক হিসাব নিকাশ -

রাজনৈতিক বিশ্লেষক গ্রাহাম ই ফুলার মনে করেন, " আফগানিস্তানে ওয়াশিংটন যে নীতি অবলম্বন করেছিল তা সম্পূর্ণ অবাস্তব উচ্চাকাংখী এবং দুর্বল নীতি বাস্তবায়ন দ্বারা চালিত ছিল যেখানে স্থানীয় জনগনের অংশগ্রহণ ছিলনা বললেই চলে। এই কারণে বর্তমানে তাদের এই পরিণতি যা দীর্ঘ দিন ধরেই অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। নব্য-সাম্রাজ্যবাদী নিউ কনজারভেটিভরা যুক্তি দেন যে, আমেরিকান প্রস্থান এবং পরবর্তী কাবুল সরকারের পতন বিশ্বের একটি পরাশক্তি হিসেবে আমেরিকান ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ গভীরভাবে নষ্ট করবে। এই দৃষ্টিভঙ্গির একটি অন্তর্নিহিত আদর্শ এই যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বত্র বৈশ্বিক পুলিশ হিসেবে কাজ করতে হবে এবং এটি করতে ব্যর্থ হওয়া দুর্বলতা এবং পতনের লক্ষণ"।

তবে এটি ঠিক যে, সামগ্রিকভাবে আমেরিকার পতন দেশীয় এবং ভূরাজনৈতিকভাবে তার গভীর দুর্বলতার প্রতীকী চিহ্ন, ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ধারণা রয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বৈশ্বিক আধিপত্য বজায় রাখার বিষয়ে অস্বীকারের একটি ফ্যান্টাসি বুদ্বুদে বাস করছে। যদি আফগানিস্তানে ২০ বছরের মার্কিন সামরিক উপস্থিতির প্রকৃতপক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যের দিকে অগ্রগতি দেখায়, তবে এই একটি জিনিসই হবে।

মানবিক স্তরে অবশ্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, নতুন তালেবান সরকারের অধীনে আফগানরা কেমন ভাগ্যের মুখোমুখি হবে। আফগান জনগণ ১৯৭৮ সাল থেকে ক্রমাগত যুদ্ধ এবং সামরিক হস্তক্ষেপের শিকার হচ্ছে। আফগান কমিউনিস্টদের একটি অভ্যন্তরীণ অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে সোভিয়েত আক্রমণ, পরবর্তী সময়ে মার্কিন সমর্থিত মুজাহিদীন গোষ্ঠী দ্বারা সোভিয়েতদের বিতাড়িত করার লড়াই, পরবর্তীকালে মুজাহিদীনদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়া এবং অবশেষে তালেবানরা জাতীয় শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করে একটি সরকার গঠন পর্যন্ত এটি ঘটেছে।

বাস্তবে আফগানিস্তানের প্রতি ওয়াশিংটনের মনোযোগ আফগানদের জন্য একটি উন্নত এবং অধিকতর ন্যায়সঙ্গত সমাজ প্রতিষ্ঠার সাথে খুব কমই জড়িত ছিল। আফগানিস্তানে আলকায়েদার উপস্থিতি ধ্বংস করার জন্য আমেরিকান আক্রমণের কথা বলা হয়। কিন্তু আমেরিকান আক্রমণ এবং দীর্ঘ দখলের গভীর এবং অধিকতর গভীর কারণ ছিল রাশিয়া এবং চীনের সীমান্তে মধ্য এশিয়ায় সামরিক ও ভূরাজনৈতিক উপস্থিতি তৈরি করা।যদিও সেই উচ্চাকাংক্ষা কখনোই নগ্নভাবে প্রকাশ করা হয়নি কিন্তু সব আঞ্চলিক শক্তি স্পষ্টভাবে তা বুঝতে পেরেছিল তাদের সেই মনোভাব। আফগানদের জন্য " জাতি-নির্মাণ,মহিলাদের অধিকার রক্ষা এবং মানবিক " এসব ছিল মূলত আমেরিকার ভূরাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আড়াল করার বাহানা মাত্র ।আমেরিকা যদিও পরাজিত হয়ে বেড়িয়ে যাচছে তবে আমেরিকান হস্তক্ষেপকারীদের মধ্যে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলো এখনো পুরোপুরি মারা যায়নি।

আগে, তালেবানরা হয়তো এই প্রতিবেশী দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে খুব কমই চিন্তা করত,তবে আজ মধ্য এশিয়া একটি ভিন্ন জায়গা। আফগানিস্তান ভেঙে পড়েছে এবং তালেবানের সামাজিক নীতি যাই হোক না কেন, তাদের দেশকে ন্যূনতম সমৃদ্ধি এবং শান্তিতে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতে সাহায্য করার জন্য চীনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা রয়েছে। আফগানিস্তান মধ্য এশিয়ায় বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের চীনা উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনায় অর্থনৈতিকভাবে সংযুক্ত হয়ে নিজের পুনঃনির্মাণ করতে পারে। চীন তালেবানের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং তাদের বিরুদ্ধে যে কোন আন্দোলনের বিস্তার এড়ানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে, যা কেবল জিনজিয়াংয়ে চীনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে না, বরং ককেসাস ও মধ্য এশিয়ার রাশিয়া এবং শিয়া ইরানের নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করে।

ইরান, চীন বা রাশিয়া- এ রাষ্ট্রগুলোর কেউই যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের আঙিনায় তথা সামরিকভাবে মধ্য এশিয়ার প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায় না। মধ্য এশিয়ার কেন্দ্র থেকে মার্কিন সামরিক প্রভাব দূর হয়ে গেলে, এটা ধারনা করা যেতেই পারে একটি সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল আফগানিস্তান আসতে পারে সবার ইচ্ছা ও স্বার্থে ।তবে এসবের জন্য তালেবানদের পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ,নিতে হবে বহু বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত, রক্ষা করতে দেশের আইন-শৃংখলা ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দরকার আন্তর্জাতিক সব পক্ষের সক্রিয় সহযোগীতা।আর এর ফলেই হয়ত আফগান জাতি রক্ষা পেতে পারে দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধ থেকে এবং সফল হতে পারে তালেবান শাসন । আর তাই তালেবানদের সফলতা কিংবা ব্যর্থতা যাই হোক দেখার জন্য এবং তালেবানরা কোথা-কতদূর যেতে পারে দেখার জন্য আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

===============================================================
পূববতী পোস্ট -

তালেবানদের কাবুল দখল পরবর্তী ফলোআপ পোস্ট - ২ Click This Link
" তালেবানদের আফগানিস্তান দখল " - কেন এবং কি কারণে আফগান সেনাদের এত দ্রুত পরাজয়?

তালেবানদের কাবুল দখল পরবর্তী ফলোআপ পোস্ট - ১ Click This Link
" আফগানিস্তানে আমেরিকার ২০ বছর " - আমেরিকা কি নিয়ে এবং আফগানিস্তানকে কোথায় রেখে যাচছে ? এ ব্যাপারে বিশ্ব নেতৃবৃন্দদের প্রতিক্রিয়া কি ?

তথ্যসূত্র ও সহযোগীতায় - গালফ নিউজ ,বিবিসি, আল জাজিরা,এএফপি ওপার্স টুডে ।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নারীদেরকে আপাতত বাইরে যেতে মানা করেছে তালেবান সরকার।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

অনেক সময় জন্য চালু থাকা জিনিষের ও সার্ভিসিং করা হয় আরো ভালো কিছুর জন্য।যেমন - গত কিছুদিন যাবত কাতারের সবচেয়ে ব্যস্ত ও সৌন্দর্যময় এলাকা কর্নিশ বন্ধ করে দিয়েছে আসগাল (সরকার),রিমডিফিকেশন তথা আরো সৌন্দর্যময় এবং সুবিধা বাড়ানোর জন্য।আর এটা সারা দুনিয়াব্যাপী করা হয় পুনর্গঠন ও আধুনিক করার জন্য।

তালেবানরা ও প্রচলিত একটা পদ্ধতি পরিবর্তন করতে চাচছে বা এক সরকার থেকে আরেক সরকার দায়িত্ব নিচছে। এক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন (এদিক-সেদিক) হতে পারে।

নারীদের ব্যাপারে তালেবানদের সর্বশেষ নির্দেশনায় তালেবানদের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছেন, " আফগানিস্তানে কর্মরত নারীদের তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ঘরে থাকতে হবে"।তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আরো বলেন, "এটি খুবই স্বল্প সময়ের জন্য একটি প্রক্রিয়া।"

তাছাড়াও কাবুল দখলের দুই দিনের মাথায়ই সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পাশাপাশি নারীদের সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তালেবানরা। তালেবানরা এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাবুলের ভীতসন্ত্রস্ত জনগোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছে বলে মনে করা হয়।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ সময়ের সবচেয়ে বড় ঘটনা তালেবান বিজয়।সুপাঠ্য পোষ্ট উপস্থাপনের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মহাজাগতিক চিন্তা ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

একদম সঠিক ভাই,বর্তমানে সারা দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত এবং বড় ঘটনা তালেবানদের আফগান বিজয়।আর এ বিজয় তারা অর্জন করেছে এমন এক দেশ থেকে যারা অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পরাশক্তি।

আপনাকেও আবারো ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার এবং চমতকার মন্তব্যের জন্য ।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তালেবান তাদের প্রতিশ্রুতি পুরন করবে এই কামনা করছি।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, আপনার ছোট কিন্তু আশাবাদী মন্তব্যের জন্য।

বর্তমান জটিল-কঠিন বিশ্বে আশাই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখে আর এ আশা আফগানবাসীর জন্য আরো অধিক জরুরী। আর আফগান জনগণ এবং দুনিয়াবাসীর মত আমরাও আশাবাদী যে, তালেবানরা তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পুরন করবে। যদিও কোন সরকারই শতভাগ প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনা ।

তবে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কতটা আন্তরিক তার উপর ভিত্তি করেই ইতিহাস এবং দুনিয়া তাদের মূল্যায়ণ করবে।

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তালেবানরা তাদের অতীতের বর্বর ঐতিহ্য ও কট্টরপন্থা থেকে কিভাবে বের হয়ে আসে সেটা দেখার বিষয়। এক শ্রেনীর মানুষ আছে তারা তালেবানদের সাথে ইসলামকে মিলিয়ে আনন্দ পাচ্ছে। তালেবানের বিজয় মানে ইসলামের বিজয়!! কি অদ্ভুত চিন্তাধারা।
এই সব মানুষই ইসলামকে যুগে যুগে বিতর্কিত করেছে। তালেবানরা ধর্মান্ধ একটি গোষ্ঠি। সময়ের সাথে সাথে ধারনা করা যায় তারা পরিবর্তিত হয়েছে। তারা ধার্মিক থাকুক, ধর্মের রীতি রেওয়াজকে মেনে চলুক কোন আপত্তি নাই। বরং তারা যদি নিজেরা ধর্মান্ধ গোষ্ঠি থেকে পরিবর্তিত হয়ে মানুষ হয় এবং সঠিকভাবে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে পারে তাহলে তাদেরকে স্বাগত জানাতে কোন সমস্যা নেই।

কিন্তু তারা যদি গায়ের জোর খাটায়, ইসলামকে ভুল ব্যাখ্যা করে কট্টর আদর্শে চলে তাহলে শুধুমাত্র মুসলমান হবার জন্য তাদেরকে সমর্থন করা যায় না।

আমি বিশ্বাস করি - তালেবানরা প্রকৃত আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করে না। আমি খুব চাই একদিন আফগানদের উপর সকল অত্যাচার বন্ধ হোক, তাঁরা যাকে চায় সেই ক্ষমতায় আসুক। অস্ত্র দিয়ে যারা ক্ষমতায় যাওয়াকে বিজয় বলে আখ্যায়িত করেন তারা ছাগল শ্রেনীর মানুষ। একই ক্যাটাগরীর ছাগলরা যে সকল মানুষ প্রাণের ভয়ে বা আদিম বর্বরতার আশংকায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো তাদেরকে রাজাকার হিসাবে সম্ভোধন করছে। তারা নিজেরাও জানে না - তারা আসলে ছাগল হয়ে মানুষের অভিনয় করে যাচ্ছে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

পরিবর্তন- পরিবর্ধন-রূপান্তর জীবিত সব কিছুর মাঝেই একটি চলমান প্রক্রিয়া । আর তার জন্যই আজ যে ছোট কাল সে বড় হয় এবং আজ যে ভূল করছে সেই ভূলকে মনে রেখে আগামীতে আর সেই ভূল করেনা বা ভূল থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ ভাল কিছু করতে চেষ্টা করে।কাজেই ২০ বছর আগের কট্টরপন্থী তালেবানরা এখন যদি মধ্যপন্থী বা আধুনিকপন্থীতে পরিবর্তন হয় এবং পরিবর্তনের আলোকে দেশ চালায় তাহলে তাতে দোষ থাকার কথা নয় ।

তবে এখানে একটা বিষয়ে তথাকথিত নারীবাদী-গণতন্ত্রের বুলি আওরানো-ইসলাম বিদ্বেষী কিছু মানুষের কাছে এটাই সমস্যা তালেবানরা মুসলিম।কিছুদিন আগে যখন আমাদের প্রতিবেশী একটা দেশ দেশের প্রচলিত আইন-সংবিধান সব কিছু ১০০ ডিগ্রি পরিবর্তন করে তার দেশের বিশেষ একটি এলাকাকে জোর করে দখল করে এবং সারা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল দীর্ঘদিনের জন্য তখন সেই মানুষগুলিই কিছু বলেনি বা বলার চেষ্টা করেনি কারন তা ছিল মুসলমানদের বিরুদ্ধে।এখানে আমেরিকা যে ২০ বছরের অধিক কাল একটা দেশ দখল করে তাদের প্রতি নিয়ত হত্যা ও ধ্বংসে মেতে উঠল এ ব্যাপারেও তথাকথিত মানবতাবাদীরা নিরব।কারন ,তা হলো মুসলিমদের বিরুদ্ধে।

আর তালেবানরা যদি তাদের দেশের স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইসলামের মূল্যবোধের আলোকে দেশ পূর্ণগঠন এবং শোষণমুক্ত আফগান সমাজ গঠন করতে পারে তাহলে কারোর ই আপত্তি থাকার কথা নয়।

তবে ভাই এটাও সঠিক যে,কিছু মানুষের ইসলাম এবং ইসলামের প্রতিক (দাড়ি-টুপি-পাগড়ি) এ এলার্জি আছে তা সে ভালো কিংবা খারাপ যাই হোক না কেন।আর দাড়ি টুপি দেখলেই রাজাকার-কাঠমোল্লা-অশিক্ষিত-গোরা ইত্যাদি নানা বিশষণে ভূষিত করে ।এতে করে সে বা তারা যে কতটা আধুনিক তাই প্রমাণ হয়। কারণ,একজন মুক্তমনা ও আধুনিক মানুষ কখনোই অন্যকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করতে পারেনা।

আর যারা আফগান থেকে পালিয়ে যেতে চাচছে তাদের ব্যাপারে তালেবানরা ইতিমধ্যেই ঘোষনা দিয়েছে সবাইকে ক্ষমা করার এবং দেশ বিনির্মানে তাদের অংশগ্রহণ করতে বলেছে।এর পরেও যারা পালাতে চাচছে তাতে এটা ধারনা করা দোষের নয়,যে দেশের প্রচলিত আইনে তারা দোষী হতে পারে তাদের অতীত কীর্তিকলাপের জন্য ,এজন্যই তারা পালিয়ে বাঁচতে চাচছে।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: তালেবানরা এবার দেশ শাসন করে কতটুকু সফলতা পায় সেটাই দেখার বিষয়। মনে হচ্ছে এবার তারা অনেক উদার ও স্বচ্ছ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই, আপনার আশাবাদী মন্তব্যের জন্য।

মানুষ ভূল থেকে শিক্ষা নেয় এবং অতীতের ভূলই মানুষকে বর্তমানে সর্তক রাখে যা সুন্দর ভবিষ্যত বির্নিমাণে সাহায্য করে।

এবারে এখন পর্যন্ত তালেবানদের কার্যকলাপ দেখে তাদের আগের থেকে অনেক অনেক উদার-স্বচ্ছ ও আন্তরিক বলেই মনে হচছে যারা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাচছে।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আজকে যদি ইহুদীরা কখনও ক্ষমা চেয়ে মুসলিমদের পাশে এসে দাঁড়ায়, তাহলে তাদেরকে যেমন মুসলিম সমাজ সহজে বিশ্বাস করতে চাইবে না তেমনি একটি বর্বর ধর্মান্ধ গোষ্ঠির উপর বিশ্বাস স্থাপনও সহজ নয়। এই সকল মানুষদের কারনে ইসলাম একটি আতংকের ও ঘৃণার ধর্মে পরিনত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। অথচ প্রকৃত ইসলাম কখনই এই সব সমর্থন করে না।

তালেবানরা রিফর্ম করতে চাইছে কারন তালেবানদের সমস্যার কারনে, আফগান সমাজের কারনে না। কারন তালেবানদের সদস্যরা এই ধরনের লিবারেল সমাজ ব্যবস্থা দেখে অভ্যস্ত নয়, তারা জানে না কিভাবে নারীদের সাথে সুস্থ আচরন করতে হয়। - এটা আমার বক্তব্য নয়। এটা তাদের প্রতিনিধির বক্তব্য যা সরাসরি তাঁর মুখ থেকেই শুনেছি।

তবে আফগানরা যদি ইতিবাচক পরিবর্তন চায় তাহলে তাদেরকে তা কাজের মাধ্যমেই প্রমান করতে হবে। ধর্ম প্রান মুসলিম হবার জন্য তালেবানদের বিশ্বাস করা আমার কর্তব্য না, এমনও না যে তালেবানকে সমর্থন না করলে আমার কোন গুনাহ হবে। বাংলাদেশে এক শ্রেনীর মানুষকে দেখছি ইনিয়ে বিনিয়ে তালেবানকে কেন্দ্র করে ইসলামের বিজয় দেখে। উনাদের বিপক্ষে কথা বললেই দুনিয়ার সবাই ইসলাম বিদ্বেষী।

দিন শেষে ঘুরে আপনি আপনার অবস্থানেই রইলেন। আপনিও মনে করলেন, দিন শেষে যারা আফগান ছেড়ে পালাতে চাইছে তারা সবাই রাজাকার। যাইহোক, এটা আপনার নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো আবারো ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি,কেউ যদি তার ভূল বুঝতে পেরে কখনও ক্ষমা চায় বা সংশোধনের সুযোগ চায় তবে তাকে বা তাদেরকে তা দেয়া উচিত ।সেখানে কে কোন ধর্মের বা কোন সমাজের তা বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত নয়।আর দুনিয়ায় প্রচলিত সকল ধর্মেই মানবিকতা ও ক্ষমার কথা বলা হয়েছে।আর ইসলাম কখনো কারো উপর যদিও সে অন্য ধর্মের অনুসারী হয় তারপরেও সহিংসতা সমর্থন করেনা।

আপনার মত আমিও বিশ্বাস করি তালেবানরা যদি সত্যি সত্যি আফগান সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন চায় তবে তাদেরকে তা কাজের মাধ্যমেই প্রমান করতে হবে।আর ধর্মের সাথে তালেবানদের সমর্থন এর কোন ব্যাপার আছে বলে মনে হয়না।তারা যদি ভাল কাজ করে তাহলে সকল আফগান জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই তাদের গ্রহণ করবে ।আর যদি খারাপ করে তাহলে মুসলিমরাই তাদেরকে সবার আগে বর্জন করবে এটা নিশ্চিত।আর তালেবানের বিপক্ষে কথা বললেই দুনিয়ার সবাই ইসলাম বিদ্বেষী এটাও ঠিক না। বাবার সাথে ছেলের,মায়ের সাথে মেয়ের,স্বামীর সাথে স্ত্রীর ও মতের অমিল হয় এবং হতে পারে তাই বলে তারা কেউ কাউকে মানবে না বা মতের অমিলেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে - এমন নয়।সারা দুনিয়ায় নানা মানুষে মত-দলের অমিল আছে বলেই দুনিয়া এত সুন্দর।

আমি এটা মনে করিনা যে ,যারাই দেশ ছেড়ে যেতে চাচছে সবাই দোষী। এদের মাঝে অনেকই আছে চাকুরী-লেখাপড়া-চিকিৎসার জন্যও দেশের বাইরে যায় এবং একটা দেশ থেকে মানুষ বাইরে যাবে এবং বাইরে থেকে মানুষ দেশে ফিরবে,এটি একটা চলমান প্রক্রিয়া । আরেকটি বিষয় যে, জীবনে ভাল কিছু সবাই আশা করে।এখন এই গোলযোগের সময় যদি কেউ ইউরোপ-আমেরিকায় অভিবাসী হতে পারে তাহলে তার জন্য তার পরিবারের জন্য আফগান থেকে উন্নত জীবন যাপন সহজ হবে এ ধারনাতেও অনেকে দেশ ত্যাগে উৎসাহী হতে পারে। আর সর্বোপরী তাদের মাঝে একটা অংশ থাকতেই পারে যারা হয়ত আসলেই দোষী।

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


গরুর রচনা

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

তা ভাই পোস্ট পড়ে বলেছেন এটা গরুর রচনা না অনুমানে বলেছেন। নাকি আপনি চোখ বুজেই বলতে পারেন এবং জানেন যে,গরুর (লেখার বিষয়) বৈশিষ্ঠ্য কি।

ভাই যেহেতু আপনি বাংগালী সেই হেতু আমার মনে হয় আপনি একটি প্রবাদ প্রবচন জানে যে, " মানিকে মানিক চিনে,রতনে রতন - স্বর্ণকারে সোনা চিনে,কামারে চিনে লোহা"।

তার মানে কি বুঝেছেন নিশ্চিয় আপনি? নাকি তাও বুঝিয়ে বলতে হবে?

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৪

এভো বলেছেন: ইস্তেহারের ৬ এবং ৭ নং ধারায় নারী বিষয়ক গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে । ৬/৭ উভয় ক্ষেত্রে বলা হয়েছে - শরিয়া মোতাবেক নীতি গ্রহন করা হয়েছে নারীদের ব্যপারে --- এর অর্থ হোল নারী বিষয়ক পূর্বের নীতিই বহাল আছে, যেটা ছিল শরিয়ার নীতি । শরিয়া অনুযায়ি নারী পড়া লিখা করতে পারবে না , ঘর থেকে একা বের হতে পারবে না । আপাদ মস্তক সব সময়ে ঢাকা থাকতে হবে ।
তালেবানরা তো আগের নীতিরই ঘোষনা দিল আবার ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এভো ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই তারা তাদের ইশতেহারে যা বলেছি তাই আপনি-আমি-দুনিয়ার সবাই দেখেছে। এখন ইসলামী শরীয়তে কোথাও বলা নেই , নারীরা লেখা-পরা করতে পারবে না , ঘর থেকে একা বের হতে পারবে না । ইসলাম নারীকে সব কিছু করার (চাকুরী-ব্যবসা-পড়াশোনা) করার অনুমতিই দিয়েছে শুধু এটা বলেছে , তাকে বাহিরে বের হওয়ার সময় পর্দা করতে ।এখানে পর্দা হলো শালীন -মার্জিত পোশাক পড়া যাতে করে নারীর সম্মান-মর্যাদা রক্ষা হয়।

এখানে আরেকটা বিষয়,নারী স্বাধীনতা তথা পশ্চিমা সংস্কৃতির সাথে ইসলামের কিছুটা ভিন্নতা আছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। যেমন - পশ্চিমা সংস্কৃতিতে নারী যা খুশী তাই পরিধান করতে পারে যেটা ইসলামে সমর্থন করেনা।

আর সর্বোপরী তালেবানরা কতটা পরিবর্তন হয়েছে মানে যুগের সাথে কতটা তাল মিলিয়ে চলতে পারবে বা চলবে এবং তার আসলেকি করবে তা দেখার জন্য আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

সোনালি কাবিন বলেছেন: অন্ধকারকে ব্লগে জায়েজ করতে আপনার প্রচেস্টা প্রতিনিয়তই প্রশংসনীয় ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনালি কাবিন , আপনার ছোট কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

আলো বলে ,অন্ধকার তুই বড় কালো। অন্ধকার বলে , ভাই তাইতো তুমি এত আলো ।

বোন (আমি জানিনা আপনি ভাই নাকি বোন),আলো ও অন্ধকার একে অপরের পরিপূরক এবং এদের অবস্থান ও মূল্য নির্ভর করে অন্যটির উপর।অন্ধকার আছে বলেই আলোর এত কদর বা মূল্য।অন্ধকারের কারনেই আলো উদ্ভাসিত হয় আলোর মহিমা।আলো- আধার মিলেই দুনিয়ার সকল কিছুই আবর্তিত হয় । মানব জীবনে সুখ-দুখ,আলো-আধার ,আনন্দ - বেদনা থাকার জন্যই জীবনের বাস্তব/আসল প্রকৃতি-বৈশিষ্ঠ্য অনুধাবন সহজ হয়।


সৃষ্টি-ধ্বংস বিপরীতধর্মী হলেও একে অপরের পরিপূরক।ধ্বংসের ভয় আছে বলেই মানুষ সৃষ্টিকে সংরক্ষিত করতে চেষ্টা করে , তাকে ভালবাসে। আর ভাল -খারাপের প্রার্থক্য বুঝার জন্য এবং সঠিক পথ গ্রহণ করার জন্য এ দুয়ের সম্পর্কে মানুষের জানা উচিত যাতে করে সে সঠিক পথ বেঁছে নিতে পারে।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

এভো বলেছেন: ইসলাম নারীকে সব কিছু করার (চাকুরী-ব্যবসা-পড়াশোনা) করার অনুমতিই দিয়েছে শুধু এটা বলেছে

হেফাজতের সাবেক আমির তেতুল হুজুর শফি সাহেব বলেছে -- মেয়েদের কেলাশ পাইভ পর্যন্ত পড়তে । শরিয়তের নিয়ম মানলে কোন নারীর পক্ষে শিক্ষা গ্রহন, চাকুরি/ব্যবসা করা সম্ভব নহে । তদের একা একা মেহরাম ছাড়া বাহির হওয়ার উপায় নেই , যে কেউ তার মেহরাম হতে পারবে না । তাই শরিয়ত মোতাবেক টেকনিক্যাললি নারীদের পক্ষে শিক্ষা গ্রহন, চাকুরী করা , ব্যবসা করা সম্ভব নহে কারন এই সমস্ত কাজ করতে হলে মহিলাদের একা একা বের হতে হবে ।

তাকে বাহিরে বের হওয়ার সময় পর্দা করতে ।এখানে পর্দা হলো শালীন -মার্জিত পোশাক পড়া যাতে করে নারীর সম্মান-মর্যাদা রক্ষা হয়।
বাংলাদেশ , ভারত, পাকিস্তান , শ্রীলংকা ইত্যাদি দেশের সাধারন মেয়েরা সব সময়ে শালিন মার্জিত পোষাক পরিধান করে , তবে উচ্চ বিত্তের কেহ কেহ একটু খোলামেলা পোষাক পড়লে ও সেটা নিজেদের সোসাইটির ভিতরে সীমাবদ্ধ, পাবলিক প্লেসে তারা খুব কমই ঐ ধরনের পোষাক পড়ে ।
শুধু তালেবান নহে , যে কোন ইসলামিস্টের কাছে বোরকা নিকাব ছাড়া যে কোন পোষাক ই অশালিন পোষাক । এই সব লোকদের কাছে শাড়ী শেলোয়ার কামিজ হোল বিকিনির মত অশালিন পোষাক ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ এভো ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

একজন মানুষ যখন মরে যায় বা তার মৃত্যু হয় তারপরে সে সকল কিছুর বাইরে চলে যায়।আর শফি হুজুর আসলে কি বলেছে বা বলতে চেয়েছে তা সবাই জানে।এখন আমরা উনাকে ছেড়ে দিতে পারি। আর উনি উনার কাজের জন্য জবাবদিহী করবে
সৃষ্টিকর্তার নিকট,আপনি বা আমি নই।

আর পোশাকের ব্যাপারে কি বলব বলেন।আপনি আমি নীতি-নির্ধারক নই। কাজেই আমরা কোন কিছুই করতে পারব না । তবে যদি কেউ মুসলিম হয় তাহলে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আছে তার জন্য । এখন কোনটা শালীন আর কোনটা আশালীন এ ব্যাপারে ধর্মের যেমন নির্দেশ আছে ঠিক পরিবারের বড় (বাবা-মায়ের) দের ও ভূমিকা আছে।

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: ইশতেহার দেখেতো বেশ ভালই মনে হচ্ছে- ওই পোড়ার দেশে অবশেষে শান্তি আসলে হয়!!

আপনার এনালাইসিস বেশ উপভোগ্য ছিল। ধন্যবাদ বিস্তারিত জানানোর জন্য ভাই।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই, আপনার আশাবাদী মন্তব্যের জন্য।

আসলেই ভাই,এই এক আফগান শতাব্দীর পর শতাব্দী ব্রিটিশ-রাশিয়া-আমেরিকা তথা সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা নির্যাতিত এবং
গৃহযুদ্ধে জর্জরিত।সর্বশেষ আমরিকা ২০ বছর চেষ্টা করেছে আফগান পরিস্থিতি পরিবর্তনের ।এখন তালেবানরা চেষ্টা করবে - দেখা যাক আফগান জাতির ভাগ্য কতটা পরিবর্তন করতে পারে তারা।

আপনার কাছে লেখা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল এবং শুকরিয়া ভাই।

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৫

নিমো বলেছেন: তা, ভাইজান কি তালেবানদের বাংলাদেশী মুখপাত্র ? আমিতো মনে করি আপনাদের মত ছুপা তালেবান বন্দনাকারীদের নাম-ধাম অতি দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠানো ব্লগ কর্তপক্ষের জরুরী দায়িত্ব। ঠিক মত রামপ্যাঁদানি খেলে পেট্রোডলারের ধর্মের ফেরিওয়ালা আর ছুপা তালেবান বন্দনাকরীদের হাত থেকে ব্লগটা নিস্তার পেত।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নিমো , আপনার মন্তব্যের জন্য।

না ভাইজান আমি খুব সাধারন একজন মানুষ এবং কামলা ,যে শুধু দুই বেলা খাবার যোগারের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে চলছে। আর তার সাথে চেষ্টা করি কিছু জানার-বুঝার জন্য।আর সেই জানার-বুঝার জন্য আপনাদের এই জ্ঞানীদের মিলনমেলায় (ব্লগে) আমার মত সাধারন মানুষের আগমন যাতে করে আপনাদের মত আধুনিক ও জ্ঞেনীদের থেকে দেখে কিছু শিখতে পারি।

এখন এই শিখার মত জায়গায় আপনি হয়ত খুব মেধাবী আর আমি হয়ত কম মেধাবী ,তার জন্যই আপনাদের সাথে থাকা যাতে কিছু শিখা যায়।এখন আপনি যদি এভাবে আদর-সমাদরের লোভ (ভয়) দেখান তাহলে কোথায় যাব ভাই বলেন?

কারোর সাথে মতের-মনের অমিল হলেই যে তাকে আপনি আক্রমণ করবেন,ভয় দেখাবেন একি আপনার আধুনিকতা সমর্থন করে? চলার পথে আমরা কেউ আশা করতে পারিনা যে, সব আমার মনের মত হবে।

আর তুলনামূলক তুলনামূলক অধ্যয়ন (আলোচনা) বলে একটা বিষয় আছে,যেখানে দুইটা বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা যাতে দুটা বিষয়ের/জিনিষের মাঝের মিল-অমিল,সুবিধা-অসুবিধা জানার পরে যার যেটা ভাল লাগে তা গ্রহণ এবং যেটা খারাপ লাগে তা বর্জন করতে পারে।আমি যা কিছু লিখেছি তার পুরোটাই ঘটনার ধারাবাহিকতা বা যা ঘটেছে এবং যা তাদের বয়ানে এসেছে তাই। এখন আপনার নিকট আমার প্রশ্ন, পুরো পোস্টের কোন বিষয়ের সাথে আপনি একমত নন এবং কেন এবং কিসের জন্য আপনার মনে হল যে - আমি তালেবানদের বাংলাদেশী মুখপাত্র ?

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৬

পাঠক০০৭ বলেছেন: আপনার কমেন্টগুলো খুবই ইন্টারেস্টিং ধরি মাছ না ছুই টাইপের, কথ্য ভাষায় বলে - পিছলা টাইপের। এই ধরনের জবাব তখনই দেয়া হয় যখন কারো কথার টু দ্য পয়েন্ট জবাব দেয়ার সৎ সাহস থাকে না। আপনি মুসলিম প্রেক্ষাপট থেকে নয় বরং ইসলামিস্ট মৌলবাদ (এখানে মৌলবাদ বলতে কোন জঙ্গীবাদকে বুঝানো হয় নি) এর পয়েন্ট অব ভিউ থেকে তালেবানকে সমর্থন করেন - অন্তত এইটুকু স্বীকার করতে লজ্জা কোথায়? ইসলাম প্রচার ও প্রসারে এইটুকু লজ্জা কি আপনার মেনে নেয়া উচিত নয় কি?

সবচেয়ে বিরক্তিকর লেগেছে শফী শাহেব কে নিয়ে আপনার উত্তর। আপনি বলেছেন, শফি হুজুর আসলে কি বলেছে বা বলতে চেয়েছে তা সবাই জানে। কেন ভাই শফী সাহেবের কথা কি কোরানের আয়াত নাকি যে অনেক সময় সেটার সরল অর্থ হবে না, তাফসীর করে বুঝতে হবে?

এই দেশে কোন শালার হুজুরের সেই হ্যাডম নাই যে বলবে - হ্যাঁ শফী সাব যা বলেছেন সেটা ইসলামের আলোকে ভুল বলেছেন।

এই হ্যাডম নাই কেন? কারন এই দেশে ইসলামের মানদন্ড কোরান হাদীস না এখানে ইসলামের মানদন্ড বিভিন্ন আলেম ও জালেমের কথাবার্তা। এই দেশে আলেমরাই ইসলাম।

এই দেশে নিজ গোত্রের কেউ ভুল কিছু করলে, তার দোষ ঢাকতে নানা রকম অযুহাত, কোরানের আয়াত, হাদীস ইত্যাদির অপব্যাখ্যা দেয়া হয়। সবাই শুধু মমিনুল হুজুরের দোষ দেয়, এই দেশে এমন হাজার মুমিনুল আছে, তার পক্ষে সাফাই গাইবার, ধর্মের ব্যাখ্যা, হাদীস কিতাব ফেকাহ দেখাবারও লোক আছে। নাই শুধু অন্যায়কে অন্যায় বলার লোক।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠক০০৭ ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

১। আপনি বলেছেন - আপনার কমেন্টগুলো খুবই ইন্টারেস্টিং ধরি মাছ না ছুই টাইপের, কথ্য ভাষায় বলে - পিছলা টাইপের। এই ধরনের জবাব তখনই দেয়া হয় যখন কারো কথার টু দ্য পয়েন্ট জবাব দেয়ার সৎ সাহস থাকে না। আপনি মুসলিম প্রেক্ষাপট থেকে নয় বরং ইসলামিস্ট মৌলবাদ (এখানে মৌলবাদ বলতে কোন জঙ্গীবাদকে বুঝানো হয় নি) এর পয়েন্ট অব ভিউ থেকে তালেবানকে সমর্থন করেন - অন্তত এইটুকু স্বীকার করতে লজ্জা কোথায়? ইসলাম প্রচার ও প্রসারে এইটুকু লজ্জা কি আপনার মেনে নেয়া উচিত নয় কি?

- - ভাইজান আমি খুব সাধারন একজন মানুষ এবং কামলা কোন ধর্ম প্রচারক বা মতবাদের প্রবক্তা নই ।আবার আমি মুসলিম কি অমুসলিম এভাবেও ভেবে দেখে এই পোস্ট লিখিনি।শুধু ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরেছি যেখানে আমার কোন নিজস্ব মতবাদ নেই বা আমি কোন ফতোয়াও দেইনি আর না আমি তালেবানের পক্ষে না আমেরিকার বিপক্ষে।আমি পড়তে-জানতে ভালবাসি।সেই জানা এবং পড়ার জন্যই এ পোস্ট এবং পুরো পোস্টে ইসলামের প্রচার কিংবা প্রসারের ব্যাপারে বা ইসলাম সম্পর্কে একটি কথাও লিখেছি বলে মনে হয়না।

২। সবচেয়ে বিরক্তিকর লেগেছে শফী শাহেব কে নিয়ে আপনার উত্তর। আপনি বলেছেন, শফি হুজুর আসলে কি বলেছে বা বলতে চেয়েছে তা সবাই জানে। কেন ভাই শফী সাহেবের কথা কি কোরানের আয়াত নাকি যে অনেক সময় সেটার সরল অর্থ হবে না, তাফসীর করে বুঝতে হবে?এই দেশে কোন শালার হুজুরের সেই হ্যাডম নাই যে বলবে - হ্যাঁ শফী সাব যা বলেছেন সেটা ইসলামের আলোকে ভুল বলেছেন।এই হ্যাডম নাই কেন? কারন এই দেশে ইসলামের মানদন্ড কোরান হাদীস না এখানে ইসলামের মানদন্ড বিভিন্ন আলেম ও জালেমের কথাবার্তা। এই দেশে আলেমরাই ইসলাম।

-- ভাই ,শফি হুজুরের ব্যাপারে বলতে চেয়েছি, যখন যে মানুষ মারা যায় তখন তার সাথে দুনিয়ার সকল সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় ।তারপর তার জন্য আরেক জীবন শুরু হয় যেখানে সে তার কাজের জন্য জবাবদিহী করবে অন্যকেউ নয় । আর ইসলামে বলা আছে, মৃত মানুষের দোষ-ত্রুটি নিয়া আলোচনা না করা।কারন,আজ আমি-আপনি জীবিত কাল নাও থাকতে পারি ।আর জীবিত থাকা কালে আমি-আপনি মৃতের সাথে যে আচরন করব আপনি-আমি মরার পর বাকীরাও সেই আচরনই করবে আমাদের সাথে।

৩। আপনি বলেছেন - এই দেশে নিজ গোত্রের কেউ ভুল কিছু করলে, তার দোষ ঢাকতে নানা রকম অযুহাত, কোরানের আয়াত, হাদীস ইত্যাদির অপব্যাখ্যা দেয়া হয়। সবাই শুধু মমিনুল হুজুরের দোষ দেয়, এই দেশে এমন হাজার মুমিনুল আছে, তার পক্ষে সাফাই গাইবার, ধর্মের ব্যাখ্যা, হাদীস কিতাব ফেকাহ দেখাবারও লোক আছে। নাই শুধু অন্যায়কে অন্যায় বলার লোক।

-- ভাই, ন্যায় চিরকালই ন্যায় আর অন্যায় চিরকালই অন্যায় । তবে ন্যায়-অন্যায়ের ধারনা, ঘটনা-স্থান-কাল-পাত্র ভেদে ভিন্ন-
ভিন্ন হয়ে থাকে।যেমন - আমাদের সমাজে এমন অনেক বিষয় আছে যা অন্যায় হিসেবে বিবেচিত (ছেলে-মেয়ে যত বড়ই হোক না কেনা বাবা-মা তাদের জীবনযাপন নিয়ন্ত্রন করে বা করতে চায় / বাবা-মায়ের কথা না শুনা আমাদের সমাজে অপরাধ) যেগুলি পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে অন্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়না (বরং বাবা-মা যদি ছেলে-মেয়ের জীবনকে নিয়ন্ত্রন করতে চায় সেটাই সেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতা লংঘনের দায়ে দোষী হয়)।আবার দেখা যায়, একই বিষয়ে যখন জুরী বোর্ড কোন মানুষের বিচার করে (একাধিক বিচারক ) তখন কোন কোন বিচারকের চোখে সে হয়ত দোষী হয় আবার কারো চোখে সে নির্দোষ।তার মানে এই না যে,বিচারকরা ভূল আর বিচারপ্রার্থী নির্দোষ,তবে ঘটনার ব্যাপারে ভিন্ন-ভিন্ন দৃষ্টিভংগির কারনে এমনটা হয়ে থাকে এবং তখন সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে রায় কার্যকর হয়।কাজেই,আমরা শুধু দেখতে-শুনতে ও বলতে পারব তবে কাউকে শতভাগ সঠিক বিচার করতে পারবনা তবে আমাদের বিবেক-বুদ্ধি খাটিয়ে আমাদের সীমার মাঝে থেকে ভালোটা গ্রহন করতে চেষ্টা করতে পারি আর খারাপ বর্জন করতে পারি - আমাদের দায়িত্ব এতটুকুই কারন , আমাদের না আছে কাউকে বিচার করার ক্ষমতা না আমরা নীতি নির্ধারক এবং না আমরা মতবাদ প্রচারক - আমরা আম আদমি (সাধারন জনগন )।

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিবিরের ইস্তেহার এর চেয়ে ভালো; গণহত্যা ও রগকাটার কথা কোথায়ও নেই।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

তাহলে আপনি দুনিয়ায় একজন হলেও খুজে পেয়েছেন যাদের থেকে তালেবানরা ভাল।

যদি মনোযোগ দিয়ে খুঁজেন ,তাহলে আমার মনে হয় আরো অনেককেই পাবেনা যাদের থেকে তালেবানরা ভালো। খুঁজতে থাকুন , খুঁজতে থাকুন।

১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পোষ্ট পড়ে বুঝলাম তালেবান নিয়ে ভালো পড়াশোনা করেছেন। কিছু পক্ষে কিছু বিপক্ষে বগ্লে তালেবান নিয়ে পড়ে আছে অথচ দেশের সমস্যার শেষ নাই।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনি বলেছেন - পোষ্ট পড়ে বুঝলাম তালেবান নিয়ে ভালো পড়াশোনা করেছেন। কিছু পক্ষে কিছু বিপক্ষে বগ্লে তালেবান নিয়ে পড়ে আছে অথচ দেশের সমস্যার শেষ নাই।

- ভাই, আমার জীবনে একটাই বদ নেশা সেটা হল পড়া (যা পাই তাই পড়ি এবং একই বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন জনের লেখা - মত ও জানতে চেষ্টা করি)।আর বর্তমানে যেহেতু সারা দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত বিষয় তালেবা,তাই তাদের সম্পর্কিত বেশীরভাগ গণমাধ্যম (টিভি/সংবাদপত্রে ) এ থাকে। আর সেগুলি থেকেই কিছু জানার বুঝার চেষ্টা করি,এতটুকুই ভাই,

আর দেশের সমস্যার ব্যাপারে আমজনতার কি বলার আছে বলেন।সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তপক্ষ আছে ,তারাই সমাধান করবে।আর আমরা (আমজনতা) না নীতিনির্ধারক না দায়িত্বশীল ব্যক্তি।আমরা হয়ত নিজেদের মাঝে কিছুটা আলোচনা করতে পারি তবে কিছু পরিবর্তনের ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই।

১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫০

পুকু বলেছেন: ধীরে বন্ধু ধীরে ।বেশী আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই।তালেবানরা ধীরে ধীরে নিজের আসল চেহারায় ফিরছে।অপেক্ষা করুন একটু।আর একটি সিরিয়া বা ইরাক হতে যাচ্ছে।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ পুকু ভাই, পোস্ট পড়া এবং আমার ব্লগে আপনার প্রথম মন্তব্যের জন্য।

আপনি বলেছেন - ধীরে বন্ধু ধীরে ।বেশী আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই।তালেবানরা ধীরে ধীরে নিজের আসল চেহারায় ফিরছে।অপেক্ষা করুন একটু।আর একটি সিরিয়া বা ইরাক হতে যাচ্ছে।

- ভাই , মানুষের জীবনে সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । আমরিকার সাফল্য-ব্যর্থতা দেখার জন্য বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০ বছর। ঠিক এভাবেই তালেবানদের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা যাই হোক না কেন বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হবে কিছুদিন (বছর)।তবে আমরা এতটুকু বলতে পারি যে,যদি তারা তাদের দেশকে এবং দেশের মানুষের কল্যাণে ভাল কিছু করতে পারে তাহলে ইতিহাস তাদেরকে সফলভাবে মূল্যায়ণ করবে আর যদি তা না করতে পারে তবে তারাও ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে আগেরবারের মত।

কারন,মানুষ শুধু সফলদেরই মনে রাখে এবং সফলতা ভালবাসে ব্যর্থতা বা ব্যর্থদের নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.