নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পর্কের পরিচর্যা - ৩ (শেষ পর্ব)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

উৎসর্গ এবং গল্প লেখার ধারনা - কঙ্কাবতী রাজকন্যা'কে এবং তার লেখা 'যুঁথি' ধারাবাহিক থেকে ।


ছবি - dreamstime.com

প্রথম পর্বের লিংক - Click This Link
দ্বিতীয় পর্বের লিংক - Click This Link

শেষ পর্ব -

ফলাফল -

এখন উভয়েই সারাদিন অপেক্ষা করে তাদের কাংখিত একটা ঘন্টার জন্য। এভাবে দেখতে দেখতে পনের দিন চলে গেল। পনের দিন শেষে সাগর রুমে গিয়ে মুভি বের করে নদীকে ডাকলে মা বলে উঠলো , " তোমাদের পনের দিন শেষ। এখন আর শাস্তি ভোগ করার দরকার নেই ।

সাগর অবাক হয়ে মাকে জিজ্ঞাসা করে - শাস্তি ?

মা বললেন, " হ্যা - তোমাদেরতো আমরা এক ঘন্টা একসাথে থাকার জন্য শাস্তিই দিয়েছিলাম "।

সাগর কিছুটা অবাক হয়ে বলে উঠলো, " কিন্তু মা - তুমিতো একমাস থাকার কথা বলেছিলে "?

মা বললেন, " বলেছিলাম,তবে এখন তোমাদের শাস্তি কমিয়ে দিলাম। আমরা ভাবলাম তোমাদের উপর আমরা মা-বাবা অনেক অত্যাচার করে ফেলেছি। শুধু শুধু তোমাদের উপর আমরা একটা বিষয় চাপিয়ে দিয়েছি ছেলেমানুষী করে। আগামী কাল তোমরা উভয়ে গিয়ে ডিভোর্স ফাইল করতে পারো "।

সাগর-নদী একে অন্যের দিকে অবাক ও ব্যাথাতুর চোখে তাকিয়ে রইলো। তারা উভয়েই যেন ভূলেই গিয়েছিল যে,তারা কেন এবং কি জন্য এইটা শুরু করেছিল। মা তারপর বলে উঠলেন, " আজ আর তোমাদের যাওয়া লাগবেনা ঐ রুমে। যাও বৌমা,আমার জন্য একটা ডিম ভাজি করে নিয়ে আস। দুপুরে তরকারীর মাঝে লবণ বেশী দিয়েছিলে, আমি খেতে পারিনি। ইদানিং আমি দেখছি তোমার কোন কাজে বা রান্নায় মনোযোগ নেই" ।

নদী উঠে যেতে চাইলেই সাগর নদীর হাত ধরে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে, " মা, তুমি কিন্তু এক মাসের কথা বলেছিলে আর এখন নদী পাকঘরে যাবেনা - আমার সাথে রুমে যাবে"।

সাগর নদীকে টেনে রুমে নিয়ে যখন দরজা বন্ধ করে দেয় তখন নদীর নতুন বউয়ের মত লজ্জা লাগছিল। বিয়ের পরপর নতুন বউকে জামাই রুমে ডাকলে যেরকম লজ্জা অনুভূত হয় ঠিক সেরকমই নদীর মনে হচছিল।

নদী হাসি চেপে রেখে রাগী রাগী মুখ করে সাগরকে বলল, " এইটা তুমি কি করলা " ?
সাগর বললো, " কি করলাম মানে ? তোমাকে নিয়ে মুভি দেখব তাই তোমাকে নিয়ে আসলাম "।
"তাই বলে এভাবে মায়ের সামনে থেকে, তোমার লজ্জা নেই এতটুকুও " ? - নদী বললো।

" তো কিভাবে আনব আর নিজের বউয়ের কাছে কিসের লজ্জা ? পরে আবার কি ভেবে মন খারাপ করে সাগর বললো, আচছা ঠিক আছে,যদি তোমার মুভি দেখার ইচছা না থাকে তবে তুমি যাও " ।
নদী হাসি চেপে রেখে দরজার দিকে এগিয়ে যেতেই সাগর বলে উঠে - " খবরদার নদী , রুম থেকে বের হবেনা তুমি"।

নদী হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে বিছানায়। সাগর বোকার মত চেয়ে থাকে নদীর দিকে এবং বুঝতে চেষ্টা করে নদীর হাসার কারণ।

পরের দিন বাবা একটা ফর্ম এনে বলল, " এই নেও - আজ একটা কাজে কোর্টে গিয়েছিলাম তাই ফর্মটা নিয়ে আসলাম। তোমরা উভয়ে এটা পূরণ করে আগামীকাল কোর্টে জমা দিয়ে এসো "।


সাগর-নদী দুজনেই অবাক হয়ে দেখল এটি একটি তালাক নামার ফর্ম । সাগর গভীর দুঃখের সাথে নদীর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো, যেন দেখতে চাচছে নদী কি বলে বা নদীর প্রতিক্রিয়া কি। দুজনেই চুপ করে আছে এবং কিছু বলছেনা দেখে বাবা বলে উঠলো," কি ব্যাপার , কোন সমস্যা তোমাদের"?

সাগর-নদী একসংগেই বলে উঠলো, " আমার তালাক চাইনা বাবা "।
তাদের এ কথায় বাবা-মা দুজনেই চোখাচোখি হলো এবং বেশ রাগীভাবে বাবা বলে উঠলো, " তোমরা নিজেরাইতো কিছুদিন আগে তালাক চেয়েছিলে এখন আবার উল্টে যাচছো কেন "? তোমরা কি ফাজলামি করছ আমাদের সাথে ?

সাগর-নদী একে অপরের দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে থাকে, কোন কথা খুজে পাচছেনা বলার মত বাবাকে। তখন নদীর কেমন যেন এক অনুভুতি হচছিল যেখানে কোন কিশোরীকে তার মা-বাবা তার ভালবাসাকে ভূলে যেতে বলছে। নদীর ভীষণ মন খারাপ হতে লাগল , কেমন যেন বুকটা ফেটে যেতে চাচছে না বলা কষ্টে। মনে হচছে কিছু বলতে গেলে এখন সে বলতে পারবেনা কেঁদে ফেলবে। এদিকে সাগরেরও একই রকম অবস্থা । কিছুই বলতে পারছেনা , বুক ভেংগে যাচছে না বলা কষ্টে আর তাকিয়ে আছে বাবা-মায়ের দিকে করুণ চোখে।

বাবা-মা আর কিছু বলল না । ফর্মটা হাতে নিয়ে বলল, " আচছা ঠিক আছে, এখনি কিছু বলতে হবেনা। আরও দু-চার দিন সময় নাও তোমরা। এরপর ভেবেচিন্তে তোমরা পূরণ করো "।

নদীর দাড়িয়ে থাকতেই কষ্ট হচছিল ,তার মনে হচছে সে যে কোন সময় পড়ে যাবে দাড়ানো থেকে । তারপরেও যখন পা টেনে ধীরে ধীরে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে লাগল তখন সাগর বলে উঠে , " আমার তালাক চাইনা বাবা " । তারপর নদীর দিকে তাকিয়ে নদী তখনো চুপ করে আছে দেখে এগিয়ে এসে বলে, " নদী, তুমি কি এখনো তালাক চাও "?

নদীর মুখ দিয়ে কোন শব্দই বের হচছিলনা । মুখ তোলে সাগরের দিকে তাকাতেই সাগর দেখতে পেল চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে নদীর। সাগর কোন কথা না বলে বাবা-মায়ের সামনেই নদীকে গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরল এবং আবেগে কপোলে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে রাখল দীর্ঘ সময়। এদিকে নদী শুধু হেচকি দিয়ে দিয়ে কেঁদেই যাচছে না বলা ভাললাগায় এবং নতুন করে আপনজনকে পাওয়ার আনন্দে। সাগর আরো জোরে জড়িয়ে ধরে নদীকে। নদীর মনে হতে থাকে, " এই মানুষটাকে ছাড়া আমি একমুহূর্তও থাকতে পারবোনা"।

নদী ধীরে ধীরে সাগরের বাহুবন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নত মাথায় বাবা-মায়ের সামনে দাড়িয়ে বলে, " আমার তালাক চাইনা বাবা, আমরা এখন ঠিক আছি "।

মা বলে উঠলো, " এত দ্রুত কিভাবে তোমাদের সব কিছু ঠিক হয়ে গেল? মাত্র পনের দিন আগেই তোমরা একে অন্যের থেকে তালাক চেয়েছিলে,তা কি তোমরা ভূলে গেছ ? পনের দিন আগেও তোমরা একে অন্যকে এক মুহূর্তের জন্যও সহ্য করতে পারতেনা "।

সাগর-নদী উভয়েই মাথা ঝাকিয়ে নতমুখে বলে উঠে, " আমি জানিনা " ।

তাদের কথা শুনে বাবা-মা উভয়েই উচচস্বরে হেসে উঠে। সাগর-নদী উভয়েই বোকা চোখে মা-বাবার দিকে তাকিয়ে বলে , " তোমাদের কি হয়েছে"?

মা হাসতে হাসতে বলে, " আমরাও একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, একসাথে আর থাকবো না এবার আমরা তালাক নিবো। তখন আমার শ্বশুর-শ্বাশুরী ( সাগরের দাদা-দাদী )ও ঠিক এভাবেই আমাদের একমাস এক ঘন্টা এক সাথে থাকার শাস্তি দিয়েছিল। অবশ্য আমাদের মাঝে এক সপ্তাহের মাঝেই সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল । এই এক সপ্তাহেই আমরা বোঝে গিয়েছিলাম এক জনকে ছাড়া অন্যের চলবেনা এবং আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে থাকতে পারবোনা" ।

নদী কেঁদে-কেটে বসে পড়তেই মা বলে, " বৌমা সবাই বলে, মা হওয়া অনেক কঠিন জিনিষ । মা হতে গেলে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়। এটা আসলে একটা ভূল কথা। এই কথার মাধ্যমে আমাদের সমাজে মেয়েদের উপর একটা বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েরা এটা শুনেই বড় হয় যে,মেয়েদের/মায়েদের সন্তানের জন্য সব করতে হয়। তাই যখন একটা সন্তানের জন্ম হয় তখন মেয়েরা সব কিছু ভূলে তার সব ধ্যান-জ্ঞান সন্তানের পিছে ব্যয় করে। এতে তার তেমন কোন দোষও থাকেনা। আর এসব করতে গিয়ে সেই মানুষটা থেকেই মেয়েরা নিজেদের অজান্তে বহূদুরে চলে যায় যে মানুষটাকে সবসময় সবচেয়ে বেশী কাছে রাখার দরকার ছিল। যখন একটু তাকানোর সময় হয় বা পরিবর্তীত সম্পর্কের বাস্তবতা উপলব্ধি করার সুযোগ হয় তখন আর কোন ভাবেই ফিরে যাওয়ার পথ থাকেনা তার মনের মাঝে। জীবনের নানা জটিলতা ও ব্যস্ততার জঞ্জাল দিয়ে সেই পথ আমরাই ভরাট করে ফেলি নিজেদের অজান্তে যেখানে আর উভয়ের কারোরই একটু দাড়ানো,হেটে বেড়ানো কিংবা নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ থাকেনা । কেউ আর কাউকে বুঝতে চায়না ও বুঝতেও পারেনা। নিজেরা নিজেরা ভাবে ,সে এখন আর আমাকে ভালবাসেনা ,এই ভেবে নিজে নিজে কষ্ট পায় কিন্তু কেউ আর এগিয়ে আসেনা অন্যের মান-অভিমান ভাংগাতে কিংবা সম্পর্কের পরিচর্যায়। উভয়েই ভাবে সম্পর্কের দায় শুধু তার একার নয় অপরেরও। কেউ আর কারো আবেগ-অনুভূতিকে না করে কেয়ার না করে সম্মান। আর এই মান-অভিমান থেকে রাগারাগি-জগড়া , তারপর ভূল বোঝাবুঝি থেকে তিক্ততা এবং সব শেষে সবকিছুর অবসানের জন্য তালাক নামক বেদনাদায়ক পরিস্থিতীর মুখোমুখী। আর তালাকের মাধ্যমেই যে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে এমনও নয়, তারপরেও তার মাঝেই মুক্তি খোজে উভয়েই"।


মা একটু থেমে আবার বলতে লাগলেন, " অথচ শত ব্যস্ততার মাঝেও দিনের কিছুটা সময়ও যদি তোমরা একে অপরকে দিতে তবে তোমাদের জীবনে এরকম বেদনাদায়ক পরিস্থিতীর মুখোমুখি হতে হতনা । শুধু একটু সময়, একান্ত ব্যক্তিগতভাবে একটু সময় । একে অপরকে দেখে একটু হাসা,একটু জড়িয়ে ধরা, হঠাত করে একটা চুমো দেওয়া কিংবা সময়ে অসময়ে ফোন করে খোজ নেওয়া , উভয়ে উভয়ের পছন্দ-অপছন্দের দিকে নজর রাখা এবং পছন্দের কাজ গুলি করে মাঝে মাঝে চমকে দেওয়া - এসব ছোটখাট কাজ যা তোমাদের উভয়কে নিজেদের ভাগ্যনবান হিসাবে ভাবতে বাধ্য করত এবং উভয়েই উভয়ের জন্য গর্বিত বোধ করতে। অথচ একসাথে একঘরে তোমরা ১০ বছর থেকেছ ,এভাবে না তোমরা চিন্তা করেছ না সেভাবে সময় কাটিয়েছ। আর সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার, তোমরা একঘরে, এক বিছানায় থেকেছ ঠিকই কিন্তু তোমরা কেউ কাউকে এক ঘন্টা সময়ও দেওনি । শারিরীক ভাবে এক ঘরে এক বিছানায় থেকেও মনের দিক থেকে তোমরা ছিলে শত মাইল দূরে"।

মা গ্লাস থেকে পানি খেয়ে আবার বলতে লাগলেন, " স্বামী-স্ত্রী'র জীবনে বা পরিবারে সন্তান অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে সেই সন্তানকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে যেই সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে পরিবার- সন্তান, সেই সম্পর্কই যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে কিভাবে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা করবে তোমরা? যেই পরিবার-সন্তান করে নিজেদের সব শেষ করছ একটা সময় এসে তোমরা দেখলে তোমাদের উভয়ের মাঝেই আর বলার মত কোন কিছু বাকী নেই । সাগর ব্যস্ত তার অফিস কাজ নিয়ে আর বৌমা তুমি ব্যস্ত তোমার সংসার সন্তানকে নিয়ে কিন্তু তোমাদের দিন শেষে বা শেষ বয়সে এসে তোমাদের একে অন্যের সাথেই থাকতে হচছে এবং হবে। ছেলে-মেয়ে-পরিবারকে সময় দিতে গিয়ে তোমরা নিজেদেরকে এক ঘন্টা সময়ও না দিয়ে কি অর্জন করছে ? নিজেদের মাঝে ভূল বোঝাবুঝি ও তিক্ততা। এক ঘন্টা সময়ে এমন না যে তোমরা সন্তানদেরকে মানুষ করে ফেলছ বা পরিবারে জন্য অনেক কিছু করে ফেলছ । আবার তোমরা যদি এক ঘন্টা সময় নিজেদেরকে দিতে তার জন্য কারো কাছে তোমাদের কোন জবাবদিহীও করতে হতনা অথচ তোমাদের সম্পর্কটা ভালো থাকত । আর তোমাদের সম্পর্ক ভালো থাকলে পরিবার-সন্তান উভয়ের জন্যই লাভ " ।

সাগর কাঁদতে কাঁদতে নদীর হাত চেপে ধরে। মা আবার বলে উঠে, "যে কোন সম্পর্কই একটা চারা গাছের মতো যাকে যত্ন ও পরিচর্যা করতে হয়। তাতে দিতে হয় সার-পানি।আর যখন গাছের শিকড় গেড়ে উঠে তখনও প্রতিদিন পানি না দিতে হলেও মাঝে মাঝে ঠিকই পানি দিতে হয় । দিতে হয় সার ,কীটনাশক - পরিষ্কার করতে হয় তার গোড়া থেকে আগাছা, তবেই একটা গাছ ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। কিন্তু ছোট থাকতে সার-পানি না দিলে যেমন মরে যেত তেমনি বড় হলে সার-পানি দিলে হয়ত তাড়াতারি মরবেনা তবে ভালোভাবে বেঁচেও থাকবেনা এবং একসময় মারা যাবে। ঠিক তেমনি , বিয়ের আগে বা বিয়ের কিছুদিন পর পর্যন্ত ছেলে-মেয়ে উভয়েই নিজেদের সম্পর্কের খুব যত্ন ও পরিচর্যা করার কারনে উভয়ের মাঝে সম্পর্কটা খুব ভাল ও মধুর থাকে । তারপর ধীরে ধীরে বিয়ের পর সব ভূলে যায় । নিজেদের মাঝে কেয়ার বা ভালবাসা বলে কোন কিছুই আর থাকেনা বা থাকাটা যে জরুরী তাই ভূলে যায়। যে কোন সম্পর্কই আপনা আপনি চলেনা। একে যত্ন ও পরিচর্যা করতে হয় তবেই সম্পর্ক রক্ষা হয় নতুবা এভাবেই হয় শত শত সম্পর্কের অপমৃত্যু। কাজেই এখন তোমরা ভেবে দেখ তোমরা উভয়ে গত দশ বছর কি করেছ এবং বাকী জীবন কি করবে"?

সাগর-নদী উভয়েই মা বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো শিশুর মত । আর বাবা-মায়ের কান্না শুনে দুই সন্তানও গুটি গুটি পায়ে বেরিয়ে আসল রুম থেকে এবং অবাক বিস্ময়ে দেখতে লাগল তাদের বাবা-মাকে।

তারপর ?

তারপর,দেখতে দেখতে পঁচিশ বছর পার হয়ে গেল সাগর-নদীর বৈবাহিক জীবন। এর মাঝে বাবা-মাও চিরদিনের মত ছেড়ে গেছে তাদের এবং দুই সন্তানও বড় হয়ে গেছে। সংসারের জটিলতা ও ব্যস্ততায় নিজেদের মাঝে ছোট-খাট কিছু ঝামেলা হয়নি এমন নয় তবে উভয়ে উভয়ের সাথে শেয়ার-কেয়ারের মাঝে পার করে এসেছে সেই সব ঝামেলা।

এর মাঝে তাদের মেয়ে মোহনার বিয়ে হলো। ছেলেও বিয়ে করল। ছেলের বিয়ের পাঁচ বছর পর একদিন ছেলে-ছেলের বৌ এসে বলল, ওরা তালাক চায় একে অন্যের কাছ থেকে, কারন একসাথে থাকা আর কারো পক্ষেই সম্ভব না।

ছেলে-ছেলের বৌয়ের কথা শুনে সাগর-নদী তাকায় একে অপরের দিকে ও মুচকি হাসে এবং মনে মনে বলে ,এখন আমরা জানি কিভাবে সম্পর্কের পরিচর্যা করতে হয় বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হয় । তারপর সাগর গম্ভীর গলায় বলে উঠলো, " ঠিক আছে , তোমরা তালাক নিবে তবে আমাদের একটা শর্ত আছে"।

" কি শর্ত "? - প্রশ্ন করে ছেলে-ছেলের বৌ।

সাগর বলে, " তোমাদের উভয়কে এক মাস এক ঘন্টা করে এক রুমে থাকতে হবে । আর এই শর্ত মানলেই এক মাস পর আমরা তোমাদের তালাকের সিদ্ধান্ত মেনে নিব :(( ;) "।

================================================================
পুনশ্চ / পরিশিষ্ঠ -

যদিও এটা গল্প তবে তা আমাদের জীবনেরই বাস্তবতা । একটি পরিবার-সংসার গড়ে উঠে স্বামী- স্ত্রী মিলে এবং তাদের ভালবাসায় । কিন্তু সংসার জীবনের জটিলতায় এবং সম্পর্কের টানা-পোড়নে সেই সংসার ভেংগে যায় তাসের ঘরের মত । জীবনের জটিলতায় সময়ের সাথে সাথে উভয়ের প্রতি উভয়ের অনুরাগের পরিবর্তে জন্ম নেয় ঘৃণা বা সম্পর্কে আসে শীতলতা । জীবনের বাকী সব কিছুকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়ই চলে আসে গুরুত্বহীনতা বা শীতলতা । আর এর পরিণতি দাড়ায় সংসারের ভাংগন কিংবা তালাক। তাই , আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত, যতই ব্যস্ততাই থাকুক বা যত সমস্যাই আসুক না কেন, সব সময় সংগীর প্রতি আন্তরিক থেকে , ভরসার হাত বাড়িয়ে সম্পর্কের পরিচর্যা করা। এতে পরিবারের ভাংগন যেমন রোধ হবে তেমনি নিজেরাও বাঁচতে পারবে সুখী-সুন্দর ভাবে আর পরিবার হয়ে উঠবে শান্তির আবাস।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পূর্বের গল্প -

২। " শাশুড়ি " - ( গল্প ) - লিংক Click This Link
১। " রোযা " (ছোট গল্প) - লিংক Click This Link

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সমস্যা হোল বউরা তো এক ঘণ্টা না আরও বেশী সময় চায়। এই ব্যাপারে কোন উপদেশ থাকলে পরের গল্পে জানাবেন।

শিক্ষামুলক গল্প ভালো লাগলো। তবে পরিণতি আগেই বোঝা গিয়েছিলো। গল্পের পরিণতি পাঠক বুঝে ফেললে সমস্যা।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং শেষপর্যন্ত থেকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।

দু-একটা ব্যতিক্রম ছাড়া আসলে বেশীরভাগ বউরাই তাদের স্বামী-পরিবার নিয়ে এবং তাদের যা আছে তাই নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুখী ও সন্তুষ্ঠ থাকতে চায় । কখনো সংসার ভাংগার চিন্তা (ব্যতিক্রম বাদে) নারীরা আগে করে বলে মনে হয়না ।

আর বিবাহিত জীবনে সাফল্যের জন্য ত্যাগ-সমঝোতা এবং সহমর্মিতার কোন বিকল্প নেই। উভয়ে -উভয়কে সময় দিতে হবে যতটুকু সম্ভব (তবে জীবনের বাকী কাজ না করেও যদি সংসার চলে যায় এবং সে যদি মেনে নেয় তাহলে আর কি ;) শুধুই মজা আর মজা )।

গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভাল লাগলো । আর ভাই, নয়া লেখক, তাই এতটা পাককা নই, তবে হয়ত লিখতে লিখতে একসময় কিছুটা উন্নয়ন ঘটতে পারে।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



এইবার নদীর রচনায় হাত দিয়েছেন?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, একদম সঠিক বলেছেন।

এবার গরুকে নদীতে গোসল করাব। তাই নদী রচনায় হাত দিয়েছি।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২০

শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ এই গল্পটা সেদিন অনেক সুন্দর করে বলছিলো এক মহিলা।

এই অভিনব বিচার ব্যবস্থার কথা জেনে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা বনি , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং আপনার মন্তব্য বরাবরই বিশেষ কিছু আমার জন্য।

আসলেই, মুগ্ধতার ও চিন্তাশীলতার ই বিষয়। যেখানে আমাদের সমাজে কেউ-কাউকে মানতে চায়না , চায় না সময় দিতে ও ধৈর্য্য ধরতে এবং চারপাশে শুধু সংসার ভাংগার ষড়যন্ত্র - সেখানে একটি সংসার রক্ষার চেষ্টা হিসাবে এ জাতীয় গঠনমূলক পদক্ষেপ অবশ্যই বিশেষ কিছু।

আর, আপনি খালি :(( খালি সবজায়গায়, সব কিছুতেই বিচছেদ করে দেন সকলের মাঝে । আর তাই আমি জোড়া লাগানোর চেষ্টা ;) করলাম। এই আরকি।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক দীর্ঘদিন থাকে না।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

আমাদের সমাজে পারস্পরিক ধৈর্য্য ধরতে এবং সহিষ্ণুতার অভাবে এখন চারপাশে শুধু সংসার ভাংগার ষড়যন্ত্র বা প্রচেষ্টা । অথচ একটু ধৈর্য্য ধরে ত্যাগ ও সমঝোতার মনোভাব নিয়ে উভয়ে এগিয়ে আসলে প্রতিটা সংসার হয়ে উঠতে পারে শান্তির আবাস।আর এর জন্য দরকার একটু ধৈর্য্য এর সাথে ত্যাগ ও সমঝোতার মনোভাব।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ কয়েকটা বানান ভুল আছে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।

এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে আরো সর্তক হবো।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার এই লেখাসহ অন্যান্য লেখাগুলো কি অন্য গল্প, মৌখিক বর্ণনা বা অন্য কোন মাধ্যম থেকে অনুসৃত বা অনুপ্রাণিত?
এই বিষয়ে আপনার সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করছি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই , আপনার গল্প পড়া , গল্পের পিছনের ঘটনা বা লিখার ধারনা জানা এবং মন্তব্যের জন্য ।

আমি আসলে পড়তে ভালবাসি ভাইজান। পড়তে চেষ্টা করি গল্প-উপন্যাস, দৈনিক সংবাদপত্রের পাশাপাশি আরো যে সব পড়ার মাধ্যম আছে তার সবগুলিই। এ বিষয়ে আমার একটা লেখা -" হিজি ;) বিজি " - ২ - আমি এবং আমার বই পড়া ও কিছু লেখার চেষ্টা"। লিংক - Click This Link পড়লে কিছুটা হলেও ধারনা পাবেন

আর আমি যাই কিছু পড়ি তা শুধু পড়ার জন্যই পড়িনা। লেখার মোটিভ, লেখার মেসেজ এবং লেখকের লেখার উদ্দেশ্য সম্পর্কেও গভীরভাবে অনুধাবন করতে চেষ্টা করি । এর প্রমাণ ব্লগে আমার মন্তব্যগুলির দিকে দেখলেই পাবেন।

আর এই পড়ার সময় যদি কোন বিষয় মনে রেখাপাত করে বা লেখার বিষয়ে শিক্ষণীয় কোন মেসেজ থাকে তবে তা আমি কয়েকবার পড়ে ফেলি তা যত বড় কিংবা ছোটই হউক না কেন। আর এভাবে দেখা যায় বিষয়টার অনেকখানিই মনে থেকে যায় অনেক অনেক দিন।
তারপরেও আপনি দেখবেন,গল্প-উপন্যাস পড়তে ভালবাসলেও গল্প আমি তেমন একটা লেখিনা । কারন , আমি এমন কিছু লিখতে চাইনা যার থেকে কিছু জানা -বুঝার নেই বা আমাদের মূল ধারার সমাজ-মূল্যবোধের সাথে মিলেনা। আমার বেশীরভাগ লেখাই মানব জীবন এবং তার সাথে জড়িত বিষয়াবলী নিয়েই লেখা এবং তাই আমি লিখি যা আমি ব্যক্তিগত জীবনে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবং যা ধর্ম-সমাজ-মানবিকতার সাথে যায় এবং আমাদের জীবনের রীতি-নীতি-মূল্যবোধের সাথে কিছুটা হলেও সংযোগ আছে বা এমন কিছু যা জানলে কিছুটা হলেও জীবনে কাজে লাগবে আমাদের।

এখন প্রশ্ন এসব বিষয় ছেড়ে আমি কেন গল্প লেখার চেষ্টা করছি বা লিখছি?

আসলে ভাইজান , বোন শায়মা, মিরোরডল এবং আরো অনেকের অনুরোধে এবং বোন মিরোরডলের অন্যরকম মূল্যায়নে ( তারমতে আমার কোন লেখাই নেই যেখানে ধর্মের বিষয় থাকেনা, যদিও আমার লিখা ৩ টা গল্পেই মানবিকতার সূর বিদ্যমান । আর মানবিকতাই সবচেয়ে বড় ধর্ম ) এই গল্প লেখার দুঃসাহস তবে তা খুবই কম মাত্র ৩ টি ।

এখন - ৩য় গল্প" সম্পর্কের পরিচর্যা " - গল্পটি -

খুবসম্ভবত এই গল্পটি লেখার ধারনা আসে প্রথম ব্লগে কবিতা পড়ার প্রহরের " চিলেকোটার প্রেমের" দুঃখজনক সমাপ্তির পর । লেখিকাকে তার গল্পের গতিপ্রকৃতি বদলে গল্পের নায়ক-নায়িকাকে মিলিয়ে তাদের পরিবার বাঁচাতে অনেক অনুরোধ করেছিলাম তবে লেখকের লেখার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আমি মন খারাপ হলেও তাদের বিচছেদ মেনে নিয়ে এরকম একটা ঘটনায়ই আমি মিলন চেয়ে গল্পটি লেখা শুরু করি । তবে তা আর শেষ হয়না ।

পরবর্তীতে কঙ্কাবতী রাজকন্যা যখন তার " যুথি " ধারাবাহিকে একই ঘটনায় নায়ক-নায়িকার সংসার রক্ষার চেষ্টা হিসাবে একমাস একসাথে থাকার ব্যাপারে রাজি হয় তখনি আমি আমার কাহিনীর ধারনা খুজে পাই যে তা কিভাবে শেষ হবে। আর তার জন্য আমি লেখার শুরুতেই লিখেছি এবং উৎসর্গ করেছি।

আবার বোন শায়মা তার মন্তব্যে বলেছেন, তিনিও এই গল্পটা এক মহিলার নিকট থেকে শুনেছেন । হতেই পারে তা কাকতালীয় বা আমিও হয়ত পড়ে থাকতে পারি একই বিষয়ে ভিন্ন নামে অন্য কোন গল্প । তবে ঘটনা যাই হোক আমি সব সময় চাই মানুষের মাঝে মানবিকতার জয় এবং মানুষে মানুষে সুন্দর ও মধুরতম সম্পর্ক ।

এবার - ২ য় গল্প " শাশুড়ি " - গল্পটি -

- এটাকে আমার জীবনের সত্য ঘটনার রুপ বলতে পারেন তবে গল্পে যেমন শাশুড়ির ভাল আচরন ও মধুর পরিণতি হয়েছে বাস্তবে হয়েছে তার উল্টা । হাজার চেষ্টা করেও ১৮ টি গাছ লাগিয়ে (যে গুলি এখনো আছে এবং সবাই বলে গাছগুলি কে লাগিয়েছে তবে শাশুড়ি লাগাতে বলেনি এবং বিয়ের ২ য় দিন থেকে বিচছেদের দিন পর্যন্ত ২ শাশুড়িই (আমার মা ও তার মা ) তাদের জান প্রাণ দিয়েছেন আলাদা করার জন্য কারন - বিয়ে যে প্রেমের ) ও সব কিছু মেনে নিয়েও একসময় উভয়েই হাল ছেড়ে দিয়ে বিচছেদের মাঝেই শান্তি খুজে রেহাই পেতে হয়েছে। তবে জীবনে যাই ঘটুক না কেন আপনজনকে ছোট করলে নিজেই ছোট হতে হয় । আর তাই বাস্তবে বউ - শাশুড়ির বিচছেদ এবং অমিল থাকলেও গল্পে মিলিয়ে কিছুটা শান্তি খুজেছি আর পাঠকদের কাছে একটা ভাল মেসেজ দিতে চেয়েছি - এতটুকুই।

এবার - ১ম গল্প রোযা - গল্পটি -

- এ গল্পটি খুবসম্ভবত ২০১৪/১৫ সালে পড়ছিলাম তবে কোথায় সঠিক মনে নেই বা মনে নেই লেখকের নাম। এটার বেশীরভাগটাই সংগৃহীত। যখন ১ম বার আমি গল্পটি পড়ি তার সাথে আমার জীবনের চরম মিল (দারিদ্রতার কষাঘাত ও সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস ) দেখে না বলা ব্যথায় বুদ হয়ে ছিলাম এবং আমি ডাইরিতে গল্পটির মূল বিষয়টা লিখে রেখেছিলাম । পড়ে সবার অনুরোধে ডাইরি থেকে গল্পটি ঝালাই করে পোস্ট করি । সে হিসাবে এটিকে সংগৃহিত/পরিমার্জিত ও বলা যায়।

আমি জানিনা ভাইজান , আপনি কতটা তৃপ্ত হবেন আমার জবাবে। আর দেরিতে জবাব এবং বড় লেখার জন্য দুঃখিত। তার পরেও মনে হয় আরো কিছু বলার আছে বা আপনার জবাব আমি সঠিক ভাবে হয়ত দিতে পারিনি। তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী এবং একটা প্রতি মন্তব্য /ফিডব্যাক আশা করছি আপনার নিকট থেকে।আরো দুঃখিত নিজের জীবনের কোন ঘটনা আপনার সাথে শেয়ার করার জন্য।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ গল্প কি আপনার সংগৃহিত?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মহাজাগতিক চিন্তা ভাই , আপনার গল্প পড়া এবং মন্তব্যের জন্য

" সম্পর্কের পরিচর্যা " খুবসম্ভবত এই গল্পটি লেখার ধারনা আসে প্রথম ব্লগে কবিতা পড়ার প্রহরের " চিলেকোটার প্রেমের" দুঃখজনক সমাপ্তির পর । লেখিকাকে তার গল্পের গতিপ্রকৃতি বদলে গল্পের নায়ক-নায়িকাকে মিলিয়ে তাদের পরিবার বাঁচাতে অনেক অনুরোধ করেছিলাম তবে লেখকের লেখার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আমি মন খারাপ হলেও তাদের বিচছেদ মেনে নিয়ে এরকম একটা ঘটনায়ই আমি মিলন চেয়ে গল্পটি লেখা শুরু করি । তবে তা আর শেষ হয়না ।

পরবর্তীতে কঙ্কাবতী রাজকন্যা যখন তার " যুথি " ধারাবাহিকে একই ঘটনায় নায়ক-নায়িকার সংসার রক্ষার চেষ্টা হিসাবে একমাস একসাথে থাকার ব্যাপারে রাজি হয় তখনি আমি আমার কাহিনীর ধারনা খুজে পাই যে তা কিভাবে শেষ হবে। আর তার জন্য আমি লেখার শুরুতেই এ ব্যাপরে বলেছি এবং তাকে উৎসর্গ করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.