নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১। পরকীয়ার ভয়াবহতা - জামাইয়ের সাথে পালালেন শাশুড়ি! পুলিশের দ্বারস্থ মেয়ে ।
পরকীয়ার জেরে শাশুড়িকে নিয়ে পালালেন যুবক (মেয়ের জামাই)। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ভারতের হাওড়ার লিলুয়ায়। জানা গেছে, পলাতক যুবকের নাম কৃষ্ণ গোপাল দাস। স্ত্রীকে ফেলে রেখে শাশুড়ি শেফালি দাসের সাথে পালিয়েছেন তিনি। লিলুয়া থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন যুবক। তার জেরেই শাশুড়ি শেফালি দাসের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত শনিবার শাশুড়ির সাথে পালিয়ে যান কৃষ্ণ। মায়ের সাথে স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। পরে পরিস্থিতি একটু সামলে উঠে বাবার সাথে গিয়ে লিলুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সূত্র : naya-diganta ২১/১২/২১
২। বাড়ি মেরামতের সময় রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে প্রেম, অতঃপর পালালেন দুই গৃহবধূ - সূত্র : naya-diganta ২১/১২/২১
৩। লালমনিরহাটে বউকে ফেলে শাশুড়িকে নিয়ে জামাই উধাও!শশুড় কর্তৃক থানায় অভিযোগ দায়ের - সূত্র : ইউ এস বাংলা - ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
৪।জামাই-শাশুড়িকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলল স্ত্রী! অত:পর.. সূত্র : দেশ সংবাদ 2 October 2018
৫। অনেকেই বলেন "শালি আধি ঘরওয়ালি" (শালিকে যারা আধা-বউ মনে করেন)(দুলাভাইয়ের হাত ধরে শালী পলায়ন, দুলাভাইয়ের হাতে শালী খুন, )
৬।দেবরের সাথে ভাবির পরকীয়া, নতুন বাড়িতে ওঠার দশ দিনে স্বামীর মৃত্যু! / দেবরের সাথে মিশতে মিশতে যেভাবে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন গৃহবধূ / দেবরের সাথে ভাবির পরকীয়ায় হোটেলে আটক!!! / দেবর-ভাবির পরকীয়া, প্রেমের ছলে হাত-পা বেঁধে খুন ।news24bd ০৭ ডিসেম্বর, ২০২০
বর্তমানে আমাদের সমাজে এবং সারা বিশ্বে হু হু করে বাড়ছে পরকীয়ার প্রবণতা ও লিভ টুগেদার , যা একটি পবিত্র-প্রতিষ্ঠিত সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। লিভ টুগেদার ও পরকীয়ার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে মানব বংশধারার স্বচ্ছতা ও পবিত্রতা। আর এসব ঘৃণ্য অসামাজিক কাজ চলছে সমাজে এমন সব সম্পর্কের মাঝে যাতে করে সমাজের কোন সম্পর্কই নিরাপদ নয়। পরিবারের মা-বাবা-ভাই-বোন-শ্বশুর- শ্বাশুরি-শালী-মামা-মামী কেউ এখন কারো কাছে / কোন সম্পর্কই নিরাপদ নয়। এসব ঘৃণ্য কাজকে স্বাভাবিক বিষয় ভাবার সুযোগ কোন বিবেকবান মানুষেরই নেই। এসব কারণে সমাজে ঘোর বিপর্যয় নেমে আসছে-আসবে,সমাজে বেড়ে যাবে অপ্রত্যাশিত মানুষ এবং অনাকাং খিত সব ঘটনা। কিছু মানুষের অবাধ যৌনতা,বিকৃত রুচি ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অপব্যবহারের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচছে সমাজের পবিত্র-প্রতিষ্ঠিত সামজিক রীতি-নীতি-মূল্যবোধগুলো । বিবেকবান প্রতিটি মানুষেরই উচিত সমাজে এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা এবং সামর্থ্য অনুযায়ী এই অপরাধের বিরুদ্ধে নিজ নিজ জায়গা থেকে অবস্থান নেওয়া।
ছবি - istockphoto.com
পরকীয়া কি -
নিজ স্ত্রী বা স্বামীকে রেখে পর নারী বা পুরুষের সাথে অবৈধ মিলনকে পরকীয়া বলে। পরকীয়া সম্পর্ক হচ্ছে, নিজের বিবাহিত জীবন থাকা স্বত্ত্বেও অন্য কোনো নারী বা পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। বেশির ভাগ পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে নারী বা পুরুষের শারীরিক ও মানষিক চাহিদা মেটানোর জন্য। যদিও আমাদের সমাজে এমন কি ধর্মেও এই পরকীয়া সম্পর্ককে অবৈধ সম্পর্ক হিসেবে বলা হয়েছে। পরকীয়া সম্পর্ক - মানব সমাজে এটি নতুন কোনো বিষয় নয় তবে বর্তমানে সারা বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও এখন এর প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোন, ফেসবুকসহ নানা প্রযুক্তি মানুষের হাতের মুঠোয়, আর তাই আজকাল পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলা অনেক সহজ।
পরকীয়া সমাজে অশান্তি ও বংশের পবিত্রতা নষ্ট করার অন্যতম নীরব হাতিয়ার। এর প্রভাবে ধ্বংস হয়ে যায় হাজার পরিবার। ভেঙে চুরমার হয়ে যায় লাখো নর-নারীর স্বপ্ন। আমাদের সমাজের বর্তমান পচনের জন্য যেসব বিষয় দায়ী, তার মধ্যে পরকীয়া অন্যতম।এখন যদি প্রশ্ন করা হয় কেন আমাদের দেশে এই সম্পর্কের হার বেড়ে গিয়েছে ? তাহলে এর উত্তর হচ্ছে, আমরা নিজেরাই প্রধানত দায়ী। আমাদেরই বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আজ এই পরকীয়া সম্পর্কের হার বেড়ে গিয়েছে এবং ঘরে ঘরে তালাক বা ডিভোর্স হচ্ছে।পরকীয়া বৃদ্ধির জন্য দায়ী পর্দার বিধানে উদাসীনতা। অথচ পর্দার বিধান ইসলামের পক্ষ থেকে সমাজব্যবস্থার এবং বিশেষভাবে উম্মতের মা-বোনদের জন্য অনেক বড় অনুগ্রহ। এই বিধানটি মূলত ইসলামের যথার্থতা, পূর্ণাঙ্গতা ও সর্বকালের জন্য অমোঘ বিধান হওয়ার এক প্রচ্ছন্ন দলিল। পর্দা মানুষের মর্যাদার প্রতীক এবং ইফফাত ও পবিত্রতার একমাত্র উপায়।
পরকীয়া যেভাবে শুরু হয় -
পরকীয়ার মূল উদ্দেশ্যই থাকে যিনা (অবৈধ সম্পর্ক)। আর তা গড়ে ওঠে সাধারণত প্রতিবেশী, অফিস কলিগ, ব্যাচমেট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত জনের মাধ্যমে ও সঙ্গে। এটি সমাজব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য এত বড় অস্ত্র যে রাসুল (সাঃ) একে ব্যভিচারের চেয়ে ১০ গুণ বড় অপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছেন। একদিন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সাহাবিদের ব্যভিচার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তাঁরা বলেন, হারাম। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তা হারাম করেছেন। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির ১০ জন নারীর সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার চেয়ে তার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া জঘন্য অপরাধ। (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং - ১০২)।
ছবি - dreamstime.com
কেন আমাদের সমাজে পরকীয়া সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে?
সমাজতাত্ত্বিকরা এর বিশ্লেষণ করে এর পিছনে কিছু কারন দেখেছেন। আমাদের সমাজে আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেক তরুণ তরুণী কম বয়সে বিয়ে করে ফেলে। এই সময়ে ছেলে বা মেয়ের মধ্যে মানসিক বুদ্ধি-চিন্তা কাজ করে না। যুক্তির চেয়ে আবেগই বড় হয়ে দেখা দেয়। যার কারণে বিয়ের কিছুদিন পরই সেইসব স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন রকমের মতবিরোধ সৃষ্টি হয় এবং এই সময়েই সেই স্বামী বা স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
শারীরিক সমস্যা বিবাহিত জীবনের একটি প্রধান সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এই সমস্যাটি তখনই দেখা দেয়, যখন স্বামী ও স্ত্রী সমবয়সী হয় অথবা স্বামীর থেকে স্ত্রী যদি বয়সে বড় হয়ে থাকে। যার কারণে সেসব স্বামী বা স্ত্রী বাইরের অন্য কারো সাথে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে।
আবার, বিয়ের সময় অভিভাবকের পছন্দানুযায়ী বিয়ে করার ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ের পছন্দ বা মতামতকে প্রাধান্য না দেয়া, ভুল মানুষ কে নির্বাচন করার ফলে অনেক সময় ছেলে-মেয়েদের বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। আর তখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পরবর্তীতে তারা পরকীয়ার দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
তাছাড়া,কিছু পুরুষ বা নারী তার ক্যারিয়ার প্রমোশন দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য তার কর্মস্থল এর ম্যানেজার কিংবা উপরের লেভেলের বসদের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হন। কারণ তারা মনে করেন এতে করে তারা জব এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবেন।
এদিকে,অনেকেই বিয়ের পর পরই অভিভাবক হয়ে যান। একটা সন্তান পরিবারে আসার পর মূলত সন্তানদের দিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় এবং স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যের মধুর সম্পর্কে তখনি ব্যাপক পরিবর্তন আসে।সন্তানদের নিয়ে অতি ব্যস্ত থাকার কারণে স্বামী-স্ত্রী কেউই একে অপরকে সময় দিতে পারেনা। যার কারণে একের প্রতি অন্যের আগের মত সেই মায়া, ভালবাসা থাকে না। তখনই সেসব পুরুষ বা নারীদের মন বাইরে চলে যায় অর্থাৎ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
ছবি - depositphotos.com
পরকীয়ার ব্যাপরে ইসলাম কি বলে -
মহানবী (সাঃ) বলেন, " হে লোক সকল তোমরা অবৈধ যৌন মিলনকে ভয় কর। কেননা তার ছয়টি অশুভ পরিণাম রয়েছে। যার তিনটি এ দুনিয়ায় আর তিনটি পরকালে।
দুনিয়াস্থ তিনটি পরিণাম হলো -
১ । শ্রীহীনতা ।
২ । অভাব/দারিদ্রতা।
৩ । জীবনকাল হ্রাস পেয়ে মৃত্যু বরণ।
পরকালের তিনটি পরিণাম হলো –
১। পরম দয়ালূ আল্লাহর ক্রোধ।
২। মন্দ হিসাব.
৩। দোযখের শাস্তি "।(শুয়াবুল ঈমান, বায়হাকী; আল জামিউল কাবির সুয়ূতী)।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেন,"আমার উম্মত ততদিন ভালই থাকবে যতদিন পর্যন্ত তাদের মধ্যে ব্যাভিচার ও অবৈধ যৌন সম্ভোগ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে না পড়বে। আর যখন ব্যাভিচার তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে তখন তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি গ্রাস করবে" । (মুসনাদে আহমাদ)। পরকীয়াকারী শারীরিকভাবেও বিভিন্ন ক্ষতির শিকার হয়। স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তার দেহে ছড়িয়ে পড়ে এইডস, সিফিলিস, প্রমেহ, গনোরিয়া, হৃদরোগ জাতীয় মরণব্যাধি। বর্ণিত ব্যাধি গুলোর প্রত্যেকটির চুড়ান্ত পরিণাম মৃত্যু।
পরকীয়া কিভাবে রোধ করা যায় -
বর্তমানে আমরা কেউ ভেবে দেখিনা বা দেখতে চাইনা এ সামাজিক বিপর্যয়ের ও এই অসামাজিক কাজের উৎস কোথায়? এর মূল উৎস পর্দাহীনতা ও নগ্নতা । তাই কল্যাণের ধর্ম ইসলাম সেই উৎসটাই উপড়ে ফেলতে চেয়েছে। তাই পুরুষকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে দৃষ্টি অবনত রাখতে আর নারীকে বলেছে দৃষ্টি অবনত রাখার পাশাপাশি দৈহিক সৌন্দর্যকে ঢেকে রাখতে এবং উভয়কে কঠোর ভাবে নির্দেশ দিয়েছে শরীয়ত সমর্থিত পথ ও পদ্ধতি অনুসরন করে চলতে এবং নারীকে বেগানা পুরুষের সামনে নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ না করতে ও পর্দা ছাড়া বাইরে না যেতে।
ছবি - amaliah.com
ইসলাম নর-নারী উভয়কে পর্দা রক্ষা করে চলতে বলেছে। আমাদের সমাজের অনেকের ধারণা, পর্দার বিধান শুধু নারীর জন্য। এ ধারণা ঠিক নয়। পুরুষের জন্যও পর্দা অপরিহার্য। তবে উভয়ের পর্দার ক্ষেত্রে পার্থক্য আছে। যার জন্য যে শ্রেণির যে পর্দা উপযোগী, তাকে সেভাবে পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ধর্মে।
নারীরা বাইরে বের হওয়ার সময় নিজের পর্দা রক্ষা করে বের হবে। এতে নারী-পুরুষ থাকবে কলংকমুক্ত আর সমাজ সংসার হবে নির্মল সজিব। এ ব্যাপারে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, " তোমরা নারীদের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এই বিধান তোমাদের (পুরুষদের) এবং তাদের (নারীদের) অন্তরের জন্য অধিক পবিত্রতার কার্যকর উপায়"। ( সূরা আহযাব,আয়াত - ৫৩ )।
আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে , "হে নবী আপনি আপনার স্ত্রী কন্যা ও মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরে কিয়দাংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু"। ( সূরা আহযাব,আয়াত - ৫৯ )।
নর-নারী'দের পর্দা প্রসংগে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে, " মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে ; এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। তারা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। আর মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। আর তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তবে যা সাধারণত প্রকাশ হয়ে থাকে। আর তারা তাদের গলা ও বুক যেন মাথার কাপড় দ্বারা ঢেকে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীরা , তাদের মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনা রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে ফিরে আস, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার " ।(সূরা নূর- ৩০-৩১)।
এখানে মুমিন নারী-পুরুষ উভয়দেরকেই বলা হয়েছে, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে।কুপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করার যত পন্থা আছে, সবগুলো থেকে যৌনাঙ্গকে সংযত রাখা। এ আয়াতের উদ্দেশ্য অবৈধ ও হারাম পন্থায় কাম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করা এবং তার সমস্ত ভূমিকাকে নিষিদ্ধ করা। তন্মধ্যে কাম-প্রবৃত্তির প্রথম ও প্রারম্ভিক কারণ হচ্ছে - দৃষ্টিপাত করা ও দেখা এবং সর্বশেষ পরিণতি হচ্ছে ব্যভিচার। এ দু'টিকে স্পষ্টতঃ উল্লেখ করে হারাম করে দেয়া হয়েছে।
ছবি - stayathomemum.com.au
লিভ টুগেদার কি -
লিভ টুগেদার একটি ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় একসাথে থাকা। কিন্তু লিভ টুগেদার শব্দটিকে আমাদের সমাজে বিশেষ অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড বিয়ের আগে যখন স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় একসাথে থাকে তখন তাকে লিভ টুগেদার বলে।এটি সাধারণত অবিবাহিত ছাত্র-ছাত্রী বা চাকরিজীবীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এটি আমাদের সমাজে নিষিদ্ধ। তবে পাশ্চাত্য দেশগুলোতে এই রীতিটি বেশ চালু রয়েছে। বিয়ের আগে বয়ফ্রেন্ড গা্র্লফ্রেন্ড একসাথে থাকতে শুরু করে। তাদের ধারণা একটি মানুষের সাথে আজীবন থাকার উদ্দেশ্যেই বিয়ে করা হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষটির সাথে মনের মিল হবে কি না তা না হঠাৎ করে বিয়ে করে বা বাহির থেকে বোঝা যায় না। তাই বিয়ের আগেই তারা প্রিয় মানুষটির সাথে থাকার অভ্যাস গড়ে তোলে। মনের মিল হয়ে গেলে তারপরে তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে এমনও দেখা গেছে যে ছেলেমেয়েসহ তারা বিয়ের আসরে বসেন। নাউজুবিল্লাহ !
নর-নারী কেন লিভ টুগেটারের প্রতি ঝুকছে বা কেন জড়িয়ে পড়ছে এ অনৈতিক-অসামাজিক সম্পর্কে
অনেক সময় একত্রে চাকরি করতে গিয়ে বা পড়াশোনা করতে গিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে দুজনের দুজনকে হয়ত ভালো লাগে। কিন্তু উভয়েরই হয়ত পরিবার আছে , আছে সামাজিক-পারিবারিক অনেক দায়িত্ব, তবে মানুষমাত্রই আছে যৌন চাহিদা। নানা কারনে তাদের পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব হয়না আবার যৌন চাহিদাও অস্বীকার করতে পারেনা। এ কারনেও ছেলে-মেয়ে একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় নিজেদের ।
আবার একটি ছেলে ও একটি মেয়েকে আলাদা আলাদা থাকতে দুজনেরই অনেক খরচ হয় । অনেক সময় জীবনযাত্রার খরচ কমাতেও উভয়ে একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিয়ের পরপরই একজন ছেলে বা মেয়ের স্বামী-স্ত্রী হিসাবে যাত্রা শুরু হয়। এখন বিয়ের পরে ভবিষ্যতে দম্পতি হিসাবে তারা কেমন হবে, তাদের মাঝে বোঝাপড়া কেমন হবে, তা জানার জন্য এসব ভেবেও আবার অনেক একসঙ্গে থাকতে শুরু করে।
আবার অনেকে বিয়েই করতে চায় না দায়িত্ব ও সমাজিকতা রক্ষা করার ভয়ে। তখন তারা বেছে নেয় এ ধরনের আপাত ঝামেলাহীন তবে সমাজ বিধ্বংসী এ পথ।
ছবি - livingwellmedicalclinic.com
লিভ টুগেটারের ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন কী বলে?
বাংলাদেশের আইনে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ের লিভ টুগেদার (একসাথে বসবাস) করার পক্ষে বা বিপক্ষে কোন পরিষ্কার আইন নেই । বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোন নারী-পুরুষ যদি একসঙ্গে বসবাস করতে যায়, তাহলে তাকে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বিবাহিত হতে হয়। যেমন মুসলিম আইন অনুযায়ী তাকে রেজিস্ট্রেশনও করতে হবে। কিন্তু কেউ রেজিস্ট্রেশন না করেও ধর্মীয় বিধান মেনে সাক্ষীর উপস্থিতিতে যদি বিয়ে করে, সেটাও গ্রহণ করা হয় বা সামাজিক বৈধতা লাভ করে।
বিবাহিত ব্যক্তি যদি অন্যকোন বিবাহিত বা অবিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে লিভ টুগেদার করে, সেটা অবশ্য নানারকম জটিলতা ও আইনের মধ্যে পড়ে এবং দেশের প্রচলিত আইনে নানা রকম শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু বিবাহ ব্যতীত দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে যদি একত্রে বসবাস করে, সেক্ষেত্রে দেশের আইনে সরাসরি বা পরিষ্কারভাবে কিছু বলা নেই তবে প্রত্যেকটা ঘটনার ক্ষেত্রে আসলে ফ্যাক্টচুয়ালি ডিপেন্ড করবে। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো পাবলিক ইনডিসেন্সি মনে করা হতে পারে। তবে সরাসরি কোন আইনের ধারায় সরাসরি কিছু করার সুযোগ নেই যদিনা উভয়ের কেউ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। অবশ্য এটাও ঠিক, এভাবে একত্রে বসবাস করলে সঙ্গীর প্রতি একটা অধিকার তৈরি বোধ তৈরী হয় তবে তার কোন সামাজিক গ্রহনযোগ্যতা বা ভবিষ্যত নেই যদিনা তারা উভয়েই সেই সম্পর্ককে বয়ে নেয়।
ছবি - womenshealthmag.com
লিভ টুগেদার / ব্যভিচারের ব্যাপরে ইসলাম কি বলে -
ইসলাম এবং মুসলমানদের জন্য এ জাতীয় কাজ চরম ঘৃণ্য হারাম এবং এর জন্য ধর্মে চরম শাস্তির কথা বলা আছে। বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে ইসলামী পরিভাষায় যিনা (ব্যভিচার) বলা হয়, যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ এ ব্যাপারে হুশিয়ারী উচচারন করে বলেছেন,"তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ"। (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত - ৩২)।
"ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না" - এই বিধান ব্যক্তির জন্য যেমন প্রযোজ্য, তেমনি সমাজের জন্যও এটি সমভাবে প্রযোজ্য। ব্যভিচার এতটাই অশ্লীল কাজ যে তা মানুষের লজ্জা-শরম ও মনুষ্যত্ব কেড়ে নেয়। আবু উমামা (রাঃ) বলেন, এক যুবক রাসুল (সাঃ) এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে ব্যভিচার করার অনুমতি দিন। এটা শুনে চতুর্দিক থেকে লোকেরা তার দিকে তেড়ে এসে ধমক দিল এবং তাকে চুপ করতে বলল। তখন রাসুল (সাঃ) তাকে কাছে ডেকে নিয়ে বলেন, বসো। যুবকটি বসলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বলেন, তুমি কি এটা তোমার মায়ের জন্য পছন্দ করো ? যুবক জবাব দিল, আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন, আল্লাহর শপথ, তা কখনো পছন্দ করি না।
তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তেমনি মানুষও তাদের মায়েদের জন্য সেটা পছন্দ করে না। তারপর রাসুল (সাঃ) বলেন, তুমি কি তোমার মেয়ের জন্য তা পছন্দ করো ? যুবক জবাব দিল, আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন, আল্লাহর শপথ, তা কখনো পছন্দ করি না। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, অনুরূপভাবে মানুষ তাদের মেয়েদের জন্য সেটা পছন্দ করে না। তারপর রাসুল (সাঃ) বলেন, তুমি কি তোমার বোনের জন্য সেটা পছন্দ করো ? যুবক জবাব দিল, আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন, আল্লাহর শপথ, তা কখনো পছন্দ করি না। তখন রাসুল (সাঃ) বলেন, তদ্রুপ লোকেরাও তাদের বোনের জন্য তা পছন্দ করে না। (এভাবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার ফুফু, ও খালা সম্পর্কেও অনুরূপ কথা বলেন আর যুবকটি একই জবাব দিল) এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার উপর হাত রাখলেন এবং বলেন, " হে আল্লাহ, তার গুনাহ ক্ষমা করে দিন, তার মনকে পবিত্র করুন এবং তার লজ্জাস্থানের হেফাজত করুন"। বর্ণনাকারী সাহাবি বলেন, এরপর এ যুবককে কারো প্রতি তাকাতেও দেখা যেত না। (মুসনাদে অহমাদ - ৫/২৫৬, ২৫৭)।
এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ আরো বলেন , " আর যারা আল্লাহ ব্যতীত অপর কোন ইলাহের ইবাদত করে না, আল্লাহর নিষিদ্ধকৃত প্রাণী যথার্থ কারণ ব্যতীত হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। আর যে ব্যক্তি এসব কাজ করে, সে শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেখানে সে হীন অবস্থায় চিরস্থায়ী হবে। তবে তারা নয়- যারা তাওবা করে এবং সৎ কাজ করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কাজগুলো ভালকর্ম দিয়ে পরিবর্তন করে দেন, আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াশীল"।সূরা আল-ফুরকান (৬৮ - ৭০)।
অনেকে ভাবতে পারে, কোনো ধরনের শারীরিক সম্পর্কে না জড়িয়ে একসঙ্গে থাকলে তা ব্যভিচারের পর্যায়ে পড়বে না বা গুনাহ হবে না। এটা ঠিক নয়। শয়তান কোনো না কোনোভাবে তাদের ব্যভিচারে লিপ্ত করবেই। শারীরিক সম্পর্কে কেউ না জড়ালেও অন্তত তারা একসঙ্গে থাকার দরুন, দেখা হবে, কথা হবে, আড্ডা হবে, গান হবে। এগুলোর মধ্যেও রয়েছে ব্যভিচারের গুনাহ। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, " চোখের ব্যভিচার হলো (বেগানা নারীকে) দেখা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো (তার সঙ্গে) কথা বলা (যৌন উদ্দীপ্ত কথা বলা)"। (বুখারি শরীফ, হাদিস নং - ৬২৪৩)।
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, " দুই চোখের যিনা (বেগানা নারীর দিকে) তাকানো, কানের জিনা যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের জিনা আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, হাতের জিনা (বেগানা নারীকে খারাপ উদ্দেশ্যে) স্পর্শ করা আর পায়ের জিনা ব্যভিচারের উদ্দেশে অগ্রসর হওয়া এবং মনের জিনা হলো চাওয়া ও প্রত্যাশা করা"। (মেশকাত শরীফ, হাদিস নং - ৮৬)।
ব্যভিচারের ব্যাপারে কঠোর শাস্তির কথা উচচারন করে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে, " ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়কে এক’শ ঘা করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরীকরণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে প্রভাবান্বিত না করে। যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাক আর ঈমানদারদের একটি দল যেন এদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে"।( সূরা আন নূর , আয়াত - ২)।মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে এসব ঘৃণ্য মহাপাপ থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য তওফীক দান করুন।
ছবি - whyislam.org
পরিশেষে, ইসলামের সকল বিধানই মুমিনের জন্য অপরিহার্য ও বাধ্যতামূলক, ঐচ্ছিক কোন বিষয় নয়। এখানে মন চাওয়া , না চাওয়া ভাল লাগা আর না লাগার কোন স্থান নেই। যে মেনে নেবে সে ইহকাল ও পরকালে নিরাপদ থাকবে আর যে মানবেনা তার কর্মের ফল সে ভোগ করবে দুনিয়া ও আখেরাতে।
অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশেও যেহেতু এই সমস্যা ব্যাপক ভাবে বেড়ে গিয়েছে, সুতরাং এগুলো দ্রুত প্রতিকারও করতে হবে। একমাত্র মানুষ নিজেই পারেন নিজের জীবনের এই সব সমস্যার সমাধান করতে। এসব বিষয়ে আবেগ দিয়ে নয় বরং বিবেক দিয়ে প্রতিটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সমাজ এবং পরিবার সবারই উপরের উল্লিখিত বিষয় গুলির ওপর বিশেষ জ্ঞান ও চিন্তা-ভাবনা রাখতে হবে। তবেই হয়তো এই লিভ টুগেদার-পরকীয়া নামক অভিশাপ কে সমাজ থেকে দূর করা সম্ভব হবে। পারবারিক সহিংসতা,তালাক এবং আরো অনেক পাপের বেশির ভাগ সংঘটিত হয় পরকীয়া সম্পর্কের জেরে। তাই প্রতিটি মুমিনের জন্য আবশ্যক, এই জঘন্য অপরাধগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং পরিবার-পরিজনদের প্রতিও সজাগ দৃষ্টি রাখা যাতে নিজের পরিবারের কেউ ব্যক্তি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে এ জাতীয় ঘৃণ্য কাজে জড়িয়ে না পরে । মহান আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে এই জঘন্য অপরাধগুলো থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।
তথ্য সূত্র : দৈনিক সংবাদপত্র, হাদীস এবং আল কোরআন।
=========================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
মানব জীবন - ২০ -"সমকামীতা বা সমকামী বিয়ে" Click This Link
মানব জীবন - ১৯ - " আত্মসম্মান-নীতি-নৈতিকতা " Click This Link
মানব জীবন - ১৮ - " ধর্মহীনতা " Click This Link
মানব জীবন - ১৭ - " ধৈর্য " Click This Link
মানব জীবন - ১৬ -" সততা " Click This Link
মানব জীবন - ১৫ - " লজ্জা " Click This Link
মানব জীবন - ১৪ - "পর্দা " Click This Link
মানব জীবন - ১৩ - "ধর্ম " Click This Link
মানব জীবন - ১২ " সহ শিক্ষা " Click This Link
মানব জীবন - ১১ " শিক্ষা " - Click This Link
মানব জীবন - ১০ "পরিবার " - Click This Link
মানব জীবন - ৯ "বিবাহের পরে" - Click This Link
মানব জীবন - ৮ " মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য " - Click This Link
মানব জীবন - ৭ " তালাক " - Click This Link
মানব জীবন - ৬ "দেনমোহর - স্ত্রীর হক" - Click This Link
মানব জীবন - ৫ "বিবাহ" - Click This Link
মানব জীবন - ৪ " মাতৃত্ব " - Click This Link
মানব জীবন - ৩ Click This Link
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা "
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)"- Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
মানে আপনারে নিয়া যে কি করুম! এডাল্টারি আর লিভ টুগেদার- দুইটা দুই গ্রহের জিনিষ কে জগাখিচুড়ি বানায়া আপনার ধর্মের ছাচে ফালাইয়া এবং সেই মোতাবেক দুইটা জিনিষ রে সমাজ সভ্যতার জন্য ভয়ানক ভয়াবহ করে একই কাতারে নিয়া আইলেন ??? দুইজন এডাল্ট মানুষ কে কার সাথে শুইবে ( যতক্ষন না তারা অন্য কারো সাথে আইনিগত ভাবে আবদ্ধ না ) তাতে আমার আপনার ধর্মের সমাজের কারো কিছু আসে যায়না। কোন সভ্য সমাজে কোন সভ্য ব্যক্তির এতে কারো কিছু আসা যাওয়ার কথা না।
- কি আর করবেন ভাই , করার কিছু নাই । স্বামী বৈদেশ। ব্যভিচার ও একই গৃহে বাস করা অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলা সম্পর্ক সমাজের জন্য খারাপ নয় বরং উপকারী।
আর প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরা যার যা মন চায় তাই করবে তাতে কি আসলেই সমাজের কিছু যায় আসেনা - আপনার তাই মনে হয়? একি সভ্য সমাজ ও মানুষের নীতি ?
ধর্ম মানুষের জন্য, মানুষ ধর্মের জন্য না।
- কারো কারো জন্য তবে সবার জন্য নয়।
এবার আসেন, পরকীয়া বা এডাল্টারি। এটা দুনিয়ার সব দেশেই সব সমাজে সব ধর্মে অন্যায়। আস্তিক নাস্তিক হিন্দু বুদ্ধ ক্রিশ্চিয়ান মুসলিম মোদ্দা কথা যে কোন সমাজে এটা অন্যায়। কেন অন্য্যায়? কারন এর আগে একজনের সাথে লিগালি থাকার চুক্তি হয়েছে। পরকীয়ার মাধ্যমে সে লিগাল চুক্তির খেলাফ করেছে এবং এটা ফৌজদারী অপরাধ।
- অন্তত এইটা ঠিক বলেছেন।
এখন একটা সর্বকালের সব দেশ ও সমাজের অন্যায় কাজের সাথে একই ব্রাকেটে আপনার ধর্ম কোন এক বিয়া না করে থাকাকে নারী পুরুষের একসাথে অপরাধ বলছে দুইটাকে একসাথে করে জগাখিচুড়ি বানানো টা বড্ড বেমানান। আপনার স্পেসিফিক ধর্মের আইনে সেটা মহা অপরাধ বাট যে দেশে বসবাস করছেন এই দেশ তো আপনার সেই স্পেসিফিক ধর্মের আইন কিংবা এই মানব সভ্যতা তো সেই স্পেসিফিক ধর্ম মোতাবেক চলেনা। এখানে কে কার সাথে শুইবে এডাল্ট বয়সে সেটার জন্য দুনিয়া জোড়া প্রচলিত আইন আছে সব দেশে এবং সেই সকল দেশের আইন অনুযায়ী এটা অপরাধ বা অনৈতিক না। ইভেন আমাদের দেশেও লিভ টুগেদার অপরাধ না যদিনা তারা কেই একজন বিবাহিত বা কমিটেড না হোন।
- হাচা কতাই বলেছেন। জীবন যার সিদ্ধান্ত তার - এ ব্যাপারে কার বাপের কি ?(কেউ কারোর না খায়, না পড়ে - সবাই তাই করবে যার যার মন মর্জিয়া)।
আর আল্লার ওয়াস্তে আপনার নিজের নিক্তি দিয়া নৈতিকতা আর সামাজিকতা মাপলে তো হবেনা? লিভ টুগেদার কে এইভাবে অণৈতিক আর অসামাজিক বলা একদম ই হাস্যকর । আপনি বলতে পারেন, আপনার ধর্মের নিক্তিতে লিভ টুগেদার অপরাধ ও পাপ। বাট যেভাবে গনহারে অনৈতিক আর অসামাজিক বলে রায় দিলেন সেটা আসলেই আপনার চিন্তার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে।
- নীতি-নৈতিকতার যেহেত নির্দিষ্ঠ কোন মাপকাঠি নেই কাজেই এক্ষেত্রে একেক জনের দৃষ্টিভংগী একেক রকম হতে বাধ্য ।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ অন্তত একটা পয়েন্টে একমত হতে পারার জন্য।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভিতরে কি লিখেছেন পড়িনি, না পড়ে্ মন্তব্য করছি।
ইসলামে এক সময় মুতা বিয়ে চালু ছিলো।
সনাতন ধর্মে (সম্ভবতো) সেবাদাসী ছিলো।
সহজিয়া নামে আলাদা একটা সম্প্রদায়ও রয়েছে মনে হয়।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
ইসলামে এক সময় মুতা বিয়ে চালু ছিলো।
সনাতন ধর্মে (সম্ভবতো) সেবাদাসী ছিলো।
সহজিয়া সম্প্রদায় ওয় নামে আলাদা একটা সম্প্রদায়ও রয়েছে মনে হয়।
- ১। মুতা বিয়ে। একটি স্বল্প সময়ের বিয়ের নাম। অর্থাৎ কোন নারী ও পুরুষ অল্প কিছু সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ বিয়ে করতে পারে। তবে এই সময় সম্পর্কে কোন সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ সময় ধরা বাধা নেই।ইসলামে এক সময় মুতা বিয়ে জায়েজ ছিলো। কিন্তু পরে সেটা পুরাপুরিভাবে বাতল করা হয়। মুতা বিয়ে প্রথমে বৈধ থাকলেও পড়ে সেটা কিয়ামত পর্যন্ত নিষেধ করা হয়। ইসলামে বিয়ের নীতি আছে। সে নীতির আলোকে বিয়ে করবে। এখন মুতা বিয়ে হালাল নয় হারাম।
২।সেবাদাসী মানে পরিচর্যাকারিণী, বৈষ্ণব ইত্যাদির সেবিকা দাসী বা উপপত্নী।
৩। সহজিয়া একটি বিশেষ ধর্মসম্প্রদায়, যারা সহজপথে সাধনা করে। সহজিয়ারা দুই ভাগে বিভক্ত বৌদ্ধ সহজিয়া ও বৈষ্ণব সহজিয়া। বৌদ্ধ সহজিয়াদের উদ্ভব বজ্রযানী বৌদ্ধদের থেকে এবং তাদেরই অনুকরণে বৈষ্ণবদের একটি অংশ বৈষ্ণব সহজিয়া নামে পরিচিত হয়।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইসলামে এক সময় মুতা বিয়ে জায়েজ ছিলো। কিন্তু পরে সেটা পুরাপুরিভাবে বাতল করা হয়। মুতা বিয়ে প্রথমে বৈধ থাকলেও পড়ে সেটা কিয়ামত পর্যন্ত নিষেধ করা হয়।
কে এই নিষেহাজ্ঞা জারি করেছেন? আল্লাহ নিজে না কি নবীজী? নাকি অন্য কেউ?
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নিরুপায় অবস্থায় তার (মুতা বিয়ের) অনুমতি ছিল। (যেমন নিরুপায় অবস্থায়) মৃত জীব, রক্ত ও শূকরের (গোশ্ত ভক্ষণের) ন্যায়। অতঃপর আল্লাহ তার দীনকে শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করলেন এবং তা নিষিদ্ধ করলেন।
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ ) থেকে বর্ণিত, " খাইবারের যুদ্ধের দিন নারীদের সাথে মুতা বিয়ে করতে ও গৃহপালিত পশু গাধার গোশত খেতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন"। ( তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ১১২১)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুতা বিয়ে নিষিদ্ধ করেছেন ও বলেছেন, " সাবধান! আজকের এ দিন থেকে কিয়ামাত পর্যন্ত মুতা বিয়ে হারাম। যে কেউ (ইতোপূর্বে) মুতা বাবদ যা কিছু দিয়েছে, সে যেন তা ফেরত না দেন"। ( মুসলিম শরীফ, হাদিস নং - ৩৩২১)।
সাবরাহ আল জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি বললেন, " হে লোক সকল! আমি তোমাদের স্ত্রীলোকদের সাথে মুতা বিয়ের অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু অচিরেই আল্লাহ তায়ালা তা হারাম করেছেন কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত। অতএব যার নিকট এ ধরনের বিয়ের সূত্রে কোন স্ত্রীলোক আছে, সে যেন তার পথ ছেড়ে দেয়। আর তোমরা তাদের যা কিছু দিয়েছ তা কেড়ে নিও না" । ( মুসলিম শরীফ, হাদিস নং - ৩৩১৩)।
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশে নবীজী মুতা বিয়ে হারাম করেছেন।
দাসীদের বিষয়ে কি এমন কোনো হাদিস বা কোরআনের বানী আছে যেখানে হারাম করার ঘোষণা রয়েছে?
(মুক্ত করে দেয়ার ঘোষণার কথা জানি আমি।)
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
দাসীদের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা -
দাস-দাসীর সাথের আচার-আচরণ ও লেনদেনকে ইসলামী শাসনব্যবস্থার ছায়াতলে তিনটি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে-
১। দাস-দাসীকে মানব সৃষ্টি বলে বিবেচনা করা, যার সম্মান পাওয়ার ও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।
২। অধিকার ও দায়িত্বের ক্ষেত্রে মানব জাতির মধ্যে দাস-দাসীকে সমান বলে গণ্য করা।
৩। দাস-দাসীর সাথে মানবতাসুলভ আচরণ করা, বিশেষ করে জনগণের সাথে তার মেলামেশার ক্ষেত্রে তাকে মানুষ বলে মনে করা।
ইসলামে গোলামের উপর মনিবের, কৃষ্ণাঙ্গের উপর শ্বেতাঙ্গের এবং অনারবের উপর আরবের তাকওয়ার মানদণ্ড ব্যতীত অন্য কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই।
এসব বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, ইসলামী শাসনব্যবস্থার ছায়াতলে দাস-দাসী হলো এমন এক সৃষ্ট জীব, যার জন্য সম্মান পাওয়ার ও বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে অপর যে কোনো মানুষের মত সমানভাবে; সুতরাং যখন তার জাতীয়তা ও মান-মর্যদা সমুন্নত হয়েছে, তখন তার মাঝে এবং অন্য কোনো মানুষের মাঝে তাকওয়া ও সৎকাজ ব্যতীত অন্য কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই।
গোলামীর বন্দী দশা থেকে দাস-দাসীদের স্বাধীন ও মুক্ত করার ব্যাপারে ইসলামের একটি শরী‘য়তসম্মত ব্যবস্থাপনা বা পদ্ধতি রয়েছে। দাস-দাসী মুক্ত করার ব্যাপারে ইসলাম যে শরী‘য়ত সম্মত পদ্ধতি প্রণয়ন করেছে, তা নিম্নোক্ত পদ্ধতি বা ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে:
১। উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে মুক্তি দান।
২। কাফ্ফারা প্রদানের মাধ্যমে মুক্তি দান ।
৩। লিখিত চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি দান ।
৪। রাষ্ট্রীয় তত্ত্ববধানে মুক্তি দান।
৫। সন্তানের মা (উম্মুল অলাদ) হওয়ার কারণে মুক্তি দান ।
৬। নির্যাতনমূলক প্রহারের কারণে মুক্তি দান।
আর আল কুরআনে অমুসলিম দাস/দাসীকে বিবাহ করার ব্যপারে কোন ঈমানদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়নি, এবং বিবাহ ছাড়া দাস/দাসীর সহিত যৌন সম্পর্ক করার কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। আল কুরআনে বিবাহই স্পষ্ট, বিবাহ ছাড়া যৌন সম্পর্ক স্পষ্ট নয়।এটা তখনকার যুগে ছিলো। কিন্তু এই নির্দেশনা রহিত হয়ে গেছে। এখন যদি কেউ রাখতে চায় তবে বৈধ হবেনা ।
যদিও ইসলামের সমালোচনাকারীরা বলে যে ইসলাম দাসীদের সাথে বিবাহ ছাড়া যৌন সম্পর্ক বৈধ করেছে তবে আসুন আমরা কুরআনের আলোকে দেখি যে বিবাহ ছাড়া দাসীর সহিত যৌন সম্পর্ক বৈধ কি না ?
আল কুরআনে বলা হয়েছে, " আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে পবিত্র রাখার জন্য, তারা অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারিণী ও গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্য নয়। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে ভয় করে। আর যদি সবর কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। ( সূরা আন নিসা, আয়াত - ২৫)
আবার অধিকারভুক্ত ঈমানদার দাস/দাসীকে বিবাহ করার ব্যাপারে বলা হয়েছে, " আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।(সূরা বাকারা, আয়াত - ২২১ )।
এখানেও বিবাহ ব্যতীত তার সাথে যৌন সম্পর্ক করার কথা বলা হয়নি।
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮
নতুন বলেছেন: পরকিয়া অবশ্যই অপরাধ। বিয়ে একটা চুক্তি সেটা ভঙ্গ করা আইনগত অপরাধ। তাই পরকিয়া সকল সমাজেই সবাই অপছন্দ করে।
কিন্তু পর্দা করে পরকিয়া এড়াতে পারবেন না। কারন মানুষ শুধুই শরীর দেখেই পরকিয়াতে লপ্ত হয় না। বিয়ষটা যতটা না শারিরিক তার চেয়ে বেশি মানুষিক।
মানুষ মানুষিক অতৃপ্তি্ব কা আকাংখ্যা থেকেই পরকিয়ার শুরু করে।
পরকিয়া থেকে ইসলামিক যেই তরিকা কার্যকর হতে পারে সেটা হইলো নারীদের ঘরের ভেতরে বন্দি করে রাখা তবে তারা অন্য পুরুষের সাথে পরিচিত হবেনা এবং পরকিয়াও করতে পারবেনা।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
পরকিয়া অবশ্যই অপরাধ। বিয়ে একটা চুক্তি সেটা ভঙ্গ করা আইনগত অপরাধ। তাই পরকিয়া সকল সমাজেই সবাই অপছন্দ করে।
- এই ব্যাপারে একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু পর্দা করে পরকিয়া এড়াতে পারবেন না। কারন মানুষ শুধুই শরীর দেখেই পরকিয়াতে লপ্ত হয় না। বিয়ষটা যতটা না শারিরিক তার চেয়ে বেশি মানুষিক।
- যে কোন রোগের জন্য যেমন অনেকগুলি কারন থাকে ঠিক তেমনি পরকীয়ার জন্যও তেমন অনকেগুলি কারনের মাঝে একটা হলো পর্দা হীনতা। এখন পর্দা করার পাশাপাশী যখন মানুষ সমাজ-ধর্মের বাকী বিধি নিষেধগুলি মেনে চলবে তখন কিছুটা হলেও এ পাপ কাজ কমবে বলে মনে হয়।
মানুষ মানুষিক অতৃপ্তি্ব কা আকাংখ্যা থেকেই পরকিয়ার শুরু করে।
- হাচা কথা ভাই । আর মানুষিক প্রশান্তির জন্য মানুষকে সামাজিক রীতি-নীতি মেনে চলার পাশাপাশী ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে চলার প্রতি মনোযোগী হতে হবে।
পরকিয়া থেকে ইসলামিক যেই তরিকা কার্যকর হতে পারে সেটা হইলো নারীদের ঘরের ভেতরে বন্দি করে রাখা তবে তারা অন্য পুরুষের সাথে পরিচিত হবেনা এবং পরকিয়াও করতে পারবেনা।
- ইসলাম নারীকে ঘরে ঘরের ভেতরে বন্দী রাখতে-থাকতে বলেনি , যথাযথ পর্দার বিধান অনুসরন করে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজই করতে বলেছে। এটা ইসলাম বিরোধীতার একটা প্রচারণা ।
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোন বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা নেই, আপধারণার উপর ভর করেই আপনি গরুর রচনা লেখেই যাচ্ছেন।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই ,
আপনি কি আমরিকায় গরুর রাখালের (কাউবয়) কাজ করেন ? যদি না হয় তাহলে আপনি কিভাবে সব কিছুর মাঝে শুধু গরুকেই খুজে পান কিভাবে? আমি বুঝিনা - একটু বুঝিয়ে বলবেন দয়া করে ।
আর কোন প্রাণী কি আপনি চিনেন না ? এই যেমন - গাধা-ছাগল-রাম ছাগল ইত্যাদি ইত্যাদি।
৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৫
সোবুজ বলেছেন: প্রেম পরকিয়া সম্পর্কে ভাইজান অনেক অভিজ্ঞ।আল্লাহপাক আপনাকে অনেক অভিজ্ঞতার সুজোগ দিয়েছেন এই জন্য আল্লাহপাকের নিকট শুকুর গুজরান করুন।আল্লাহপাক কখন কাকে কোন জ্ঞান দান করে কেউ জানে না।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোবুজ ভাই, আপনার মন্তব্য এর জন্য।
দেখে- শুনে, ঠেকে-ঠকে আমাদের শিখতে হয়। আর যে যে বিষয়ে আগ্রহী সে সেই বিষয়ে জানতে পারে, যদি সে আগ্রহের সাথে সাথে চেস্টা চালিয়ে যায় জানার জন্য।
আমাদের সকলকেই দয়াময় আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত শুকরিয়া আদায় করা উচিত সব কিছুর জন্য।
৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৬
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: গোপনে গোপনে এই দুইটা বিষয় অনেকেই পছন্দ করে।তারা আপনার লেখায় এসে আপনাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাবে।এরা গোপনে এইসব করে কিন্তু সমাজে ধর্মীয় সামাজিক জীব হিসেবে পরিচয় দেয় ।
এদের কেউ কেউ অন্যকাউকে এইসব করতে দেখলে থু থু ও করে ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ তানীম আব্দুল্লাহ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি মানুষের আকষ'ন সবসময়ই একটু বেশিই থাকে। আর এই দুটি জিনিস এমন যে, এতে খালি মজাই মজা - দুতরফেই।
কাজেই, লেজকাটা শিয়ালের মত এর সাথে জড়িতরা মজা লুটার জন্য হুক্কাহুয়া রব তুলবে,এটা মেনে নিতেই হবে। যদিও এরা সবাই নিজের জিনিসটা ইন্টেক চায় আবার পরেরটা চায় ফাটিয়ে দিতে।
৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনাম কি ছোট করে দেওয়া যায় না?
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
শিরোনামটা হয়ত এভাবে বা এতটুকু দেওয়া যেত, " পরকীয়া ও লিভটুগেদার " ও আমরা বা " পরকীয়া ও লিভটুগেদার " বা অন্য কিছু ।
তবে যাই দিতাম আমি যা বলতে চাচছি তা হয়ত বলা যেতনা বা বিষয়বস্তু পরিষ্কার হতনা , আর তাই বড় হয়ে যায় শিরোনামগুলি (এটা আমার অভিমত - এর সাথে আর কারো মিলবে এমন কোন কথা হয়)।
শিরোনামেই যাতে লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যায় তার উদ্দেশ্যেই এ ধরনের শিরোনাম।
১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এইসব অনাচারের কারণে সমাজে বিশৃঙ্খলা বেড়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় শিক্ষা ও পারিবারিক শিক্ষার বিকল্প নাই।
আপনার আসলে প্রচুর ফ্রী সময় থাকে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
দুনিয়াতে - সমাজে যে এরকম অসামাজিক কাজ ও বিশৃঙ্খলা বেড়ে যাচ্ছে তার পিছনে মূল যা দায়ী তা হল ধর্মীয় শিক্ষার অভাব তথা মানুষের ধর্ম থেকে দূরে সরে যাওয়া ও যথাযথ পারিবারিক শিক্ষার অভাব।
মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে ধর্মীয় বন্ধন শিথিল হয়ে পড়ছে । আবার ধর্মীয় বন্ধন শিথিল হওয়ার ফলে পারিবারে অসৎ মানুষ বেড়ে যাচছে । আর পরিবারের বড়রা যদি নীত-নৈতিকতার চর্চা না করে তাহলে ছোটরা তা কোথা থেকে শিখবে?
আর এই ছোটরাও বড়ে হয়ে তাই করছে ,যা তাদের বড়দের করতে দেখেছে।
সময় ? সময় খুব বেশী পাইনা কামলা দেবার পরে। তারপরেও যতদূর সময় মিলে সেই সময়ে এইসব আকামই করি ভাইজান।
১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪২
সাসুম বলেছেন: আমি কমেন্ট করলাম কি আর আপনি রিপ্লাই দিলেন কি?
আমি বললাম আপনার এই পোস্টের ২ টা ভিন্ন জিনিষ কে একত্র করাটা জগাখিছুড়ি কারন ২টা ভিন্ন ভিন্ন আলাপ।
পরকীয়াঃ এটা একটা ভিন্ন আলাপ। এটা দুনিয়ার সকল দেশের সকল ধর্মে অপরাধ। এটা যে অপরাধ এটা বুঝার জন্য ধর্ম লাগেনা। বিয়ে একটা চুক্তি। পরকীয়া সেই চুক্তির বরখেলাফ, আরেকজনের সাথে প্রতারণা এবং মিথ্যা কথা বলা। এটা চূড়ান্ত অপরাধ। এটাকে জাস্টিফাই করার কিছু নেই।
লিভ টুগেদারঃ এটা শুধুমাত্র একটা জান্নাতি ধর্মে অপরাধ। দুনিয়ার বাকি সব সভ্য দেশ, সমাজ এবং রাস্ট্রে এটা অপরাধ না, অন্যায় না। এটা মানুষের একান্তই পারসোনাল বিষয়। দুইজন এডাল্ট মানুষ কে কি করবে সেটা আমি আপনি হুজুর পুরোহিত ইমাম ঠিক করে দেয়ার কেউ না। এটার নাম স্বাধীনতা।
এখন এই যে বিপরীত মুখি দুইটা জিনিষ কে এক করে খিচুড়ি বানাইছেন এটাই বলতে চাইলাম।
এখন ধরেন, আমি একটা পোস্ট লিখতে চাইলাম। সেটা হেডিং দিলাম এরকম - আরবের এক অশিক্ষিত রাখাল বালকের অসামান্য দক্ষতা ও কৌশল দিয়ে পুরা দুনিয়া পদাবনত করা নিজের প্রচারিত ধর্মকে ব্যবহার করে এবং তার ৬ মতান্তরে ৯ বছর বয়সী শিশুকে বিয়ে করার কারন ও দায়ভার।
জিনিষ টা কি ঠিক হবে নাকি যৌক্তিক হবে? একটা আলাপ কৌশল, দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে কি করে মরুর বুক থেকে উঠে আসা এক রাখাল বালকের দুনিয়ার ওয়ান অফ দা মোস্ট প্রমিনেন্ট নেতা হবার আলাপ আরেকদিকে সে নেতার জীবনের সবচেয়ে বিতর্কিত একান্ত পারসোনাল কাজের সমালোচনা। দুই জিনিষ কে কি এক করা যায় কিংবা একই ব্রাকেটে আলাপ করা যায়?
কিংবা ধরেন, আমরা আলোচনায় করতে বস্লাম, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং হিটলারের সাথে মহাত্না গান্ধীর সম্পর্ক এবং তার নেংটা হয়ে সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে ঘুমানো। একটা বিষয় হলঃ ব্রিটিশ দের কাছ থেকে আলাদা হবার এক অসামান্য আলাপ এবং হিটলারের সাথে যোগ দিয়ে এন্টি ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে যোগদানের অবাক করা কাহিনী আরেকদিকে সেই লোকের পারসোনাল রাতে ঘুমানোর আলাপ। দুইটা জিনিষ কি একই ব্রাকেটে আলাপ করা যৌক্তিগত?
আমি এই বিষয় টা বুঝালাম। এখানে একটা জিনিষ আপনার চোখে সহ দুনিয়ার সবার চোখে অপরাধ। সেটার সাথে আরেকটা জিনিষ যা শুধুমাত্র আপনার আর আপনার ধর্মের চোখে অপরাধ বাট অন্য কারো কাছে পারসোনাল জিনিষ নিয়া টানাটানি, এই দুইটা জিনিষ নিয়া একই আলাপ চিন্তার সংকীর্ণতা। আমার মূল বক্তব্য এটাই।
এবার আসা যাক আমি কই আছি।
পরকীয়াঃ এটা নিয়ে তো কথা হবার দরকার নাই। এটা অপরাধ ও অন্যায় এটা সবাই মানে। আমিও মানি। আমি করিনা বা করার ইচ্ছা ও নাই এবং এটা কেউ করুক তাও চাইনা। আমি না কোন সভ্য মানুষ এই অন্যায় কে কখনো জাস্টিফাই করবেনা। খালি আপনার পরকীয়ার জন্য পর্দাকে দায়ী করা দেখে কিংবা অনেক গুলা ফ্যাক্টর এর একটা ফ্যাক্টর হিসেবে স্টাব্লিশ করতে দেখে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল। মানে খাজকাটা কুমিরের মত দুনিয়ার যাই ঘটুক না কেন, সেটার কারন নারীর পর্দা। আলহামদুলিল্লাহ
লিভ টুগেদারঃ আমি লিভ টুগেদার এর বিপক্ষে বাংলাদেশ এর পরিপ্রেক্ষিতে। কারন, এটা করা যায় সেসব সমাজে যেসব সমাজে মানুষ নারী আর পুরুষ কে সমান মর্যাদা দেয় মানুষ হিসেবে। আমাদের ৯৫% মোসল্মানের দেশে নারীরা তো মানুষ না, তারা জাস্ট সেক্স অব্জেক্ট। এখানে লিভ টুগেদার এর ধর্মীয়, সামাজিক এবং ইকোনমিকাল এফেক্ট অনেক অনেক বিশাল যেটার জন্য আমাদের সমাজ এখনো মানসিক ভাবে কিংবা ইকোনমিক ভাবে প্রস্তুত না। কিংবা আমাদের সমাজ এখনো বিয়ে ব্যতীত সন্তান লালন পালন কিংবা সেই সন্তানের বড় হবার পর তাকে মানুষ করার জন্য এখনো সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় কোন সেফটি নেট নাই, তাই আমি বিপক্ষে। এটা ভিন্ন আলাপ। অনেক বড় আলাপ। বাট আমি পারসোনালি বাংলাদেশের সমাজে লিভ টুগেদার এর বিপক্ষে।
বাট দুইজন এডাল্ট পারস্পরিক সম্পতিতে লিভ টুগেদার করলে তাতে বাধা দেয়ার, তাকে অণৈতিক, অসামাজিক বলার ও বিপক্ষে। আমি পছন্দ করিনা বলে আরেকজন করবে না বা করলে আমি বাধা দেব- এটাই আমার আপত্তি।
আমার বেঁধে দেয়া নৈতিকতার ও সামাজিকতার মানদন্ড দুনিয়ার সবাইকে মেনে চলতে হবে এটাই আমার আপত্তির।
লিভ টুগেদার একটা পারসোনাল বিষয়। এই পারসোনাল বিষয়ে হস্তক্ষেপ একটা অন্যায়। যার কারনে, দুনিয়ার কোন সভ্য দেশ এই অন্যায় করে না একমাত্র নামের শেষে স্তান আছে এমন দেশ বাদে। যেমন- নাপাকিস্তান, সৌদস্তান, আফগানিস্তান এবং ব্লা ব্লাব্লা। বাঙ্গুস্তান এ এই আইন নেই, তবে আপ্নার মত অতি উৎসাহী ধার্মিক রা এদের এক সাথে বাস করতে দেখলে যেভাবে হেনস্তা করেন এবং আমাদের ধার্মিক পুলিশ ভাইরা যেভাবে উঠে পড়ে লাগে আইনি ও বেয়াইনি ভাবে হেনস্তা করতে এই কারনে আমি আমাদের দেশের ছেলেমেয়ের লিভ টুগেদার এর বিপক্ষে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
আমি কমেন্ট করলাম কি আর আপনি রিপ্লাই দিলেন কি? আমি বললাম আপনার এই পোস্টের ২ টা ভিন্ন জিনিষ কে একত্র করাটা জগাখিছুড়ি কারন ২টা ভিন্ন ভিন্ন আলাপ।পরকীয়াঃ এটা একটা ভিন্ন আলাপ। এটা দুনিয়ার সকল দেশের সকল ধর্মে অপরাধ। এটা যে অপরাধ এটা বুঝার জন্য ধর্ম লাগেনা। বিয়ে একটা চুক্তি। পরকীয়া সেই চুক্তির বরখেলাফ, আরেকজনের সাথে প্রতারণা এবং মিথ্যা কথা বলা। এটা চূড়ান্ত অপরাধ। এটাকে জাস্টিফাই করার কিছু নেই।
লিভ টুগেদারঃ এটা শুধুমাত্র একটা জান্নাতি ধর্মে অপরাধ। দুনিয়ার বাকি সব সভ্য দেশ, সমাজ এবং রাস্ট্রে এটা অপরাধ না, অন্যায় না। এটা মানুষের একান্তই পারসোনাল বিষয়। দুইজন এডাল্ট মানুষ কে কি করবে সেটা আমি আপনি হুজুর পুরোহিত ইমাম ঠিক করে দেয়ার কেউ না। এটার নাম স্বাধীনতা।
এখন এই যে বিপরীত মুখি দুইটা জিনিষ কে এক করে খিচুড়ি বানাইছেন এটাই বলতে চাইলাম।
- আপনি যা বলেছেন তা একদিকে যেমন ঠিক আছে ঠিক তেমনি আমি যা বলেছি তাও ঠিক আছে। কারন,আধুনিক সমাজ বা আধুনিক মানুষ হিসাবে আপনি পরকীয়া এবং লিভ টুগেদারকে আলাদা আলাদা ভাবে বলতে পারেন তবে ইসলামে ধর্মীয়ভাবে উভয় কাজের একই অর্থ বহন করে একই মানে প্রকাশ করে ব্যভিচার (illegal sex) বা অবৈধ যৌনতা। আর তাই এ দুটা আলাদা কোন কাজ বা আলাদা কিছু নয়। উভয় কাজের মূল লক্ষ্যই ব্যভিচার (illegal sex) বা অবৈধ যৌনতা।এটা দুজন এডাল্ট মানুষ যে কোন নামেই করুক তা ধর্মীয় ও নৈতিকভাবে গ্রহনযোগ্য নয়।
এখানে একটা জিনিষ আপনার চোখে সহ দুনিয়ার সবার চোখে অপরাধ। সেটার সাথে আরেকটা জিনিষ যা শুধুমাত্র আপনার আর আপনার ধর্মের চোখে অপরাধ বাট অন্য কারো কাছে পারসোনাল জিনিষ নিয়া টানাটানি, এই দুইটা জিনিষ নিয়া একই আলাপ চিন্তার সংকীর্ণতা। আমার মূল বক্তব্য এটাই।
এবার আসা যাক আমি কই আছি।পরকীয়াঃ -------- লিভ টুগেদারঃ ---------------------
- যেই নামেই ডাকুন না কেন দুটাই ধার্মিক তথা ধর্মের চোখে অপরাধ । এটা কারো কারো চিন্তার সংকীর্ণতা মনে হতে পারে তবে ধর্মে এ ব্যাপারে কোন উদারতার সুযোগ নেই।যত যাই-যেভাবে খুশী সমালোচনা কিংবা মুক্তমনা হউন বা যতই যুক্তি-তর্ক
উপস্থাপন করেন ইডা আকাম । ইডার কোন মাপ নাই।
বাট দুইজন এডাল্ট পারস্পরিক সম্পতিতে লিভ টুগেদার করলে তাতে বাধা দেয়ার, তাকে অণৈতিক, অসামাজিক বলার ও বিপক্ষে। আমি পছন্দ করিনা বলে আরেকজন করবে না বা করলে আমি বাধা দেব- এটাই আমার আপত্তি।
আমার বেঁধে দেয়া নৈতিকতার ও সামাজিকতার মানদন্ড দুনিয়ার সবাইকে মেনে চলতে হবে এটাই আমার আপত্তির।
- অনেকের নিকট আপনার আপত্তি গ্রহনযোগ্য হতে পারে আবার অনেকের নিকট নয় । কারন, এই উভয় কাজগুলিই চরম আপত্তি জনক।
লিভ টুগেদার একটা পারসোনাল বিষয়। এই পারসোনাল বিষয়ে হস্তক্ষেপ একটা অন্যায়। যার কারনে, দুনিয়ার কোন সভ্য দেশ এই অন্যায় করে না একমাত্র নামের শেষে স্তান আছে এমন দেশ বাদে। যেমন- নাপাকিস্তান, সৌদস্তান, আফগানিস্তান এবং ব্লা ব্লাব্লা। বাঙ্গুস্তান এ এই আইন নেই, তবে আপ্নার মত অতি উৎসাহী ধার্মিক রা এদের এক সাথে বাস করতে দেখলে যেভাবে হেনস্তা করেন এবং আমাদের ধার্মিক পুলিশ ভাইরা যেভাবে উঠে পড়ে লাগে আইনি ও বেয়াইনি ভাবে হেনস্তা করতে এই কারনে আমি আমাদের দেশের ছেলেমেয়ের লিভ টুগেদার এর বিপক্ষে।
- ধর্মে যা নিষিদ্ধ তা সকল যুগে-সকল কালে -সকল সমাজে (তা আমেরিকা-ইউরোপ-আরব) সব দেশেই সমানভাবে প্রযোজ্য । এখানে কিছুটা মানা কিংবা কিছুটা না মানার বিষয় নয়। তবে নুসরাতের মত মুসলমান (টলি নায়িকা) হলে সমস্যা নাই । বিয়ে করল লোক দেখিয়ে তুরস্কের আইনমতে , পরে বলল তা মুসলিম কিংবা হিন্দু মতে হয়নি ।তাই এই বিয়ে আইনের চোখে বৈধ নয় । কাজেই রানিং জামাইকে তালাক না দিয়েই লুক্কায়িত আরেকজনের সাথে যৌনতা এবং গর্ভবতী । সন্তানের পিতৃপরিচয় চাওয়ার পরে বলল, " বাবা জানে বাবা কে ''?
তারমানে সেও জানেনা , সে কার সন্তান? কার সাথে যৌনতায় সে গর্ভবতী। এরকম মুসলমান হলে আপনার আপত্তি সাদরে গ্রহন করবে ধর্মীয় আপত্তি উপেক্ষা করে।
পক্ষে-বিপক্ষে যাই বলিনা কেন , দুটাই আপত্তিকর কাজ এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই তবে কিছু মানুষ তাদের অবৈধ ইচছা পূরণ করতে তাদের সমর্থন করে এটাও ঠিক। তবে বেশীরভাগ মানুষই এর বিপক্ষে থাকবে,সুবিধাভোগী- সুবিধাবাদীরা ছাড়া।
১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০২
শেরজা তপন বলেছেন: বিশাল লেখা
পরকীয়ায় ভ্রাতা যে এমন বিশেষজ্ঞ তা জানা ছিল না।
খাটাখাটুনি করে এমন বিশ্লেষধর্মী লেখার জন্য ধন্যবাদ।
বিয়ে করে বউ রেখে দীর্গ প্রবাস বাস কিন্তু এদেশে পরকীয়ার একটা প্রধান কারন। প্রকিয়া না হলেও তাদের আত্মিক মিল কোনদিনও হয় না।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।
বিষয় যেমন জটিল লেখাও তেমন বিশাল।
পরকীয়ায় বিশেষজ্ঞ - আহা !!!!!!!!!!!!! বেশ !!!!!!!!!!!!!!! বেশ !!!!!!!!!!!!!!!
আমার মনে হয় , ছোট বড় সকলেই আমরা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছি । আর তাইতো দেশে-সমাজে খালি পেরেম-পেরেম আর পেরেম।
এখন সবাই আমরা পেরেম খাই,পেরেম করি , পেরেমে ঘুমাই তবে নিজেরটার সাথে নয় আরেকজনেরটার সাথে । তবে ইডা ভাবিনা আমি যদি আরেকজনেরটা করি আমারটা কি আরেকজনে ছেড়ে দিবে?
খাটাখাটুনি করে এমন বিশ্লেষধর্মী লেখার জন্য ধন্যবাদ।
- শুকরিয়া ভাই জান ।
বিয়ে করে বউ রেখে দীর্গ প্রবাস বাস কিন্তু এদেশে পরকীয়ার একটা প্রধান কারন। প্রকিয়া না হলেও তাদের আত্মিক মিল কোনদিনও হয় না।
-ছোট গরীব দেশ, বিশাল জনসংখ্যা। দেশে রোজগারের সুবিধা না করতে বিদেশ যায় । গিয়ে হাড়ভাংগা খাটুনির পর মাস শেষে টাকা পাঠায় । সেই টাকায় বেগম সাহেবা এলাকার সবার ভাবী-বিদেশীর বউ (ভাই ছাড়া ভাবী এলাকার সব যুবকের ব্উ / দেশে আরেকটা কথা প্রচলিত আছে যে , " খোটা ছাড়া গাই এবং জামাই ছাড়া বউ এলাকার সবার যে কেউ চাইলেই দুধ দুইয়ে নিতে পারে " ) ।
জামাই ছাড়া বউ বিদেশী টাকা পেয়ে , কোন কাজ কাম না করে বসে বসে তাই করে যা তার ভাল লাগে । আর আশে পাশে গুইসাপ (সুযোগ খোজা ভাইয়েরা) রা ভাইয়ের অবর্তমানে মুরগীর বাচচা খেয়ে চলে মনের সুকে।
১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরকীয়া আর লিভ টুগেদার পরিবার প্রথার উপর হুমকি। পশ্চিমে এইভাবে চললে পরিবার থাকবে না এবং জনসংখ্যা কমতে থাকবে। ওখানে বিয়ে না করা এবং সন্তান না নেয়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে। জনসংখ্যা কমে যাওয়া অনেক উন্নত দেশের জন্য একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামনে আরও প্রকট হবে। জনবহুল দেশগুলিই এক সময় বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেবে। তবে নিকট ভবিষ্যতে না হয়ত।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
কিছু মানুষের অবৈধ ও সুবিধাবাদী কাজের বলি হচছে সমাজের হাজার বছর ধরে প্রচলিত রীতি- নীতি ও মূল্যবোধগুলি । আর তার এগুলির বৈধতা দিতে চাচছে ব্যক্তি স্বাধীনতার বুলি আওরিয়ে । অথচ এসব কাজের যে ক্ষতিকর প্রভাব পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রে পড়ে সে ব্যাপারে উদাসীন থাকতে চায়।
বিজ্ঞান তত্ত্ব অনুসারে যেমন, " প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে " ঠিক তেমনি এসব অসামাজিক কাজের ক্ষতিকর প্রভাবও এখন পরিবার-সমাজে ভালোভাবেই পড়ছে।
আবার প্রকৃতিও অযাচার তথা অনাচার বেশীদিন সহ্য করেনা । আর তাইতো মানুষ এখন নানা রকম জঠিল ও কঠিন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচছে।
অথচ এসব কিছুই বিবেচনায় নিতে চায়না মানুষ শুধু তার অবৈধ কামবাসনা পূরণের জন্য।
১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিয়ের প্রচলন ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে। লিভিং টুগেদার একধরণের চল হয়ে যাচ্ছে। পিতৃত্ব-মাতৃত্ব এসবের সঙ্গাই বদলে যাবে এক সময়।
প্রযুক্তি ও পুঁজিবাদের উপজাত সমস্যাই কি আমাদের ভবিষ্যৎ ?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ স্বামী বিশুদ্ধানন্দজী, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
বিয়ে মানে কিছু বৈধ মজার সাথে অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য।তার সাথে সাথে সামজিকতা রক্ষার বাধ্যবাধকতা। আর লিভ টুগেদার মানে কম দায়িত্ব ও কর্তব্যের সাথে অধিক মজা কোন রকম বাধ্যবাধকতা ছাড়াই।বিয়ে মানে সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য , আর লিভ টুগেদার মানে সন্তানের (জারজ/অবৈধ) কোন দায়িত্ব ও কর্তব্য নেই । কাজেই এ শুধু মজাই মজা। এ যেন , " লুটলে ভাই লুটলে ,যিতনা চাহে লুটলে " র মত।
কিছু মানুষের অবৈধ ও সুবিধাবাদী কাজের বলি হচছে সমাজের হাজার বছর ধরে প্রচলিত রীতি- নীতি ও মূল্যবোধগুলি । আর তার এগুলির বৈধতা দিতে চাচছে ব্যক্তি স্বাধীনতার বুলি আওরিয়ে । অথচ এসব কাজের যে ক্ষতিকর প্রভাব পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রে পড়ে সে ব্যাপারে উদাসীন থাকতে চায়।
বিজ্ঞানের তত্ত্ব অনুসারে যেমন, " প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে " ঠিক তেমনি এসব অসামাজিক কাজের ক্ষতিকর প্রভাবও এখন পরিবার-সমাজে ভালোভাবেই পড়ছে।
জারজ / অবৈধ সন্তানের ছড়াছড়ি সাথে সিংগেল বাবা-মা উইথ নো পরিবার এসবই প্রযুক্তি ও পুঁজিবাদের উপজাত হিসাবে আমাদের ভবিষ্যৎ।
১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০১
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ভাই, বিবাহিত জীবন উপভোগ করছি না। আমি বউ ছাড়াই ভালো ছিলাম। কেন যে মানুষ বিয়ে করে?
বিয়ে মানে কাবিনের ব্যাবসা। না হয় যৌতক। বিয়ে মানেই তালাকের জন্য আদালতে ছুটাছুটি। তাই বিয়ে কে বরাবরই ভয় করতো। বাপ মা ইচ্ছে করে এমন অশান্তি তে প্রবেশ করিয়েছেন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ইমরোজ৭৫ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং সমব্যাথী আপনার ব্যাথায়।
জীবন সংগী যদি ভাল না হয় তবে বিয়ে কারো কারো জীবনের করুণ অধ্যায় হয়ে দাড়ায়। আর দুভাগ্যক্রমে আপনি হয়ত অভাগাদের মাঝের একজন।
এসব ক্ষেত্রে আইন-আদালত করে আরো ঝামেলা বাড়ে ছাড়া কমেনা। যদি সম্ভব হয় তবে উভয়ে / উভয়ের পরিবার আপোষে বসে সমাধানে যাওয়া সবচেয়ে ভাল বলে আমার মনে হয়। এ বরদনার তবে তারপরেও সকল বেদনারই একসময় উপশম / সমাধান হয় । প্রয়োজন ধৈর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা।
দয়াময়ের কাছে চাওয়া, তিনি যেন আপনার সকল সমস্যার সমাধান করে দেন এবং সকল প্রকার পেরেশানী দূর করে দেন।
১৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আবার এলাম শুধু মন্তব্য গুলো পড়তে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার আসার জন্য ।
১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪৯
সাসুম বলেছেন: আপনার সাথে কথা বললে মাঝে মাঝে বিরক্ত ধরে যায় শুধুমাত্র টপিক এর বাইরের জিনিষ এনে সেটাকে জোর করে রিলেট করানোর চেস্টার কারনে। যাই বলিনা কেন, বা যাই আস্ক করিনা কেন- উত্তর সেই আপনার বাই ডীফল্ট ধরা বাধা একটা কন্টেক্সট থেকেই। এই জিনিষ টা বিরক্তিকর। কারন, আপনি ১০ টা টপিক তুল্লাম তাও আপনি সেখান থেকে চেরি পিকিং করে ৫ টা নিলেন যেগুলা নিয়ে আমার সাথে আপনি পালটা নিজের মতবাদ দিতে পারবেন বাট বাকি যুক্তি গুলোর ধারে কাছেও যান না। মানে তালগাছ যেটাকে আপনার নিজের মনে হয় না সেটা বাদ আর যেটাকে কোন ভাবে আপনার মনে করেন সেটা যাই হোক না কেন ঘটনা আপনার। আর কারো অধিকার নেই এই তালগাছে। একদম আপনার প্রচার করা ধর্মের মতই- যা লিখা আছে বা যা শুনেছি লোকমুখে সব সত্য, যুক্তি না লজিক এর মায়রে বাপ।
যাই হোক- আপনার সাথে কথা বলার অন্যতম কারন আপনি রেগে যান না। এটা একটা ভাল গুণ। সত্য বললে বিলিভ করবেন কিনা জানিনা, আমি না রেগে যাওয়ার চিন্তা করলে আপনার কথা মাথায় আসে। এই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এবার আসি কন্টেক্সট এ। যা জানতে চেয়েছি তার কিছুই পাইনাই রিপ্লাই এ বরং কোথাকার কোন হিন্দি নায়িকা কে দিয়ে উদাহরণ টেনে আনলেন।
যাই হোক, আপনার পোস্টের হেডিং এ এক্টা চমৎকার কথা আছে- লিভ টুগেদার আর পরকীয়া সমাজে বিরুপ ও করূন পরিণতি টেনে আনে। পরকীয়া নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। এটা দুনিয়ার সবাই মেনে নিছে খারাপ।
আমার খালি জানার প্রশ্ন, লিভ টুগেদার সমাজ নস্ট করে কিংবা করুন পরিণতি ডেকে আনে বা ধ্বংস করে- এই সমাজ কোন টা? মানে কোন সমাজের গবেষণার উপর নির্ভর করে আপনি এই যুক্তি দিলেন? একটু ডেটা দিয়ে দেখাইয়েন আমাকে স্পেসিকালি কোন দেশ বা কোন সমাজ ধ্বংস হয়ে গেছে বা করূন পরিণতি ডেকে আনছে।
এরপর আমি যেটা করব সেটা হল- আপনাকে পালটা লজিক, ডেটা এবং স্টাটিস্টিক্স দিয়ে পই পই করে দেখিয়ে দেব, আপনার সেই করুন পরিণতি ডেকে আনা সমাজ আপনার বর্তমান বাঙ্গু সমাজ ও সভ্যতার চেয়ে কতটা বেটার অবস্থায় আছে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য এবং বিলম্বে জবাবের জন্য দুঃখিত।
আপনার সাথে কথা বললে মাঝে মাঝে বিরক্ত ধরে যায় শুধুমাত্র টপিক এর বাইরের জিনিষ এনে সেটাকে জোর করে রিলেট করানোর চেস্টার কারনে। যাই বলিনা কেন, বা যাই আস্ক করিনা কেন- উত্তর সেই আপনার বাই ডীফল্ট ধরা বাধা একটা কন্টেক্সট থেকেই। এই জিনিষ টা বিরক্তিকর। কারন, আপনি ১০ টা টপিক তুল্লাম তাও আপনি সেখান থেকে চেরি পিকিং করে ৫ টা নিলেন যেগুলা নিয়ে আমার সাথে আপনি পালটা নিজের মতবাদ দিতে পারবেন বাট বাকি যুক্তি গুলোর ধারে কাছেও যান না। মানে তালগাছ যেটাকে আপনার নিজের মনে হয় না সেটা বাদ আর যেটাকে কোন ভাবে আপনার মনে করেন সেটা যাই হোক না কেন ঘটনা আপনার। আর কারো অধিকার নেই এই তালগাছে। একদম আপনার প্রচার করা ধর্মের মতই- যা লিখা আছে বা যা শুনেছি লোকমুখে সব সত্য, যুক্তি না লজিক এর মায়রে বাপ।
- সব কিছু কিছু কি ভাই যুক্তিতে চলে? বিশেষ করে,ধর্মীয় বিষয়ের যা আছে তার মাঝে কোন পরিবর্তন বা নতুন করে কোন যুক্তি গ্রহনযোগ্যতা পায়না। কাজেই , তালগাছটা আমারই থাকল।মেনে নেননা,ভাই।
যাই হোক- আপনার সাথে কথা বলার অন্যতম কারন আপনি রেগে যান না। এটা একটা ভাল গুণ। সত্য বললে বিলিভ করবেন কিনা জানিনা, আমি না রেগে যাওয়ার চিন্তা করলে আপনার কথা মাথায় আসে। এই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
- রাগ যে আসেনা এমন নয়,ভাই রাগ আসে আমারও। তবে এই গল্পটা পড়েছেন কিনা জানিনা -
এক স্বামী সবসময় তার স্ত্রীর সাথে রাগারাগি - গালাগালি করে । তবে স্ত্রী খুব ভাল যে, সে কখনো তার স্বামী যখন রাগারাগি করে কিছু বলেনা এবং তার সব কথা মেনে নেয়। আর স্বামী সবসময় দেখে যে, যখন তার রাগারাগি - গালাগালি শেষ হয় তখন তার স্ত্রী বাথরুমে ঢুকে যায়। সে মনের আনন্দে ভাবে তার স্ত্রী হয়ত মনের দুঃখে বাথরুমে বসে কান্না করে। তবে আসলে সে স্ত্রী বাথরুমে বসে কান্না করেনা । তাহলে কি করে ?
সে বাথরুমে ঢুকে মনের যত রাগ আছে সব রাগ দিয়ে তার স্বামীর দাত মাজার ব্রাশ দিয়ে টয়লেটের কমোড পরিষ্কার করে, তারপর ব্রাশটাকে ধুয়ে মুছে রেখে আসে । স্বামী রাগারাগী শেষে বউ বাথরুম থেকে বের হলে সে যায় বাথরুমে এবং মনের আনন্দে করে দাত ব্রাশ । তবে সে একটা বিষয় সবসময়ই ভাবে, কেন যে তার ব্রাশ অল্পদিনেই নষ্ঠ হয়ে যায় তা ভেবে পায়না অথচ তার স্ত্রীর ব্রাশ যায় অনেকদিন।
আমার খালি জানার প্রশ্ন, লিভ টুগেদার সমাজ নস্ট করে কিংবা করুন পরিণতি ডেকে আনে বা ধ্বংস করে- এই সমাজ কোন টা? মানে কোন সমাজের গবেষণার উপর নির্ভর করে আপনি এই যুক্তি দিলেন? একটু ডেটা দিয়ে দেখাইয়েন আমাকে স্পেসিকালি কোন দেশ বা কোন সমাজ ধ্বংস হয়ে গেছে বা করূন পরিণতি ডেকে আনছে।
- পরিবার ভাংগা, সামজিকতা-মূল্যবোধের অবক্ষয়, জারজ (অবৈধ-পিতৃপরিচয় হীন )সন্তান বেড়ে যাওয়া,তালাকের প্রবণতা
বৃদ্ধি - কোনটা রেখে কোনটা বলব ভাইজান?
এরপর আমি যেটা করব সেটা হল- আপনাকে পালটা লজিক, ডেটা এবং স্টাটিস্টিক্স দিয়ে পই পই করে দেখিয়ে দেব, আপনার সেই করুন পরিণতি ডেকে আনা সমাজ আপনার বর্তমান বাঙ্গু সমাজ ও সভ্যতার চেয়ে কতটা বেটার অবস্থায় আছে।
- যত যুক্তি-তর্কই করি ভাই - এ দুয়ে যতটা লাভ তার থেকে ক্ষতিই বেশী । তা সে ব্যক্তির কিংবা সমাজের , যেখানে দেখেন না কেন।
১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৬
সাজিদ! বলেছেন: তের আর চৌদ্দ নাম্বার কমেন্টে খুব সুন্দর একটা কথা বলা হয়েছে - পারিবারিক প্রথা ভেঙ্গে যাওয়া। আপনার এখানে যেসব ভদ্রলোক শুরু থেকেই লম্বা লম্বা কমেন্ট করে যাচ্ছেন, আশা করি তাদের মধ্যে এই ধারনাটা আসবে যে, লিভ টুগেদারের দীর্ঘস্থায়ী পরিনতি কি সমাজের জন্য।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাজিদ ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য এবং বিলম্বে জবাবের জন্য দুঃখিত।
যে কোন বিষয়ে জানার দুইটা দিক আছে। একটা পজেটিভ আর একটা নেগেটিভ ।
আর জানার বিষয়ে যেটা জরুরী, সেটা হলো খোলা মন । খোলা মন থাকলে আলোচ্য বিষয়ের ভাল-খারাপ,উপযোগীতা-গ্রহনযোগ্যতা ইত্যাদি বিষয়ে বিশদ আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছা সহজ হয় । আর যদি প্রথমেই বিষয়ের ব্যাপারে নেগেটিভ মনোভাব থাকে তা কখনো সঠিক তথ্য দিতে সক্ষম হবেনা।
কাজেই, লিভ টুগেদারের ব্যাপারে যতই আলোচনা করা হউক না কেন , খোলা মন নিয়ে আলোচনা করলে এর সুফল থেকে কুফলই বেশী পরিলক্ষিত হবে।
১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩১
নতুন বলেছেন: মানব ইতিহাসে বিয়ে শুরুর থেকে ছিলো না। এই প্রথা পরে যোগ হয়েছে।
হয়তো একটা সময় বিয়ের বিষয়টা থাকবেনা।
পুরুষ/নারী মারা গেলে তার সম্পত্তি কে পাবে সেটাই সমস্যা থেকেই বিয়ের বিষটা এসেছে। এটার যদি একটা সমাধান হয়ে যায় তবে বিয়ের বিষয়টা আবার চলেও যেতে পারে।
নারী পুরুষের উপরে নির্ভর না থাকলে স্বামীর দরকার তেমন একটা হয় না। পুরুষ ছাড়াও সে সমাজে চলতে পারে।
বরং পুরুষই মনে হয় নারী ছাড়া চলতে পারেনা।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য এবং বিলম্বে জবাবের জন্য দুঃখিত।
মানব ইতিহাসে বিয়ে শুরুর থেকে ছিলো না। এই প্রথা পরে যোগ হয়েছে।
- ইসলামের ইতিহাস কিন্তু এ কথা বলেনা বলে ভিন্ন কথা।
হয়তো একটা সময় বিয়ের বিষয়টা থাকবেনা।
- হয়তো বা হয়ত না।
দুনিয়া থাকা কালীন বিয়ে প্রথা একেবারে উঠে যাবে - এমনটা নাও হতে পারে। কারন, কিছু মানুষ থাকবেই পারিবারিক -পুরনো রীতি -নীতি-মূল্যবোধ আকড়ে ধরে রাখবে, নতুনের জোয়ারের মাঝেও।
পুরুষ/নারী মারা গেলে তার সম্পত্তি কে পাবে সেটাই সমস্যা থেকেই বিয়ের বিষটা এসেছে। এটার যদি একটা সমাধান হয়ে যায় তবে বিয়ের বিষয়টা আবার চলেও যেতে পারে।
- শুধু সম্পত্তিই মূখ্য বিষয় বলে মনে হয়না। এ ছাড়াও মন-মানষিকতা, নীতি-নৈতিকতা-মূল্যবোধ-সামাজিকতা -চারিত্রিক
পবিত্রতা-বহুগামীতা নিয়ে কারো কারো নেগেটিভ মনোভাব - অনেক কিছুই এর সাথে জড়িত।
নারী পুরুষের উপরে নির্ভর না থাকলে স্বামীর দরকার তেমন একটা হয় না। পুরুষ ছাড়াও সে সমাজে চলতে পারে।
বরং পুরুষই মনে হয় নারী ছাড়া চলতে পারেনা।
- আপনি-সমাজ যতই ব্যক্তি স্বাধীনতা দেন না কেন , যুগে যুগে কিছু মানুষ থাকবে যারা কখনোই ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে অবাধ যৌনতা না উপভোগ করবে না গ্রহন করবে। আর তাইতো আমরা দেখি , সমাজে কেউ সম্ভ্রম ( ইজ্জত) বেঁচে জীবন চালায় আবার কেউ তার সম্ভ্রম ( ইজ্জত) রক্ষায় জীবন বিলিয়ে দেয় কোন প্রশ্ন ছাড়াই। আর নারী ছাড়া পুরুষ অসম্পূর্ণ আর পুরুষ ছাড়া নারী অন্ধ ।
এই দুইয়ে মিলেই সম্পূর্ণ মানুষ (মানব সমাজ) ।আলাদা আলাদা ভাবে নয়।
২০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৮
সাসুম বলেছেন: যুক্তি আর তর্ক দুইটা আলাদা জিনিস। আপনি করেন লজিকাল ফ্যালাসি। সেই ফ্যালাসির আবার রকমফের আছে
যেমন ধরেন একবার করেন- এপিয়াল টু বিলিভ ফ্যালাসি
এর মানে হইলো এত হাজার লাখ কোটি লোক যেহেতু কইছে তাই এইটাই সত্য, বাকি সব মিথ্যা কথা যদিও এই সত্যের মাঝখানে যুক্তি কমন সেন্স কোনটাই নাই।
আবার করেন এপিয়াল টু অথরিটি ফ্যালাসি- এর মানে হইলো আমি এই এলাকার সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা। যেহেতু আমি কইছি আমার হাতের ইশারায় সুর্য সকালে উঠে আর বিকালে অস্ত যায় তাই এটাই আসল। বাকি সব ভুয়া।
এখন, আপনাকে বলতে বললাম লিভ টুগেদার এর কারনে কোন সমাজ নস্ট হয়ে গেছে সেই উদাহরণ দিতে যাতে করে আমি লজিকাল এক্সপ্লেনেশান, ডেটা, এক্সাম্পল এবং স্টাটিস্টিক্স ইউজ করে আপ্নারে ভুল প্রমান করতে পারি যে সেই সমাজ ফ্যালাসিতে পরিপূর্ণ সমাজের চেয়ে অনেক অনেক ভাল আছে।
আপনি কইলেন কি? কইলেন- পিতৃ পরিচয় হীন সন্তান বেড়ে যাচ্ছে লিভ টুগেদার এর কারনে? সিরিয়াস্লি ভাই? মানে আপনার জানা শোনা এত কম? লিভ টুগেদার তো দুই জনেই করে তাইনা? তাইলে সন্তান হলে তো সেই কাপলের পুরুষ টার ই হবে তাইনা?
লিভ টুগেদার আর মাল্টিপল পার্টনার নিয়া রাত দিন সেক্সুয়াল অর্গি করা কোন ধরনের প্রটেকশান ছাড়া - একই বিষয় না।
আরো কইলেন- পরিবার ভেংগে যাচ্ছে, তালাকের হার বেড়ে যাচ্ছে? মানে সিরিয়াস্লি? যেখানে বিয়ে করেই নাই তারা, পরিবার গড়েই নাই সেখানে তালাক হবে কেম্নে আর হার বেড়ে যাবে কেম্নে?
মানে তালাকের হার বেড়ে যাওয়ার সাথে যে লিভ টুগেদার এর কোন রিলেশান নাই এটাই এখন আমাকে বলতে হবে?
আর আপনি বার বার আমার কথাকে চেরি পিকিং করে দুইটা জিনিস কে এক করে ফেলছেন।
পরকীয়া একটা অপরাধ। সমাজ রাস্ট্র এবং পারিবারিক সব দিক থেকেই। কেন অপরাধ? কারন সেখানে দুইজন এডাল্ট এর মাঝে করা চুক্তি ভংগ করে একটা পক্ষ এবং অপরাধ এই যায়গায়।
আর লিভ টুগেদার অপরাধ না। বাট এটা আপনার স্পেসিফিক ধর্মের পথে পাপ।
আর বিয়ে প্রথা এই সেদিনের মানে কয়েক হাজার বছর আগের মাত্র যেদিন থেকে মানুষ সম্পদ এর হিসাব নিকাশ শুরু করছে। এর আগে বিয়ে ও ছিলনা, তালাক ও ছিলনা। বিয়ে কোন বাই ডিফল্ট জেনেটিক ইন্সটিটিউশান না বরং একটা সামাজিক ইন্সটিটিউট। সমাজের প্রয়োজনে এসেছে এবং সমাজের বিবর্তনের কারনেই হারায়া যাইব।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: যুক্তি আর তর্ক দুইটা আলাদা জিনিস। আপনি করেন লজিকাল ফ্যালাসি। সেই ফ্যালাসির আবার রকমফের আছে
যেমন ধরেন একবার করেন- এপিয়াল টু বিলিভ ফ্যালাসি । এর মানে হইলো এত হাজার লাখ কোটি লোক যেহেতু কইছে তাই এইটাই সত্য, বাকি সব মিথ্যা কথা যদিও এই সত্যের মাঝখানে যুক্তি কমন সেন্স কোনটাই নাই।
- দশ চক্রে যদি ভূতও যদি ভগবান হয়ে যায় তবে সেই ভূতকেই ভগবান হিসাবে মানুষ বিশ্বাস করে। এখানে যৌক্তিক ভুলভ্রান্তি বা মিথ্যা বিশ্বাস বিবেচ্য বিষয় নয় । কারন , ভগবানের প্রকৃত স্বরূপ কারো জানা নেই। এমনকি - কোন ভাবেই হয়ত প্রমাণ করা সম্ভব নয় যে , ভগবান বলে আসলেই কেউ আছে (ভগবানে অবিশ্বাসীদের দৃষ্টিতে)। তবে, বিশ্বাসীদের দৃষ্টিতে তা যুক্তি আর তর্কের বিষয় নয় এবং ভগবান সকল কিছুর উপরে।
এখন, আপনাকে বলতে বললাম লিভ টুগেদার এর কারনে কোন সমাজ নস্ট হয়ে গেছে সেই উদাহরণ দিতে যাতে করে আমি লজিকাল এক্সপ্লেনেশান, ডেটা, এক্সাম্পল এবং স্টাটিস্টিক্স ইউজ করে আপ্নারে ভুল প্রমান করতে পারি যে সেই সমাজ ফ্যালাসিতে পরিপূর্ণ সমাজের চেয়ে অনেক অনেক ভাল আছে। আপনি কইলেন কি? কইলেন- পিতৃ পরিচয় হীন সন্তান বেড়ে যাচ্ছে লিভ টুগেদার এর কারনে?
- হাচা কই নাই কন ?
সিরিয়াস্লি ভাই? মানে আপনার জানা শোনা এত কম? লিভ টুগেদার তো দুই জনেই করে তাইনা? তাইলে সন্তান হলে তো সেই কাপলের পুরুষ টার ই হবে তাইনা?
- আসলেই জানাশোনা কম এই ব্যাপারে। তবে উনারাত না কাপল(অংশীদার), আর না কাপল থাকে ,কিছুদিন পরেই ডিকাপল হয়ে যায় । আর উভয়ের একসাথে কিছুদিন থাকার উপজাত হিসাবে সিংগেল মাদার হিসাবে উপজাত (সন্তান) কে নিয়ে মহিলার আরেকজনের সাথে বিছানার অংশীদারী শুরু করে। করে কি ভাইজান ?
লিভ টুগেদার আর মাল্টিপল পার্টনার নিয়া রাত দিন সেক্সুয়াল অর্গি করা কোন ধরনের প্রটেকশান ছাড়া - একই বিষয় না।
আরো কইলেন- পরিবার ভেংগে যাচ্ছে, তালাকের হার বেড়ে যাচ্ছে? মানে সিরিয়াস্লি? যেখানে বিয়ে করেই নাই তারা, পরিবার গড়েই নাই সেখানে তালাক হবে কেম্নে আর হার বেড়ে যাবে কেম্নে?মানে তালাকের হার বেড়ে যাওয়ার সাথে যে লিভ টুগেদার এর কোন রিলেশান নাই এটাই এখন আমাকে বলতে হবে?
- ভাই জান , মজা নিবার সময় কিডা ছালা পিনবার (প্রটেকশান) চায় । এ ব্যাপারে অনেক অনেক আইন আছে , আছে এইডস নানা যৌনবাহিত রোগের ভয় , তারপরেও পরিসংখ্যান বলে কেউ মজা ছাড়বার চায়না ছালা পিনদা।
আর যারা বিয়া না কইরা মজা নিচছে তাদের দেখে দেখে যারা করে প্রেশারে আছে তারা তালাকে মুক্তি খোজে মজার জোয়ারে গা ভাসাচছে। আর তাইতো তালাকের হার বেড়ে গিয়ে লিভ টুগেদারে ঝুকে পড়ছে।
পরকীয়া একটা অপরাধ। সমাজ রাস্ট্র এবং পারিবারিক সব দিক থেকেই। কেন অপরাধ? কারন সেখানে দুইজন এডাল্ট এর মাঝে করা চুক্তি ভংগ করে একটা পক্ষ এবং অপরাধ এই যায়গায়।আর লিভ টুগেদার অপরাধ না। বাট এটা আপনার স্পেসিফিক ধর্মের পথে পাপ।
- আপনি যা বলেছেন তাই সঠিক বলে মেনে নিলাম - একটা দুনিয়ার মানুষের তৈরী চুক্তি ভংগের দোষে দোষী আর একটা
সৃষ্টিকর্তার নিয়ম ভাংগার দোষে দোষী। এই হুয়িনা আসলি বাত (দুটাই দোষী ,দু তরফে) ।
আর বিয়ে প্রথা এই সেদিনের মানে কয়েক হাজার বছর আগের মাত্র যেদিন থেকে মানুষ সম্পদ এর হিসাব নিকাশ শুরু করছে। এর আগে বিয়ে ও ছিলনা, তালাক ও ছিলনা। বিয়ে কোন বাই ডিফল্ট জেনেটিক ইন্সটিটিউশান না বরং একটা সামাজিক ইন্সটিটিউট। সমাজের প্রয়োজনে এসেছে এবং সমাজের বিবর্তনের কারনেই হারায়া যাইব।
- বিয়ের পরিমান হয়তো কমে যাবে বা হয়ত বাড়বে না -
তবে, দুনিয়া থাকা কালীন বিয়ে প্রথা একেবারে উঠে যাবে - এমনটা নাও হতে পারে। কারন, কিছু মানুষ থাকবেই পারিবারিক -পুরনো রীতি -নীতি-মূল্যবোধ আকড়ে ধরে রাখবে, নতুনের জোয়ারের মাঝেও।
২১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৭
সাসুম বলেছেন: আপ্নার সাথে কথা বলা, আর একটা মরা গাছের সাথে তর্ক করার মাঝে কোন ডিফারেন্স নাই কারন দুই জনেই সেম সেম।
যাইহোক- আমি এখনো আপ্নার কাছ্ থেকে জানার অপেক্ষায় আছি সেই সমাজের নাম জানতে যে সমাজ, দেশ, রাস্ট্র লিভ টুগেদার জায়েজ করার কারনে ধ্বংস হয়ে গেছে ।
আর বাই দা রাস্তাঃ সিংগেল মাদার নিয়ে আপনাদের সমস্যা টা কোন যায়গায় ঠিক? একটা মেয়ের যদি মনে হয় সে একা তার সন্তান কে বড় করতে পারবে , এই যায়গায় প্রবলেম টা কোন যায়গায় আপনাদের ইস্লামিস্ট দের? বিঃদ্রঃ দুনিয়ার সকল দেশে অভিভাবক মানে জন্মদাতা পিতা/ মাতা/ পালক পিতা/ মাতা বা যেকোন লিগাল গার্ডিয়ান হতে পারে যে বাচ্চার টেক কেয়ার করছে বড় করছে । এক্মাত্র আপনার ধর্মে পুরুষ হতে পারবে এই অভিভাবক। এই যে প্যাট্রিয়ার্কিক চিন্তা এটাই হল আপনার আসল সমস্যা।
এই যে নারীর প্রতি পুরুষের সুপিরিয়রিটি ফলাতে চান এটাই হল আসল প্রবলেম। মানে , আপনি আনলিমিটেড রঙ তামাশা একের পর এক বিয়া হাংগা করার ব্যাপারে কোন বাধা নিষেধ নাই বাট আমার নারীর উঠতে বসতে তারে আষ্টেপিষ্টে আটকায়া রাখতে হবে।
ধর্মের গুরুরা বুঝে গেছে কি করে সমাজে প্রসার ও প্রেসার বজায় রাখতে হবে। এই কারনে দেখবেন, সকল ধর্ম , সকল ধর্ম ব্যবসায়ীরা পুরুষদের হাতে সব তুলে দিবে, আর নারীদের কে সেক্স স্লেভ, শস্য খেত, বাচ্চা বানানোর মেশিন হিসেবে ইউজ করবে। ইহকালে ধর্ম পালন করলে পরকালে আনলিমিটেড নারীও পুরষ্কার হিসেবে দিবে। ধর্মের সব সুবিধা ইহকাল ও পরকালের পুরাটাই পুরুষের জন্য, নারী জাস্ট লাগানোর আর বাচ্চা বানানর মেশিন। এখানে এখন সেই স্টাব্লিশ্মেন্ট কে প্রশ্ন করে সিংগেল মাদার রা, আর এখানেই যত আপত্তি আপনার।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
আপ্নার সাথে কথা বলা, আর একটা মরা গাছের সাথে তর্ক করার মাঝে কোন ডিফারেন্স নাই কারন দুই জনেই সেম সেম।
এবং মরে গেছি ----------------- তাই noooooooooooo মন্তব্য ।
অক্ষমতা মার্জনীয়।
২২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
সাসুম বলেছেন: আপ্নার সাথে কথা বলা, আর একটা মরা গাছের সাথে তর্ক করার মাঝে কোন ডিফারেন্স নাই কারন দুই জনেই সেম সেম।
নতুন আর সাসুম অনেক লজিক্যাল পয়েন্ট মেনশন করেছে কিন্তু জামান তার ধারেকাছেও নেই ।
এই ব্লগে একটা নিক আছে বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার ।
সেই নিকটা জামানের জন্য এপ্রোপ্রিয়েট ছিলো
এগুলো নিয়েতো অনেক লেখা হয়েছে, আর কতো !
জামান নতুন কিছু নিয়ে লিখবে প্লীজ ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল ,আপনার মন্তব্যের জন্য ।
নতুন আর সাসুম অনেক লজিক্যাল পয়েন্ট মেনশন করেছে কিন্তু জামান তার ধারেকাছেও নেই ।
- কিছু বিষয় যুক্তি আর তর্কের বিষয় নয় এবং এসব সকল কিছুর উপরে। কাজেই যত যুক্তি-তর্কই করি বোন সমাধান (নতুন কিছু ) নেই।
এই ব্লগে একটা নিক আছে বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার । সেই নিকটা জামানের জন্য এপ্রোপ্রিয়েট ছিলো
- এটা শুধু ব্লগেই নয় সমাজের সব জায়গায়ই প্রযোজ্য । মেনে নিলাম এটাও - তালগাছটা আমার (তবে ইডা দিয়া কি করুম তাই ভেবে পাচছিনা)।
এগুলো নিয়েতো অনেক লেখা হয়েছে, আর কতো ! জামান নতুন কিছু নিয়ে লিখবে প্লীজ ।
- " পুরানো জিনিষ নতুন বোতলে" - এ চলছে যুগ যুগ ধরে এবং চলবেও। কি আর করা।
তারপরেও - আপনার অনুরোধ রাখার জন্য জীবন কুরবান করে দিব।
২৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪০
সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ তারপরেও - আপনার অনুরোধ রাখার জন্য জীবন কুরবান করে দিব।
নন মাহরান পরনারীর অনুরোধ রাখার জন্য জীবন উতসর্গ করার মত পাপ কাজ থেকে বিরত থাকুন
একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা বাদে আর কারো জন্যোই জীবন কুরবান করা যাবেনা
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
নন মাহরান পরনারীর অনুরোধ রাখার জন্য জীবন উতসর্গ করার মত পাপ কাজ থেকে বিরত থাকুন । একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা বাদে আর কারো জন্যোই জীবন কুরবান করা যাবেনা
- দিলাম না ভাই জীবন। আপনার কথা রাখলাম ।
২৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
তারপরেও - আপনার অনুরোধ রাখার জন্য জীবন কুরবান করে দিব।
হা হা হা ...... উই নো ইউ আর কিডিং
জীবন কুরবান করে দিতে হবে না ।
শুধু যেটাই লিখবে, পোষ্ট করার আগে চেক ইট প্লীজ ।
Think twice, do you really believe in it.
আউট অভ দ্যা বক্স চিন্তা করবে ।
মুষ্টিমেয় একটা শ্রেণীর জন্য না , বৃহৎ পরিসরে সবার জন্য লিখবে ।
সামুতে একটা বিষয় কমন, আমরা সবাই বাংলাদেশী ।
কিন্তু মনে রাখবে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধর্মের, ডিফারেন্ট পরিবেশ ও ভিন্ন জীবনধারার মানুষ আমরা এখানে আসি ।
সবার প্রতি রেস্পেক্টফুল হয়েই লিখবে ।
থ্যাংক ইউ জামান ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল ,আপনার প্রতি- মন্তব্যের জন্য ।
হা হা হা ...... উই নো ইউ আর কিডিং
- নো কিডিং উইথ সিরিয়াস মোড ।
বোন , আমি তাই লিখি বা লিখতে চেষ্টা করি যা আমি বাক্যে-চিন্তায়-কর্মে বিশ্বাস করি ।
আর একটা কথা , সৃষ্টিকর্তার ব্যাপারেই দুনিয়ায় আমরা সবাই একমত না এবং না একমত দেশের সরকারেও ।
কাজেই আমার-আপনার যে কোন লেখা সবার কাছে ভাল লাগবে এ আশা করা উচিত নয়। মানুষে-মানুষে এবং রুচিতে ভিন্নতা আছে বলেই দুনিয়া এখনো এত সুন্দর।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে সাথে সাথে আজকের বছরের শেষ পোস্টে আগাম আমন্ত্রণ (এখনো দেইনি , দিব) ।
২৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
কাজেই আমার-আপনার যে কোন লেখা সবার কাছে ভাল লাগবে এ আশা করা উচিত নয়। মানুষে-মানুষে এবং রুচিতে ভিন্নতা আছে বলেই দুনিয়া এখনো এত সুন্দর।
আমার মন্তব্যে কি বলেছি আর জামান কি বুঝলো ?
মানুষের রুচিতে ভিন্নতা থাকবে, সবার সব লেখা ভালো না লাগতেই পারে, এগুলো ম্যাটার অভ কমনসেন্স ।
এটা নিয়ে দ্বিমত করিনি ।
যেটা বলেছি, এই যে ভিন্নতা থাকবে, ওটাকে সহজভাবে গ্রহণ করে সমালোচনা হবে । ঘৃণা নিয়ে না ।
কারন জামানের আগের পোষ্টে ভিন্ন শ্রেণীর মানুষের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়েছে ।
মন্তব্যেও অনেকে তাই করেছে এবং সেটাকেও জামান এনকারেজ করেছে ।
আমার লাস্ট কমেন্টে এটাই বলেছি বি রেস্পেক্টফুল । ভালো না লাগলেও সেটা ভদ্রভাবে বলা যায় । ঘৃণা স্প্রেড করা ভালো কিছু না । বিশেষ করে জামানের মতো এতো ধার্মিক মানুষের কাছ থেকে এগুলো আশা করিনি । এনিওয়ে, আশা করি এবারের মন্তব্য বুঝতে পারবে ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ মিরোরডডল ,আপনার প্রতি- মন্তব্যের জন্য ।
আমার মন্তব্যে কি বলেছি আর জামান কি বুঝলো ? মানুষের রুচিতে ভিন্নতা থাকবে, সবার সব লেখা ভালো না লাগতেই পারে, এগুলো ম্যাটার অভ কমনসেন্স । এটা নিয়ে দ্বিমত করিনি ।
যেটা বলেছি, এই যে ভিন্নতা থাকবে, ওটাকে সহজভাবে গ্রহণ করে সমালোচনা হবে । ঘৃণা নিয়ে না ।
কারন জামানের আগের পোষ্টে ভিন্ন শ্রেণীর মানুষের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়েছে ।মন্তব্যেও অনেকে তাই করেছে এবং সেটাকেও জামান এনকারেজ করেছে ।
- ঘৃণা কোন জিনিষেরই সমাধান করেনা বরং তা মানুষে মানুষে আরো দূরত্ব এবং শত্রুতা বাড়িয়ে দেয় । যে কারো যে কোন ঘৃণাকে ঘৃণা করা উচিত । আর ধর্মেও বলা আছে, " পাপকে ঘৃণা করো ,পাপীকে নয় " । কারন , পাপী যে কোন সময় তার পাপের উপলব্ধি করে ক্ষমা চাইলে সৃষ্টিকর্তা তাকে ক্ষমা করে দিবেন বলে ওয়াদা করেছেন। কাজেই , আমি যদি আমার লেখা বা মন্তব্যে ঘৃণাকে উৎসাহিত করে থাকি তাহলে তা করা ঠিক হয়নি । কারন , মানুষ হিসাবে কারো ভাল-খারাপ বিচারের ভার সৃষ্টিকর্তা কাউকে দেননি। আর তাই এ জাতীয় কাজের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
আমার লাস্ট কমেন্টে এটাই বলেছি বি রেস্পেক্টফুল । ভালো না লাগলেও সেটা ভদ্রভাবে বলা যায় । ঘৃণা স্প্রেড করা ভালো কিছু না । বিশেষ করে জামানের মতো এতো ধার্মিক মানুষের কাছ থেকে এগুলো আশা করিনি । এনিওয়ে, আশা করি এবারের মন্তব্য বুঝতে পারবে ।
- জী , মেরা বহিন । আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা বুঝেছি এবং ওয়াদা করতেছি ভবিষ্যতে আরো সর্তক হবো মন্তব্যের ক্ষেত্রে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৬
সাসুম বলেছেন: মানে আপনারে নিয়া যে কি করুম! এডাল্টারি আর লিভ টুগেদার- দুইটা দুই গ্রহের জিনিষ কে জগাখিচুড়ি বানায়া আপনার ধর্মের ছাচে ফালাইয়া এবং সেই মোতাবেক দুইটা জিনিষ রে সমাজ সভ্যতার জন্য ভয়ানক ভয়াবহ করে একই কাতারে নিয়া আইলেন ???
দুইজন এডাল্ট মানুষ কে কার সাথে শুইবে ( যতক্ষন না তারা অন্য কারো সাথে আইনিগত ভাবে আবদ্ধ না ) তাতে আমার আপনার ধর্মের সমাজের কারো কিছু আসে যায়না। কোন সভ্য সমাজে কোন সভ্য ব্যক্তির এতে কারো কিছু আসা যাওয়ার কথা না।
এই সিম্পল বিষয় টাকে খালি ধর্মের আলোকে পেচান আর পেচান। আরে ভাইজান, ধর্মের আলোকে যদি রাত দিন খালি পেচাইতেই থাকেন তাইলে এই যে বাংলাদেশে মহিলা রাস্ট্র প্রধান এর আন্ডারে বসবাস করছেন, সবার আগে এই পাপ কাজ নিয়া পেচানো শুরু করেন। এই খোদা বিরোধী অন্যায় এর প্রতিবাদ দিয়ে শুরু করেন মহিলা মানুষের রাজত্বে কেমনে বসবাস করছেন।
ধর্ম মানুষের জন্য, মানুষ ধর্মের জন্য না।
এবার আসেন, পরকীয়া বা এডাল্টারি। এটা দুনিয়ার সব দেশেই সব সমাজে সব ধর্মে অন্যায়। আস্তিক নাস্তিক হিন্দু বুদ্ধ ক্রিশ্চিয়ান মুসলিম মোদ্দা কথা যে কোন সমাজে এটা অন্যায়। কেন অন্য্যায়? কারন এর আগে একজনের সাথে লিগালি থাকার চুক্তি হয়েছে। পরকীয়ার মাধ্যমে সে লিগাল চুক্তির খেলাফ করেছে এবং এটা ফৌজদারী অপরাধ।
এখন একটা সর্বকালের সব দেশ ও সমাজের অন্যায় কাজের সাথে একই ব্রাকেটে আপনার ধর্ম কোন এক বিয়া না করে থাকাকে নারী পুরুষের একসাথে অপরাধ বলছে দুইটাকে একসাথে করে জগাখিচুড়ি বানানো টা বড্ড বেমানান। আপনার স্পেসিফিক ধর্মের আইনে সেটা মহা অপরাধ বাট যে দেশে বসবাস করছেন এই দেশ তো আপনার সেই স্পেসিফিক ধর্মের আইন কিংবা এই মানব সভ্যতা তো সেই স্পেসিফিক ধর্ম মোতাবেক চলেনা। এখানে কে কার সাথে শুইবে এডাল্ট বয়সে সেটার জন্য দুনিয়া জোড়া প্রচলিত আইন আছে সব দেশে এবং সেই সকল দেশের আইন অনুযায়ী এটা অপরাধ বা অনৈতিক না। ইভেন আমাদের দেশেও লিভ টুগেদার অপরাধ না যদিনা তারা কেই একজন বিবাহিত বা কমিটেড না হোন।
আর আল্লার ওয়াস্তে আপনার নিজের নিক্তি দিয়া নৈতিকতা আর সামাজিকতা মাপলে তো হবেনা? লিভ টুগেদার কে এইভাবে অণৈতিক আর অসামাজিক বলা একদম ই হাস্যকর । আপনি বলতে পারেন, আপনার ধর্মের নিক্তিতে লিভ টুগেদার অপরাধ ও পাপ। বাট যেভাবে গনহারে অনৈতিক আর অসামাজিক বলে রায় দিলেন সেটা আসলেই আপনার চিন্তার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। আপনি এই যে ব্রড পরিসরে নৈতিকতা আর সামাজিকতা শিখাচ্ছেন আপনার ধর্মের নিরিখে সেটা উচিত নয়। সমাজের ব্যপ্তি শুধু আপনার একটা ধর্মের নিরিখে নয়। কিংবা সমাজের রীতি নীতি আপনার ধর্ম মোতাবেক চল্বেনা। যদি তাই হত, তাহলে চুরি করার অপরাধে জেল হতনা বরং হাত কাটার আইন ই হত।
আপনি একই কাতারে দয়া করে ভিন্ন ভিন্ন জিনিষ কে এনে জগাখিচুড়ি করবেন না প্লিজ।