নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - wallpapercave.com
আল কোরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরিত। আল কোরআন শতাব্দীর পর শতাব্দী জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কোটি কোটি মানুষের অন্তর্দৃষ্টি খুলে দিয়েছে। বদলে দিয়েছে তাদের ভেতর থেকে, খুলে দিয়েছে তাদের সম্ভাবনার দ্বার।দিয়েছে প্রশান্ত ও পরিতৃপ্ত জীবন। আর তাই আল কোরআন সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, " বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট হতে এ গ্রন্থ অবতীর্ণ, এতে কোন সন্দেহ নেই "। (সুরা সাজদা, আয়াত - ২)।
তারপরেও আমরা কেন বিশ্বাস করব আল কোরআন আল্লাহর কালাম ? কেন বিশ্বাস করব আল কোরআন মানুষের রচনা নয় ? কারন -
" কালজয়ী কবি সাহিত্যিকরাও অনন্য সাহিত্যকর্ম রচনা করেছেন এবং তারা সবাই মানুষ ছিলেন। তাই কোরআন যত অনন্যই হোক না কেন, তা মানুষের রচনা নয় এটা নিশ্চিত হবো কীভাবে"? আসলে কালজয়ী কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনন্যতা এবং কোরআনের অনন্যতার ধরনে মনোনিবেশ করলেই বিষয়টি আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
যে-কোনো কাব্য, সাহিত্য বা শিল্পকর্মে রচয়িতার আবেগ, মানসিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মনের দুঃখকষ্টের প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু কোরআন তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দুঃখের প্রসঙ্গ বা প্রভাব একেবারেই অনুপস্থিত। তিনি তাঁর যৌবনের ২৫ বছর যে নারীর সাথে কাটিয়েছেন, তাঁর সেই প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রাঃ) মারা যান অর্ধাহারে-অনাহারে, কোরাইশদের হাতে সঙ্গীসাথিসহ পাহাড়ের পাদদেশে অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায়। ২৫ বছরের প্রেম, যত্ন, সহযোগিতা সব ছেড়ে সেই মহিয়সী নারী চলে গেলেন, যাঁর প্রতি নবীজী (সঃ) ছিলেন আজীবন বিশ্বস্ত, অনুরক্ত। যিনি ছিলেন তাঁর নবুয়তের ওপর আস্থা প্রকাশকারী প্রথম ব্যক্তি, যিনি ছিলেন তাঁর আট সন্তানের মধ্যে সাত সন্তানের জননী, যিনি ছিলেন তাঁর সাধনার সহযোগী, চেতনা বিস্তারের সংগ্রামে সহযোদ্ধা। যিনি সকল সম্পদ উজাড় করে দেন তাঁর জন্যে, যিনি নিজের গোত্রীয় মর্যাদা ও সম্পর্কচ্ছেদ করেন তাঁর জন্যে, তিনি চলে গেলেন মর্মন্তুদ কষ্ট ভোগ করে।
কিন্তু এসবের কোনো ধরনের উল্লেখ আল কোরআনে নেই। কোনো কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীর জীবন থেকে যদি এমন জীবনসঙ্গিনী হারিয়ে যেতেন, তাহলে তাকে উল্লেখ কী পরিমানে কাব্য, সাহিত্য, গান রচিত হতো তা যে - কেউই অনুমান করতে পারেন। অথচ কোরআনে হযরত ইব্রাহিম (আঃ), হযরত নূহ (আঃ), হযরত লূত (আঃ) এবং ফেরাউনের স্ত্রীর (পূণ্যবতী আছিয়া (রাঃ) ) কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর স্ত্রী খাদিজার (রাঃ) কোনো কথা উল্লেখ নেই। কোরআনে নাম উল্লেখ করে একমাত্র যে নারীর কথা বলা হয়েছে, তিনি হলেন বনি ইসরাইলি নবী হযরত ঈসা (আঃ) মাতা বিবি মরিয়ম (রাঃ) এর। মনুষ্য রচনা নয়, শুধু ঐশীবাণী বলেই এমনটি সম্ভব হয়েছে।
ছবি - sangbadchorcha.com
মানুষের এক জীবনে যা দরকার, তার সবই সাজানো রয়েছে আল কোরআনের পরতে পরতে। সুস্থ সুন্দর সুখী পরিতৃপ্ত জীবনের জন্যে যা প্রয়োজন, আলকোরআনের পাতায় পাতায় রয়েছে তারই দিক-নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে মানব জীবনের সব দিকনির্দেশনার বর্ণনার পাশাপাশি মানবজাতীর প্রতি উপদেশ স্বরুপ বেশ কিছু আয়াত আছে।আসুন আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানি -
আল কোরআনের উপদেশাবলী
১। হে মুমিনরা! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো । (সুরা মায়িদা, আয়াত - ১) ।
"হে মুমিনগণ, তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ন কর। তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে, যা তোমাদের কাছে বিবৃত হবে তা ব্যতীত। কিন্তু এহরাম বাধাঁ অবস্থায় শিকারকে হালাল মনে করো না! নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা যা ইচ্ছা করেন, নির্দেশ দেন"।
২। সৎকাজ ও খোদাভীতির ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। (সুরা মায়িদা, আয়াত - ২)।
"হে মুমিনগণ! হালাল মনে করো না আল্লাহর নিদর্শনসমূহ এবং সম্মানিত মাসসমূহকে এবং হরমে কুরবানীর জন্যে নির্দিষ্ট জন্তুকে এবং ঐসব জন্তুকে, যাদের গলায় কন্ঠাভরণ রয়েছে এবং ঐসব লোককে যারা সম্মানিত গৃহ অভিমুখে যাচ্ছে, যারা স্বীয় পালনকর্তার অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করে। যখন তোমরা এহরাম থেকে বের হয়ে আস, তখন শিকার কর। যারা পবিত্র মসজিদ থেকে তোমাদেরকে বাধা প্রদান করেছিল, সেই সম্প্রদায়ের শুত্রুতা যেন তোমাদেরকে সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে। সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা"।
৩। আর তোমরা পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা কোরো না।(সুরা মায়িদা, আয়াত - ২) ।
"হে মুমিনগণ! হালাল মনে করো না আল্লাহর নিদর্শনসমূহ এবং সম্মানিত মাসসমূহকে এবং হরমে কুরবানীর জন্যে নির্দিষ্ট জন্তুকে এবং ঐসব জন্তুকে, যাদের গলায় কন্ঠাভরণ রয়েছে এবং ঐসব লোককে যারা সম্মানিত গৃহ অভিমুখে যাচ্ছে, যারা স্বীয় পালনকর্তার অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করে। যখন তোমরা এহরাম থেকে বের হয়ে আস, তখন শিকার কর। যারা পবিত্র মসজিদ থেকে তোমাদেরকে বাধা প্রদান করেছিল, সেই সম্প্রদায়ের শুত্রুতা যেন তোমাদেরকে সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে। সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা"।
ছবি - samakal.com
৪। তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস।(সুরা মায়িদা, আয়াত - ৩)।
"তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল"।
৫। তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে সাক্ষ্যদানের ক্ষেত্রে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। (সুরা মায়িদা, আয়াত - ৮) ।
"হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত"।
৬। অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও। (সুরা মায়িদা, আয়াত - ৩৮)।
"যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়"।
৭। পাপ ও অবৈধ জিনিসের পেছনে শ্রম ব্যয় কোরো না। (সুরা মায়িদা, আয়াত - ৬২)।
"আর আপনি তাদের অনেককে দেখবেন যে, দৌড়ে দৌড়ে পাপে, সীমালঙ্ঘনে এবং হারাম ভক্ষনে পতিত হয়। তারা অত্যন্ত মন্দ কাজ করছে"।
ছবি - shadow.com.bd
৮। মাদকদ্রব্য বর্জন করো। (সুরা মায়িদা, আয়াত - ৯০)।
"হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমাপূজার বেদি এবং ভাগ্য-নির্ধারক তীর ঘৃণ্য বস্তু, এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও"।
৯। জুয়া খেলো না । (সুরা মায়িদা, আয়াত - ৯০)।
"হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমাপূজার বেদি এবং ভাগ্য-নির্ধারক তীর ঘৃণ্য বস্তু, এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও"।
১০। পৃথিবীতে ভ্রমণ করো।(সুরা আনআম, আয়াত - ১১)
"ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন! তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো, অতঃপর দেখো, যারা সত্যকে অস্বীকার করে তাদের পরিণাম কী হয়েছিল"।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে আল কোরআন জানার-বুঝার এবং আল কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার তওফিক দান করুন
চলবে -
===============================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৮ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৭ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৬ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৫ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৪ Click This Link
আল কোরআন সংকলন-সংরক্ষণের ইতিহাস - Click This Link
আল কোরআন এর ২৬ টি আয়াত বাতিল চেয়ে আদালতে দায়ের করা রিট বাতিল করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
- Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৩ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ২ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ১ Click This Link
১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মহাজাগতিক চিন্তা ভাই , আপনার পোস্ট পড়া এবং মন্তব্যের জন্য।
মহান আল্লাহপাক আপনার-আমার-আমাদের সকলের মংগল করুন এবং ধর্মের সকল বিধিবিধান মেনে চলার তওফিক দান করুন।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সূরা নং ২ : আল-বাকারা, আয়াত নং - ২৪৫ :
مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یُقۡرِضُ اللّٰهَ قَرۡضًا حَسَنًا فَیُضٰعِفَهٗ لَهٗۤ اَضۡعَافًا کَثِیۡرَۃً ؕ وَ اللّٰهُ یَقۡبِضُ وَ یَبۡصُۜطُ ۪ وَ اِلَیۡهِ تُرۡجَعُوۡنَ
কে আছে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার জন্য বহু গুণে বাড়িয়ে দেবেন? আর আল্লাহ সংকীর্ণ করেন ও প্রসারিত করেন এবং তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরানো হবে। আল-বায়ান
আল্লাহকে কি কি জিনিস ঋণ দেয়া যাবে?
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, " (উত্তম ঋণ) প্রদান করার অর্থ আল্লাহর পথে এবং জিহাদে মাল ব্যয় করা। অর্থাৎ, জানের মত মালের কুরবানী দিতেও দ্বিধা করো না। রুযীর প্রসারণ ও সংকোচনের এখতিয়ার কেবল আল্লাহরই হাতে। তিনি উভয়েরই মাধ্যমে তোমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকেন; কখনো রুযী হ্রাস করে এবং কখনো তার প্রসার ঘটিয়ে। অতএব আল্লাহর পথে ব্যয় করলে কমে না, বরং মহান আল্লাহ এতে অনেক অনেক বৃদ্ধি দান করেন। কখনো বাহ্যিকভাবে, আবার কখনো অভ্যন্তরীণভাবে মালে বরকত দিয়ে। আর আখেরাতে যে বৃদ্ধি হবে তা অবশ্য অবশ্যই বিস্ময়কর হবে।
আল্লাহকে ঋণ দেয়ার এ অর্থও বলা হয়েছে যে, তার বান্দাদেরকে ঋণ দেয়া এবং তাদের অভাব পূরণ করা। আল্লাহর পথে সাদকা করা, অভাবীদেরকে ঋণ পরিশোধে সাহায্য করা ইত্যাদি।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের আরও কিছু উপদেশ বাণী;
‘শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাও।’(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৩০)
‘ঋণের বিষয় লিখে রাখো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮২)
‘এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯১)
‘বলুন! তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো, অতঃপর দেখো, যারা সত্যকে অস্বীকার করে তাদের পরিণাম কী হয়েছিল!’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১১)
‘যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কথামতো চলো, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে এবং তারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১১৬)
‘অতঃপর যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে তারা পরে তওবা করলে এবং নিজেদের সংশোধন করলে তাদের প্রতি তাদের প্রতিপালক অবশ্যই অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১১৯)
‘তুমি আল্লাহর পথে প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করো। তাদের সঙ্গে উত্তম পন্থায় বিতর্কে লিপ্ত হও। নিশ্চয় তোমার প্রভু পথভ্রষ্টদের সম্পর্কে সবিশেষ অবগত এবং সত্য পথের অনুসারীদের ব্যাপারেও সর্বোত্তম জানেন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)
‘ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ৩২)
‘যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয়—এর প্রত্যেকটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ৩২)
‘(মুমিন তারা) যারা অনর্থক ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকে।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৩)
‘হে মুমিনরা! অন্যের ঘরে অনুমতি গ্রহণ বা সালাম প্রদান না করে প্রবেশ কোরো না। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’
(সুরা : নুর, আয়াত : ২৭)
‘মুমিনরা অধিক পরিমাণে সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চয়ই কিছু কিছু সন্দেহ পাপতুল্য।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১২)
‘বৈরাগ্যবাদ এটা তারা নিজেরাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রবর্তন করেছিল। আমি তাদের এই বিধান দিইনি। অথচ তারা এটাও ঠিকমতো পালন করেনি।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২৭)
‘যারা দ্বিনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে নিজ মাতৃভূমি থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেননি।’ (সুরা : মুমতাহিনা, আয়াত : ৮)
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা আল কোরআনের আয়াতগুলি শেয়ার করার জন্য।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৮
দংশন বলেছেন: গাইড বই দূর্বল ছাত্রদের জন্য ঠিক আছে কারণ তাদের লক্ষ্য একমাত্র পাশ করা। কিন্তু যারা লেটার/এ+ পাইতে চায় তাদের অবশাই সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে হবে। কারণ আল্লাহ/ভগবান হাশরের ময়দানে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিবেন।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দংশন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি সঠিক বলেছেন ।
আল কোরআন শুধু পড়লে হবেনা । পড়ার সাথে সাথে তার অর্থ অনুধাবন করা এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালিত ও কর্ম করতে হবে।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১০
দংশন বলেছেন: গাইড বই দূর্বল ছাত্রদের জন্য ঠিক আছে কারণ তাদের লক্ষ্য একমাত্র পাশ করা। কিন্তু যারা লেটার/এ+ পাইতে চায় তাদের অবশ্যই সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে হবে। কারণ আল্লাহ/ভগবান হাশরের ময়দানে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিবেন।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:২৪
সোবুজ বলেছেন: আল কোরান পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞান ময় গ্রন্থ।যতদিন আমাদের সকল শিক্ষাকেন্দ্র বাদ্ধ্যতামুলক পাঠদানের ব্যবস্থা করা না হবে ততদিন আমরা পিছিয়েই থাকবো।পাশ্চাত্তের উন্নতির কারন তারা গোপনে কোরান পড়ে এবং সেখান থেকে বিজ্ঞানের সব কিছু শিখে নিত্য নতুন আবিস্কার করছে।আর আমরা বলদের মতো না বুঝে মুখস্ত করছি।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোবুজ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি সঠিক বলেছেন । আল কোরান সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানময় গ্রন্থ তবে তাদের জন্যই যারা চিন্তাশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক। শুধু পড়ার জন্য
আল কোরআন পড়লে হবেনা । পড়ার সাথে সাথে তার অর্থ অনুধাবন করা এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালিত ও কর্ম করতে হবে।
তবেই আমাদের আত্মিক শুদ্ধতার পাশাপাশী জীবনের চলার পথের সঠিক দিকনির্দেশনাও মিলবে।
৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:০১
সাসুম বলেছেন: সোবুজ বলেছেন: আল কোরান পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞান ময় গ্রন্থ।যতদিন আমাদের সকল শিক্ষাকেন্দ্র বাদ্ধ্যতামুলক পাঠদানের ব্যবস্থা করা না হবে ততদিন আমরা পিছিয়েই থাকবো।পাশ্চাত্তের উন্নতির কারন তারা গোপনে কোরান পড়ে এবং সেখান থেকে বিজ্ঞানের সব কিছু শিখে নিত্য নতুন আবিস্কার করছে।আর আমরা বলদের মতো না বুঝে মুখস্ত করছি। ( ২ )
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দেরিতে জবাবের জন্য দুঃখিত।
(২) আপনি সঠিক বলেছেন । আল কোরান সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানময় গ্রন্থ তবে তাদের জন্যই যারা চিন্তাশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক। শুধু পড়ার জন্য আল কোরআন পড়লে হবেনা । পড়ার সাথে সাথে তার অর্থ অনুধাবন করা এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালিত ও কর্ম করতে হবে। তবেই হয়ত আমাদের আত্মিক শুদ্ধতার পাশাপাশি জীবনের চলার পথের সঠিক দিকনির্দেশনাও মিলবে।
আমরাও (মুসলমানরা) অবদান রাখতে পারব এবং এগিয়ে যেতে পারবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারে।
৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
বিটপি বলেছেন: সাসুম বলেছেন: সোবুজ বলেছেন: আল কোরান পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞান ময় গ্রন্থ।যতদিন আমাদের সকল শিক্ষাকেন্দ্র বাদ্ধ্যতামুলক পাঠদানের ব্যবস্থা করা না হবে ততদিন আমরা পিছিয়েই থাকবো।পাশ্চাত্তের উন্নতির কারন তারা গোপনে কোরান পড়ে এবং সেখান থেকে বিজ্ঞানের সব কিছু শিখে নিত্য নতুন আবিস্কার করছে।আর আমরা বলদের মতো না বুঝে মুখস্ত করছি। ( ৩ )
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বিটপি , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দেরিতে জবাবের জন্য দুঃখিত।
(৩) আপনি সঠিক বলেছেন । আল কোরান সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানময় গ্রন্থ তবে তাদের জন্যই যারা চিন্তাশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক। শুধু পড়ার জন্য আল কোরআন পড়লে হবেনা । পড়ার সাথে সাথে তার অর্থ অনুধাবন করা এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালিত ও কর্ম করতে হবে। তবেই হয়ত আমাদের আত্মিক শুদ্ধতার পাশাপাশি জীবনের চলার পথের সঠিক দিকনির্দেশনাও মিলবে।
আমরাও (মুসলমানরা) অবদান রাখতে পারব এবং এগিয়ে যেতে পারবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারে।
৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৮
পঞ্চগড়ের বাসিন্দা বলেছেন: আমি কিন্তু কিছু নিকের পচ্ছাদ্দেশ পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ পঞ্চগড়ের বাসিন্দা ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দেরিতে জবাবের জন্য দুঃখিত।
চলার পথে কারো কারো কিছু বিষয়ে বা কোন ব্যাপারে এলার্জি থাকবে - এটা দোষের কিছু নয় এবং এটা প্রকৃতিরই একটা অংশ।
১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ১৪৪৫ বছর পার হয়েছে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দেরিতে জবাবের জন্য দুঃখিত।
অনেকটাই সঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন -আমিন।