নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" স্ত্রী / সংগী অদল-বদল করে যৌনসহবাস-যৌনাচার - সদস্য হাজারো দম্পতি " - এ কোন ধরনের মানষিক বিকৃতি ও যৌনাচার ? (মানব জীবন - ২২)।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১


ছবি - rohaniways.com

মানুষের জীবনে নিরাপদ যৌনতা, জন্মের পবিত্রতা কিংবা বংশানুক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষার অন্যতম মাধ্যম হলো বিবাহ। বিবাহ হলো এমন একটি মাধ্যম ,যার ফলে মিলে দুটি নর-নারীর একসাথে থাকার, নিরাপদ যৌনতার , বংশ রক্ষার সামাজিক ও ধর্মীয় স্বীকৃতি। সকল ধর্মে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানেও বিকৃত যৌনচার , বহুগামীতা এবং বিবাহপূর্ব যৌনসম্পর্ক পাপ এবং ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার পরেও কিছু মানুষ তাদের বিকৃত মানষিকতার কারনে বা সংগদোষে নানা রকম পাপকার্যে জড়িয়ে পড়ে । আর এই পাপাচারের পথে কেউ করে পরকীয়া, কেউ যায় পতিতালয়ে বা কেউ জড়িয়ে পড়ে নানা রকম অনৈতিক- অস্বাভাবিক যৌনসম্পর্কে । আর এ জাতীয় কাজের সর্বশেষ সংযোজন হলো একের সংগী / স্ত্রীর সাথে অন্যের ( স্ত্রী/সংগী অদল-বদল করে ) যৌনসহবাস-যৌনাচার। যেখানে একটা পশুও তাদের সংগী-সংগীনিদের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে থাকে আজীবন এবং তাকে রক্ষার জন্য অবলীলায় জীবনও বিলিয়ে দেয়, সেখানে মানুষরুপী কিছু নরাধম তাদের পাশবিকতা চরিতার্থের জন্য এ জাতীয় কাজ যে কতটা ঘৃন্য ও মানব জাতীর জন্য কতটা জঘন্যতম ক্ষতিকর এ অমানুষরা মোটেই তা না ভেবে তারা ব্যস্ত তাদের বিকৃত মানষিকতা চরিতার্থ করতে ।

যথাযথ ও স্বাভাবিক যৌন শিক্ষা / ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা না থাকায় বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের কাছে যৌনশিক্ষার একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠছে পর্নোগ্রাফি । সেখান থেকেই তারা শিখছে বিকৃত যৌনাচার । এমনটাই মনে করছেন মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীরা । পাশাপাশি মাদকের সহজলভ্যতা ও ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার না হওয়াকেও এজন্য তারা দায়ী মনে করছেন । মাদকের সহজলভ্যতা, সঠিক যৌনশিক্ষা না পাওয়া এবং ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার না হওয়ার কারণে তরুণদের মধ্যে বিকৃত যৌনাচারের প্রবণতা বেড়ে গেছে ব্যাপকহারে । এধরনের মানুষেরা এমনকি বিয়ের পরও তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনা । তাদের নানা রকম উদ্ভট বিকৃত যৌনাচার ও মানষিকতা থেকে তাদের স্ত্রীরাও রেহাই পায়না। যৌন ফ্যান্টাসি (উদ্ভট কল্পনা) তে ভূগে তারা নানারকম উদ্ভট বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয় । আর তাইতো কেউ কেউ স্বাভাবিক যৌনমিলন তৃপ্ত থাকলেও অনেকই বিকৃত আনন্দ খুজে অঙ্গুলিসঞ্চালন, পায়ুলেহন, মুখমৈথুন, পায়ুসঙ্গম, যোনিলেহন বা সমকামিতায় । আর এই বিকৃত মানুষদের আরেক বিকৃত সংযোজন হলো সঙ্গী-সঙ্গীনি (স্ত্রী/স্বামী ) অদল-বদল করে যৌনসহবাস-যৌনাচার।

সম্প্রতি ভারতের কেরালায় সঙ্গী-সঙ্গীনি (স্ত্রী/স্বামী ) অদল-বদল করে যৌনসহবাস-যৌনাচারের বিশেষ সম্পর্কে জড়ানোর একটি চক্রের খোঁজ পেয়েছে দেশটির রাজ্য পুলিশ। এই অভিযোগে ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত সাতজনকে আটক করা হয়েছে।



দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, সঙ্গী অদল বদল করে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হওয়া চক্রের সঙ্গে জড়িত সাত জনকে রবিবার (০৯/০১/২০২২) কেরালার কারুকাচাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক সাত জনের মধ্যে এক নারীর স্বামীও আছেন। ওই নারী থানায় অভিযোগ করেছেন, তাকে তার স্বামী জোরপূর্বক বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই নারীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিকৃত যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ চক্রের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্তের সময় আমরা জানতে পারি, ওই নারীর স্বামী অন্য লোকের সঙ্গে তাকে জোর করে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন। এরপরে আরো তদন্ত করতে গিয়ে আমরা ওই চক্রের সন্ধান পাই। ওই চক্রটি যোগাযোগের জন্য টেলিগ্রাম এবং মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহার করতো বলে জানিয়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের আলাপুঝা, কোট্টায়াম, এর্নাকুলামের জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। চক্রটির গ্রুপে রয়েছে হাজারো সদস্য। এনিয়ে আরো তদন্ত হবে।

দেশটির আরেক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের ধারণা, কেরালা রাজ্যজুড়ে চক্রটি ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত সমাজের ধনী এবং অভিজাত সমাজেই এ প্রবণতা মহামাড়ির মত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্তত কয়েক হাজার নারী-পুরুষ এই চক্রে জড়িত।

কিভাবে মানুষের এ ধরনের বিকৃত যৌন জীবন তথা যৌন আচরন নিয়ন্ত্রিত করা যায় -

জীব মাত্রই যৌনতা আছে । যৌনতা ছাড়া কোন কোন জীব নেই এবং এর মাধ্যমেই মানুষের বংশরক্ষা হয়। কোন ব্যক্তির যৌন অভিমুখিতা অন্য ব্যক্তির প্রতি তার যৌন আগ্রহ ও আকর্ষণকে প্রভাবিত করতে পারে। একেক জন মানুষ একেক ভাবে তার যৌনতা প্রকাশ বা উপভোগ করে। যার মধ্যে মানুষের চিন্তা-কল্পনা-কামনা-বিশ্বাস-দৃষ্টিকোণ-মূল্যবোধ-আচরণ-প্রথা ও সম্পর্ক অন্তর্গত। এই বিষয়গুলো তাদের জৈবিক-আবেগীয়-সামাজিক অথবা আধ্যাত্মিক বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে যা সে পরিবার-সমাজ থেকে অর্জন করে। সঠিক যৌনতার জন্য মানুষের পারিবারিক শিক্ষা , ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, জৈবিক ও দৈহিক চাহিদার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার , পারিবারিক সুস্থ পরিবেশ,নৈতিকতা ও শালীনতা মূল্যবোধের সৃষ্টি-চর্চা, ছেলে সন্তানদেরকে মেয়েদেরকে সম্মান করার শিক্ষা, মেয়েদের প্রতি ছেলেদের-সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভংগীর পরিবর্তন, নির্মল আনন্দদায়ক খেলাধুলা,সুস্থ সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের চর্চার মাধ্যমে মানুষের যৌন জীবন তথা যৌন আচরন নিয়ন্ত্রিন করা সম্ভব।

মানুষের যৌন আচরন ব্যাপকভাবে মানব প্রজনন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত, যার অন্তর্গত হল মানব যৌনতার সাড়াদান চক্র এবং মৌলিক জৈব তাড়না যা সকল প্রজাতির মধ্যেই বিদ্যমান থাকে সকলেরই তার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করা উচিত । মানুষের যৌনতার দৈহিক এবং আবেগীয় বৈশিষ্ট্যের মূল বিষয়বস্তু হল বিভিন্ন ব্যক্তির মাঝে বন্ধন যা গভীর অনুভূতি অথবা প্রেম- বিশ্বাস এবং পরিচর্যার দৈহিক বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়। কোন সমাজের সামাজিক বৈশিষ্ট্যগুলোও ব্যক্তির যৌনতার প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এছাড়াও মানুষের জীবনের যৌনতা সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক-আইনগত-দার্শনিক-নৈতিক-নীতিশাস্ত্রীয় এবং কেউ কেউ ধর্মীয় বৈশিষ্ট্যের দ্বারাও প্রভাবিত হয় এবং এগুলোকে প্রভাবিতও করে।

অনিয়ন্ত্রিত অবাধ যৌনতার খারাপ দিকগুলি কুফল -

নারী পূরুষের অবাধ মিলনের ফলে বর্তমানে সমাজে ছড়িযে পড়েছে মারাত্মক সব রোগ। সিফিলিস, প্রমেহ, গনোরিয়া, এমনকি মারাত্বক রোগ এইডস । এইডস রোগের ভাইরাস এর নাম এইচ আই ভি। এ ভাইরাস রক্তের শ্বেত কনিকা ধ্বংশ করে। ১৯৮১ সালে প্রথম এ রোগ ধরা পড়ে এবং ১৯৮৩ সালে একজন ফরাসী বিজ্ঞানী এইচ.আই.ভি ভাইরাসকে এ রোগের কারন হিসেবে দায়ী করেন। অনুমান করা হয় বানর থেকে এ রোগের ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করেছে। তাহলে মানুষে পশুতে যৌন মিলন কি এ রোগের প্রার্দূভাবের কারন? কখনও কি বিকৃত মনের কোন নর-নারীর বানরের সাথে যৌন সংগমের পরিনতিতে এ ভাইরাস আজ মানুষের দেহে ?

মানুষের কিছু যৌন আচরনের কারণে যৌন সংক্রামক রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। যদি কেউ অন্য অনেকের সাথে যৌন সঙ্গম করে থাকে তবে এ ক্ষেত্রে অপর সঙ্গীরও যৌন রোগ তৈরীর সম্ভাবনা হয়। একজন ব্যক্তির সাথে যৌনাচারণ করাটাই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। যদি একজন ব্যক্তি যৌন ভাবে অনেক সঙ্গীর সাথে সঙ্গমে সক্রিয় থাকে তবে নিয়মিত চিকিৎসকের দ্বারা যৌন কোনো রোগ আছে কি না,তা পরীক্ষা করা উচিত এবং এমন সংগী - সংগীনি নিজের ভালর জন্যই এড়িয়ে চলা উচিত।

যৌন অভিমুখিতা যাই হোক না কেন, অরক্ষিত যৌনাচার / পায়ু যৌনাচার খুবই বিপজ্জনক। পায়ু যৌনাচার - স্ত্রী যোনি সঙ্গমের তুলনায় অনেক বেশি ঝুকিঁপুর্ণ কারণ পায়ু ও রেকটামের (মলদ্বার) পাতলা টিস্যু অনেক সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর সেখানে হালকা ক্ষতও ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাতে পারে, এইচআইভি ছড়াতে পারে। একগামী অথবা বহুগামী, উভয়েরই যৌন রোগের প্রকোপে থাকতে পারে।কারণ, তাদের সঙ্গী-সঙ্গীনি যদি অবিশ্বাসযোগ্য হয়, বা বিভিন্ন ড্রাগ যা ইনজেকশনের মাধ্যমে নেওয়া হয় , সেসব ব্যবহার করে তবে তাদের যৌন রোগ থাকার একটা আশঙ্কা থাকে। আর যারা বহুগামী, তাদের যৌনসঙ্গী বাছ বিচার না করে নির্বাচন করা উচিত নয়। তাদের যৌন সঙ্গীর পরিমাণ কমানো উচিত। তাহলেই এসটিআই হবার সম্ভবনা হ্রাস পায়। একই সাথে তাদের সাথেই সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া উচিত, যারা বিশ্বাসযোগ্য।


পরিশেষে, ধর্ম ও চিকিৎসাবিজ্ঞানেও বহুগামীতাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং নিরাপদ যৌনতার জন্য সংগী- সংগীনির প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে বলা হয়েছে , যা পরিবার-সমাজ ও মানবজাতির কল্যানের সাথে সাথে নিজেদের কল্যাণও নিশ্চিত করে। বিবেকবান মানুষ মাত্রই / আমাদের সকলকে এ জাতীয় পাপাচার থেকে বেচে থাঁকার চেষ্টা করা উচিত।


তথ্যসূত্র - এনডিটিভি ও দৈনিক ইত্তেফাক (১১/০১/২০২২)।

===============================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -

মানব জীবন - ২১ -"পরকীয়া ও লিভ টুগেদার " Click This Link
মানব জীবন - ২০ -"সমকামীতা বা সমকামী বিয়ে" Click This Link
মানব জীবন - ১৯ - " আত্মসম্মান-নীতি-নৈতিকতা " Click This Link
মানব জীবন - ১৮ - " ধর্মহীনতা " Click This Link
মানব জীবন - ১৭ - " ধৈর্য " Click This Link
মানব জীবন - ১৬ -" সততা " Click This Link
মানব জীবন - ১৫ - " লজ্জা " Click This Link
মানব জীবন - ১৪ - "পর্দা " Click This Link
মানব জীবন - ১৩ - "ধর্ম " Click This Link
মানব জীবন - ১২ " সহ শিক্ষা " Click This Link
মানব জীবন - ১১ " শিক্ষা " - Click This Link
মানব জীবন - ১০ "পরিবার " - Click This Link
মানব জীবন - ৯ "বিবাহের পরে" - Click This Link
মানব জীবন - ৮ " মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য " - Click This Link
মানব জীবন - ৭ " তালাক " - Click This Link
মানব জীবন - ৬ "দেনমোহর - স্ত্রীর হক" - Click This Link
মানব জীবন - ৫ "বিবাহ" - Click This Link
মানব জীবন - ৪ " মাতৃত্ব " - Click This Link
মানব জীবন - ৩ Click This Link
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা "
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)"- Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ওয়াক থু

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

কি বলব ভাই, বর্তমানে আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত এমন সব কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হচছে যা দেখে-পড়ে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে যায় তার তার সাথে সাথে মুখ-গলা শুকিয়ে ওয়াক থু বলতেও কষ্ট হয় ।

সাথে সাথে মনে একটাই প্রশ্ন জাগে, " এই আমরাই কি সৃষ্টিকর্তার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি "?

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৪

সাসুম বলেছেন: ওয়াক থু'র বন্যা বয়ে যাবে আশা করি।

বিঃদ্রঃ দুইজন মানুষ কে কাকে লাগাবে সেটা তাহাদের একান্ত পারসোনাল বিষয়। বিয়ে একটা লিগাল স্টেটমেন্ট। এর মানে দুইজন একত্রে থাকবে একে অপরের সাথে। এখন দুইজন যদি তাদের এই চুক্তির শর্তাবলি না মানে, তাহলে কারো কিছু করার নাই।

এখন একই রকম ভাবে, আরো দুইজন যদি এইরকম চুক্তি না মানা দম্পতি পাওয়া যায় যারাও সেইম এবং তারা নিজেদের কন্সেন্ট নিয়ে একে অপরের সাথে সম্মতিতে যৌণ মিলন করবে তাতেও আমার আপনার কারো কিছু বলার নাই।

সমস্যা কোথায়?? যখন কাউকে জোর করা হয়। নিউজ টা পড়ে দেখলে বুঝতে পারবেন- এক লোক তার স্ত্রী কে জোর করে আরেক জনের সাথে শুইতে বাধ্য করার পর থানা পুলিশ এবং ধরপাকড়।

খেয়াল করে দেখেন, নিউজে কোথাও লিখা নাই যারা সম্মতিতে সেক্স করেছে তাদের কে গ্রেফতার এর কথা। শুধুমাত্র যারা নিজের ইচ্ছে আরকজনের উপর চাপিয়ে দিতে চায় তাদের কেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

আসল বক্তব্য হওয়া উচিত এটাই- তুমি কি করবা সেটা তোমার ব্যপার, তবে আমার সম্মতি ব্যতিরেকে তোমার নিজের ইচ্ছে আখাংকা আমার উপর চাপিয়ে দেয়ার তোমার কোন অধিকার নাই।


বিঃদ্রঃ এই পোস্টের সাথে আবারো গোজামিল দিয়ে বহুগামিতা কে বা পায়ুগামিতা কে নিয়ে আসছেন যেটার কোন রিলেশান নাই একে অপরের সাথে। আপনি পারেন ও বটে হুজুর!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

ওয়াক থু'র বন্যা বয়ে যাবে আশা করি।

- বিষয়টা কি সেরকমই নয় ভাই ?

বিঃদ্রঃ দুইজন মানুষ কে কাকে লাগাবে সেটা তাহাদের একান্ত পারসোনাল বিষয়। বিয়ে একটা লিগাল স্টেটমেন্ট। এর মানে দুইজন একত্রে থাকবে একে অপরের সাথে। এখন দুইজন যদি তাদের এই চুক্তির শর্তাবলি না মানে, তাহলে কারো কিছু করার নাই।

- তাহলে মানুষে আর পশুতে প্রার্থক্য কোথায় ভাই? আর , দুই জন মানুষ এবং তাদের বিকৃত মানষিকতা নিয়েই কি পরিবার-সমাজ?

এখন একই রকম ভাবে, আরো দুইজন যদি এইরকম চুক্তি না মানা দম্পতি পাওয়া যায় যারাও সেইম এবং তারা নিজেদের কন্সেন্ট নিয়ে একে অপরের সাথে সম্মতিতে যৌণ মিলন করবে তাতেও আমার আপনার কারো কিছু বলার নাই।

- এটা ঠিক বলেছেন - মানিকে মানিক চিনে ,রতনে রতন।

সমস্যা কোথায়?? যখন কাউকে জোর করা হয়। নিউজ টা পড়ে দেখলে বুঝতে পারবেন- এক লোক তার স্ত্রী কে জোর করে আরেক জনের সাথে শুইতে বাধ্য করার পর থানা পুলিশ এবং ধরপাকড়।
খেয়াল করে দেখেন, নিউজে কোথাও লিখা নাই যারা সম্মতিতে সেক্স করেছে তাদের কে গ্রেফতার এর কথা। শুধুমাত্র যারা নিজের ইচ্ছে আরকজনের উপর চাপিয়ে দিতে চায় তাদের কেই গ্রেফতার করা হয়েছে।


- পুলিশে ধরার ব্যাপারটা ছেড়ে দিয়েই নিরপেক্ষ ভাবে বিচার করেন ব্যাপারটাকে - এটা কি মূল ধারার সমাজের সাথে যায় এবং এ জাতীয় আচরন কি আদৌ গ্রহনযোগ্য?

আসল বক্তব্য হওয়া উচিত এটাই- তুমি কি করবা সেটা তোমার ব্যপার, তবে আমার সম্মতি ব্যতিরেকে তোমার নিজের ইচ্ছে আখাংকা আমার উপর চাপিয়ে দেয়ার তোমার কোন অধিকার নাই।

- মানুষ সামাজিক জীব ।আর সামজিক জীব এবং সমাজে বসবাসের জন্য মানুষকে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয় তা নিজেদের স্বার্থেই এবং এতেই সবার মগংল নিহিত। এখন সবাই যদি নিজ নিজ ইচছামত চলতে শুরু করে তাহলে এ সমাজ কি বসবাসের যোগ্য থাকবে?

বিঃদ্রঃ এই পোস্টের সাথে আবারো গোজামিল দিয়ে বহুগামিতা কে বা পায়ুগামিতা কে নিয়ে আসছেন যেটার কোন রিলেশান নাই একে অপরের সাথে। আপনি পারেন ও বটে হুজুর!

- জনাবে আলা - ভাইজান , এ সব বিষয় (বিকৃত মানষিকতার বিষময় ফল) কি একটার সাথে আরেকটা সম্পর্কিত বা প্রাসঙ্গিক নয় ?

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী আজব কাজ কারবার

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কাজী ফাতেমা ছবি , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

একটু খোলা মন ও বিবেক দিয়ে চিন্তা করলে ব্যাপারটার ভয়াবহতা উপলব্ধি করা যায়।

এরা কি আসলেই মানুষ ?

আর মানুষ হলেও এ কোন ধরনের আজব কাজ-কারবার :( হিসাব মিলেনা।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১২

সাসুম বলেছেন: আপনার হাতে কয়টা আংগুল?? ৫ টা। এগুলা সব গুলার সাইজ আর কাজ আর অরিয়েন্টেশান কি একই রকম?? আপনার ১৬ টা দাত এক পাটিতে। সব গুলা দেখতে একই রকম?? আমরা কিভাবে আশা করি সকল মানুষ আপনার দেখানো পথে চলবে? একই নিয়মে??

সমাজ বলেন আর রাস্ট্র বলেন- কে কি করবে এটা তার একান্ত পারসোনাল ব্যাপার। কে বিয়ে না করে সেক্স করল, কে পায়ুপথে যৌন মিলন করল, কে মেয়েতে মেয়েরে ঘষঘষি করল, কে তার বউ কে আরেক জনের সাথে রিপ্লেস করল- এগুলা কোন টাই সমাজ বা রাস্ট্র দেখার বিষয় না যতক্ষন না কন্সেন্ট থাকে, যতক্ষন না অন্য কারো উপর জোর করে, যতক্ষন না আরেক জনের হার্মের কারন হয়ে দাঁড়ায়।

আপনাকে ইন্ডিভিউজুয়াল এর ফ্রিডম এন্সিউর করতেই হবে। ধরেন আপনি রাজা বনের। এখন নিয়ম করলেন সব পশুকে এই বনে হরিনের মত ঘাস খেতে হবে। একই নিয়মে চলতে হবে। কেউ আরেক জনকে ধরে খেতে পারবেনা। কেউ মাংস খেতে পারবেনা এবং সবাইকে একই রকম ভাবে শব্দ উচ্চারণ করতে হবে। বিষয় টা কি ঠিক হবে??? অথচ- ন্যাচারাল রুলস হল সহাবস্থান।

আপনাকে সম্মতির নিয়ম আর ইন্ডিভিজুয়ালিজম মেনে চলতে হবে। দু জন ব্যাক্তি তাদের বেড্রুমে কি করবে সেটা একান্ত তাদের পারসোনাল বিষয়। এটা বার বার করে বলার পরেও আমরা মানতে চাইনা। এটাই সমস্যা।

এখন আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে এই ধরনের কাজের বিরুদ্ধে তবে কখন?? যখন আমাকে জোর করা হবে এ ধরনের কাজ করার জন্য আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে। যখন এক্সিস্টিং সিস্টেম কে বদলাতে চাইবে জোর করে তখন। কিন্তু কেউ যদি তার বেড্রুমে নিজ ইচ্ছায় মিলিত হয় সেটা র বিরুদ্ধে বলার রাইট নেই আমার বা আপ্নার বা কারো। আপনার বাড়া ভাতে যেমন ছাই দিলে আপনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবেন, ঠিক আরেক জনের বাড়া ভাতে ছাই দিলেও সে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবে।

- মানুষ সামাজিক জীব ।আর সামজিক জীব এবং সমাজে বসবাসের জন্য মানুষকে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয় তা নিজেদের স্বার্থেই এবং এতেই সবার মগংল নিহিত। এখন সবাই যদি নিজ নিজ ইচছামত চলতে শুরু করে তাহলে এ সমাজ কি বসবাসের যোগ্য থাকবে? উত্তরঃ সমাজ টিকে থাকবে যতদিন আপনি তার বেড্রুমে উকি দিয়ে সে কিভাবে আর কার সাথে যৌণ মিলন করবে এটা ঠিক করে দিবেন না ততদিন। যেদিন থেকে ঠিক করে দেয়ার নামে তার বেড্রুম নিয়ন্ত্রন করা শুরু করবেন সেদিন সমাজ নস্ট হয়ে যাবে। আপনি আপনার কিচেনে কি খাবেন কিংবা কিভাবে টয়লেট ইউজ করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। দাঁড়িয়ে মুতবেন নাকি বসে মুতবেন সেটা ঠিক করে দেয়ার আমি কেউ না। যতক্ষন আপনি আপ্নার বাসার ভিতরে আমার ক্ষতির কারন হবেন না ততক্ষন আমার কিছু বলার নাই।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।

আপনার হাতে কয়টা আংগুল?? ৫ টা। এগুলা সব গুলার সাইজ আর কাজ আর অরিয়েন্টেশান কি একই রকম?? আপনার ১৬ টা দাত এক পাটিতে। সব গুলা দেখতে একই রকম?? আমরা কিভাবে আশা করি সকল মানুষ আপনার দেখানো পথে চলবে? একই নিয়মে??

- হাতের সবগুলি আংগুল সমান নয় এবং সবগুলোর ব্যবহারও এক নয় । আবার দুই (ডান-বান) হাতের ব্যবহারেও রয়েছে ভিন্নতা । যে কাজ বাম হাতের তা ডান হাতে করা না যেমন শোভন ঠিক তেমনি তা স্বাস্থ্যসম্মতও নয়।

আবার দাত ও ভিন্ন সাইজ ও আকারের হলেও তাদের স্থির কাজের বাইরে কিছু করতে গেলে (দাত দিয়ে শক্ত বা কঠিন কিছু কাটতে গেলে) দাত ভেংগে যাবার ভয় থাকে।

কাজেই যার যার সেই কাজই করা উচিত যা তার জন্য স্থিরীকৃত এবং যাতে তার নিরাপত্তা রক্ষা হয়।

সমাজ বলেন আর রাস্ট্র বলেন- কে কি করবে এটা তার একান্ত পারসোনাল ব্যাপার। কে বিয়ে না করে সেক্স করল, কে পায়ুপথে যৌন মিলন করল, কে মেয়েতে মেয়েরে ঘষঘষি করল, কে তার বউ কে আরেক জনের সাথে রিপ্লেস করল- এগুলা কোন টাই সমাজ বা রাস্ট্র দেখার বিষয় না যতক্ষন না কন্সেন্ট থাকে, যতক্ষন না অন্য কারো উপর জোর করে, যতক্ষন না আরেক জনের হার্মের কারন হয়ে দাঁড়ায়।

- :(

আপনাকে ইন্ডিভিউজুয়াল এর ফ্রিডম এন্সিউর করতেই হবে। ধরেন আপনি রাজা বনের। এখন নিয়ম করলেন সব পশুকে এই বনে হরিনের মত ঘাস খেতে হবে। একই নিয়মে চলতে হবে। কেউ আরেক জনকে ধরে খেতে পারবেনা। কেউ মাংস খেতে পারবেনা এবং সবাইকে একই রকম ভাবে শব্দ উচ্চারণ করতে হবে। বিষয় টা কি ঠিক হবে??? অথচ- ন্যাচারাল রুলস হল সহাবস্থান।

- আইন তৈরী হয় বাস্তবতা এবং উপযোগীতার উপর নির্ভর করে । এখন এমন আইন কখনো সফল হবেনা যেখানে বাঘ কিংবা হরিণকে একইভাবে বিচার করে। কারন , তাদের গঠনগত ও আচরণগত প্রার্থক্য। তবে এ উদাহরন মানব সমাজের জন্য কতটা প্রযোজ্য? এখানে মানুষ সব একই প্রজাতির যেখানে বাঘ-হরিণ আলাদা আলাদা।


আপনাকে সম্মতির নিয়ম আর ইন্ডিভিজুয়ালিজম মেনে চলতে হবে। দু জন ব্যাক্তি তাদের বেড্রুমে কি করবে সেটা একান্ত তাদের পারসোনাল বিষয়। এটা বার বার করে বলার পরেও আমরা মানতে চাইনা। এটাই সমস্যা।
এখন আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে এই ধরনের কাজের বিরুদ্ধে তবে কখন?? যখন আমাকে জোর করা হবে এ ধরনের কাজ করার জন্য আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে। যখন এক্সিস্টিং সিস্টেম কে বদলাতে চাইবে জোর করে তখন। কিন্তু কেউ যদি তার বেড্রুমে নিজ ইচ্ছায় মিলিত হয় সেটা র বিরুদ্ধে বলার রাইট নেই আমার বা আপ্নার বা কারো। আপনার বাড়া ভাতে যেমন ছাই দিলে আপনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবেন, ঠিক আরেক জনের বাড়া ভাতে ছাই দিলেও সে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবে।


- :(( , কমুনা কিছু , যে যা খুশি করুক - আমার কি ?

সমাজ টিকে থাকবে যতদিন আপনি তার বেড্রুমে উকি দিয়ে সে কিভাবে আর কার সাথে যৌণ মিলন করবে এটা ঠিক করে দিবেন না ততদিন। যেদিন থেকে ঠিক করে দেয়ার নামে তার বেড্রুম নিয়ন্ত্রন করা শুরু করবেন সেদিন সমাজ নস্ট হয়ে যাবে। আপনি আপনার কিচেনে কি খাবেন কিংবা কিভাবে টয়লেট ইউজ করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। দাঁড়িয়ে মুতবেন নাকি বসে মুতবেন সেটা ঠিক করে দেয়ার আমি কেউ না। যতক্ষন আপনি আপ্নার বাসার ভিতরে আমার ক্ষতির কারন হবেন না ততক্ষন আমার কিছু বলার নাই।

- আপনি আমি যদি যে কোন জিনিষ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম-নীতি না জানি তাহলে সে জিনিষের সঠিক ব্যবহার আমাদের দিয়ে হবেনা । আর তাইতো প্রস্তুতকারক তার তৈরী যে কোন জিনিষ বাজারজাত করার সময় জিনিষের সাথে সাথে তার ব্যবহার বিধিও (ম্যানুয়াল) দিয়ে দেয় যাতে তার করে সঠিক ব্যবহার করতে পারে। এখন জিনিষ কিনে যদি আপনি-আমি সঠিক তথ্যের অভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারি তাহলে এর দায় অবশ্যই প্রস্তুতকারকের । আর প্রস্তুতকারক ব্যবহার বিধি বলে দেয়ার পরেও যদি কেউ তার সঠিক ব্যবহার না করে তবে এর দায় তারই যে কিনে নিয়ে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে নাই।

কাজেই সমাজের মানুষের জন্য , মানুষ (কর্তৃপক্ষ ) এবং সৃষ্টিকর্তা কিছু নিয়ম নীতি তৈরী করেছে এবং ভাল-খারাপ ব্যবহার বিধি বলে দিয়েছে। এখন এর ভাল কিংবা খারাপ যে কোন ব্যবহারের দায় একমাত্র ব্যবহারকারীর উপরই বর্তাবে।

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কিছু বলার নেই , বিকৃত মানুষ তো বিকৃত আচড়ন ই করবে । জাহান্নামের কিটদের ধর্মীয়,সামাজিক কোন অনুভূতি নেই ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাখাওয়াত হোসেন বাবন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

আসলেই আমাদের দ্বারা এবং আমরা মাঝে মাঝে এমন কিছু কাজ করি যার ব্যাপারে বলতে বা ভাবতে গেলেও বিবেক বাঁধা দেয়। তবে এ জাতীয় কাজ যারা করে তাদের বিবেক লোপ পেয়ে মনে হয় মরে যায়, তাই তারা এসব কাজ করে ফেলে অবলীলায়।

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এধরণের বিকৃত যৌনাচার প্রথমে শুরু হয়েছে গার্লফ্রেন্ড এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। মানুষ যতই সম্পর্ক করে বিয়ে করুক না কেন, গার্লফ্রেন্ডের বিষয়ে একটা বিষয় রয়েই যায় যে এর মান সম্মান বউয়ের মত নয়। মান-সম্মান গেলেও সমস্যা নাই; বিয়ে না করলেই হইলো।

এছাড়া বিয়ের পর বন্ধুকে নিজের স্ত্রীর সাথে পরিচয়, অবাধ যাতায়েত সহ বিভিন্ন বিষয় এ ধরণের বাজে জিনিষে উৎসাহ দেয়।

মাঝে বাংলাদেশে একটা অনলাইন ব্লগ/ওয়েব সাইট লেগছিলো পরকিয়াকে ভালো হিসাবে দেখানোর দ্বায়িত্ব নিয়ে।

এমন ভাবে অনেক অনেক জিনিষই এ ধরণের বিষয়ের সাথে জড়িত।

ভবিষ্যতে কি হবে?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঋণাত্মক শূণ্য ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।

এধরণের বিকৃত যৌনাচার প্রথমে শুরু হয়েছে গার্লফ্রেন্ড এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। মানুষ যতই সম্পর্ক করে বিয়ে করুক না কেন, গার্লফ্রেন্ডের বিষয়ে একটা বিষয় রয়েই যায় যে এর মান সম্মান বউয়ের মত নয়। মান-সম্মান গেলেও সমস্যা নাই; বিয়ে না করলেই হইলো।

- বিষয়টা ভাবলেই কেমন লাগে ভাই , বলেন ? মানুষ পরিবর্তন বা বৈচিত্র চায়,তা ঠিক আছে । মাঝে মাঝে রুচি পরিবর্তন হয়ত ভাল বা একজনের সাথে একজীবন পার করা কারও কারও সাথে একঘেয়ে লাগতে পারে। আর সেই একঘেয়েমি দূর করতে গিয়ে এরকম ঘেয়ো (জঘন্য) কাজ কতটা যুক্তি-যুক্ত সেটাই প্রশ্ন।

এছাড়া বিয়ের পর বন্ধুকে নিজের স্ত্রীর সাথে পরিচয়, অবাধ যাতায়েত সহ বিভিন্ন বিষয় এ ধরণের বাজে জিনিষে উৎসাহ দেয়।

- নিজ নিজ স্বার্থে কেউ কেউ ব্যবহার করে আবার কেউ কেউ ব্যবহৃত হয় । এসব মানুষের বিকৃত মানষিকতারই বহিঃপ্রকাশ । উভয়েই ভূলে যায় যে, "অন্যায়কারী এবং অন্যায়সহ্যকারী উভয়েই স্রষ্টার নিকট সমান অপরাধী এবং উভয়ের জন্যই রয়েছে
শাস্তির হুশিয়ারী"।

মাঝে বাংলাদেশে একটা অনলাইন ব্লগ/ওয়েব সাইট লেগছিলো পরকিয়াকে ভালো হিসাবে দেখানোর দ্বায়িত্ব নিয়ে।এমন ভাবে অনেক অনেক জিনিষই এ ধরণের বিষয়ের সাথে জড়িত।

- আমাদের আশেপাশেই এমন হাজারো লাখো লেজ কাটা শিয়াল আছা যারা সবসময়ই বাকীদেরকেও তাদের দলে শামিল করতে চায় ব্যক্তিস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে।

ভবিষ্যতে কি হবে?

- এটাই কোটি টাকার প্রশ্ন !!!!!

কিভাবে রক্ষা হবে জন্মের পবিত্রতা ?
এভাবে চললে কি হবে মানব জাতির ভবিষ্যত ?
কেমন হবে পারিবারিক জীবন ?
কি হবে সামাজিক কাঠামোর ?
কোথায় গিয়ে দাড়াবে আপনজনদের সম্পর্কগুলি ?

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: বিকৃত যৌনাচার বিকৃত মানষিকতা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই, আপনার মন্তব্য এর জন্য।

এসব হচ্ছে তথাকথিত মানুষ রুপি অমানুষদের আধুনিক মানষিকতার বহিঃপ্রকাশ।

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন বিষয়েই চরম পন্থা ভালো না। আল্লাহতালা যেভাবে অনুমতি দিয়েছেন সেভাবেই খুশি থাকা উচিত।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

চরমপন্থা বা বিকৃত পন্থা কোনটাই মানুষের জন্য মংগলজনক নয়।

স্রস্টাপ্রদত্ত ও নিদে'শিত পথই মানুষের জীবনের জন্য সঠিক। কারন, স্রস্টা তাই করতে বলেছেন এবং পালন করতে বলেছেন যাতে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ নিহিত আছে।

এখন কিছু মানুষ স্রস্টা প্রদত্ত পথ পরিহার করে শয়তানকে অনুসরণ করতে গিয়ে তারাই শয়তানের দোষর হিসাবে আবি'ভূত হয়ে নানা রকম নিত্তনতুন পাপের জন্ম দেয়। এরা মানবতার বিরুদ্ধে গিয়ে পশুতে পরিণত হয়ে যায়।

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৭

সোবুজ বলেছেন: সুরা আল বাকারা আয়াত ২২৩
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোবুজ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আল কোরানের উক্ত আয়াত দিয়ে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছিলেন, তা বুঝিনি। যদি বিস্তারিত বলতেন তাহলে ভাল হত।

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অতি ইসলাম পন্থিরা সবসময় ভারতের উদাহরণ দিতে ভালবাসে।
কিন্তু ইসলামের ভেতর যে অবাধ যৌনাচার নোংড়া বহুগামিতা এলাও করা আছে সেটা নিয়ে কিছু বলে না।
কোন সভ্য দেশে একসাথে একাধিক স্ত্রী বা যৌনসংগী রাখা অবৈধ শাস্তি যোগ্য অপরাধ, কিন্তু ইসলামে সেসব বৈধ।
শুধু তাই না বাসায় ৫ স্ত্রী থাকার পরও দাসীর সাথে যৌনাচার হালাল, নগর দখল করা হলে নগরের বেসামরিক নারী শিশুদের বলপুর্বক দাস বানিয়ে অবাধে যৌনাচার করা যাবে। এসব কি জঘন্য বিকৃত যৌনাচার না?
অতচ কিতাবে আল্লাহ বলেছেন মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় শৃষ্টি করেছেন, কিন্তু দেখা গেল ঘর বোঝাই স্ত্রী আর যৌন দাসী বৈধ করা হল।


লিভিং টুগেদার করা অর্থাৎ কাগজ বাদে জেন্টেলমেন এগ্রিমেন্টে দুজন একসাথে থাকা মানবজীবনে একটি স্বাভাবিক বিষয়।
গার্লফ্রেন্ড বয় ফ্রেন্ড থাকা সময়ে গার্লফ্রেন্ড পরিবরতন করা সমাজে একটি স্বাভাবিক বিষয়।
সংগী বা স্ত্রী পরিবর্তন করাও একটি স্বাভাবিক বিষয়। অবস্যই এসব বিকৃত যৌনাচার নয়।
আমাদের দেশে বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন চালু হয়েছিল মাত্র সেদিন ১৯৬৭ এ। এর আগে তো কাগজ বাদেই জেন্টেলমেন এগ্রিমেন্টে বিয়ে হচ্ছিল, সেই আদীকাল থেকেই।
বরং ঘরে একাধিক বৌ দাসী রাখাটা বরং বিকৃত যৌনাচার। উন্নত দেশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

পুরো মন্তব্যটাই ভাই একপেশে হয়ে গেল না ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.