নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - unsplash.com
"সৃষ্টি থেকে শেষ অবধীর কেন্দ্রে রয়েছে নারী
হাজার রূপ একটি নারীর, যেন রহস্যের ভান্ডারী,
কখনো মা, বোন, নানী বা প্রিয়তমা স্ত্রী
তাদের জন্যই সুন্দর ধরনী, স্রষ্টার করিগরী"।
নারী স্রষ্টার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। যদিও " নর-নারী " - এ দুয়ের মিলিত রুপই সুন্দর ও সাফল্যময় এই পৃথিবী। উভয়ের মিলিত প্রচেষ্টাতেই পৃথিবী আজকের এই অবস্থানে এসেছে। মহান স্রষ্টা উভয়কে সৃষ্টি করছেন পারস্পরিক এবং দুনিয়াবাসীর কল্যাণের জন্য এবং উভয়ের মাঝের সম্পর্ক করে দিয়েছেন সহযোগীতামূলক। যদিও স্রষ্টা প্রথমে আদি মানব হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করছিলেন। হজরত আদম (আঃ) সৃষ্টির পর এক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত একাকী জীবনযাপন করতে থাকলেন। কিন্তু তিনি জীবনযাপনে এবং সুখ ও শান্তিতে এক ধরনের নির্জনতা ও একাকীত্ব অনুভব করছিলেন। দেখা গেলো, তাঁর স্বভাব ও প্রকৃতি কোনো সঙ্গী ও সাথীর অন্বেষণ করছে। তাই আল্লাহপাক হজরত হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন। হযরত আদম (আঃ) নিজের জীবনসঙ্গী পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করলেন।ইসলাম ধর্মমতে, হজরত হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে হজরত আদম (আঃ) এর পাজরের হাঁড় দিয়ে। হযরত হাওয়া (আঃ) সৃষ্টি সম্পর্কে আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন, " যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন, আর বিস্তার করেছেন তাদের দু'জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী"।(সুরা নিসা, আয়াত ১)।
ছবি - parenting.firstcry.com
হজরত হাওয়ার সৃষ্টি প্রসঙ্গে অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, "তিনিই তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, যাতে সে তার কাছে শান্তি পায়। তারপর যখন সে তার সাথে সংগত হয় তখন সে এক হালকা গর্ভধারণ করে এবং এটা নিয়ে সে অনায়াসে চলাফেরা করে। অতঃপর গর্ভ যখন ভারী হয়ে আসে তখন তারা উভয়ে তাদের রব আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, যদি আপনি আমাদেরকে এক পূর্ণাঙ্গ সন্তান দান করেন তাহলে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব"। (সুরা আরাফ,আয়াত ১৮৯)।
হযরত হাওয়া (আঃ) সৃষ্টি সম্পর্কে হাদীসে বলা হয়েছে, আবু হুরায়রা সূত্রে ইমাম বুখারি ও মুসলিম বর্ণনা করেন, " নবী করিম (সাঃ) বলেছেন , " তোমরা নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও, কারণ নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পাঁজরের মধ্যে উপরের হাড্ডি সবচেয়ে বেশী বাঁকা, যদি তা সোজা করতে চাও ভেঙ্গে ফেলবে, ছেড়ে দিলেও তার বক্রতা যাবে না। অতএব নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও।(বুখারি শরীফ, হাদিস নং - ৩৩৩১, মুসলিম শরীফ - হাদিস নং ১৪৭০)।
অর্থ্যাৎ, আল কোরআন ও হাদীস অনুসারে নারীর সৃষ্টি হয়েছে পুরুষেরই অংশ থেকে উভয়ের জন্যই উভয়েরই নিকট শান্তি-কল্যাণ ও মংগল নিহিত রেখেছেন।
স্রষ্টার পরিষ্কার ঘোষনা থাকার পরেও দুনিয়ার বেশীরভাগ নর-নারী নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ককে সহযোগীতা মূলক না ভেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভাবে এবং উভয়ে উভয়কে শান্তি-কল্যাণের সংগী হিসাবে না পেয়ে , নারী পুরুষকে পেয়ে থাকে শোষণ নির্যাতনের মূর্তিমান আতংক হিসাবে আবার পুরুষ নারীকে বিবেচনা করে থাকে শুধুমাত্র ভোগের অনুষংগ ও সেবাদাসী হিসাবে। অথচ আমরা যদি খুব সাধারন ভাবে আমাদের পরিবার সমাজের দিকে একটু গভীরভাবে নজর দেই তাহলে যে সব নারীদের আমরা দেখি , তা হলো -
ছবি - parents.com
১ । দাদী / নানী - " দাদী - বাবার মা এবং " নানী - মায়ের মা " কিংবা পরিবারের সবচেয়ে বয়জ্যেষ্ঠ কিংবা সম্মানীয় নারী যার কথাই সবার শেষ কথা। পরিবারের ছোটদের সব দাবী-দাওয়া পূরণের ও গল্প বলার এক জীবন্ত কিংবদন্তী।
২। বোন - বড় / ছোট - পরিবারের বড় বোন , মায়ের পরেই যার স্থান আর ছোট বোন - যে ভাইদের প্রাণ । যাদের একটু হাসি-খুশির জন্য ভাইয়েরা যে কোন কঠিন কাজ করতেও পিছপা হয়না ।
৩। চাচী / খালা - উভয় পরিবারেরই সম্মানীয় এবং ভালবাসার জন।
৪। মা - এ দুনিয়াতে একজন সন্তানের জন্য তার সব কিছু । তার জন্ম-বেঁচে থাকা- বেড়ে উঠা-আদর-ভালবাসার ও ভরসার স্থান। আর তাইতো মহান আল্লাহপাক মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত নির্ধারিত করে রেখে নারীকে করেছেন চূড়ান্তভাবে সম্মানীত।
৫। স্ত্রী - পরিণত বয়সের একজন পুরুষ এবং একজন নারীকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহনের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবন শুরু করে এবং সেই (স্ত্রী) হয়ে উঠে তার জীবনের সবচেয়ে কাছের জন-ভালবাসার-ভরসার জন এবং পারিবারের প্রাণকেন্দ্র - কেন্দ্রস্থল বা নিউক্লিয়াস। যাকে কেন্দ্র করেই পুরো পরিবার এবং সাফল্য আবর্তিত হয় । যে হাসলে পুরো পরিবার হাসে, যার মন খারাপ থাকলে পুরো পরিবারেই তার প্রভাব পড়ে এবং যার সহযোগীতার ফলেই একটি পরিবার ও তার সদস্যগণ পেতে পারেন দুনিয়াতে বেহেশতের শান্তি। আবার যার একটু খারাপ আচরনেই যে কারো জীবন ও পরিবার হয়ে উঠতে পারে নরকের আধার ।
ছবি - shutterstock.com
৬। কন্যা - মায়ের নাড়ী ছেড়া ধন বাবার চোখের মনি ও রাজকণ্যা (সকল বাবাদের কাছেই তার কন্যা রাজকণ্যা হিসাবে বিবেচিত তার রাজ্য থাকুক কিংবা আর্থিক অবস্থা যাই হোক না কেন) যে হাসলে পুরো পরিবার হাসে আর যে কাঁদলে পুরো পরিবার দুঃখে ভাসে।
৭। শাশুড়ি (ছেলের / মেয়ের ) - ছেলের শাশুড়ি তথা শশুরবাড়ী মধুর হাড়ী তথা আদর-ভালবাসার-খাবার দাবারের অফুরান উৎস হলেও মেয়ের শাশুড়ি মানে হলো বিধি-নিষেধের বেড়াজাল,পারিবারিক অশান্তি ও কূটকচালীর মূল কারন যার মূল লক্ষ্যই থাকে কি করে ছেলের বউকে কষ্টে রাখা যায় এবং ছেলে-ছেলে বউয়ের মাঝের সম্পর্ককে তিক্ত করে তুলা যায় (এর ব্যতিক্রম ও আছে)।
আমাদের পরিবার-সমাজ ও আশে-পাশের এ নারীদের বাইরেও আরো কিছু নারী সম্পর্ক আছে এবং যুগে-যুগে,কালে-কালে সে সকল নারীকে একেক জন একেক ভাবে মূল্যায়ণ করেছে। যেমন - রাজা-বাদশা-জমিদারদের কাছে ও তাদের হেরেম শরীফে নারীদের মূল্যায়ণ করা হতো শুধুমাত্র ভোগের সামগ্রী হিসাবে। তাদেরকে ডাকা হত নর্তকী-বাঈজী-রক্ষিতা- উপপত্নী হিসাবে । যেখানে তাদের মানবিক মূল্যায়ণ না হয়ে ভোগের সামগ্রী হিসাবেই মূল্যায়ণ হত বেশী।
কালের পরিক্রমায় রাজা-বাদশা-জমিদারী প্রথা বিলোপ সাধন হলেও এবং মানুষ আধুনিক কালে অনেক বেশী শিক্ষিত ও সচেতন হলেও এখনো কারো কারো কাছে নারীর অবস্থানের খুব বেশী পরিবর্তন হয়নি। আর তাইতো এখনো জীবনের জটিলতায় নারীকে দেখা যায় নর্তকী-রক্ষিতা-তালাকপ্রাপ্তা সহ নানা নির্যাতিত-নিপিড়ীত রূপে।এখনো কেউ কেউ নারীকে খুজে পান লোভী-ছলনাময়ী এবং বিশ্বাসভংগকারী হিসাবে আবার কেউ পান দেবী হিসাবে। আর তাইতো কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন ,
" নারী নাহি হতে চায় শুধু একা কারো,
এরা দেবী,এরা লোভী, যত পুজা পায় এরা চায় তত আরো,
ইহাদের অতিলোভী মন
একজনে তৃপ্ত নয়, এক পেয়ে সুখী নয়,
যাচে বহুজন ------------------ "
এই যে কবি বলেছেন , " নারী লোভী " আবার অনেকে বলেছেন, "পদার্থ বিদ্যা-রসায়ন বিদ্যা ও আরো কঠিন কঠিন বিষয় বুঝা সহজ কিন্তু নারীকে বুঝা বা নারীর মন বুঝা সহজ নয়" - নারী কি আসলেই এতটা দূর্জ্ঞেয়-দূর্বোধ্য ? এগুলি কি নারীর প্রতি পুরুষের আসলেই সঠিক ধারনা না নারীর প্রতি একধরনের অপবাদ ?
এই যে একেক জনের একেক রকম মুল্যায়ণ !!!!!!!!! (নারী দেবী/ নারী লোভী) এ পুরুষদেরই নিজেদের স্বার্থে এবং তাদের প্রয়োজনেই এসব উপাধি নারীকে দিয়েছে তখনই - যখন যেটাতে তার বা তাদের (পুরুষদের) সুবিধা হয়েছে। নারী নিজেকে কখনোই না দেবী হিসাবে দেখতে চায় না কারো পুজা চায় । আবার কোন নারীই চায়না লোভী হিসাবে নিজেকে কল্পনা করতে ও দেখতে । সে সাধারন ভাবেই আপনজন, পরিবারের বাকী সদস্যদের নিয়ে মিলে-মিশে-ভালবেসে বেঁচে থাকতে চায় । এর বাইরে যদি আমরা নারীর বাকী অবস্থান (লোভী-ছলানময়ী-নর্তকী-রক্ষিতা) এর পিছনের কারন অনুসন্ধান করি তাহলে দেখতে পাব যে প্রতিটা নারীর এ করুণ অবস্থান ও কাহিনীর পিছনে একজন বিশ্বাসঘাতকের হাত রয়েছে । আর সেই বিশ্বাসঘাতক একজন পুরুষ, যে সেই অসহায় নারীকে আজকের এই অবস্থান নিয়ে আসার পেছনের মূল কারিগর।অথচ সে থেকে যাচছে পর্দার আড়ালে আর কাজের ভূক্তভোগী হচছে নারী। একজন নারী যতটা কঠিন পরিস্থিতিরই মুখোমুখি হউক না কেন কখনোই তার আপনজনদেরকে,তার পরিবারকে ছেড়ে যেতে চায়না, না চায় কোন খারাপ কাজে জড়াতে কিন্তু লোভী পুরুষ এবং তার লোভের শিকার হয়ে যখন একজন নারী অসহায় হয়ে কোন অন্যায়ে জড়িয়ে পড়ে তখন নারীকেই দোষ দেয়া হয় অথচ যে বা যারা তাকে এ পথে চলতে বাধ্য করেছে তারা থেকে যায় ধরা-ছোয়ার বাইরে।
আসুন দেখি নারী আসলে কি -
ছবি - keckmedicine.org
১। নারী বংশগতির ধারক-বাহক -
এ দুনিয়াতে নতুন প্রাণের জন্ম এবং মানব জাতির বংশগতির ধারক-বাহক ও মানুষের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয় নারীর মাধ্যমে। সন্তান জন্মদান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারী এ দুনিয়াতে মানব জাতির ধারাবাহিকতা করে চলছে পৃথিবীর শুরু থেকে । নারী যদি সন্তান জন্মদান না করত তাহলে বহুপূর্বেই এ দুনিয়া থেকে মানব জাতি বিলীণ হয়ে যেত।আর এ সন্তান জন্মদান করতে গিয়ে নারী অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা পোহায় হাসি মুখে।
২। নারী ভালবাসার লোভী -
প্রকৃতিগত ভাবে নারী আসলেই খুব বেশি লোভী কিংবা স্বার্থপর নয় । কারন, সৃষ্টিকর্তা তাদের সৃষ্টিই করেছেন একটি কোমল মন দিয়ে। তবে তাদেরকে একটু ভালবাসার জন্য লোভী বলা যেতে পারে। তাদের ভালোবাসার প্রতি একটু লোভ থাকে সবসময়। এ দিকটা ঠিকঠাক হলে তাদের ভুলিয়ে রাখা যায় সারা দুনিয়া থেকে এবং তাদেরকে পাওয়া যায় সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু-সহযোগী-ভালবাসার মানুষরুপে । তবে ভালবাসার জায়গায় অভাব রেখে জীবনে বাকী সব কিছুর পাহাড় বানিয়ে দিলেও তাদের পোষ মানানো যায় না। তারা শুধু একজায়গায়ই দূর্বল ও লোভী - তা হলো ভালবাসায় । বাকী সবজায়গায় তারা পুরুষের কাছে অজেয়-দূর্জ্ঞেয়-স্বার্থপর।
৩। নারী দুঃখবিলাসী ও অভিমানী -
নারীরা একটু দুঃখবিলাসীও হয়। প্রিয় মানুষটার দেওয়া হালকা আঘাতেই চোখের কোনে বৃষ্টি নামাতে তারা খুব একটা দেরী করে না এবং পারদর্শীও। তারা অভিমান প্রিয়ও হয়। তারা চায় দিনের মধ্যে কয়েকশো বার কেউ তাদের অভিমান ভাঙ্গাক। তারা এও চায় কেউ তাদের কারনে-অকারনে খুব বেশি হাসাক। জোর করে হাসাক এবং তাদের বুঝোক,বুঝার চেষ্টা করুক । তাদের রাগটাকে সম্মান করুক,মানিয়ে নিক। আবার তাদের রাগী চোখ দুটিকে কিছুটা ভয়ও পাক । তাদের অভিমানী কন্ঠস্বরকে কেউ খুব বেশি ভালো বাসুক আগলে রাখুক এবং তাদের ভেজা কন্ঠ শুনে কেউ দুঃখে অস্থির হয়ে পরুক , এতে তাদের হয়তো কিছুটা আনন্দও হয়।
৪। নারী আহ্লাদী -
কিছু মানুষের কাছে নারীর চোখের পানি-অভিমান এসব আচরণ বিরক্তিকর, ন্যাকামি বলে মনে হতে পারে। তবে যারা এগুলিকে যত্নসহকারে গ্রহণ করে এবং প্রবল আহ্লাদে মেনে নেয় নারী তার সারা জীবন এমন কাউকেই খুঁজে ফেরে এবং যদি এমন কারো দেখা তার জীবনে মিলে তবে নারী তার জন্য জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আর্শিবাদ রুপে আর্বিভূত হয়।
৫। নারী অবুঝ একটি বাচচা যার রয়েছে একটি কোমল মন -
একজন নারী সারাজীবনই বহন করে চলে একটি সহজ-সরল-নিষ্পাপ কোমল একটি মন বয়স যাই হোক না কেন। যদিও সংসারের নানা ঘাত-প্রতিঘাতে ও সময়ের সাথে সাথে এর অনেকটাই পরিবর্তন হয় তবে বেশীরভাগ সময়েই তারা কিছুটা বাচ্চাদের মতোই রয়ে যায়।বড় হয়ে গেলেও বাচ্চামোটা তাদের ছাড়ে না। বাচ্চা যেমন তার মায়ের কোলে চুপটি করে থাকে ঠিক তেমনি একটা সময়ে তারাও প্রিয় মানুষটির বুকে সেভাবেই মুখ লুকাতে চায়। তারা চায় মায়ের মতো করেই কেউ হোক, যে কি না শুধু তাদের ভালোটাই চাইবে। যেখানে সেই ছোট্টবেলাটার মতোই সব কিছু জমা রাখা যাবে একটা বিশ্বস্ত জায়গায় বিশস্ত বুকে।
ছবি - usatoday.com
৬। নারী অফুরন্ত বায়না, অভিমান ও ভালবাসার উৎস -
নারী হেসে ওঠার আগে পৃথিবী ছিলো অন্ধকার-বিষণ্ণ, বাগান ছিলো জঙ্গল, আর পুরুষ ছিল সন্ন্যাসী। নারী হেসেছে তার সাথে সাথে প্রকৃতি হেসেছে ও পৃথিবী হয়েছে আলোকময় আর পুরুষ হয়েছে সংসারী।নারী এমনই একজনকে চায় - যার চোখে তার জন্য খুব স্নেহ মিশে থাকবে,সে ঘুমিয়ে গেলে তার ঘুমন্ত মুখটি দেখে যে অজান্তেই হাসবে এবং বলবে পাগলিটা সারাদিন কত বায়নাই না ধরে,কত ছুটাছুটিই না করে।অকারনেই কত হাসে, কত কাঁদে। প্রিয় মানুষটি অজান্তেই ডুবে যাবে তাকে নিয়ে ভাবনার জগতে ঠিক যেমনটা করে মায়েরা। যা কিছুই হয়ে যাক, মায়েরা যেমন কখনো জেনে বুঝে ক্ষতি করবে না কষ্টও দিবে না ঠিক তেমনি তারা এমন ই ভরসা রাখতে চায় তার পাশের মানুষটির উপর , তার ভালবাসার মানুষের কাছে । এদিক থেকে দেখলে তারা একটু বোকাও এবং তারা এরকম বোকাই থাকতে চায় যদিনা পরিবেশ ও পরিস্থিতি তাদের পরিবর্তন হতে বাধ্য করে । যদি কখনো তাদের এ ভরসার বিশ্বাসটুকু হারিয়ে ফেলে তখনই তারা একান্ত অসহায় হয়ে পরে ।
আবার রাগ-অভিমানের দিক দিয়ে তারা একটু বেশীই স্বার্থপর । এ সুযোগটা তারাই বেশি পেতে চায় সবসময় আপনার ভালবাসার মানুষের জন্য ও তার সাথে । সব সময়ই সে আশা করে সে ছোট-খাট বিষয়েও রাগ করবে , অভিমানের পাহাড় চুড়ায় উঠে বসে থাকবে আর তার ভালবাসার জন ভালবেসে আদর করে তার রাগ-অভিমান ভাংগাবে। এ ক্ষেত্রে দোষ যদি তারও হয় তবুও সে তাই আশা করে।
নারী কি দানবী ? নারী কি ধ্বংসের উৎস -
নারী মানেই সহজ-সরল একটু কোমল, শান্ত এটা সবসময় সঠিকও নয়। যদিও নারীদের বলা হয়ে থাকে কোমলতা, ভালবাসা ও শান্তির প্রতীক। প্রকৃতিই তাদের এই বৈশিষ্ট্যগুলো দিয়েছে। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও কম নেই। পরিবেশ - পরিস্থিতি অনেক সময়ই সেই কোমল নারীকেই করে তোলে হিংস্র ,ভয়ংকর। আর এসবই হয় যখন নারী তার ভালবাসা-বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে কিংবা আপনজনদের কাছ থেকে প্রতারিত হয়।
যদিও দুনিয়ার অনেক বড় বড় ঘটনা-দূর্ঘটনা নারীকে কেন্দ্র করে এবং তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে তবে এটাও ঠিক এসবের পিছনে সেই নারী থেকে পুরুষের স্বার্থপরতা-লালসা ও ভোগবাদী মানষিকতাই দায়ী ছিল বেশী। আমরা যদি " হেলেন অব ট্রয় বা ট্রয়ের যুদ্ধ " এর ইতিহাস আর মিথোলজি দেখি , উভয় মাধ্যমই ট্রয় নগরী ধ্বংসের জন্যে হেলেনকেই দায়ী করে থাকে। ট্রয়ের যুদ্ধ এবং এর ধ্বংসের ঘন মেঘের দায় বরাবর গিয়ে পড়ে হেলেনের ওপর। কিন্তু কেনো?
হেলেন অস্বভাবিক রকমের সুন্দরী ছিলেন এটা তার অপরাধ ছিল নাকি ভালোবেসে ছিলেন এক সুঠামদেহী সুদর্শন যুবককে ও পালিয়েছিলেন প্রেমিকের হাত ধরে,এটাই কি তার অপরাধ ? তার প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের পূনরাবৃত্তি ঘটেছিলো বারবার। এটাও কি তার অপরাধ? ট্রয় ধ্বংসের দায় কি শুধু নারীর/হেলেনের ? ৩ হাজার বছর আগে গ্রীক নৃপতিরা কি নীল সাগরে ১ হাজার তরী ভাসিয়েছিল শুধুমাত্র এক হেলেনের জন্য ? রাজ্য জয়ের লোভ কি তাদের ছিলনা ? দৃষ্টির অন্তরালে হেলেনের নারী মানসের অব্যক্ত অন্তর্বেদনার কথা কেনো উঠে আসে নি ইতিহাসের পাতায়? ইতিহাস কি এখানে একচোখা আচরণ করেনি?
আবার , উপ মহাদেশের সবচেয়ে বড় ঘটনা " লংকা কান্ড তথা রামায়ন " এর জন্য সীতাকেই দায়ী করা হয় । এখানেও সীতা সুন্দরী ছিলেন এটা তার অপরাধ ছিল ? এই যে রাম-সীতার বনবাস - এর পিছনে কি সীতার হাত না রাজনীতি দায়ী ? না সুপুরুষ,সুগঠিত রাবন রাজার লোভই ঘটনার পিছনের মূল কারন ছিল ? অথচ ইতিহাস এত বড় ঘটনার জন্য সীতাকেই দায়ী করে থাকে । আবার সবশেষে সেই অপহরীত সীতাকেই দিতে হয় সতিত্বের অগ্নিপরীক্ষা । এর পরেও মানুষের কথায় রাম সকলের সম্মুখে সীতাকে পুনরায় অগ্নিপরীক্ষা দিতে বললে অপমানিতা সীতা মাতা ধরিত্রীকে আহ্বান জানান ,মাটি বিদীর্ণ হয়। দেবী ধরিত্রী উঠে এসে সীতাকে নিয়ে পাতালে চলে যান। এই যে বলিদান , এতে সীতার দায় কতটুকু ? এর পুরো ভূক্তভোগী সীতাই অথচ সীতাকেই দায়ী করা হয় লংকা কান্ডের জন্য।
এদিকে আবার কিছু প্রেমিক পুরুষ এই নারীকে ভালবেসেই তাদের অমর করার চেষ্টা করেছেন। যেমন - মোঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন স্বরূপ নির্মাণ করেন তাজমহল । এই তাজমহল যতটা না মমতাজকে অমর করেছে তার চেয়ে বেশী প্রচার হয়েছে শাহজাহানের। একই ঘটনা রাজলক্ষী-শ্রীকান্ত, শিরী-ফরহাদ, লাইলী-মজনু র ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ।
ছবি - unsplash.com
নারীরা কখনোই চায়না তাকে ভালবেসে কেউ যুদ্ধ বাঁধাক, লংকা কান্ড ঘটাক কিংবা তাজমহল নির্মাণ করুক । এসবই প্রেমিক পুরুষের তার প্রেমিকার প্রতি আবেগের-স্বার্থপরতার বহিঃপ্রকাশ। নারী দুনিয়ার সবার কাছে পরিচিত হতে চায়না ,চায়না সারা দুনিয়ার সবার ভালবাসা । বেশীরভাগ নারীই চায় শুধু একজনকে ভালবাসতে , এমন একজনকে যে তার আবেগকে মূল্য দিবে ,সুখে-দুঃখে সারাজীবন আগলে রাখবে বুকের মাঝে এবং রক্ষা করবে সকল প্রতিকূলতা থেকে আর থাকবে সারাজীবন বিশ্বস্ত তার প্রতি ।
কেউ যদি কোন নারীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকে তাহলেই আমৃত্যু সেই নারীও সেই পুরুষের নিকট থাকবে ততটাই বিশ্বস্ত যতটা থাকে একটি প্রভুভক্ত কুকুর তার মালিকের প্রতি, যে কিনা জীবন দিয়ে হলেও মালিক কে রক্ষা করতে চেষ্টা করে সবসময়। আর জীবনে তা সে নারী কিংবা পুরুষ যেই হোক না কেন সে যদি বিশ্বস্ত না হয় তবে সে সাপের চেয়েও খল হায়েনার চেয়েও ভয়ংকর। কারন , এ দু প্রাণীকে যেমন কখনোই বিশ্বাস করা যায়না ঠিক তেমনি অবিশ্বস্ত সংগী-সংগীণিও ভয়ংকর এবং কখনো বিশ্বাসযোগ্য নয় ও সর্বদা পরিতাজ্য - তা যতই ভালবাসার জনই হোক না কেন ।
ছবি - patheos.com
কাজেই , যখনই নারী কোন পুরুষকে ভালবেসে , আকড়ে ধরে বাঁচতে চাইবে এবং কোন পরিবারের ভালবাসার সেই পুরুষও সেই নারীকে তার বিশ্বস্ততার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ভালবাসার চাঁদরে তাকে মুড়িয়ে দিবে এবং উভয়েই উভয়ের প্রতি ত্যাগ-সহযোগীতা-সহমর্মিতা ও ভালবাসার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবে তখনই সে পরিবার হয়ে উঠবে এ দুনিয়ায় বেহেশতেরই এক টুকরা তথা শান্তির আবাস ও সমাজ-দুনিয়া হবে হানাহানি সংঘাতমুক্ত। পুরুষ পাবে শান্তি আর নারী পাবে স্বস্তি ও ভালবাসা।আর এসব কিছুই যার ফলে সম্ভব তা হলো বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসা। পুরুষের একটু সহমর্মিতা ও ভালবেসে বাড়িয়ে দেয়া হাতের ফলেই নারী পেতে পারে ভরসা, হয়ে উঠতে পারে সুন্দর পৃথিবী বির্নিমাণে পুরুষের সাথে সহযোদ্ধা।
নারীর এত সব পজেটিভ দিক থাকার পরেও আজ এ একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীকে নির্যাতিত-নিগৃহীত হতে হয় তার পরিবারে।সমাজে করা হয় নারীর অবমূল্যায়ণ, নারীকে হতে হয় এসিড সন্ত্রাস কিংবা ধর্ষনের শিকার। এখনো নারী হয় যৌতুকের বলি । আর তাইতো কবি বলেছেন, "নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার, কেন নাহি দিবে অধিকার, - হে বিধাতা "?
এর সাথে মিলিয়ে বলতে মন চায়, " নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার, কেন নাহি দিবে অধিকার - হে পুরুষ"?
তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া, হাদীস এবং আল কোরআন ও প্রজন্ম ফোরাম।
=========================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
মানব জীবন - ২২ -" স্ত্রী / সংগী অদল-বদল করে যৌনসহবাস" Click This Link
মানব জীবন - ২১ -"পরকীয়া ও লিভ টুগেদার " Click This Link
মানব জীবন - ২০ -"সমকামীতা বা সমকামী বিয়ে" Click This Link
মানব জীবন - ১৯ - " আত্মসম্মান-নীতি-নৈতিকতা " Click This Link
মানব জীবন - ১৮ - " ধর্মহীনতা " Click This Link
মানব জীবন - ১৭ - " ধৈর্য " Click This Link
মানব জীবন - ১৬ -" সততা " Click This Link
মানব জীবন - ১৫ - " লজ্জা " Click This Link
মানব জীবন - ১৪ - "পর্দা " Click This Link
মানব জীবন - ১৩ - "ধর্ম " Click This Link
মানব জীবন - ১২ " সহ শিক্ষা " Click This Link
মানব জীবন - ১১ " শিক্ষা " - Click This Link
মানব জীবন - ১০ "পরিবার " - Click This Link
মানব জীবন - ৯ "বিবাহের পরে" - Click This Link
মানব জীবন - ৮ " মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য " - Click This Link
মানব জীবন - ৭ " তালাক " - Click This Link
মানব জীবন - ৬ "দেনমোহর - স্ত্রীর হক" - Click This Link
মানব জীবন - ৫ "বিবাহ" - Click This Link
মানব জীবন - ৪ " মাতৃত্ব " - Click This Link
মানব জীবন - ৩ Click This Link
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা "
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)"- Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
সবার আগে নারী একজন মানুষ। পুরুষ আর নারী- মানব সভ্যতার ২টা ভিন্নধর্মী পার্ট। এবং সবচেয়ে বড় বিষয়- দুইটা পার্ট ই সমান-সমান।
- তাই বলতে চেয়েছি পুরো লেখায় । নারী-পুরুষ আলাদা কোন সত্তা নয় । নারী-পুরুষ উভয়ে মিলেই একটি সম্পূর্ণ সত্তা (মানুষ) এবং একে অন্যের সহযোগী।
নারীকে ঘিরে সমস্যা শুরু হয় ঠিক সেই মুহুর্ত থেকে- যখন নারীকে পুরুষের আন্ডারে সম্পদ বানিয়ে ফেলা হয় এবং নারীর প্রতি অধিকার ও কর্তৃত্ত ফলানো শুরু হয়।
- এ বিষয়েও আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত । উভয়ের সম্পর্ক হওয়া উচিত সহযোগীতামূলক, একে অন্যের জন্য - কর্তৃত্তমূলক নয়।
নারীর মুক্তি আসবে কখন? যখন নারীকে সেক্স অব্জেক্ট কিংবা সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা না করে, ইকুয়াল পার্ট অফ হিউমান সিভিলাইজেশান হিসেবে গন্য করা হবে তখন। যতদিন নারীকে নারী রুপে দেখব আমরা ততদিন যৌতুক এর জন্য নির্যাতিত হবে, ধর্ষিত হতে হবে, এসিড সন্ত্রাসের স্বীকার হতে হবে এবং ভায়োলেন্স এর স্বীকার হতে হবে।
- নারীর প্রতি পুরুষের মানষিকতা তথা সহযোগী হিসাবে নারীকে শ্রদ্ধা-সম্মান ও ভালবাসার সাথে সাথে যখন নারীর কাজের সঠিক মূল্যায়ন পুরুষ করতে সক্ষম হবে তখনি নারীর মুক্তি আসবে।
তবে সুখের বিষয় হল- সভ্য ও উন্নত জাতিগুলো এটা বুঝতে পেরেছে এবং সে জন্য আস্তে আস্তে উন্নত বিশ্বে নারী নির্যাতন কমে আসছে এবং সমাজের সকল স্তরে নারীর অংশ গ্রহন ও বাড়ছে এবং পুরুষের সমানে সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও সভ্যতা বিনির্মানে কাজ করছে।
- সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সকল সমাজেই নারীর প্রতি পুরুষের আচরনের কিছু পরিবর্তন হয়েছে ও হচছে , তবে এখনো আরো অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে এবং করতে হবে পুরুষদের নারীর প্রতি । আর এসবই জরুরী মানব জাতির উন্নয়ন তথা পুরুষের নিজেদের স্বার্থেও এবং নারীর কল্যাণে।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৫
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: "আসুন দেখি নারী আসলে কি" - বলে নারীর যে ক্যারেক্টারস্টিক্স বর্ণনা করা হয়েছে এখানে, তা ভয়াবহ রকমের স্যাক্সিস্ট, এবং অ্যাসেশিয়ালিস্ট বক্তব্য। নারীকে ছাঁচে আটকে ফেলার প্রয়াস। কোন শিক্ষিত, বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষের পক্ষে এই ধরনের রিজনিং করা সম্ভব না।
কেউ যদি কোন নারীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকে, তাহলেই সেই নারীও সেই পুরুষের প্রতি থাকবে ততটাই বিশ্বস্ত থাকবে - যতটা থাকে একটি প্রভুভক্ত কুকুর তার মালিকের প্রতি !
নারীদের প্রতি এই ধরনের জঘন্য এবং কুৎসিত মন্তব্য কেন দেখা লাগে সামুর মতো একটা বৌদ্ধিক / ইন্টেলেকচুয়াল ফোরামে?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ উল হক আবির ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।
"আসুন দেখি নারী আসলে কি" - বলে নারীর যে ক্যারেক্টারস্টিক্স বর্ণনা করা হয়েছে এখানে, তা ভয়াবহ রকমের স্যাক্সিস্ট, এবং অ্যাসেশিয়ালিস্ট বক্তব্য। নারীকে ছাঁচে আটকে ফেলার প্রয়াস। কোন শিক্ষিত, বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষের পক্ষে এই ধরনের রিজনিং করা সম্ভব না।
- ভাই , আমি মনে হয় ব্যাপারটা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি বা আপনি আমার লেখার বিষয়টি বুঝতে পারেননি। "আসুন দেখি নারী আসলে কি" - এর দ্বারা এবং নারীর কতিপয় সাধারণ ব্যবহারিক বৈশিষ্ঠ্য দিয়ে আমি নারীর স্বাভাবিক দিকটাই তুলে ধরতে চেয়েছি। এখানে যৌনতাবাদ বা নারীর প্রতি অবমূল্যায়ন বা অসম্মানের কোন উদ্দেশ্যই নেই এবং লেখায় তাদের যে কয়টা স্বভাবের কথা বলা হয়েছে তা নারীর প্রকৃতি প্রদত্ত গুনগুলোর প্রতিই ফোকাস করার চেষ্টা করেছি কোন অসম্মানিত বিষয় নয় ।
কেউ যদি কোন নারীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকে, তাহলেই সেই নারীও সেই পুরুষের প্রতি থাকবে ততটাই বিশ্বস্ত থাকবে - যতটা থাকে একটি প্রভুভক্ত কুকুর তার মালিকের প্রতি ! নারীদের প্রতি এই ধরনের জঘন্য এবং কুৎসিত মন্তব্য কেন দেখা লাগে সামুর মতো একটা বৌদ্ধিক / ইন্টেলেকচুয়াল ফোরামে?
- ভাই এটা একটা উদাহরন । মানুষ বিশ্বস্ততার উদাহরন হিসাবে সবচেয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরন হিসাবে এখনো কুকুরকেই বিবেচনা করে থাকে । কারন, এ দুনিয়ায় এখন পর্যন্ত কুকুর থেকে বিশ্বস্ত কাউকে মানুষ খুজে পায়নি এবং এই উদাহরন দ্বারা নারীকে কোন ভাবেই ছোট বা অবমূল্যায়ন বা অসম্মান করা হয়নি বরং নারী যে স্বভাবে ও প্রকৃতিগত ভাবে বিশ্বস্ত - তাই বুঝাতে চেয়েছি। নারীকে ছোট বা অসম্মানিত করতে নয়।
তারপরেও , আমরা অনেক সময়ই আসলে যা বলতে চাই তা বুঝাতে ব্যর্থ হই । এটাও হয়ত আমার একধরনের ব্যর্থতা। আমার পুরো লেখার উদ্দেশ্যই ছিল এই মেসেজ দেয়া যে, নারী-পুরুষ সহযোগী , প্রতিযোগী নয় এবং উভয়ের মিলিত প্রচেষ্ঠাতেই একটি সুন্দর-সফল পরিবার তথা মানব সমাজ গড়ে উঠতে পারে।
আর তাই আমার লেখার কোন একটি শব্দ ও যদি নারীর প্রতি অসম্মানজনক বলে মনে হয় তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী ।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪
সোনালি কাবিন বলেছেন: লেখককে সামুর পাটাতনে স্থায়ীভাবে লেখাটি সহ পেরেকবিদ্ধ করে স্মরণীয় করে রাখার দাবি জানাই ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনালি কাবিন ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।
লেখককে সামুর পাটাতনে স্থায়ীভাবে লেখাটি সহ পেরেকবিদ্ধ করে স্মরণীয় করে রাখার দাবি জানাই ।
মতপ্রকাশ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আমি আপনার দাবীর সাথে একমত প্রকাশের পরও -
- ভাই , আমি মনে হয় ব্যাপারটা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি বা আপনি আমার লেখার বিষয়টি বুঝতে পারেননি।
" নারী " - তুমি আসলে কি ? বা "আসুন দেখি নারী আসলে কি" - এর দ্বারা এবং নারীর কতিপয় সাধারণ ব্যবহারিক বৈশিষ্ঠ্য দিয়ে আমি নারীর স্বাভাবিক দিকটাই তুলে ধরতে চেয়েছি। এখানে যৌনতাবাদ বা নারীর প্রতি অবমূল্যায়ন বা অসম্মানের কোন উদ্দেশ্যই নেই এবং লেখায় তাদের যে কয়টা স্বভাবের কথা বলা হয়েছে তা নারীর প্রকৃতি প্রদত্ত গুনগুলোর প্রতিই ফোকাস করার চেষ্টা করেছি কোন অসম্মানিত বিষয় নয় ।
বিশ্বস্ততার উদাহরন হিসাবে প্রভুভক্ত কুকুর -
ভাই এটা একটা উদাহরন । মানুষ বিশ্বস্ততার উদাহরন হিসাবে সবচেয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরন হিসাবে এখনো কুকুরকেই বিবেচনা করে থাকে । কারন, এ দুনিয়ায় এখন পর্যন্ত কুকুর থেকে বিশ্বস্ত কাউকে মানুষ খুজে পায়নি এবং এই উদাহরন দ্বারা নারীকে কোন ভাবেই ছোট বা অবমূল্যায়ন বা অসম্মান করা হয়নি বরং নারী যে স্বভাবে ও প্রকৃতিগত ভাবে বিশ্বস্ত - তাই বুঝাতে চেয়েছি। নারীকে ছোট বা অসম্মানিত করতে নয়।
তারপরেও , আমরা অনেক সময়ই আসলে যা বলতে চাই তা বুঝাতে ব্যর্থ হই । এটাও হয়ত আমার একধরনের ব্যর্থতা। আমার পুরো লেখার উদ্দেশ্যই ছিল এই মেসেজ দেয়া যে, নারী-পুরুষ সহযোগী , প্রতিযোগী নয় এবং উভয়ের মিলিত প্রচেষ্ঠাতেই একটি সুন্দর-সফল পরিবার তথা মানব সমাজ গড়ে উঠতে পারে।
আর তাই আমার লেখার কোন একটি শব্দ ও যদি নারীর প্রতি অসম্মানজনক বলে মনে হয় তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী ।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬
সাসুম বলেছেন: মন্তব্যের ২য় পার্টঃ
এই পোস্টে নারীর প্রতি যে ভয়ানক অবমাননা এবং সেক্সিস্ট ও অপমান সূচক বর্ননা করা হয়েছে- এ থেকেই কিন্তু আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষের নারীর প্রতি মনোভাব ফুটে উঠে।
নারী চায়না দুনিয়ার সবার কাছে পরিচত হতে, নারী চায়না দুনিয়া জয় করতে- আপনার এই চাওয়া আর নারীর একান্ত ইচ্ছা শুধুমাত্র প্যাট্রিয়ার্কিক সমাজের চিন্তা ও ভাবনা নারীর প্রতি।
অথচ, আপনার জানার বাইরে এমন হাজার লাখো কোটি নারী আছে যারা চায় দুনিয়ায় তাদের নাম ছড়িয়ে পড়ুক তাদের কাজ দিয়ে, তাদের জ্ঞান দিয়ে, তাদের আলোয়। আপনার নারী নিয়ে জানার সীমাবদ্ধতার কারনে পুরো নারী সমাজে ডীমিন করার এই চেষ্টা একদম বিচ্ছিরি।
সর্বশেষঃ আপনার লিখার উৎস
লিখার উৎস যখন আল হাদীস, আর কোরআন ও প্রজন্ম ফোরাম হবে তখন সেখানে নারী কি চায় তার চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে পুরুষ কি করে তার সম্পদ নারীকে দেখতে চায়।
নারীকে নিয়ে বিশ্লেষণ করতে এসে পুরাটাই ভরিয়ে দিলেন পুরুষ কেমন নারীকে আর কি রুপে চায়
এটাই নারীর সবচেয়ে বড় বাধা, পুরুষ ঠিক করে দিবে নারী কিভাবে চলবে, কি রুপে চলবে, কি ভাবে বাচবে
আমার খুব আশা, এমন একদিন পাব- যেদিন আপনার কোন এক পোস্টের সাথে সহমত পোষন করতে পারব।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার চমতকার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
এই পোস্টে নারীর প্রতি যে ভয়ানক অবমাননা এবং সেক্সিস্ট ও অপমান সূচক বর্ননা করা হয়েছে- এ থেকেই কিন্তু আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষের নারীর প্রতি মনোভাব ফুটে উঠে।
- ভাই , আমি মনে হয় ব্যাপারটা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি বা আপনি আমার লেখার বিষয়টি বুঝতে পারেননি।
" নারী " - তুমি আসলে কি ? বা "আসুন দেখি নারী আসলে কি" - এর দ্বারা এবং নারীর কতিপয় সাধারণ ব্যবহারিক বৈশিষ্ঠ্য দিয়ে আমি নারীর স্বাভাবিক দিকটাই তুলে ধরতে চেয়েছি। এখানে যৌনতাবাদ বা নারীর প্রতি অবমূল্যায়ন বা অসম্মানের কোন উদ্দেশ্যই নেই এবং লেখায় তাদের যে কয়টা স্বভাবের কথা বলা হয়েছে তা নারীর প্রকৃতি প্রদত্ত গুনগুলোর প্রতিই ফোকাস করার চেষ্টা করেছি কোন অসম্মানিত বিষয় নয় ।
বিশ্বস্ততার উদাহরন হিসাবে প্রভুভক্ত কুকুর -
- ভাই এটা একটা উদাহরন । মানুষ বিশ্বস্ততার উদাহরন হিসাবে সবচেয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরন হিসাবে এখনো কুকুরকেই বিবেচনা করে থাকে । কারন, এ দুনিয়ায় এখন পর্যন্ত কুকুর থেকে বিশ্বস্ত কাউকে মানুষ খুজে পায়নি এবং এই উদাহরন দ্বারা নারীকে কোন ভাবেই ছোট বা অবমূল্যায়ন বা অসম্মান করা হয়নি বরং নারী যে স্বভাবে ও প্রকৃতিগত ভাবে বিশ্বস্ত - তাই বুঝাতে চেয়েছি। নারীকে ছোট বা অসম্মানিত করতে নয়।
তারপরেও , আমরা অনেক সময়ই আসলে যা বলতে চাই তা বুঝাতে ব্যর্থ হই । এটাও হয়ত আমার একধরনের ব্যর্থতা। আমার পুরো লেখার উদ্দেশ্যই ছিল এই মেসেজ দেয়া যে, নারী-পুরুষ সহযোগী , প্রতিযোগী নয় এবং উভয়ের মিলিত প্রচেষ্ঠাতেই একটি সুন্দর-সফল পরিবার তথা মানব সমাজ গড়ে উঠতে পারে।
আমার খুব আশা, এমন একদিন পাব- যেদিন আপনার কোন এক পোস্টের সাথে সহমত পোষন করতে পারব।
- আমিও এ ব্যাপারে আশাবাদী । তবে একটা বিষয় ঠিক ভাই , কোন ব্যাপারেই মানুষ কখনো একে অন্যের সাথে শতভাগ একমত হয় না বা হতে পারেনা। মত-মনের অমিলই আমাদেরকে সঠিক-সত্য ও ভালো জানতে সহায়তা করে। কাজেই মতের অমিল মানেই খারাপ, ব্যাপারটা এমন নয় ।
আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নারী তুমি প্রথমে মানুষ পরে আরও আরও অনেক কিছু।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
নারী তুমি প্রথমে মানুষ পরে আরও আরও অনেক কিছু।
- একদম সঠিক বলেছেন ভাইজান , নারী প্রথমে মানুষ তার পর বাকী সব।
আমারও এ পুরো লেখাটার উদ্দেশ্যই হলো এই মেসেজ দেয়া যে, নারী আলাদা একটা সত্ত - মানুষ, নারী-পুরুষ সহযোগী , প্রতিযোগী নয় এবং উভয়ের মিলিত প্রচেষ্ঠাতেই একটি সুন্দর-সফল পরিবার তথা মানব সমাজ গড়ে উঠতে পারে।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
নতুন বলেছেন: ভাই আপনি ভালো উদ্দেশেই লিখেছেন কিন্তু এটাও কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক ভাবনা থেকে বের হতে পারেনিই্।
ধর্মের কাহিনি অনুযায়ী। নারীদের সৃস্টি হয়েছে পুরুষের একাকিত্ব কমাতে!!! এবং পুরুষ থেকেই নারীর সৃস্টি।
তাই পুরুষ নারীকে আয়ত্বে রাখতে চাইবে সেটাই সাভাবিক।
কিন্তু বাস্তবে প্রানীকুলে নারীরাই সেরা। পুরুষ নারীর মন পেতে চেস্টা করে। সাজুগুজু করে নারীর মন পেতে চায়।
মানবকুলে পুরুষ পেশী শক্তির বলে নারীকে নিয়ন্ত্রনের চেস্টা করে।
এটা ভুল একটা জিনিস মানুষ করে আসছে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ।
ভাই আপনি ভালো উদ্দেশেই লিখেছেন কিন্তু এটাও কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক ভাবনা থেকে বের হতে পারেনিই্।
- ভাইজান, আমার পুরো লেখাটার উদ্দেশ্যই ছিল এই মেসেজ দেয়া যে, নারী-পুরুষ সহযোগী , প্রতিযোগী নয় এবং উভয়ের মিলিত প্রচেষ্ঠাতেই একটি সুন্দর-সফল পরিবার তথা মানব সমাজ গড়ে উঠতে পারে।
ধর্মের কাহিনি অনুযায়ী। নারীদের সৃস্টি হয়েছে পুরুষের একাকিত্ব কমাতে!!! এবং পুরুষ থেকেই নারীর সৃস্টি। তাই পুরুষ নারীকে আয়ত্বে রাখতে চাইবে সেটাই সাভাবিক।
- ধর্মের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরুষকে কিছু সুযোগ দিয়েছে - একথা সত্যি তবে এর সাথে সাথে নারী থেকে পুরুষকে অনেকটা বেশী দায়িত্ব ও কর্তব্যের নির্দেশনাও দিয়েছে।
কিন্তু বাস্তবে প্রানীকুলে নারীরাই সেরা। পুরুষ নারীর মন পেতে চেস্টা করে। সাজুগুজু করে নারীর মন পেতে চায়।মানবকুলে পুরুষ পেশী শক্তির বলে নারীকে নিয়ন্ত্রনের চেস্টা করে।এটা ভুল একটা জিনিস মানুষ করে আসছে।
- ভাই, সৃষ্টিজগতে যদি একটা বিষয় খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন - সকল প্রাণীর মাঝেই পুরুষ প্রাণী নারী প্রাণী থেকে সুন্দর অথচ মানবকূলে মহান আল্লাহপাক নারীকে পুরুষ থেকে অনেক বেশী সুন্দর করে তৈরী করেছেন এবং নারীকে অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ থেকে শ্রেষ্ঠত্ম প্রদান করেছেন। তবে শারীরিক ভাবে নারী থেকে পুরুষ কিছুটা বেশী শক্তিশালী আর এর প্রভাবেই পুরুষ নারীর উপর ও নারীকে নিয়ন্ত্রনের চেস্টা করে - এটাও সত্যি।তবে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশনা কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধা- সম্মান-ভালবাসার।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
জটিল ভাই বলেছেন:
নারী কি জানিনা। তবে নারী মায়ের জাত।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই , আপনার ছোট কিন্তু জটিল মন্তব্যের জন্য ।
নারী কি জানিনা। তবে নারী মায়ের জাত।
- নারী সম্মানের , নারী ভালবাসার এবং নারী মায়ের জাতি। আর তাইতো সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে সম্মানিত করেছেন , " মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশতের " ঘোষণা দিয়ে।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১১
আরইউ বলেছেন:
পোস্টে খুবই জঘন্য ও আপত্তিকর কিছু বিষয় আছে। সাজিদের সাথে একমত।
একজন নারী একজন মানুষ, ঠিক ততটাই মানুষ যতটা আরেকজন মানুষ। ব্যাস!
পোস্টে মাইনাস।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আরইউ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য
পোস্টে খুবই জঘন্য ও আপত্তিকর কিছু বিষয় আছে। সাজিদের সাথে একমত।
- আরইউ ভাই, সাজিদ ভাইয়ের যেখানে যেখানে আপত্তি তিনি তা বলেছেন। আপনি যদি নির্দিষ্ট করে বলতেন আপনার আপত্তির বিষয়গুলি (শব্দ/বাক্য) তাহলে আমি ভবিষ্যতে আরো সর্তক হতে পারতাম। তারপরও, আপনার মতপ্রকাশ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আমি আপনার দাবীর সাথে একমত এবং এটাই শেষ কথা যে,
নারী তুমি প্রথমে মানুষ পরে আরও মানুষ এবং আরও পরে নারী পুরুষ থেকে কিছু কিছু জায়গায় শ্রেষ্ঠও।
ভাই , বিশ্বস্ততার উদাহরন হিসাবে প্রভুভক্ত কুকুর (এটা যদি আপনার আপত্তির একটা বিষয় হয় ) -
- ভাই এটা একটা উদাহরন । মানুষ বিশ্বস্ততার উদাহরন হিসাবে সবচেয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরন হিসাবে এখনো কুকুরকেই বিবেচনা করে থাকে । কারন, এ দুনিয়ায় এখন পর্যন্ত কুকুর থেকে বিশ্বস্ত কাউকে মানুষ খুজে পায়নি এবং এই উদাহরন দ্বারা নারীকে কোন ভাবেই ছোট বা অবমূল্যায়ন বা অসম্মান করা হয়নি বরং নারী যে, স্বভাবে ও প্রকৃতিগত ভাবে বিশ্বস্ত - তাই বুঝাতে চেয়েছি। নারীকে ছোট বা অসম্মানিত করতে নয়।
তারপরেও , আমরা অনেক সময়ই আসলে যা বলতে চাই তা বুঝাতে ব্যর্থ হই সঠিক শব্দ চয়ন কিংবা বাক্য বিন্যাসের কারনে। এটাও হয়ত আমার একধরনের ব্যর্থতা। আমার পুরো লেখার উদ্দেশ্যই ছিল এই মেসেজ দেয়া যে, নারী-পুরুষ সহযোগী , প্রতিযোগী নয় এবং উভয়ের মিলিত প্রচেষ্ঠাতেই একটি সুন্দর-সফল পরিবার তথা মানব সমাজ গড়ে উঠতে পারে।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। একটি বাক্যই যথেষ্ট মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব আর অসাধারণত্বের স্বীকৃতির। নারীরা যোগ্য সম্মান ও মর্যাদা লাভ করে ধন্য হোক।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই , আপনার ছোট তবে প্রাণবন্ত মন্তব্যের জন্য
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। একটি বাক্যই যথেষ্ট মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব আর অসাধারণত্বের স্বীকৃতির। নারীরা যোগ্য সম্মান ও মর্যাদা লাভ করে ধন্য হোক।
- মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টিকর্তার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি । আর মানুষ (নার-নারী) এ দুয়ের মাঝে এবং স্বভাব-বৈশিষ্ঠ্যে কিছু কিছু জায়গায় সৃষ্টিকর্তাও নারীকে শ্রেষ্ঠ আসন দিয়েছেন এবং নারীকে সম্মান ও মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন।
আবার , সৃষ্টিকর্তার নির্দেশনা নর-নারীর পারস্পরিক সম্পর্ক ও শ্রদ্ধা- সম্মান-ভালবাসার এবং নর-নারীর মিলিত প্রয়াসেই একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে উঠতে পারে।
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নতুন বলেছেন: - ভাই, সৃষ্টিজগতে যদি একটা বিষয় খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন - সকল প্রাণীর মাঝেই পুরুষ প্রাণী নারী প্রাণী থেকে সুন্দর অথচ মানবকূলে মহান আল্লাহপাক নারীকে পুরুষ থেকে অনেক বেশী সুন্দর করে তৈরী করেছেন এবং নারীকে অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ থেকে শ্রেষ্ঠত্ম প্রদান করেছেন। তবে শারীরিক ভাবে নারী থেকে পুরুষ কিছুটা বেশী শক্তিশালী আর এর প্রভাবেই পুরুষ নারীর উপর ও নারীকে নিয়ন্ত্রনের চেস্টা করে - এটাও সত্যি।তবে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশনা কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধা- সম্মান-ভালবাসার।
আপনি জিনিসটা বুঝতে পারেন নাই।
প্রানী কুলে সকল পুরুষ প্রজাতি আকারে বড়, শক্তিশালি, অনেকেই নানান রকমের সৌন্দয্য আছে কারন তারা নারীর উপরে জোর করে না। তারা নারীকে মুগ্ধ করে তার সঙ্গী বানায়। এই জন্য প্রানীকুলে নারীরা বিউটিপরলারে যায়না। রুপচর্চা করেনা। পুরুষ প্রযাতি করে।
মানব সমাজে পুরুষ নারীরের পেশ শক্তি দিয়ে নারীদের অধিনস্ত করেছে। এখন নারীদের অর্থনৈতিক ভাবে নির্ভর করেছে এবং এখন নারীরাই সাজুগুজু করে যাতে পুরুষের মন যুগিয়ে চলতে পারে। পুরুষই চায় নারীরা সাজুগুজু করুক এবং সমাজে বিভিন্ন পদ্বতীতে তাদের বোঝায় নারীকে কৃত্তিম ভাবে সেজে থাকতে হবে।
পুরুষ যে নারীর মালিক সেটাও ধর্মের বইতে লেখা আছে। ( পুরুষের থেকেই নারী কে সৃস্টি করা হয়েছে। বুকের পাজড় থেকে)
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
অর্থনৈতিক সক্ষমতা তথা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কারো আর্থিক অবস্থার উপরই তার পারিবারি-সামাজিক মূল্য-মর্যাদা নির্ভর করে। এখন যে নারী আর্থিক ভাবে সচছল সেই নারীর পরিবারে মূল্য-মর্যাদা বেশীই থাকবে। তার কথার মূল্য থাকবে এবং তাকে সবাই তারিফ করবে ও মন যুগিয়ে চলতে চেষ্টা করবে ।
আর সাজু-গুজু'র ব্যাপারটা যদি এভাবে দেখি - মানুষ সৌন্দর্যের পুজারী । তা সে নারী কিংবা পুরুষ যেই হোক। পুরুষ চায় নারীকে সুন্দর দেখতে আর নারীও চায় তার আপনজনকে সুদর্শন দেখতে । এ মানব মনের স্বাভাবিক ধর্ম।
আর , ইসলাম ধর্ম অনুসারে নারীকে পুরুষের পাজরের হাড় থেকে তৈরী হয়েছে । এতে নারীকে ছোট করা হয়নি এবং পুরুষকে নারীর মালিক বলেও ঘোষনা করা হয়নি বরং এতে করে উভয়ে মিলে মানুষের তৈরী সম্পূর্ণ হয়েছে এবং একে অন্যের সংগী হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৪
সাসুম বলেছেন: জামান ভাই, প্রথমেই বলে নেই আপনার লিখায় কমেন্ট করি- কারন আপ্নি রেগে যান না এবং রিপ্লাই করেন- যেটা আপনি যে সমাজ রিপ্রেসেন্ট করেন বা বিলং করেন সে সমাজ বা সোসাইটি থেকে খুব রেয়ার জিনিশ এবং এইজন্যই আপনাকে পছন্দ করি আমি।
যাই হোক- আপনার এই মানব জীবন সিরিজের বাকি লিখাগুলো খেয়াল করলে দেখা যাবে- আপনি একটা নির্দিষ্ট বিশ্বাস থেকেই এবং সেই বিশ্বাস এর উপর নির্ভর করেই লিখে থাকেন। সো- আপনার সেই বিশ্বাস অনুযায়ী এই লিখা কিন্তু একদম সঠিক এবং বিশ্বাসের সাথে কোন কনফ্লিক্ট তৈরি করেনা। আপনাকে পছন্দ করার আরো একটা কারন এটা, আপনি যেটা বিশ্বাস করেন সেটা অনুযায়ী চলেন, এবং সে অনুযায়ী বলে থাকেন। মডারেট নামক ভন্ডামি তে নেই আপনি।
নতুন ভাইর কথার সাথে আমি একমত- আপ্নি খুব ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই লিখেছেন। আপনার বিশ্বাস এর যায়গা টা অক্ষুন্ন রেখেই।
এখন আমরা যারা সমালোচনা করছি, আমরা কিন্তু জাস্ট আমাদের লজিক এর যায়গা থেকেই আপনার লিখার সমালোচনা করছি সেটা বাস্তবতা বা সমাজ কেন্দ্রিক যেটা আপনার স্পেসিফিক বিশ্বাস এর সাথে অনেক যায়গায় কনফ্লিক্টেড।
সো, আমি পারসোনালি একদিক থেকে আপনার এই পোস্টের প্রতিবাদ জানালেও আরেক দিক থেকে জানাতে পারছিনা, কারন আপনি আপনার দিক থেকে সঠিক আছেন।
আরেকটা কথা, বিশ্বস্ততার উদাহরণ এমন এক জিনিষ দিয়ে দিলেন যেটা নাপাক জিনিষ এবং যার স্পর্শে শরীর অপবিত্র হয়, যার ছোয়ায় অজু ফরজ হয়, এবং যে বাড়িতে থাকলে রহমতের ফেরেশতা বাড়ির আশে পাশে আসেনা।
নেক্সট থেকে উদাহরণ দিতে আরো একটু সচেষ্ট থাকবেন আশা করি।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার চমতকার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
জামান ভাই, প্রথমেই বলে নেই আপনার লিখায় কমেন্ট করি- কারন আপ্নি রেগে যান না এবং রিপ্লাই করেন- যেটা আপনি যে সমাজ রিপ্রেসেন্ট করেন বা বিলং করেন সে সমাজ বা সোসাইটি থেকে খুব রেয়ার জিনিশ এবং এইজন্যই আপনাকে পছন্দ করি আমি।
- ভাই , আমি আপনার প্রতি ও আপনারা যারা লেখা পড়ে মন্তব্য করে আমাকে লেখায় উৎসাহ প্রদান করেন , তার জন্য কৃতজ্ঞ । কারন, আপনাদের করা মন্তব্যই নতুন করে কিছু লিখতে , লিখার বিষয়ের ভূল-ত্রুটি সংশোধন করতে এবং অজানাকে জানতে সাহায্য করে। আর , জানা বুঝার ক্ষেত্রে রাগের কোন জায়গা আছে বলে মনে হয়না। জানার জন্য খোলা মন জরুরী । যে যত খোলা মন নিয়ে জানতে চাইবে , সে তত বেশী ও সঠিক জিনিষ জানতে পারবে। এটাই আমি মনে করি। আর, আমিও আপনাকে ব্যাপোক ভালা বাই , মেরে পেয়ারী ভাইজান।
যাই হোক- আপনার এই মানব জীবন সিরিজের বাকি লিখাগুলো খেয়াল করলে দেখা যাবে- আপনি একটা নির্দিষ্ট বিশ্বাস থেকেই এবং সেই বিশ্বাস এর উপর নির্ভর করেই লিখে থাকেন। সো- আপনার সেই বিশ্বাস অনুযায়ী এই লিখা কিন্তু একদম সঠিক এবং বিশ্বাসের সাথে কোন কনফ্লিক্ট তৈরি করেনা। আপনাকে পছন্দ করার আরো একটা কারন এটা, আপনি যেটা বিশ্বাস করেন সেটা অনুযায়ী চলেন, এবং সে অনুযায়ী বলে থাকেন। মডারেট নামক ভন্ডামি তে নেই আপনি।
নতুন ভাইর কথার সাথে আমি একমত- আপ্নি খুব ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই লিখেছেন। আপনার বিশ্বাস এর যায়গা টা অক্ষুন্ন রেখেই।
- একজন মুসলমান হলো যে বাক্যে-চিন্তা-কর্মে একই রকম থাকবে । মানে হল মুখে যা বলবে তা মনে বিশ্বাস করতে হবে এবং কাজে তা পরিণত করতে হবে , তাহলেই সে প্রকৃত মুসলমান বা ঈমানদার। এখন আমাদের বিশ্বাসের জায়গাটাই যদি নড়বড়ে হয় তাহলে বাকী সব মিথ্যা হয়ে যায় ।সমস্যা এখানেই বাধে । আমরা কেউ কেউ ব্যক্তি স্বার্থে অনেক সময় ধর্মের মৌলিক বিষয় গুলিতেও আপোষ করে ফেলি অথচ তা করা উচিত নয়। তার মানে এই নয় যে এর জন্য আমাকে কাউকে আঘাত করতে হবে বা কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাতে হবে। এখানে আমাদের শুধু আমাদের নিজ নিজ করণীয় কাজই করতে হবে এবং আমার কাজের জন্য আমিই দায়ী থাকব এবং কাউকে আঘাত না করে চলতে হবে। কারন, স্রষ্টা বলেন, " কারো মনে দিওনা আঘাত , সে আঘাত লাগে কাবার গায়"।
এখন আমরা যারা সমালোচনা করছি, আমরা কিন্তু জাস্ট আমাদের লজিক এর যায়গা থেকেই আপনার লিখার সমালোচনা করছি সেটা বাস্তবতা বা সমাজ কেন্দ্রিক যেটা আপনার স্পেসিফিক বিশ্বাস এর সাথে অনেক যায়গায় কনফ্লিক্টেড।
সো, আমি পারসোনালি একদিক থেকে আপনার এই পোস্টের প্রতিবাদ জানালেও আরেক দিক থেকে জানাতে পারছিনা, কারন আপনি আপনার দিক থেকে সঠিক আছেন।
- সমালোচনা মানুষকে মানুষ হতে সাহায্য করে । আর যে সমালোচনা গ্রহণ করতে পারেনা তার মানষিক স্বাস্থ্যে সমস্যা বিরাজমান বলে আমি মনে করি। যে কোন বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা,যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে সঠিক জিনিষটা বেরিয়ে আসে বা সঠিক তথ্য জানা যায়। এতে দু পক্ষেরই লাভ জানা-বুঝার জন্য। উভয়ে উভয়ের সীমাবদ্ধতা
সম্পর্কে জানতে পারে এবং তা থেকে বেরিয়ে আসতে একে অপরকে সাহায্য করতে পারে।
আরেকটা কথা, বিশ্বস্ততার উদাহরণ এমন এক জিনিষ দিয়ে দিলেন যেটা নাপাক জিনিষ এবং যার স্পর্শে শরীর অপবিত্র হয়, যার ছোয়ায় অজু ফরজ হয়, এবং যে বাড়িতে থাকলে রহমতের ফেরেশতা বাড়ির আশে পাশে আসেনা।
নেক্সট থেকে উদাহরণ দিতে আরো একটু সচেষ্ট থাকবেন আশা করি।
- এ বিষয়টা আপনি সঠিক বলেছেন এবং ভবিষ্যতে আরো সর্তক হবো । কারন , এটা আসলেও একটু কেমন যেন লাগে শুনতে , যে কাউকে কুকুরের সাথে তুলনা। এগেইন সরি ফর দ্যাট ।
আমি কি এ বাক্যটা পরিবর্তন করে দিব ? আপনার মতামত চাচছি ?
১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন নারী ব্লগারের মন্তব্য নাই কেন?
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই , আপনার চমতকার তবে ছোট মন্তব্যের জন্য ।
আমরো জিজ্ঞাসা ------------------------------
কেন ?
কেন ?
কেন নেই আমার এক বোনেরও কোন মন্তব্য যাতে করে অন্তত আমরা জানতে পারতাম - নারী সম্পর্কে আমার ধারনার সাথে বোনদের ধারনার সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য কতটুকু ?
১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২১
সোবুজ বলেছেন: আসাধারণ ! নারীকে দিয়েছেন সুমহান মর্জাদা।গনিমতের মাল হিসাবে বিক্রয় করেন নাই।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোবুজ ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।
আসাধারণ ! নারীকে দিয়েছেন সুমহান মর্জাদা।গনিমতের মাল হিসাবে বিক্রয় করেন নাই।
- সোবুজ ভাই ,
নাই ---- নাই ------------ নাই ,
হেই দিন আর নাই।
গণিমতের মালের হিসাব
এহন আর নাই ।
ভাই যুগ পাল্টেছে তার সাথে সাথে নিয়ম-নীতিও পাল্টে গেছে । বুইঝ জইন
১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: সব কথার শেষ কথা হলো- নারীকে সম্মান করতে হবে। হোক সে কাজের মেয়ে, হোক সে গার্মেন্টসের মেয়ে, হোক সে স্ত্রী।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
সব কথার শেষ কথা হলো- নারীকে সম্মান করতে হবে। হোক সে কাজের মেয়ে, হোক সে গার্মেন্টসের মেয়ে, হোক সে স্ত্রী।
- নারীর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব ও কর্তব্য পুরুষের এবং নারীকে সম্মানের মাধ্যমে পুরুষ পরোক্ষভাবে নিজেকেই সম্মানিত করে থাকে এবং তা করা উচিত মানুষে মানুষে পদমর্যাদার ভেদাভেদ না করেই।
১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:২৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সম্মানিত বগ্লার সাজিদ উল হক আবির ভাইয়ার সাথে একমত আমি। কামরুজজমান ভাই আপনি ভালো লিখেন এইটা শতভাগ সত্য। তবে আপনার এই লেখা আরব দেশের মানুষের প্রভাব লক্ষণীয় ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
সম্মানিত বগ্লার সাজিদ উল হক আবির ভাইয়ার সাথে একমত আমি।কামরুজজমান ভাই আপনি ভালো লিখেন এইটা শতভাগ সত্য। তবে আপনার এই লেখা আরব দেশের মানুষের প্রভাব লক্ষণীয় ।
- এটা দোষের কোন কাজ নয় ভাই ,আপনি যে কারো সাথে একমত হতে পারেন বা ভিন্নমতও পোষণ করতে পারেন। আপনার মতপ্রকাশ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আমি আপনার দাবীর সাথে একমত এবং এটাও ঠিক যে,
" নারী " - তুমি আসলে কি ? বা "আসুন দেখি নারী আসলে কি" - এর দ্বারা এবং নারীর কতিপয় সাধারণ ব্যবহারিক বৈশিষ্ঠ্য দিয়ে আমি নারীর স্বাভাবিক দিকটাই তুলে ধরতে চেয়েছি। এখানে যৌনতাবাদ বা নারীর প্রতি অবমূল্যায়ন বা অসম্মানের কোন উদ্দেশ্যই নেই । নেই আরব-অনারব বিভেদ কিংবা মিলের ব্যাপার । এসব সকল নারীরই সাধারন বৈশিষ্ঠ্য হিসাবে দেখা যায় তা ইউরোপ-আমেরিকা-আরব- অনারব কিংবা শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব নারীর মাঝেই এবং লেখায় তাদের যে কয়টা স্বভাবের কথা বলা হয়েছে তা নারীর প্রকৃতি প্রদত্ত গুনগুলোর প্রতিই ফোকাস করার চেষ্টা করেছি কোন অসম্মানিত বিষয় নয় ।
তারপরেও , আমরা অনেক সময়ই আসলে যা বলতে চাই তা বুঝাতে ব্যর্থ হই । এটাও হয়ত আমার একধরনের ব্যর্থতা। আমার পুরো লেখার উদ্দেশ্যই ছিল এই মেসেজ দেয়া যে, নারী-পুরুষ সহযোগী , প্রতিযোগী নয় এবং উভয়ের মিলিত প্রচেষ্ঠাতেই একটি সুন্দর-সফল পরিবার তথা মানব সমাজ গড়ে উঠতে পারে।
১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৬
রানার ব্লগ বলেছেন: নারী একজন মানুষ !!!! আর দশটা পুরুষের মতো সেও একজন পরিপুর্ন মানুষ !!!! যে সব ধারা উপধারা দিয়ে বিশ্লেষান করছেন তা সব বাদ দিয়ে নারী কে একজন মানুষ রুপেই দেখুন। মজার ব্যাপার এইযে পৃথিবী হয়তো উন্নতির শিখরে আছে কিন্তু মানব মস্তিষ্ক সেই আদিম কালে পরে আছে। বিশেষ করে আমার মতো পুরুষদের ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
নারী একজন মানুষ !!!! আর দশটা পুরুষের মতো সেও একজন পরিপুর্ন মানুষ !!!! যে সব ধারা উপধারা দিয়ে বিশ্লেষান করছেন তা সব বাদ দিয়ে নারী কে একজন মানুষ রুপেই দেখুন। মজার ব্যাপার এইযে পৃথিবী হয়তো উন্নতির শিখরে আছে কিন্তু মানব মস্তিষ্ক সেই আদিম কালে পরে আছে। বিশেষ করে আমার মতো পুরুষদের
- এটা ত সত্যি কথা ভাই , নারী প্রথমে একজন মানুষ এবং শুধু পরিপুর্ন মানুষই নয় বরং কিছু কিছু জায়গায় সে তার সহযোগী (পুরুষ) থেকেও শ্রেষ্ঠ ।
আর ধারা কিংবা উপধারা দ্বারা, নারীর কতিপয় সাধারণ ব্যবহারিক বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে আলোচনা করে আমি নারীর স্বাভাবিক দিকটাই তুলে ধরতে চেয়েছি।আর এসব কিছুই নারীর সাধারন বৈশিষ্ঠ্য হিসাবেই বিবেচিত হয় । লেখায় তাদের যে কয়টা স্বভাবের কথা বলা হয়েছে তা নারীর প্রকৃতি প্রদত্ত গুনগুলোর প্রতিই ফোকাস করার চেষ্টা করেছি কোন অসম্মানিত বিষয় নয়
আর পুরুষ আছে বলেই নারীর মূল্য-মর্যাদা আছে , আছে সম্মানের প্রশ্ন । আবার নারী আছে বলেই পুরুষ আছে , আছে পুরুষের নারীকে ভালবাসার-ভাল রাখার আকাংখা । একে ছাড়া অন্যে অচল ও মূল্যহীন এবং নারী-পুরুষ সহযোগী , প্রতিযোগী নয় এবং উভয়ের মিলিত প্রচেষ্ঠাতেই একটি সুন্দর-সফল পরিবার তথা মানব সমাজ গড়ে উঠতে পারে।
১৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার একটা বিশয় নিয়ে এতো আদ্যপান্ত লেখার জন্য ধন্যবাদ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
চমতকার একটা বিশয় নিয়ে এতো আদ্যপান্ত লেখার জন্য ধন্যবাদ।
- নারী আসলেই আমাদের জন্য সৃষ্টিকর্তার রহমত এবং আমাদের অতি আপনজন (মা-বোন-দাদী-নানী-ফুফু-খালা) এই সব নারীরাই । আর নারীদের সম্মান ও মূল্য-মর্যাদার সাথে সাথেই আমাদের পারিবারিক-সামাজিক মূল্য মযাদা নির্ভর করে । কাজেই আমাদের সকলেরই নারীকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি তার মূল্য-মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট হওয়া উচিত।
১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১
নতুন বলেছেন: আর , ইসলাম ধর্ম অনুসারে নারীকে পুরুষের পাজরের হাড় থেকে তৈরী হয়েছে । এতে নারীকে ছোট করা হয়নি এবং পুরুষকে নারীর মালিক বলেও ঘোষনা করা হয়নি বরং এতে করে উভয়ে মিলে মানুষের তৈরী সম্পূর্ণ হয়েছে এবং একে অন্যের সংগী হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।
ভাই সুরা নিসার ৩৪ নং আয়াতে বলাই আছে যে পুরুষের অবস্থান কোথায় এবং পুরুষকে নারীর গায়ে হাত তোলার অনুমুতি দেওয়া হয়েছে....
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য
সুরা নিসা , আয়াত নং ৩৪ -এ পুরুষদের কর্তৃত্ব ও দায়িত্বশীলতার দু’টি কারণ বলা হয়েছে।
১। প্রথমটি হল - আল্লাহ প্রদত্তঃ যেমন, পুরুষোচিত শক্তি ও সাহস এবং মেধাগত যোগ্যতায় পুরুষ সৃষ্টিগতভাবেই নারীর তুলনায় অনেক বেশী।
২। দ্বিতীয়টি হল - উপার্জন , এই দায়িত্ব শরীয়ত পুরুষদের উপর চাপিয়েছে। মহিলাদেরকে তাদের প্রাকৃতিক দুর্বলতার কারণে এবং তাদের সতীত্ব, শ্লীলতা এবং পবিত্রতার হিফাযতের জন্য ইসলাম বিশেষ করে তাদের জন্য অতীব জরুরি যে বিধি-বিধান প্রণয়ন করেছে সেই কারণেও উপার্জনের ঝামেলা থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আর তাই শরীয়ত অনুসারে, পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক বা তত্ত্বাবধানকারী। এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু পুরুষরা নিজেদের সম্পদ নারীদের জন্য ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা তার স্বামীর অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযাতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাযাত করতে বলেছেন। আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান।
আন-নিসা, ৩৪ হচ্ছে আল-কুরআনের চার নং সুরার ৩৪ নং আয়াত। যাতে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য অধিকার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এ আয়াতটির তাফসির করার ক্ষেত্রে মুসলিম মনীষীদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। অনেকে এ আয়াতে ভিত্তি করে নারীকে তার অপরাধে প্রহার করার কথা বলেন। নারীবাদিরা এ আয়াতের ভিন্ন ব্যাখ্যা করে ইসলামকে হেয় করার চেষ্টা করেন এবং বলেন যে ইসলাম নারী নির্যাতনকে সমর্থন করে করেন। আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত, "রাসুল (সঃ) বলেছেন, নারীকে প্রহার করা যাবে না"।
এ সুরার আগের আয়াতসমূহের বক্তব্য অনুসারে পুরুষ ও নারীদের অধিকার পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ, বরং পুরুষের তুলনায় নারীদের দুর্বলতার কারণে তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ নারীরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারে না। কিন্তু তথাপি এই সমতার অর্থ এই নয় যে, পুরুষ ও নারীর মধ্যে মর্যাদার কোন পার্থক্য থাকবে না; বরং দুটি ন্যায়সঙ্গত ও তাৎপর্যের প্রেক্ষিতেই পুরুষদেরকে নারীদের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।
এখন সংসারে সব নারী হয়না। যেসব স্ত্রীলোক, যারা স্বামীদের আনুগত্য করে না কিংবা যারা এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করে। আল্লাহ তা'আলা সংশোধনের জন্য পুরুষদেরকে যথাক্রমে তিনটি উপায় বাতলে দিয়েছেন। অর্থাৎ স্ত্রীদের পক্ষ থেকে যদি নাফরমানী সংঘটিত হয় কিংবা এমন আশঙ্কা দেখা দেয়, তবে -
১। প্রথম পর্যায়ে তাদের সংশোধন হল যে, নরমভাবে তাদের বোঝাবে। যদি তাতেও বিরত না হয়, তবে -
২। দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের বিছানা নিজের থেকে পৃথক করে দেবে। যাতে এই পৃথকতার দরুন সে স্বামীর অসন্তুষ্টি উপলব্ধি করে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হতে পারে। তারপর যদি তাতেও সংশোধন না হয়, তবে -
৩। মৃদুভাবে মারবে, তিরস্কার করবে। আর তার সীমা হল এই যে, শরীরে যেন সে মারধরের প্রতিক্রিয়া কিংবা যখম না হয়। কিন্তু এই পর্যায়ের শাস্তি দানকেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করেননি, বরং তিনি বলেছেনঃ ভাল লোক এমন করে না। (বুখারি শরীফ )।
এ সুরার আয়াত ৩৪ আগের আয়াতে যেমন স্ত্রীদের সংশোধনকল্পে পুরুষদেরকে তিনটি অধিকার দান করা হয়েছে, তেমনিভাবে আয়াতের শেষাংশে একথাও বলা হয়েছে যে, যদি এ তিনটি ব্যবস্থার ফলে তারা তোমাদের কথা মানতে আরম্ভ করে, তবে -
তোমরাও আর বাড়াবাড়ি করো না এবং তাদের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না, বরং সহনশীলতা অবলম্বন কর। আর একথা খুব ভাল করে জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে নারীদের উপর তেমন কোন উচ্চ মর্যাদা দান করেননি। আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব তোমাদের উপরও বিদ্যমান রয়েছে, তোমরা কোন রকম বাড়াবাড়ি করলে তার শাস্তি তোমাদেরকেও ভোগ করতে হবে। অর্থাৎ তোমরাও সহনশীলতার আশ্রয় নাও; সাধারণ কথায় কথায় দোষারোপের পন্থা খুঁজে বেড়িয়ো না। আর জেনে রেখো আল্লাহর কুদরত ও ক্ষমতা সবার উপরেই পরিব্যাপ্ত।
কাজেই , ভাই যে কোন ব্যাপারে পূর্বা-পর সবই বিবেচনা করতে হয় এবং একটা ব্যাপার হলো একটা সুরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিলেই পরিপূর্ণ । এখন মাঝ থেকে একটা আয়াত বা আয়াতের কিছু অংশে পূরো বিষয়টা নয় বরং তার খন্ডাংশে সঠিক অর্থের বিচ্যুতি ঘটে।
আর যে কোন কাজেরই সফলতা নির্ভর করে পর্যায়ক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় । সংসারে নর-নারীর মাঝে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হতে পারে যার শেষ ও বিষময় ফলাফল তালাক । আর শেষ সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে সংসার রক্ষার চেষ্টা হিসাবেই উপরে বর্ণিত পর্যায় অনুসরন করতে বলা হয়েছে। আর মহান আল্লাহপাক মহাজ্ঞানী এবং তিনি যা বলেছেন তা নর-নারী উভয়ের কল্যাণের জন্যই বলেছেন।
১৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৫
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: স্যাক্সিস্ট মানে যৌনতাবাদী বা যৌনতা সংশ্লিষ্ট নয়। স্যাক্সিস্ট শব্দের অর্থ, মানুষের লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে তাঁর প্রতি স্টেরিওটিপিক্যাল, বা গতবাঁধা ধারনা করা। যেমন, নারীদের যে বৈশিষ্ট্যগুলি আপনি বর্ণনা করলেন, তা যে সমাজে শিক্ষাদীক্ষার প্রসার ঠিক ভাবে হয় নি, সে সমাজে নারীদের নিয়ে পুরুষদের মাঝে প্রচলিত স্যাক্সিস্ট চিন্তাচেতনা।
আর আপনি প্রতিমন্তব্যে যে বললেন, নারীদের "স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য" যেগুলি আছে, আপনি সেগুলিই বর্ণনা করেছেন, এটা হচ্ছে এসেনশিয়ালিস্ট আর্গুমেন্ট। পূর্বানুমানের ভিত্তিতে ধরে নেয়া যে অমুকের অমুক হওয়ার জন্যে তমুক তমুক বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরী। খেয়াল করে দেখেন, আপনার বর্ণনা করা নারীর যে বৈশিষ্ট্য, যা আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়, তা আপনার নারীসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা প্রসুত। আপনি আপনার পরিবারে এবং চারিপারশে নারীদের যেভাবে আচরন পেতে দেখেছেন, বা আপনি নারীদের প্রতি যেমন আচরন করেন, তা থেকেই নারীদের ব্যাপারে আপনার এ সমস্ত ধারনা। আপনার এধরনের চিন্তার ভ্রান্তি দুটি দিকে - এক, পৃথিবীর সব নারী এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নন, তাই বলে তারা যথেষ্ট পরিমান নারী নন - তা নয়। দুই, অনেক পুরুষেরও এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে, যে বৈশিষ্ট্যগুলিকে আপনি নারীদের জন্যে নির্ধারিত করে দিচ্ছেন। তাই বলে তারা যে যথেষ্ট পরিমান পুরুষ না, তাও নয়।
শেষ কথা হচ্ছে - আপনি অনুগ্রহ করে নারীদের মূল্যায়ন করতে গিয়ে কোরআন হাদিসের রেফারেন্স ব্যবহার করে নারীদের এরকম ছোট করবেন না, এবং ইসলামের সর্বনাশ করবেন না। আপনার মায়ের আপনার বাবার প্রতি অনুরক্তি ছিল কুকুরের, তাঁর প্রভু / মালিকের প্রতি - এ জিনিসটা ভাবতে আপনার কেমন লাগবে? আমার পরিবারের মেয়েদের ব্যাপারে সামনা সামনি কেউ এমন কথা বললে সম্ভাবনা আছে আমি তাকে মেরে বসবো। এটা তো গেলো কমনসেন্সের ইস্যু। আপনি ইসলামের কতোবড় ক্ষতি যে করছেন, এই ধরনের লেখা লিখে নিজের বেহেস্ত কামানোর আশায়, আমার ধারনা, তা আপনার মস্তিস্কে ধরাও পড়ছে না বিন্দুমাত্র। উপরের কিছু মন্তব্য লক্ষ্য করুন, আপনার , আপনাদের এসমস্ত লেখার রেফারেন্স টেনেই ইসলাম ও মুসলিমদের যারা ছোট করতে চায়, হেয় করতে চায় - তারা বলবে যে এই দেখো, মুসলমান পুরুষরা মুসলমান নারীদের কি নিচু দৃষ্টিতে দেখে। তখন অনেক মুসলমানও জুটে যাবে তাদের কথার সঙ্গে তাল দেয়ার জন্যে।
ইসলামোফোবিয়া নিয়ে আমি একাডেমিক পরিসরে কাজ করি। বস্তুত এদেশে প্রাক্তিকাল নলেজবিহীন জজবাধারী ওয়ায়েজ - হুজুররা আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ ইসলামোফোবিয়া ছড়ানোর অন্যতম নিয়ামক। আল্লাহ পানাহ দেন এসমস্ত ভুল জজবাওয়ালা লোকদের থেকে আমাদের।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাজিদ উল হক আবির ভাই , আপনার চমতকার ও প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
স্যাক্সিস্ট মানে যৌনতাবাদী বা যৌনতা সংশ্লিষ্ট নয়। স্যাক্সিস্ট শব্দের অর্থ, মানুষের লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে তাঁর প্রতি স্টেরিওটিপিক্যাল, বা গতবাঁধা ধারনা করা। যেমন, নারীদের যে বৈশিষ্ট্যগুলি আপনি বর্ণনা করলেন, তা যে সমাজে শিক্ষাদীক্ষার প্রসার ঠিক ভাবে হয় নি, সে সমাজে নারীদের নিয়ে পুরুষদের মাঝে প্রচলিত স্যাক্সিস্ট চিন্তাচেতনা।
- আপনার ব্যাখ্যা ও মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি , আপনার এ ধারনার সাথে অধিকাংশ মানুষই একমত হবেন না । তার মানে এই নয় যে আপনি ভূল বলেছেন। এ দৃষ্টিভংগীর ব্যাপার।
আর আপনি প্রতিমন্তব্যে যে বললেন, নারীদের "স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য" যেগুলি আছে, আপনি সেগুলিই বর্ণনা করেছেন, এটা হচ্ছে এসেনশিয়ালিস্ট আর্গুমেন্ট। পূর্বানুমানের ভিত্তিতে ধরে নেয়া যে অমুকের অমুক হওয়ার জন্যে তমুক তমুক বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরী। খেয়াল করে দেখেন, আপনার বর্ণনা করা নারীর যে বৈশিষ্ট্য, যা আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়, তা আপনার নারীসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা প্রসুত। আপনি আপনার পরিবারে এবং চারিপারশে নারীদের যেভাবে আচরন পেতে দেখেছেন, বা আপনি নারীদের প্রতি যেমন আচরন করেন, তা থেকেই নারীদের ব্যাপারে আপনার এ সমস্ত ধারনা। আপনার এধরনের চিন্তার ভ্রান্তি দুটি দিকে - এক, পৃথিবীর সব নারী এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নন, তাই বলে তারা যথেষ্ট পরিমান নারী নন - তা নয়। দুই, অনেক পুরুষেরও এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে, যে বৈশিষ্ট্যগুলিকে আপনি নারীদের জন্যে নির্ধারিত করে দিচ্ছেন। তাই বলে তারা যে যথেষ্ট পরিমান পুরুষ না, তাও নয়।
- মানুষ বলতে বা নারী বললেই আমাদের মনে বা সামনে যে সাধারণ আকৃতি বা বৈশিষ্ট্যগুলি ভেসে উঠে (উভয়েরই আকার আকৃতি, হাত-পা-মাথা সহ একটি মানুষ) , তার বাইরেও প্রকৃতি (স্বভাব-চরিত্র) গত ভাবে প্রতিটি নার-নারীই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে কেউ কালো-কেউ সাদা, কেউ আকারে বড় কেউ ছোট, কেউ টক ভালবাসে ত কেউ ঝাল, কেউ কথা কম বলে ত কেউ কথার ঝুড়ি, কেউ ব্যক্তিত্ববান তবে আবার কেউ ব্যক্তিত্বহীণ। কেউ নারীর সব বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলি ধারন করেও মনে মনে পুরুষ আবার কেউ পুরুষের সব বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলি ধারন করেও মনে মনে নারী (তৃতীয় লিংগ) । কারো কাছে সাফল্যই জীবনের সব শেষ কথা ন্যায় - অন্যায় বিবেচ্য বিষয় নয় । আবার কেউ জীবন দিতে পারে তবে অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে রাজী নয়।
এসব কিছু আপনিও জানেন, আমিও জানি - সবাই জানে। তবে আমি ভাই - এত গভীরে যাইনি এবং না এক লেখায় এত কিছু আলোচনা সম্ভব। আর এসব হলো বিশেষজ্ঞদের কাজ। আমি শুধু একেবারেই সাধারন যে বিষয়গুলি যা জানা বুঝার জন্য যথেষ্ট জ্ঞানী হওয়া জরুরী নয় তাই আলোচনা করেছি।
শেষ কথা হচ্ছে - আপনি অনুগ্রহ করে নারীদের মূল্যায়ন করতে গিয়ে কোরআন হাদিসের রেফারেন্স ব্যবহার করে নারীদের এরকম ছোট করবেন না, এবং ইসলামের সর্বনাশ করবেন না। আপনার মায়ের আপনার বাবার প্রতি অনুরক্তি ছিল কুকুরের, তাঁর প্রভু / মালিকের প্রতি - এ জিনিসটা ভাবতে আপনার কেমন লাগবে? আমার পরিবারের মেয়েদের ব্যাপারে সামনা সামনি কেউ এমন কথা বললে সম্ভাবনা আছে আমি তাকে মেরে বসবো। এটা তো গেলো কমনসেন্সের ইস্যু। আপনি ইসলামের কতোবড় ক্ষতি যে করছেন, এই ধরনের লেখা লিখে নিজের বেহেস্ত কামানোর আশায়, আমার ধারনা, তা আপনার মস্তিস্কে ধরাও পড়ছে না বিন্দুমাত্র। উপরের কিছু মন্তব্য লক্ষ্য করুন, আপনার , আপনাদের এসমস্ত লেখার রেফারেন্স টেনেই ইসলাম ও মুসলিমদের যারা ছোট করতে চায়, হেয় করতে চায় - তারা বলবে যে এই দেখো, মুসলমান পুরুষরা মুসলমান নারীদের কি নিচু দৃষ্টিতে দেখে। তখন অনেক মুসলমানও জুটে যাবে তাদের কথার সঙ্গে তাল দেয়ার জন্যে।
- ভাইজান , আল কোরআন ও হাদীস এমন নয় যে , ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তন হয়ে যায়। আল কোরআন ও হাদীসের মূল বিষয় কখনো পরিবর্তনশীল নয়। তবে , মূল বিষয় একই থেকে ব্যাখ্যায় গিয়ে এক ইমাম থেকে অন্য ইমামের কিছুটা মতপ্রার্থক্য হতে পারে তবে মূল বিষয়ে কারো কোন মতপ্রার্থক্য থাকেনা।
আর উদাহরন হিসাবে আমি যা বলেছি তা হয়ত ঠিক হয়নি তবে বিশ্বস্ততার উদাহরণ হিসাবে আপনি এর থেকে ভাল কিছু পাবেন কি? তবে আমিও আপনার সাথে একমত কোন মানুষের সাথে কোন প্রাণীর তুলনা করা না উচিত না ঠিক হয়েছে।
আর যে বা যারা জানতে চায়, বুঝতে চায় তারা একটি শব্দ বা বাক্যে নয় পুরো লেখা পড়েই জানতে-বুঝতে পারবে। আর সুবিধাবাদীরা বরাবরই খন্ডাংশকেই উদাহরন হিসাবে নিয়ে আসে - পুরো বিষয়কে নয় । এটা একধরনের ভণ্ডামি । আর এসব মানুষেরাই আল কোরআনের সুরা নিসার আয়াত ৩৪ কে উদাহরন হিসাবে বার বার নিয়ে আসেন, যেখানে/যাতে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য অধিকার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। অথচ এর আগের কিংবা পরের আয়াতগুলির ব্যাপারে নীরব থাকেন । অথচ , আগের পরের আয়াতগুলি মিলেই একটি পরিপূর্ণ সূরা যেখানে নর-নারীর দাম্পত্য জীবন ও নারী জীবনের সমস্যা ও করণীয়ের দিকনির্দেশনা রয়েছে। অথচ সমালোচনাকারীরা সেই সব নিয়ে কিছুই বলেনা বা বলতে চায় না । এ বড়ই আফসোসের বিষয়।
ইসলামোফোবিয়া নিয়ে আমি একাডেমিক পরিসরে কাজ করি। বস্তুত এদেশে প্রাক্তিকাল নলেজবিহীন জজবাধারী ওয়ায়েজ - হুজুররা আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ ইসলামোফোবিয়া ছড়ানোর অন্যতম নিয়ামক। আল্লাহ পানাহ দেন এসমস্ত ভুল জজবাওয়ালা লোকদের থেকে আমাদের।
- ইসলামোফোবিয়া এই শব্দটাই এর সমালোচনা কারীরা নিয়ে এসেছেন ইসলামকে হেয় করার জন্য। তবে আপনি এমন একটা বিষয়ে কাজ করেন জেনে ভাল লাগল। আপনার মত আমিও বলি, মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলকে জীবনের প্রয়োজনে সকল বিষয়ে সঠিক জিনিষ জানার-বুঝার তওফিক দান করুন।
২০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:২১
সোবুজ বলেছেন: জিহাদ গনিমত কিন্তু ইসলামের অংশ।কিন্তু আপনার কথা শুনে মনে হলো,আজকের ইসলাম আর নবীর আমলের ইসলাম এক না।এটা বুঝতে পেরেছেন এই জন্য ধন্যবাদ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সোবুজ ভাই , আপনার চমতকার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
জিহাদ গনিমত কিন্তু ইসলামের অংশ।কিন্তু আপনার কথা শুনে মনে হলো,আজকের ইসলাম আর নবীর আমলের ইসলাম এক না।এটা বুঝতে পেরেছেন এই জন্য ধন্যবাদ।
- ভাই বর্তমানে না জিহাদ (ধর্মযুদ্ধ) আছে না যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি আগের মত আছে। এখনকার যুদ্ধ আগের মত এক জায়গায় শেষ হয়ে যায়না না আগের মত ঢাল-তলোয়ারে যুদ্ধ হয় আর না শুধু কিছু মানুষকে যুদ্ধবন্দী করে । এখন যুদ্ধে আর কাউকে বন্দী করার প্রয়োজন হয়না বরং পুরো দেশ ও জাতিই বিজেতার ইচছার নিকট বন্দী হয়ে যায়।
আর গণিমত ? যেখানে পুরো দেশ-জাতিই বিজেতার গণিমতের মাল হয়ে যায় এবং তাদের নিয়ে যা ইচছা তাই করা যায় (উদাহরন - ব্রিটিশদের ভারতবর্ষ শাসন , ইউরোপীয়ানদের উপনিবেশিক শাসন, আমেরিকার আফগান-ভিয়েতনাম-ইরাক-সিরিয়া দখল) সেখানে থেকে ইসলামের তখনকার নিয়ম-নীতি কতটা ভাল ছিল তা নিরপেক্ষ ভাবে বিচার করলেই পাবেন।
আর তাই ,এখনকার জিহাদের (ধর্মযুদ্ধ) মানে হচছে নিজের সাথে নিজের (কুপ্রবৃত্তির) বিরুদ্ধে যুদ্ধ । নিজের মনের পশুকে নিয়ন্ত্রণ করা তথা কাম-রাগ-লোভকে নিয়ন্ত্রণ করা।
ইসলামের মূল বিষয় কখনো পরিবর্তন হবেনা তবে বিষয়ের প্রাসংগিকতার পরিবর্তন যুগে যুগে হবে (যেমন - ঢাল-তলোয়ার পরিবর্তন হয়ে বা তার জায়গায় এখন এসেছে আধুনিক সব মরণাস্ত্র ) তেমনি সরাসরি ধর্মযুদ্ধ এখন অনেকটাই তার প্রায়োগিক অবস্থান হারিয়েছে।
২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২১
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য
সুরা নিসা , আয়াত নং ৩৪ -এ পুরুষদের কর্তৃত্ব ও দায়িত্বশীলতার দু’টি কারণ বলা হয়েছে।
১। প্রথমটি হল - আল্লাহ প্রদত্তঃ যেমন, পুরুষোচিত শক্তি ও সাহস এবং মেধাগত যোগ্যতায় পুরুষ সৃষ্টিগতভাবেই নারীর তুলনায় অনেক বেশী।২। দ্বিতীয়টি হল - উপার্জন , এই দায়িত্ব শরীয়ত পুরুষদের উপর চাপিয়েছে। মহিলাদেরকে তাদের প্রাকৃতিক দুর্বলতার কারণে এবং তাদের সতীত্ব, শ্লীলতা এবং পবিত্রতার হিফাযতের জন্য ইসলাম বিশেষ করে তাদের জন্য অতীব জরুরি যে বিধি-বিধান প্রণয়ন করেছে সেই কারণেও উপার্জনের ঝামেলা থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আপনি যেখান থেকে চিন্তা শুরু করেছেন নারী পুরুষের বিষয়টি আরো অনেক উপর থেকে শুরু।
আপনি ধরেই নিয়েছেন পুরুষ শক্তি, সাহস, মেধায় সেরা। ( শক্তি বেশি এটা আমি বলেছি) কিন্তু মেধায় নারী থেকে পুরুষ সেরা এটা কোথায় পেলেন?
যাই হোক ধর্মের এই সব কথার জন্যই পুরুষ নারীকে তার অধিনস্ত বলে মনে করে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
আপনি যেখান থেকে চিন্তা শুরু করেছেন নারী পুরুষের বিষয়টি আরো অনেক উপর থেকে শুরু।
আপনি ধরেই নিয়েছেন পুরুষ শক্তি, সাহস, মেধায় সেরা। ( শক্তি বেশি এটা আমি বলেছি) কিন্তু মেধায় নারী থেকে পুরুষ সেরা এটা কোথায় পেলেন?যাই হোক ধর্মের এই সব কথার জন্যই পুরুষ নারীকে তার অধিনস্ত বলে মনে করে।
- সকল ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বাদ দিলে তাই দাড়ায় তবে আল কোরআনের বক্তব্য অনুসারে পুরুষ ও নারীদের অধিকার পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ, বরং পুরুষের তুলনায় নারীদের কিছু দুর্বলতার কারণে তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ নারীরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারে না। কিন্তু তথাপি এই সমতার অর্থ এই নয় যে, পুরুষ ও নারীর মধ্যে মর্যাদার কোন পার্থক্য থাকবে না; বরং দুটি ন্যায়সঙ্গত ও তাৎপর্যের প্রেক্ষিতেই পুরুষদেরকে নারীদের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।
তবে , পুরষদের সর্তক করে আল কোরআনে আবার এও বলা হয়েছে, " এ কথা খুব ভাল করে জেনে রেখো যে, আল্লাহতা'আলা তোমাদেরকে (পুরষদেরকে) নারীদের উপর তেমন কোন উচ্চ মর্যাদা দান করেননি। আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব তোমাদের উপরও বিদ্যমান রয়েছে, তোমরা কোন রকম বাড়াবাড়ি করলে তার শাস্তি তোমাদেরকেও ভোগ করতে হবে"।
২২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন- ১। প্রথমটি হল - আল্লাহ প্রদত্তঃ যেমন, পুরুষোচিত শক্তি ও সাহস এবং মেধাগত যোগ্যতায় পুরুষ সৃষ্টিগতভাবেই নারীর তুলনায় অনেক বেশী।২। দ্বিতীয়টি হল - উপার্জন , এই দায়িত্ব শরীয়ত পুরুষদের উপর চাপিয়েছে। মহিলাদেরকে তাদের প্রাকৃতিক দুর্বলতার কারণে এবং তাদের সতীত্ব, শ্লীলতা এবং পবিত্রতার হিফাযতের জন্য ইসলাম বিশেষ করে তাদের জন্য অতীব জরুরি যে বিধি-বিধান প্রণয়ন করেছে সেই কারণেও উপার্জনের ঝামেলা থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আপনার এই অকাট যুক্তির পর আর কিছু বলার থাকেনা। আপনি যেহেতু এই লজিক দিতে পারেন, তাহলে আপনি আবার নারী পুরুষ সমান অধিকার এই মডারেট মার্কা যুক্তি দিতে আসা হাস্যকর জামান ভাই। যেকোন একদিকে থাকেন ভাই। শরীয়তেও থাকবেন, আবার মডারেট ও থাকবেন আবার আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথেও থাকবেন- এটা তো হয়না ভাই, কারন একটা আরেকটার ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত।
আপনার চিন্তা আর ভাবনা ঐ পুরুষ নারীর মালিক এবং নারী পুরুষের সম্পত্তি এই পর্যন্তই! শক্তিতে পুরুষ এগিয়ে কারন নারী প্রেগ্নেন্ট থাকা অবস্থায় পুরুষ কে খাবার জোগাতে হয়েছে ফলে বিবর্তনের ধারা অনুযায়ী পুরুষ কে এই কারনে বেশি শক্তিশালী হতে হয়েছে। কিন্তু নারীকে কোন অবস্থাতেই পুরুষের চেয়ে কম মেধাবী করে তোলা হয়নাই। এটা একমাত্র আপনার স্পেসিফিক ধর্মের রুলস যেহেতু আপনার ধর্ম রচনা করেছে পুরুষ।
আর উপার্জন কে করবে সেটা ঠিক করবে মানুষ, সেটা যখন শরিয়ত কে ঠিক করতে দেন- তখন লাগে দুনিয়ার সব কেচাল।
আর সতীত্ব, শ্লীলতা এবং পবিত্রতার হিফাযত এটা যে খালি নারীর জন্য সীমাবদ্ধ এটাও আপনার ধর্মের আইনেই লিপিবদ্ধ আছে। বাট এটা থাকার কথা দুইটা প্রকারভেদ নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই।
আমি আবারো বলছি, যেহেতু আপনি তালগাছ নিজের বলেই দাবি করেন ও বিশ্বাস করেন- সো আপনার বিশ্বাস অনুযায়ী আপনার এই লিখা একদম সঠিক।
সভ্যতার নিয়ম কানুন অনুযায়ী এই লিখা একদম জঘন্য। আর আপনার লজিক গুলো আরো বেশি জঘন্য ভাই। আপনি জাস্ট এত লজিক না দেখিয়ে জাস্ট ধর্মের বিশ্বাস তাই নারীকে এভাবেই রাখতে হবে এটা বললেই কিছু লেঠা চুকে যায়।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার চমতকার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
আপনার এই অকাট্য যুক্তির পর আর কিছু বলার থাকেনা। আপনি যেহেতু এই লজিক দিতে পারেন, তাহলে আপনি আবার নারী পুরুষ সমান অধিকার এই মডারেট মার্কা যুক্তি দিতে আসা হাস্যকর জামান ভাই। যেকোন একদিকে থাকেন ভাই। শরীয়তেও থাকবেন, আবার মডারেট ও থাকবেন আবার আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথেও থাকবেন- এটা তো হয়না ভাই, কারন একটা আরেকটার ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত।
- সকল ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বাদ দিলে তাই দাড়ায় তবে আল কোরআনের বক্তব্য অনুসারে পুরুষ ও নারীদের অধিকার পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ, বরং পুরুষের তুলনায় নারীদের কিছু দুর্বলতার কারণে তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ নারীরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারে না। কিন্তু তথাপি এই সমতার অর্থ এই নয় যে, পুরুষ ও নারীর মধ্যে মর্যাদার কোন পার্থক্য থাকবে না; বরং দুটি ন্যায়সঙ্গত ও তাৎপর্যের প্রেক্ষিতেই পুরুষদেরকে নারীদের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।
তবে , পুরষদের সর্তক করে আল কোরআনে আবার এও বলা হয়েছে, " এ কথা খুব ভাল করে জেনে রেখো যে, আল্লাহতা'আলা তোমাদেরকে (পুরষদেরকে) নারীদের উপর তেমন কোন উচ্চ মর্যাদা দান করেননি। আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব তোমাদের উপরও বিদ্যমান রয়েছে, তোমরা কোন রকম বাড়াবাড়ি করলে তার শাস্তি তোমাদেরকেও ভোগ করতে হবে"।
আর উপার্জন কে করবে সেটা ঠিক করবে মানুষ, সেটা যখন শরিয়ত কে ঠিক করতে দেন- তখন লাগে দুনিয়ার সব কেচাল।
- শরীয়তে সীমার মাঝে থেকে নর-নারী উভয়েরই রোজগার ও কাজের ব্যাপারে ইসলামে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া আছে , কাজেই এখানেও ধর্মের সাথে ক্যাচালের সুযোগ নেই তবে কিছু মানুষের (পুরুষের) মানষিকতা ক্যাচাল তৈরী করে।
আর সতীত্ব, শ্লীলতা এবং পবিত্রতার হিফাযত এটা যে খালি নারীর জন্য সীমাবদ্ধ এটাও আপনার ধর্মের আইনেই লিপিবদ্ধ আছে। বাট এটা থাকার কথা দুইটা প্রকারভেদ নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই।
- নারী-পুরুষ উভয়েরই নিজ নিজ সীমারেখায় সতীত্ব, শ্লীলতা এবং পবিত্রতা রক্ষার দায় রয়েছে এবং রয়েছে এ ব্যাপারে ধর্মের নির্দেশনা । এর দায় শুধু একা নারীর নয়।
আমি আবারো বলছি, যেহেতু আপনি তালগাছ নিজের বলেই দাবি করেন ও বিশ্বাস করেন- সো আপনার বিশ্বাস অনুযায়ী আপনার এই লিখা একদম সঠিক।
- আপনি আমাকে এতগুলি তালগাছ দিয়েছেন এখন পর্যন্ত যেগুলি নিয়ে আমি বহুত মুশকিলে আছি । এগুলি কাজে লাগাই তার পরে আরো দিয়েন ভাই। এত গাছ কি করুম , কই রাখুম?
সভ্যতার নিয়ম কানুন অনুযায়ী এই লিখা একদম জঘন্য। আর আপনার লজিক গুলো আরো বেশি জঘন্য ভাই। আপনি জাস্ট এত লজিক না দেখিয়ে জাস্ট ধর্মের বিশ্বাস তাই নারীকে এভাবেই রাখতে হবে এটা বললেই কিছু লেঠা চুকে যায়।
- এইহানে আমি আর কমুনা কিছু । তাই করি যা আমাদের মন চায়।
২৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৭
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার পড়াশোনা কওমি মাদ্রাসায়। আমার ধারনা কি ঠিক?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাজিদ উল হক আবির ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
আপনার পড়াশোনা কওমি মাদ্রাসায়। আমার ধারনা কি ঠিক?
- একদম সঠিক ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৩
সাসুম বলেছেন:
সবার আগে নারী একজন মানুষ। পুরুষ আর নারী- মানব সভ্যতার ২টা ভিন্নধর্মী পার্ট। এবং সবচেয়ে বড় বিষয়- দুইটা পার্ট ই সমান-সমান।
নারীকে ঘিরে সমস্যা শুরু হয় ঠিক সেই মুহুর্ত থেকে- যখন নারীকে পুরুষের আন্ডারে সম্পদ বানিয়ে ফেলা হয় এবং নারীর প্রতি অধিকার ও কর্তৃত্ত ফলানো শুরু হয়।
নারীর মুক্তি আসবে কখন? যখন নারীকে সেক্স অব্জেক্ট কিংবা সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা না করে, ইকুয়াল পার্ট অফ হিউমান সিভিলাইজেশান হিসেবে গন্য করা হবে তখন। যতদিন নারীকে নারী রুপে দেখব আমরা ততদিন যৌতুক এর জন্য নির্যাতিত হবে, ধর্ষিত হতে হবে, এসিড সন্ত্রাসের স্বীকার হতে হবে এবং ভায়োলেন্স এর স্বীকার হতে হবে।
তবে সুখের বিষয় হল- সভ্য ও উন্নত জাতিগুলো এটা বুঝতে পেরেছে এবং সে জন্য আস্তে আস্তে উন্নত বিশ্বে নারী নির্যাতন কমে আসছে এবং সমাজের সকল স্তরে নারীর অংশ গ্রহন ও বাড়ছে এবং পুরুষের সমানে সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও সভ্যতা বিনির্মানে কাজ করছে।