নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - unsplash.com
" বৃহৎ (বড়) কিছু প্রাপ্তির আশায় অনেক সময় যেমন ছোট ছোট ত্যাগ স্বীকার করতে হয় " ঠিক তেমনি " ভাল থাকার জন্যও আমাদের মাঝে মাঝে স্বেচছায় কিছু কিছু কষ্ট-যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় " - এই নীতিতে বিশ্বাস রেখে এবং আইনি বাধ্যবাধকতার কারনে করোনা নামক ভাইরাসের ভয়াবহতা ও আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার আশায় গত ১০ ই মে ২০২১ এ করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেই। প্রথম ডোজ টিকা নেবার পর খুব বেশী শারিরীক অসুবিধা হয়নি, শুধু হালকা শারিরীক ব্যাথা ও টিকা প্রদানের জায়গায় কিছুটা গরম ও ব্যাথা ছাড়া। তারপর ৩১ ই মে ২০২১ এ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পর মোটামুটি দুইদিন সারা শরীর ব্যাথা সহ প্রচন্ড মাথা ব্যাথার সাথে সাথে পা দুটি হাটুর নীচে এত ব্যাথা করেছে যা বলার মত নয়। তারপরেও এত সব ব্যাথা এই আশায় হজম করেছি যে , এর ফলে হয়ত করোনার হাত থেকে বাঁচতে পারব।
তারপর , ১৬ ই জানুয়ারী ২০২২ এ নেয়া হলো করোনার বিরুদ্ধে সর্বশেষ সংযোজন বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় টিকা যা দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার ছয় মাস পর থেকে দেওয়া হয়ে থাকে। এটা দেয়ার পরও যথারীতি মোটামুটি দুইদিন সারা শরীর ব্যাথা সহ প্রচন্ড মাথা ব্যাথা থাকার পরও মনে মনে যখন তৃপ্তির ঢেকুর তুলছি যে , আমি এখন করোনা প্রুফ তখনি খেলাম একটা ধাক্কা। আমার অফিসের ফিলিপিনো,ক্যারিবিয়ান এবং নিউজিল্যান্ডের তিন কলিগের এক দিন আগে পরে করোনা পজেটিভ এসেছে যারা ডিসেম্বর মাসের - ২০২১ এর প্রথম দিকে বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় টিকা নিয়েছিল এবং করোনার আক্রমণের শিকার হয়ে তারা এখন কোয়ারেন্টেন (সংগনিরোধ) এ আছেন। আর , একই রুমে বসার কারনে আমিও মনে মনে শংকায় আছি যে, এর পর কি আমার পালা ? তাহলে কি লাভ হলো - এত কষ্ট-যন্ত্রণা সহ্য করে টিকা দেওয়ার ? টিকা দিয়েও যদি করোনার আক্রমণ থেকে রেহাই না পাওয়া যায় তাহলে কি টিকা না দেওয়াই ভাল ছিল ? করোনা হলেই ১৪ দিন কোয়ারেন্টেন (সংগনিরোধ) এবার টিকা দেওয়া হউক কিংবা না হউক , তাহলে কি লাভ টিকা দিয়ে এত কষ্ট-যন্ত্রণা সহ্য করার ?
ছবি - unsplash.com
আর এসব প্রশ্ন শুধু আমার নয় - এ প্রশ্ন সারা দুনিয়ার সকল মানুষের - আমজনতার । সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই ব্যাপকভাবে এবং বাধ্যতামূলক ভাবে মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় সাধারন জনগণ টিকা নিতে চাচছেনা তারপরও সরকার জনগনকে বাধ্য করছে টিকা নেওয়ার জন্য এ আশায় যে, এর ফলে হয়ত কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে করোনার হাত থেকে কিন্তু তার পরও দেখা যাচ্ছে যে টিকা-নেয়া লোকেরাও আবার ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে।
সারা পৃথিবীতে অনেক দেশেই বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে যেখানে ব্যাপক সংখ্যায় মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে - সেখানেও নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঢেউ দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং এরকম আরো অনেক দেশে ইদানীং রেকর্ড পরিমাণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে। এর কারণ হিসাবে যা বলা হচছে তা হলো - করোনার ডেল্টা এবং অমিক্রনের মত অতিসংক্রামক করোনাভাইরাসের ধরন সহ এর নিত্য নতুন পরিবর্তন-রুপান্তর।
এখন প্রশ্ন হলো - কেন টিকা নেবার পরও এভাবে সংক্রমণ ঘটছে করোনার ?
সাধারন মানুষ সহ অনেকেই এখনো বিশ্বাস করেন যে , করোনার টিকায় হয়তো কোন কাজ হচ্ছে না। তা অযতাই মানুষকে দেয়া হচছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা ব্যাপারটা বাখ্যা করে বলছেন - টিকা নেওয়ার পরেও মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও কেন কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়া অত্যন্ত জরুরি এবং সেসব দেশের বিজ্ঞানী, ডাক্তার এবং পেশাদার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা এখনো বিভিন্ন টিকার ওপর নির্ভরতা কমাননি।
এসব টিকা সারা বিশ্বে পরীক্ষিত এবং অনুমোদিত হয়েছে - এবং এটা প্রমাণিত হয়েছে যে এগুলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। এখানে আমরা আলোচনা করে দেখবো কিভাবে এসব টিকা মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভুমিকা রাখছে।
করোনার টিকা নিয়ে মিথ্যা ও ভুল বিতর্ক -
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মত দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে আলোচনা। কিছু দেশে কর্তৃপক্ষ টিকা নেয়াকে উৎসাহিত করতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার সমালোচনা করছেন অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। অন্য অনেকে আবার টিকার সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলছেন।
এখন পর্যন্ত টিকা প্রদানের পর প্রধান যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সেগুলো একান্তই মৃদু এবং কয়েকদিনের মধ্যেই এগুলো সেরে যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে, টিকার জায়গায় ব্যথা বা লাল হয়ে যাওয়া, জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, মাংসপেশীর ব্যথা, শীতশীত লাগা বা বমির ভাব। এর চেয়ে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন এ্যানফাইলেক্সিস, থ্রম্বোসিস (রক্ত জমাট বাঁধা), পেরিকার্ডাইটিস এবং মায়োকার্ডাইটিস (হৃদপিন্ডের প্রদাহ) - এগুলোকে অতি বিরল বলেই মনে করছে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, টিকা নেয়ার ফলে আমি-আপনি যে সুরক্ষা পাব তা এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকির চাইতে অনেক অনেক বেশি।
বিবিসি এ নিয়ে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ রেনাটো কেফুরির সাথে কথা বলেছে।
বিবিসির পক্ষ থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল - এখন প্রচলিত টিকাগুলোর কার্যকারিতা এবং টিকা নেয়া লোকেরাও কেন ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন এবং রোগ ছড়াতে পারেন - সে সম্পর্কে।
রেনাটো কেফুরি বলছেন, " প্রথম যে করোনাভাইরাস-রোধী টিকাগুলো বাজারে এসেছিল - যেমন ফাইজার বা এ্যাস্ট্রাজেনেকা ইত্যাদি - এগুলোর লক্ষ্য ছিল কোভিড-১৯ এ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি কমানো, যে পর্যায়ে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মারা যাবার সম্ভাবনা থাকে"।
" আসলে এই টিকাগুলো কোভিডের অধিকতর বিপজ্জনক ধরনগুলোর বিরুদ্ধে অনেক ভালোভাবে সুরক্ষা দিতে পারে - অপেক্ষাকৃত মৃদু বা নিরীহ ধরনগুলোর তুলনায় যেগুলোতে অনেক সময় কোন উপসর্গও থাকে না " - ব্রাজিলের টিকাদান সোসাইটির পরিচালক মি. কেফুরি বলছিলেন " কোভিড যত গুরুতর হবে টিকার কার্যকারিতাও ততই বেশি হবে"।
করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কি টিকা কোন কাজ করেনা ? -
প্রকৃতপক্ষে, টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্য কখনোই সংক্রমণ পুরোপুরি প্রতিরোধের জন্য ছিল না। আসল লক্ষ্য ছিল - করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে ঢুকে পড়লেও তার প্রভাব যেন কম ক্ষতিকর হয়, তা নিশ্চিত করা। পৃথিবীর বহু দেশেই কয়েক দশক ধরে ফ্লু-র টিকা দেয়া হচ্ছে । এর পেছনে যুক্তিটাও হুবহু একই।
যেমন - ফ্লুর টিকা প্রতি বছরই দেয়া হয়। এর লক্ষ্য কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ পুরোপুরি প্রতিরোধ করা নয় বরং উদ্দেশ্য হচ্ছে - এই ভাইরাসের কারণে যাদের প্রায়ই সবচেয়ে গুরুতর জটিলতা দেখা দেয় - যেমন শিশু, গর্ভবতী নারী এবং বয়স্ক মানুষেরা - তাদের আক্রান্ত হওয়া ঠেকানো।
এর বৃহত্তর তাৎপর্য হলো - কোভিডে গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে এ সুরক্ষা একটা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কারণ শ্বাসতন্ত্রের রোগে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা কমানো মানেই হচ্ছে হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসাপ্রার্থীর ভিড় কমে যাওয়া।এর ফলে ডাক্তার-নার্সদের পক্ষে প্রতিটি রোগীর যথাযথ চিকিৎসা ও যত্ন নিশ্চিত করার সময় ও সক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়।করোনা ভাইরাসের টিকা ঠিক এ ভুমিকাটাই খুব ভালোভাবে পালন করছে। যেমন কমনওয়েলথে ফান্ডের এক জরিপ অনুযায়ী - শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই করোনা ভাইরাসের টিকার কারণে নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১ কোটি ৩ লক্ষ মানুষের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ঠেকানো গিয়েছে এবং মোট ১১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল মিলে এরকম আরেকটি হিসেব করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হবার পর থেকে ইউরোপের ৩৩টি দেশে ৬০ বছরের বেশি লোকদের ক্ষেত্রে ৪৭০,০০০ জনের প্রাণ রক্ষা সম্ভব হয়েছে।
তাহলে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যাটা কি?
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে করোনাভাইরাসে পুনঃসংক্রমিত হওয়া, এবং টিকা নেয়া লোকদের ভাইরাস-পজিটিভ হওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। তিনটি কার্য-কারণ দিয়ে এটাকে ব্যাখ্যা করা যায়।
১। প্রথম কারণটা খুবই সহজ। বড়দিন এবং নতুন বছর উদযাপন করার জন্য মানুষের সাথে মানুষের মধ্যে পরস্পরের সংস্পর্শে আসা বেড়েছে। ফলে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনাও বেড়ে গেছে ও টিকা নেবার পরও অনেকে আক্রান্ত হয়েছে।
২। দ্বিতীয় কারণ - পৃথিবীর অনেক দেশেই ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করার পর মোটামুটি এক বছর পার হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞরা এটা দেখতে পাচ্ছেন যে টিকা নেবার পরও কোভিডের বিরুদ্ধে সুরক্ষা চিরস্থায়ী হয় না। " আমরা দেখেছি যে যত সময় যায়, ততই সুরক্ষার মাত্রা কমে আসে। এই মাত্রা কতটা কমবে - তা ভ্যাকসিনের টাইপ এবং যিনি এটা নিচ্ছেন তার বয়সের ওপর নির্ভর করে", বলেন কেফুরি।
"এর ফলে আমরা তৃতীয় ডোজের প্রয়োজনীয়তা দেখতে পাই। প্রথমতঃ যারা বয়স্ক এবং যাদের রোগপ্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেছে তাদের জন্য এবং তার পর দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য"।
৩। তৃতীয় কারণটি হচ্ছে ওমিক্রনের আবির্ভাব। করোনাভাইরাসের এই ধরনটি অনেক বেশি সহজে ছড়াতে পারে এবং এর বিরুদ্ধে কোভিডের টিকা বা আগেকার সংক্রমণ থেকে পাওয়া সুরক্ষা দৃশ্যতঃ কম কার্যকর।
কেফুরি বলছেন,"দেখা যাচ্ছে, টিকা-নেয়া লোকেরা যে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন তা আসলে খুবই স্বাভাবিক এবং আমাদের এ পরিস্থিতি মেনে নিয়েই চলতে হবে"। তিনি আরো বলেন, " সৌভাগ্যক্রমে, এখন ক্রমবর্ধমান কোভিড কেসগুলো বাড়ছে - তাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর হার কম - বিশেষ করে তাদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যেই টিকা নিয়েছেন"।
ডাঃ কেফুরির সিদ্ধান্ত, " ভ্যাকসিন এখনো কোভিডের সবচেয়ে গুরুতর রূপের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়ে চলেছে"। নিউইয়র্ক শহরের স্বাস্থ্য সেবা চার্ট থেকে স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে যে - টিকার কার্যকারিতা কতখানি।এতে দেখা যাচ্ছে টিকা নেয়া এবং না-নেয়াদের মধ্যে সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং মৃত্যুর অনুপাত অনেক অনেক কম। এতে দেখা যায়, ডিসেম্বরের শুরুতে টিকা-না-নেয়া লোকদের মধ্যে সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়েছে। সে তুলনায় টিকা-নেয়া লোকদের মধ্যে এ হার অনেক স্থিতিশীল। যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় পর্যায়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ দফতরের (সিডিসি) চালানো জরিপেও একই রকম তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এজেন্সিও একই রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। তাদের এক নিবন্ধে ব্যবহৃত যুক্তরাজ্যের ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, যারা করোনাভাইরাসের তিনটি ডোজই নিয়েছেন - তাদের ক্ষেত্রে অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হলে হাসপাতালে ভর্তি হবার সম্ভাবনা ৮১ শতাংশ কম। এই এজেন্সির নিজস্ব বিশ্লেষণে দেখা যায়, তিন ডোজ টিকা নেবার পরের কার্যকারিতা ৮৮ শতাংশ। তবে এ সুরক্ষা কতদিন স্থায়ী হয় এবং আগামী দিনগুলোতে আরো বুস্টার টিকা নিতে হবে কিনা - তা এখনো জানা যায়নি।
তবে ডাঃ কেফুরি বলছেন, " এই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে আসলে টিকা নেয়ার গুরুত্বই প্রমাণিত হচ্ছে - বিশেষ করে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে" । আর তাই, "কেউ যদি মনে করেন যে টিকা নেবার কোন দরকারই নেই, কারণ সবাই শেষ পর্যন্ত অসুস্থ হবেই - তাহলে তা হবে চরম ভুল", বলছেন ডাঃ কেফুরি ।
ছবি - istockphoto.com
" করোনার টিকা করোনা ভাইরাসকে একটি অপেক্ষাকৃত সরল রোগে পরিণত করতে সফল হচ্ছে - যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘরে থেকেই চিকিৎসা করা সম্ভব"। এই বিশেষজ্ঞ আরো বলছেন,"এই মহামারী থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি শুধু একভাবে - সেটা হলো শিশুরাসহ দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে উচ্চহারে টিকা দেয়া এবং মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, ও মানুষের ভিড় ঠেকানোর মত নিয়মগুলো মেনে চলা"।
কাজেই, টিকা দেওয়ার পরও করোনায় সংক্রমিত হলেও টিকার প্রভাবে করোনার চরম ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমাদের সকলেরই করোনার টিকা গ্রহন করা উচিত । আর এখন পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে টিকার চেয়ে কার্যকর সুরক্ষার জন্য এর থেকে ভালো কিছু যেহেতু নেই সেহেতু আমাদের সকলকে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, ও মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলার অভ্যাসগুলো চর্চার মাধ্যমেই এ থেকে সুরক্ষার আশা করা উচিত।
তথ্যসূত্র ও সহযোগীতায় - বিবিসি ।
=================================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
আমজনতার সমসাময়িক ভাবনা - ১ - Click This Link
- আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ?
আমজনতার সমসাময়িক ভাবনা - ২ - Click This Link
- বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।
আপনার হেডীং মিসলিডিং। আপনার হেডিং ঠিক অনলাইন পোর্টালের ক্লিক বেইটের মত। দেখে মর্দে মোজাহিদ ঝাপিয়ে পড়বে টিকার অসহায়ত্ব দেখে। কিন্তু আসল কাহিনী ভেতরে। ঠিক যেমন করে আমরা অনলাইনে ঝাপিয়ে পড়ি হেডিং দেখে- জয়ার আসল উতসব গোয়াতে।
- শিরোনাম বিভ্রান্তিকর । কি কমু ভাইজান । কোনভাবেই আপনার মন পাওয়ার উপায় নাই। যা কিছুই লিখি-বলি তাতেই একটা না একটা ত্রুটি থেকেই যায়। কি আর করা । man is mortal বা মানুষ মাত্রই ভূল করে - হিসাবে মাপ করি দেন।
এই পোস্টের ভেতরের বাকি লিখা ঠিক আছে। কাজেই, টিকা দেওয়ার পরও করোনায় সংক্রমিত হলেও টিকার প্রভাবে করোনার চরম ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমাদের সকলেরই করোনার টিকা গ্রহন করা উচিত । আর এখন পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে টিকার চেয়ে কার্যকর সুরক্ষার জন্য এর থেকে ভালো কিছু যেহেতু নেই সেহেতু আমাদের সকলকে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, ও মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলার অভ্যাসগুলো চর্চার মাধ্যমেই এ থেকে সুরক্ষার আশা করা উচিত।
- এই জন্যই জ্ঞেনিরা বলে, " বাহ্যিক চাকচিক্য নয় তার ভিতরের সৌন্দর্য খুঁজ " । আর তাই এই শিরোনাম বিভ্রান্তিকর হবার পরেও ভিতরে আপনি ঠিকই আসল জিনিষ পেয়েছেন । কি আর করা - তা জন্য আপনাকে আবারো একটা ধন্যবাদ দিতেই হয় , কষ্ট করে পুরা লেখা পড়ে মনের মত জিনিষ খুজে পাওয়ার জন্য।(যদিও আমি জানি , আপনি সবসময়ই পুরো লেখা মনযোগ সহকারেই পড়েন )।
অনেক দিন পর একটা ভাল লিখা লিখছেন। সহমত জানাইলাম
- আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে আমার যে কি ভাল লাগছে তা আপনাকে বুঝাতে পারব না । আর তার জন্য একটা চুমমা (তয় অন্যভাবে নিয়েন না , আমি আবার ঐটা না )। এ শুধু আবেগের ঠেলায় ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮
জুন বলেছেন: বুস্টার ডোজ নেয়ার পর আমার হাজবেন্ড করোনার সকল সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয়েছিল। তবে টিকার উপর ভরষা ছিল তাই অত ঘাবড়ে যাইনি। অন্য সময় হলে তো আমাকে সামলানোই দায় হতো। করোনা ভাইরাস আর কিছু না করুক হাত ধোয়ার অভ্যাসটা ভালো মতই গড়ে দিয়েছে। এমন অবস্থা যে নিজেকে ছুয়েই দৌড়ে গিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজ করছি কামরুজ্জামান
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন জুন, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আসলেই বোন, বুস্টার ডোজ নেয়ার পরও আমার জানামতেই অনেক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তবে কেন এমনটা হচছে এটা জানার চেষ্টা ফল স্বরুপই এই লেখা এবং আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করা।
জানুয়ারীর প্রথম দিকে আমারো যে সব লক্ষণ ছিল সে সময় পিসিআর test করলে নির্ঘাত আমারো পজেটিভ আসত। আর ভাইয়ের (আপনার হাজবেন্ড) ব্যাপারটা অল্পের উপর দিয়ে গিয়েছে তার জন্য দয়াময়ের নিকট শুকরিয়া।
আর ইউনিসেফ,ইউএসএআইডি মীনা কার্টুনের সাহায্যে গত কয়েক দশক ধরে সারা দুনিয়াকে হাত ধোয়ার ব্যাপারে বললেও যতটা না কার্যকরী হয়েছে বা মানুষের অভ্যাস হয়েছে তার থেকে করোনা বিবি তার থেকে অনেক অনেক গুণ বেশী শিখিয়েছে হাত ধোয়ার ব্যাপারে গত দু বছরে। আর মানুষ তার চর্চা করছে এখন , কারন তারা জানে যে " চাচা আপন প্রাণ বাঁচা" র কোন বিকল্প নেই।
আর নিজেকে ছুইলেও (নাক-মুখ) এখন নিজেকে পাপী মনে হয় - এটা হাঁচা কথা । কারন , কখন যে নিজের কোন আকামের (দেহের কোন অংশ ছোয়ার দরুণ) কারনে নিজেই করোনা বিবির আক্রমনের শিকার হয়ে যাই নিজেই জানিনা।
আবারো ধন্যবাদ বোন আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এতো বড় লেখা পুরাটা পড়লাম না (প্রথমটুকু পড়েছি)।
বেশীর ভাগ রোগের টিকাই সেই রোগ থেকে মুক্তি দেয় না বরং রোগটি হলে রোগটির সাথে যুদ্ধে যাতে দ্রুত কোনো ক্ষতি ছাড়াই জেতা যায় তার জন্য টিকা দেয়া হয়।
করোনার টিকার সবচেয়ে দূর্বল দিক হচ্ছে এটি তৈরি করার সময়।
এতো দ্রুত সময়ে একটি টিকা কখনো পুরপুরি কার্জকর কিনা সেটা বুঝার কোনো উপায় নেই।
আমি বুস্টার ডোগ এখনো পাইনি। সন্দেহ করি গত সপ্তাহে বাসায় হয়তো আমরা ৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলাম।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
বেশীর ভাগ রোগের টিকাই সেই রোগ থেকে মুক্তি দেয় না বরং রোগটি হলে রোগটির সাথে যুদ্ধে যাতে দ্রুত কোনো ক্ষতি ছাড়াই জেতা যায় তার জন্য টিকা দেয়া হয়।
- এটা আপনি সঠিক বলেছেন। টিকা সরাসরি রোগ থেকে মুক্তি দেয় না ঠিক তবে রোগীকে রোগের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
করোনার টিকার সবচেয়ে দূর্বল দিক হচ্ছে এটি তৈরি করার সময়।এতো দ্রুত সময়ে একটি টিকা কখনো পুরপুরি কার্জকর কিনা সেটা বুঝার কোনো উপায় নেই।
- এটাও ঠিক বলেছেন। একটি ঔষধ বা টিকা বাজারজাত করার পূর্বে যে কয়টি ধাপ বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবহারের জন্য বাজারজাত করা হয় সে কয়টা ধাপ যথাযথ ভাবে অনুসরণ করা হয়নি করোনার টিকা বাজারজাত করণের ক্ষেত্রে কারন, তখন টিকা জরুরী ছিল ।তবে ধীরে ধীরে তার অদলবদল হবে এবং বাজারে আরো কার্যকরী টিকা একসময় আসবে।
আমি বুস্টার ডোগ এখনো পাইনি। সন্দেহ করি গত সপ্তাহে বাসায় হয়তো আমরা ৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলাম।
- শীতের প্রকোপে সবাই সর্দি-কাশিতে পড়ে । আর এসময় করোনা পরীক্ষা করলে আমাদের সবারই পজেটিভ আসবে। তবে আশার কথা এই যে , সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই তা সেরে যায় - এটাই আশার কথা।
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫
কুশন বলেছেন:
আপনার মতে, টিকা কাজ করছে না?
বড় ধরণের সমস্যা হয়ে গেছে, একটা সমাধান বের করেন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কুশন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপনার মতে, টিকা কাজ করছে না?
- ভাই , এ ধারনা শুধু আমার নয়। এ ধারনা দুনিয়ার সবার, কারন - টিকা দেওয়ার পরও অনেকে করোনার শিকার হচছে ।
বড় ধরণের সমস্যা হয়ে গেছে, একটা সমাধান বের করেন।
- সমাধান লেখার শেষে দেয়া হয়েছে।
তারপরও আপনার জন্য - টিকা দেওয়ার পরও করোনায় সংক্রমিত হলেও টিকার প্রভাবে করোনার চরম ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমাদের সকলেরই করোনার টিকা গ্রহন করা উচিত । আর এখন পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে টিকার চেয়ে কার্যকর সুরক্ষার জন্য এর থেকে ভালো কিছু যেহেতু নেই সেহেতু আমাদের সকলকে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, ও মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলার অভ্যাসগুলো চর্চার মাধ্যমেই এ থেকে সুরক্ষার আশা করা উচিত।
৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি দুই ডোজ টিকা এবং বুস্টার নেওয়ার পরেও করোনাক্রান্ত হয়েছি।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য
সমস্যাটা ত এখানেই । টিকা নেওয়ার পরও খুব দ্রুতই মানুষ আবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাচছে। আর তার তাইতো মানুষের মনে এ প্রশ্ন জাগছে - তাহলে কি করোনা প্রতিরোধে টিকা কোন ভূমিকা রাখতে পারছেনা?
৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট নিয়ে কিছু বলব না।
আপনাকে একটা হাদীস শুনাই।
একদিন জামাই শ্বশুর মানে নবী (সা.) ও আলী (রা.) এক সাথে বসে খেজুর খাচ্ছিলেন।
নবী (সা.) খেজুর খেয়ে আটিগুলো আলী (রা.) যেখানে আটি রাখছিলেন সেখানে রাখছেন।
একপর্যায়ে রসিকতা করে নবী (সা.) বললেন, আলী তোমার দেখছি খুব খিদে পেয়েছে! তোমার পাশে দেখছো তো অনেক খেজুরের আটি! জামাইও ছাড়ার পাত্র নয়।
নবী (সা.)-কে লক্ষ্য করে আলী (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার চেয়ে দেখছি আপনার অনেক বেশি খিদে পেয়েছে! কারণ আমি তো আটি ফেলে দিচ্ছি কিন্তু আপনি তো আটি সমেত খেজুর খেয়ে ফেলছেন।
এ কথার পর জামাই শ্বশুর সমস্বরে হো হো করে হেসে উঠলেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য তবে মন্তব্যের মাজেজা (লক্ষ্য এবং বিষয়বস্তু) বুঝতে পারিনি।
তবে এটতুকু বুঝতে পারছি, আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আপনজন এবং সকলের সাথে হাস্যরস ও করতেন।
৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২০
নতুন বলেছেন: ২ ডোজ সিনোফাম নেবার পরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। যদিও খুবই হালকা কাশি, একটু জ্বর জ্বর ছিলো মাত্র। কিন্তু কাশি সারতে ৬ মাস লেগেছে।
তারপরে আবার ২ ডোজ ফাইজার নিয়েছি।
এখন আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালি
তবে একই ৪ ডোজ নেবার পরেও আমার কলিগ আক্রান্ত হয়েছিলো কিন্তু তিনিও অসুস্হ হয়ন নি।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য ।
২ ডোজ সিনোফাম নেবার পরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। যদিও খুবই হালকা কাশি, একটু জ্বর জ্বর ছিলো মাত্র। কিন্তু কাশি সারতে ৬ মাস লেগেছে।
- ভাই আমার মনে হয় ,ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে অক্টোবর মাস থেকে ফেব্রুয়ারীর শেষ পর্যন্ত ঠান্ডা-কাশি- জ্বর এসব গুলিতে কম বেশী সবাই ভোগে আর পরীক্ষা করলে সবারই করোনা পজেটিভ আসবে। তবে এর মাঝে কাশিটাই বেশী ভোগায় বলে আমার মনে হয়।
তারপরে আবার ২ ডোজ ফাইজার নিয়েছি। এখন আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালি )
- তা কি আর বলতে । এখন আমরা সবাই করোনার চেয়েও শক্তিশালি তবে যে কোন সময় হামলা হতে পারে এবং ----------
তবে একই ৪ ডোজ নেবার পরেও আমার কলিগ আক্রান্ত হয়েছিলো কিন্তু তিনিও অসুস্হ হয়ন নি।
- করোনা কারো কারো জন্য মরনঘাতী এটা ঠিক তবে বেশীরভাগ সময়ই নিরীহ মনে হয়। তবে এটাও ঠিক, " কি যাতনা বিষ ,বুঝিবে সে কিসে - কভু আশিবিষে, দংশিনে যারে" ।
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কবে যে এই মহামারী হতে আমরা মুক্তি পাবো
আল্লাহই জানেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কাজী ফাতেমা ছবি, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আমার মনে হয় জীবনের বাকী দিনগুলি করোনার সাথেই কাটাতে হেব আমাদের এবং এ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেরই অংশ হয়েই রয়ে যাবে। বিশেষ করে প্রতি শীতকালে এর প্রকোপ বেড়ে যাবে এবং আমার ভূগব আর টিকা ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৮
সাসুম বলেছেন: আপনার হেডীং মিসলিডিং। আপনার হেডিং ঠিক অনলাইন পোর্টালের ক্লিক বেইটের মত। দেখে মর্দে মোজাহিদ ঝাপিয়ে পড়বে টিকার অসহায়ত্ব দেখে। কিন্তু আসল কাহিনী ভেতরে। ঠিক যেমন করে আমরা অনলাইনে ঝাপিয়ে পড়ি হেডিং দেখে- জয়ার আসল উতসব গোয়াতে।
ভেতরে নিউজে লিখা- ভারতের রাজ্য গোয়াতে জয়া আহসান এর সিনেমার আসল উৎসব শুরু।
এই পোস্টের ভেতরের বাকি লিখা ঠিক আছে। কাজেই, টিকা দেওয়ার পরও করোনায় সংক্রমিত হলেও টিকার প্রভাবে করোনার চরম ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমাদের সকলেরই করোনার টিকা গ্রহন করা উচিত । আর এখন পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে টিকার চেয়ে কার্যকর সুরক্ষার জন্য এর থেকে ভালো কিছু যেহেতু নেই সেহেতু আমাদের সকলকে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, ও মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলার অভ্যাসগুলো চর্চার মাধ্যমেই এ থেকে সুরক্ষার আশা করা উচিত।
অনেক দিন পর একটা ভাল লিখা লিখছেন। সহমত জানাইলাম