নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" নারীর প্রতি সদ্ব্যবহার / ভাল আচরন ও শিষ্টাচার " - নারীদের সঙ্গে কথা বলার ও আচার আচরণের ব্যাপারে ইসলামের দিকনির্দেশনা। (মানব জীবন - ২৪)।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৩


ছবি - muslim.sg

পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুসারে ইসলাম ধর্মের প্রথম মানুষ-পুরুষ, প্রথম পয়গম্বর বা নবী হযরত আদম (আঃ)। আল্লাহ তার পাঁজর থেকে তার স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন সমগ্র মানবজাতির মা হিসেবে এবং কালক্রমে এ দুজন থেকেই সারা দুনিয়ার সকল নার-নারী সৃষ্টি হয়েছে । নর-নারী উভয়ের মিলিত প্রচেষ্টাতেই ও কিছু নিয়ম-নীতির অনুসরনের ফলেই পরিবার-সমাজ গঠিত হয়েছে এবং মানব জাতির ক্রমবিকাশ-উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। মানুষ সামাজিক জীব, অন্যদিকে মানুষ প্রকৃতিরও অংশ। তাই মানুষকে জীবন ধারণ, বেঁচে থাকা ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য " প্রাকৃতিক - সামাজিক এবং ঐশী " সব বিধি-বিধানই মেনে চলতে হয়। সামাজিক বিধি-বিধান গুলো মানুষের লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে গড়ে ওঠে। আর তাই সামাজিক বিধি-বিধান না মেনে চললে বা ভঙ্গ করলে মানব সমাজে নেমে আসে বিপর্যয়। ঠিক তেমনি, প্রাকৃতিক বিধান লঙ্ঘন করলেও বা মেনে না চললে মানব সমাজের ধ্বংস অনিবার্য। আর এসব বিধানসমূহের মধ্যে ঐশী বা ধর্মীয় বিধানই শ্রেয় এবং এসব বিধি-বিধান মেনে চলাও মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক।

নারীর সম্বন্ধে ইসলামের মহাগ্রন্থ আল কোরআনে " নিসা" অর্থাৎ " মহিলা" শব্দটি ৫৭ বার এবং " ইমরাআহ" অর্থাৎ " নারী" শব্দটি ২৬ বার উল্লেখ হয়েছে। পবিত্র কোরআনে সুরা " সুরা আন নিসা " তথা ' নারী ' শিরোনামের সুরাটি নারীর অধিকার ও কর্তব্যসংক্রান্ত একটি স্বতন্ত্র ও বৃহৎ সূরাও যাতে নারী জীবনের অধিকার ও কর্তব্যের সাথে তার চলার পথের যাবতীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন মহান আল্লাহ । এ ছাড়া কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও তাদের মূল্যায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছে,দিয়েছে নারীর জান-মালের নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সম্মান।

মানুষের প্রতি ভাল আচরন তথা ভাল ব্যবহারের ব্যাপারে ধর্মের নির্দেশনা -

মানুষের প্রতি ভাল আচরন বা একের প্রতি অন্যজনের ভাল আচরন মানুষের হক।"আশরাফুল মাখলুকাত" হিসেবে জগতের সব মানুষ পারস্পরিক সর্বোত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিকার রাখে। সুন্দর ব্যবহারকে ইসলামে অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়। সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মানুষ নিজেকে অন্যের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে।সবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, "তোমরা পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকটতম প্রতিবেশী, দূরবর্তী প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথি, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে" (সূরা আল নিসা, আয়াত- ৩৬)।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সব সময় মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন এবং সর্বোত্তম পন্থায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতেন। আর তাই পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো হিকমত (প্রজ্ঞা) ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করো সদ্ভাবে"।(সূরা আন-নাহল, আয়াত - ১২৫)।

এছাড়া হাদীসেও বার বার তাগিদ দেয়া হয়েছে মানুষের সাথে ভাল আচরনের। হজরত সুরাকা ইবনে মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত,"একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) খুতবা প্রদানকালে ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হলো যে অন্যের ওপর অত্যাচার করা ছাড়া নিজ পরিবার ও আত্মীয়স্বজন থেকে সব অনিষ্ট দূর করে"।(আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং - ৫১২০)। আরো বলা হয়েছে, হজরত আবু হুরাইরা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবায়ে কেরামের একদলের মধ্যে উপবিষ্ট অবস্থায় বললেন, 'তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তিটি কে, আমি কি তা তোমাদের বলব?' সাহাবায়ে কেরাম নিশ্চুপ রইলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এ কথা তিনবার বললেন। অতঃপর জনৈক সাহাবি আরজ করলেন, 'অবশ্যই বলুন, হে আল্লাহর রাসুল।' রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, " তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হলো যার থেকে সবাই মঙ্গলের আশা করে এবং তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে। আর তোমাদের মধ্যে নিকৃষ্টতম ব্যক্তি হলো যার থেকে মঙ্গলের আশা করা যায় না এবং তার অনিষ্ট থেকে মানুষ নিরাপদ নয় " (তিরমিজি শরীফ হাদীস নং - ২২৬৩)।

ইসলামে শিষ্টাচার বা আদবকে ইমানের অংশ বলা হয়েছে। সর্বোত্তম ব্যবহার, বিনয়ী চরিত্র, ব্যক্তিত্ব, আনুগত্য, সহযোগিতা ও পারস্পরিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে মানবসেবা ও জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে। সে-ই সবচেয়ে আদর্শ মানুষ, যার স্বভাব পরিবারের কাছে,সমাজের বাকী মানুষের কাছে সবচেয়ে ভালো বলে বিবেচিত। সে-ই পূর্ণ মুসলমান, যার আচরণ সর্বোত্তম।

নারীর প্রতি সদ্ব্যবহার - ভাল আচরন ও শিষ্টাচারের ব্যাপারে ইসলামের দিকনির্দেশনা -

স্ত্রীর (নারীর) সাথে সদাচরন এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, " হে ঈমানদারগণ! যবরদস্তি করে নারীদের উত্তরাধিকার হওয়া তোমাদের জন্য বৈধ নয়। তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ তা থেকে কিছু আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখো না, যদি না তারা স্পষ্ট খারাপ আচরণ করে । আর তোমরা তাদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন করবে ; তোমরা যদি তাদেরকে অপছন্দ কর তবে এমন হতে পারে যে, আল্লাহ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন তোমরা তাকেই অপছন্দ করছ "।(সূরা-৪ নিসা, আয়াত - ১৯)। অর্থাৎ তাদের (নারীদের) সাথে উত্তম কথা বলবে। কথায়, কাজে, চলাফেরায় যতটুকু সম্ভব সৌন্দর্য রক্ষা করবে। যেমনটি তুমি তাদের কাছ থেকে আশা কর, তেমন ব্যবহারই করো তুমি তাদের সাথে।

রাসূল (সাঃ) বলেন, "তোমাদের মধ্যে উত্তম হলো ঐ ব্যক্তি যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আমি আমার পরিবারের কাছে উত্তম।(তিরমিযী শরীফ , হাদীস নং- ৩৮৯৫)। রাসূল (সাঃ) চারিত্রিক সৌন্দর্যের মধ্যে এটা ছিল যে, তিনি সদাহাস্য সুন্দর ব্যবহার করতেন। পরিবারের সাথে হাস্যরস, নরম ব্যবহার ইত্যাদি করতেন।


ছবি - muslim.sg

আল্লাহ তা‘আলা নারীকে পুরুষের জীবন সঙ্গিনী হিসাবে মানব জীবন পরিচালনার জন্য পারস্পরিক সহযোগী করেছেন। ইসলাম মর্যাদার দিক দিয়ে নারীকে পুরুষের থেকে ভিন্ন করে দেখেনি। বরং ইসলামের আগমনেই নির্যাতিত, নিপীড়িত, অবহেলিত নারী সমাজ পেয়েছে মুক্তির সন্ধান। নারী কখনো মাতা, কখনো কন্যা, কখনো বোন আবার কখনো স্ত্রী। আর সর্বস্তরেই মহান আল্লাহ নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। ঠিক মহানবী (সাঃ)ও নারী জাতিকে মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে তুলে ধরে বলেন, ‘দুনিয়া একটি সম্পদ। আর দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ হ’ল পুণ্যবতী স্ত্রী’। একজন আদর্শ নারী হল মূল্যবান মণিমুক্তার মতো। আর তাই পবিত্র কুরআনে এই আদর্শ মুসলিম নারীদের মুক্তার সাথেই তুলনা করে বলা হয়েছে " যেন তারা সুরক্ষিত মুক্তা " (সুরা ওয়াকি‘আহ,আয়াত - ২৩)। ইসলাম নারীদের সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা দিয়েছে মা হিসেবে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, " মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত"। হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, "একবার এক লোক মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দরবারে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার বেশি অধিকারী কে? নবীজি (সাঃ) বললেন, 'তোমার মা'। ওই লোক জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কে? তিনি উত্তর দিলেন 'তোমার মা'। ওই লোক আবারও জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কে? এবারও তিনি উত্তর দিলেন ' তোমার মা'। (বুখারি শরীফ)।

মহানবী (সাঃ) এর সময়ের বিখ্যাত এক ঘটনা । মায়ের সেবা করার কারণে হজরত ওয়াইস করনি (রাঃ) প্রিয় নবীর জামানায় থেকেও সাহাবি হতে পারেননি। একবার ওয়াইস করনি (রাঃ) নবীজির কাছে খবর পাঠালেন ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনার সঙ্গে আমার দেখা করতে মন চায়, কিন্তু আমার মা অসুস্থ, এখন আমি কী করতে পারি?’ নবীজি (সাঃ) উত্তর পাঠালেন, "তোমার আমার কাছে আসতে হবে না। আমার সঙ্গে সাক্ষাতের চেয়ে তোমার মায়ের খেদমত করা বেশি জরুরি"। এ থেকেও মায়ের প্রতি ইসলামের মর্যাদা বুঝা যায়।


ছবি - shutterstock.com

তাছাড়াও মহানবী (সাঃ) বলেছেন, " মেয়ে শিশু বরকত (প্রাচুর্য) ও কল্যাণের প্রতীক"। হাদিস শরিফে আরও আছে," যার তিনটি, দুটি বা একটি কন্যাসন্তান থাকবে; আর সে ব্যক্তি যদি তার কন্যাসন্তানকে সুশিক্ষিত ও সুপাত্রস্থ করে, তার জান্নাত নিশ্চিত হয়ে যায়"।

ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে," ‘তারা (নারী) তোমাদের (পুরুষের) আবরণস্বরূপ আর তোমরা তাদের আবরণ"। (সূরা বাকারা, আয়াত - ১৮৭)।

স্ত্রীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) বলেছেন,"উত্তম স্ত্রী সৌভাগ্যের পরিচায়ক"। (মুসলিম শরিফ)। তিনি আরও বলেন,"তোমাদের মধ্যে সে–ই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম"। (তিরমিজি শরীফ)।

আল কোরআনের আরেক জায়গায় বলা হয়েছে, "আর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীগণ তিন রজঃস্রাব কাল প্রতীক্ষায় থাকবে। আর তারা আল্লাহ ও আখেরাতের উপর ঈমান রাখলে তাদের গর্ভাশয়ে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন রাখা তাদের পক্ষে হালাল নয়। আর যদি তারা আপোষ-নিষ্পত্তি করতে চায় তবে এতে তাদের পুনঃ গ্রহণে তাদের স্বামীরা বেশী হকদার। আর নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের; আর নারীদের উপর পুরুষদের মর্যাদা আছে । আর আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় "। (সূরা-২ বাকারা, আয়াত ২২৮)। এ আয়াতে নারী ও পুরুষের পারস্পরিক অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে । বলা হয়েছে, নারীদের উপর যেমন পুরুষের অধিকার রয়েছে, এবং যা প্রদান করা একান্ত জরুরী, তেমনিভাবে পুরুষদের উপরও নারীদের অধিকার রয়েছে, যা প্রদান করা অপরিহার্য।

পর নারীর সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা -

মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত, সৃষ্টির সেরা জীব। এ দুনিয়াতে মানুষই একমাত্র বাকশক্তিসম্পন্ন বা কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। চলার পথে এবং নানা প্রয়োজনে মানুষকে কথা বলতেই হবে। এই কথা হতে পারে কোনো নর কিংবা নারীর সঙ্গে। আর প্রয়োজনে যে কোন নারীর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেয় ইসলাম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগেও বহু নারী তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। অনেক নারী সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে মাসলা- মাসায়েল জিজ্ঞাসা করতেন। তিনি সেগুলোর ব্যাপারে ফতোয়া দিতেন। কাজেই কোন নারীর সাথে পুরুষের কথা বলার ব্যাপারে কোনো অসুবিধা নেই তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে বা নিয়ম-নীতির মাঝে ইসলাম নারীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিয়েছে।

নারীদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশনা বা মূলনীতি বিষয়ে পবিত্র কোরআনে দুটি আয়াত নাজিল হয়েছে।

১। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, " হে নবী-পত্নীরা, তোমরা অন্য নারীদের মতো নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তাহলে পর-পুরুষের সঙ্গে এমনভাবে কথা বোলো না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে"। (সুরা আহজাব, আয়াত - ৩২)।

২। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে , " হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ "। (সুরা আহজাব, আয়াত - ৫৩)।

এই দুটি আয়াত ও বিভিন্ন হাদিসের আলোকে ইসলামিক স্কলাররা নারীদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছেন। সেগুলো হলো -

১। কোন পুরুষ নির্জনে পর-নারীর সঙ্গে কথা বলবে না।
২। নারীর সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে বৈধতার সীমারেখা অতিক্রম করবে না।
৩। নারীদের সাথে অশ্লীল বা উত্তেজক কোনো কথা বলবে না।
৪। নারী পূর্ণ পর্দার ভেতর থেকে কথা বলবে।
৫। প্রয়োজন-অতিরিক্ত কথা বলবে না।
৬। কাউকে আহত করে কোনো কথা বলবে না।
৭। ন্যায়সংগত ও উত্তম কথা বলবে।

যেকোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে নর-নারী প্রত্যেকেরই সতর্ক হওয়া জরুরি। কেননা মানুষের প্রতিটি কথা রেকর্ড হয়।আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে," মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে (তা লিপিবদ্ধ করার জন্য) তৎপর প্রহরী (ফেরেশতা) তার নিকটেই রয়েছে "। (সুরা কাফ, আয়াত - ১৮)। তাই কথা বলার ক্ষেত্রে আমাদের সকলেরই সর্তকতা অবলম্বন জরুরী।

আবার কণ্ঠস্বর নিচু করে বা আদবের সাথে কথা বলা ইসলামী শিষ্টাচার। এ ব্যাপারে আল কোরআনে বলা হয়েছে, " আর তুমি তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং তোমার কণ্ঠস্বর নীচু করো , নিশ্চয় সুরের মধ্যে গর্দভের সুরই সবচেয়ে অপ্রীতিকর "। (সুরা লোকমান, আয়াত - ১৯)।

সমাজে চলার পথে এবং যেকোনো মানুষের সঙ্গে সুন্দরভাবে ও উত্তমরূপে কথা বলা ইসলামের শিক্ষা। এ ব্যাপারে আল কোরআনে বলা হয়েছে, " আর স্মরণ কর, যখন আমরা ইসরাঈল-সন্তানদের নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড় আর কারো ইবাদত করবে না, মাতা-পিতা , আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম ও দরিদ্রের সাথে সদয় ব্যবহার করবে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করবে। আর সালাত প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত দিবে, তারপর তোমাদের মধ্য হতে কিছুসংখ্যক লোক ছাড়া তোমরা সকলেই অবজ্ঞা করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলে "। (সুরা বাকারা, আয়াত- ৮৩)।

চলার পথে কাউকে কটাক্ষ করা, উপহাস করা, কারো দিকে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করা এবং কাউকে মন্দ বিশেষণে ভূষিত করা ইসলামে খুবই গর্হিত অপরাধ। এ ব্যাপারে আল কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, "হে ঈমানদারগণ! কোন মুমিন সম্প্রদায় যেন অপর কোন মুমিন সম্প্রদায়কে উপহাস না করে; কেননা যাদেরকে উপহাস করা হচ্ছে তারা উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং নারীরা যেন অন্য নারীদেরকে উপহাস না করে; কেননা যাদেরকে উপহাস করা হচ্ছে তারা তারা উপহাসকারিণীদের চেয়ে উত্তম পারে। আর তোমরা একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করো না এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি নিকৃষ্ট। আর যারা তওবা করে না তারাই তো যালিম"। (সুরা হুজরাত, আয়াত - ১১)।

কিন্তু এসব বিষয় সত্ত্বেও তাদের আন্তরিক পবিত্রতা ও মানসিক কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য পুরুষ ও নারীর মধ্যে পর্দার ব্যবস্থা করা জরুরী মনে করা হয়েছে। পর্দার বিধানের ব্যাপারে ইসালমের সারকথা হলো, কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সর্বসম্মতিক্রমে হিজাব বা পর্দা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নারী জাতির জন্য এক ফরয বিধান। সর্বাবস্থায় এ বিধানের প্রতি পূর্ণ সমর্পিত থাকা অপরিহার্য।

আর এ ব্যাপারে আল কোরআনে মহান আল্লাহপাক বলেন,"এসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করলে আল্লাহ তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; তারা সেখানে স্থায়ী হবে আর এটাই হলো মহাসাফল্য। আর কেউ আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হলে এবং তার নির্ধারিত সীমা লংঘন করলে তিনি তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবেন; সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং তার জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।(সুরা নিসা , আয়াত -১৩ - ১৪)

তবে চিকিৎসা এবং আরো বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন মাফিক শিথিলতা গ্রহণের অবকাশও অবশ্যই রয়েছে। ইসলাম ধর্ম নারী-পুরুষের যে সমান অধিকার দিয়েছে বা নারীদের যে মর্যাদা দিয়েছে পৃথিবীতে কেউ কখনো তা দিতে পারেনি, কখনো পারবেও না। নারী ছাড়া অন্য কেউই মাতৃত্বের সেবা ও সহধর্মিণীর গঠনমূলক সহযোগী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম নয়। মায়েদের ত্যাগ ও ভালোবাসা ছাড়া মানবীয় প্রতিভার বিকাশ ও সমাজের স্থায়িত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। নারী তথা মায়েরাই সমাজের প্রধান ভিত্তি তথা পরিবারের প্রশান্তির উৎস।

ছবি - patheos.com

রাসুল (সাঃ) এর একটি হাদিসে এসেছে, নারীকে সম্মান করার পরিমাপের ওপর ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদার বিষয়টি নির্ভর করে। তিনটি বিষয় নবী করিম (সাঃ) এর জীবনে লক্ষণীয় ছিল -
১। নামাজের প্রতি অনুরাগ।
২।ফুলের প্রতি ভালোবাসা।
৩। নারীর প্রতি সম্মান। (বুখারি শরীফ ও মুসলিম শরীফ)।


শরীয়তের সকল বিধানের ব্যাপারে আল কোরআনে বলা হয়েছে, " নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, সওম পালনকারী পুরুষ সওম পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী পুরুষ ও যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী নারী - তাদের জন্য আল্লাহ রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান"। (সূরা-২২ আহজাব, আয়াত - ৩৫)।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে যথাযথভাবে নারীর প্রতি সদ্ব্যবহার - ভাল আচরন ও শিষ্টাচারের সাথে সাথে শরীয়তের সকল বিধান পালনের তাওফীক দান করুক।

তথ্য সূত্র - আল কোরআনও হাদীস।
=========================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -

মানব জীবন - ২৩ - " নারী " Click This Link
মানব জীবন - ২২ -" স্ত্রী / সংগী অদল-বদল করে যৌনসহবাস" Click This Link
মানব জীবন - ২১ -"পরকীয়া ও লিভ টুগেদার " Click This Link
মানব জীবন - ২০ -"সমকামীতা বা সমকামী বিয়ে" Click This Link
মানব জীবন - ১৯ - " আত্মসম্মান-নীতি-নৈতিকতা " Click This Link
মানব জীবন - ১৮ - " ধর্মহীনতা " Click This Link
মানব জীবন - ১৭ - " ধৈর্য " Click This Link
মানব জীবন - ১৬ -" সততা " Click This Link
মানব জীবন - ১৫ - " লজ্জা " Click This Link
মানব জীবন - ১৪ - "পর্দা " Click This Link
মানব জীবন - ১৩ - "ধর্ম " Click This Link
মানব জীবন - ১২ " সহ শিক্ষা " Click This Link
মানব জীবন - ১১ " শিক্ষা " - Click This Link
মানব জীবন - ১০ "পরিবার " - Click This Link
মানব জীবন - ৯ "বিবাহের পরে" - Click This Link
মানব জীবন - ৮ " মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য " - Click This Link
মানব জীবন - ৭ " তালাক " - Click This Link
মানব জীবন - ৬ "দেনমোহর - স্ত্রীর হক" - Click This Link
মানব জীবন - ৫ "বিবাহ" - Click This Link
মানব জীবন - ৪ " মাতৃত্ব " - Click This Link
মানব জীবন - ৩ Click This Link
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা "
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)"- Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই !!! কিন্তু এই সদ্ব্যবহার / ভাল আচরন ও শিষ্টাচার বোধ শুধু পুরুষ কেনো নারীর ও পুরুষের প্রতি থাকা উচিৎ ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাল আচরন শুধু নারীদের প্রতিই নয় বরং সকল মানুষের প্রতিই ভাল আচরন ও শিষ্টাচার বোধ জরুরী। আর ভাল আচরন একের প্রতি অন্যের হক (দাবী) ও বলা যায়। তা সে নারী কিংবা নর যেই হোক না কেন।

ইসলাম সবার সাথে ভাল আচরনের তাগিদ দেয়ার পাশা-পাশি নারীদের প্রতি ভাল আচরনেরও বিশেষ তাগিদ দিয়েছে।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪০

সাসুম বলেছেন: নারীর প্রতি সদ্ব্যবহার / ভাল আচরন ও শিষ্টাচার হেডিং টাই ভুল ইন্টারপ্রিটেশান। যে জিনিষ আপনার ধর্ম মতে আপনার অধীনস্ত সম্পদ ও শস্য ক্ষেত সে জিনিষের প্রতি আপনি সারা জীবন চেষ্টা করলেও ভাল আচরন আর সদ ব্যবহার করবেন না। এটা মানব চরিত্রের ধর্ম।

তাহলে আপনাকে কি করতে হবে?? নারী একজন মানুষ আগে এটা এন্সিউর করতে হবে এবং এটা স্বীকার করতে হবে। এরপর একজন পুরুষ আর একজন নারী সমান অধিকার ভোগ করে এটা এন্সিউর করতে হবে।

এরপর একজন পুরুষ কে যতটুকু অধিকার সম্মান ও আচরন করবেন সেভাবে একজন নারীকে ট্রিট করতে হবে। মোদ্দা কথা একজন নারী হিসেবে না একজন মানুষ হিসেবে সে আপ্নার কাছে সম্মান পাবার অধিকার রাখে।
এই যে নারীকে আলাদা ব্রাকেটে বস্তায় ভরে সম্মান দেবার দাবি করছেন এটাই হাস্যকর দাবি।

তাকে একজন মানুষ হিসেবে দেখুন। আপনি যতটুকু অধিকার পাচ্ছেন দুনিয়ায় তাকেও ততটুকু অধিকার দেন। আপনি আপনার বাবার কাছ থেকে যতটুকু সম্পদ পাচ্ছেন উত্তরাধিকার হিসেবে আপনার বোন কেও ততটুকু দিয়ে আগে শুরু করুন তার প্রতি সম্মান।

নারীকে বেশি সম্মান বা অধিকার দিতে আপনাকে কেউ বলে নাই। জাস্ট তাকে মানুষ হিসেবে সম্মান্ দিন যতটুকু আপনি পুরুষ হিসেবে ভোগ করছেন।

নারীকে কালা বস্তায় ভরে হাত পা মুখ বেঁধে ঘরের অন্ধকারে নিক্ষেপ করে আপনি নারীর প্রতি সম্মান ও ভাল আচরন স্টাব্লিশ করতে আসছেন- আপনার এই তালগাছীয় যুক্তি আপনার ধর্মের পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারন।

এই আধুনিক ও সভ্য সমাজে নারীকে আলাদা করে সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখান লাগবে না। জাস্ট আপনি মানুষ হিসেবে যতটুকু সম্মান আশা করেন, ঠিক ততটুকু ই একজন নারীকে প্রদান করেন।

ব্যাস কাহিনী শেষ। ঝামেলা শেষ। এত হাজার হাজার বছর আগের প্রাগৌতিহাসিক কিতাব খুলে বসা লাগবে না নারীকে কেমন সম্মান দিতে হবে সেটা জানার জন্য। কমন সেন্স ই যথেষ্ট।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

নারীর প্রতি সদ্ব্যবহার / ভাল আচরন ও শিষ্টাচার হেডিং টাই ভুল ইন্টারপ্রিটেশান। যে জিনিষ আপনার ধর্ম মতে আপনার অধীনস্ত সম্পদ ও শস্য ক্ষেত সে জিনিষের প্রতি আপনি সারা জীবন চেষ্টা করলেও ভাল আচরন আর সদ ব্যবহার করবেন না। এটা মানব চরিত্রের ধর্ম।

- আপনি যা বলেছেন তা হয়ত ঠিক তবে আমি জানিনা এর কি ভূল অর্থ বা ব্যাখ্যা হতে পারে। আপনি যে কোন ভাবে যে কোন জিনিষের ব্যাখ্যা করতে পারেন। আর ব্যাখ্যা নির্ভর করে যার যার দৃষ্টিভংগীর উপর। আর তাইতো একই অপরাধের অভিযোগে কোন বিচারকের বিচারে কেউ পায় মৃত্যুদণ্ড আবার কোন বিচারক তাকে দেয় বেকসুর খালাস।

তাহলে আপনাকে কি করতে হবে?? নারী একজন মানুষ আগে এটা এন্সিউর করতে হবে এবং এটা স্বীকার করতে হবে। এরপর একজন পুরুষ আর একজন নারী সমান অধিকার ভোগ করে এটা এন্সিউর করতে হবে।

- প্রথমেই নারী একজন মানুষ এবং আলাদা একটি সত্মা এটা যেমন শতভাগ সঠিক ঠিক তেমনি নারী-পুরুষকে আমরা যতটাই সমান বলে গলা ফাটাই না কেন প্রকৃতিই নারীকে কিছুটা সুবিধা যেমন দিয়েছে তেমনি তার কিছু অসুবিধাও দিয়েছে। আর সৃষ্টিকর্তা উভয়কে সমান বললেও কিছু কিছু জায়গায় নারীকে এগিয়ে রেখেছেন এবং কিছু জায়গায় তাকে পুরুষের অধীনস্ত করে দিয়েছেন ও উভয়কে নিজ নিজ দায়িত্ব-কর্তব্যের সীমারেখা নির্ধারন করে দিয়েছেন। আর এসবই করেছেন সমগ্র মানব জাতির কল্যাণের জন্যই।

তাকে একজন মানুষ হিসেবে দেখুন। আপনি যতটুকু অধিকার পাচ্ছেন দুনিয়ায় তাকেও ততটুকু অধিকার দেন। আপনি আপনার বাবার কাছ থেকে যতটুকু সম্পদ পাচ্ছেন উত্তরাধিকার হিসেবে আপনার বোন কেও ততটুকু দিয়ে আগে শুরু করুন তার প্রতি সম্মান।

-সম্পদের উত্তরাধিকারেরে ব্যাপারটা যদি এভাবে দেখেন - একজন নারী তার বাবার নিকট থেকে পাচছে ভাইয়ের অর্ধেক এবং স্বামীর সম্পদেও রয়েছে তার অধিকার । দুটো মিলে কিন্তু একজন নারী (বোন) তার ভাইয়ের সমান বা বেশীই পাচছে। অন্যদিকে ভাইয়ের অংশ কিন্তু স্থির । তার আর অন্যকোথাও থেকে কিছু পাওয়ার নেই।

নারীকে বেশি সম্মান বা অধিকার দিতে আপনাকে কেউ বলে নাই। জাস্ট তাকে মানুষ হিসেবে সম্মান্ দিন যতটুকু আপনি পুরুষ হিসেবে ভোগ করছেন।নারীকে কালা বস্তায় ভরে হাত পা মুখ বেঁধে ঘরের অন্ধকারে নিক্ষেপ করে আপনি নারীর প্রতি সম্মান ও ভাল আচরন স্টাব্লিশ করতে আসছেন- আপনার এই তালগাছীয় যুক্তি আপনার ধর্মের পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারন।এই আধুনিক ও সভ্য সমাজে নারীকে আলাদা করে সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখান লাগবে না। জাস্ট আপনি মানুষ হিসেবে যতটুকু সম্মান আশা করেন, ঠিক ততটুকু ই একজন নারীকে প্রদান করেন।

- কিছু ক্ষেত্রে কিছু মানুষের বিকৃত রুচি কিংবা আরো নানা কারনে নারী নির্যাতিত হয় এটা সত্য তবে সমাজে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নারী পুরুষ থেকে বেশী সম্মানীয় ও মর্যাদার এটাও অস্বীকারের উপায় নেই।কাউকে সম্মান করলে নিজের সম্মান কমেনা বরং বাড়ে। আর নারীকে অসম্মান করে কোন পুরুষ কখনো না বড় হতে পারবে না ভাল থাকতে পারবে । নারীকে সম্মানের মাঝেই পুরুষের মুক্তি ও শান্তি - এটা পুরুষরা যত তাড়াতাড়ি বুঝবে তত তাড়াতাড়িই তাদের মংগল। আর তাল গাছটাকে নিয়ে :(( বড়ই বিপদে আছি।

ব্যাস কাহিনী শেষ। ঝামেলা শেষ। এত হাজার হাজার বছর আগের প্রাগৌতিহাসিক কিতাব খুলে বসা লাগবে না নারীকে কেমন সম্মান দিতে হবে সেটা জানার জন্য। কমন সেন্স ই যথেষ্ট।

- এই কমনসেন্স টাই জাগানোর জন্য কাউকে কাউকে বলতে হয়,বুঝাতে হয় । আর করছে আল কোরআন ও হাদীস।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১২

বালিশ বলেছেন:



@সামসু দাদা, বালিশ লাগবে? মানসিকভাবে বড্ড ক্লান্ত হয়ে গেছেন মনে হচ্ছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বালিশ ভাই , আপনার চমতকার বালিশীয় মন্তব্যের জন্য।

@ @সামসু দাদা, বালিশ লাগবে? মানসিকভাবে বড্ড ক্লান্ত হয়ে গেছেন মনে হচ্ছে।

-আমি কি কমু - যা কইবার সাসুম ভাই কইবে ।

তয় একখান কথা বালিশ ভাই - বালিশ লই কই যাই ?
- আর লগে কিডা ?

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫২

সাসুম বলেছেন: নারীকে যতদিন আপনার সমান একজন মানুষ হিসেবে দেখতে পারবেন না ততদিন এইসব গল্প গাথা দিয়েই চালাতে হবে ভাইজান। এটাই আপনার মুল সমস্যা, আপনি নারীকে আপনার সমান একজন মানুষের মর্যাদা দিবেন না কোন দিন কারন আপনার পুরুষ রচিত ধর্মে এভাবেই বলা আছে।

আপনি স্বীকার করেন এবং মেনে নেনে একজন নারী এবং একজন পুরুষ সমান অধিকার পাবার যোগ্য- তাইলেই সকল ক্যাচাল মিটে যায়। প্রকৃতি কাকে বেশি দিছে কম দিছে সেটা ব্যাপার না, একজন পুরুষ আর একজন নারী- মানব সভ্যতার ২টা পার্ট। কেউ কারো চেয়ে কম ও না বেশীও না। এটা মেনে নিন, আর কাউকে জোর করে সম্মান প্রদর্শন করানো লাগবেনা। আপনার থেকে তো বেশী কিছু চাচ্ছেনা! মানুষ হিসেবে সমান অধিকার ও সম্মান চাইতাছে মাত্র!

এই সমান অধিকার মেনে নিবেন না, দিবেন ও না। বরং প্রাগৌতিহাসিক গ্রন্থ খুলে আপনার চেরি পিকিং করা লাইন দিয়ে গোজামিল দেয়ার চেষ্টা করবেন।

আপনার সব কিছু বাদ দেন- জাস্ট স্বীকার করে নেন- নারী এবং পুরুষ সমান অধিকার ও সম্মান পাবার যোগ্য।

ব্যাস- আর কারো সাথে কোন ক্যাচাল রইল না।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার চমতকার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

নারীকে যতদিন আপনার সমান একজন মানুষ হিসেবে দেখতে পারবেন না ততদিন এইসব গল্প গাথা দিয়েই চালাতে হবে ভাইজান। এটাই আপনার মুল সমস্যা, আপনি নারীকে আপনার সমান একজন মানুষের মর্যাদা দিবেন না কোন দিন কারন আপনার পুরুষ রচিত ধর্মে এভাবেই বলা আছে। আপনি স্বীকার করেন এবং মেনে নেনে একজন নারী এবং একজন পুরুষ সমান অধিকার পাবার যোগ্য- তাইলেই সকল ক্যাচাল মিটে যায়।

- একজন পুরুষ যা করতে পারে একজন নারী লি তা কখনো করতে পারে ? আপনি যদি সমান বিবেচনা করেন তাহলে সব কিছু মিলিয়েই সমান হতে হবে। অথচ সমাজে কিছু কাজ আছে যা কখনো একজন নারী না করতে পারবে না সেভাবে সে তৈরি । তারপরেও আপনার সাথে মিলিয়ে নারীকে মেনে নিলাম সমান-সমান হিসাবে । এর পর কি ?

এই সমান অধিকার মেনে নিবেন না, দিবেন ও না। বরং প্রাগৌতিহাসিক গ্রন্থ খুলে আপনার চেরি পিকিং করা লাইন দিয়ে গোজামিল দেয়ার চেষ্টা করবেন।

- এই পুরানা গ্রন্থে নারীকে কালা বস্তায় ভরে হাত পা মুখ বেঁধে তাকে যে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে আধুনিক কালের তথাকথিত সভ্যতা তাকে টপলেস/বটমলেস করে কি তার থেকে বেশী সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে না তার সর্বনাশের ষোল কলা পূর্ণ করেছে?

আপনার সব কিছু বাদ দেন- জাস্ট স্বীকার করে নেন- নারী এবং পুরুষ সমান অধিকার ও সম্মান পাবার যোগ্য। ব্যাস- আর কারো সাথে কোন ক্যাচাল রইল না।

- নিলাম স্বীকার করে উভয়ে সমান (নিজ নিজ ক্ষেত্রে ও সীমায়) । আর নো ক্যাচাল।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সাসুম বলেছেন: এই পুরানা গ্রন্থে নারীকে কালা বস্তায় ভরে হাত পা মুখ বেঁধে তাকে যে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে আধুনিক কালের তথাকথিত সভ্যতা তাকে টপলেস/বটমলেস করে কি তার থেকে বেশী সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে না তার সর্বনাশের ষোল কলা পূর্ণ করেছে?


এইতো লাইনে চলে এসেছেন! নারীকে কালা বস্তায় ভরতে হবে কেন? আপনি পুরুষ , আপ্নি নিজেকে কালো বস্তায় ভরে রাখলেই তো হয়ে যায়! অবস্থা টা এমন, মাথা ব্যাথা তাই মাথা কেটে ফেলে দাও! মাথা ব্যাথায় মাথা কাটার চেয়ে মাথা ব্যাথার আসল কারন খুজে বের করে সেটার চিকিৎসা করলে হয়ে যায়, এখানে পুরুষের মানসিকতা ঠিক করলেই তো আর নারীকে বস্তায় ভরা লাগেনা!

ধর্ম পুরুষ শাসিত এটাতে কোন ভুল নেই। ধর্ম রচনা করেছে পুরুষ, এই কারনে ধর্মের নেতাও পুরুষ। সেই কারনে পুরুষ প্রিভিলেইজড হবেই, এটাতেও কোন ভুল নেই।

যেহেতু সমাজ সংস্কার এর মহান দায়িত্ব পালন করছেন, তাই বায়াসড না হয়ে সঠিক বলাটাই যুক্তিগত।

যদিও আমার আর আপনার সারাদিন যুদ্ধেও লাভ হবেনা। সভ্যতা তো আর আমাদের জন্য বসে থাকবেনা। মানুষ এখন মঙ্গল ছাড়িয়ে আলফা সেঞ্চুরিতে বসবাস করার চিন্তা করছে, নারীরা বস্তা থেকে বের হয়ে ছুটে চলেছে জ্ঞান অরণ্যের গহীণে আর আমরা এখনো কাপড় কি টাখনুর উপর পড়ব নাকি নীচে পড়ব , নারীকে বস্তায় ভরে সম্মান দিব নাকি ঘরের বাইরে বের করে সর্বনাশের ১৬ কলা পূরন করব সেটা নিয়ে তর্ক করছি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:২৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার চমতকার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

ভাই,চক্ষু বন্ধ করলেই না প্রলয় থামবে না দুনিয়ার সব অনাচারের সমাধান হবে।
আমরা যতই বলি নর- নারী সমান কিংবা নারীর চেয়ে পুরুষ শ্রেষ্ঠ, এর কোনটাই সঠিক নয়। কারন, না পুরুষ নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ না উভয়ে সমান সমান।

মানুষ মুল্যবান জিনিস ই সিন্ধুকে কিংবা যত্ন করে রাখে সস্তা জিনিস কে নয়। ইসলাম নারীকে মুল্যবান ভাবে আর তাই তাকে হেফাজতের জন্য বলেছেন।

আপনার জবাব দিতে গিয়ে একটা উদাহরণ দিয়ে শেস করব। একটা টিভি সিরিজের। নাম " Emily in Paris ".. যেখানে একজন আমেরিকান মেয়ে কাজের প্রয়োজনে প্যারিস আসে এবং মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে সে কমপক্ষে ৫/৬ জনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে এবং সেক্স করেছে।

এই যদি হয় যা খুশী তা করা কিংবা তসলিমা নাসরিনের মত " আমার শরীর আমার চয়েজ" থিউরি তাহলে এমন সুযোগ থেকে বস্তা পরে ঘরে থাকাটাই নারীর জন্য অধিক পরিমাণে সম্মানের।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শায়মা বলেছেন: Click This Link target='_blank' >৬ মিনিট থেকে দেখার অনুরোধ :)


০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা বনি , আপনার মন্তব্য এবং দেখার অনুরোধ এর জন্য।

তবে এই লিংকটি কাজ করে নি মনে হয়।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

শায়মা বলেছেন: Sorry this one :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ শায়মা বনি , আপনার মন্তব্য এবং দেখার অনুরোধ এর জন্য

no sorry my dear Boni

এই লিংকটি ঠিক আছে। দেখি তারপর বাকী কথা

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া উপরের দেওয়া লিঙ্কটা দেখে বলো উক্ত নারীদ্বয়ের সাথে পুরুষের কেমন ব্যবহার হইবেক? :)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইয়া উপরের দেওয়া লিঙ্কটা দেখে বলো উক্ত নারীদ্বয়ের সাথে পুরুষের কেমন ব্যবহার হইবেক? :)

- শায়মা বনি , ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটা চরম নাটক দেখার সুযোগ করে দেবার জন্য ।

আসলেই বোন, সংসার শুধু সুখের বারতা নয় বা সংসার মানে শুধু প্রেমই নয় । সংসার মানে হলো পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী সং :(( সাজাও ।

সংসারে মানেই হলো - এক চিমটি সুখ, একমুঠো ভালবাসা আর এক সমুদ্র কষ্টের সাথে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার চরম পরাকাষ্ঠার সাথে সাথে ত্যাগ ও সমঝোতার সমষ্ঠি । এখানে যে যত বেশী ধৈর্য ধরে ত্যাগ ও সমঝোতা করতে পারবে সে ততটাই সুখের দেখা কোন একসময়। তবে তার জন্য পাড়ি দিতে হবে অনেক কঠিন পথ। মাঝে মাঝে নিজেকে পাগল পাগল ও লাগতে পারে, মনে হতে পারে নিজেকে ব্যর্থ । তবে ধৈর্য ধরে কামড় দিয়ে লেগে থাকলে একসময় অপরপক্ষের উপলব্ধি আসবেই এবং ভাবতে বাধ্য হবে তার অতীত কৃতকর্মের ব্যাপারে।

আবার , এখানে উভয়কেই উভয়ের বিপরীত দিক হতে হবে বা অভিনয় করতে হবে । যেমন , একজন যদি হয় আগুন তবে অন্যকে হতে হবে পানি । আর যদি উভয়েই আগুন হয় বা হয় পানি তবে সেই পরিবারের কোন ভবিষ্যত নেই। আর তাই একে অন্যকে বুঝার সাথে সাথে নিজের করা কাজের উপলব্ধি (মূল্যায়ণ ) করাও জরুরী । আর যত তাড়াটাড়ি উভয়ের উপলব্ধি জাগ্রত হবে তত তাড়াতাড়িই উভয়ের মাঝের ভূল-ভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে । আর তখন সংসার হবে সুখের বাগান । আর না হলে তা হেব বাঁশ :( বাগান।

আর ধৈর্য ধরলে এবং ত্যাগের মানষিকতা থাকলে অপরপক্ষ যতই খারাপ হোক এক সময় তার করা খারাপ কাজের জন্য তার উপলব্ধি জাগবেই। কারন, মানুষ যতই খারাপ হউক একসময় তার বিবেক তাকে ভাবতে বাধ্য করবেই।

আর উপরের নারী + পুরুষদ্বয়ের সাথে কি রকম ব্যবহার করা উচিত ?

আসলেই , দুই জোড়া স্বামী / স্ত্রী ই উভয়ে উভয়ের বিপরীত ছিল । আর তাই শেষ বিচারে উভয়েই জয়ী হয়েছে। তবে একসময় মনে হয়েছে , মাইরের উপরে কোন ঔষধ নেই । তবে যথাসময়ে তাদের বিবেক তাদের জাগিয়েছে এবং তারা তাদের ভূল বুঝতে পেরেছে - এটাই বড় কথা এবং সুখের।

দুনিয়ার সকল পরিবারই এমন ভূল-ভ্রান্তি এড়িয়ে চলুক ,উভয়ে উভয়ের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে যে কোন পরিস্থিতিতেই উভয়ে মিলে মিশে মোকাবিলা করুক আর তাদের সংসার হয়ে উঠুক সুখের -এটাই আমাদের সকলের চাওয়া হওয়া উচিত।

আর তা তখনই সম্ভব হবে , যখন উভয়েই উভয়ের প্রতি আন্তরিক থেকে সর্বোচচ ত্যাগ ও সমঝোতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাবে।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শায়মা বলেছেন: ২:৪০ মিনিটস থেকে হা হা হা



:P

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা বনি :(( , দেখা চলছে ।

দেখা শেষ হলেই উপরের (উক্ত নারীদ্বয়ের সাথে পুরুষের কেমন ব্যবহার হইবেক? ) মন্তব্যের জবাব দিবেক !!!!

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



'নারী'কে হাড্ডি থেকে তৈরি করাতে সমস্যা হয়ে গেছে: হাড্ডি মানুষকে আকৃতি দেয় মাত্র, উহা বুদ্ধিসুদ্ধি দেয়াতে অংশ নেয় না; নারীকে মানুষের মগজ থেকে সৃষ্টি করলে ভালো হতো!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

- 'নারী'কে হাড্ডি থেকে তৈরি করাতে সমস্যা হয়ে গেছে: হাড্ডি মানুষকে আকৃতি দেয় মাত্র, উহা বুদ্ধিসুদ্ধি দেয়াতে অংশ নেয় না; নারীকে মানুষের মগজ থেকে সৃষ্টি করলে ভালো হতো!

- স্রষ্টার সৃষ্টি প্রতিটা প্রাণীই স্বয়ং সম্পূর্ণ । আর তাই নারী তার অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ এবং পুরুষ তার অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ । কারন, উভয়েরই রয়েছে আলাদা আলাদা কাজ ও ভূমিকা।আর তাই স্রষ্টা সে ভাবেই উভয়কে বানিয়েছেন যা তার তার অবস্থানের জন্য সবচেয়ে ভাল।

আর , বুদ্ধি-বিবেক মানুষের মগজে থাকে টা হয়ত সঠিক তবে তার জন্য স্রষ্টার দয়াও জরুরী। অনেক মানুষেরই মগজ আছে তবে তার আকৃতিতে মানুষ প্রকৃতিতে পশুর থেকেও খারাপ। কাজেই শুধু মগজ থাকলেই হবেনা সেই মগজ পরিচালনার জন্য বিবেক থাকাও জরুরী।

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৪

সোবুজ বলেছেন: স্ত্রী অবাধ্য হবার আশংকা করলে (অবাধ্য হবার দরকার নাই,)তাকে মুদ প্রহার করা যাবে।যেটা অমানবিক

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোবুজ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনি বলেছেন, স্ত্রী অবাধ্য হবার আশংকা করলে (অবাধ্য হবার দরকার নাই,)তাকে মুদ প্রহার করা যাবে।যেটা অমানবিক

- আপনি যা বলেছেন তা পুরো বলেন নি। একটি জিনিষের খন্ডাংশ বা অংশ বিশেষ বলেছেন যা অসম্পূর্ণ। আর যে কোন অসম্পূর্ণ জিনিষ-কথা প্রকৃত অর্থ বা সত্য প্রকাশ করেনা।

স্বামী / স্ত্রী র মাঝে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের জন্য যে পর্যায়ক্রমিক ধারাবাহিক কাজগুলি করার কথা বলা হয়েছে তা তাদের মাঝে একটি। কাজেই বাকীগুলি এড়িয়ে শুধু এ বিষয়ে বলা মানে সত্যের পুরো প্রকাশ নয়।

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৫

জটিল ভাই বলেছেন:
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সূরা নিসার নাম কেন নিসা রাখা হয়েছে, এ ব্যাপারে না রাসূল (সা.) থেকে কোনো বর্ণিত আছে, না সাহাবায়ে কেরাম থেকে কোনো কিছু বর্ণিত আছে।
তবে কোনো কোনো আলেম এর নামকরণের রহস্য এভাবে বর্ণনা করেছেন যে,
এই সূরায় নারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক বিধি বিধান বর্ণিত হয়েছে। এ কারণে এ সূরার নাম করণ করা হয়েছে সূরা নিসা। [আততাহরীর ওয়াত তানবীর ৪/২১১]
তবে এই নামকরণ থেকে এই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইসলামে নারীদের প্রতি খুব গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

মিনহাজুল ইমাম তাহের ইবনে আশুরা পৃ. ৪৪; মাজমুআতু রাসাইলিত তাওজিহাতিল ইসলামিয়া ৩/৩২০

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم

উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী

সূত্র: Click This Link

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

সুরা নিসার নামকরনের শানে নুযুল বা কারন - ইসলাম পূর্ব যুগে নারী ও এতীমরা অবহেলিত ছিল, সমাজে তাদের তেমন মর্যাদা ছিলনা আর তাই তাদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার নিমিত্তে দিক নির্দেশনামূলক উক্ত সূরা অবতীর্ণ হয়। এই সুরার মাঝে নারী বিষয়ক আলোচনা রয়েছে এবং সেই বিবেচনায় এই সুরার নাম নিসা রাখা হয়েছে। এটা আলেমদের অভিমত।

এ সূরায় ( সূরা নিসায়) মুসলমানরা কিভাবে ইসলামী পদ্ধতিতে তাদের সামাজিক জীবনধারার সংশোধন ও সংস্কার সাধন করতে পারে তা আরো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে পরিবার গঠনের নীতি বর্ণনা করা হয়েছে। বিয়েকে বিধি-নিষেধের আওতাধীন করা হয়েছে। সমাজে নারী ও পুরুষের সম্পর্কের সীমা নির্দেশ করা হয়েছে। এতিমদের অধিকার নির্দিষ্ট করা হয়েছে। মীরাস বন্টনের নিয়ম-কানুন নির্ধারিত হয়েছে। অর্থনৈতিক লেনদেন পরিশুদ্ধ করার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘরোয়া বিবাদ মিটাবার পদ্ধতি শিখানো হয়েছে। অপরাধ দণ্ডবিধির ভিত গড়ে তোলা হয়েছে। মদপানের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাহারাত ও পাক-পবিত্রতা অর্জনের বিধান দেয়া হয়েছে। আল্লাহ ও বান্দার সাথে সৎ ও সত্যনিষ্ঠ মানুষের কর্মধারা কেমন হতে পারে, তা মুসলমানদের জানানো হয়েছে। মুসলমানদের মধ্যে দলীল সংগঠন-শৃংখলা প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত বিধান দেয়া হয়েছে। আহলি কিতাবদের নৈতিক, ধর্মীয় মনোভাব ও কর্মনীতি বিশ্লেষণ করে মুসলমানদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, তারা যেন পূর্ববর্তী উম্মতদের পদাংক অনুসরণ করে চলা থেকে বিরত থাকে। মুনাফিকদের কর্মনীতির সমালোচনা করে যথার্থ ও খাটিঁ ঈমানদারীর এবং ঈমান ও নিফাকের পার্থক্য সূচক চেহারা পুরোপুরি উন্মুক্ত করে রেখে দেয়া হয়েছে।

আবারো ধন্যবাদ ভাই লিংকের জন্য।

১৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নারী মা বোন মেয়ে ও স্ত্রী তাদের প্রতি ভালো ব্যবহার এমনিই আসবেই। যে করবে না তার সাথে এদের সম্পর্ক গৌণ

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই , আপনার ছোট তবে চমতকার মন্তব্যের জন্য।

- কোথায় যেন একটা বাণী পড়েছিলাম, " নারীর প্রতি আচরনেই বুঝা যায় একজন মানুষ কোন সামাজিক অবস্থান বা পরিবেশ থেকে এসেছে" । সেই মানুষই নারীর প্রতি ভাল আচরন করে যে ভাল পরিবার থেকে আসে।

আর যে পরিবারে মা-বোন-মেয়ে-স্ত্রী দের প্রতি ভালো ব্যবহার করা হয় সে পরিবার সুখের হয় এবং সে পরিবারের মানুষজনও ভাল হয়। আর এসব ভাল গুনের বিকাশ হয় ভাল পারিবারিক পরিবেশ থেকেই।

১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৫২

সাসুম বলেছেন: মানুষ মুল্যবান জিনিস ই সিন্ধুকে কিংবা যত্ন করে রাখে সস্তা জিনিস কে নয়। ইসলাম নারীকে মুল্যবান ভাবে আর তাই তাকে হেফাজতের জন্য বলেছেন। তাই আপনি আপনার খোদার দেখানো পথে গিয়ে নারীকে সিন্ধুকে মতান্তরে বস্তায় ভরে রাখবেন। খুব ভাল যুক্তি।

আপনার হিসাব মতে- নারী খুব মুল্যবান এবং দামী , এর মানে দাড়ায় পুরুষ খুব কম মূল্যবান কিংবা দামী নয় এবং সস্তা।

তো আমার এক্টাই জানার কথা, মহা জ্ঞানী আল্লাহ কেন মানব প্রজাতির পক্ষে তার বানী পাঠানোর জন্য নবী রাসূল হিসেবে কম মূল্যবান এবং কমদামী সস্তা মানুষ প্রজাতি পুরুষ কে বেছে নিয়েছেন??? একটু মূল্যবান আর দামী জিনিষ মানে নারী হিসেবে দুই একজন নবী রাসূল পাঠালে কি ক্ষতি হত???

আর আপনার এমিলি ইন প্যারিসের চেয়ে হাজার হাজার পুরুষ আছে যারা বাইরে লাগিয়ে বেড়ায়। দুনিয়াতে নারী পতিতালয় লাখ লাখ, পুরুষ পতিতালয় নেই। নারী পতিতালয়ে পুরূষরা যায়, নারীরা না। আপনি এই যে মুভির উদাহরণ দিয়ে ৫/৬ জনের সাথে সেক্স করার উদাহরণ দিয়ে পুরা নারী সমাজ কে চিত্রায়িত করছেন এর একাডেমিক নাম চেরি পিকিং।

আপনি কোটী কোটী পুরুষ পতিতালয়ে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নারীর সাথে বছরের পর বছর শতাব্দির পর শতাব্দি সেক্স করা দেখেন না, অথচ নারী কোন এক মুভিতে কয়জনের সাথে সেক্স করলে জাত চলে যায়। আপনার ধর্মের পুরুষ একের পর এক বিয়া করতে পারবে, একের পর এক নারী সম্ভোগ করতে পারবে কোন দোষ হবেনা , অথচ নারী বস্তার ভেতর থেকে বের হলেই দোষে ভরে যাবে।

আপনি এবার বুঝতে পারছেন, আপনার ধর্ম দিয়ে নারী অধিকারের পক্ষে কথা বা নারীকে চিত্রায়িত করার সমস্যা টা কোন যায়গায়???

আপনাকে আবারো বলছি- আপনার ভুল টা হচ্ছে নারীকে পুরুষের দাসী হিসেবে ভাবা। আপনার ধর্ম মতে যে ধারনা যে, আদমের একা লাগা ও মন খারাপ হবার কারনে সময় কাটানোর জন্য পাজরের হাড় থেকে নারী ইভ এর উৎপত্তি এই চিন্তা বর্তমান সমাজ ও সভ্যতার সাথে যায়না। এই চিন্তা থেকেই আপনার মাথায় এক্টাই জিনিষ ফুটে উঠে, নারী তৈরি হয়েছে পুরুষের পাজরের হাড় থেকে সো, নারী কি করে পুরুষের সমান হবে???

আপনি বিলিভ করেন সমস্যা নাই, আপনার বিলিভ দিয়ে যখন সমাজকে ভুল মেসেজ দেন তখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই আপনার ভুল মেসেজ স্প্রেড এর কারনেই কিন্তু নারীরা আজো অবদমিত হয়ে রয়েছে।
এই আপনাদের ভুল চিন্তার কারনে , ভুল আচার এর কারনে আজো মুসলিম দেশ গুলোতে নারীকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। আজো এই ২০২২ সালে বাংলাদেশে নারী উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে আমেরিকায় যাওয়ার কারনে, পুরুষ বন্ধুর সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়ার অপরাধে মসজিদ কমিটি নারীর পরিবার কে সমাজচূত করে।

আপনার বিলিভ নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই, আপনার বিশ্বাস নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। আমার সমস্যা এক যায়গায়, যখন আপনার এই বিশ্বাস ও বিশ্বাসের প্রচার মানুষের জন্য ক্ষতিকর ও মানহানিকর হয়ে দাঁড়ায়।

নারীর প্রতি আপনার যে মনোভাব এটাই কিন্তু মুসলিম বিশ্বের কোটি পুরুষ মানুষের মনোভাব। তাদের চিন্তা সেই একই দিকে ছুটে - নারী মানে পুরুষের সেক্স এসেট, নারী মানে ২য় শ্রেণীর মানুষ, নারী কখনোই পুরুষের সমান না, মরার পরে মহান খোদা পুরষ্কার হিসেবে ৭২ টা উপহার হিসেবে দিবে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার চমতকার প্রতি-মন্তব্যের জন্য এবং দেরীতে জবাবের জন্য দুঃখিত (কামলাত ভাই , কাম করে সময় মিলেনা - কামের ফাকে ফাকে কাম :P ফাকি দিয়ে আকাম করতে হয়)।

মানুষ মুল্যবান জিনিস ই সিন্ধুকে কিংবা যত্ন করে রাখে সস্তা জিনিস কে নয়। ইসলাম নারীকে মুল্যবান ভাবে আর তাই তাকে হেফাজতের জন্য বলেছেন। তাই আপনি আপনার খোদার দেখানো পথে গিয়ে নারীকে সিন্ধুকে মতান্তরে বস্তায় ভরে রাখবেন। খুব ভাল যুক্তি।

- খারাপ কি বলেছিনু ভাইজান? সোনা মূল্যবান আর তাই মানুষ তা সিন্ধুকে কিংবা যত্ন করে রাখে কোদাল কিংবা শাবলকে (লোহা) ফেলে রাখে উঠানে বা ঘরের বাইরে। তাই নয় কি?

আপনার হিসাব মতে- নারী খুব মুল্যবান এবং দামী , এর মানে দাড়ায় পুরুষ খুব কম মূল্যবান কিংবা দামী নয় এবং সস্তা।

- উভয়েই উভয়ের অবস্থান থেকে দামী ও মূল্যবান।

আর আপনার এমিলি ইন প্যারিসের চেয়ে হাজার হাজার পুরুষ আছে যারা বাইরে লাগিয়ে বেড়ায়। দুনিয়াতে নারী পতিতালয় লাখ লাখ, পুরুষ পতিতালয় নেই। নারী পতিতালয়ে পুরূষরা যায়, নারীরা না। আপনি এই যে মুভির উদাহরণ দিয়ে ৫/৬ জনের সাথে সেক্স করার উদাহরণ দিয়ে পুরা নারী সমাজ কে চিত্রায়িত করছেন এর একাডেমিক নাম চেরি পিকিং।

- ভাই , যে লাগানোর সে লাগাবেই । তা সে ইরান-আরব-বাংলাদেশ কিংবা আমেরিকা বা প্যারিস যেখানেই হোক । তবে এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মানুষের জীবন-যাপন প্রণালীর উপর পরিবেশ ও সমাজ ব্যাপোক প্রভাব রাখে।আর ভাই ,আরেক টা জিনিষ আমাদের ভূললে চলবেনা - ভালপথে সেই চলবে যাকে আল্লাহ চাইবেন। আর আল্লাহ যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনিও জানেন মানুষ পাপ করবে সবাই তাকে মানবেনা । আর তাইতো তিনি স্বর্গ-নরক দুই বানিয়েছেন, যাতে করে যথাযথ প্রতিদান দিতে পারেন মানুষকে তার এই দুনিয়াতে তার কৃত কর্মের জন্য। তিনি যদি মনে করতেন সবাই তাকে মানবে এবং তার নিদেশিত পথে চলবে , তাহলে শুধু স্বর্গই বানাতেন নরক নয়।

আপনি এবার বুঝতে পারছেন, আপনার ধর্ম দিয়ে নারী অধিকারের পক্ষে কথা বা নারীকে চিত্রায়িত করার সমস্যা টা কোন যায়গায়??? আপনাকে আবারো বলছি- আপনার ভুল টা হচ্ছে নারীকে পুরুষের দাসী হিসেবে ভাবা। আপনার ধর্ম মতে যে ধারনা যে, আদমের একা লাগা ও মন খারাপ হবার কারনে সময় কাটানোর জন্য পাজরের হাড় থেকে নারী ইভ এর উৎপত্তি এই চিন্তা বর্তমান সমাজ ও সভ্যতার সাথে যায়না। এই চিন্তা থেকেই আপনার মাথায় এক্টাই জিনিষ ফুটে উঠে, নারী তৈরি হয়েছে পুরুষের পাজরের হাড় থেকে সো, নারী কি করে পুরুষের সমান হবে???

- সৃষ্টিকর্তা নারীকে দিয়েছেন সম্মান-মর্যাদা তার সীমানায়। আর আমরা সৃষ্টিকর্তার আদেশ-নির্দেশ ভূলে লড়ছি তার সমানাধিকারের জন্য অথচ চলার পথে নারীর সীমাবদ্ধতার কথা আমরা মাথায় রাখছিনা :( , মুশকিল এখানেই।

আপনি বিলিভ করেন সমস্যা নাই, আপনার বিলিভ দিয়ে যখন সমাজকে ভুল মেসেজ দেন তখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই আপনার ভুল মেসেজ স্প্রেড এর কারনেই কিন্তু নারীরা আজো অবদমিত হয়ে রয়েছে।এই আপনাদের ভুল চিন্তার কারনে , ভুল আচার এর কারনে আজো মুসলিম দেশ গুলোতে নারীকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। আজো এই ২০২২ সালে বাংলাদেশে নারী উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে আমেরিকায় যাওয়ার কারনে, পুরুষ বন্ধুর সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়ার অপরাধে মসজিদ কমিটি নারীর পরিবার কে সমাজচূত করে।

- ধর্মের নামে যদি কোন ব্যক্তি পাপ করে কিংবা ব্যক্তিগত ইচছা কিংবা স্বার্থ চরিতার্থ করে , এর দায় ধর্মের নয় ব্যক্তির।

আপনার বিলিভ নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই, আপনার বিশ্বাস নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। আমার সমস্যা এক যায়গায়, যখন আপনার এই বিশ্বাস ও বিশ্বাসের প্রচার মানুষের জন্য ক্ষতিকর ও মানহানিকর হয়ে দাঁড়ায়।

- মান ও সম্মানের বিষয়টা পুরাই আপেক্ষিক ভাইজান । এক জনের কাছে যা সম্মানের বিষয় অন্যের কাছে সেই জিনিসটাই অসম্মানের কারন হতে পারে। এ ব্যাপারে সর্বজনীন কোন নীতি নেই।

নারীর প্রতি আপনার যে মনোভাব এটাই কিন্তু মুসলিম বিশ্বের কোটি পুরুষ মানুষের মনোভাব। তাদের চিন্তা সেই একই দিকে ছুটে - নারী মানে পুরুষের সেক্স এসেট, নারী মানে ২য় শ্রেণীর মানুষ, নারী কখনোই পুরুষের সমান না, মরার পরে মহান খোদা পুরষ্কার হিসেবে ৭২ টা উপহার হিসেবে দিবে।

- সেক্সের ব্যাপারটা নর-নারী উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ , এটা বাদ দেয়ার কোন উপায় নেই তবে বিষয়টা হল উভয়ের মতের সম্মিলন বা সম্মতি । এখন এখানেও অনেক বিষয় জড়িত এবং এরও কোন প্রতিষ্ঠিত নিয়ম-নীতি নেই । এটা গোপনীয় এবং স্বামী / স্ত্রী র একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় । যদিও এ ব্যাপারটা নিয়েও অনেকে অনেক ভাবে ব্যাখ্যা করতে চাচছেন বর্তমানে।

আর মরার পরে মহান খোদা পুরষ্কার হিসেবে ৭২ টা উপহার হিসেবে দিবে - এ ব্যাপারটা ধোয়াশা পূর্ণ । আমি কোথাও এমন স্থির (৭২) করা সংখ্যা পাই নাই, যদিও বলা আছে বেহেশতবাসী দের জন্য হূরের কথা। মেহের বাণী করে যদি এর কথা কোথায় উল্লেখ আছে তা বলতেন , তাহলে আমিও আশায় বুক বাধিতাম। আহা মজা :P ব্যাপোক মজার ;) আশায়।

১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৯

নাহল তরকারি বলেছেন: নারী পিটানো নাকি ফরজ। আল্লায় নাকি বলেছে। হুজুর রা বলে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নাহল তরকারি ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

নারী পিটানো নাকি ফরজ। আল্লায় নাকি বলেছে। হুজুর রা বলে।

আপনার তথাকথিত নারী পিটানোর ব্যাপারে মহান আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনের সুরা নিসার , আয়াত নং ৩৪ -এ বলেছেন, - " পুরুষ নারীর কর্তা। কারণ, আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে পুরুষ (তাদের জন্য) ধন ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যময়ী নারীরা অনুগতা এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে লোক-চক্ষুর অন্তরালে (স্বামীর ধন ও নিজেদের ইজ্জত) রক্ষাকারিণী; আল্লাহর হিফাযতে (তওফীকে) তারা তা হিফাযত করে। আর স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার তোমরা আশংকা কর, তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং তাদেরকে প্রহার কর। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগতা হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোন পথ অন্বেষণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সুউচ্চ, সুমহান"। (সুরা নিসা, আয়াত - ৩৪) ।

আন-নিসা হচ্ছে আল-কুরআনের চার নং সুরা এবং এ হচছে ৩৪ নং আয়াত। যাতে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য অধিকার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এ আয়াতটির তাফসির করার ক্ষেত্রে মুসলিম মনীষীদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। অনেকে এ আয়াতে ভিত্তি করে নারীকে তার অপরাধে প্রহার করার কথা বলেন। নারীবাদিরা এ আয়াতের ভিন্ন ব্যাখ্যা করে ইসলামকে হেয় করার চেষ্টা করেন এবং বলেন যে ইসলাম নারী নির্যাতনকে সমর্থন করে করেন। আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত, "রাসুল (সঃ) বলেছেন, নারীকে প্রহার করা যাবে না"।

এ সুরার আগের আয়াতসমূহের বক্তব্য অনুসারে পুরুষ ও নারীদের অধিকার পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ, বরং পুরুষের তুলনায় নারীদের দুর্বলতার কারণে তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ নারীরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারে না। কিন্তু তথাপি এই সমতার অর্থ এই নয় যে, পুরুষ ও নারীর মধ্যে মর্যাদার কোন পার্থক্য থাকবে না; বরং দুটি ন্যায়সঙ্গত ও তাৎপর্যের প্রেক্ষিতেই পুরুষদেরকে নারীদের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।

আমরা দেখি সমাজে- সংসারে সব নারী একরকম নয় এবং একরকম হয়ওনা। যেসব স্ত্রীলোক, যারা স্বামীদের আনুগত্য করে না কিংবা যারা এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করে। আল্লাহ তা'আলা সংশোধনের জন্য পুরুষদেরকে যথাক্রমে তিনটি উপায় বাতলে দিয়েছেন। অর্থাৎ স্ত্রীদের পক্ষ থেকে যদি নাফরমানী সংঘটিত হয় কিংবা এমন আশঙ্কা দেখা দেয়, তবে -

১। প্রথম পর্যায়ে তাদের সংশোধন হল যে, নরমভাবে তাদের বোঝাবে। যদি তাতেও বিরত না হয়, তবে -
২। দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের বিছানা নিজের থেকে পৃথক করে দেবে। যাতে এই পৃথকতার দরুন সে স্বামীর অসন্তুষ্টি উপলব্ধি করে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হতে পারে। তারপর যদি তাতেও সংশোধন না হয়, তবে -
৩। মৃদুভাবে মারবে, তিরস্কার করবে। আর তার সীমা হল এই যে, শরীরে যেন সে মারধরের প্রতিক্রিয়া কিংবা যখম না হয়। কিন্তু এই পর্যায়ের শাস্তি দানকেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করেননি, বরং তিনি বলেছেনঃ ভাল লোক এমন করে না। (বুখারি শরীফ )।


এ সুরার আয়াত ৩৪ আগের আয়াতে যেমন স্ত্রীদের সংশোধনকল্পে পুরুষদেরকে তিনটি অধিকার দান করা হয়েছে, তেমনিভাবে আয়াতের শেষাংশে একথাও বলা হয়েছে যে, যদি এ তিনটি ব্যবস্থার ফলে তারা তোমাদের কথা মানতে আরম্ভ করে, তবে -

তোমরাও আর বাড়াবাড়ি করো না এবং তাদের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না, বরং সহনশীলতা অবলম্বন কর। আর একথা খুব ভাল করে জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে নারীদের উপর তেমন কোন উচ্চ মর্যাদা দান করেননি। আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব তোমাদের উপরও বিদ্যমান রয়েছে, তোমরা কোন রকম বাড়াবাড়ি করলে তার শাস্তি তোমাদেরকেও ভোগ করতে হবে। অর্থাৎ তোমরাও সহনশীলতার আশ্রয় নাও; সাধারণ কথায় কথায় দোষারোপের পন্থা খুঁজে বেড়িয়ো না। আর জেনে রেখো আল্লাহর কুদরত ও ক্ষমতা সবার উপরেই পরিব্যাপ্ত।

কাজেই , ভাই যে কোন ব্যাপারে পূর্বা-পর সবই বিবেচনা করতে হয় এবং একটা ব্যাপার হলো একটা সুরা - শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিলেই পরিপূর্ণ । এখন মাঝ থেকে একটা আয়াত বা আয়াতের কিছু অংশে পূরো বিষয়টা নয় বরং তার খন্ডাংশে সঠিক অর্থের বিচ্যুতি ঘটে।

আর যে কোন কাজেরই সফলতা নির্ভর করে পর্যায়ক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় । সংসারে নর-নারীর মাঝে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হতে পারে যার শেষ ও বিষময় ফলাফল তালাক । আর শেষ সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে সংসার রক্ষার চেষ্টা হিসাবেই উপরে বর্ণিত পর্যায় অনুসরন করতে বলা হয়েছে। আর মহান আল্লাহপাক মহাজ্ঞানী এবং তিনি যা বলেছেন তা নর-নারী উভয়ের কল্যাণের জন্যই বলেছেন।

এখন আমরা যে যেভাবে তার ব্যাখ্যা করি - --------------

১৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪০

নতুন বলেছেন: ১৪০০ বছর আগে যখন এই সব কথা বলেছিলো সেটা সেই সময়ে ভালো ছিলো।

কিন্তু বর্তমানে নারীকে তাদের মতন করে থাকতে দিন। তারা কি পরবে সেটা নিয়ে পরুষকে ভাবতে নিষেধ করুন।

স্ত্রী কে মৃদু প্রহারের ভাবনা যে ঠিক না এটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে বলুন।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

১৪০০ বছর আগে যখন এই সব কথা বলেছিলো সেটা সেই সময়ে ভালো ছিলো। কিন্তু বর্তমানে নারীকে তাদের মতন করে থাকতে দিন। তারা কি পরবে সেটা নিয়ে পরুষকে ভাবতে নিষেধ করুন। স্ত্রী কে মৃদু প্রহারের ভাবনা যে ঠিক না এটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে বলুন।

- আপনি যা বলেছেন তা হয়ত সভ্যতার উন্নয়ন ও বিকাশের হিসাবে ঠিকই বলেছেন তবে আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে যা বলেছেন তা একবিংশ শতাব্দীতে এসেও কিন্তু তার প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে ফেলেনি বা কখনো হারাবেও না।


আসুন দেখি, আলোচ্য বিষয়ে সুরা আন-নিসার ৩৪ নং আয়াতে কি বলা হয়েছে ?।

সুরা আন-নিসার ৩৪ নং আয়াতে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য অধিকার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এ আয়াতটির তাফসির করার ক্ষেত্রে মুসলিম মনীষীদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। অনেকে এ আয়াতের উপর ভিত্তি করে নারীকে তার অপরাধে প্রহার করার কথা বলেন। নারীবাদিরা এ আয়াতের ভিন্ন ব্যাখ্যা করে ইসলামকে হেয় করার চেষ্টা করেন এবং বলেন যে ইসলাম নারী নির্যাতনকে সমর্থন করে করেন। আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত, "রাসুল (সঃ) বলেছেন, নারীকে প্রহার করা যাবে না"।

এ সুরার আগের আয়াতসমূহের বক্তব্য অনুসারে পুরুষ ও নারীদের অধিকার পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ, বরং পুরুষের তুলনায় নারীদের দুর্বলতার কারণে তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ নারীরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারে না। কিন্তু তথাপি এই সমতার অর্থ এই নয় যে, পুরুষ ও নারীর মধ্যে মর্যাদার কোন পার্থক্য থাকবে না; বরং দুটি ন্যায়সঙ্গত ও তাৎপর্যের প্রেক্ষিতেই পুরুষদেরকে নারীদের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।

সমাজে আমরা কি দেখি ?
আমরা দেখি সমাজে- সংসারে সব নারী একরকম নয় এবং একরকম হয়ওনা। যেসব স্ত্রীলোক, যারা স্বামীদের আনুগত্য করে না কিংবা যারা এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করে। আল্লাহ তা'আলা সংশোধনের জন্য পুরুষদেরকে যথাক্রমে তিনটি উপায় বাতলে দিয়েছেন। অর্থাৎ স্ত্রীদের পক্ষ থেকে যদি নাফরমানী সংঘটিত হয় কিংবা এমন আশঙ্কা দেখা দেয়, তবে -

১। প্রথম পর্যায়ে তাদের সংশোধন হল যে, নরমভাবে তাদের বোঝাবে। যদি তাতেও বিরত না হয়, তবে -
২। দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের বিছানা নিজের থেকে পৃথক করে দেবে। যাতে এই পৃথকতার দরুন সে স্বামীর অসন্তুষ্টি উপলব্ধি করে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হতে পারে। তারপর যদি তাতেও সংশোধন না হয়, তবে -
৩। মৃদুভাবে মারবে, তিরস্কার করবে। আর তার সীমা হল এই যে, শরীরে যেন সে মারধরের প্রতিক্রিয়া কিংবা যখম না হয়। কিন্তু এই পর্যায়ের শাস্তি দানকেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করেননি, বরং তিনি বলেছেনঃ ভাল লোক এমন করে না। (বুখারি শরীফ )।


এ সুরার আয়াত ৩৪ আগের আয়াতে যেমন স্ত্রীদের সংশোধনকল্পে পুরুষদেরকে তিনটি অধিকার দান করা হয়েছে, তেমনিভাবে আয়াতের শেষাংশে একথাও বলা হয়েছে যে, যদি এ তিনটি ব্যবস্থার ফলে তারা তোমাদের কথা মানতে আরম্ভ করে, তবে -

তোমরাও আর বাড়াবাড়ি করো না এবং তাদের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না, বরং সহনশীলতা অবলম্বন কর। আর একথা খুব ভাল করে জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে নারীদের উপর তেমন কোন উচ্চ মর্যাদা দান করেননি। আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব তোমাদের উপরও বিদ্যমান রয়েছে, তোমরা কোন রকম বাড়াবাড়ি করলে তার শাস্তি তোমাদেরকেও ভোগ করতে হবে। অর্থাৎ তোমরাও সহনশীলতার আশ্রয় নাও; সাধারণ কথায় কথায় দোষারোপের পন্থা খুঁজে বেড়িয়ো না। আর জেনে রেখো আল্লাহর কুদরত ও ক্ষমতা সবার উপরেই পরিব্যাপ্ত।

কাজেই , ভাই যে কোন ব্যাপারে পূর্বা-পর সবই বিবেচনা করতে হয় এবং একটা ব্যাপার হলো একটা সুরা - শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিলেই পরিপূর্ণ । এখন মাঝ থেকে একটা আয়াত বা আয়াতের কিছু অংশে পূরো বিষয়টা নয় বরং তার খন্ডাংশে সঠিক অর্থের বিচ্যুতি ঘটে।

আর যে কোন কাজেরই সফলতা নির্ভর করে পর্যায়ক্রমিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় । সংসারে নর-নারীর মাঝে নানা বিষয়ে মতানৈক্য হতে পারে যার শেষ ও বিষময় ফলাফল তালাক । আর শেষ সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে সংসার রক্ষার চেষ্টা হিসাবেই উপরে বর্ণিত পর্যায় অনুসরন করতে বলা হয়েছে। আর মহান আল্লাহপাক মহাজ্ঞানী এবং তিনি যা বলেছেন তা নর-নারী উভয়ের কল্যাণের জন্যই বলেছেন।

এখন আমরা যে যেভাবে তার ব্যাখ্যা করি - -------------- ফলাফল সেভাবেই পাব। যদি পজেটিভ ভাবি তাহলে পজেটিভ আর নেগেটিভ ভাবলে নেগেটিভ।

১৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: ধর্মে নারীদের কে সমান ভাবে দেখা হলে আপনার আর এত কস্ট করে এই পোস্ট দিতে হত না কেননা এর দরকারই হত না।

তবে একটা জিনিস জানলাম যে বিশ্বে লিংগ সমতায় বাংলাদেশের স্হান ৫০; সেখানে পাকিস্হান ১৫০ এর মত.....

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কলাবাগান১ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

ধর্মে নারীদের কে সমান ভাবে দেখা হলে আপনার আর এত কস্ট করে এই পোস্ট দিতে হত না কেননা এর দরকারই হত না।

- জানার জন্য বুঝার কোন বিকল্প নেই এবং কোন মানুষই সবজান্তা নয় । আর তাইতো এখনো সারা দুনিয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা আছে এবং যা প্রি প্রাইমারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নানা ভাগে বিভক্ত । কাজেই ভাইজান, নারী-পুরুষের ব্যাপারে মহাজ্ঞানী মহান আল্লাহপাক আল কোরআনে যা বলেছেন শতাব্দীর পর শতাব্দী সে কোরআন নিয়ে আলোচনা-গবেষনা করছে জানার জন্যই। আবার দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাও চালু আছে জানা-বুঝার জন্য ।আর তাই আমার লেখাও সেই জানার ও বুঝার চেষ্টার পরিণতি। এখানে কস্ট বিবেচ্য বিষয় নয়।

আর, আল কোরআনের বিধান অনুসারে পুরুষ ও নারীদের অধিকার পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ, বরং পুরুষের তুলনায় নারীদের দুর্বলতার কারণে তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ নারীরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারে না। কিন্তু তথাপি এই সমতার অর্থ এই নয় যে, পুরুষ ও নারীর মধ্যে মর্যাদার কোন পার্থক্য থাকবে না; বরং দুটি ন্যায়সঙ্গত ও তাৎপর্যের প্রেক্ষিতেই পুরুষদেরকে নারীদের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। নারী-পুরুষ উভয়েই সমান তবে নিজ নিজ দায়িত্ব-কর্তব্য ও সীমারেখায়।

১৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৪

জ্যাকেল বলেছেন: কলাবাগান এর সাথে মোটামুটি একমত। কামরুজ্জামান সাহেব, আপনি দেখেন কত কষ্ট করে তবে নারীর অধিকার ইসলামে আছে সেটা প্রমাণ করতে হইতেছে অথচ কোরআনে পরিস্কার লেখা আছে আমি নারীকে পুরুষের অধিনস্ত করে দিয়েছি কারণ অর্থ/খরচ চালানোর কারণে। এখন যদি নারী নিজেই আর্থিকভাবে সক্ষম হয় তবে সেও পুরুষের সাথে টক্কর দিয়ে চলতে পারবে যদি সে চায় এটাই লজিক্যাল বার্তা। এ ছাড়া কুইন বিলকিস এর ব্যাপার দেখুন, কোরআনে উনাকে কিভাবে বর্ণনা করা হইয়াছ্রে?
বাস্তব কথা এইটাই যে, আল্লাহ পুরুষ জাতিকে দিয়েছেন পেশি শক্তি আর নারীকে দিয়েছেন সৌন্দর্য। আর মানুষ হইবার গুণগত দিক বিবেচনা করলে সৌন্দর্যের ব্যাপারটার প্রায়োরিটি বেশি। পশুর গুণগত দিক বিচার করলে পেশি শক্তির প্রায়োরিটি কিন্তু বেশি। এখানে ইসলামের কিংবা যেকোন ধর্মের কোন ব্যাপার নাই, সৃষ্টিকর্তার ডিজাইন এইটা। এখানে হুদাই ইসলামকে আক্রমণ করা বিদ্বেষের কারন বৈ কিছু দেখি না।

কোরআনে কেউ কি দেখাইতে পারবে যে নারী নেতৃত্ব হারাম? পুরুষকে নেতৃত্ব দেওয়া হইয়াছে এ কারনে যে সে বাহিরের দিক, আর্থিক দিক সামলাবার জন্য ন্যাচারালি উপযুক্ত। তাই বলে কি বলা হইয়াছে এই কথা যে তোমাদের মহিলারা নেতৃত্ব দিতে পারবে না?
এ তো গেল একটা দিক, জ্ঞানার্জনের বেলায়ও মহিলাদের কোনভাবে নিরুৎসাহিত করা হইয়াছে এইরকম প্রমাণ কেহ কি দেখাইতে পারবে কোরআন থেকে?

সরল/স্ট্রেইটফরোয়ার্ড কথা বলুন, আল্লাহ এইভাবেই আমাদের চলতে দেখতে চাহেন।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জ্যাকেল ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য এবং দেরীতে জবাবের জন্য দুঃখিত (কামলাত ভাই , কাম করে সময় মিলেনা - কামের ফাকে ফাকে কাম :P ফাকি দিয়ে আকাম করতে হয়)।

কলাবাগান এর সাথে মোটামুটি একমত। কামরুজ্জামান সাহেব, আপনি দেখেন কত কষ্ট করে তবে নারীর অধিকার ইসলামে আছে সেটা প্রমাণ করতে হইতেছে অথচ কোরআনে পরিস্কার লেখা আছে আমি নারীকে পুরুষের অধিনস্ত করে দিয়েছি কারণ অর্থ/খরচ চালানোর কারণে। এখন যদি নারী নিজেই আর্থিকভাবে সক্ষম হয় তবে সেও পুরুষের সাথে টক্কর দিয়ে চলতে পারবে যদি সে চায় এটাই লজিক্যাল বার্তা। এ ছাড়া কুইন বিলকিস এর ব্যাপার দেখুন, কোরআনে উনাকে কিভাবে বর্ণনা করা হইয়াছ্রে?
বাস্তব কথা এইটাই যে, আল্লাহ পুরুষ জাতিকে দিয়েছেন পেশি শক্তি আর নারীকে দিয়েছেন সৌন্দর্য। আর মানুষ হইবার গুণগত দিক বিবেচনা করলে সৌন্দর্যের ব্যাপারটার প্রায়োরিটি বেশি। পশুর গুণগত দিক বিচার করলে পেশি শক্তির প্রায়োরিটি কিন্তু বেশি। এখানে ইসলামের কিংবা যেকোন ধর্মের কোন ব্যাপার নাই, সৃষ্টিকর্তার ডিজাইন এইটা। এখানে হুদাই ইসলামকে আক্রমণ করা বিদ্বেষের কারন বৈ কিছু দেখি না।


- আল কোরআনের বিধান অনুসারে পুরুষ ও নারীদের অধিকার পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে এটাও ঠিক যে, " পুরুষকে নারীর কর্তা হিসাবে বলা হয়েছে। এর পিছনের কারণ, আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে পুরুষ (তাদের জন্য) ধন ব্যয় করে। আবার,পুরুষের তুলনায় নারীদের দুর্বলতার কারণে তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।কারণ নারীরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারে না। কিন্তু তথাপি এই সমতার অর্থ এই নয় যে, পুরুষ ও নারীর মধ্যে মর্যাদার কোন পার্থক্য থাকবে না; বরং দুটি ন্যায়সঙ্গত ও তাৎপর্যের প্রেক্ষিতেই পুরুষদেরকে নারীদের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। নারী-পুরুষ উভয়েই সমান তবে নিজ নিজ দায়িত্ব-কর্তব্য ও সীমারেখায়।

এখন কোন নারী যদি নিজেই আর্থিকভাবে সক্ষম হয় তবে সে পুরুষের সাথে টক্কর দিয়ে সমানভাবে চলতে চাইলে সে চলতে পারবে এবং শরীয়তের মাঝে থেকে যে কোন নারীই তার শিক্ষা-আয়-রোজগার- উপার্জনের চেষ্টাকে ধর্ম নিরুৎসাহিত করেনি।বরং যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজকে উৎসাহিত করা হয়েছে। আর এ জায়গায় শুধু বলা হয়েছে নারী বাহিরে গেলে পর্দা মেনে চলতে এবং পর্দা মেনে আইনী কাঠামোর যে কোন কাজই নারীর করতে কোন বাধা নেই।

কোরআনে কেউ কি দেখাইতে পারবে যে নারী নেতৃত্ব হারাম? পুরুষকে নেতৃত্ব দেওয়া হইয়াছে এ কারনে যে সে বাহিরের দিক, আর্থিক দিক সামলাবার জন্য ন্যাচারালি উপযুক্ত। তাই বলে কি বলা হইয়াছে এই কথা যে তোমাদের মহিলারা নেতৃত্ব দিতে পারবে না? এ তো গেল একটা দিক, জ্ঞানার্জনের বেলায়ও মহিলাদের কোনভাবে নিরুৎসাহিত করা হইয়াছে এইরকম প্রমাণ কেহ কি দেখাইতে পারবে কোরআন থেকে?সরল/স্ট্রেইটফরোয়ার্ড কথা বলুন, আল্লাহ এইভাবেই আমাদের চলতে দেখতে চাহেন।

- ইসলামের স্বর্ণ যুগে এবং নবীর সহধর্মীনী হযরত খাদিজা (রাঃ) ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে জীবন নির্বাহ করেছেন। হযরত আয়েশা (রাঃ) শরীয়ত সীমার মাঝে থেকে তার জীবনে নানা কাজ করেছেন পুরুষের সাথে সাথে।আর শিক্ষার ব্যাপারে নারী-পুরুষের ব্যাপারে কোন বিভাজন ইসলামে নেই । সবাইকে পড়তেই বলা হয়েছে - আল কোরআনের নাজিলকৃত প্রথম আয়াতে। নারী যদি নেতৃত্বের যোগ্যতা সম্পন্ন হয় তবে নারী নেতৃত্ব দিতে পারবে - এ ব্যাপারে বিধি নিষেধ নেই শুধু আদেশ পর্দা প্রথা মেনে চলার। আবার এটাও ঠিক যে, সকল নারীই নেতৃত্বের যোগ্যতা সম্পন্ন হয়না ।


১৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

নতুন বলেছেন: এখন আমরা যে যেভাবে তার ব্যাখ্যা করি - -------------- ফলাফল সেভাবেই পাব। যদি পজেটিভ ভাবি তাহলে পজেটিভ আর নেগেটিভ ভাবলে নেগেটিভ।

ভাই সমস্যা হইলো আপনি আসল জিনিসটাই বুঝতে পারছেন না।

ধর্ম নারীকে পুরুষ থেকে সৃস্টি বলেছে, পুরুষে একাকিত্বের জন্য সৃস্টি বলা হয়েছে। পুরুষকে নারীর উপরে স্থান দিয়েছে। নারীকে ইমাম বানায়নি, নারীর কাছে কোন ওহী পাঠায় নি।

অবাক লাগলো যে আপনি বলেছেন যে মৃদুভাবে মারবে, তিরস্কার করবে। আর তার সীমা হল এই যে, শরীরে যেন সে মারধরের প্রতিক্রিয়া কিংবা যখম না হয়। কিন্তু এই পর্যায়ের শাস্তি দানকেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করেননি, বরং তিনি বলেছেনঃ ভাল লোক এমন করে না। (বুখারি শরীফ )।

মারার অর্থ আঘাত দেওয়াই না বরং এতে যে অপমানের বিষয়টা আছে সেটা বুঝতে পারেন নাই।

কোরানে বা হাদিসে বা অণ্য কোন ধর্মের বইতে কি স্বামী অন্যায় ভাবে স্ত্রীকে আঘাত করলে বা অন্য যে কোন অন্যায় করলে তাকে আঘাতের অধিকার স্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে?

এখানে বিষয়টা হইলো ধর্ম বানিয়েছে পুরুষেরা তাই পুরুষের বিপক্ষে যায় এমন কিছু বা পুরুষের অপমান হয় এমন কিছু ধর্মে থাকবে না। এতে থাকবে নারীকে অধিনে রাখারা জন্য সব তরিকা।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

ভাই সমস্যা হইলো আপনি আসল জিনিসটাই বুঝতে পারছেন না। ধর্ম নারীকে পুরুষ থেকে সৃস্টি বলেছে, পুরুষে একাকিত্বের জন্য সৃস্টি বলা হয়েছে। পুরুষকে নারীর উপরে স্থান দিয়েছে। নারীকে ইমাম বানায়নি, নারীর কাছে কোন ওহী পাঠায় নি।

- ভাই, হয়ত বুঝতেছিনা তবে এটা বুঝি আল্লাহ তাদের এককে (নর কে নারীর উপর) অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এর পিছনের গুঢ় কারন অবশ্যই আল্লাহ ভাল জানেন। কারন, তিনি তার প্রতিটা সৃষ্টি এবং আদেশ-নিষেধের পিছনে কিছু কারন নিহিত রেখেছেন যা সাধারন ভাবে আমাদের বোধগম্য হবার নয় বা আমাদের বিচারে তা ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হতে পারে। তবে আল্লাহ যা করেন এবং করেছেন তা আমাদের মংগলের জন্য এর উপর আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে এটাই ঈমানের মূল শর্ত ।

আবার , নারীকে ঈমাম বা নবী কেন বানায়নি - তা আল্লাহ ভাল জানেন তবে আপনি আমি যদি নারীর বৈশিষ্ঠ্যর দিকে খেয়াল করি তাহলে কিছুটা হলেও তা অনুধাবন করতে পারব। কারন, নবী বা ঈমামের দায়িত্ব-কর্তব্য সাথে যে সব বিষয় জড়িত তার অনেকগুলিই নারী বৈশিষ্ঠ্যর জন্য মানানসই নয় ।

মারার অর্থ আঘাত দেওয়াই না বরং এতে যে অপমানের বিষয়টা আছে সেটা বুঝতে পারেন নাই। কোরানে বা হাদিসে বা অণ্য কোন ধর্মের বইতে কি স্বামী অন্যায় ভাবে স্ত্রীকে আঘাত করলে বা অন্য যে কোন অন্যায় করলে তাকে আঘাতের অধিকার স্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে? এখানে বিষয়টা হইলো ধর্ম বানিয়েছে পুরুষেরা তাই পুরুষের বিপক্ষে যায় এমন কিছু বা পুরুষের অপমান হয় এমন কিছু ধর্মে থাকবে না। এতে থাকবে নারীকে অধিনে রাখারা জন্য সব তরিকা।

- শাসন ও সোহাগ একের সাথে অন্য অংগাঅংগী ভাবে জড়িত । যে বাবা-মা তাদের ছেলে-মেয়েকে যতটা শাসন ও ততটা সোহাগ করবে সে বাবা-মায়েরা ছেলে-মেয়েরা ততটাই নীতি -নৈতিকতা মেনে চলবে। এখন ছেলে-মেয়েদের শাসন না করলে যদি তারা বখে যায় এর দায় বাবা-মায়ের উপরও বর্তায়। আর ধর্ম সরাসরি কি কাউকে আঘাতের অধিকার দিয়েছে না তাকে উৎসাহিত করেছে ?

২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাসুম বলেছেন: আপনাকে কি আর বল্ব ভাইসাব! নারীকে তো মানুষ বলেই মনে করেন না আপ্নারা তাদের কে দিবেন আবার সম্মান!

ইভেন পুরুষ হয়ে নারীর গায়ে হাত তোলার মত অসভ্য ও বর্বর আইন এবং লিখিত বিধান কেও আপনারা জাস্টিফাই করেন এটাই সবচে অবাক করা! একজন মানুষ হয়ে মানুষ কে অত্যাচার করবেন - এটা ফিজিকালি ও মেন্টালি কতটা অপমানজনক এই বোধ যেদিন জন্ম নিবে আপনার সেদিন বুঝবেন হয়ত এর আগে নয়।

যাই হোক- যেহেতু আপনার তালগাছ চেঞ্জ হবার নয় সো আপনি আপনার বউকে মৃদু প্রহার করেন আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু দয়া করে এইসব প্রচার ও প্রসার করে সমাজে এই অন্যায় কে আরো মানুষের মাঝে স্টাব্লিশ কইরেন না। আপনার এই সব প্রচারে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের গায়ে হাত তোলা , প্রহার করা হোক মৃদু যে অন্যায় এটা ভুলে যায়। এই যে আপনি একটা অন্যায় কে স্টাব্লিশ করছেন আস্তে আস্তে আরো অন্যায় কে স্টাব্লিশ করবেন। যার মধ্যে আপনার এই বোধ জাগ্রত হবে সেও রাতে গিয়ে বউর গায়ে দুই চারটা চর থাপ্পর মারা শুরু করবে , কারন ধর্ম মতে এটা তো অন্যায় না।

আমি এই কারনেই বলি- আপনি বিলিভ করে এটা সমস্যা না, আপনার এই বিলিভ যখন অন্যদের মাঝে ছড়াতে যান- তখন ই সকল সমস্যা।

যাই হোক- আশা করি আপনার মেয়েকে এমন কোন পুরুষ বিয়ে করবে যে পুরুষ বনিবনা না হলে সুন্দর ভাবে মিটমাট করে সংসার করবে আপনার মেয়ের গায়ে হাত না তুলে, আপনার ছেলেও এমন কোন মেয়েকে বিয়ে করবে যার সাথে বনিবনা না হলে গায়ে হাত না তুলে মিটমাট করে সংসার করবে। আশা করতে তো দোষ নেই, আপনার পরের প্রজন্ম হিংস্র হবেনা বা কারো গায়ে হাত তোলা অন্যায় সেটা বুঝবে।

আরো আশা করি, দুনিয়ার সকল পুরুষের মনে এই বোধ জাগ্রত হোক- নারী তাদের সম্পদ নয়, বরং তাদের একটা সহযোগী পার্ট। তাদের অপমান করা, তাদের গায়ে হাত তোলা, তাদের কে দমিয়ে রাখা অন্যায় এটা বুঝবে আমাদের ফিউচার পুরুষ প্রজন্ম।

কারন- দুনিয়ার কোন সভ্য জাতি , কোন সভ্যতা নারীকে অবদমিত করে উন্নতি করতে পারবেনা। কারন- দৌড়াতে হলে ২টা পায়েরই দরকার আছে। একটা পা কেটে ফেললে কিংবা একটা পা কে স্লো করে দিলে আস্তে আস্তে লেংড়ে লেংড়ে হাটা যায় হয়ত দৌড়ানো যায়না।

সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।

আমিও আর কিছু বলব না , তারপরও -

আমি এই কারনেই বলি- আপনি বিলিভ করে এটা সমস্যা না, আপনার এই বিলিভ যখন অন্যদের মাঝে ছড়াতে যান- তখন ই সকল সমস্যা।

- ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলিতে কোন কিছু নতুন করে সংযোজন-বিয়োজন এর ক্ষমতা কাউকে দেয়া হয়নি বা এসবের কোন পরিবর্তনের ও সুযোগ নেই । কাজেই ----------


যাই হোক- আশা করি আপনার মেয়েকে এমন কোন পুরুষ বিয়ে করবে যে পুরুষ বনিবনা না হলে সুন্দর ভাবে মিটমাট করে সংসার করবে আপনার মেয়ের গায়ে হাত না তুলে, আপনার ছেলেও এমন কোন মেয়েকে বিয়ে করবে যার সাথে বনিবনা না হলে গায়ে হাত না তুলে মিটমাট করে সংসার করবে। আশা করতে তো দোষ নেই, আপনার পরের প্রজন্ম হিংস্র হবেনা বা কারো গায়ে হাত তোলা অন্যায় সেটা বুঝবে।

- আপনার চাওয়া ও আর্শিবাদ কে মাথা পেতে গ্রহণ করিলাম । তবে একটা জিনিষ ভাই হয়ত ভূলে গেছেন, " প্রত্যেক মানুষ তার নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী থাকবে এবং সে অনুযায়ী কর্মের ফল ভোগ করবে। বাবার পাপের ফল ছেলে ভোগ করবেনা , মায়ের পূণ্য মেয়ের কোন কাজে আসবেনা । তবে বাবা-মা হিসাবে ছেলে-মেয়েকে সদুপদেশ ও সঠিক পথের দিকনির্দেশনা প্রদানের দায়িত্ব বাবা-মায়ের। এখন তারা যদি ছেলে-মেয়ের প্রতি এ দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করে তবে তারা এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে , এতটুকুই।

আমাদের সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক এবং সঠিক জিনিষ জানার-বুঝার সুযোগ হউক ।

২১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৯

নতুন বলেছেন: - ভাই, হয়ত বুঝতেছিনা তবে এটা বুঝি আল্লাহ তাদের এককে (নর কে নারীর উপর) অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এর পিছনের গুঢ় কারন অবশ্যই আল্লাহ ভাল জানেন।

এই তো আসেন আসল কথায় ভাই।

এতো কিছু না লিখে। শুধু লিখুন যে।

আল্লাহ পুরুষকে নারীর উপরে স্থান দিয়েছে তাই নারীকে পুরুষের অধিনস্থ থাকতে হবে। নারীরা যেন পুরুষের কথা মতন চলে সব সময়। এই জিনিস যেহেতু আল্লাহ বলেছেন তাই এতে প্রশ্ন করা যাবেনা। <<<এটাই শেষ কথা :)

ভাই ৩৬০ ডিগ্রি চিন্তা বলে একটা বিষয় আছে। এটা করতে পারলে বুঝতে পারবেন। যে কোন পুরুষ যখন তার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে , তখন ঐ নারীর কেমন লাগে? ঐ নারীর বাবা, মায়ের কেমন লাগে যে তার সন্তানকে কেউ আঘাত করেছ?

আর সমাজে যখন আপনার মতন মানুষ স্ত্রীকে মৃদু প্রহারের ধর্মীয় অনুমুতির প্রচার করে তখন অনেক পুরুষই এটাকে আল্লাহ প্রদত্ব অধিকার বলে তার স্ত্রীর প্রতি অসন্তুস্ট হয়ে তাকে আঘাত করতে খারাপ বোধ করবে না।

বাবা মা তার মেয়েকে বুকে আগলে রাখে, তার অপমান, আঘাত অবশ্যই বাবা মায়ের বুকে লাগে।

যাই হোক এই সব ভাবনা আপনি বুঝতে পারবেন না। আর যেহেতু আপনি নিজে ভালো কিম্বা মন্দ সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা তাই এটার পক্ষ প্রচারনা না করাই ভালো।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

এই তো আসেন আসল কথায় ভাই। এতো কিছু না লিখে। শুধু লিখুন যে -
আল্লাহ পুরুষকে নারীর উপরে স্থান দিয়েছে তাই নারীকে পুরুষের অধিনস্থ থাকতে হবে। নারীরা যেন পুরুষের কথা মতন চলে সব সময়। এই জিনিস যেহেতু আল্লাহ বলেছেন তাই এতে প্রশ্ন করা যাবেনা।

২২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

এই তো আসেন আসল কথায় ভাই। এতো কিছু না লিখে। শুধু লিখুন যে -
আল্লাহ পুরুষকে নারীর উপরে স্থান দিয়েছে তাই নারীকে পুরুষের অধিনস্থ থাকতে হবে। নারীরা যেন পুরুষের কথা মতন চলে সব সময়। এই জিনিস যেহেতু আল্লাহ বলেছেন তাই এতে প্রশ্ন করা যাবেনা।


আমাদের নতুন নকিব ভাই সৌদি আরবে গৃহকমীদের উপরে নির্যাতনের উপরে একটা ব্লগ লিখেছেন। সেটা পড়ে একটা প্রশ্ন আসে। যেখানে ইসলাম শুরু হলো, সেই দর্শন যেই ভাষাতে নাজিল হলো তারা কেন এমন অমানুষিক কাজ করতে পারে।

কারন তারা এই জিনিস অনুসরন করেনা। তাই বর্তমানে আরবের মানুষ ভালো ইসলাম বোঝেনা এই রকমের কথা শোনা যায়।

দুনিয়াতে কোন ধর্মের দর্শন বর্তমানের জ্ঞানের উন্নয়নের সাথে তাল মেলাতে পারছেনা তাই শুধুই সৃস্টিকতা বলেছেন বলে মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

আমাদের নতুন নকিব ভাই সৌদি আরবে গৃহকমীদের উপরে নির্যাতনের উপরে একটা ব্লগ লিখেছেন। সেটা পড়ে একটা প্রশ্ন আসে। যেখানে ইসলাম শুরু হলো, সেই দর্শন যেই ভাষাতে নাজিল হলো তারা কেন এমন অমানুষিক কাজ করতে পারে। কারন তারা এই জিনিস অনুসরন করেনা। তাই বর্তমানে আরবের মানুষ ভালো ইসলাম বোঝেনা এই রকমের কথা শোনা যায়। দুনিয়াতে কোন ধর্মের দর্শন বর্তমানের জ্ঞানের উন্নয়নের সাথে তাল মেলাতে পারছেনা তাই শুধুই সৃস্টিকতা বলেছেন বলে মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না।

- ভাই, যখন কেউ ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ কিংবা লালসা হাসিল করে তা সে আরবে কিংবা ভ্যাটিকান যেখানেই হোক এর দায় ধর্মের নয় ব্যক্তির । আর সৌদি আরব কিংবা ভ্যাটিকান মানেই যে সবাই ধর্ম মানে এমন ও নয় । আর তাইতো পোপ কিংবা ঈমামদেরও নানা রকম আকাম ;) করতে দেখা যায় এবং মাঝে মাঝে কট X(( ও খায়। আবার এটাও ঠিক যে, সভ্যতার উন্নয়ন ও অথনৈতিক উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের মাঝে ধর্মের আবেদন কমে যাচছে। যেখানে বা যার অথনৈতিক অবস্থান যত ভাল সেখানে তা তার মাঝে ধর্মকে এড়িয়ে চলার বা না মানার প্রবণতা তত বেশী।

২৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

নতুন বলেছেন: - ভাই, যখন কেউ ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ কিংবা লালসা হাসিল করে তা সে আরবে কিংবা ভ্যাটিকান যেখানেই হোক এর দায় ধর্মের নয় ব্যক্তির । আর সৌদি আরব কিংবা ভ্যাটিকান মানেই যে সবাই ধর্ম মানে এমন ও নয় । আর তাইতো পোপ কিংবা ঈমামদেরও নানা রকম আকাম ;) করতে দেখা যায় এবং মাঝে মাঝে কট X(( ও খায়। আবার এটাও ঠিক যে, সভ্যতার উন্নয়ন ও অথনৈতিক উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের মাঝে ধর্মের আবেদন কমে যাচছে। যেখানে বা যার অথনৈতিক অবস্থান যত ভাল সেখানে তা তার মাঝে ধর্মকে এড়িয়ে চলার বা না মানার প্রবণতা তত বেশী।

কেন মানুষ ধর্ম থেকে দুরে চলে যাচ্ছে এই প্রশ্ন করুন।

আগে মানুষের জীবনে অনিশ্চয়তা বেশি ছিলো। তাই অদৃশ্য শক্তির উপরে বিশ্বাস বেশি ছিলো।

এখন মানুষ বোঝে যে মহামারীতে দোয়াতে মানুষ বাচে না মানুষকে আধুনিক চিকিতসা বাচাতে পারে।

যদি বলেন একজন দুইজন মানুষ ধর্ম থেকে দুরে গেছে সেটা ব্যক্তির দোষ। কিন্তু যখন অনেকেই দুরে যেতে থাকে সেটা সবাই মিলে যখন আস্তে আস্তে বুঝতে পারে যে ধর্ম কাজের কিছু না তখন সামাজিক ভাবেই ধর্ম কম মানে।

আমাদের দেশে এতো মুসলমান কিন্তু এতো দূনিতি কেন?

কারন আমাদের দেশে ভন্ড বেশি। আমাদের দেশের মানুষ নামে র্ধামিক কাজে না।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

কেন মানুষ ধর্ম থেকে দুরে চলে যাচ্ছে এই প্রশ্ন করুন।

- মানুষ কেন ধর্ম থেকে দূরে চলে যাচছে বা কেন ধীরে ধীরে মানুষের জীবনে ধর্মের প্রভাব কমে যাচছে - আমার মনে হয় এর পিছনে কোন একক কারন দায়ী নয়। এর পিছনে মানুষের শিক্ষা, পারিবারিক-সামাজিক পরিবেশ, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ধর্মীয় নেতাদের নানারকম অনৈতিক কাজ-কর্মও দায়ী।

আমাদের দেশে এতো মুসলমান কিন্তু এতো দূর্নীতি কেন? কারন আমাদের দেশে ভন্ড বেশি। আমাদের দেশের মানুষ নামে র্ধামিক কাজে না।

- মানুষের দূর্নীতির পিছনেও অনেকগুলি কারন দায়ী। আর এসব জায়গায়ও মানুষের জীবনে ধর্মের প্রভাব নেই বললেই চলে। কারন, মানুষ এখন নগদ নারায়নে বিশ্বাসী । অন্যায়ের পরিণতি মরণের পরে কি হবে তা না ভেবে মানুষ এখন জীবনের পরিণতি নিয়েই বেশী ভাবে, দুনিয়াতে সে সব রকম সুখ-সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে চায় । তা সে বৈধ কিংবা অবৈধ যেভাবেইঝোক না কেন। আর এরকম সর্বগ্রাসী মানষিকতাই মানুষের দূর্নীতির পিছনের বড় একটা কারন।

আর এখন বেশীরভাগ মানুষ শুধু নামেই ধার্মিক (মুসলমান) বা জন্মগত ভাবে মুসলমান যাদের জীবনে না আছে ধর্মের কোন প্রভাব না পেয়েছে যথাযথ ধর্মের শিক্ষা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.