নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ " - ইউক্রেনের সীমিত সামর্থ্য ও পশ্চিমাদের হুমকি-ধামকি কিংবা শুধু নিষেধাজ্ঞা দিয়েই কি থামানো যাবে মহাশক্তিধর রাশিয়াকে ? (১ ম পর্ব) ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৪


ছবি - republicworld.com

কয়েকদিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিভিশনের দেয়া এক ভাষণে ইউক্রেন সম্পর্কে বলেন, এটা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোনি যেটা পুতুল সরকারের মাধ্যমে চলছে। তিনি আরো বলেন, "ইউক্রেন কোন দিনই প্রকৃত রাষ্ট্র ছিল না এবং আধুনিক ইউক্রেন রাশিয়ার দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে এবং ইউক্রেন কোন আলাদা দেশ ও জাতি নয় বরং ইউক্রেন হলো রাশিয়ার অবিছ্যেদ্য অংশ"। পুতিন এখনো বিশ্বাস করেন, ইউক্রেন রাশিয়ার আদিভূমি। তার এই বিশ্বাসের পেছনে অবশ্য কিছুটা হলেও সত্য ইতিহাস আছে তবে ইতিহাসের দিকে তাকালে এও আমরা দেখি, ইউক্রেন নানা সময়ে অনেক দখলদারের অধীনেই ছিল। জাতিগত বৈশিষ্ট্যে কিংবা অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যে ইউক্রেনিয়ান ও রাশিয়ানদের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। সে দিক বিবেচনায় রাখলে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের বিরোধ না থাকারই কথা।

কেউ কেউ মনে করেন ইউক্রেনীয় জনগোষ্ঠীর আদি মানুষ ছিলেন রুশ। তাদেরকে ডাকা হতো কিয়েভিয়ান রুশ হিসেবে। কারো কারো মতে, তাদের রয়েছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রক্ত ও সাংস্কৃতিক ধারা। কেউ কেউ বলেন, রুমানিয়ানদের সাথেও তাদের রয়েছে যোগসূত্র। তবে, আসল হলো তারা আসলেই রাশিয়ান রক্তের উত্তরাধিকার বহন করছে। ভ্লাদিমির পুতিন আর ভ্লাদিমির জেলেনক্সির নামে ও ধর্মে, চেহারা ও অন্যান্য বিষয়ে তাদের মধ্যে ঐক্য বিদ্যমান। কিন্তু রাজনৈতিক চেতনায় তারা ভিন্ন ও এই ভিন্নতার কারণও রয়েছে। এখন যারা ইউক্রেনের মধ্যে বসবাস করছে তাদের মাঝে তিনটি ধারা চালু আছে -

এক - ইউক্রেনপন্থী ।
দুই - রুশপন্থী।
তিন - তৃতীয়পন্থী, তৃতীয়পন্থীরা এই দুই পক্ষেরই বিরুদ্ধে।

সুদূর অতীতেও ইউক্রেনের মানুষের বোধ ও বিশ্বাসে এমন ত্রিধারা ছিল। পুতিন মনে করেন, ১৯৯১ সালে যখন মিখাইল গর্বাচেভ ক্ষমতায় ছিলেন, তার সরকার ছিল খুব দুর্বল এবং তিনি একটি ঘোরের মধ্যে পেরেসস্ত্রয়কার জালে জড়িয়েছিলেন। তিনি সে সময়ই ক্রাইমিয়াসহ অন্য এলাকাগুলো ফিরিয়ে আনতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। সেই ভুল থেকেই আজকের এই বিরোধ।

কেন ইউক্রেন সঙ্কট বা রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ -

সাবেক সোভিয়েত আমলে ৭০ বছর ইউক্রেন শাসিত হয়েছে রাশিয়ার দ্বারা । এই ৭০ বছর ধরে সোভিয়েত শাসনের সময় তারা যে শুধু নিগৃহীত হয়েছেন এমন নয় বরং সোভিয়েত রাশিয়ার সময়েই ইউক্রেনের উন্নয়ন হয়েছে সোভিয়েত রাশিয়ার অন্য অংশের তুলনায় অনেক বেশী। সেসময় লেনিন থেকে শুরু করে নিকিতা ক্রুশ্চেভ পর্যন্ত সোভিয়েত নেতারা ক্রিমিয়াসহ আলাদা আরো কিছু এলাকা ইউক্রেনের সীমানায় জুড়ে দেন। যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেংগে ইউক্রেন স্বাধীন হয় তখন গর্ভাচেব সেই আলাদা করে জুড়ে দেয়া এলাকাগুলি নিয়ে কোন কিছু করেন নি বা সেগুলো ইউক্রেনকেই দিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও সেগুলি ছিল রাশিয়ার অংশ , আর তাই এখন সেগুলো উদ্ধারের চিন্তা তো পুতিন করতেই পারেন। আদি রাশিয়ান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রও ছিল এককালে কিয়েভ। এসব মিলিয়েই ভ্লাদিমির পুতিনের নিজের মতো করে রাশিয়ার সীমানা গড়ে নেয়ার আয়োজনের নামই এখন ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধ সূচনার আগেই পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন কোনো জাতিরাষ্ট্র নয়। ওই রাষ্ট্র কোনো জাতিকে চিহ্নিত ও চিত্রিত করে না।


ছবি - military.com

রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু -

পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকেই ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং তাদের রক্ষায় সেনা প্রেরনের ঘোষনায় যুদ্ধ শুধু সময়ের অপেক্ষার বিষয় হয়ে যায়। অবশেষে, বৃহস্পতিবার (২৪/০২/২০২২) ভোর থেকে মিসাইল ছুঁড়ে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া এবং রাশিয়ার সেনাবাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। এদিকে ইউক্রেন পশ্চিমাদের আশায় ও আশ্বাসে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে চলেছিলেন আগে থেকেই। তার সেই প্রস্তুতি কতটা ফল দেবে কিংবা ইউরোপ-আমেরিকা কতটা সাহায্য করবে বা জড়িত হবে এই যুদ্ধে বা বৃহৎশক্তি রাশিয়ান বাহিনীকে কিয়েভ কতটা ঠেকাতে পারবে, কারো জানা নেই। তবে যুদ্ধ শুরুর চারদিন পর এটা দেখা যাচছে যে, ইউক্রেনের পশ্চিমা বিশ্বের বন্ধুরা মানে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিরোধ যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেবেনা ও নেয়নি। কারন তাদের কাছে মনে হয়েছে তারা যদি সরাসরি রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে জড়ায় তাহলে
বিশ্বযুদ্ধ বেধে যেতে পারে। আর তাই তারা এর সমাধান কূটনৈতিক স্তরেই সমাধান চেয়েছিলেন এবং হুমকি ধামকি কিংবা অবরোধের মাঝেই থাকতে চাচছেন।

এটা নিশ্চিত যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো যদি ইউক্রেনের সাহায্যে প্রচলিত অস্ত্র নিয়েই এগিয়ে আসে, তাহলেও এর ব্যাপ্তি ঘটবে এবং বিস্তার লাভ করবে গোটা দুনিয়াজুড়ে। এ কারণেই কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, দুটি মহাসমরের পর এটিই হবে আরেকটি মহাসমর। বর্তমান করোনা কালীন সময়ে বিশ্ব অর্থনীতি এই মহাযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দেয়ার মত অবস্থানে নেই। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের রাষ্ট্রগুলো সরাসরি যুদ্ধে না জড়িয়ে টেকনিক্যালি রাশিয়াকে স্থবির করতে উৎসাহী। কিন্তু সেখানেও রয়েছে নানামুখী সমস্যা ও সঙ্কট বিদ্যমান।


ছবি - flipboard.com

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা জারি ও রাশিয়ার প্রস্তুতি -

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুটো এলাকাকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন লুহানস্ক ও দোনেৎস্কে রুশ সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বলেন রাশিয়ার সেনাবাহিনী সেখানে শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবে। লুহানস্ক ও দোনেৎস্কে রুশ সৈন্য পাঠানোর ঘোষনা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং তাদের আরো কিছু মিত্র দেশ রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন ২০১৪ সালে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল এবারের নিষেধাজ্ঞাগুলো হবে তার চেয়েও বড় এবং কঠোর। তিনি বলেছেন, রাশিয়া যদি আরো অগ্রসর হয় তাহলে তারাও আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত। এধরনের নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাব কি আসলেই পড়ে রাশিয়ার ওপর?

ইউক্রেন সঙ্কটের সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের পরিবর্তে এখনো নিষেধাজ্ঞার উপরই বেশী নির্ভর করতে চাচছেন এবং এখন পর্যন্ত আমেরিকা-ইউরোপ অর্থনৈতিক সহ আরো কিছু অবরোধ আরোপ করেছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে । আর এসব অবরোধ যুদ্ধ বন্ধে কতটা কার্যকর হবে তা দেখা সময়সাপেক্ষ তবে অবস্থাদৃষ্ঠে মনে হচছে রাশিয়া অবরোধ আরোপে দুশ্চিন্তায় নেই এবং সে এসব ভালভাবে সামাল দিতে পারবে।

ইতিপূর্বে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রাশিয়ার পাঁচটি ব্যাংক ও ধনকুবেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা বলতে গেলে তেমন কোনো কাজেই লাগেনি। অনেক আগে থেকেই রাশিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলার জন্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এমন এক রুশ অর্থনীতি গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে যার ওপর নিষেধাজ্ঞার তেমন একটা প্রভাব পড়বে না । আর এসব কাজের ফলে প্রেসিডেন্ট পুতিন আশা করছেন যে, পশ্চিমা দেশগুলো যতোটা অনুমান করেছিল, তার দেশ তার চেয়েও বেশি সময় ধরে এসব নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টিকে থাকতে পারবে।

১। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ -

বর্তমানে রুশ সরকারের আন্তর্জাতিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ রেকর্ড পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। বৈদেশিক মুদ্রা এবং স্বর্ণের এই রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৩ হাজার কোটি ডলার এবং রাশিয়া এখন আর কেবল সোনা আর ডলারের মজুদের ওপরই নির্ভরশীল নয়। বিশ্বের সব দেশের তুলনায় রাশিয়ার এই রিজার্ভ চতুর্থ বৃহত্তম যা রুশ মুদ্রা রুবলের পতন ঠেকিয়ে একে চাঙ্গা রাখতে একটা উল্লেখযোগ্য সময় পর্যন্ত ব্যবহার করা হতে পারে। উল্লেখ্য যে বর্তমানে রাশিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার মাত্র ১৬% ডলারে রাখা। পাঁচ বছর আগেও এর পরিমাণ ছিল ৪০%, অন্যদিকে রাশিয়ার বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ১৩% রাখা চীনা মুদ্রা রেনমিনবি'তে রাখা । পুতিন এসবই পরিকল্পিতভাবে করেছেন এবং এটা করা হয়েছে আমেরিকার নেতৃত্বে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে, তা থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউই যদি আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপও করে তাহলেও তাকে সহজে কাবু করা যাবে না।

২। বৈদেশিক নির্ভরতা হ্রাস , টেকসই উন্নয়ন ও স্থানীয় বিনিয়োগ বাড়ানো

পুতিন রাশিয়ার অর্থনৈতিক কাঠামোতেও বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। সময়ের সাথে সাথে দেশটি বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগের ওপর তাদের নির্ভরতা কমিয়েছে। একই সাথে তারা পশ্চিমা বাজারের বাইরে নতুন নতুন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের সুযোগ সম্ভাবনাও যাচাই করে দেখেছে। তাদের নতুন এই কৌশলের একটি বড় অংশ হচ্ছে চীন। রাশিয়া তার বিনিয়োগ ও ঋণের বিষয়টি বৈদেশিক ঋণের ওপর থেকে সরিয়ে এনেছে অনেকটাই। অবশ্যই এই নতুন ব্যবস্থার প্রধান সাহায্যকারী চীন। নতুন অর্থব্যবস্থার চেষ্টাও রাশিয়ার রয়েছে, যার কারণে তাদেরকে নিষেধাজ্ঞার জালে সহজে আটকাতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপ।

এছাড়া রাশিয়া তার বাজেটেও কাটছাঁট করে এনেছে। প্রবৃদ্ধির বদলে এখন তারা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকেই বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এর ফলে রাশিয়ার অর্থনীতি গত এক দশকে প্রতি বছর গড়ে এক শতাংশেরও কম হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়ায় দেশটি আগের তুলনায় আরো বেশি আত্ম-নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। রাশিয়া যা করছে এর মধ্য দিয়ে কার্যত তারা বিকল্প এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলছে যাতে তারা পশ্চিমা বিশ্বের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার আঘাত সামাল দিতে পারে।


৩।বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অর্থ লেনদেনের জন্য সুইফট নামের যে আর্থিক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কসমূহ এই সুইফট তদারকি করে থাকে। অবরোধের নামে তা থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়া হলে বিশ্ব অর্থনৈতিক লেনদেনের ব্যবস্থা থেকে দেশটি যাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ে, সেজন্য তারা আগে থেকেই কিছু পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে। আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে রাশিয়া তাদের নিজস্ব একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যদিও এসব হলো শুধু হলো হিসাবের বা অনুমানের বিষয়।


ছবি - eu-logos.org

৪। রাশিয়ার গ্যাস-তেল অস্ত্র ও পশ্চিমাদের কৌশলগত স্বার্থ -

পুতিন মুখে যাই বলুক, দীর্ঘমেয়াদে রাশিয়ার জন্য এসব অবরোধ বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে ও দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রধান প্রধান ব্যাঙ্ক, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে রাশিয়া অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে প্রেসিডেন্ট পুতিন হয়তো আরো একটা হিসেব কষে দেখেছেন এবং তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৌশলগত ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থ। উল্লেখ করা যেতে পারে যে কিছু কিছু দেশের জন্য রাশিয়ার তেল ও গ্যাস শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা অন্য কিছু দেশের তুলনায় সহজ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তার প্রাকৃতিক গ্যাসের ৪০% পেয়ে থাকে রাশিয়ার কাছ থেকে। আর ব্রিটেন ৩% গ্যাসের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। এদিকে ,ইউক্রেনের দুটো অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতির পর জার্মানি নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস ( নর্ড স্ট্রিম ২ হল বাল্টিক সাগরে গ্যাজপ্রম এবং অন্য পাঁচটি ইউরোপীয় কোম্পানির নেতৃত্বে একটি পাইপলাইন প্রকল্প। গ্যাজপ্রম বিশ্বব্যাপী গ্যাস সরবরাহ বাজারের নেতা হিসেবে পরিচিত, যার মালিকানা ৫১% রাশিয়ার) পাইপলাইনের অনুমোদন স্থগিত করেছে। এটা রাশিয়ার জন্য ক্ষতিকর, তবে এর ফলে পশ্চিম ইউরোপে জ্বালানির মূল্যের উপরেও জার্মানির এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে।

অন্যদিকে ইউরোপ -আমেরিকার অবরোধের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হাতে আছে গ্যাস ও তেল অস্ত্র। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ান তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক ও খাদ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে রাশিয়া প্রাকৃতিকগ্যাস তথা জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে উভয় পক্ষই যে সঙ্কটের মধ্যে পড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা কতোটা কার্যকর হবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ?

পশ্চিমা নেতারা এটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে গত কয়েকদিনে যেসব নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলো আরো অনেক সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলোর প্রথম কয়েকটি ধাপ যা ধাপে রাশিয়ার ওপর আরো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানো হতে পারে। কিন্তু রাশিয়াকে তাদের পথ পরিবর্তনের জন্য বাধ্য করতে এসব নিষেধাজ্ঞা কি যথেষ্ট হবে? নিষেধাজ্ঞার যে কিছু প্রভাব আছে তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে রাশিয়ার মতো বৃহৎ অর্থনীতির ওপর এধরনের নিষেধাজ্ঞা এর আগে কখনো প্রয়োগ করা হয়নি। সেকারণে রাশিয়ার ওপর আরোপিত এসব নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী করতে হলে পশ্চিমা দেশগুলোকে দীর্ঘ সময় ধরে কঠোরভাবে লেগে থাকতে হবে।


ইউক্রেন, রাশিয়ার আদি ভূমিই হোক বা ইউক্রেনীয় জাতির নিজস্বই হোক, এটা বিবেচ্য বিষয় নয়। ইতিমধ্যে যদিও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি অভিযোগ করে বলেছেন যে, "পশ্চিমারা সাহায্য করবে বলে করেনি এবং তারা তাকে একা ভালুকের মুখে রেখে সবাই চলে গেছে "। আবার এটাও ঠিক যে, ইউক্রেনকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক ভূরাজনৈতিক খেলা খেলছে যার ভূক্তভোগী হচছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ন্যাটো ও রাশিয়ার এই খেলা কতদিন চলবে এবং তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক অভিলাষের পেছনে কি কারন রয়েছে এবং কিভাবে এসব সমস্যার স মাধান হবে সব দেখার জন্য সেই আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের । তবে আমরা সাধারন ,মানুষ এতটুকুই বলতে পারি যে, কোনো যুক্তিতেই মানুষ হত্যা সমর্থনযোগ্য নয়।


তথ্যসূত্র - বিবিসি বাংলা, আল জাজিরা
================================================================

" ইউক্রেন সংকট " - (শেষ পর্ব) - Click This Link
" ইউক্রেন সংকট " - ২ য় পর্বের লিংক - Click This Link
" ইউক্রেন সংকট " - ১ ম পর্বের লিংক - Click This Link

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:



সাসুম কিন্তু আপনার রচনার উৎস খুঁঝতে পারেন!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

রচনার উৎস লুকানো নয় ।

সারা দুনিয়ায় এখন তা প্রকাশ্যেই আছে। চাইলেই যে কেউ এক পলকে দেখে নিতে পারেন টিভি কিংবা খবরের কাগজে আর লিখে ফেলতে পারেন একটি রচনা।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



কপিপেষ্ট করার সময় দাড়ি ও কমাগুলোর স্হান বদলায়ে দিয়েন, সাসুম তখন টের পাবে না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ এবং ভবিষ্যতে তা প্রয়োগ করতে :P চেষ্টা করব পুরোপুরি যাতে আপনিও টের না পান।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো পোস্ট। আলোচনাটি ভালো লাগল। + +
তবে, পোস্টের কিয়দংশ অন্যত্র কোথাও পড়েছি বলে মনে হলো। হয়তো আপনি যে তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছেন, সেখানেও হতে পারে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভালো পোস্ট। আলোচনাটি ভালো লাগল। + +

পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগলো আর তার জন্য আপনার প্রতি শুভেচছা রইলো ।

তবে, পোস্টের কিয়দংশ অন্যত্র কোথাও পড়েছি বলে মনে হলো। হয়তো আপনি যে তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছেন, সেখানেও হতে পারে।

- জী ভাইজান, এখন সারা দুনিয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ এবং গরম খবর । এই ব্যাপারে প্রতিটি খবরের কাগজ ও টিভি চ্যানেল হরদম খবর প্রচার করছে। কিছু বিষয় একটু এদিক-সেদিক হলেও মূল বিষয় একই থাকছে। কাজেই আপনি যা বলেছেন তা হতে পারে।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সামনে কি অপেক্ষা করছে কে জানে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

সামনে কি অপেক্ষা করছে কে জানে।

- মনে হচছে " যত গর্জে তত বর্ষেনা " - এটাই মনে হয় প্রমাণিত হবে দু (ইউরোপ-আমেরিকা / রাশিয়া) তরফে।

ইউরোপ-আমেরিকার ব্যাপারটা অলরেডি দুনিয়া জেনে গেছে যত গর্জে তত বর্ষেনা

আর রাশিয়া মনে হয় কাদার মাঝে আটকে যাচছে,যা তার সুপার পাওয়ারের সাথে যায়না। কারন, ৫ দিনের মাথায় ইউক্রেন পুরো দখল করার ভবিষ্যতবাণী অনেকেই করেছিল যা মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হচছে। আবার যেভাবে মার খাচছে রাশিয়ানরা ইউক্রেনে তাও হবার কথা ছিলনা। তাই মনে হচছে এটাও প্রমাণ হবে " যত গর্জে তত বর্ষেনা "

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ইউক্রেন ১৯৯৪ সালে বুদাপেস্ট অ্যাকর্ডে সই করে নিজের সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার ছেড়ে দেয়। তার পরিবর্তে তাদের দেশকে সুরক্ষা দেওয়া হবে, তাঁদের সার্বভৌমত্ব ও তখনকার বর্ডারগুলিকে মান্যতা দেওয়া হবে ইত্যাদি নানান জিনিস চুক্তিতে বলা ছিল।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ইউক্রেন ১৯৯৪ সালে বুদাপেস্ট অ্যাকর্ডে সই করে নিজের সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার ছেড়ে দেয়। তার পরিবর্তে তাদের দেশকে সুরক্ষা দেওয়া হবে, তাঁদের সার্বভৌমত্ব ও তখনকার বর্ডারগুলিকে মান্যতা দেওয়া হবে ইত্যাদি নানান জিনিস চুক্তিতে বলা ছিল।

- চুক্তিতে এসব বলা ছিল সত্যি তবে এর সাথে সাথে ইউরোপ-আমরিকা তখন রাশিয়াকে এ নিশ্চয়তাও দিয়েছিল যে, সাবেক ওয়ারস জোটের দেশগুলোকে কখনো ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়া হবেনা। যদিও এখন তারা বলছে , এ ব্যাপারে লিখিত (চুক্তি) কোন কিছু দেয়া হয়নি আর তাই এর কোন মূল্য নেই।

আর তাইতো রাশিয়াও এখন পাল্টি মারছে যে, এ চুক্তির এখন কোন মূল্য নেই বলে। এ যেন তাই (যেমন বুলো ওল তেমনি বাঘা তেতুল)।

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা ধরেই নিয়েছিলো ন্যাটো আর রাশিয়ার সাথে বড় ধরণের সামরিক সংঘর্ষ হবে। সব ধরণের আয়োজন ও করে ফেলেছিলো তারা। কিন্তু পুতিনের একের পর এক কৌশলগত ভেল্কির পর আমেরিকা কি করে তা দেখার বিষয়।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

আমেরিকা ধরেই নিয়েছিলো ন্যাটো আর রাশিয়ার সাথে বড় ধরণের সামরিক সংঘর্ষ হবে। সব ধরণের আয়োজন ও করে ফেলেছিলো তারা। কিন্তু পুতিনের একের পর এক কৌশলগত ভেল্কির পর আমেরিকা কি করে তা দেখার বিষয়।

- আমেরিকা ইউক্রেনকে ব্যবহার করে তার পুরনো ক্ষতের (ইউরোপের সাথে আবার বন্ধুত্বের ঝালাই যা ট্রাম্প শেষ করে রেখে গেছে এবং রাশিয়ার সাথে দুশমনি যেখানে ট্রাম্প বন্ধুত্ব রক্ষা করে চলেছে ) নিরাময় করতে চেয়েছে। আর এ বিপদজনক খেলা কতটা সফল হবে তা সময়েই বলে দেবে তবে আমরিকা-ইউরোপ যেভাবে ইউক্রেনকে আশা দিয়েছিল তা পূরণ হবেনা এ এখন দেখা যাচছে।

আর পুতিন ঠান্ডা রক্তের কেজিবি এজেন্ট যে কিনা বাইডেন কিংবা ইউরোপীয় প্রতিপক্ষ থেকে মানষিকভাবে ও কৌশলের দিক দিয়ে অনেক বেশী কুশলী।আমেরিকা-ই্উরোপ সরাসরি যুদ্ধে জড়াবেনা এটা মনে হয় ঠিক তবে যুদ্ধ দীর্ঘ করার এবং রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে কাবু করার চেষ্টা করবে বলে মনে হয়।

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:৫২

সাসুম বলেছেন: জামান ভাই, আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ এই সব বিষয় নিয়ে লিখার জন্য। কিন্তু কস্টের ব্যপার হল- আমরা যারা সবসময় খবর রাখি ইন্টারন্যাশনাল কনফ্লিক্ট এর তারা এইসবে আগ্রহী না। কারন- অল্রেডী সেইম লিখা পড়ে এসেছি অন্য কোথাও থেকে!

তাহলে আমরা , আরো স্পেসিফালি বলতে গেলে কি পড়তে চাই ব্লগে কোয়ালিটি লেখক দের কাছ থেকে???

বিশ্লেষণ! আমি জানতে চাই ব্লগার দের চিন্তা, আমি জানতে চাই ব্লগার রা কি ভাবছেন??? যেই ভাবনা , যেই চিন্তা ইংরেজি কিংবা বাংলা পত্রিকায় কেউ ভাবেনাই এখনো! আমি পত্রিকা থেকে কপি পেস্ট করা লিখা পড়তে চাইনা ব্লগে! যে জিনিষ আমি জানি, যে জিনিষ আমি পড়ে এসেছি সেটা আবার পড়তে আমার অনাগ্রহ আছে।

যেমনঃ এই ইস্যু নিয়ে আমার আগ্রহের কথা আপনার অজানা নয়!

আমি রিসেন্টলি একটা আলোচনা করেছি ফেসবুকে বিভিন্ন ইংরেজি ও বাংলা গ্রুপে এবং আমার নিজের নিউজফিডে! সেখানে আমি দেখিয়েছি- কি করে পুতিন তার জিডিপির এক্সপেন্ডিচার এর চেয়ে বেশি রিজার্ভ গড়ে তুলেছে ২০১৪ এর পর থেকে, সেখানে আমি দেখিয়েছি কি করে পুতিন ফেড ডলার কে একপাশে রেখে ইউয়ান ভিত্তিক ট্রাঞ্জেক্সান এ শিং জিং পিং এর সাথে কাজ করেছেন, আমি দেখিয়েছি কি করে চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক পুরা দুনিয়ার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এর মত নতুন পরিচয় ক্রিয়েট করতে চেয়েছেন। এবং এর মাধ্যমে কি করে পুতিন, শিং জিং পিং, খোমেনী, বাসার, ইম্রান খান, কাস্ট্রো , কিম জং উন, মার্দুরো সহ দুনিয়ার সকল এক নায়ক রা চায়নার নেক্সট নর্থ কোরিয়া তে পরিণত হচ্ছে। কিংবা কেন ভারত ব্যাকাপ দিচ্ছে এখনো রাশিয়া কে এবং এটা নিয়ে চুপ থাকছে ? ( কারন ভারত পুরোপুরি রাশিয়া নির্ভর তার তেল গ্যাস এর জন্য এবং তার ডিফেন্স এর ৭০% রাশিয়ান অস্ত্র এবং রিসেন্ট এস-৪০০ এর মত দামী অস্ত্র ও রাশিয়ান )

সেই সাথে এটা বুঝানোর ট্রাই করেছিলাম- রাশিয়ার এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার সবচে বড় লাভ চায়নার ইকোনমির এবং সবচে বড় ক্ষতি তাইওয়ান এর। কারন- একবার যদি পুতিন আর শিং জিং পিং এর ইকোনমি কাভার দেয়া যায় তাহলে তাইওয়ান এর উপর আরো বেশি প্রেসার দিতে পারবে চায়না এবং তাইওয়ান ও সারাদিন রাত ভয়ে থাকবে কখন এটাক করে বসে, কারন দিন শেষে যে যাই আশা দেক না কেন- যুদ্ধ লাগলে বা আক্রমন হলে পরাশক্তি রা হয়ত টাকা পয়সা বা অস্ত্র দিয়ে হেল্প করবে বাট কেউ ডাইরেক্ট এগিয়ে আসবেনা।

এই যে আলাপ বা বিশ্লেষণ- এটা আপনি আল জাজিরা তে পাবেন না, আপনি পাবেন না বিবিসি তে- এটা মূলত অনেক গুলা ঘটনা থেকে বের করা। ফলে যেটা হয়- আমার এই আলোচনা খুব সমাদরে গৃহীত হয়েছে বিভিন্ন যায়গায়, শত শত শেয়ার ও হচ্ছে, লাইক কমেন্ট ও পাইতাছি প্রচুর ( বিঃদ্রঃ প্রচুর লাইক কমেন্ট পাইলে আমার নিজেরে চেলেব্রিটি মন্নে হয় :) ) এবং মানুষ ও ভিন্ন কিছু জানতে পেরে আনন্দিত হচ্ছে।

আমি চাই, আপনি এত বড় বড় লিখা যা আমরা অল্রেডী জানি বা পড়ে এসেছি, সেসব আবার পুনরাবৃত্তি না করে আমাদের কে বিশ্লেষণ দেন আপনার নিজের ভাষায়! আমরাও অংশ গ্রহন করি আলোচনায়!

ব্লগ মানেই তো এটা! আমি এই ঘটনা নিয়ে কি ভাবছি তার বিশ্লেষণ আমার দিক থেকে!

০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।


জামান ভাই, আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ এই সব বিষয় নিয়ে লিখার জন্য। কিন্তু কস্টের ব্যপার হল- আমরা যারা সবসময় খবর রাখি ইন্টারন্যাশনাল কনফ্লিক্ট এর তারা এইসবে আগ্রহী না। কারন- অল্রেডী সেইম লিখা পড়ে এসেছি অন্য কোথাও থেকে!

- :( :( :(

তাহলে আমরা , আরো স্পেসিফালি বলতে গেলে কি পড়তে চাই ব্লগে কোয়ালিটি লেখক দের কাছ থেকে???
বিশ্লেষণ! আমি জানতে চাই ব্লগার দের চিন্তা, আমি জানতে চাই ব্লগার রা কি ভাবছেন??? যেই ভাবনা , যেই চিন্তা ইংরেজি কিংবা বাংলা পত্রিকায় কেউ ভাবেনাই এখনো! আমি পত্রিকা থেকে কপি পেস্ট করা লিখা পড়তে চাইনা ব্লগে! যে জিনিষ আমি জানি, যে জিনিষ আমি পড়ে এসেছি সেটা আবার পড়তে আমার অনাগ্রহ আছে। যেমনঃ এই ইস্যু নিয়ে আমার আগ্রহের কথা আপনার অজানা নয়!


- আপনার প্রতি আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ যে, আপনি পুরো লেখা মনযোগ দিয়ে পড়েন এবং বিষয়ের সামারী তথা বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসংগিক মন্তব্যের সাথে সাথে পরবর্তীতে কিভাবে তা আরো ভাল হতে পারে তার দিকনির্দেশনাও দেন। এটা যে কোন লেখককে আরো ভাল কিছু লিখতে উৎসাহ যোগাবে নিঃসন্দেহে । আপনার মন্তব্যই অনেক সময় মূল লেখা থেকে
শ্রেষ্ঠত্বের বা উৎকর্ষের বিচারে ভাল হয়ে থাকে। এ গুণ সবার থাকেনা এবং সবাই তা অর্জন করতেও পারেনা। তার জন্য সঠিক শিক্ষার সাথে সাথে দক্ষতা-যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা-ধৈর্য্যের সাথে সাথে অগাধ জ্ঞানের দরকার এবং দরকার একটি খোলা মন।আর তাইতো আপানার ভাবনা সবসময়ই ইউনিক।

এখন আপনাদের সাথে থাকতে কিংবা কিছু জানতে মাঝে মাঝে কিছু-মিছু লিখি, এটা সত্যি তবে আপনার মানষিক চাহিদা কিংবা প্রত্যাশা পূরণ না করার ব্যর্থতা বরাবরই আমার জন্য মনোকষ্ঠের কারন।এখানে আরেকটা বিষয় হয়ত ঠিক আমার ততটুকুই করতে পারব বা বুঝব যতটুকুই আমাদের যোগ্যতা। আর তাইতো হুমায়ুন আহমেদ এবং হুমায়ন আজাদ দুজনেই(একই নাম হুমায়ন) লেখক হলেও দুইজনের মাঝে যোগ্যতা কিংবা সাফল্যে আকাশ-পাতাল প্রার্থক্য। ঠিক তেমনি নামে আমরা দুজন ব্লগার হলেও কোথায় আপনি আর কোথায় আমি ? এটা ভাবতে ভাল লাগে যে আপনার মত জানা লোক আমার লেখা পড়েন এবং আবার মাঝে মাঝে লজ্জাও লাগে আপানারা যারা জানেন ( (বদ ;) আপনি, চাঁদগাজী-সোনাগাজী মুরুববী, শায়মা বনি, বোন জুন,ঠাকুর মাহমুদ স্যার, অপু তানভীর ভাই,জুল ভার্ণ ভাই, শাহ আজিজ ভাই ,মাইদুল সরকার ভাই, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই, সোনালী কাবিন ভাই, রাজিব নুর ভাই, মরুভূমির জলদস্যু ভাই , বোন নান্দনিক নন্দিনী, বোন রিম সাবরিনা জাহান সরকার,আরও অনেকেই আছে) তাদের ভাল ও মানসম্মত লেখার সাথে নিজের হিজি :(( বিজি লেখার তুলনা করে। তারপরেও মনে মনে এই ভেবে সান্তনা খুজি এত সব ভাল-জ্ঞানী-গুণী মানুষদের সাথে থাকতে থাকতে একসময় হয়ত আমিও কিছুটা ভাল লিখতে পারব।

আমি রিসেন্টলি একটা আলোচনা করেছি ফেসবুকে বিভিন্ন ইংরেজি ও বাংলা গ্রুপে এবং আমার নিজের নিউজফিডে! সেখানে আমি দেখিয়েছি- কি করে পুতিন তার জিডিপির এক্সপেন্ডিচার এর চেয়ে বেশি রিজার্ভ গড়ে তুলেছে ২০১৪ এর পর থেকে, সেখানে আমি দেখিয়েছি কি করে পুতিন ফেড ডলার কে একপাশে রেখে ইউয়ান ভিত্তিক ট্রাঞ্জেক্সান এ শিং জিং পিং এর সাথে কাজ করেছেন, আমি দেখিয়েছি কি করে চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক পুরা দুনিয়ার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এর মত নতুন পরিচয় ক্রিয়েট করতে চেয়েছেন। এবং এর মাধ্যমে কি করে পুতিন, শিং জিং পিং, খোমেনী, বাসার, ইম্রান খান, কাস্ট্রো , কিম জং উন, মার্দুরো সহ দুনিয়ার সকল এক নায়ক রা চায়নার নেক্সট নর্থ কোরিয়া তে পরিণত হচ্ছে। কিংবা কেন ভারত ব্যাকাপ দিচ্ছে এখনো রাশিয়া কে এবং এটা নিয়ে চুপ থাকছে ? ( কারন ভারত পুরোপুরি রাশিয়া নির্ভর তার তেল গ্যাস এর জন্য এবং তার ডিফেন্স এর ৭০% রাশিয়ান অস্ত্র এবং রিসেন্ট এস-৪০০ এর মত দামী অস্ত্র ও রাশিয়ান )

সেই সাথে এটা বুঝানোর ট্রাই করেছিলাম- রাশিয়ার এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার সবচে বড় লাভ চায়নার ইকোনমির এবং সবচে বড় ক্ষতি তাইওয়ান এর। কারন- একবার যদি পুতিন আর শিং জিং পিং এর ইকোনমি কাভার দেয়া যায় তাহলে তাইওয়ান এর উপর আরো বেশি প্রেসার দিতে পারবে চায়না এবং তাইওয়ান ও সারাদিন রাত ভয়ে থাকবে কখন এটাক করে বসে, কারন দিন শেষে যে যাই আশা দেক না কেন- যুদ্ধ লাগলে বা আক্রমন হলে পরাশক্তি রা হয়ত টাকা পয়সা বা অস্ত্র দিয়ে হেল্প করবে বাট কেউ ডাইরেক্ট এগিয়ে আসবেনা। এই যে আলাপ বা বিশ্লেষণ- এটা আপনি আল জাজিরা তে পাবেন না, আপনি পাবেন না বিবিসি তে- এটা মূলত অনেক গুলা ঘটনা থেকে বের করা। ফলে যেটা হয়- আমার এই আলোচনা খুব সমাদরে গৃহীত হয়েছে বিভিন্ন যায়গায়, শত শত শেয়ার ও হচ্ছে, লাইক কমেন্ট ও পাইতাছি প্রচুর ( বিঃদ্রঃ প্রচুর লাইক কমেন্ট পাইলে আমার নিজেরে চেলেব্রিটি মন্নে হয় :) ) এবং মানুষ ও ভিন্ন কিছু জানতে পেরে আনন্দিত হচ্ছে।
আমি চাই, আপনি এত বড় বড় লিখা যা আমরা অল্রেডী জানি বা পড়ে এসেছি, সেসব আবার পুনরাবৃত্তি না করে আমাদের কে বিশ্লেষণ দেন আপনার নিজের ভাষায়! আমরাও অংশ গ্রহন করি আলোচনায়! ব্লগ মানেই তো এটা! আমি এই ঘটনা নিয়ে কি ভাবছি তার বিশ্লেষণ আমার দিক থেকে!


- এই ব্যাপারে আমি কিছু বলব না কারন যে যোগ্যতা আমার নেই সেই ব্যাপারে কথা বলার অধিকারও আমার নেই তবে একটা উদাহরন দিব এখানে।

আমি বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি তা একটি ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান এবং সারা দুনিয়ার প্রায় সব দেশের লোক আছে তাতে। যেমন -আমি যে বিভাগে কাজ করি তার পরিচালক একজন ফ্রান্সের , ম্যানেজার একজন জ্যামাইকান যেমন আছেন তেমনি আছেন আমেরিকান,নিউজিল্যান্ড,ভারত,ফিলিপাইন,শ্রীলংকার সাথে সাথে আমি অধম ভেতো বাংগালী একজন।

এখন আপনি অনুমান করেন , এসবের মাঝে সবচেয়ে খারাপ কিংবা দূর্বল অবস্থান কার? এবং সুযোগ-সুবিধা সবচেয়ে কম কার ? চোখ-কান বন্ধ রেখে যে কেউ বলবে সে আমি !!!!!!!!!!!!! এবং এটাই সত্যি । তবে কাজের দিক থেকে দেখলে আমিই সবচেয়ে বেশী (গাধার মত ) কাজ করি ;) তবে তা হয়ত যথাযথ মানের হয়না (তাদের মতে)। এ ব্যাপারে আমি দুই বছরের অধিককাল দেখে মনের দুঃখে একবার আমার ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম , " কেন আমি অবহেলিত ? আমি কি কাজ কর্ম কম করি? "

তখন উনি আমাকে জবাব দিয়েছিলেন, " তুমি প্রচুর কাজ কর তা সত্যি তবে গাধার কাজই হল খাটা (কাজ করা), আর পরিশ্রমই যদি সাফল্যের ও সুযোগ-সুবিধার মাপকাঠি হত তাহলে বনের রাজা হত গাধা X(( সিংহ নয়"।


এখন যদি বলেন , এ দিয়ে কি বুঝাতে চাচছি ? তাহলে ম্যানেজার বাবুর কথা ধরেই আমি বলব - " ব্লগে আমি গাধা আর আপনি ব্লগের রাজা" - আপনি যা লিখবেন তাই হবে সুপার হিট আর আমি গাধা !!!!!!!!!!!, গাধাই থেকে যাব এবং টুকটাক (কিছু-মিছু লিখতে) করতেই থাকব সবসময় । হয়ত এটাই আমার নিয়তি এবং এতুটুকই আমার যোগ্যতা।

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: বহুল চর্বিত চর্বন!

০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আসলেই ভাই, বহুল চর্বিত চর্বনের সাথে সাথে বহুল উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার বিষয়ও দুনিয়াবাসীর জন্য।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৪

নতুন বলেছেন: বিষয়টা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে আশা করি। পুতিন সো অফ করে বেশি, রাশিয়ার অর্থনিতির অবস্থা ভালো না।

যাই হোউক কোন মানুষের মৃত্যু কাম্য না। যুদ্ধে সব সময় সাধারন মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হয় নেতাদের কিছুই হয় না।

০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

যে কোন বিষয়েই আলোচনাই হল সমাধানের সবচেয়ে ভাল পথ যদি মাঝে মাঝে ধৈর্য্য হারিয়ে এবং ক্ষমতার মোহে আলোচনা ত্যাগ করে শক্তিকে ব্যবহার করেই সমাধান চায় । তারপরও সমাধান অধরাই থেকে যায় এবং শেষ পর্যন্ত সমাধান আলোচনাতেই আসে শক্তিতে নয়।

সবার শুভ বোধের উদয় হোক মানবতা রক্ষা পাক। রক্ষা পাক মানুষের জীবনের সাথে সাথে সম্পদ ও পৃথিবী।

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা জরুরী। সাধারন মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী ।

০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মত আমাদের সবারও প্রত্যাশা - দ্রুত যুদ্ধ বিরতি সহ সব পক্ষেরই শুভ বোধের উদয় হোক মানবতা রক্ষা পাক। রক্ষা পাক মানুষের জীবনের সাথে সাথে সম্পদ ও পৃথিবী।

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যুদ্ধ নামক অসভ্যতার অবসান হোক।

০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মহাজাগতিক চিন্তা ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মত আমারও প্রত্যাশা - দ্রুত অবসান হোক যুদ্ধের , সব পক্ষেরই শুভ বোধের উদয় হোক মানবতা রক্ষা পাক। রক্ষা পাক মানুষের জীবনের সাথে সাথে সম্পদ ও পৃথিবী।

১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর মানুষের উচিত পুরো বিশ্বকে নিজের দেশ ভাবা। এটা ভাবতে পারলেই তো আর যুদ্ধের প্রয়োজন হবে না।

০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

আসলেই প্রতিটা মানুষেরই উচিত এভাবে ভাবা তবে সমস্যা হলো তা আমরা ভাবতে পারিনা। আমরা সবাই নিজ-নিজ আপনজন কিংবা শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবতে ব্যস্ত। আর তাইতো দুনিয়াতে এত সমস্যা। আমরা যদি সবাই চিন্তা-চেতনায় বৈশ্বিক হতে পারতাম তাহলেত পৃথিবীতে না থাকত এত অশান্তি আর না হতো মানুষে মানুষে এত বিভাজন।

১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৩

নতুন বলেছেন: তবে আমরা সাধারন ,মানুষ এতটুকুই বলতে পারি যে, কোনো যুক্তিতেই মানুষ হত্যা সমর্থনযোগ্য নয়। .

কিন্তু বানু কুরাইজা গোত্রের শাস্তি হিসেবে ৭০০-৮০০ মানুষকে মৃত্যু দন্ড কে আমরা সমর্থন করতে পারি।

ঐ রকমের জিনিস ছাড়া অন্য সময় আমরা ''কোনো যুক্তিতেই মানুষ হত্যা সমর্থনযোগ্য নয়।'' নিতিতে বিশ্বাসী। ;)

০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।

তবে আমরা সাধারন ,মানুষ এতটুকুই বলতে পারি যে, কোনো যুক্তিতেই মানুষ হত্যা সমর্থনযোগ্য নয়।

- জী ভাইজান , একদম সঠিক ।

কিন্তু বানু কুরাইজা গোত্রের শাস্তি হিসেবে ৭০০-৮০০ মানুষকে মৃত্যু দন্ড কে আমরা সমর্থন করতে পারি।ঐ রকমের জিনিস ছাড়া অন্য সময় আমরা ''কোনো যুক্তিতেই মানুষ হত্যা সমর্থনযোগ্য নয়।'' নিতিতে বিশ্বাসী। ;)

- :( :( :( :(( :(( |-) :-<


১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৭

সাসুম বলেছেন: নতুন বলেছেন: তবে আমরা সাধারন ,মানুষ এতটুকুই বলতে পারি যে, কোনো যুক্তিতেই মানুষ হত্যা সমর্থনযোগ্য নয়। .কিন্তু বানু কুরাইজা গোত্রের শাস্তি হিসেবে ৭০০-৮০০ মানুষকে মৃত্যু দন্ড কে আমরা সমর্থন করতে পারি

শুনেন ভাই- তারা যে চুক্তি ভংগ করেছিল, ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা


বাই দা রাস্তাঃ ইউক্রেন , ন্যাটো আম্রিকার সাথে চুক্তি ছিল সোভিয়েত ভাঙ্গার সময় যে, কোন এক্স সোভিয়েত ব্লকের রাস্ট্রকে ন্যাটোতে জয়েন করানো হবেনা। এই সিউরিটি রাশিয়া নিছিল।

এখন চুক্তি ভংগের দায়ে, রাশিয়া কচুকাটা করতেই পারে ইউক্রেনীয় দের :) উদাহরনঃ সেই হাজার বছর আগের :)

০১ লা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।


বাই দা রাস্তাঃ ইউক্রেন , ন্যাটো আম্রিকার সাথে চুক্তি ছিল সোভিয়েত ভাঙ্গার সময় যে, কোন এক্স সোভিয়েত ব্লকের রাস্ট্রকে ন্যাটোতে জয়েন করানো হবেনা। এই সিউরিটি রাশিয়া নিছিল। এখন চুক্তি ভংগের দায়ে, রাশিয়া কচুকাটা করতেই পারে ইউক্রেনীয় দের :) উদাহরনঃ সেই হাজার বছর আগের :)

- কমুনা :( কিছুই কমুনা।

কইলে কইবেন - ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ---------------------------

১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ রাত ২:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি জটিল বাইয়ের পোষ্টে কোন এক নানীশ্বশুড়ি ইত্যাদি নিয়ে বেশ নীচু মানের মন্তব্য করেছেন, ব্লগটাকে সন্মান করেন।

০৫ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী দাদুভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আসলে দাদু-দাদী, নানা-নানী এসব মানুষদের কথা আসলেই মনে প্রথমেই যে ছবিটা ভেসে উঠে তা হলো তারা বয়স্ক ও সম্মানিত এবং তা যদি হয় দাদী কিংবা নানীশ্বাশুড়ি তবে সম্মানের সাথে সাথে তা হয় আরো ব্যাপোক আনন্দ ও মজাদার । কারন, নাতিন জামাইদের জন্য তারা উভয়েই অনেক অভিজ্ঞতার সাথে সাথে আদরের-ভালবাসার জনও।

আর তাই হয়ত , নানীশ্বাশুড়িকে নিয়ে কিছুটা বেশীই আবেগ প্রকাশ করে ফেলেছি। আবার জটিলভাই যেই নানীশ্বাশুড়িকে নিয়ে লিখেছেন সেইরকম সর্বগুনের নানীশ্বাশুড়ি লাখেও একটা মিলবে কিনা সন্দেহ। আর নীচু মানের ? এটা মনে হয় :( না , তবে আবেগ বেশী প্রকাশ করেছি - তা বলতে পারেন , দাদুভাই।

১৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২৮

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: :(

০৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রত্যাবর্তন@ ভাই, কি :( কি :(( কি ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.