নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - wallpapercave.com
আল কোরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরিত। আল কোরআন শতাব্দীর পর শতাব্দী জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কোটি কোটি মানুষের অন্তর্দৃষ্টি খুলে দিয়েছে। বদলে দিয়েছে তাদের ভেতর থেকে, খুলে দিয়েছে তাদের সম্ভাবনার দ্বার।দিয়েছে প্রশান্ত ও পরিতৃপ্ত জীবন। আর তাই আল কোরআন সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, " বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট হতে এ গ্রন্থ অবতীর্ণ, এতে কোন সন্দেহ নেই "। (সুরা সাজদা, আয়াত - ২)।
তারপরেও আমরা কেন বিশ্বাস করব আল কোরআন মহান আল্লাহর কালাম ? কেন বিশ্বাস করব আল কোরআন মানুষের রচনা নয় ? কারন -
" 'বিশ্বাস' প্রসঙ্গটি আমাদের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। আমরা সবাই জীবনে কিছু না কিছু বিশ্বাস করি। এ বিশ্বাস হতে পারে কোনো ধারণায়, কোনো মতবাদে, কোনো ব্যক্তি-মানুষে। আমাদের বিশ্বাস গড়ে ওঠে কখনো কোনো ব্যক্তির বক্তব্য শুনে বা চারপাশের মানুষের খণ্ড খণ্ড কথা শুনে বা তাদের আচার-আচরণ দেখে। আমাদের বিশ্বাসের শিকড় রয়েছে আমাদের মনের গভীরে। তাই প্রতিটি মানুষ বিশ্বাস করে। কেউ স্রষ্টায় বিশ্বাস করে, কেউ করে শয়তানে, কেউ ভালো মানুষে বিশ্বাস করে, কেউ বিশ্বাস করে প্রতারকে, কেউ বিশ্বাস করে সাধুকে, কেউ বিশ্বাস করে ভণ্ডকে। কেউ দেখে অন্তর, কেউ দেখে বাহিরের চাকচিক্য। কেউ দেখে সারল্য, কেউ দেখে জৌলুস। তাই আমার-আপনার বিশ্বাসের ভিত্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভিত্তি মজবুত হয়, আমি-আপনি তার ওপর প্রাসাদ গড়তে পারবো। আর যদি তা হয় চোরাবালি, আমি-আপনি অতলে তলিয়ে যাব"। আর তাই আল কোরআনের অনন্যতার ধরনে মনোনিবেশ করলেই বিষয়টি আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর চোখের সামনে তার চারটি ছেলের প্রত্যেকের মৃত্যু দেখেছেন। তাঁর চার মেয়ের তিন জনই তাঁর জীবদ্দশায় মারা যান। তাঁর প্রিয়তম চাচা হামজা(রাঃ) লাশের সাথে পাশবিক আচরণ, তাঁর সাথিদের ওপর ক্রমাগত লাঞ্ছনা, শারীরিক নির্যাতন এমনকি অনেককে হত্যা করা হয়। তাঁর ওপরও চালানো হয় শারীরিক-মানসিক নির্যাতন। একবার তিনি যখন কাবা ঘরের সামনে সেজদারত অবস্থায় ছিলেন, তখন তাঁর ওপর উটের পচা নাড়িভুঁড়ি স্তূপাকারে ফেলা হয়। যার পরিমাণ এতটাই ছিল যে, তাঁর শরীর মাটির সঙ্গে লেগে যায়। তাঁর কন্যা তাঁর শরীরের ওপর থেকে পচা নাড়িভুঁড়ি না সরানো পর্যন্ত তিনি মাথাই তুলতে পারেন নি। একবার কল্পনা করুন, গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে পচা নাড়িভুঁড়ির স্তূপ ফেলা হলো আপনার শরীরের ওপর, আর তা থেকে নিঃসৃত রস আপনার ঘাড়ে, কাঁধে, কানের দুপাশ দিয়ে নাকে, ঠোঁটের দিকে গড়িয়ে আসছে! পচা নাড়িভুঁড়ির উৎকট দুর্গন্ধের কথা বাদ দিলেও কতটা বিরক্তিকর স্নায়ু-উত্তেজক বিষয় হতে পারে এটা ? এরকম ঘটনা কারো স্মৃতিকে বিষণ্ন বিরক্ত না করে পারে না। অথচ এসবের কোনো উল্লেখ আল কোরআনে পাওয়া যায় না। আল কোরআন কোন মানুষের রচনা নয়, শুধু ঐশীবাণী হওয়ার কারনেই এমনটি সম্ভব হয়েছে।
ছবি - sangbadchorcha.com
মানুষের এক জীবনে যা দরকার, তার সবই সাজানো রয়েছে আল কোরআনের পরতে পরতে। সুস্থ সুন্দর সুখী পরিতৃপ্ত জীবনের জন্যে যা প্রয়োজন, আলকোরআনের পাতায় পাতায় রয়েছে তারই দিক-নির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে মানব জীবনের সব দিকনির্দেশনার বর্ণনার পাশাপাশি মানবজাতীর প্রতি উপদেশ স্বরুপ বেশ কিছু আয়াত আছে। আসুন আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানি -
আল কোরআনের উপদেশাবলী
১। সংখ্যাধিক্য বা আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়।(সুরা আনআম, আয়াত - ১১৬) ।
" আর যদি আপনি যমীনের অধিকাংশ লোকের কথামত চলেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে তারা তো শুধু ধারণার অনুসরণ করে; আর তারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে "।
২। তোমরা সঠিক ওজনে লেনদেন করো।(সুরা আনআম, আয়াত - ১৫২)।
" আর ইয়াতীম বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উত্তম ব্যবস্থা ছাড়া তোমরা তার সম্পত্তির ধারে-কাছেও যাবে না এবং পরিমাপ ও ওজন ন্যায্যভাবে পুরোপুরি দেবে । আমরা কাউকেও তার সাধ্যের চেয়ে বেশী ভার অর্পণ করি না। আর যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায্য বলবে, স্বজনের সম্পর্কে হলেও এবং আল্লাহকে দেয়া অঙ্গীকার পূর্ণ করবে । এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর"।
৩। অহংকার পতনের মূল। (সুরা আরাফ, আয়াত - ১৩)।
"ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি এই স্থান থেকে নেমে যাও। এখানে থেকে তুমি অহংকার করবে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং তুমি বের হয়ে যাও। নিশ্চয় তুমি অধমদের অন্তর্ভুক্ত"।
৪। নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিধান করো ও তোমরা খাও এবং পান করো তবে অপচয় কোরো না। (সুরা আরাফ, আয়াত - ৩১)।
"হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি (আল্লাহ) অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না"।
৫। অন্যের ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করো।(সুরা আরাফ, আয়াত - ১৯৯)।
"আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক"।
৬। যুদ্ধের ময়দান থেকে পালাবে না । (সুরা আনফাল, আয়াত - ১৫-১৬)
" হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না।আর যে লোক সেদিন তাদের থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তনকল্পে কিংবা যে নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে আসে সে ব্যতীত অন্যরা আল্লাহর গযব সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার ঠিকানা হল জাহান্নাম বস্তুতঃ সেটা হল নিকৃষ্ট অবস্থান"।
৭। নিরাপত্তা প্রত্যাশীদের নিরাপত্তা দাও ।(সুরা তাওবা, আয়াত - ৬)।
" আর মুশরিকদের মধ্যে কেউ আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দিন; যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায় ।তারপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছিয়ে দিন, কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা জানে না"।
ছবি - alamy.com
৮। আল্লাহ পবিত্র ব্যক্তিকে ভালোবাসেন।(সুরা তাওবা, আয়াত - ১০৮)।
" আপনি তাতে কখনো সালাতের জন্য দাঁড়াবেন না, যে মসজিদের ভিত্তি প্রথম দিন থেকেই স্থাপিত হয়েছে তাকওয়ার উপর , তাই আপনার সালাতের জন্য দাঁড়ানোর বেশী হকদার। সেখানে এমন লোক আছে যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন ভালবাসে, আর পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন"।
৯।অজ্ঞতাবশত ভুল হলে আল্লাহ ক্ষমা করেন।(সুরা নাহল, আয়াত - ১১৯)।
" অনন্তর যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর তওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, আপনার পালনকর্তা এসবের পরে তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়ালু "।
১০। আল্লাহর পথে প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করো।(সুরা নাহল, আয়াত - ১২৫)।
" আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে"।
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে আল কোরআন জানার-বুঝার এবং আল কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার তওফিক দান করুন
চলবে -
===============================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৯ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৮ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৭ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৬ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৫ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৪ Click This Link
আল কোরআন সংকলন-সংরক্ষণের ইতিহাস - Click This Link
আল কোরআন এর ২৬ টি আয়াত বাতিল চেয়ে আদালতে দায়ের করা রিট বাতিল করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
- Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৩ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ২ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ১ Click This Link
০৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই , আপনার পোস্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে। আপনার পরিশ্রমের উত্তম বিনিময় দিবেন আল্লাহতায়ালা।
০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:১১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই , আপনার পোস্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
লেখা আপনার নিকট ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল। তার জন্য শুকরিয়া।
মহান আল্লাহপাক আপনাকে সাথে সাথে আমাদের সকলকে ভালর সাথে থাকার ও ভাল কাজ করার তওফিক দান করুন।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৪৫
শেখ শান্ত বিন আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন: আল্লাহ যেন সবাইকে উপদেশগুলো মানার তৌফিক দান করেন। আমিন
০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেখ শান্ত বিন আব্দুর রাজ্জাক ভাই , আপনার পোস্ট পড়া এবং মন্তব্যের জন্য।
মহান আল্লাহপাক আপনাকে সাথে সাথে আমাদের সকলকে ভালর সাথে থাকার ও ভাল কাজ করার এবং আল কোরআনের আদেশ - নিষেধ মেনে চলার তওফিক দান করুন।
আমিন।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৫৮
নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: চালু রাখুন এমন লেখা।
০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নাহিদ ২০১৯ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনাদের সাড়া ও উৎসাহ পেলে ইনশাআল্লাহ চলবে।
মহান আল্লাহপাক আপনাকে সাথে সাথে আমাদের সকলকে ভালর সাথে থাকার ও ভাল কাজ করার এবং আল কোরআনের আদেশ - নিষেধ মেনে চলার তওফিক দান করুন।
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ সুন্দর বলেছেন- মানব জাতির মুক্তির আলোকবর্তিকা।
সমস্যা হলো- আমাদের দেশ চলছে সংবিধান অনুযায়ী।
০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
দেশ চলবে দেশের নিয়মে (কারন - দেশে শুধু মুসলমানরাই বসবাস করেনা। মুসলমান ব্যতীত আরো অনেক ধর্মের মানুষ যেহেতু দেশে বস-বাস করে তাই প্রত্যেকটা দেশ তার নিজস্ব সংবিধান অনুযায়ী চলবে।
আর মুসলমানরা চলবে তাদের ধর্মীয় সংবিধান (আল কোরআন-হাদীস ) অনুযায়ী ।
৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম মানুষকে মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখতে পারছে না।
এমন কি বেহেশতের লোভ এবং জাহান্নামের শাস্তির ভয়ও মানুষকে মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখতে পারছে না। এমন ধর্ম লইয়া আমরা কি করিব?
০৬ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
ধর্ম মানুষকে মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখতে পারছে না। এমন কি বেহেশতের লোভ এবং জাহান্নামের শাস্তির ভয়ও মানুষকে মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখতে পারছে না। এমন ধর্ম লইয়া আমরা কি করিব?
- ধর্ম কাউকে কিছু করতে বাধ্য করেনা ভাই। ধর্ম শুধু মানুষকে দিকনির্দেশনা বা সিলেবাস দেয় বা দিয়েছে। যেমনটা দেয় ছাত্রদের স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা । শিক্ষকদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো ছাত্রদের পড়ানো - দিকনির্দেশনা দেয়া যা সিলেবাস হিসাবে বিবেচিত। এখন কোন ছাত্র যদি শিক্ষকের পড়ানোর প্রতি মনোযোগী হয় তার দিকনির্দেশনা অনুসরন করে এবং প্রদেয় সিলেবাস ভালভাবে শেষ করে তবে সেই ছাত্রের সাফল্য নিশ্চিত ।
একন কোন ছাত্র তা সে যত মেধাবী হউক কিংবা যত ভাল বিদ্যালয়েরই হোক না কেন , সে যদি শিক্ষকের পড়ানোর প্রতি মনোযোগী না হয় তার দিকনির্দেশনা অনুসরন না করে নিজের খেয়াল খুশী মত চলে এবং প্রদেয় সিলেবাস ভালভাবে শেষ না করে তবে তার ব্যর্থতার দায়ভার না শিক্ষকের না বিদ্যালয়ের। এর দায়ভার ছাত্রের ।
ঠিক সেভাবে, আমরা যদি ধর্মের আদেশ-নিষেধ মেনে না চলি, করণীয়-বর্জনীয়,হালাল-হারাম না মেনে নিজের খেয়াল খুশীমত জীবন যাপন করি তাহলে আমাদের জীবনে ধর্মের কোন প্রভাবই পরিলক্ষিত হবেনা। আর এ দায়ভার কোনভাবেই ধর্মের কিংবা আল্লাহর নয় । এর দায় নামমাত্র মুসলমানের।
তাদের নিকট ধর্ম থাকা-না থাকা সমান এবং তাদের কাছে ধর্ম নামে মাত্র।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট!