নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" পবিত্র মাস মাহে রমজান " - রহমত-বরকত-মাগফেরাতের এই মাসে কিছু আমলের অভ্যাস আমাদের সকলেরই করা উচিত।(ঈমান ও আমল - ১৫)।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৫


ছবি - dailyeventnews.com
রমজান মাস - মহান আল্লাহপাকের নিকট হতে রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের মাস। এই মাস মুসলমানদের জন্য আল্লাহপাকের এক বিশেষ অনুকম্পা ও নিয়ামাতের মাস। অধিক পরিমাণে আমলের মাধ্যমে বিপুল সওয়াব অর্জন ও নেকি লাভ সম্ভব এ মাসে। পবিত্র এ মাসেই আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এ ব্যাপারে আল-কোরআনে বলা হয়েছে, " রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা'আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।" (সুরা আল-বাকারাহ, আয়াত - ১৮৫) ।

আর তাই আমাদের সকলকে রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে যেন কাজে লাগানো যায়, সে প্রচেষ্টা চালানো উচিত। কেননা এ মাস আমলের মাস, ইবাদতের মাস। রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, " রমজান- বরকতময় মাস তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে। পুরো মাস রোযা পালন আল্লাহ তোমাদের জন্য ফরয করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো। দুষ্ট শয়তানদের এ মাসে শৃংখলাবদ্ধ করে দেয়া হয়। এ মাসে আল্লাহ কর্তৃক একটি রাত প্রদত্ত হয়েছে, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে (মহা কল্যাণ থেকে) বঞ্চিত হলো"। (সুনান আত-তিরমিজি, হাদিস নং - ৬৮৩)।

পবিত্র এ মাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যেগুলো পালন করার মাধ্যমে আমরা জান্নাতে যেতে পারি, পেতে পারি জাহান্নাম থেকে মুক্তি । আসুন জানি রমজান মাসের কিছু আমল সম্পর্কে -


ছবি - in.pinterest.com

১। তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা - রমজানে কিয়ামুল লাইল করার কথা আছে। কিয়ামুল লাইল শব্দের অর্থ রাতের নামাজ। তারাবির নামাজ যেমন কিয়ামুল লাইলের মধ্যে পড়ে, তেমনি শেষ রাতে তাহাজ্জুদও সালাতুল লাইলের অন্তর্ভুক্ত।

২। কোরআন খতম ও তিলাওয়াত - রমজানে যেহেতু প্রতিটি ইবাদতের সাওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাই এ মাসে যথাসাধ্য বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। মহানবী (সাঃ) বলেছেন,"রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে..."। (আহমাদে মুসনাদ,হাদিস নং - ৬৬২৬)।


ছবি - in.pinterest.com

৩। সদকা বা দান - প্রখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,"মহানবী (সাঃ) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল। আর রমজানে তাঁর বদান্যতা আরো বেড়ে যেত"। (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং - ৩২০৮) । এ মাসে আমাদের সকলেরই সাধ্যানুযায়ী বেশী বেশী দান-সাদকা করা উচিত।

৪। ইতিকাফ - হজরত ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, "মহানবী (সাঃ) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন" (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং - ১১৭১)।

৫।রোজাদারদের ইফতার করানো - রোজাদারকে ইফতার করালে রোজাদারের মতো রোজার সাওয়াব পাওয়া যায়। মহানবী (সাঃ) বলেছেন," যে ব্যক্তি কোনো রোজা পালনকারীকে (রোজাদারকে) ইফতার করাবে, সে রোজা পালনকারীর অনুরূপ সাওয়াব লাভ করবে। এতে রোজা পালনকারীর সাওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না"।(আহমাদ শরীফ, হাদিস নং - ২২৩০২) ।

৬। তাওবা ও ইস্তেগফার করা - আমাদের সকলেরই সর্বদা তাওবা করা ওয়াজিব, বিশেষ করে এ রমজান মাসে তো বটেই। এ মাসে তাওবার অনুকূল অবস্থা বিরাজ করে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, " যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ ক্ষমা করাতে পারেনি, তার নাক ধুলায় ধূসরিত হোক"।(জামেউল উসুল,হাদিস নং - ১৪১০)।

৭। বেশী বেশী নেক আমল করা - রমজান মাসে অধিক হারে নেক আমল করতে চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য একান্ত আবশ্যক, বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, "যখন রমজানের শেষ দশক এসে যেত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তখন রাত্রি জাগরণ করতেন, পরিবারবর্গকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দিতেন, লুঙ্গি শক্ত ও ভালো করে বেঁধে (প্রস্তুতি গ্রহণ) নিতেন"।(মুসলিম শরীফ,হাদিস নং - ১১৭৪) ।

৮। বেশি বেশি জিকির করা - আল্লাহ তাআলার জিকির এমন এক মজবুত রজ্জু, যা মানুষকে স্রষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে। তাঁর সান্নিধ্য লাভের পথ সুগম করে। মানুষকে উত্তম আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত করে। সরল ও সঠিক পথের ওপর অবিচল রাখে। এ কারণে আল্লাহ তাআলা মুসলিম ব্যক্তিকে দিবা-রাত্রি গোপনে-প্রকাশ্যে জিকির করার আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো এবং এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।(সুরা আহজাব, আয়াত- ৪১-৪২)

৯। সাহরি খাওয়া - হাদিসে এসেছে," সাহরি হলো বরকতময় খাবার। তাই কখনো সাহরি খাওয়া বাদ দিয়ো না। এক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরি খেয়ে নাও। কেননা সাহরির খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তাআলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং - ১১১০১)।

১০। ইফতার করা - সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা বিরাট ফজিলতপূর্ণ আমল। এতে কোনো বিলম্ব না করা। কেননা হাদিসে এসেছে,"যে ব্যক্তি রোজা পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে। কেননা পানি হলো বেশি পবিত্র"। (সুনানে আবু দাউদ,হাদিস নং - ২৩৫৭)।

১১। তারাবি পড়া - সালাতুত তারাবি পড়া এ মাসের অন্যতম আমল। তারাবি পড়ার সময় তার হক আদায় করতে হবে। হাদিসে এসেছে, ‘" যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমজানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে"। (বুখারি শরীফ, হাদিস নং - ২০০৯)।


ছবি - zamzam.com

১২। লাইলাতুল কদর তালাশ করা - রমজান মাসে এমন একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল কোরআনের ঘোষণা,"কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম"। (সুরা কদর, আয়াত - ৩). রাসুল (সাঃ) বলেছেন,"যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব পাওয়ার আশায় ইবাদত করবে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে"। (বুখারি শরীফ - হাদিস নং - ৩৫)।

১৩। তাকওয়া অর্জন করা - তাকওয়া এমন একটি গুণ, যা বান্দাকে আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং তাঁর আদেশ মানতে বাধ্য করে। আর রমজান মাস তাকওয়া নামক গুণটি অর্জন করার এক বিশেষ মৌসুম।এ ব্যাপারে আল কোরআনে বলা হয়েছে," হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে করে তোমরা এর মাধ্যমে তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো"। (সুরা বাকারা, আয়াত নং - ১৮৩)।

১৪। ফিতরা দেওয়া - এ মাসে রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণার্থে ফিতরা দেওয়া আবশ্যক। ইবনে ওমর (রাঃ) বলে," মহানবী (সাং) ঈদের সালাত আদায়ের আগে ফিতরাহ আদায় করার আদেশ দিয়েছেন"। (বুখারি শরীফ, হাদিস নং - ১৫০৩) ।

১৫ । বেশী বেশী আয়াতুল কুরসি ও তিন কুল পাঠ করা - প্রতিদিন পঠিতব্য ফজিলতপূর্ণ সুরা ও আয়াতের মধ্যে ‘আয়াতুল কুরসি’ ও ‘তিন কুল’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়াতুল কুরসি পবিত্র কোরআনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আয়াত। আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ হয়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে,"যে ব্যক্তি বিছানায় যাওয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য একজন প্রহরী থাকবে। আর সকাল পর্যন্ত কোনো শয়তান আপনার কাছে আসবে না "। ( বুখারি শরীফ, হাদিস নং - ২৩১১)।
তাছাড়া , নিয়মিত প্রত্যেক ফরজ সালাত আদায়ের পর আয়াতুল কুরসি পাঠকারীর জন্য মৃত্যুর পর জান্নাত। আবু উমামা আল-বাহিলি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না"। (সহিহ আত-তারগিব, হাদিস নং - ১৫৯৫; সহিহ আল-জামে, হাদিস নং - ৬৪৬৪) ।

ফজর ও মাগরিবের পর তিন কুল - ‘তিন কুল’ হলো সুরার শুরুতে ‘কুল’ শব্দ থাকা তিনটি সুরা। যেমন—সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস। প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের পর ‘তিন কুল’ পাঠ করলে যাবতীয় অনিষ্ট হতে রক্ষা পাওয়া যায়। মানুষের জীবনে ‘তিন কুল’ সব ব্যাপারে যথেষ্ট। আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রাঃ) বলেন, "এক ঘুটঘুটে অন্ধকার ও বৃষ্টিমুখর রাতে আমাদের নামাজ আদায় করানোর জন্য আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সন্ধানে বের হলাম। আমি তাঁর দেখা পেলে তিনি বলেন, বলো। কিন্তু আমি কিছুই বললাম না। তিনি পুনরায় বলেন, বলো। এবারও আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বলেন, বলো। এবার আমি প্রশ্ন করলাম, আমি কী বলব? তিনি বলেন, তুমি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে সুরা ইখলাস ও আল-মুআউবিজাতাইন (সুরা ফালাক ও সুরা নাস) পাঠ করবে, আর তা সব ব্যাপারে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে"। (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং - ৩৫৭৫) ।


ছবি - latestly.com

সুরা ইখলাসের ফজিলত - সুরা ইখলাস কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ। সুরা ইখলাস পাঠকারীকে আল্লাহ অত্যন্ত বেশী ভালোবাসেন। আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, "এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে সুরা ইখলাস বারবার পাঠ করতে শোনেন। সকাল হলে তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে হাজির হন এবং ব্যাপারটি তাঁর কাছে উল্লেখ করেন। আর ওই ব্যক্তি যেন উক্ত সুরার পাঠকে কম গুরুত্ব দিচ্ছিলেন। তখন নবী (সাঃ) বলেন, ‘যাঁর হাতে আমার প্রাণ ওই সত্তার কসম! নিশ্চয়ই এ সুরা কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান"। (বুখারি শরীফ, হাদিস নং - ৬৬৪৩) ।

মহান আল্লাহপাক এই পবিত্র মাস মাহে রমজানে আমাদের সকলকে বেশী বেশী আমল করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদের জন্য রমজানের পরিপূর্ণ ক্ষমা-বরকত-মাগফেরাত নসীব করুন।

তথ্যসূত্র - আল কোরআন,হাদীস ও ইসলামী বিশ্বকোষ।
==================================================================

পূর্ববর্তী পোস্ট -

ঈমান ও আমল - ১৪ Click This Link
" পবিত্র মাহে রমজান " - মাহে রমজানের ঐতিহাসিক পটভূমি , গুরুত্ব ও মর্যাদা ।
ঈমান ও আমল - ১৩ Click This Link
" পবিত্র মাস রজব " - রজব মাসের ফজিলত এবং আমল (করণীয়) ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল - ১২ Click This Link
" দোয়া " কি এবং কেন ? কাদের জন্য দোয়া শুধু ধোঁয়া বা কাদের দোয়া কবুল হয়না ?
ঈমান ও আমল - ১১ Click This Link
" পবিত্র ও সম্মানিত মাস মহরম " - হিজরি সনের প্রথম মাস এবং পবিত্র আশুরা ।ইসলামে আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আশুরার দিনে করণীয় ও বর্জনীয় ।
ঈমান ও আমল -১০ Click This Link
("পবিত্র মাস জিলহাজ্জ"-জিলহাজ্জের প্রথম দশ দিন মুসলমানদের নিকট বছরের সেরা দশদিন-ঈমান ও আমলের জন্য)।
ঈমান ও আমল - ৯ Click This Link
(" শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা " - যা সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হাসিলে সাহায্য করে। পবিত্র রমজানের পর যা সকল মুসলমানেরই রাখা উচিত)।
ঈমান ও আমল - ৮ Click This Link
(আজ পবিত্র " লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত "। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।)
ঈমান ও আমল - ৭ Click This Link
("যাকাত " ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়)।
ঈমান ও আমল - ৬ Click This Link
("রোযা" ইসলামের তৃতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যার বিনিময় বা প্রতিদান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন নিজেই দিবেন)।
ঈমান ও আমল - ৫ Click This Link
(" নামাজ " ইসলামের দ্বিতীয় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে পার্থক্যকারী সূচক হিসাবে বিবেচিত এবং মুসলমান মাত্রই দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে)।
ঈমান ও আমল - ৪ Click This Link
("ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ"- যার শুরুটা কালেমা বা ঈমানে। যা শুধু মুখে বলা নয়,অন্তরে বিশ্বাস ও কর্মে পরিণত করার বিষয়)।
ঈমান ও আমল - ৩ Click This Link
(তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব )।
ঈমান ও আমল - ২ Click This Link
("শুক্রবার - পবিত্র জুমা"- মুসলমানদের জন্য এক মর্যাদা ও ফজিলত পূর্ণ দিন এবং জুমার দিনের কতিপয় আমল )।
ঈমান ও আমল - ১ Click This Link
(যেসব আমলে মানুষের অভাব দূর হয় ও জীবন সুখের)।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সব আমল কি আমরা করতে পারছি।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ মশিউর রহমান ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

এটা সত্য যে, জীবনের জটিলতায়,দুনিয়াবী ভোগ-বিলাসে মগ্ন থাকা, ঈমানের দূর্বলতায় কিংবা আরো নানা পারিপার্শিক কারনে আমরা এখন বেশীর মানুষই সঠিকভাবে ধর্ম-কর্ম করতে পারছিনা বা সময়ও হয়না।

তারপরও, রহমতের এই মাসে আমাদের সকলেরই সাধ্যানুসারে কিছুটা হলেও আমলের চেষ্টা করা উচিত।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ তাঁর ইবাদত করার তৌফিক দান করুন আমিন

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কাজী ফাতেমা ছবি , আপনার মন্তব্যের জন্য।

মহান আল্লাহ পাক আপনাকে-আমাকে-আমাদের সকলকে রহমতের এই মাসে বেশী বেশী ইবাদত করার তৌফিক দান করুন ।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ইসলাম পালনে সেরা মুসলিিম দেশ কোনটি?

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শূন্য সারমর্ম ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

"ইসলামিক দেশগুলি কতখানি ইসলামিক" -এই নিয়ে গবেষণা করেন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হুসেন আসকারী ২০১৯ সালে। ইসলাম ধর্মে রাষ্ট্র ও সমাজ চলার যে বিধান দেয়া হয়েছে তা যে দেশগুলি প্রতিদিনের জীবনে মেনে চলে তা খুঁজতে যেয়ে দেখা গেলো, যারা সত্যিকারভাবে ইসলামিক বিধানে চলে তারা কেউ বিশ্বাসী মুসলিম দেশ নয়। তার গবেষণার নমুনায় দু'শ আটটি দেশ ছিল। সেসব দেশের মধ্যে কারা কতটা রাষ্ট্র পরিচালনা ও সমাজের মধ্যে ইসলামি বিধান মেনে চলে, সেসব বিবেচনা করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ইসলামি রীতি মেনে চলা দেশের তালিকার শীর্ষ দশে নেই কোন ইসলামি দেশের নাম। গবেষক হুসেইন আসকারি বলেন, মুসলিম দেশগুলো রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ইসলামি আইন ব্যবহার করে। এমন অনেক দেশ আছে; যেগুলো ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। তবে সেখানকার সমাজে ইসলামি আইন মেনে চলা হয় না, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে, এমনকি ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড চলছে সেখানে।

তার গবেষনার ফলাফল অনুযায়ী দেখা গেছে, সবচেয়ে ইসলামিক বিধান মেনে চলা দেশ হচ্ছে- নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা সপ্তম অবস্থানে। মালয়েশিয়া ৩৮তম, কুয়েত ৪৮তম, বাহরাইন ৬৪তম, এবং অবাক করা কাণ্ড, সৌদি আরব ১৩১তম অবস্থানে। গ্লোবাল ইকোনমি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান সৌদীদেরও নীচে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১০ সালেও এক গবেষণায় ইসলামি বিধান মেনে চলা দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে ইসলামি রাষ্টের নাম ছিল না। ওই গবেষণায় নিউজিল্যান্ড, লাক্সেমবার্গ, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ড ছিল তালিকার শীর্ষে।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৫২

জটিল ভাই বলেছেন:
সুবহানআল্লাহ্। জাজাকাল্লাহ্।

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

এই রমজানে আপনার প্রতি রইলো রমজানের জটিল শুভেচছা। আশা করি রোজাগুলি ভালভাবেই শেষ করার সুযোগ দিবেন দয়াময়।

ভাল থাকেন ভাইজান।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিমরা কি কখনো রাশিয়া ইউক্রেন শাসন করেছে?

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।

মুসলিমরা কি কখনো রাশিয়া ইউক্রেন শাসন করেছে?

- আমার জানামতে এ ধরনের তথ্য ইতিহাসে নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.