নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - unsplash.com
দ্বিতীয় পর্বের লিংক - Click This Link
দ্বিতীয় পর্বের পর -
ডলারের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক রিজার্ভ কারেন্সি বা রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলার একচেটিয়া রাজত্ব করছে সারা বিশ্বে। জ্বালানি তেলের লেনদেনে ডলার ব্যবহারের মাধ্যমে সেই একচেটিয়াত্ব সর্বোচ্চ উচ্চতায় ওঠে, আর তাই বহুকাল ডলার আর নিশ্চয়তা সমার্থক ছিল। এসবই বিভিন্ন দেশকে ডলারে রিজার্ভ রাখতে উৎসাহ জুগিয়েছে। ডলারের এই অর্থনৈতিক আভিজাত্যের রাজনৈতিক ফল ভোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির শাসকেরা বহুবার এ সুবিধাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভিন্নমতালম্বী রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে। এসব আক্রমণে বিভিন্ন সময় তারা সহযোগী করে নিয়েছিল পাউন্ড ও ইউরো'কে।
সামরিক,আর্থিক ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে বিশ্বের প্রধান বা এক নাম্বার অবস্থানে রয়েছে। আবার, কিন্তু নিক্সন-শক কার্যকর হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উঠল বিশ্বের প্রধান রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সামরিক পরাশক্তি এবং এই পরাশক্তির প্রভাবের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার মতো সারা বিশ্বে তখন অন্য কোনো দেশ ছিল না এবং এখনো নেই। স্বভাবতই বিশ্ব অর্থনীতিতে মার্কিন ডলারের এই একাধিপত্যকে মার্কিন সরকার নিজেদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ব্যবহার করেছে। আর তাই, মার্কিন ডলারের মানের পতন ঘটলেও সারা বিশ্বে তাদের আধিপত্য কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর বিরুদ্ধে ডলারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলো অভিযোগ করে যে, যুক্তরাষ্ট্র ডলারকে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন সময়ে ইরান, চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র মূলত ডলার রক্ষার স্বার্থেই। যেমন - ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার একটি দিক হচ্ছে, ইরান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলার ব্যবহার করতে পারে না। যেখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সিংহভাগ ডলারের মাধ্যমে ঘটে থাকে, সেখানে মার্কিন ডলার ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইরানের জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে লিপ্ত হওয়াকে অত্যন্ত কঠিন করে দিয়েছে। একইভাবে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মতো রাষ্ট্রগুলোর ওপরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে, এবং এর ফলে এই রাষ্ট্রগুলো মার্কিন ডলারের একাধিপত্যের তীব্র বিরোধী।এর ফলে এসব দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করা অনেক কঠিন হয়েছে। আমরিকার রোষানলে পড়ে ইরাক, লিবিয়ার মতো অর্থনীতিতে সমৃদ্ধিশালী দেশও ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধুই ডলার না থাকায় বিশ্বের বহু দেশকে দেউলিয়াত্ব বরণ করতে হয়েছে। সদ্য দেউলিয়া হওয়া শ্রীলঙ্কা, লেবানন তার অন্যতম উদাহরণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধার অনেক কারণের কথা বলা হলেও মূল যে কারন বিদ্যমান তা হলো রাশিয়ার ডলার থেকে বের হয়ে আসার প্রচেষ্টা ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী পক্ষকে দমন ও রাজনৈতিক কারণে ডলারকে ক্রমাগত মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারে অনেক দেশ এখন ত্যক্তবিরক্ত। যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আফগানিস্তান থেকে রাশিয়া পর্যন্ত সবার ডলার-রিজার্ভ ইচ্ছেমতো আটকে দিচ্ছে, তাতে মধ্যপন্থী দেশগুলোর ভেতরও ভয় ঢুকেছে। গ্লাজিয়েভের ভাষায়, "ডলার এখন এক বিষাক্ত মুদ্রার নাম"। এ রকম ভীতিকে কাজে লাগিয়েই ডলার আধিপত্যের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ গড়তে চায় চীন - রাশিয়া সহ আরো অনেক দেশ ।
ছবি - global.chinadaily.com.cn
ডলারের বিকল্প কেন জরুরী -
ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ছিল বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রিজার্ভ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং লেনদেনের যোগাযোগব্যবস্থা সুইফট (SWIFT ) থেকে রাশিয়ার অনেক ব্যাংককে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।এ মুহূর্তে প্রায় সম্পূর্ণরূপে রাশিয়া ডলারভিত্তিক আন্তর্জাতিক লেনদেনব্যবস্থা থেকেও বাইরে। এর আগে গত কয়েক বছর যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে ব্যাপকভিত্তিক এক বাণিজ্যযুদ্ধ চালিয়েছে । এ বিষয়ে আমার একটি লেখা (" ট্রাম্প - চীন বাণিজ্য যুদ্ধ এবং চায়না ডি-কাপলিং প্রক্রিয়া" - কার লাভ কার ক্ষতি? নির্বাচনে ট্রাম্পের হার - এ সমস্যার গতিপ্রকৃতি কি হবে বা নতুন কিছু ঘটার সম্ভাবনা আছে কি ?) লিংক - Click This Link
সার্গেই গ্লাজিয়েভ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ রকম অর্থনৈতিক মারণাস্ত্রের বিরুদ্ধে এখনই দাঁড়ানো দরকার রাশিয়া, চীনসহ অন্যদের। এটাকে ‘শেষ বিশ্বযুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করে বইও লিখেছেন তিনি ২০১৬ সালে।
SWIFT বা সুইফট কি - (The Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication বা সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকম্যুনিকেশন হলো ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রাসেলস ভিত্তিক আন্তঃব্যাংক আর্থিক লেনদেনের বার্তা প্রেরণের একটি সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক। নিরাপদ ও দ্রুত অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সুইফট একটি বার্তা নেটওয়ার্ক পদ্ধতি যা মূলত সংকেত লিপি বা নির্ধারিত কোডের মাধ্যমে বার্তা আদান প্রদান এবং নিয়ন্ত্রিত হয়। এক্ষেত্রে লেনদেনের তারবার্তা (ওয়ার) এই কোডের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা হয়। বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের ১১ হাজারের অধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুইফটের মাধ্যমে আন্তঃ ব্যাংকিং লেনদেনের বার্তা প্রেরণ তথা লেনদেন সম্পাদন করে থাকে। বিশ্বের সব কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সুইফটের সদস্য। এজন্য অর্থ লেনদেনের সুবিধায় প্রত্যেক সদস্যকে ৮ বা ১১ কোডের একটি গোপন পিনও সরবারাহ করা হয়।
ছবি - cfr.org
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাল্টা হিসেবে রুশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের একটা বড় প্রকল্প হলো ইউরেশিয়া ইউনিয়ন। বর্তমানে এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন সার্গেই গ্লাজিয়েভ। ইউরেশিয়া ও চীনকে কাছাকাছি এনে এই পণ্ডিত দল বিশ্ব অর্থনীতিতে ডলারবিরোধী নতুন অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। পুতিনের এই পরামর্শকদের পরিকল্পনা হলো ডলারের আধিপত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কিভাবে ইউক্রেন যুদ্ধটা আরও বড় পরিসরে করা যায়। তাঁরা মনে করছেন, ঔপনিবেশিক মুরব্বি হিসেবে ব্রিটিশদের আধিপত্য খর্ব হওয়ার সময় গত শতাব্দির মাঝামাঝি বিশ্ব যেভাবে বড় ধরনের ঝাঁকুনি খেয়েছিল, সে রকম আরেক মুহূর্ত এসেছে এখন। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য কমবে এবং তা কমানোর সুযোগ কাজে লাগানো উচিত। কেবল সার্গেই গ্লাজিয়েভ বা পুতিন নয়, চীন-ভারতও নতুন সেই চিন্তায় শামিল হতে আগ্রহী। তবে এখানে যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে তা হলো, এ ব্যাপারটা এতটা সহজ হবেনা এবং ডলারের আধিপত্য খর্ব করতে গিয়ে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন এবং লিবিয়ার গাদ্দাফি জীবন ও রাজ্য হারিয়ে তার মূল্য দিয়েছেন।
এক কথায়, সারা বিশ্ব শোষিত হচ্ছে আমেরিকান ডলারে। ফলে ডলারের বিকল্প খুঁজছে সারা বিশ্ব যা কখনো ইউরো, কখনো রুবল কিংবা কখনোবা ইউয়ানে । আবার কেউ কেউ বলছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি হতে পারে ডলারের বিকল্প কিন্তু এখানে মূল যে বিষয়টা হলো, সেখানে ওয়াশিংটনের জায়গায় বিশ্বে তখন আধিপত্য করবে বেইজিং, মস্কো ও নয়াদিল্লি। সুতরাং কেবল ডলার উচ্ছেদ করে বিকল্প কোনো মুদ্রার আধিপত্য সৃষ্টি না করে এমন মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করতে হবে যেন প্রতিটি স্বাধীন দেশ স্বাধীনভাবে তার অর্থনীতি ও মুদ্রানীতি পরিচালনা করতে পারে,শোষিত না হয়।
কোটি টাকার প্রশ্ন হলো - সেই অর্থ ব্যবস্থাটি কী --------
---------------------------
জবাবদিহীতা - এই লিখা লিখতে নিম্নে বর্ণিত তথ্যসূত্র ছাড়াও আরও অনেক জায়গা থেকে ছোট-খাট সাহায্য নিতে হয়েছে যা আমি এখানে উল্লেখ করিনি। তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।
পূর্ববতী পোস্ট -
১। প্রথম পর্বের লিংক - Click This Link
==========================================================
তথ্যসূত্র -
১। উইকিপিডিয়া - SWIFT - https://bn.wikipedia.org/wiki/
২। Money - https://www.britannica.com/topic/money
৩। নিউ ইয়র্ক টাইমস - Click This Link
৪। যেভাবে মার্কিন ডলার বিশ্বজুড়ে আধিপত্য স্থাপন করেছিল - Click This Link
৫। Encyclopaedia Britannica - লিংক - https://www.britannica.com/topic/fiat-money
৬। দানা বাঁধছে ডলার বিরোধী মহাযুদ্ধ - প্রথম আলো (২০/০৯/২০২২) - https://www.prothomalo.com/world/europ
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার প্রথম ও চরম মন্তব্যের জন্য।
কমেন্ট করলে দুইচাইরা ডলার দিলে অনেক ভালো ভালো কমেন্ট করতাম আর প্লাস দিতাম।
- "দিমু দিমু সব দিমু,
সাথে দু-চারটা ডলার কেন ?
শয়ে শয়ে ডলার দিমু" - খালি ঠিকানা পাঠান ।
যদি রাজি থাকেন তবে বলেন, পোস্টে প্লাস দিমু।
- একেবারে শতভাগ রাজি ও এক পায়ে খাড়া ভাইজান। ভার্চুয়াল মানি আছেনা?
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৬
নতুন বলেছেন: আগের দিনে দেশ দখল করে সম্রাজ্যবাদ চলতো।
এখন সেটা অর্থনিতি দখল করে চলে।
আমেরিকার হাত থেকে সেই ক্ষমতা নিতে চায়না চেস্টা করে যাচ্ছে। সেটা দেখার পালা এখন।
আমার মনে হয় আমাদের জীবদ্বশায় এই পরিবর্তন দেখে যেতে পারবো।
কিন্তু আমার মনে হয় চৌনিক সম্রাজ্য আমেরিকার থেকে বেশি খারাপ হবে। ওরা ব্যবসাটা খুব বেশি বোঝে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
আগের দিনে দেশ দখল করে সম্রাজ্যবাদ চলতো। এখন সেটা অর্থনিতি দখল করে চলে।
- এটা আপনি সঠিক বলেছেন। আর একন দেশ দখল করাও আগের মত সহজ নয় তবে সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে অর্থনৈতিক দখল কায়েম করতে পারলে দেশ দখলের আর দরকার পড়েনা। একটা দেশের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই দেশ দখল থেকে বেশী সুবিধা পাওয়া।
দেশ দখলের অনেক ঝামেলার সাথে সাথে দায়িত্ব ও কর্তব্যও দখলদারদের উপর বর্তায় যা অর্থনীতিকে দখলে নেই।
আমেরিকার হাত থেকে সেই ক্ষমতা নিতে চায়না চেস্টা করে যাচ্ছে। সেটা দেখার পালা এখন। আমার মনে হয় আমাদের জীবদ্বশায় এই পরিবর্তন দেখে যেতে পারবো।
- এটা এখন সারা দুনিয়ার এক নং দাবী তবে তার জন্য আরো অনেক কিছু করতে হবে চীনকে । আর আমেরিকা ও ইউরোপ (সাদা আধিপত্যবাদীরা) এত সহজে যে তাতে ছাড় দিবে এমনও নয়। তবে "ব্রিকস" - এর মাধ্যমে এবং রাশিয়া- ইউক্রেন সংকটের ফলে তা আগের চেয়ে অনেক বেশী দৃশ্যমান হচছে - এটাও ঠিক।
কিন্তু আমার মনে হয় চৌনিক সম্রাজ্য আমেরিকার থেকে বেশি খারাপ হবে। ওরা ব্যবসাটা খুব বেশি বোঝে।
- সারা দুনিয়ায় যত কলোনী শাসন তথা দখলদারী হয়েছে তা সবই ই্উরোপ-আমেরিকার অবদান। এদিক থেকে চীন কিংবা রাশিয়া অনেকটাই মুক্ত তবে পশ্চিমা মিডিয়া ও তাদের শাসকরা এত সহজে চীন-রাশিয়াকে সফল হতে দিবেনা।
চীন সারা দুনিয়া সরবরাহকারী জাতি দখলদারী নয়। তারা ব্যবসা আসলেই খুব ভাল বোঝে । আর এ জায়গায় তাদের জন্য সবচেয়ে বড় যে সুবিধা তা হলো সীমাহীন পুজির সাথে সাথে বিপুল পরিমানে দক্ষ শ্রমশক্তি।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২
কামাল৮০ বলেছেন: বিশ্বের সকল দেশের নতুন একটা মুদ্রা ব্যবস্থার কথা চিন্তা করার সময় এসে গেছে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল৮০ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
বিশ্বের সকল দেশের নতুন একটা মুদ্রা ব্যবস্থার কথা চিন্তা করার সময় এসে গেছে।
- আমেরিকা-ইউরোপের বাইরে এ ব্যাপারে একটা জোট গড়ে উঠার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচছে তবে তার সফলতা অনেকগুলি যদি'র উপর নির্ভর করবে।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০
সোনালি কাবিন বলেছেন: খুব সুন্দর করে ডলারের ভূমিকা বুঝিয়ে বলেছেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনালি কাবিন , আপনার মন্তব্যের জন্য
খুব সুন্দর করে ডলারের ভূমিকা বুঝিয়ে বলেছেন।
- আসলে সাধারন ও কৌতুহলী মানুষ হিসাবে এ ব্যাপারে (ডলারের মনোপলি) কিছু জানতে চেয়েছিলাম আর সেই জানাটুকু সবার সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই এ লেখা।
ভাল থাকবেন।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৩
নতুন বলেছেন: কিন্তু আমার মনে হয় চৌনিক সম্রাজ্য আমেরিকার থেকে বেশি খারাপ হবে। ওরা ব্যবসাটা খুব বেশি বোঝে।
- সারা দুনিয়ায় যত কলোনী শাসন তথা দখলদারী হয়েছে তা সবই ই্উরোপ-আমেরিকার অবদান। এদিক থেকে চীন কিংবা রাশিয়া অনেকটাই মুক্ত তবে পশ্চিমা মিডিয়া ও তাদের শাসকরা এত সহজে চীন-রাশিয়াকে সফল হতে দিবেনা।
চীন সারা দুনিয়া সরবরাহকারী জাতি দখলদারী নয়। তারা ব্যবসা আসলেই খুব ভাল বোঝে । আর এ জায়গায় তাদের জন্য সবচেয়ে বড় যে সুবিধা তা হলো সীমাহীন পুজির সাথে সাথে বিপুল পরিমানে দক্ষ শ্রমশক্তি।
চীনের সরকার মানবতার ধার ধারেনা, তাদের জনগন কথা বলতে পারেনা, তারা মানুষের চেয়ে টাকার মূল্য বেশি দিবে। এমন আরো অনেক কিছু সমস্যা আসবে যেটা আমেরিকান বর্তমানের সম্রাজ্যের চেয়েও আরো অনেক বেশি ভয়ংকর হবে বলেই আমার ধারনা।
কড়াই থেকে চুলায় ঝাপ দেবার মতন হবে ব্যাপারটা।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
চীনের সরকার মানবতার ধার ধারেনা, তাদের জনগন কথা বলতে পারেনা, তারা মানুষের চেয়ে টাকার মূল্য বেশি দিবে। এমন আরো অনেক কিছু সমস্যা আসবে যেটা আমেরিকান বর্তমানের সম্রাজ্যের চেয়েও আরো অনেক বেশি ভয়ংকর হবে বলেই আমার ধারনা।
- যেহেতু চীনে পশ্চিমা গণতন্ত্র নেই এবং জনগনের মত প্রকাশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেই হিসাবে আপনি যা বলেছেন তা এক প্রকার ঠিকই বলেছেন। তবে চীনের নিজেদের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করলে যে রাজনৈতিক পদ্ধতি তাদের চলতেছে তা ঠিকই আছে ।তবে বিশ্বনেতা হতে হলে চীনের আরো অনেক কিছু করতে হবে এবং ছাড় দিবে অর্থনীতির সাথে সাথে রাজনীতিতেও। নতুবা সাফল্য পাওয়া মুশকিল হবে বলে মনে হয়।
কড়াই থেকে চুলায় ঝাপ দেবার মতন হবে ব্যাপারটা।
- ভাইজান , দেশে একটা কথা আছেনা, " জলে কুমির ডাঙায় বাঘ " অথবা " কই যাবিরে উসমান, চারিদিকে আসমান" - এর মত গরীব দেশের তথা জনগনের যাওয়ার জায়গা এমনিতেই সীমিত তা দেশ কিংবা জাতি যাই হোক না কেন।
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৫
কামাল৮০ বলেছেন: আমেরিকা ইউরোপ সহ সবার চিন্তা করা প্রয়োজন।ইউরোপ এখন বলছে,আমরাতো তৃতীয় বিশ্ব হতে চললাম,এই নিষেধাজ্ঞার ফলে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ কামাল৮০ ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
আমেরিকা ইউরোপ সহ সবার চিন্তা করা প্রয়োজন।ইউরোপ এখন বলছে,আমরাতো তৃতীয় বিশ্ব হতে চললাম,এই নিষেধাজ্ঞার ফলে।
- আমেরিকা আর ইউরোপ একই সুর-তাল-লয়ে চিন্তা করে। আমেরিকা যদি হয় বর (জামাই) তাহলে বৃটেন হলো তার কনে (বউ) আর পুরো ইউরোপ হলো আমেরিকার শ্বশুরবাড়ী যেখানে আমেরিকা সবসময় জামাই আদরে গৃহীত হয় ( আমেরিকার সকল অন্যায় কাজের সহযোগী + clean chit প্রদান কারী ও বটে) । কারন , এসবই সাদা আধিপত্যবাদীদের জন্য এবং তারা উভয়েই উভয়ের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে বাকী বিশ্বকে শোষণ ও তাদের স্বার্থ উদ্ধার এবং অস্ত্র বাজারজাত করে রমরমা ব্যবসা করার জন্য।
আর , সারা দুনিয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সুফল ভোগ করতে করতে তাদের আত্ম বিশ্বাস এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, তার ভূলে গিয়েছে রাশিয়া আর ইরান কিংবা উত্তর কোরিয়া এক নয়।
এখন রাশিয়া যদি ফাইনালি গেইন করতে পারে তাহলে পুরো বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে একটা পরিবর্তন হবে , এটা নিশ্চিত।
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫২
অপ্সরা বলেছেন: এত কঠিন লেখা পড়তে পারবো না।
তুমি তাই একটা পেলাস দিলাম!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মেরে পেয়ারি বনি, আপনার মন্তব্যের জন্য।
এত কঠিন লেখা পড়তে পারবো না।
- এতটা কঠিন না বনি, একটু চেষ্টা করলেই চাবানো (পড়া) যেত। কি আর করা?
তুমি তাই একটা পেলাস দিলাম!
- না পড়েই +, তাহলে না পড়াই ভালো ( দেশের শিক্ষার যে হাল হয়েছে এখন আর কেউ পড়ে না । না পড়েই সবাই +++ পায়। তাইলে আমিও আর পড়ুম না খালি পেলাস দিমু।
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা কি সত্যি যে সি আই এ ডলার ছাপিয়ে তাদের বিভিন্ন অভিযানের খরচ নির্বাহ করতো?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য
এটা কি সত্যি যে সি আই এ ডলার ছাপিয়ে তাদের বিভিন্ন অভিযানের খরচ নির্বাহ করতো?
- " যাহা রটে তঝা কিছুনা কিছু বটে " - আর আমেরিকার ডলার ছাপাতে ত শুধু কিছু কাগজ দরকার। কাজেই এর সম্ভাবনা একেবারেই যে ছিলনা বা এখনো নেই এমন নয়।
আর এটা ত মিছা নয় , " যার কাছে যে সুবিধা আছে সে এটা তার সুবিধার জন্য ব্যবহার করবেই"।
৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: রাশিয়া চিন ইরান ইন্ডিয়া চেষ্টা করছে ডলারের বিকল্প বের করার.....যা আমার পছন্দ হয়েছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
রাশিয়া চিন ইরান ইন্ডিয়া চেষ্টা করছে ডলারের বিকল্প বের করার.....যা আমার পছন্দ হয়েছে।
- বিশ্বের প্রায় অর্ধেকের বেশী মানুষ তথা ভোক্তা রাশিয়া-চীন-ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং তাদের অর্থনীতির পরিধী ও আর্থিক কার্যক্রমও ফেলে দেওয়ার মত নয়।আবার এরা প্রত্যেকেই অনেকগুলি দিকে সরবরাহকারী দেশ । কাজেই তারা মিলিত ভাবে চাইলে অবশ্যই ডলারের বিকল্প দাড় করাতে পারবে বলেই মনে হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
নতুন বলেছেন: কমেন্ট করলে দুইচাইরা ডলার দিলে অনেক ভালো ভালো কমেন্ট করতাম আর প্লাস দিতাম।
যদি রাজি থাকেন তবে বলেন, পোস্টে প্লাস দিমু।