![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-ভাইয়া আরশি কোথায়? (আশিক)
- ও তো আমার সাথেই আছে। (জয়)
-কি বলেন আরশি আপনার সাথে? কিভাবে সম্ভব?ও তো আমার সাথে।... (আশিক)
-আরে নারে ভাই ও এখন আমার সাথেই আছে। (জয়)
-তাহলে আমার সাথে যে আছে সেকি আরশির ফটোকপি নাকি? নাকি ওর জমজ বোন? ( আশিক)
*
আশিক ও জয় আরশি কে ভালবাসে।
অবাক হলেন তাইনা? মেয়ে তো একজনকেই ভালবাসবে, আর যদিও দুই জন এর প্রতি ভালবাসা থাকে তবে সেটা হবে অভিনয়।
আরশি মেয়েটা আশিক কে ই ভালবাসে।
কিন্তু এরপরেও কেন জানি জয় আরশি ও আশিকের পিছনে লেগেই রয়েছে।....
*
আরশির বোন রিশা,ক্যারেক্টার ভালনা।অনেক ছেলের সাথে রিলেশন রাখে,টাকা খায়।
এর আগে বলে দিতে চাই আরশি কিন্তু তার বোনের মতন না।..
আশিকের প্রতি তার ভালবাসাটা ছিল পবিত্র।
-
কিন্তু রিশা চাইতো সে তার বোনকেও তার মতই বানাবে,কিন্তু আরশি পাত্তা দিত না।
মধ্যবিত্ত পরিবার এর মেয়ে আরশি ও রিশা। বুঝতেই পারছেন তাহলে....।
-
আশিক ছেলেটা আরশি কে ভালবাসে। আরশি যখন ক্লাস ৯ এ পড়ে তখন থেকে তারা প্রেম করতো।....
আর এই কথাটা শুধু রিশা ই জানতো।...
-
এর পরে রিশা চালাকি করে আশিক এর সাথে একটা চুক্তি করে,আর চুক্তিটি ছিল আরশির সকল পড়ালেখার খরচ আশিক কে দিতে হবে যার বিনিময়ে যেভাবেই হোক সে তার বোন কে আশিকের হাতে তুলে দিবে।
আর সাক্ষী রাখে পবিত্র কোরআন কে,আসলে তা ছিল মিথ্যা সাক্ষী।
এইবার বোঝেন যে মেয়ে কোরআন নিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারে সে কেমন মেয়ে হবে?
আর এতে আশিক ও না বুঝে রিশার ফাদে পা দেয়।
তার ধারমা সে তা বোনকে তার হাতে তুলে দিবে,আবার সে কসম ও কেটেছে যা ছিল একটা মিথ্যা কসম।
-
রিশা মেয়েটা খুব চালাক,এক কথায় সে মানুষের মন নিয়ে খেলা করে। তার কাছে মানুষের মন খেলনা স্বরুপ।
আর যা নিয়ে খেলাই তার অভ্যাস।..
-
এর পর থেকে সে আশিকের নিকট হতে সে টাকা হাতাতে থাকে,১০০০/২০০০/৫০০০ এমন করতে করতে মোট ৭০,০০০ টাকার উপরে নেয়।
যার বিনিময়ে আশিক প্রতিদিন আরশির সাথে ফোনে কথা বলতে পারতো আর মাঝে মাঝে তার স্কুলের সামনে গিয়ে দেখে কথা বলতে পারতো।...
-
রিশা যে টাকা নেয় তা আরশি ও জানতো না।কারন এটা না বলার শর্ত রাখা হয়েছিল।
রিশা টাকা নিয়ে সব টাকা নিজেই খরচ করত,অথচ আরশি কে এক পয়সা ও দেয়নি।
কারন কী জানেন? আরশি হলো তার কাছে একটা খেলনা,একটা পুতুল, আর যেটা তাকে টাকা পেতে সাহায্য করবে।
-
অপরদিকে রিশা তার বোনের পিছনে জয় কে ও লাগিয়ে দেয়।আর জয়কেও সে একই কথা বলেছিল যে সে তার বোনকে জয়ের হাতে তুলে দিবে,যার বিনিময়ে তাকে আরশির পড়ালেখার খরচ দিতে হবে।...
জয় ও আশিকের মত গাধা হয়ে যায়।সেও তাকে টাকা দিতে থাকে।
বলা যায় যে আশিক ও জয় একটা এটিএম বুথ,যেখানে টাকা চাইলেই পাওয়া যায়।
-
জয় আশিকের চেয়ে বড়লোক,লাখপতি বাবার সন্তান।
সে আরশি পড়ালেখার খরচের জন্য টাকা দিতে থাকে,যার জন্য মাঝে মাঝে আরশি কে নিয়ে যায় কোথায় ঘুড়তে যেতে পারতো।কিছু সময় কাটাতে পারতো।
আরশি জয়ের সাথে যেতে চাইতো না,এতে রিশা তাকে ভয় দেখিয়ে বলত যে সে তার বাবা মাকে জানিয়ে দিবে যে সে আশিকের সাথে প্রেম করে,ওকে ভালবাসে।
আর এতে করে মেয়েটাও আর না গিয়ে পারতো না।
তার ভয় তার মা বাবা যদি জানতে পারে সে আশিকের সাথে প্রেম করে তাহলে হয়তো তার পড়ালেখাটা থেমে যাবে।যা সে কখনই চাইতো না।মেয়েটার স্বপ্ন ছিল অনেক।মধ্যবিত্ত পরিবারে সকল কষ্ট মোচন করার ক্ষেত্রে ছিল তার চেষ্টা।
-
আর এদিকে রিশা বসে বসে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে থাকে।....
আর এভাবেই চলতে থাকে আরশির লেখা পড়া।
★
১৯ মার্চ আরশির (HSC) পরিক্ষা শেষ.....
যার ফলে আরশি আশিকের সাথে কিছু সময় কাটাতে ঘুড়তে যায়।বেশি না আধা ঘন্টার মত।
রিকশায় করে বাসায় ফিরার পথে আরশির আম্মু তাদের দুজনকে দেখে ফেলেন।
আরশি বাসায় ফেরার পরে শুরু হয় তার আম্মুর বকা,থাপ্পড় মার।
অতঃপর তার মা সব কিছু জানতে পারে,কিন্তু তার মা তখনও জানত না যে তার বড় মেয়ে রিশা আরশির পিছনে জয় কেও সংযুক্ত করেছে।....
-
একদিন আশিক তার বাসার সামনে আসলে তার মা তাকে লক্ষ করে ছিনতাই কারি বলে চেঁচামেচি করে আশিক কে গন পিটুনি দেয়।কোনমতে সে সেখান থেকে চলে আসে।
-
এ বিষয়ে আরশির বাবা কিছুই জানতেন না।সারাদিন তার সিএনজি নিয়ে বাইরে থাকতেন বাসায় ফিরতেন অনেক রাতে।
-
আরশির মা যখন যানতে পারেন যে জয় তাকে ভালবাসে। যা তাকে আরশি ই বলেছিল।তার বোন তাকে জয়ের কাছে পাঠায় তাও বলে,কিন্তু আজব বিষয় এতে করে সে কিছুই মনে করেনা তিনি আরও খুশি হন কারন জয় লাখপতি বাবার সন্তান আর এতে করে তাদের লাভ হবে।
যার ফলে রিশা ও তার মা আরশির বিয়ে নিয়ে কথা বলছেন । তাও জয়ের সাথে।তাদের প্লান ছিল তারা আরশির বাবাকে না জানিয়ে বিয়ে দিবেন।পরে জানতে পারল আর সমস্যা হবেনা।
দেখেন কেমন মা যে নাকি বড় বোনের আগে ছোট মেয়ে আরশি কে বিয়ে দিবে।
যা আরশি জানতে পেরে চুপ করে থাকে।
কারন সেই সময় তার কোন কিছু করার ছিলনা।
-
অতঃপর সে আশিক কে সব কিছু জানান দেয়।
আশিক তাকে কিছু না বলে জিজ্ঞাস করেছ তারা এখন কী করবে?
মেয়েটা উত্তরে বলেছিল, ঘড় ছেড়ে পালাবে।
কথামত বিয়ের ঠিক আগের রাতেই মেয়েটা ঘড় ছেড়ে পালায় আশিকের সাথে।....
-
মেয়েটার পড়নে একটা কাপড় এছাড়া আর কাপড় আনতে পারেনি সে।পরে আশিক তাকে নতুন জামা কিনে দেয়।
হায়রে ভালবাসা!পাপ করে মা বোন মিলে ভুগতে হয় আরশির।...
-
আরশির মা,ও রিশা অস্থিরতায় ভুগছে। তাদের চিন্তায় মাথা ব্যথার উপক্রম। দেখেন এতো কিছু হয়ে গেল কিন্তু তার বাবা কিছুই জানেনা।আরশি কে বাবা না, দেখতে পেয়ে তার কথা জিজ্ঞাস করলে বলা হতো ও নাকি তার মামার বাসায় গেছে।...
-
আরশি তার মাকে ফোন দিয়ে বলে যে, যদি সে আশিকের সাথে তার বিয়ে না দেয় তাহলে সে আর বাসায় ফিরে আসবে না...।
আর এতে করে তারা খুব সহজেই মেনে নেয়।যা ছিল অভিনয়।
আশিক এবার ভাল করে জানে এসব অভিনয়। তাই পাত্তা দেয় না।
পরে আবার রিশার অনুরোধ জয় আশিক কে ফোন দেয়....
-হ্যা আশিক।
-হুম্ম বলেন।
-ভাই আরশি আর তুমি কোথায় আছো? যেখানেই থাক ফিরে আস।
-ভাই আপনাদের প্লানিং গুলা যাষ্ট পারফেক্ট। আমরা আসব এর পরে বিয়েটা হবে আপনার সাথে।
-না ভাইয়া বিয়েটা তোমার সাথেই হবে ওয়াদা রইল।...
-কেন ভাই ওকে বিয়ে করবেন না?
-নাহ!
-কেন?
আরশি তো তোমাকে ভালবাসে তাহলে কোন অধিকার এ আমি তাকে নিজের বলে বিবেচিত করব?
-আপনি কী কান্না করছেন?
-কই নাতো হয়ত বাতাসের শব্দ পাচ্ছেন রিকশায় আছিতো তাই...
-ওহ,ভাইয়া আপনার এমন ক্ষতি করলো রিশা আপনি কিছু বললেন না?এত্ত গুলা টাকা নিছে।
-আরে ভাই বাদ দাও ওটা আমার বাইকের ৩ মাসের তেলের টাকা।
-কিন্তু আপনার চোখের পানির দাম কী সেই টাকায় শোধাবে?
-
অতঃপর ছেলেটা নিশ্চুপ ভাবে ফোনটা রেখে দেয়।সে কান্না করছিল কারন তার সাথে ধোকা হইছিল।...
আশিক তখন ও বাসায় ফিরে না।
এভাবে ১০-১২ দিন কেটে যায়, তাদের ভাবনা ছিল বিয়েটা হয়ে যেতে,কিন্তু তা সম্ভব না।কারন আরশির বয়স ১৭ বছর যার ফলে তাও সম্ভব হচ্ছিল না..
*
আর একদিন তার বাবা জেনে যায় যে আরশি আশিকের সাথে পালিয়েছে।
এর পরে সে রেগে গিয়ে তার মাকে অনেক মারে,কিন্তু মার খাওয়ার উচিৎ ছিল রিশার কারন সেই সব কিছুর মূলে।
-
এর পরে তার বাবা আরশির কাছে ফোন দেয় কিন্তু কথা হয় আশিকের সাথে...
-হ্যাল।
-জ্বী,আসসালামু আলাইকুম।
-হুম্ম।দেখ আশিক তোমাদের কাজটা ঠিক হয়নি।আমাকে জানাতে হয়ত এতে কোন উপায় বের করতাম।
-মাফ করবেন।
-তোমরা আসবে কখন?
-আসার পরে তো আমাদের আলাদা করে দিবেন.... তাহলে কেন আসব?
-না কেউ তোমাদের কিছু বলবে না চলে এস।আমার কথা শোন...।
-হুম্ম আমি আপনাকে জানাচ্ছি।
-
আরশি তার বাবার কথা শুনে বাসায় ফেরার জন্য রাজি হয়ে যায় কারন সে জানত তার বাবার কথা সত্য।আর তিনি কথা দিয়ে কথা রাখতেন.....
অতঃপর তার একদিন পরে তারা ফিরে যায় বাসায়।তাদের কেউ কিছু বলেনা।তখন আরশির চোখে তার মা ও রিশার জন্য ছিল শুধু ঘৃণা।
-
দেখেন ভালবাসা কত আসহায়?কত কষ্ট।আবার তার মাঝে বিষ হয়ে নেমেছিল আরশি। এ যেন বোন নামের কলংক। এমন বোন থাকার চেয়ে না থাকা ভাল ছিল।
-
এখানে কাউর চেয়ে কার দোষ কমনা
তার বাবার কোন দোষ ছিলনা।কারন যা হয়েছিল তার অজান্তেই।আর একটা মস্ত বড় ভুল হলো রিশার মত একটা মেয়েকে জন্ম দেয়া।
এখানে তার মার ওভুল হয়েছে। সে কিভাবে তার মেয়েকে পন্যের সাথে তুলনা দিতে পারে...।
বলবেন গরিব বলে কথা।ঠিক আছে গরিব তাই বলে কি এতো খারাপ কাজ করবেন?
-
জয় তো ছিল কাপুরুষ। যার ফলে এতো কষ্ট দেয়ার পরেও সে কাউকে কিছু বলেনা,আর হয়ত এতে করে রিশার মনে এর চেয়ে বড় কিছু করার উচিৎ ছিল।....
-
আর রিশা?ওর কথা তো বললাম ই যা বললাম এতেই বুঝে গেছেন আপনারা....
-
একটা প্রশ্ন রিশা কী আসলেই একটা বোন?একটা বাবার মেয়ে?.....
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৯
bdanik24 বলেছেন: হুম।,,সব পরিস্থিতির স্বীকার।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ১৭ বছরের এক মেয়ের সাথে এত কাহিনী???
কিছু মনে করবেন না, লেখাটা উদ্ভট।