নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলনদ

মাহমুদুল হাসান কায়রো

যাযাবর, অান্তর্জাতিক যাযাবর।

মাহমুদুল হাসান কায়রো › বিস্তারিত পোস্টঃ

সীমান্তে ভারতের ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি তরুনদের ভাবনা। (আপনার সুচিন্তিত মতামত জানান)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫



প্রকৃতপক্ষে সীমান্তে ভারতের আসল চেহারা মাত্র ফুটে উঠল। তারা বাংলাদেশকে কখনোই বন্ধু ভাবেনি আর কোন দিন ভাববেও না। তারা নিজেদের স্বার্থে উপরে ভাল ব্যবহারের অভিনয় করে। আর ভিতরে ভিতরে কিভাবে বাংলাদেশকে গোলাম বানিয়ে রাখা যায় সেই প্ল্যান করে। ফেলানীর ঘটনা তাদের অভিনয়ের মুখোশ

উন্মেষিত করে দিয়েছে। আর সাম্প্রতিক সীমান্তে নিরাপত্তার নামে চালক বিহীন বিমান (ড্রোন) ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে ভারত।



আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে কি ভূমিকা রাখে সেটা তরুন সমাজ দেখতে চায়। এই ড্রোন থেরাপীর সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে তারা আসলে ফেলানীর মত তরুনীদের পানি পানি চিৎকারে কতটুকু লজ্জিত।



বাংলাদেশ ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব বেশি পার্থক্যের নয়। যদিও তাদের টেকনোলজি বিশ্বমানের তবুও সেটার প্রভাব সাধারণ জনসাধারনের উপর পরে নি। ফলে খোলা বাজারের অর্থনীতি বাংলাদেশের থেকে খুব বেশি উন্নত নয়। ফলে দল বেঁধে সে দেশে গিয়ে কাজ করা বা বিজনেস করার মত পরিবেশ সে দেশে এখনো সৃষ্টি হয় নাই। বরং এখনো তাদের দেশে অনাহারীর শতকরা হিসেব আমাদের থেকে অনেক বেশীই। আর কৃষক মৃত্যুরর হারে তো তারা পৃথিবীতেই চ্যাম্পিয়ন। তার পরও কিছু বাংলাদেশি অবৈধ ভাবে সেদেশে প্রবেশ করে। এটা সত্য।

- প্রথমত বাংলাদেশ সরকারের উচিত এই অনুপ্রবেশ বন্ধে স্থায়ি পদক্ষেপ নেয়া।

- দ্বিতীয়ত চোরাচালানি বন্ধে দুই দেশেরই কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া।



মূলত: অবৈধ অনুপ্রবেশের অধিকাংশই প্রবেশ করে চোরাকারবারির প্রয়াসে। আর এই কারবারিতে দুই দেশের লোকই জড়িত। শুধু তাই নয়, এই কারবারিতে জড়িত থাকে স্বয়ং বিএসএফ এর সদস্যরাও। অধিকাংশ হত্যাকান্ডের ঘটনা অনুসন্ধান করলে খবর চলে আসে বিএসএফ এর সাথে লেনদেনের হেরফের হওয়ার। ফলে রাগান্বিত সেনা সদস্য নিজেই গুলি করে কেড়ে নেয় তাজা প্রাণ।



আসলে চোরাচালানির বিষয়টি বাদ দিয়ে বাকি যেই সব ঘটনা সীমান্তে ঘটে সেগুলো খুবই স্বাভাববিক। অন্যান্য দেশের অনেক সীমানতেই এমনটা ঘটে। আমাদের দুই দেশ অপেক্ষাকৃত গরিব ও অধিক জনসংখ্যা হেতু ঘটনা একটু বেশি ঘটবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেজন্যে এটা নিয়ন্ত্রন করার জন্যে ড্রোন ব্যবহার করতে হবে এটা কি কোন কমন সেন্সের বিষয় হলো???



এতে সমাজে বিশেষ করে সীমান্ত অন্চল গুলোতে অযথাই সারা বছর উত্তেজনা বিরাজ করবে যা কখনোই কারো জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না। বরং ছোট খাট ঝামেলা আতংকের কারনে বৃহৎ আকারের রূপ নিবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দু'দেশই।



আরেকটি সমস্যা সামনে হবে সেটা হলো জঙ্গিবাদ সমস্যা। আমাদের দেশে অন্য অনেক দেশের চেয়ে জঙ্গি হামলা বা গোপন হামাল অনেক কম হয়। ভারতের চেয়েও কম হয়। এতে বর্তমান সরকারের কিছু পদক্ষেপের প্রশংসা করতে হলেও তাদের আরেকটি গুনাগুন তেমনি ভাবে নিন্দনিয়। তারা বাংলাদেশের ছোটখাট কিছু সমস্যাকে জঙ্গি হিসেবে বহির্বিশ্বে প্রচারনা করে বিরোধীদকলে হেনস্তা করতে গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। এই সমস্যাটাই অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য কাল হয়ে দাড়াবে। ভারত নিজেদের সেফটির জন্যে খুব সহজেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অন্চলের উপর নজড়দারি করবে এবং বিনা প্রয়োজনে আমাদের অভ্যন্তরিন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে।



সুতুরাং, আমরা তরুন সমাজ আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সুদূর প্রসারি সিদ্ধান্ত নিতে চাই। আমরা ভোটের রাজনীতি হিসেব করে পাঁচ বছরের চিন্তা করি না। তাই, আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহলকে অনুরোধ করব দয়া করে আামদের তরুনদের ভবিষ্যত চিন্তা করে এবং আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ভারতকে সীমান্তে ড্রোন ব্যবস্থার পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে বাধ্য করুন।











আমরা ভারতকে প্রভু নয় বন্ধু হিসেবে পেতে চাই........





ফেসবুকে আলোচনা করতে চাইলে Click This Link

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাই, আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহলকে অনুরোধ করব দয়া করে আামদের তরুনদের ভবিষ্যত চিন্তা করে এবং আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ভারতকে সীমান্তে ড্রোন ব্যবস্থার পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে বাধ্য করুন।
একমত +
সময়ের সাহসি লেখা
ধন্যবাদ +

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৫

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ধন্যবাদ প্রথম কমেন্টের জন্য প্রিয় পরিবেশ ভাই।


এই বিষয়ের উপর আপনি একটি ঝাঝালো কবিতা লিখে ফেলেন বদ্দা.......

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৩

সানড্যান্স বলেছেন: ভারত এর এই ড্রোন দিয়া কিছুই করতে পারবে না, টেনশন লইয়েন না!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৬

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: কেন করতে পারবে না, সেটা ব্যাখা করুন। আমরা জানি ও বুঝি।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৫

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভাই একটা কৌতুক শেয়ার করছি আশা করি উত্তর পেয়ে যাবেন


একবার প্রেসিডেন্স ক্রুশ্চেভ গেলেন আমেরিকা সফরে। সেখানে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট তাকে শ্রমিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় নিয়ে গেলেন এবং ক্রুশ্চেভের সামনে ঘোষনা দিলেন, "আজ থেকে তোমাদের বেতন দ্বিগুণ করা হলো"। শ্রমিকরা খুব খুশি। তখন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বললেন, "দেখলেন আমাদের শ্রমিকরা কত খুশি!"

আমেরিকান সেই প্রেসিডেন্টকে রাশিয়ায় দাওয়াত দিলেন ক্রুশ্চেভ, এবার তিনি শ্রমিকদের সাথে একটি সভায় নিয়ে গেলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে এবং বললেন, "দেখবেন আমাদের শ্রমিকরা কত খুশি এখানে।"
তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বললেন, "আজ থেকে সবার বেতন কমিয়ে অর্ধেক করা হলো।"
প্রচন্ড করতালি।
তিনি বললেন, "আজ থেকে প্রতি ১০ জনের একজনকে শ্রমশিবিরে পাঠানো হবে।"
প্রচন্ড করতালি।
তিনি এবার বললেন, "আজ থেকে প্রতি ২০ জনের একজনকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে।"
এবারো প্রচন্ড করতালি। হঠাৎ একজন দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, "ফাঁসির দড়ি কি আমরা নিয়ে আসবো না ট্রেড ইউনিয়ন সরবরাহ করবে?"

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৭

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: হাহাহাা........

অনেক কিছু শেখার আছে আপনার ঘটনায়।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

তো কেমন আচেন আপনি.....?

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৭

অর্ণব আর্ক বলেছেন: একদিন দিয়া ভালো হৈছে। চোরাচালান কমবে। কারণ ড্রোন তো আর মানুষ চিনে গুলি মার্বে না। অন্তত ফেন্সিডিল আমদানি বন্ধ হৈতে পারে। আমার কেনো জানি মনে হয় এইটা বাংলাদেশ সীমান্তে দেয়ার মতো বোকামি ইন্ডিয়া করবে না। বিশেষত এখানে তো তাদের কুত্তাবাহিনী আছেই।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ফেন্সি, ইয়াবা অস্ত্র আমদাবি বন্ধ করা খুবই দরকার। কিন্তু তার জন্য তো আরো ভাল ভাল পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, নাকী?

প্রয়োজনে তারা চিনের মত প্রাচির বানাক।

আমাদের দেশে তারা নজড়দারি করবে কেন?

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

খায়ালামু বলেছেন: আমরা ভারতকে প্রভু নয় বন্ধু হিসেবে পেতে চাই......... ++++++

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪১

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: হুম,,, স্বাধীন যেহেতু একবার হয়েছি আর পরাধিন হতে চাই না।

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ভারতের ড্রোনের ব্যপারের ব্যখ্যা দিয়েছে তেহেরান বার্তা আর সেটা নিয়ে আপনারা পড়ে গেলেন চিন্তায়.

ড্রোন দিয়ে সিমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকায় ড্রোন এত সস্তা হইলো কবে।ড্রোন এত ভিতু কবে হইলো নিরস্র মানুষের উপর গুলি চালাবে জঙ্গী বিমান জাহাজ ফেলে জানা ছিলোনা।

নাকি ইন্ডিয়া কাগজের ঘুড়ির কথা বলছে কে জানে

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: তেহরানের বার্তা পাই নাইক্কা।

আর টিভিতে নিউজ দেখেছি, বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে দেখেছি।


তাছাড়া, বাংলাদেশের দৈনিক গুলোতে আসার আগেই আমরা ব্লগে ব্লগিং করি। এর জন্যই তো আমারা বেষ্ট।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০১

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভালো আছি ভাই । আপনি কেমন আছেন?

আসলে ভারত প্রশ্নে আমাদের অবস্থা অনেকটা এইরকম................


উটপাখির ডিম যোগাড় করে নিয়ে এসে সব মুরগীকে মটিং এ ডাকল মোরগ।সবাই এলে সে বক্তব্য শুরু করল,
-শ্রদ্ধেয় মহিলাগণ,আমি আপনাদের কাজের সমালোচনা করতে চাইনা।শুধু বলতে চাই,নিজের চোখে দেখে নিন,বিদেশের মুরগীগুলো কেমন ডিম পাড়ে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২০

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: আমিও ভালা আছি।

চলেন সবাই উট পাখির ডিম খোজে আনি......

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৪

হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: সোজা কথায় ভারত যদি আমাদের আন্তরিকতাকে দুর্বলতা ভাবে তবে সাংঘাতিক রকম ভুল করবে এবং তার চরম মূল্য দিতে বাধ্য হবে যেমনটা ১৯৭১ এ পাকিস্তানের বেলায় হয়েছিল। এ জাতির মরণের ভয় নাই এই সত্যটা আশা রাখি ভারতের চাইতে ভাল কেউ জানার কথা না।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২২

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ভাই,,, আবেগ আর সাহসে অনেক কিছু হয় আবার সব কিছু হয় না। ১৯৭১ সাল আর এখনকার পরিস্থিতি এক নয়। গুল্টি দিয়ে ট্যাংকের সামনে গিয়ে ঢেল থিকই ছুড়া যায় বাট জেতা যায় না।

তবে আগে থেকেই সুষ্ঠ প্ল্যন করলে অনন্ত কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাওয়ার কথা।

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমার একটা দুর্বল ভাবনা শেয়ার করি।
ভারত এমনিতেই টেনশনে থাকে। তার ছাপ পড়ে পাহারাদারদের মনেও। পেছনে চীনাদের গুতানি, আরেক দিকে পাইক্যাদের হয়রানী। আবার আছে নিজেদের ভেতরকার মাও গেরিলা। আছে নাগাল্যান্ড দমাইয়া রাখার জন্য বাড়তি রিজার্ভ ফোর্স। আছে উলফার মতন ডায়রিয়া। এত সমস্যা মিটাইতে কি অর্থনৈতিক দিকটা তাদের চাঙ্গা থাকা জরুরি না? অবশ্যই জরুরি।

তারা যদি কেবল সীমান্তেই চোখ রাখে তাতে তাদেরি ক্ষতি। অন্যরা যাতে তাদের আভ্যন্তরীণ দুর্বলতার দিকে আঙুল না ওঠায় সেই দিক দিয়া দৃষ্টি সরাইতে সীমান্তের কু-কর্মগুলা ঘটায়। এতে বাঙ্গাল খানিকটা চাপে থাকবে। ভয়েও থাকবে।

কিন্তু বাঙ্গাল মার খাইতে খাইতে শক্ত হইয়া গেলে তাদের সত্যিই বিপদ। ভিতরে আর সীমান্তের তিনদিকের গুতানীতে দিশেহারা হইয়া যাবে। ফলে ইন্ডিয়ার সার্বভৌমত্বে ফাটল ধরবে। কোনো কোনো প্রদেশ এরই মধ্যে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য নড়াচড়া আরম্ভ করেছে।

আরেক দিকে দৈনিক ২৩কোটি লোক অনাহারে বা এক বেলা খাবার খাইয়া থাকে। নিজের চুলা বা হাড়ির দিকে দৃষ্টি না দিয়া বেড়ার দিকে দৃষ্টি থাকলে ঘরের বাসিন্দা হাড্ডিসার হইয়া যাবে। এইটাও তারা দেখা দরকার।
সুতরাং ইন্ডিয়ার জুজুর ভয় না করাটাই উত্তম।

একবার সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি হইছিল বিডিয়ার আর বিএসএফ। সে সময় বিএসএফের মৃত্যুর হার ছিল ভয়াবহ। আমরা যদি ইন্ডিয়ার এইসব উস্কানীতে কান দেই বা ভীত হই আমাদেরই ক্ষতি। আমরা ইন্ডিয়ান সব কিছু বর্জনের সঙ্গে সঙ্গে পারি আমাদের সীমানায় কাঁটা তারের বেড়া দিতে। কিন্তু তখন দেখবেন নানা অজুহাতে আমাদের সীমানায় বেড়া দিতে বাধার সৃষ্টি করবে তারাই। যেমন টহল রাস্তা বানাইতে দিতেছে না ইন্ডিয়া আমাদের সীমানের সঙ্গে।

আমাদের সীমানায় বেড়া থাকলে আর ভারতীয় পণ্যের ওপর থেকে নির্ভরতা দূর করতে পারলে চোরাকারবারীরাও বিকল্প ভাবনা ভাবতে বাধ্য হবে আশা করি। আশা করি করি তখন কেউ গরু আনতেও যাবে না মারাও পড়বে না। বেড়া ডিঙাইয়া বিএসএফ বা সীমান্তের চোর বাটপারগুলাও আমাদের সীমায় আইসা মাস্তানী করতে পারবে না।

সেই সঙ্গে আরেকটু বলি আগের কোনো সরকারের আমলে পত্রিকায় দেখতাম চোখ বান্ধা বিএসএফ সদস্য ধইরা আনতেছে বিডিয়ার। কাজেই আমাদের বর্ডার গার্ডরাও চিকা গোত্রের মনে করার সুযোগ নাই। সব কিছুর উপরে আসতেছে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। আর তা যদি জোরালো বা শক্তিশালী না থাকে, ইন্ডিয়া তো তার ছড়ি ঘুরাবেই আমাদের ওপর।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৮

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান সুন্দর সুন্দর কথা শেয়ার করার জন্য।

- তাদের অভ্যান্তরিন কোন্দল থাকার পরও তারা কিন্তু অন্তত সীমান্তে কখনো দূর্বলতা ডেখাবে না। বা দেখাতে পারবে না। তাছাড়া তাদের পর্যাপ্ত সৈনিক ই হাতিয়ার আছে। কাজেই সীমান্ত তারা করা ভাবেই নজড় রাখছে ও রাখবে।

- বিজিবির একসময় দাপট ছিল, যেই সংঘর্ষের কথা আপনি বলেছেন সেটা আমাদের মনে আছে। কিন্তু তারপরে আর কোন দিন বিজিবিকে মাথা উচু করতে দেখি নি। কিন্তু মাঝে মাঝেই শুনি বিজিবির সদস্য ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। তবে এটা কি ঐ এক ঘটনার আত্নতৃপ্তির ফসল?

আসলে বড় ভাই আমরাতো ভারতের লগে লাগতে যেতে চাই না তাই আমি মনে করি পররাষ্ট্রনীতি একটু কঠোর হলেই এই সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: ইনবক্সে লিংক পেয়ে এসে দেখি ড্রোন বিষয়ক পোষ্ট। এ বিষয়ে জানা ছিল না, তাই একটু পড়াশুনা করে এলাম।

ভারতের মোটামুটি ভালোই ড্রোন আছে। আর ইন্ডিয়া আরও ইউ এ ভি কেনার পরিকল্পনা করছে। এখানে ইন্ডিয়া অংশে দেখতে পারেন


আমি এই প্রকল্পকে স্বগত জানাই। আমাদের ধ্বজভংগ বিজিবি আছে না? আর আমরা তো বেলজ্জা জাতি, এর চেয়ে ভালো উপহার আর কি হতে পারে? X(( X((



এখন যাই কায়রো ভাই, আপনার এই বাল ছাল পোষ্ট পইড়া মন্তব্য দেওয়ার টাইম নাই, এখন হিন্দি মুভি দেখবো। আর হ্যা সামনে ধুম থ্রি আসতেছে.. ভুইলেন না X( X((

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩০

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ লিন্কের জন্য।

আর ধুম-৩ এর জন্য ধুমাইয়া ওয়েট কর্তাছি.......

কিতা করমু কন.......? জলিল মিয়া যতদিন না ধুম বানাইতে না পারবো ততদিন জাতি খাইবোই....

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১০

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: জুলিয়ান ভাইকে বলি.... একসময় বিডিএর হুংকার দিলে বিএসএফ প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলতো। কিন্তু এখন সেই দিন নাই। এখন বিএসএফ না বিজিবিকেই বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। বিজিবি এখন ধ্বজভংগ ফোর্স ছাড়া কিছু না।

১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
সাম্রাজ্যবাদ বুঝেন ?


বন্ধুত্ব হতে হলে নিজেদের অর্থনীতি উন্নত করেন - না হলে পা চেটে থাকতে হবে -

১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: সমস্যা হলো......হাসিনা-খালেদাদের এইসব নিয়া কোন টেনশন নাই.......তারা থাকে একটাই ধান্ধায়, ক্যামনে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে আর ক্যামনে অনন্তকাল ক্ষমতা কুক্ষিগত করা যাবে.......আর এজন্য দাদাদের আশির্বাদ না হলেই নয়.........।
তাই শুধু সীমান্তেই নয়......দাদারা ঢাকার আকাশেও তাদের ড্রোন উড়াতে চাইলে এরা সানন্দে রাজি হয়ে যাবে......তবে তখন যারা বিরেধীদলে থাকবে.......তারা রাজনীতির স্বার্থে লোকদেখানো হালকা পাতলা বক্তৃতা দিবে.....।
এটাই চরম বাস্তবতা........।

১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

শান্তির বাণী বলেছেন: আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের দায়ীত্ব, ইন্ডিয়া বর্ডারে ড্রোন নিয়োগ করছে তাতে আমি মনে করি না আমাদের তেমন কোন সমস্যা হবে। যারযার সিমানার ভেতর তারা যে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে সে অধিকার প্রতিটা স্বাধীন রাষ্ট্রেরই রয়েছে, এই ড্রোন ব্যবহারের ফলে যদি সিমান্তে চোরা চালান, সিমান্তে হত্যা বন্দ হয় তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায় ?

আমরা ফেলানী হত্যার প্রতিবাদ করতে পারি, সিমান্তে ড্রোনের প্রতিবাদ করতে পারি অথচ ইন্ডিয়ান পণ্য বর্জন করতে পারি না্। ধুম থ্রি দেখার জন্য এখনো অপেক্ষা করছি।

১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভারত প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে ভাল নয়।তারা অন্য রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ন্যাক্কারজনক ভাবে হস্তক্ষেপ চালায়।নেপাল শ্রীলংকা বাংলাদেশ ভুটান সবাইকে দাবিয়ে রাখায় হীন চক্রান্ত ধারণ করে। আভ্যন্তরীণ গোলাযোগে উসকানী দেয়।সরাসরি প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে। আপনি যে ব্যাপারটি উল্লেখ করেছেন সেটিও তাদের তেমন কার্যকলাপের একটি। আমিও কিন্তু ধূম-৩ দেখার অপেক্ষায়।কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে তাই বলে কি কুকুরে কামড় মানুষে শোভা পায়।ভারতের এহেন কার্যকলাপের নিন্দা জানাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.