নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২/৩ বছর আগের কথা। বিএসএফ কর্তৃক কোন বাংলাদেশি মারা গেলে ব্লগে আমি সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ করতাম। অামার অনেক পোষ্ট স্টিকি ও হতো। বিএসএফের এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বয়কটইন্ডিয়ান প্রডাক্ট নামে একটি গ্রুপ খুলে বেশ সারা পেয়েছিলাম। ঢাকায় বেশ কিছু কর্মীরা আমার গ্রুপের হয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করত। সেই আমারই আজ বিএসএফ এর হাতে মানুষ মরতে দেখে তেমন খারাপ লাগে না। ফেসবুকে প্রতিবাদমুলক একটা স্ট্যাটাস দিতেও অলসতা লাগে।
সেদিনও তিনজন মেরে ফেলল। কিন্তু তখনতো আমরা ক্রিকেট নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম। আজও এক বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে। এবার হত্যা করেছে ভারতের খাসীয়া আদিবাসীরা। লাশ নিয়ে গিয়েছে বিএসএফ। কিছুক্ষন পর হয়ত পতাকা বৈঠক হবে ফেরত দিবে নিহত দেলোয়ার হোসেনের লাশ। কাল সকালে বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাগুলোও এমন ভাবে নিউজ করবে যেন মনে হবে বিএসএফ আমাদেরে লাশ ফেরত দিয়ে বড় একটা করুনা করল। আসলে ঘটনা এমনই। বিএসএফ যদি এই লাশ ফেরত না দিয়ে লাশের চোখ, লিভার বিক্রি করে দেয় তবুও তো বলার কিছু থাকলেও করার কিছু থাকবে না। সেই অর্থে লাশ ফেরত দিয়ে বিএসএফ আমাদের প্রতি বেশ করুণাই দেখাল।
মনে পরে ফিলিস্তিনের কথা। ছোট বেলায় ফিলিস্তিনে শিশুদের হত্যার কথা শুনতাম আর অবাক হতাম। আজ পৃথিবীতে এত নতুন ফিলিস্তিন জন্ম নিয়েছে যে ফিলিস্তিনের কথা ভুলেই গেছি। আজ ফিলিস্তিনে ১০০ জন মানুষ মারা গেলেও সেটা কোন নিউজ পায় না। সিরিয়া, লিবিয়া, মিশরের সাধারণ মানুষের হত্যার খবরও আর তেমন একটা গুরুত্ব পায় না। আর পাবে ও না। এটাই নিয়ম। জুলুম সইতে সইতে আমাদের হৃদয় মরে যাচ্ছে। এইভাবে অন্যায় সইতে সইতে অন্যায়কে যখন আর অন্যায় মনে হবে না তখন নিজেরাই অন্যায় করা শুরু করব।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৬
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: এইভাবে অন্যায় সইতে সইতে অন্যায়কে যখন আর অন্যায় মনে হবে না তখন নিজেরাই অন্যায় করা শুরু করব।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
কয়দিন পর বাংলাদেশিদের হাত-পা বেধে পানিতে ফেলে দিবে।
মশা মারতে আর কামান দাগাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৯
ইলুসন বলেছেন: