নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলায় এক গল্প শুনেছিলাম। এক ছেলে প্রতিদিন স্কুলে দেরি করে আসত। শিক্ষক তাকে দেরি করে আসার কারণ জিজ্ঞেস করাতে সে বলতো: স্যার, বৃষ্টিতে রাস্তা ভিজে কাদায় পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এক পা আগালে দুই পা পিছিয়ে যাই। তাই আসতে দেরি হয় স্যার। শিক্ষক তখন বললেন: ঠিকাছে, কাল থেকে তুমি স্কুলের দিকে পিঠ দিয়ে বাড়ির দিকে হাটা শুরু করবা। তাহলে একপা আগালে দুই পা পিছিয়ে যাবে এবং সঠিক সময়ের আগেই স্কুলে উপস্থিত হতে পারবে। মুসলিম তরুণদের এখন নতুন করে ভাবার সময় আসছে। যেই পথে মুসলিম উম্মাহ দীর্ঘদিন যাবৎ হাটছে তাতে দিন দিন পিছিয়েই পড়ছে। নিজেদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে অনৈক্য। একে একে হাতছাড়া হচ্ছে নিজেদের ভুমি। অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রেই লেগে রয়েছে অশান্তি। পশ্চিমা বিশ্বে বসবাসকারি মুসলিম তরুণরা ধীরেধীরে পশ্চিমাদের চক্ষুশূলে পরিনত হচ্ছে। এমত অবস্থা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে না পারলে সামনে আরো কঠিন বিপদ দেখতে হবে নিশ্চিত। কাজেই এখন কেবল দোয়ায় বিশ্বাস করে বসে থাকলে চলবে না। দোয়ার পাশাপাশি নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। জ্ঞান বিজ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের শক্তিশালি করতে হবে। গাজা কিংবা বাগদাদের শিশুদের যুদ্ধবাজ না বানিয়ে বিজ্ঞানি বানানোর চিন্তা করতে হবে। হাতের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তরুণদের কাজে যোগ দেয়ার তাগিদ দিতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালি হলে তখন শত্রুরা ঠিকই ভয় পাবে। বন্ধু হয়ে কাছেও আসবে অনেক দেশ। ইমোশনাল হয়ে শত্রুর সামনে জীবন দেয়ার শিক্ষা না দিয়ে তরুণদের বিজয়ী হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। প্রত্যেকটি শিশুকে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন সাহস ও উপকরন দিয়ে গঠন করতে হবে। জানি এসব কথা বলা যতটা শহজ করা ততটাই কঠিন। এসব বলতে গেলে অনেক ফতুয়ার সম্মুখিন হতে হবে। অনেকের চোখ রাঙানীও দেখতে হবে। তাইবলে হাল ছেড়ে দিয়ে শ্রোতের টানে গা ভাসিয়ে দিলেতো নিজেকেও ভেসে যেতে হবে অতল গহ্বরে। শিক্ষা ও অর্থনৈতিক শক্তির পাশাপাশি মুসলিম তরুণদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বেশী বেশী রাজনৈতিকমুখি হতে হবে। প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের আরো বেশী বেশী রাজনৈতিক পাওয়ার অর্জন করতে হবে। রাজনৈতিক দক্ষতা অর্জন করে আরো বেশী কৌশলি হতে হবে। তবেই হয়তো আসতে পারে সেই কাঙ্খিত পারিবর্তন। শান্তির ধর্মের লোকেরা আবার শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। মানবতা লংঘিত হবে না কোথাও।
ফিলিস্তিনের জন্য এখনো যারা দোয়া চায় বা দোয়া করে তাদের জন্য আমার করুণা হয় এবং হাসি পায়। কাল দেখলাম ভাটিক্যানসিটিতে পোপ তার সঙ্গি সাথি নিয়ে ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া করছে। কিন্তু তার দোয়া তো কবুল হলো না....!!! মক্কাশরীফ, মদীনা শরীফ সহ বিশ্বের সকল মসজিদে কোটি কোটি মুসলিম রোজাদার দোয়া করছে, কই কোন পরিবর্তন তো আসল না??? আসবেও না। দোয়া কবুল করে আল্লাহ কখনো আবাবিল পাঠাবেন না। পাঠালে এই অকর্মা জাতি আরো অকর্মা হয়ে যাবে। ফিলিস্তিন কেন? এর পর যদি মক্কা মদিনাও ইসরাইল দ্বারা আক্রান্ত হয় তবুও ইসরাইল ই জিতবে। কাবা শরীফ ধ্বংস করে দিলেও আল্লাহ তায়ালা আর আবাবিল পাঠাবেন না। যা করার তা মুসলমানদেরই করতে হবে। যত দিন কামান ট্যান্ক কিংবা বিমান ধ্বংসের মত পর্যাপ্ত অস্ত্র নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা না করতে পারবে ততদিন মুসলমানদের ভূমি এক এক করে হারাতেই থাকবে। কামানের সামনে গুল্টি নিয়ে মোকাবেলা করাকে তোমরা ঈমানের জোড় বলতে পারো আমি একে বোকামিই বলবো।
তুমি মক্কায় কিংবা লন্ডনের মসজিদে লক্ষ টাকা খরচা করে দোয়ার ব্যাবস্থা করার চেয়ে যে বা যারা মাত্র ১০০ টাকার খাবার কিংবা ঐষধ কিনে গাজায় পাঠাবে সেই তোমার থেকে উত্তম।
-তুমি মক্কা মদীনার মসজিদের ইমাম, লাখো মানুষ নিয়ে দোয়া করতে পারো অথচ তোমার সরকারকে বাধ্যকরতে পারো না এই শিশু হত্যা বন্ধে ইসরাইলকে চাপ দিতে তাহলে তোমার চেয়ে ঢের ভাল ঐ রাশিয়ান কাফের পুতিন যে কিনা কেবল মানবতার জন্যেই ইসরাইলকে হুমকি দিচ্ছে এই গণহত্যা বন্ধ করার জন্য।
ছোটবেলায় এক গল্প শুনেছিলাম। এক ছেলে প্রতিদিন স্কুলে দেরি করে আসত। শিক্ষক তাকে দেরি করে আসার কারণ জিজ্ঞেস করাতে সে বলতো: স্যার, বৃষ্টিতে রাস্তা ভিজে কাদায় পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এক পা আগালে দুই পা পিছিয়ে যাই। তাই আসতে দেরি হয় স্যার। শিক্ষক তখন বললেন: ঠিকাছে, কাল থেকে তুমি স্কুলের দিকে পিঠ দিয়ে বাড়ির দিকে হাটা শুরু করবা। তাহলে একপা আগালে দুই পা পিছিয়ে যাবে এবং সঠিক সময়ের আগেই স্কুলে উপস্থিত হতে পারবে। মুসলিম তরুণদের এখন নতুন করে ভাবার সময় আসছে। যেই পথে মুসলিম উম্মাহ দীর্ঘদিন যাবৎ হাটছে তাতে দিন দিন পিছিয়েই পড়ছে। নিজেদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে অনৈক্য। একে একে হাতছাড়া হচ্ছে নিজেদের ভুমি। অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রেই লেগে রয়েছে অশান্তি। পশ্চিমা বিশ্বে বসবাসকারি মুসলিম তরুণরা ধীরেধীরে পশ্চিমাদের চক্ষুশূলে পরিনত হচ্ছে। এমত অবস্থা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে না পারলে সামনে আরো কঠিন বিপদ দেখতে হবে নিশ্চিত। কাজেই এখন কেবল দোয়ায় বিশ্বাস করে বসে থাকলে চলবে না। দোয়ার পাশাপাশি নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। জ্ঞান বিজ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের শক্তিশালি করতে হবে। গাজা কিংবা বাগদাদের শিশুদের যুদ্ধবাজ না বানিয়ে বিজ্ঞানি বানানোর চিন্তা করতে হবে। হাতের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তরুণদের কাজে যোগ দেয়ার তাগিদ দিতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালি হলে তখন শত্রুরা ঠিকই ভয় পাবে। বন্ধু হয়ে কাছেও আসবে অনেক দেশ। ইমোশনাল হয়ে শত্রুর সামনে জীবন দেয়ার শিক্ষা না দিয়ে তরুণদের বিজয়ী হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। প্রত্যেকটি শিশুকে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন সাহস ও উপকরন দিয়ে গঠন করতে হবে। জানি এসব কথা বলা যতটা শহজ করা ততটাই কঠিন। এসব বলতে গেলে অনেক ফতুয়ার সম্মুখিন হতে হবে। অনেকের চোখ রাঙানীও দেখতে হবে। তাইবলে হাল ছেড়ে দিয়ে শ্রোতের টানে গা ভাসিয়ে দিলেতো নিজেকেও ভেসে যেতে হবে অতল গহ্বরে। শিক্ষা ও অর্থনৈতিক শক্তির পাশাপাশি মুসলিম তরুণদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বেশী বেশী রাজনৈতিকমুখি হতে হবে। প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের আরো বেশী বেশী রাজনৈতিক পাওয়ার অর্জন করতে হবে। রাজনৈতিক দক্ষতা অর্জন করে আরো বেশী কৌশলি হতে হবে। তবেই হয়তো আসতে পারে সেই কাঙ্খিত পারিবর্তন। শান্তির ধর্মের লোকেরা আবার শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। মানবতা লংঘিত হবে না কোথাও।
কাজেই কিছু কিছু মানুষ যাদের সত্য বলার ক্ষমতা আছে, সৎ কাজের আদেশ নিষেধ করার ক্ষমতা আছে অথচ সেটা করল না আমি মনে করি তার দোয়া করার অধিকার নাই।
আমরা যখন ঈদের নতুন কাপর পড়ব তখন ফিলিস্তিনের কোন পিতা তার সন্তানের জন্য পুরাতন কাফন ভিক্ষা করে ফিরবে। সারা দুনিয়ার মুসলিম যখন ঈদের নামাজ আদায় করবে ফিলিস্তিনবাসি তখন জানাজায় কাতারবদ্ধ হবে। ঈদের নামাজ শেষে আমরা জখন কুলাকুলি করব তখন ফিলিস্তিনবাসি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবে। কাজেই পরিবর্তনের বিপ্লবের সারা না দিলে আর বুঝি নিস্তার নাই। তা না হলে গোলাম থেকে মুসলিমরা কোনদিন মুক্তি পাবে না।
কাজেই কিছু কিছু মানুষ যাদের সত্য বলার ক্ষমতা আছে, সৎ কাজের আদেশ নিষেধ করার ক্ষমতা আছে অথচ সেটা করল না আমি মনে করি তার দোয়া করার অধিকার নাই।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমরা যখন ঈদের নতুন কাপর পড়ব তখন ফিলিস্তিনের কোন পিতা তার সন্তানের জন্য পুরাতন কাফন ভিক্ষা করে ফিরবে। সারা দুনিয়ার মুসলিম যখন ঈদের নামাজ আদায় করবে ফিলিস্তিনবাসি তখন জানাজায় কাতারবদ্ধ হবে। ঈদের নামাজ শেষে আমরা জখন কুলাকুলি করব তখন ফিলিস্তিনবাসি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবে
-যেই মাওলানা বা খতিব ধর্ম নিয়ে ফতোয়া দেন, আগে আদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার, ধার্মিক হবার পাশাপাশি তাদের আধুনিক হবারও দরকার আছে। যেই মাওলানা ফেসবুকে চ্যাটিং হারাম বলে ফতোয়া দেন, তেমন মানুষদের দরকার একটি প্রাগৈতিহাসিক বিশ্ব।
যেখানে থাকবে না আধুনিক কিছু, থাকবে না হানাহানি।
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৫৮
দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: বীরেনদ্রর সাথে একমত।
আল্লাহকে ডাকা বন্ধ করে বিজ্ঞানচেতনায় বলিয়ান হতে হবে। আল্লাহকে ডেকে যে কিছুই হয় না, প্যালেস্টাইন তার বড় প্রমান।
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:০৩
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভাই আপনি খুব সুন্দর বলেছেন। আপনার যুক্তিগুলো ঠিক আছে, তবে ভাই আপনার একটা কথাই আপত্তি আছে। আপনি বলেছেন, "এর পর যদি মক্কা মদিনাও ইসরাইল দ্বারা আক্রান্ত হয় তবুও ইসরাইল ই জিতবে। কাবা শরীফ ধ্বংস করে দিলেও আল্লাহ তায়ালা আর আবাবিল পাঠাবেন না।" এটা ঠিক না। আল্লাহপাক নিজে কাবা শরীফের জিম্মা নিয়েছেন। এইখানে কোন অমুসলিম ঢুকতে পারবে না। আমি অনুরোধ করব এই লাইনটা মুছে ফেলেন।
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮
দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: আরেক আবাল কইছে "আল্লাহপাক নিজে কাবা শরীফের জিম্মা নিয়েছেন। এইখানে কোন অমুসলিম ঢুকতে পারবে না।"
যেখানে মানুষকে বাঁচাতে পারে না বোমায় ছিন্নভিন্ন হওয়া থেকে সেখানে ইট-কাঠের এক কাবা বাঁচাইলেই বা কি বাল হবে? মানুষের জীবনের চেয়ে কি ইট-কাঠের একটা ঘর বেশী গুরুত্ত্বপূর্ণ?
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: দ্যা ফ্রীল্যান্সার ভাই আপনাকে আমি কিছু বলি নাই। আপনি কি বিস্বাস করেন কি করেন না সেটা আপনার ব্যাপার। তবে মানু্ষের সাথে ভদ্রভাবে কথা বলেন। ভদ্র হতে পয়সা লাগে না। আপনি এর আগেও আল্লাহকে নিয়ে একটা আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছিলেন। আপনি আপনার বিস্বাস নিয়ে থাকেন না, আরেকজনের ধর্মবিস্বাসের পিছনে লাগছেন কেন?
সরি লেখক ভাই আপনার পোস্টে আরেকজনকে কমেন্ট করেছি বলে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১৭
বীরেনদ্র বলেছেন: তদিন না পর্যন্ত ফিলিস্তিনীরা জ্ঞানে বিজ্ঞানে ইজরায়েলীদের সমকক্ষ হবে ততদিন মার খেতে হবে। আমি জানি আপনি মানবেন না তবুও বলি, ধর্মকে বাদ দিয়ে বিজ্ঞানের দিকে ঝুকতে হবে। ধর্ম মানূষকে শিখিয়েছে সৃস্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করতে তাতেই সব কিছু পাবেন।ধর্মেও মধ্যে খুজে পাবেন অবিজ্ঞান, অনীতিকতা, ঘৃনা ইত্যাদি।পরকালে কি হবে তা জানিনা তবে ইহকালে যে আল্লাহকে ডেকে কিছুই হয় না তার প্রমান তো হাতে নাতে দেখতে পাই।