নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলনদ

মাহমুদুল হাসান কায়রো

যাযাবর, অান্তর্জাতিক যাযাবর।

মাহমুদুল হাসান কায়রো › বিস্তারিত পোস্টঃ

সু চী এবং নোবেল পুরস্কার মিলিয়ে ফেলা বোকামী।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৮

বিশ্বের সব চেয়ে দামী ও সম্মানের পুরস্কার হলো নোবেল পুরস্কার। এই পুরস্কার দেয়া হয় বিশেষ ব্যক্তিকে তার বিগত কয়েক বছরের বিশেষ বিশেষ কিছু কাজের কিংবা গবেষণার গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে। এই পুরস্কার দেয়ার সময় উক্ত ব্যক্তিকে ভবিষ্যতের জন্য কোন শর্ত দেয়া হয় না। বা দেয়াটা যুক্তিযুক্ত ও নহে। মিয়ানমারের নারী নেতা 'অং সুচী'কে ১৯৯১ সালে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছিলো তৎকালিন তার রাজনৈতিক এক্টিভিটিজের কারণে। তখন দেশের ও বিদেশের সবাই বাহবা'ই দিয়েছিলো।

আজ ২৫ বছর পরে এসে সুচী যদি তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়, যদি সে নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতার লোভে কিংবা গোড়ামী ভাবে নিজ ধর্মীয় আধিপত্য বিস্তারের কালো নেশায় মানুষ হত্যা শুরু করে তাহলে সেক্ষেত্রে নোবেল বোর্ডের কিছু করার থাকে না। আর যেহেতু নোবেল দেয়ার সময় ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন লিখিত শর্ত দেয়া থাকে না সেহেতু কারো নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়ার কোন কারণ ও থাকে না, এবং যুক্তিতেও এটা আসে না। কাজেই মনে রাখতে হবে সুচি এবং নোবেল দুটি সম্পুর্ণ আলাদা আলাদা বিষয়। কাজেই কোন এক নোবেল প্রাইজ বিজয়ীর কৃতকর্মের জন্য সমগ্র নোবেল পরিবারকে সমালোচনা করা বা প্রশ্নবিদ্ধ করা যুক্তিযুক্ত নয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নোবেল পরিবারকে দোষারোপ করার পক্ষপাতী আমিও না।। শুধু ভাবি যেসব মহান দিকটি ভেবে যাকে এই সন্মান দেয়া হয়, সে কি ভাবে নিজেরই সে সব ভুলে যেতে পারে??

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঠিক আছে। তবে এটা(সুকী) তার নিজেরও তো বোঝা উচিত। একজন শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তি এরকম কাজ কীভাবে করতে সায় দেন? অন্তত শান্তির চেষ্টাটাও তার কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে না...

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৫

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আপনার কথাগুলো যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য। তবে একজন নোবেল লরেটের এহেন কর্মকাণ্ডে পৃথিবীবাসীই লজ্জিত এবং ক্ষুব্ধ। তাই সংযুক্ততা চলে আসে হয়ত।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার কথাগুলো হয়তো ঠিকই কিন্তু এখানে খানিকটা মোরালিটির ব্যাপারও আছে | সেটা থেকেই হয়তো এই দাবিটা উঠেছে | পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পরে কেউ যদি গণহত্যার পেছনে সমর্থনের পাহাড় হয়ে দাঁড়ায় তবে তার শান্তি পুরস্কারটা প্রত্যাহারের একটা সুযোগ থাকা দরকার বলে এই প্রথম মনে হলো আমার |

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



নোবেল কমিটর পুরস্কার ফিরিয়ে নেবার আইন বা শর্ত রাখা উচিত। বিশেষ করে শান্তির ক্ষেত্রে....

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৫

কানিজ রিনা বলেছেন: ওম ওম সুচীর শান্তির নোবেল এখন সমগ্র
মানব জাতীর মনে অশান্তির ঘৃনা জমেছে।
সুচীর নাম ছুঁছী হলে ভাল।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পোষা কুকুর পাগল হয়ে গেলে অথবা রেসের ঘোড়ার পা ভেঙ্গে গেলে সেগুলিকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। নোবেল কমিটি সু চী কে গুলি করে মেরে ফেলুক সেই এখতিয়ার তাদের নেই, তবে তাদের উচিত সু চীর নোবেল প্রত্যাহার করে নেয়া।

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ব্যাপারটা কোন লেখকের পুরষ্কার পাওয়ার মত। তিনি হয়তো কোন ভালো বই লিখে পুরষ্কার পেলেন, কিন্তু পরবর্তিতে আর ভাল কিছু লিখতে পারলেন না!
এজন্য যেমন তার পুরষ্কার ফেরত নেয়া হবে না, এটাও তেমনি।
নোবেলের সাথে একটা মানুষের কতটুকু সম্পর্ক জানি না। তবে কেউ নোবেল পেয়েছে বলেই তাকা মহামানব ভাবতে হবে, এর কোন মানে নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.