নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিএনপি করি।তাই কেউ নিরপেক্ষ লেখা আশা করবেন না।

নিউজ

নিউজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানীর জন্যই কৃত্রিম বিদ্যুৎ সংকট

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৭

গত কিছুদিন ধরে হঠাৎ করেই বিরামহীন ভাবে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছিল।সকলেই এই ব্যাপারে বিরক্ত ছিল।কেননা, তিন দফা বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ানোর সময় বলেছিল, আর দেশে বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না।এছাড়া কুইক রেন্টাল গুলো অকেজ হতে আরো অন্তত ১ বছর সময় লাগার কথা।তাহলে, হঠাৎই কেন এমন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া!প্রথম ধারনা করেছিলাম,প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যই বোদহয় এমন হচ্ছে।তারপরও ব্যাপারটা ঠিক মিলছিল না।আমাদের প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ সমস্যা তৈরী করবেন,ব্যাপারটা কেমন যেন অস্বাভাবিক।কিন্তু গতকাল থেকে আমাদের জাতীয় গ্রিডে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে ঢুকার সাথে সাথে যখন দেখলাম বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে,তখনই বুঝলাম,ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনাকে বৈধ করার জন্য এই বিদ্যুৎ সমস্যা।

তা না হলে,মাত্র ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঢুকার সাথে সাথে আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে,এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কিছু হতে পারে না।কিন্তু আমরা দেখলাম,শুক্রবার এক বারের জন্যে বিদ্যুৎ গেল না রাজধানী ঢাকাতে!যদিও শুক্রবার সকাল ১০টা ২৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কাজী ইসতিয়াক হাসান এটির উদ্ভোধন করেন।আর উদ্ভোধন করার সাথে সাথে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে গেল!এর অর্থ,আমাদের বিদ্যুৎ সংকটটা ছিল কৃত্রিম।

আসলে ভারত নিজের দেশে যেখানে বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে তাদের বিদ্যুৎ রফতানি একটা হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া কিছুই নয়।কলকাতাতে বিদ্যুৎ সংকট ভয়বহ।সেখানে তারা কেন আমাদের কাছে রফতানি করছে, এটা স্বাভাবিক প্রশ্ন।জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দিতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা।।ভারত বলছে তারা ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ দিবে।কিন্তু সমস্যা হলো,ভারত কখনও চুক্তি করে তা নিজেরা রক্ষা করেনা।তাই আমাদের এটা বিশ্বাস করা হাস্যকর হবে ভারত তাদের চুক্তি ভঙ্গ করবে না।কিন্তু তারা চুক্তি অনুসারে টাকা ঠিকই নিবে।

১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে যদি আমরা নিজেরাও উৎপাদন করতাম অথবা উৎপাদন বন্ধ ইউনিট গুলো সংস্কার করতাম,তাহলেও পর্যায়ক্রমে সমস্যার সমাধান হতো।কিন্তু ভারত থেকে উন্মক্ত দরপত্রের মাধ্যেমে কেনা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ছয় টাকা ৩৪ পয়সা।এটা আমরা আশা করছি।কিন্তু অচিরেই এর দাম বৃদ্ধি করতে ভারতের সময় লাগবে না।যেহেতু উন্মক্ত দরপত্র,সেহেতু দরপত্রে যদি সর্ব্ব নিন্ম দাম পড়ে ২০ টাকা,আমরা সেই দামেই কিনবো।আর এতে দূর্নিতির সুযোগ তৈরী হবে।সিন্ডিকেট করে দরপত্রে অংশ নিবে ভারতীয় কোম্পনী গুলো।তার ভাগ হয়তো আমাদের নেতা নেত্রীরাও পাবে।২৫ বছর চুক্তি যেহেতু পরবর্তী সরকার গুলোও এর ভাগ পাবে।কিন্তু সাধারণ জনগন শুধুই হবে প্রতারিত।

সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো,ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির গ্রিড উপকেন্দ্রটি এমনভাবে নির্মান করা হয়েছে যে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে আবার ইচ্ছা করলে ভারতও বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ নিতে পারবে। আর এর ফলে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে না বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ ভারতে যাবে তাই আমরা আমাদের অজানা থেকে যাবে!

এছাড়া সরকারের ভারত তোষন নীতির কারণে যদি দেখা যায়,এক সময় আমাদের নিজেদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলো বন্ধ করে শুধু ভারতের উপর নির্ভশীল হতে সরকার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে ভারত যদি দাম ৫০ টাকাও করে আমরা নিতে বাধ্য থাকব!

সব কিছু বিবেচনায় এবং ভারতীয়দের অতীত আচরণ থেকে আমরা এটা নিশ্চিত যে,ভারতের সাথে এই চুক্তি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটা ভয়বহ হুমকী।গডগসনগত কিছুদিন ধরে হঠাৎ করেই বিরামহীন ভাবে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছিল।সকলেই এই ব্যাপারে বিরক্ত ছিল।কেননা, তিন দফা বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ানোর সময় বলেছিল, আর দেশে বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না।এছাড়া কুইক রেন্টাল গুলো অকেজ হতে আরো অন্তত ১ বছর সময় লাগার কথা।তাহলে, হঠাৎই কেন এমন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া!প্রথম ধারনা করেছিলাম,প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যই বোদহয় এমন হচ্ছে।তারপরও ব্যাপারটা ঠিক মিলছিল না।আমাদের প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ সমস্যা তৈরী করবেন,ব্যাপারটা কেমন যেন অস্বাভাবিক।কিন্তু গতকাল থেকে আমাদের জাতীয় গ্রিডে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে ঢুকার সাথে সাথে যখন দেখলাম বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে,তখনই বুঝলাম,ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনাকে বৈধ করার জন্য এই বিদ্যুৎ সমস্যা।

তা না হলে,মাত্র ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঢুকার সাথে সাথে আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে,এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কিছু হতে পারে না।কিন্তু আমরা দেখলাম,শুক্রবার এক বারের জন্যে বিদ্যুৎ গেল না রাজধানী ঢাকাতে!যদিও শুক্রবার সকাল ১০টা ২৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কাজী ইসতিয়াক হাসান এটির উদ্ভোধন করেন।আর উদ্ভোধন করার সাথে সাথে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে গেল!এর অর্থ,আমাদের বিদ্যুৎ সংকটটা ছিল কৃত্রিম।

আসলে ভারত নিজের দেশে যেখানে বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে তাদের বিদ্যুৎ রফতানি একটা হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া কিছুই নয়।কলকাতাতে বিদ্যুৎ সংকট ভয়বহ।সেখানে তারা কেন আমাদের কাছে রফতানি করছে, এটা স্বাভাবিক প্রশ্ন।জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দিতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা।।ভারত বলছে তারা ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ দিবে।কিন্তু সমস্যা হলো,ভারত কখনও চুক্তি করে তা নিজেরা রক্ষা করেনা।তাই আমাদের এটা বিশ্বাস করা হাস্যকর হবে ভারত তাদের চুক্তি ভঙ্গ করবে না।কিন্তু তারা চুক্তি অনুসারে টাকা ঠিকই নিবে।

১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে যদি আমরা নিজেরাও উৎপাদন করতাম অথবা উৎপাদন বন্ধ ইউনিট গুলো সংস্কার করতাম,তাহলেও পর্যায়ক্রমে সমস্যার সমাধান হতো।কিন্তু ভারত থেকে উন্মক্ত দরপত্রের মাধ্যেমে কেনা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ছয় টাকা ৩৪ পয়সা।এটা আমরা আশা করছি।কিন্তু অচিরেই এর দাম বৃদ্ধি করতে ভারতের সময় লাগবে না।যেহেতু উন্মক্ত দরপত্র,সেহেতু দরপত্রে যদি সর্ব্ব নিন্ম দাম পড়ে ২০ টাকা,আমরা সেই দামেই কিনবো।আর এতে দূর্নিতির সুযোগ তৈরী হবে।সিন্ডিকেট করে দরপত্রে অংশ নিবে ভারতীয় কোম্পনী গুলো।তার ভাগ হয়তো আমাদের নেতা নেত্রীরাও পাবে।২৫ বছর চুক্তি যেহেতু পরবর্তী সরকার গুলোও এর ভাগ পাবে।কিন্তু সাধারণ জনগন শুধুই হবে প্রতারিত।

সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো,ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির গ্রিড উপকেন্দ্রটি এমনভাবে নির্মান করা হয়েছে যে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে আবার ইচ্ছা করলে ভারতও বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ নিতে পারবে। আর এর ফলে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে না বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ ভারতে যাবে তাই আমরা আমাদের অজানা থেকে যাবে!

এছাড়া সরকারের ভারত তোষন নীতির কারণে যদি দেখা যায়,এক সময় আমাদের নিজেদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলো বন্ধ করে শুধু ভারতের উপর নির্ভশীল হতে সরকার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে ভারত যদি দাম ৫০ টাকাও করে আমরা নিতে বাধ্য থাকব!

সব কিছু বিবেচনায় এবং ভারতীয়দের অতীত আচরণ থেকে আমরা এটা নিশ্চিত যে,ভারতের সাথে এই চুক্তি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটা ভয়বহ হুমকী।ংডগগত কিছুদিন ধরে হঠাৎ করেই বিরামহীন ভাবে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছিল।সকলেই এই ব্যাপারে বিরক্ত ছিল।কেননা, তিন দফা বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ানোর সময় বলেছিল, আর দেশে বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না।এছাড়া কুইক রেন্টাল গুলো অকেজ হতে আরো অন্তত ১ বছর সময় লাগার কথা।তাহলে, হঠাৎই কেন এমন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া!প্রথম ধারনা করেছিলাম,প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যই বোদহয় এমন হচ্ছে।তারপরও ব্যাপারটা ঠিক মিলছিল না।আমাদের প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ সমস্যা তৈরী করবেন,ব্যাপারটা কেমন যেন অস্বাভাবিক।কিন্তু গতকাল থেকে আমাদের জাতীয় গ্রিডে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে ঢুকার সাথে সাথে যখন দেখলাম বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে,তখনই বুঝলাম,ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনাকে বৈধ করার জন্য এই বিদ্যুৎ সমস্যা।

তা না হলে,মাত্র ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঢুকার সাথে সাথে আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে,এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কিছু হতে পারে না।কিন্তু আমরা দেখলাম,শুক্রবার এক বারের জন্যে বিদ্যুৎ গেল না রাজধানী ঢাকাতে!যদিও শুক্রবার সকাল ১০টা ২৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কাজী ইসতিয়াক হাসান এটির উদ্ভোধন করেন।আর উদ্ভোধন করার সাথে সাথে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে গেল!এর অর্থ,আমাদের বিদ্যুৎ সংকটটা ছিল কৃত্রিম।

আসলে ভারত নিজের দেশে যেখানে বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে তাদের বিদ্যুৎ রফতানি একটা হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া কিছুই নয়।কলকাতাতে বিদ্যুৎ সংকট ভয়বহ।সেখানে তারা কেন আমাদের কাছে রফতানি করছে, এটা স্বাভাবিক প্রশ্ন।জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দিতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা।।ভারত বলছে তারা ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ দিবে।কিন্তু সমস্যা হলো,ভারত কখনও চুক্তি করে তা নিজেরা রক্ষা করেনা।তাই আমাদের এটা বিশ্বাস করা হাস্যকর হবে ভারত তাদের চুক্তি ভঙ্গ করবে না।কিন্তু তারা চুক্তি অনুসারে টাকা ঠিকই নিবে।

১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে যদি আমরা নিজেরাও উৎপাদন করতাম অথবা উৎপাদন বন্ধ ইউনিট গুলো সংস্কার করতাম,তাহলেও পর্যায়ক্রমে সমস্যার সমাধান হতো।কিন্তু ভারত থেকে উন্মক্ত দরপত্রের মাধ্যেমে কেনা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ছয় টাকা ৩৪ পয়সা।এটা আমরা আশা করছি।কিন্তু অচিরেই এর দাম বৃদ্ধি করতে ভারতের সময় লাগবে না।যেহেতু উন্মক্ত দরপত্র,সেহেতু দরপত্রে যদি সর্ব্ব নিন্ম দাম পড়ে ২০ টাকা,আমরা সেই দামেই কিনবো।আর এতে দূর্নিতির সুযোগ তৈরী হবে।সিন্ডিকেট করে দরপত্রে অংশ নিবে ভারতীয় কোম্পনী গুলো।তার ভাগ হয়তো আমাদের নেতা নেত্রীরাও পাবে।২৫ বছর চুক্তি যেহেতু পরবর্তী সরকার গুলোও এর ভাগ পাবে।কিন্তু সাধারণ জনগন শুধুই হবে প্রতারিত।

সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো,ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির গ্রিড উপকেন্দ্রটি এমনভাবে নির্মান করা হয়েছে যে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে আবার ইচ্ছা করলে ভারতও বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ নিতে পারবে। আর এর ফলে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে না বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ ভারতে যাবে তাই আমরা আমাদের অজানা থেকে যাবে!

এছাড়া সরকারের ভারত তোষন নীতির কারণে যদি দেখা যায়,এক সময় আমাদের নিজেদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলো বন্ধ করে শুধু ভারতের উপর নির্ভশীল হতে সরকার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে ভারত যদি দাম ৫০ টাকাও করে আমরা নিতে বাধ্য থাকব!

সব কিছু বিবেচনায় এবং ভারতীয়দের অতীত আচরণ থেকে আমরা এটা নিশ্চিত যে,ভারতের সাথে এই চুক্তি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটা ভয়বহ হুমকী।গডগসনগত কিছুদিন ধরে হঠাৎ করেই বিরামহীন ভাবে বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছিল।সকলেই এই ব্যাপারে বিরক্ত ছিল।কেননা, তিন দফা বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ানোর সময় বলেছিল, আর দেশে বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না।এছাড়া কুইক রেন্টাল গুলো অকেজ হতে আরো অন্তত ১ বছর সময় লাগার কথা।তাহলে, হঠাৎই কেন এমন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া!প্রথম ধারনা করেছিলাম,প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যই বোদহয় এমন হচ্ছে।তারপরও ব্যাপারটা ঠিক মিলছিল না।আমাদের প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ সমস্যা তৈরী করবেন,ব্যাপারটা কেমন যেন অস্বাভাবিক।কিন্তু গতকাল থেকে আমাদের জাতীয় গ্রিডে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে ঢুকার সাথে সাথে যখন দেখলাম বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে,তখনই বুঝলাম,ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনাকে বৈধ করার জন্য এই বিদ্যুৎ সমস্যা।

তা না হলে,মাত্র ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঢুকার সাথে সাথে আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে,এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কিছু হতে পারে না।কিন্তু আমরা দেখলাম,শুক্রবার এক বারের জন্যে বিদ্যুৎ গেল না রাজধানী ঢাকাতে!যদিও শুক্রবার সকাল ১০টা ২৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কাজী ইসতিয়াক হাসান এটির উদ্ভোধন করেন।আর উদ্ভোধন করার সাথে সাথে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে গেল!এর অর্থ,আমাদের বিদ্যুৎ সংকটটা ছিল কৃত্রিম।

আসলে ভারত নিজের দেশে যেখানে বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে তাদের বিদ্যুৎ রফতানি একটা হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া কিছুই নয়।কলকাতাতে বিদ্যুৎ সংকট ভয়বহ।সেখানে তারা কেন আমাদের কাছে রফতানি করছে, এটা স্বাভাবিক প্রশ্ন।জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দিতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা।।ভারত বলছে তারা ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ দিবে।কিন্তু সমস্যা হলো,ভারত কখনও চুক্তি করে তা নিজেরা রক্ষা করেনা।তাই আমাদের এটা বিশ্বাস করা হাস্যকর হবে ভারত তাদের চুক্তি ভঙ্গ করবে না।কিন্তু তারা চুক্তি অনুসারে টাকা ঠিকই নিবে।

১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে যদি আমরা নিজেরাও উৎপাদন করতাম অথবা উৎপাদন বন্ধ ইউনিট গুলো সংস্কার করতাম,তাহলেও পর্যায়ক্রমে সমস্যার সমাধান হতো।কিন্তু ভারত থেকে উন্মক্ত দরপত্রের মাধ্যেমে কেনা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ছয় টাকা ৩৪ পয়সা।এটা আমরা আশা করছি।কিন্তু অচিরেই এর দাম বৃদ্ধি করতে ভারতের সময় লাগবে না।যেহেতু উন্মক্ত দরপত্র,সেহেতু দরপত্রে যদি সর্ব্ব নিন্ম দাম পড়ে ২০ টাকা,আমরা সেই দামেই কিনবো।আর এতে দূর্নিতির সুযোগ তৈরী হবে।সিন্ডিকেট করে দরপত্রে অংশ নিবে ভারতীয় কোম্পনী গুলো।তার ভাগ হয়তো আমাদের নেতা নেত্রীরাও পাবে।২৫ বছর চুক্তি যেহেতু পরবর্তী সরকার গুলোও এর ভাগ পাবে।কিন্তু সাধারণ জনগন শুধুই হবে প্রতারিত।

সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো,ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির গ্রিড উপকেন্দ্রটি এমনভাবে নির্মান করা হয়েছে যে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে আবার ইচ্ছা করলে ভারতও বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ নিতে পারবে। আর এর ফলে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে না বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ ভারতে যাবে তাই আমরা আমাদের অজানা থেকে যাবে!

এছাড়া সরকারের ভারত তোষন নীতির কারণে যদি দেখা যায়,এক সময় আমাদের নিজেদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলো বন্ধ করে শুধু ভারতের উপর নির্ভশীল হতে সরকার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে ভারত যদি দাম ৫০ টাকাও করে আমরা নিতে বাধ্য থাকব!

সব কিছু বিবেচনায় এবং ভারতীয়দের অতীত আচরণ থেকে আমরা এটা নিশ্চিত যে,ভারতের সাথে এই চুক্তি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটা ভয়বহ হুমকী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.