![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইউসুফ আহমেদ তুহিন: ১৪০ জন পাইক পেয়াদার বিশাল বহর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা সফরে গেছেন জাতীয় সংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে।কিন্তু সফর সঙ্গিদের সকলে ছিল বাজার সদাইতে ব্যস্ত!আর ১৪০ জন বিশিষ্ট লোকের দেখ ভালের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সংকট পড়ে। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ সম্বলিত পুস্তিকার প্যাকেট পাহাড়া দেওয়ার কাউকে না পেয়ে রাস্তায় রেখে দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ৪ তারায় অফিসে যান।রাস্তার পাশে প্যাকেট দেখে বিস্ফোরক সন্দেহে জাতিসংঘের পাশেই অবস্থিত সেকেন্ড এভিন্যু বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সিকিউরিটি ফ্রিজিং জোন হিসেবে পরিচিত অত্র এলাকায় যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছুটে আসে বিভিন্ন বাহিনী। হুলস্থুল পড়ে যায় পুরো এলাকায়। আতংকিত অনেককে দ্রুত সরে যেতে দেখা যায়। ছুটে আসে শত শত পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড,এফবিআই, এন্ট্রি টেরোরিজম টাস্ক ফোর্সের বিশেষ বাহিনী,হাজমত,দমকল, প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড,এম্বুলেন্স সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার অগণিত সদস্য।প্রশিক্ষিত ডগ স্বোয়াড বক্সের কাছে গিয়েই বিকট শব্দে ঘেউ ঘেউ শুরু করে। এতে সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। বাংলাদেশী কালিতে ছাপানো বইয়ের বিশেষ গন্ধ ডগ স্কোয়াগকে আরও আতংকিত করেছিল বলে ধারণা করা হয়!
আসলে কি কোন প্রয়োজন ছিল ১৪০ সদস্যের এই বহরের?এই বহরে যারা আছে,তারা ঠিক মতো ইংরেজিও বলতে পারে না।তাদের কাছে এই রাষ্ট্রিয় টাকায় সফর একটি বিনোদনের জন্য ভ্রমণ ছাড়া কিছুই নয়।এর মাঝে কেউ যদি আমেরিকাতে পালিয়ে থেকে যায়,তাহলে নতুন একটি রেকর্ড তৈরী হবে।ভবিষ্যতে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গিদেরও আমেরিকা ভিসা দিবে না!
এবারের এই বিশিষ্ট ১৪০ জনের মধ্যে আছে,গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের চ্যায়ারম্যান,ন্যাপ নেতার স্ত্রী,জাসদের মহিলা শাখার নেত্রী,ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সাম্পদক,ছাত্রলীগ,যুবলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এর মতো বিশিষ্ট জনেরা!আর প্রতি বিশিষ্টজনের জন্য হোটেল ভাড়া বাদেও খরচ হবে সাড়ে ৫ লাখ টাকার বেশী!এই সব বিশিষ্টজনেরা নিউ ইয়র্ক এ বাজার সদাই ছাড়া কোন কাজ নেই।কেননা, প্রধাণমন্ত্রীর ভাষন শুনতে যেতে পারবেন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মাত্র ১০ জন।এর মাঝে প্রধাণমন্ত্রীর পুত্র, কন্যা,কন্যার জামাতা, বোন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনির পর আর মাত্র ৫ জন যেতে পারবেন।তারা অবশ্যই হবে জাতীয়সংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও অন্য সরকারী অফিসাররা।তাহলে এই বিশিষ্ট ১৪০ জনের কাজ শুধু সদাই পাতি করে দেশে এসে পরিচিতদের আমেরিকার গল্প শুনুয়ি বিরক্ত উৎপাদন করা।
দেশের জনগনের টেক্সের টাকার কি মহান ব্যবহার!এরপর যদি আমরা টেক্স না দেই,তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের কেউ দোষ দিতে পারবে না!
এই ১৪০ জনের কেউ কেউ ঘটনা জন্ম দিবে এটাই স্বাভাবিক এবং হয়েছেও তাই।এই ১৪০ জনের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক গোপনে প্রধানমন্ত্রীর কথা রেকর্ড করতে গিয়ে ধরা খেয়ে ঘটনা জন্ম দিয়েছে।
এই বিশাল বহরকে সরকারের শেষ বছরে বিনোদন ভ্রমনে নেওয়া এটাই নির্দেশ করে যে,প্রধানমন্ত্রী নিজেও বুঝতে পারছেন যে,তার ক্ষমতা শেষ।আর তিনি ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।তাই ক্ষমতার শেষ সময়ে কিছু লোককে খুশী করতে গিয়ে,দেশে জনগনের টেক্সের টাকা যেমন নষ্ট করেছেন,তেমনই নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন।
©somewhere in net ltd.