নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিএনপি করি।তাই কেউ নিরপেক্ষ লেখা আশা করবেন না।

নিউজ

নিউজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইলিয়াস তালুকদারের ষড়যন্ত্রে কালসী ঘটনার বাদী ইয়াসিন খুন?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৩

কালসীতে আগুনে পুড়ে ৯ জন্যকে হত্যা মামলার বাদী এবং বেচে থাকা এক মাত্র পুরুষ সদস্য ইয়াসীন গত ৬ সেপ্টেম্বর বাস চাপায় মারা গেছেন।তার আত্নীয় স্বজন এবং ক্যাম্পবাসীর অভিযোগ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।কেননা, যে ৯ নং বাসা চাপায় মারা যায়,তার চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার।ইলিয়াস তালুকদার একজন নিজেকে সব সময় আওয়ামীলীগের বিশিষ্ট সদস্য দাবী করেন।



কে এই ইলিয়াস তালুকদার?



ইলিয়াস তারুকদার পল্লবী সুপার সার্ভিস ও পল্লবী সুপার লিংকের চেয়ারম্যান। তিনি আগে ছিলেন এলাকার ছিচকে মান্তান এবং হেটে হেটে পানি বিক্রি করত।পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়,বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নানা অবৈধ কাজ সামলাতে সামলাতে নেতাদের আস্থা ভাজন হয়ে পড়েন।তাদের নানা অবৈধ কাজের সঙ্গি হওয়াতে অল্প দিনেই কাচা টাকার মুখ দেখেন।নামের পরিবহন ব্যবসায়।এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।বর্তমানে দুইটি পরিবহনের চেয়ারম্যান।মিরপুর এলাকার পরিবহন ব্যবসার গড ফাদার বলা হয় তাকে।তিনি সব সময় দাবী করেন,তার এক ভাগিনা প্রধানমন্ত্রীর এপিএস, আরেক ভাগিনা যুবলীগের সেন্টাল কমিটির নেতা।যেই ভাগিনা যুবলীগের সেন্টাল কমিটির নেতা,সে আবার তার ব্যবসায়ীক পার্টনারও!

এছাড়া এলাকায় সবাইকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখে সব সময়।তার দাবী পুলিশ কমিশনার তার নিজের লোক।পুলিশের সবাই তার কথায় চলে।যদিও বস্তবতা হলো, লেনদেনের কারণে পুলিশের সবাই তাকে গুরুত্ব দেয়।পুলিশ তার কাছ থেকে নির্দিষ্ট অংকের মাসহারা পায়।পুলিশের মাসহারার কথা বলে,সে যেই দুই গাড়ী কোম্পানীর চেয়ারম্যান,তার প্রতিটি গাড়ীর মালিক থেকে আদায় করে ৪০০ টাকা করে প্রতিদিন।যদিও পুলিশকে সেই অনুপাতে খুব কমই দেয়।গাড়ী প্রতি পুলিশকে মাত্র ৫০ টাকা করে দেয়।বাকী ৩৫০ টাকা তার লাভ।



সেদিনের ঘটনা



মিরপুরের পল্লবীর কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পে ইয়াছিনের পরিবারের নয়জন সদস্য দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে আগেই মারা গেছেন। সেদিন গুরুতর দগ্ধ হয়েছিল তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ফারজানা আক্তার। মেয়ের জন্য ইয়াছিন গত শনিবার সকালে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনে তিনি দুর্ঘটনায় মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তবে স্বজনদের অভিযোগ, ইয়াছিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার বিচার দাবি করার কেউ যাতে না থাকে, সে জন্যই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত ১৩ জুন শবে বরাতের রাতে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর জের ধরে পুলিশ ও বহিরাগতদের সঙ্গে কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ হয়, এটা চলে পরদিন দুপুর পর্যন্ত। ১৪ জুন সকালে পুলিশের সামনে দুর্বৃত্তরা ইয়াছিন মিয়ার ঘরে বাইরে থেকে তালা মেরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে তাঁর স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন মেয়ে, পুত্রবধূ, নাতিসহ পরিবারের নয়জন দগ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনায় মোট নিহত হন ১০ জন।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ জিয়াউজ্জামান বলেন, গতকাল বেলা ১১টার দিকে ইয়াছিন পূরবী সিনেমা হলের সামনে ৯ নম্বর রুটের একটি বাসে ওঠেন। গেটে থাকা অবস্থায় পাশের আরেকটি বাস ওই বাসটিকে ধাক্কা দিলে তিনি প্রচণ্ড আঘাত পান। প্রথমে তাঁকে পল্লবীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর অস্ত্রোপচারকক্ষে বেলা পৌনে দুইটায় তাঁর মৃত্যু হয়। চালক বাসটি নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।

মৃত্যুর খবরে ইয়াছিনের মামাতো বোন নাহিদা আক্তারসহ আত্মীয়স্বজন ও কুর্মিটোলা ক্যাম্পের বাসিন্দারা হাসপাতালে ছুটে যান। নাহিদা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, এটি দুর্ঘটনা নয়। ইয়াছিনকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলা হয়েছে।এই ষড়যন্ত্রে ইলিয়াস তালুকদার জড়িত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, স্ত্রী, ছেলেমেয়েসহ নয়জন স্বজন হারানোর বিচার চাইতেন ইয়াছিন। এ জন্য নিজের জীবন নিয়েও শঙ্কিত ছিলেন তিনি। স্বজন হারানোর শোকে রাতে তিনি ঘুমাতে পারতেন না। দিনে ছুটতেন স্বজনদের কবরে ও মেয়েকে দেখতে হাসপাতালে।

স্বজনেরা জানান, দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঘরসহ নয়জন পুড়ে মারা যাওয়ার পর ইয়াছিন কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের পাশে তাঁর মামাতো বোন নাহিদা আক্তারের বাসায় ওঠেন। একমাত্র সন্তান ফারজানাকে এক মাস আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার ডান হাতের ঘা এখনো শুকায়নি। সে মিরপুরে ইউসেপ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।

নাহিদা বলেন, ফারজানা তার একমাত্র অবলম্বন বাবাকে হারিয়ে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ে। সে সবাইকে জড়িয়ে বলতে থাকে, তার আর কেউ রইল না। নাহিদা বলেন, ‘সব হারিয়ে মেয়েটা একা হয়ে গেছে। তার পড়াশোনা ও চিকিৎসা চলবে কীভাবে জানি না। বগুড়ায় ফারজানার ফুফু থাকেন। তিনি নিয়ে যাবেন অথবা ওকে আমার কাছে রাখব।’

স্বজনেরা জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ইয়াছিনের লাশ কালশীতে তাঁর স্বজনদের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

গত আগস্টে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মেয়ে ফারজানাকে দেখতে গিয়ে ইয়াছিন বলেছিলেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর মেয়েকে নিয়ে কোথায় উঠবেন, কী বলে তাকে সান্ত্বনা দেবেন, সেটাই তাঁর বড় দুশ্চিন্তা। কারণ, মেয়েকে এত দিন জানাননি তার মা-ভাইদের মৃত্যুর কথা। সে সময় ইয়াছিন আরও বলেছিলেন, নয়টি মানুষ পুড়িয়ে মারা হলো। অথচ তিন মাসে কেউ গ্রেপ্তার হলো না। কোনো বিচারও পেলেন না।



সবার অভিযোগ যখন ইলিয়াস তারুকদারের বিরুদ্ধে,তিনি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।এমন কি বাসটি যে তার কোম্পানীর সবাই জানা এই সত্যিটুকুও স্বীকার করেন নি।

৭ সেপ্টেম্বর সকালে ইলিয়াস তালুকদার পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ জিয়াউজ্জামানের সাথে দেখা করতে যান।তাদের মাঝে বড় অংকের টাকা লেনদেন হয় বলে গুঞ্জন আছে।এছাড়াও প্রশাসনের কাছে নানা জায়গা থেকে নানা তদবীরও আছে।

ইয়াসীন যেমন বেচে থাকা অবস্থায় বিচার পেল না,ইলিয়াস তালুকদারের ষড়যন্ত্রে কি মৃত্যুরপরও বিচার পাবে না ইয়াসিন?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪০

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: ইয়াসিন আলী যার পরিবারের সবাইকে হত্যাকরা হয়েছে গত ১৩ জুন শবে বরাতের রাতে তথা কথিত আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর জের ধরে । শেষ পর্যন্ত ইয়াসিনকে ও এই পৃথিবীতে বাঁচতে দিল না আমাদের তথাকথিত রাজনীতি । ইলিয়াস মোল্লার পরিকল্পনায় ও ইলিয়াস তালুকদারের পরিচালনায় সমাপ্তি ঘটল একটি সিনেমার । আর কত হিংশ্র হবে আমাদের দেশের রাজনীতি । ইয়াসিন আলী আমাদের ক্ষমা করো তোমার পরিবারের অন্যান্যদের ও বলো পারলে যেন আমাদের ক্ষমা করে দেয় । ধ্বিক শত ধ্বিক বাংলাদেশের রাজনীতিক জানোয়ারদের ।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

মফিজ বলেছেন: যাদুঘর ও ৯ নংবাসকে জায়গা দেবেনা অথচ মিরপুর নিউমাকর্েট রুট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই লক্কর ঝক্কর বাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.