নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গায়ে এখনও দেশী মাটির গন্ধ...কানাডাতে আসার সাথে এই ব্লগে লেখালিখি জড়িয়ে আছে। ২০০৭ এ আসি। সে সময় থেকেই লিখি। এখন ফেবুতে বেশি এক্টিভ। ফেবু: fb.com/bdidol9x/ পেজ: fb.com/bdidol5x

বিডি আইডল

ফেবু: facebook.com/bdidol3x ফেবু পেজ: facebook.com/bdidolx

বিডি আইডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশেই কি থেকে যাবো? যারা বাইরে থাকছেন বা থাকার ইচ্ছা আছে আপনাদের মত কি?

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:১২

দেশের বাইরে আছি আজ প্রায় তিন বছর....পড়াশোনার পাঠও প্রায় শেষের দিকে...ইতিমধ্যে হয়ে গেছি কানাডার স্হায়ী বাসিন্দা....সম্প্রতি জন্ম নেওয়া কন্যা হয়ে গেছে কানাডিয়ান নাগরিক...



আমি বাবা-মায়ের একছেলে...বাইরে থেকে যাবো কিনা এই চিন্তাটা খুব ভাবাচ্ছে ইদানিং...বিশ্ব মন্দায় প্রকৌশল চাকরীর বাজারের খুবই চরম আকাল চলছে বলে শুনছি...



মেয়েকে কিভাবে এই পরিবেশে বড় করবো..বাবা-মার বয়স হচ্ছে তাদের জন্য কি করবো...এই চিন্তা গুলো হাসফাস করে মাথার মাঝে সর্বদা...



যারা আছেন বাইরে আপনাদের মতামত কি....দীর্ঘমেয়াদে কি আত্মতৃপ্তি হচ্ছে বাইরে থেকে? কালচারের বা ধর্মের প্রতিকূলতায় থেকে?



আমার আশে-পাশের কয়েকটি পরিবারকেই দেখেছি বাবা-মার মৃত্যুতে দেশে যেতে পারেন নি....পরিবারের প্রয়োজনে পাশে দাড়াতে পারেন নি...ছেলে-মেয়ে একটু বড় হয়ে যখন এই কালচারের সাথে মিশতে গেছে শুরু হয়েছে পারিবারিক কলহ...বাড়ী-গাড়ী, সামাজিক নিরাপত্তা আর স্বচ্ছলতার স্বস্হির তুলনায় এগুলোর বোঝা কেমন?



আপনাদের অভিজ্ঞতা বা একান্ত ভাবনা হয়ত আমার চিন্তার বোঝা কমাতে সাহায্য করতে পারে....

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +২৩/-১

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:১৫

মুনিয়া বলেছেন: এখন দেশে আসলেও মানিয়ে নিতে পারবেন না। বাইরেই থেকে যান।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:২৮

বিডি আইডল বলেছেন: ৩-৪ বছর খুব বেশী সময় নয় আসলে...দেশ নিয়ে এক ধরণের হতাশা কাজ করে আবার মনে ইদানিং...সব কিছুর অপর নাম যেখানে বিশৃঙ্খলতা আবার...

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:২৪

রনি রাজশাহী বলেছেন: কুটি কুটি টাকা ইনকাম কইর‌্যা দ্যাশে দৌড় দেন। এত পরিমান টাকা আনবেন যেন সারা জীবন পায়ের উপ্রে পা দিয়্যা বইস্যা বইস্যা খাইতে পারেন। :| :| :| :|

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৬

বিডি আইডল বলেছেন: হা হা হা....রনি সেই দিন নাই আর বোধকরি...৭০-৮০ এর দশকে যারা বাইরে এসেছিল (বিশেষ করে নর্থ আমেরিকায়) তারা যত সহজে ভালো চাকরী-বাকরিতে ঢুকেছিল সময়ের পরিক্রমায় এখন বিষয়গুলো অনেক কঠিন.... এখানে মাস্টার্স/পিএইচডি করে ভালো চাকরি পাওয়া...বিশেষ করে প্রকৌশল পেশায় অনেক কঠিন এখন...কানাডাতে গত একবছর ধরে প্রকৌশল নিয়োগ প্রায় বন্ধ...পুরোন লোক ছাটাই হচ্ছে এবং কবে নাগাদ লোক নিবে তারা তাও জানে না...

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:২৭

নিঃসঙ্গ বলেছেন: দেশে গিয়ে থাকতে কষ্ট হবে অনেক। অনেক রেই দেখছি দেশে গিয়ে কিছু দিন থাকার পরে আবার ফিরে আসতে হয়।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৮

বিডি আইডল বলেছেন: হয়ত সত্যি...মোটামুটি সব কিছুই নিয়মের মধ্যে চলে এ থেকে অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে গেলে কেমন চলবে কে জানে...

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৩১

শয়তান বলেছেন: দেশে চলে আসেন । তবে আরও কয়েক বছর পরে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৪৩

বিডি আইডল বলেছেন: কেউ কেউ এই কাজ করে কিন্তু ছেলে মেয়েরা একটু বড় হয়ে গেলে ভিন্ন পরিস্হিতিতে আবার সমস্যায় পড়ে নানারকম শুনিছি...

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৪

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মালেশিয়া, থাইল্যান্ড এমন কি আরবের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মাস্টারি পদে আবেদন করুন। দেশের কাছাকাছি থাকলেন, নিজের আচার ধর্ম নিয়ে থাকলেন, কিন্তু উন্নত জীবন যাপনের নিশ্চয়তা পেলেন। মাঝে মাঝে দেশে গিয়ে মাস্টারির খ্যাপ দিলেন। দেশে গিয়ে তো গাড়ি হাকাবার মত রাস্তা নেই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৪৬

বিডি আইডল বলেছেন: :) দেশ থেকেই অনেকেই করছে চাকরী ওইসব জায়গায়...

Click This Link

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা উচ্চতর ডিগ্রীর চেষ্টা করবো কিনা ভাবছি :)

থাইল্যান্ড...সিঙ্গাপুর...ইউএই বা সৌদিতে চাকরী করছে অনেক বন্ধুরাই....তারা সবাই পরামর্শ দেয় কানাডিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে যেতে...যেটা পেতে আমার আরো প্রায় দেড়-দুবছর....

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৫

নাজিম উদদীন বলেছেন: এসব ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। লোকজন বললেই কি আপনি থাকবেন,না ফিরে যেতে বললে চলে যাবেন?

তিনবছরে দেশ পাল্টে যায় না, যে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে, বিদেশেও মানিয়ে নিয়েই থাকতে হবে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৪২

বিডি আইডল বলেছেন: নাজিম ভাই...অন্যের অভিজ্ঞতা আমার সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবক...নিদেন পক্ষে মেন্টাল সার্পোটের কাজটা হয়ত করবে...

দেশ পাল্টায় নি সত্যি (গত ডিসেম্বরে দেশে গিয়ে সেটা বিবেচনা করার সুযোগ হয়েছিল)....কিন্তু আমি হয়ত কিছুটা পাল্টে গেছি...

কারো মা মারা গেল আর সে মাকে দেখতে পারলো না...কাছে থাকতে পারলো না এই অভিজ্ঞতা ভার্সাস একটা দামী হাইব্রিড গাড়ী হাকানোর অভিজ্ঞতাটা তো আমার নেই...সেটা জানার মানষেই এই পোষ্ট....

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৯

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: দেশ বিদেশ সব সমান --

যেখানে ভালো লাগে -- সেখানেই থাকেন --

তবে পাসপোর্টটা সবার আগে ঠিক রাইখেন ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:০৮

বিডি আইডল বলেছেন: সব কি আসলেই সমান?

কোন পাসপোর্ট সবুজ? :)

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৫০

রামন বলেছেন: তিন বছর প্রবাসী জীবন তেমন বেশী কিছু নয় । যদি একেবারে দেশের ফেরার ইচ্ছা থাকে তাহলে আগামী ২ বছরের ভেতর সির্দ্ধান্ত নেয়াই শ্রেয়। এরপর শেকর যতই গভীরে প্রবেশ করবে তাকে ছিঁড়ে তুলে আনার যন্ত্রনা ততই বাড়বে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:২৪

বিডি আইডল বলেছেন: আমার এখন পর্যন্ত মোটামুটি সিদ্ধান্ত হলো পাসপোর্টটা পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা....

শিকড়ের বিষয়টা একটা জটিল সমস্যা....

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৫৮

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: হ ভাই, আমগো সবুজ পাসপোর্ট দেখলে দৌড়ান দেয়। :( আরবের লোকেরা বর্ণবাদী, বাঙালিদেরকে মেথর গোত্রীয় মনে করে নিপীড়ন চালায়। ডাক্তার হলে ভিন্ন কথা। সেক্ষেত্রে ভিনদেশী পাসপোর্ট দর্কার আছে। আপনার লিঙ্ক অনেক আগে থেকেই দেখা আছে। চামে আছি, চামে থাকা ভাল। তবে বইখা গিয়া, পাল্লায় পড়ে আরব সুন্দরী বিয়া কর্লে খেদায়াইয়া দিবো, সে চিন্তাও কম না। B-))

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৪৭

বিডি আইডল বলেছেন: :) সূদর প্রসারী চিন্তাভাবনা আপনার!!

১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:০৯

সোনার বাংলা বলেছেন:
থাকার ইচ্ছে নাই! তবে দেশে বেঁচে থাকার পরিবেশ ও নাই! অনিয়মের রাজ্য...
বাহিরে থেকে দেশ কে নিয়ে আমরা যেভাবে ভাবি দেশের মানুষ তেমন করে ভাবে কি?
কে চায় না আপন জন্মভূমির আলো বাতাসে স্মৃতির সাথে খেলেধুলে জীবন পার করতে?

মাঝে মাঝে যখন অতীতের চার দেয়ালে ...একাকী বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা, ভোরের শিশির ভেজা ঘাসের স্নেহে....অথবা নিশি জেগে ব্যর্থতার পর্বত সমান হতাশা সিগারেটের ধোঁয়-ই হজম করার মূহুর্ত...... বায়স্কোপের মতো যখন ঝেকে যায় আলো ছায়ার চশমার ফ্রেমে। সত্যেই কাঁদায়.... সব কিছু কে-ই তুচ্ছ মনে হয়! আবার ফিরে পেতে মন চায়.... স্মৃতির মাঝে বেঁচে থাকতে মন চায়......,

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:০৩

বিডি আইডল বলেছেন: আপনার মত বোধকরি সবাইই ভাবে কিন্তু এমন চমৎকারভাবে প্রকাশ করতে পারে না...

১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:৪৪

তিথী ও টাটা বলেছেন: আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি কিছুটা হতাশ।
বিদেশ মানে স্বর্গ নয় এটা দেশে যারা থাকে তারা কিছুতেই বুঝতে চায় না !! আমাদের বাপ দাদারা যদি শত প্রতিকুলতার মধ্যেও দেশে থাকতে পারে তবে আমরা বিদেশ থেকে যোগ্যতা অর্জন করে দেশে থাকতে ভয় পাব কেন??
তবে আমার অভিঙ্তা থেকে বলছি যদি দেশে আসতে চান তবে আগে থেকে পরিকল্পনা করে আসুন কি করবেন,কিভাবে চলবেন আপনার ভবিষত পরিকল্পনা ইত্যাদি।
১০ বছর বিদেশ থাকার পর আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর বিদেশ নয় এবার বৃদ্ধ বাবা মার কাছে চলে যাব অবশ্য চলার জন্য কিছু একটা করব এটা আগেই ঠিক করে চলে আসছি

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১০

বিডি আইডল বলেছেন: হতাশা এখনও আসে নি..সে অর্থে আমি হতাশাবাদী লোকও নই....পজিটিভ চিন্তাভাবনা করতে অভ্যস্হ.....কিন্তু দেশ নিয়ে কিছুটা হতাশা তৈরি হয়েছে গত কিছুদিন যাবৎ...আপনার দেশে যাবার সদিচ্ছাকে অভিবাদন জানাই...

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:৫২

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আমি মাত্র দুই বছরের কিছু বেশী হইল আছি বাইরে। ইন্টারের পর দেশ ছাড়ছিলাম। জীবনের অভিজ্ঞতা কতটুকু হইছে জানি না। তবে এইটুকু বুঝছি, যত যাই হোক বাংলাদশই আমার আসল জায়গা। ঐখানেই আমারে ফিরা যাইতে হইব। কিছু করার নাই। জন্ম হইয়া গেছে বাংলাদেশে। আমার জন্মভূমি, মাতৃভূমি ছাইড়া আমার পক্ষে থাকা সম্ভব না। হইতে পারে আমি দেশে গিয়া কষ্ট করুম, ডাইল ভাত খাইয়া দিন কাটাইতে হইব। হইতে পারে আমার জীবন সংগ্রামে, অনিয়মে, দূর্নীতিতে বার বার হোঁচট খাইব বার বার। হইতে পারে বর্ষার কাদা ভর্তি রাস্তা দিয়া হাটতে খারাপ লাগব। কিন্তু আমার জন্মগত ঘর ছাইড়া আমার পক্ষে থাকা সম্ভব না। রাস্তায়, দোকানে, বাসা-বাড়ীতে বিজাতীয় ভাষায় কথা বইলা জীবন কাটানি আমার পক্ষে সম্ভব না। সুপারশপের ঝামেলামুক্ত কেনাকাটায় হয়ত সুখ আছে, কিন্তু দরদাম কইরা বাজারের ব্যাগ নিয়া কেনাকাটার সেই শান্তি আর আনন্দ নাই। আর সবচেয়ে বড় কথা হইল, আমি আসলে কোন জায়গার? আপনি নিজেরে নিজে প্রশ্নটা করেন। আমি আসলে কোন জায়গার? কোথাকার জন্য আমাকে তৈরী করা হয়েছে? উত্তর যদি হয় বাংলাদেশ তাইলে টাটা বাই বাই কইয়া বিদায় নিবেন বর্তমান জায়গা থিকা। আর যদি উত্তর অন্য হয় তাবে ভিন্ন কথা। আপনার অনূভুতিই আপনার সবচেয়ে বড় পরামর্শদাতা। সুন্দর, ঝামেলাহীন, স্বচ্ছ জীবনই শেষ কথা নয়। আরও অনেক ফ্যাক্ট আছে। বাবা মায়ের মৃত্যুতে যে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে থাকতে পারে না। মৃত্যুর সময় যে পাশে থাকতে পারে না, সে যত বড় লোকই হোক, তার জীবনের সফলতা যতই থাকুক, সে আসলে একটা দূর্ভাগা, একটা চরম ফকির। তার মত গরীব এই দুনিয়াতে কেউ নাই। আর সংস্কৃতিগত বৈষম্য অবশ্যই সৃষ্টি হবে। আপনার সন্তান যখন পরিণত বয়সে আরেকটা সংস্কৃতি অবলম্বন করে চলাফেরা করবে তা আপনার জন্য মেনে নেওয়া হবে চরম কষ্টের, যদি আপনি অন্যরকম মানসিকতার না হন। কারণ সবার পক্ষে সবকিছু মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমি বাঙ্গালী, মানে আমি বাঙ্গালী। আমার সংস্কৃতি আমার কাছে সেরা। এইটা কোন কট্টরপন্থা না। এই সেরা মনে হওয়ার কারণেই আমি আমার সংস্কৃতি আগলাইয়া রাখি। আর এভাবেই বৈচিত্রতা রক্ষা প্রকৃতিতে। এইটা নিয়ম। এইডা ভাল না খারাপ তা আমি জানি না। আমার এতে কিছু করার নাই, আর থাকলেও আমি তা করুম না। আমি যা আমি তাই। তারপর আপনি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। আমি যদি আপনার জায়গায় হতাম, আমার অনূভুতি আমারে সোজা উত্তর দিত, তোর জায়গা বাংলাদেশ। কারণ কিছু কিছু জন্মগত দায়িত্ব আছে, যা যত কষ্ট আর আস্বস্তি হোক না কেন,আমাদের পালন করতে হয়। মাকড়সা নিজে মইরা তার বাচ্চারে জন্ম দেয়। তার শরীর খাইয়া তার বাচ্চা বড় হয়। যত মর্মান্তিক হোক না কেন তাকে এই দায়িত্বটা পালন করতে হবে। আমরা মানুষ বইলাই অনেক কিছু নিয়ম ভাংতে পারি। পশুরা তা পারে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পশু হওয়াই উত্তম। সবচেয়ে বড় কথা আপনার অন্তরাত্মা কি বলে? তারে প্রশ্ন করেন। সে যা উত্তর দিবে তাই সঠিক। কুঁড়ে ঘরেও ভাই শান্তির দেখা মেলে, বড় প্রাসাদে দেখা মেলে চাপা কষ্টের। সবুজ রঙ আমার প্রিয় রঙ না। তবে আমার সবুজ পাসপোর্টটা আমার খুব প্রিয়। কেমন জানি নিজেরে বাংলাদেশী বাংলাদেশী লাগে পাসপোর্টটা হাতে নিলে। B-) হাইব্রিড পাসপোর্ট কোনদিন হাতে নেই নাই, আর নেওয়ার শখও নাই।

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:৫৩

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: লাল সালাম @ তিথী ও টাটা

১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:৫৯

ডিমওয়ালা বলেছেন: দেশ বিদেশ -- আমার কাছে মনে হয় যেন সব সমান। কতগুলো মানুষ তাদের বৈঠক খানায় বসে বসে ম্যাপের উপর দাগ কসে করছে ভাগাভাগি। সেই ভাগাভাগি থেকে জাতিয়তাবোধ, সেটা থেকে বিভিন্ন দেশের নানা পদের ইকোনমি, সেটা থেকে লোকজনের চাকরি বাকরি, ব্যবাসা -- জিবনধারন।
ঐযে সবশেষে এসে সেই - জিবনধারন।
আর কানাডায় আপনের নিজস্বতা বজায় রেখে ঠিকি জিবনধারন করতে পারবেন -- কারন তারা মাল্টিকালচারিজমকে আসলেই উতসাহিত করে, পিলাচ লোকজনের মধ্যে অহংকার অনেক কম।

১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:০১

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: চোর-ডাকাতদের কাছে নিজের গ্রাম/শহর/দেশকে ছেড়ে দিয়ে আপনাদের মতো লোকজনই যদি বিদেশে থেকে যায়, তাহলে আর দেশটাকে উদ্ধার করবে কে রে ভাই।

আমি দেশে ফিরে যেতে চাই।

১৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:০২

লুৎফুল কাদের বলেছেন: Tithi and tata (hope I spelled it right) that's my plan. I am in U.S. for nine years. Tried to do something in Bangladesh. I am going back Inshallah next year. I may come to visit but not to stay.

১৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:০৯

তিথী ও টাটা বলেছেন: রাজ তুমি আমার মনের কথা গুলো বলেছ,ধন্যবাদ তোমাকে।
আমি এখন থাকি বিদেশে কিন্তু আমার আত্না আমার মন সব যেন আমার দেশে ,বাবা মা'র শেষ সময়ে যদি ওদের কাছে না থাকতে পারি তবে এ জীবনের মুল্য কি??

১৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:২৭

সাদাকালোরঙিন বলেছেন: ভাই আমিও আপনার মতো দোটানায় । কিন্তু এটুকু বুঝি যে দেশে ফেরাটা মোটেই সহজ নয় ( বাস্তবতা হলো সম্ভব নয়) এখন আপনি দেশে ফিরলেও সবাই এমনভাব করবে যে আপনি দেশে ফিরে বিরাট অন্যায় করে ফেলেছেন। আর বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলাও একসময় আপনার মনে দেশ নিয়ে চরম বিতৃষ্া সৃষ্টি করবে। তখন এখন দেশের জন্য যে ভাল লাগাটুকু আছে তাও যাবে হয়ত।

আসলে আমাদের উচ্চাভিলাষই আমাদেরকে কোথাও শান্তি দিবে না। না দেশে না বিদেশে।

তবে আমিও আশা করি একদিন দেশে ফিরে যাবো , সত্যিই পারবো কিনা জানিনা ।

আপনার জন্য শুভকামনা ।

১৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৫৮

মিঠুন ভাই বলেছেন: আমি ফিরে যেতে চাই, আমার বাংলা মায়ের কোলে।

২০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:০৫

মুকুট বলেছেন: শুভসকাল আইডলদা। আমিও আপনার মত একপিস। তবে আগে থেকেই কেন যেন বিদেশে সেটেলড হব, এইটা পছন্দ করতাম না, এখনও সেই ইচ্ছাটাই আছে। তবে বাহিরে নাকি দেশে থাকব এটা সম্ভবত বেশি প্রভাব পড়ে যদি দেশে একটা ভালো জব রেখে যান, বা সম্ভাবনা থাকে যে আরও ভালো জব পাব, এক্ষেত্রে দেশে ফেরার একটা তাগিদ থাকে। কিন্তু যারা স্টুডেন্ট অবস্থায় বিদেশে আসে, যেহেতু দেশে কোন জবে ছিলো না, তাই ফিরতেই হবে এই পিছুটান কমে যায়।

আর বাহিরে যা দেখতেছি, যত ইনকাম, তত খরচ। দেশে যদি ভালো মানের একটা জব থাকে, আমার মতে দেশেই ভালো। বহিঃবিশ্বে যেভাবে অর্থনৈতিক মন্দা যাচ্ছে, কোন সময় ছাটাই করবে, ঠিক নাই, দেশে আশা করি এইটা হবে না। আর বিদেশে আগামী প্রজন্মের বেড়ে ওঠা সমস্যাতো আছেই। না হবে দেশি মানুষ না হবে বিদেশি, এই হাইব্রীড প্রজন্ম যখন বৃদ্ধ বয়সে দেখবেন, মনে হয় কিছুটা হলেও মনের দহনে পুড়বেন। যাহোক আমার ডিসিশন ফাইনাল, দেশেই থাকব। আপনার জন্য শুভকামনা।

২১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:১৭

সরকার সেলিম বলেছেন: রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: চোর-ডাকাতদের কাছে নিজের গ্রাম/শহর/দেশকে ছেড়ে দিয়ে আপনাদের মতো লোকজনই যদি বিদেশে থেকে যায়, তাহলে আর দেশটাকে উদ্ধার করবে কে রে ভাই।আমি দেশে ফিরে যেতে চাই।

রিয়াজের সাথে একমত।

আর সাঈফ শরিফের প্রথম পরামর্শ ফলো করতে পারেন।

মালেশিয়ায় ট্রাই করতে পারেন। খারাপ হবে না। ইসলাম আর আঢুনিকতার সুন্দুর একটা মিশ্রন পাবেন সেখানে। নিজের দেশের মতই মনেই হবে। মনেই হবে না যে দেশের বাহিরে আছেন । আমি ৩ বছর মালেশিয়াতে পড়ালিখা করেছি, জাপানেও প্রায় ৩ বছর হলো। জাপানে সেটেল হওয়া কোন ব্যাপার না। ইচ্ছা করলেই জাপানে ভালো একটা জব সহ থাকা যায়। কিন্তূ জাপানে থাকার জন্য মনের জোর পাই না। কমপেয়ার করলে আমার কাছে জাপানের চেয়ে মালেশিয়াই বেষ্ট মনে হলো।আগামি সেপ্টম্বরে আমিও পড়া লিখা শেষ করব। ইচ্ছা আছে প্রথম বাংলাদেশে যাওয়ার। যদি দেশে পেট চলার মতও কিছু না পাই তাহলে আবার মালেশিয়াতে ব্যাক করার ইচ্ছা আছে।

২২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৩০

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: এটা সম্পূর্ণই আপনার নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে দোনো-মনো করে সিদ্ধান্ত নিবেন না। যা সিদ্ধান্ত নিবেন একবারেই নিবেন।

আমার পরিচিত একটা ছেলে আছে, যার পড়াশুনা প্রায় পূরাটাই বাংলাদেশে - এমনকি ওর এমবিএ আইবিএ থেকে করা। পাশ করার পর ড্যানিশ একটা কোম্পানি আর একটা জাপানিজ কোম্পানিতে কাজ করেছে ৫/৭ বছর। এরপর কানাডায় ইমিগ্রেশন। কানাডায় ছোটখাট কিছু কোর্স করেছে সাথে চাকরি। আর মাঝে-মধ্যে বাংলাদেশে এসে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক চাকরি করেছে। কানাডিয়ান পাসপোর্ট পাওয়ার পর ঢাকায় চলে এসেছে স্থায়ীভাবে। প্রথমে বোধহয় ছিল বাংলালিংকে, এরপর রহিম আফরোজে, শেষবার একটা গ্রুপ অফ কোম্পানিতে। এই মূহুর্তে ঠিক কোথায় আছে জানিনা। সবগুলিতেই সে লাখ টাকার উপর বেতন পেত।

এর সাথে আরো কিছু কথা যোগ করতেই হবে। ওদের পরিবার ঢাকায় আছে অনেক আগে থেকে। একটা ফ্ল্যাট আছে যা ওর মা পেয়েছে পৈতৃক সূত্রে, আরেকটা বাড়ী করেছে সবাই মিলে। পারিবারিক যোগাযোগ খূব ভাল, ওর নিজের যোগ্যতার সাথে যেটা ক্যাটালিষ্ট হিসেবে কাজ করেছে সবসময়।

এবার ওর বড় ভাই এর কথা কিছু বলি। উনি আমেরিকান পাসপোর্টধারী, স্ত্রী সাদা চামড়ার আমেরিকান। আমেরিকাতে ইন্টারমিডিয়েটের পর থেকে ছিলেন বহু বছর। মেয়ের বয়স যখন ১৫/১৬ বছর তখন একদিন তার উপলব্দি হলো এই মেয়েকে নিয়ে আমেরিকায় থাকা সম্ভব না। মেয়ে অসাধারণ সুন্দরী, আর যার ফলে বিভিন্ন ধরনের হাতছানি তো আছেই। স্ত্রীর সাথে আলাপ করে প্রায় রাতারাতিই চলে এলেন বাংলাদেশে পূরো পরিবার সহ। এখনও ঢাকাতেই আছে তারা।

বিদেশেও অনেকেই নিজের ধর্ম, কৃষ্টি, মূল্যবোধ রক্ষা করে টিকে আছে বহাল তবিয়তে। ছেলে-মেয়েদের মানুষ করছে একই ভাবে। যদিও কাজটা খূব একটা সহজ নয়। আর এদের সংখ্যা খূবই কম।

সুতরাং ডিসিশনটা নিতে হবে আপনাকেই আর একবার নিয়ে ফেললে পিছনে ফিরে তাকানোটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলেই মনে করি।

২৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৫২

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: বারমদী ভাইজান --

ইন্টারের পর আমাদের মাথাও ঐ চিন্তা ঘুরতো । দেশে যামু -- সব ঠিক করে ফেলমু --
বাংলাদেশ দাড়ায় যাবে -- আমাদের পাসপোর্ট রে মানুষ সম্মান দিবে --

ভাইজান -- বহু জায়গায় ঠোক্কর খাইয়া শিখলাম আপনে বাচলে বাপের নাম --

আদর্শবাদি আবেগ কই উইরা গেলো --

দেশরে কি চেন্জ করবো -- কাজ কর্ম দেখতে দেখতে নিজেই চেন্জ হইয়া গেলাম ।
পাসপোর্ট হাতে কোন এ্যাম্বাসিতে দাড়াই লে নিজের চোর চোর মনে হয়তো --
ওগো দেশে চুরি করতে যাইতাসি এমন ভাব ---

আমরা নিজেদেরই দাম দেই না - মানুষ আমাদের কি দাম দিবে --

--
বাংলাদেশে ফিরে গেলাম -- গুতাগুতি কইরা থাকলামও ৫-৬ বছর --
শেষে বুঝলাম -- বাচতে হৈলে দেশ বিদেশ সব সমান -- সব জায়গাই কষ্ট করতে হবে ।

আপনে দেশে যাবেন -- খুব ভালো -- তবে কোন স্বপ্ন নিয়া যাইয়েন না ।

--
আমি তো বলি -- বিদেশ থাকে অভাগারা -- কিন্তু আমাদের দেশের বোঝা যে কমতাসে এটাও সত্য ।

এত মানুষ -- কিছু কমলে সবার জন্যই ভালো ।

দেশে থাকার ইচ্ছা কার না হয় -- কিন্তু বাস্তবতাই মানুষরে বিদেশে স্থায়ী কইরা দেয় ।

২৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:০১

দরদী নজরুল বলেছেন: সিদ্ধান্তটা আপনাকেই নিতে হবে। আমি জার্মানী আর কানাডা পড়াশোনা করে আপনার মতই দোটানায় ছিলাম কিছুদিন। তারপর ইউএইতে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেই। গত দুই বছর থেকে বাংলাদেশে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্যাক্তি অভিজ্ঞতা থেকে বলি, আমার মতে থাকার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় কানাডা অনেকগুন বেশী ভাল জায়গা। মেয়েকে যদি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি দেশীয় আবহে বড় করতে চান, দেশের বিকল্প নেই। দেশে ফেরার জন্য মাঝে মাঝেই আফসোস করি, আবার মাঝে মাঝে মনে হয় একটু কষ্টে থাকলেও পরিবারের সবার সাথে মিলে ভালই আছি। অবশ্য এই ৩৮ বছর বয়সে কানাডা যেয়ে নতুন করে চাকরি খুঁজে নেয়া আর সম্ভব হবেনা। এটা বুঝেই হয়তো আফসোস হয়। একটু বিশৃঙ্খলা দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়, দেশে খুব বেশী আশাও দেখিনা মাঝে মাঝে। আবার যখন মনে হয় দিন শেষে অন্তত মায়ের মুখটা দেখতে পাচ্ছি - মনটা শান্ত হয়ে যায়। দেশে যদি চলে আসেন, অনেক কিছুতেই হতাশ হবেন, আবার ফিরে যেতে চাইবেন। আবার যদি বাইরে থেকে যান- একবার যেহেতু চিন্তা ঢুকেছে, তখন বারবার দেশে ফেরার আকুতি জাগবে। সুতরাং যা করবেন চিন্তা করে, আর পিআর যেহেতু হয়েছেন পাসপোর্টটা অবশ্যই হাতে নেবেন।

২৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:১৪

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: দেশের মায়া- বড় মায়া।
কিন্তু, সিদ্ধান্তটা যখন নিজের জীবনের তখন একটু কষ্ট-বেনেফিট অ্যানালাইসিস করতেই হয়। আপনি কী ভাবছেন,আপনার পরিবার কী ভাবছে, ভবিষ্যৎ নিয়ে কী পরিকল্পনা, পারিপার্শ্বিক অবস্থা কেমন- এইসব কিছু বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিন। আশা করি, ভুল হবে না!
(আমি জীবনেও দেশের বাইরে গিয়ে থাকি নি, তাই পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে ক্লীয়ার না। তারপরেও পরামর্শ ঝেড়ে দিলাম। বাঙালী উপদেশপ্রবন জাতি! :))

২৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:২০

হাসান শহীদ ফেরদৌস বলেছেন: প্রথমে কানাডার পাসপোর্ট নিন, তার পর দেশে চলে আসুন।

যদি দেশ আর বিদেশের মাঝে তুলনা না করে থাকতে পারেন তবে ভাল থাকবেন। চাকরী পেতে দেশে সমস্যা হবে না, স্ট্যাটাস নিয়েও না। তবে বিশৃংখলা খারাপ লাগবে। এটুকু মেনে নিলেই আর কোন সমস্যা হবে না আশা করি।

২৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৯

তমিজ উদ্‌দীন লোদী বলেছেন: বিষয়টি খুবই আপেক্ষিক।ভালো লাগা মন্দ লাগা উভয়ই।আসল কথা মানিয়ে নেয়া।মানিয়ে নিতে পারলেই হলো।যখন তুলনা করার বিষয়টি থাকেনা তখন এক রকম আর তূলনা করার বিষয় এলেই নানা দ্বিধা দ্বন্দ্ব
কাজ করে।নষ্টালজিয়াও।ভেতরটা কখনো কখনো হু হু করে।সব কিছু ছাড়িয়ে দেশ উঠে আসে তীব্র হয়ে।আবার বিপরীতটাও হয়।নির্ভর করে সম্পূর্ণ আপনার উপর।তবে আবেগ অনেক সময়ই যুক্তি বোঝেনা।আবার অন্ধ আবেগ সর্বনাশীও বটে।

সঠিক সিদ্ধান্ত সেটাই যেটি আপনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

২৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৪০

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: @ শূন্য আরণ্যক ভাইঃ

নাহ ভাই আবেগ বইলা এখন আর কিছু নাই আমার মধ্যে। তয় মইধ্যে মইধ্যে যে দেখা দেয় তা ঠিক। তবে অনেক আগেই আবেগ খুন হইয়া গেছে।এখন খালি লাশটা দেখা যায়।

স্বপ্ন! ঐডা বহুত আগেই দেখা বাদ দিছি। এহন তো ভুইলাই গেছি স্বপ্ন কি জিনিস! তয় জিজ্ঞাসা করলে মুখস্ত কইয়া দিতে পারি পুরানা জিনিস।

আমি আসলে একটা জন্তু। জান্তব কামনা আছে আর তার থিকাই উদ্ভুত এইসব চিন্তা। অথবা বলতে পারেন রোবট। আগে থিকাই প্রোগ্রাম করা।

২৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:০৪

অলস ছেলে বলেছেন: :)

৩০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৩

ইসানুর বলেছেন: প্রথমে কানাডার পাসপোর্ট নিন, তার পর দেশে চলে আসুন। ভাল চাকরি পাইলে বা ভাল লাগলে দেশে থেকে যাবেন না হয় কানাডায় ফিরে যাবার অপশনতো আছেই।

৩১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪২

দারাশিকো বলেছেন: দেশে চলে আসেন, ভালো বলেন আর মন্দো, আপনারই তো দেশ ... পাল্টাইতে হৈলে আপনাকে তো থাকতেই হবে, তা না হলে আমরা কেন থাকবো ......?

৩২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৭

_তানজীর_ বলেছেন: উপরের মন্তব্যগুলো পড়লাম। কিন্তু একটা কথা .. আমারও জানতে ইচ্ছা হচ্ছে। অন্য দেশের পাসপোর্ট নিয়ে এসে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়া কি নৈতিক? পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে। কার কি মনে হয়? :-/

৩৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮

আইলা বলেছেন: আপনি কানাডার কোন শহরে থাকেন ??

আমার আর আপনার সেম কেস, শুধু পার্থক্য হইল আমি মাত্র বিয়ে করছি।

৩৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:২০

বিলাশ বিডি বলেছেন: পৃথিবী এখন অনেক ছোট হয়ে গিয়েছে। দেশে আর বিদেশে থাকার মধ্যে আগের মতো আর পার্থক্য নাই। প্লাস, বিদেশে বেশি বেশি মানুষ থাকতে পারলে দেশে বেশি বেশি রেমিট্যান্স যাবে, জ্ঞান-প্রযুক্তি ট্রান্সফার হবে!

আমি বিদেশে আছি কয়েক বছর হলো। প্ল্যান আছে দেশে ফিরে যাবার। নিজের দেশের উপরে কিছু নাইঃ)

৩৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:১৮

ম্যাকানিক বলেছেন: শুন্য অরন্যক ভাই এর সাথে শতভাগ সহমত তবে
ভাই সিদ্ধান্তটা পুরাটাই আপনার ব্যাক্তিগত।
অনেকে দেশে গিয়ে টিকে যান অনেকে টিকেন না।
আমি নিজে টিকতে পারিনি। আমারই পরিচিত অনেকে আছেন টিকে গেছেন।
আমার কাছে এখন যা মনে হয়
আমরা দেশ নিয়ে বা দেশে ফিরে যেতে চাইলে আবেগকে প্রাধান্য দেই বেশী।
আর বাংলাদেশে ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড ও বেশ বড় একটা ফ্যাক্টর।
আমার মত মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান হলে বলবো আপনি দুঃসাহসি স্বপ্ন দেখছেন অন্যথায় বেস্ট অব লাক।
তিন বছর বদলে যাবার জন্য যথেষ্ট সময় আপনার এবং বাংলাদেশের।
বিদেশ থেকে ছুটিতে বেড়াতে গেলে এক ট্রিটমেন্ট আর স্থায়ীভাবে থাকতে গেলে আরেক ট্রিটমেন্ট।
দেশে চাকরির বাজার এর দিকে তাকালে বলবো যায়গা মত পরিচিত লোক না থাকলে আর লাক ফেভার না করলে আপনার কানাডায় থাকাটা নেগেটিভ ফ্যাক্টর হিসেবে দেখা দিবে।

আপনারা এত্ত বেশী বেতনে কাজ করেছেনে তার সাথে আবার বিদেশী পাসপোর্ট এত অল্পতে কি আপনাদের পোষাবে দুদিন কাজ করে চলে যাবেন তখন অফিস সামলাবে কে?

কানাডিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে রাখা মানে একটা অপশন খোলা রাখা।
সারাদিন লোডশেডিং যানজট এসব সামলে নিয়ে মায়ের মুখটা দেখতে যেমন ভালো লাগে।
অন্যদিকে বউ শ্বাশুরী গ্যাঞ্জাম লাগলে তেমনই খারাপ লাগে।
আবার রাস্তায় ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির পাল্লায় পড়লে অথবা ব্যাবসা করতে গেলে চান্দাবাজদের খপ্পরে পড়লে মনে হবে এক্ষনই চলে যাই।
তবে একবারে হুট করে না যেয়ে যদি গুছিয়ে আস্তে আস্তে যান তাহলে সারভাইব করার সম্ভাবনা আছে।


৩৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৩৯

দ্যা ডক্টর বলেছেন: দেশে প্রটিবছর বেড়াটে যাবেন, কমপক্ষে ২ মাসের জন্য। যে পরিমাণ বিরক্ত হবেন বাকি ১০মাসে সেটা ভুলে গেলে আবার দেশে আসবেন, াবার ক্যানাডা.... এভাবে চালিয়ে যান...... শুভকামনা

৩৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৪

বৈকুনঠ বলেছেন: এই পৃথিবীটাই আমার দেশ। আমার জন্মতো হৈছিল একটা ছাপড়া ঘরে। তাইলেকি ঐ ঘরের ১২ ইন্চি জায়গাই আমার জন্মভূমি? এই পৃথিবীটা, এই ইউনিভার্স আমার জন্মস্থান। আপনেগো মইদ্যে যারা ঈশ্বর খোদা মানে তারা বলেন, ঈশ্বর বা খোদ কি বিভিন্ন দেশের সীমানা রেখা টাইনা দিছেন নাকি আমরা মানুষেরা সেইটা বানায়া নিছি? আমি নিজের মনে এই সীমানা রেখারে মানি না। আইন আমারে মানতে বাধ্য করে। আমি একবার দেশে যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে একটা দৃশ্য দেখছিলাম। এক লোক তার বৌ আর দুই বাচ্চারে দেশে পাঠায়া দিতেসে। দুইটা বাচ্চাই মেয়ে। বড়টার বয়স ৪ কি ৫। সে অঝোরে কাঁদছিল। বার বার পিছন ফিরে বিদায় দিতে আসা বাবাকে দেখছিল আর মা'কে একটা প্রশ্ন করছিল "বাবা কেন আমাদের দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে?" আর ভদ্রমহিলার অবস্থাও ছিল তথৈবচ। তাদের সংগে এক ভদ্রলোক ছিলেন। এই বাচ্চা আর বাচ্চার মা'র কান্নাটা সবাইকে বিচলিত করছিল। এক ফাঁকে আমি সংগী লোকটারে জিগাইলাম, ভাই এই পারিবারিক বিচ্ছেদের কারন কি? উনি আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকায়া যা কৈলেন তা হৈল এই দেশে কি পোলাপান মানুষ করন যায়? মেয়ে না হয়া ছেলে হৈলেও অন্য কথা আছিল। মেয়ে একটু বড় হৈলেই ছেলে বনধুর সাথে বাপ মায়ের সামনে দিয়া বয়ফ্রেন্ডের হাত ধৈরা হাটবো, খুল্লম খুল্লা চুমু খাইবো ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাবে মনে হৈল এইটা মেয়ে না হয়া ছেলে হৈলে সেই ছেলে যদি সাদা মাইয়া লইয়া চুমা চাটি করতো তাইলে বাপের বুক গর্বে ফুইল্লা যাইতো। আর বাংলাদেশেই কি পরিস্থিতি পোলাপান মানুষ করার খুব অনুকুলে? আর পারিবারিক পরিবেশ বৈলাওতো একটা ব্যাপার আছে। বাবা মা দুইজনেরই একসাথে পাওয়াটা বাচ্চাদের জন্য জরুরি। তাছারা আমাদের দেশে লুকায়া ছাপায়া যে সব ধরনের অনাচার হয় সেইটা মনে হয় ইউরোপ আমেরিকার সব দেশরে একসাথে করলেও তার চাইতে বেশি। তারপরেও সিদ্ধান্ত আপনের নিজের।

৩৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৮

জাকির হোসেন বিডি বলেছেন: সবার মতামত অনুভুতি পড়লাম, প্রভাবক ও পরামর্শ হিসাবে কাজে লাগল। সময়মত দেশেই ফিরে যাব ।।

৩৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪১

লুথা বলেছেন:
দেশে চলে আসেন

৪০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৩৭

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: দেশে না ফেরাই আপনার জন্য ভালো হবে। বাংলাদেশ ক্রমেই বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। এই দেশে ভালোভাবে বেঁচে থাকা কঠিন।

৪১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৪৮

বিডি আইডল বলেছেন: এই লেখায় এত দূর্দান্ত সব কমেন্ট এসেছে সব পড়ে একটু আত্মস্হ করে রিপ্লাই দেবো....অনেক ভাবনার খোরাক আছে....

৪২| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৬

যুগান্তকারী বলেছেন: ভাই দেশ ছারছি অনেক বছর।যাযাবরের মত দেশে দেশে ঘরছি কিন্তু মানসিক শান্তি আসেনা আবার একটু ব্যাকফুটে দাড়ায়া চিন্তা করলে দেখি না ভালই আছি দেশে থাকলে আমি কি পাইতাম।আর যাই করেন অনেক স্যাক্রিফাইস করতে হবে।পাসপোর্ট হবার পর দেশে ফিরে আসেন পরিবারকে(ছেলে মেয়েদেরকে) দেশি সংস্ক্রতির সাথে ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দেবার পর আবার না হয় গেলেন।(বিঃদ্রঃআমার আব্বাও এই কাজই করেছিলেন)

৪৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৯

যুগান্তকারী বলেছেন: ভাই দেশ ছারছি অনেক বছর।যাযাবরের মত দেশে দেশে ঘরছি কিন্তু মানসিক শান্তি আসেনা আবার একটু ব্যাকফুটে দাড়ায়া চিন্তা করলে দেখি না ভালই আছি দেশে থাকলে আমি কি পাইতাম।আর যাই করেন অনেক স্যাক্রিফাইস করতে হবে।পাসপোর্ট হবার পর দেশে ফিরে আসেন পরিবারকে(ছেলে মেয়েদেরকে) দেশি সংস্ক্রতির সাথে ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দেবার পর আবার না হয় গেলেন।(বিঃদ্রঃআমার আব্বাও এই কাজই করেছিলেন)

৪৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:০৭

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আপনি মনে হয় এই পোষ্টের পড়ে আরও কনফিউজড হয়েছেন।

আসলে দেশে ফেরা না ফেরা কোন বিষয়না যদি দেশের প্রতি আপনার টান থাকে, এবং তা আপনার ভালই আছে সে বিষয়ে আমার সন্দেহ নেই। এটা গেল দেশের সুবিধার কথা।
এখন ভাবুন আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে। বিদেশের লাইফে আরাম আয়েস অবশ্যই বেশী দেশের চেয়ে, কিন্তু মানসিক অশান্তির মাঝেও একটা শান্তি ভাব দেশে থাকে। এখন আপনি সেটাকে কতটুকু ম্যানেজ করতে পারেন সেটার উপর নির্ভর দেশে ফিরবেন নাকি ফিরবেন না।

তবে মনে রাখতে হবে, বিদেশে সেটল করলে আপনার বাচ্চারা কিন্তু বাংলাদেশী হবে না। অন্তত শেষ বয়সে আপনি আপনার বাচ্চাকে আননোন কেউ ভাববেন এটা নিশ্চিত। বিদেশে সেটল হওয়া মানেই স্যাকরিয়ফাইস। কদিন পরে আপনার পাসপোর্ট হয়ে যাবে সো, তখন দেশে সেটল কররেও আপনার ভোগান্তির কোন কারন নেই। আর কদিন পরে রেসেশনের পরে আপনাদের জন্য জবের বাজার আবার খোলা বিশ্বে :)

মুল কথা হচ্চে আপনার মন কি বলে। যেখানে বসবাস করে শান্তি পাবেন সেখানে থাকুন। বাড়ী গাড়ি, টাকা এসব একটা সময় আর বড় ব্যাপার মনে হয় না শান্তির কাছে। আর বিদেশের বাড়ীগাড়ি আর দেশের বাড়িগাড়ীর মাঝে একটা বিশাল তফাত আছে :)

৪৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:১১

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: সবচেয়ে বাজে আমার কাছে যেটা লাগে, দেশে সমস্যা, ছিনতাইকারী, চোর ডাকাত দুর্নিতী যাই হোক না কেন দেশে থাকাকারে কোন সময় মন ছোট হয় না। কেউ আপনার দিকে সরু চোখ নিয়ে তাকাবে না। কেননা এটি নিজের দেশ, কিন্তু বিদেশে যতই মাল্টিকালচারের যুগ চলুক না কেন, যতই উদারতার চর্চা চলুকনা কেন, একটা জায়গায় সবাই রেইসিষ্ট। ওবামার কথা ভেবে গালি ছুড়ে দেয় না মনে মনে এমন লোক পশ্চিমে কয়জন আছে?
তাই বিদেশে বসবাস করা মানে ওইদেশের মানুষের থেকে সবসময় এক ধাপ নিচে থাকা। কেননা ওইটা তাদের দেশ। আর এইটা আমাদের দেশ।
পৃথিবীর নাগরিক বলতে কোন কথা নেই। দুনিয়া এখনও ওই ষ্টেজে পৌছায় নি।

৪৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৩১

নিভৃত পথচারী বলেছেন: বিডি আইডল বলেছেন: এই লেখায় এত দূর্দান্ত সব কমেন্ট এসেছে সব পড়ে একটু আত্মস্হ করে রিপ্লাই দেবো....অনেক ভাবনার খোরাক আছে....
একমত.....

বিশেষতঃ @ রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী ....


৪৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:২৪

হাশেম বলেছেন: আমি ৫ বৎসর দেশের বাইরে থেকে ভেবেছি দেশে গিয়ে এটা-সেটা করবো। এরপর তিন বৎসর একটানা দেশে থাকলাম। বিদেশী কোম্পানীতে জব পেতেও সমস্যা হয়নি। মোটামোটি সন্মানজনক জব ছিল। এমনকি পছন্দ মতো একটা জব ছেড়ে আরেকটা করেছি। কোম্পানী আমাকে ধরে রাখার অনেক চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু যেসব কারনে আবার পরবাসে আসা:
১. আর্থিক সচ্ছলতার জন্য কারন বিদেশে প্রথমেই বেশি টাকার জব করে দেশের লো স্যালারি পছন্দ হয়নি। ২. দেশে তাড়াতাড়ি বড়লোক হবার সহজ পদ্বতি হচ্ছে দুনম্বরি ব্যবসা বা সেরকম কিছু একটা করা যা আমার পক্ষে সম্ভব না। ৩. বাংলাদেশ কেমন জানি বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। ৪. কাজে কমিটমেন্টের খুব অভাব। ৫. দেশে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, যানজট, কালো ধোয়া, নিরাপত্তা, অনিয়ম, শব্দ দুষন, রাজনৈতিক অস্হিরতা, অভাব ইত্যাদী শত রকমের সমস্যায় জর্জরিত।
সবকিছুর মধ্যেও যেটি পেয়েছি সেটি হচ্ছে মা-বাবার ছায়ায় তাদের কাছাকাছি থেকেছি। যে মা সবসময় আমাকে এটা-সেটা বানিয়ে খাওয়ানোর জন্য অস্হির ছিল। আমি মাঝে-মধ্যে মুটিয়ে যাবার ভয়ে মা'কে ঝাড়ি দিয়ে বলেছি তুমি কক্ষনো আমাকে খাওয়ার জন্য বলবেনা। কিন্তু মা কখনো খালি মুখে অফিসে যেতে দেয়নি। ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে আমার ল্যাপটপের সাইড ব্যাগে ছোট নাস্হার বক্স রেখে দিতে ভূলেনি। এখন আবার সেই মা'কে বড় বেশি মিস করছি। এই বিদেশে এখন না খেলেও কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করবেনা...
এক কথায় বলতে গেলে আর্থিক সচ্ছলতা থাকলে অথবা বড়লোকদের জন্য বাংলাদেশ হচ্ছে সুখের জায়গা। ইউরোপে অনেক ফ্যামেলী নিজের ছেলে-মেয়ের ভবিশ্বৎ নিয়ে উদ্বেগ্ন প্রকাশ করতে দেখেছি।
আমার সিদ্ধান্ত হচ্ছে: বাংলাদেশের পাশাপাশি আমি ইউরোপের রেসিডেন্সি/ পাসপোর্ট নেবো। তাহলে আমার সামনে দুটো রাস্হাই খোলা থাকবে। যেখানে ভাল লাগে থাকবো।
যাদের বিদেশে এমন সুযোগ আছে দয়া করে আবেগ প্রবণ না করে আগে ওখানকার পাসপোর্টটা নিয়ে নিন। তারপর দেশে গিয়ে দেখুন নিজেকে মানাতে পারেন কিনা তারপর ডিসিশান আপনার...

৪৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫৩

িরপন পাল বলেছেন: প্রথমে কানাডার পাসপোর্ট নিন, তার পর দেশে চলে আসুন।

৪৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পরে পড়ুম, অবজার্ভে রাখলাম!

৫০| ১০ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৬

মুকুট বলেছেন: জবাব কই>?>?>???

১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০৫

বিডি আইডল বলেছেন: কমেন্টের...আসবে...আবলে যে যার মতামত ব্যাক্ত করেছেন....আলাদা করে জবাব দেবার দরকার নাই তাই....আমার নিজস্ব কিছু কথা-বার্তা দিব

৫১| ১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:২৫

দেশী পোলা বলেছেন: ৩ বছর থাইকা আবার জিগায়, X(

১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৪০

বিডি আইডল বলেছেন: :) ৩ বছর কি খুব লম্বা সময়?? আপনে আছেন কতদিন?

৫২| ১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৪৬

পলাশমিঞা বলেছেন: ১ আপনি কি দেশে যেতে চান?
২ মেয়েকে এবং মেয়ের মাকে নিয়ে কি দেশে যেতে পারবেন? (আমি জানি আপনি পুরুষ)
৩ আপনার মেয়েকে আপনি কি ভালো শিক্ষা দিতে পারবেন?
৪ আপনার আব্বার সম্পতি কেমন আছে, দেশে গেলে আপনাকে কি কাজ করতে হবে?

যদি কাজ করতে না হয় তাইলে চলে যান, তবে আসা যাওয়া করবেন কখন কি সময় আসে কে জানে।

১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৫৬

বিডি আইডল বলেছেন: হাক ভাই...বাপের কোন টাকা পয়সা নাই....বাকীগুলার উত্তর জানা নাই....এইখানেও যে শিক্ষা (এবং দীক্ষাও) দিতে পারবো কতটুকু সেটাও তো চিন্তা...

৫৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৪৭

দেশী পোলা বলেছেন: প্রায় ১৮ বছর

১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৫৪

বিডি আইডল বলেছেন: বাপরে....লম্বা টাইম...কোন শহরে থাকেন? কানাডাতে সিটিজেন হবার পর অনেক বাঙ্গালিই আমেরিকাতে জবের জন্য দৌড়ায়....এখনকার রিসেশন বাদ দিলে এর সুবিধা কেমন?

৫৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৫৬

দেশী পোলা বলেছেন: জবের সুবিধা ভালই, তাড়াতাড়ি আসবেন, আর্লি বার্ড গেটস দা ওয়র্ম

৫৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:০৬

বন্ধনহীন বলেছেন: পড়াশুনার জন্য দেশ ছেড়েছিলাম ঠিক আজ থেকে ১১ বছর আগে (কাকতালীয়ভাবে ঠিক ঠিক ১১ বছর, ১ দিনও কম নয়)। পড়াশুনার শেষ হওয়র ৬ মাস আগেই চাকরী পেয়ে গেলাম। তখন ভাবলাম, ২/৩ বছর চাকরী করে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে দেশে চলে যাব। দু'তিন বছর কখন চলে গেল খেয়ালও করতে পারলাম না, আবার চিন্তা করলাম আর ২/৩ বছর সময় নিব। এখানকার জীবন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এতো ব্যস্ত থাকি যে, নিজেকে কোন ভাবে গুছানো হয়ে উঠেনি। দেশেও পছন্দমতো কোন চাকরীর ব্যবস্থা করতে পারিনি। এমনকি বিয়েও করা হয়নি। আজকেও আমার মনে হচ্ছে, আমার আরো ২/৩ বছর সময় লাগবে। এ ২/৩ বছর কখন শেষ হবে জানি না।

বিদেশে আমার নিজের জীবন ও আমার ছোটকালের বন্ধুদের জীবন এবং দেশে আমার আপন ভাই-বোনদের জীবন ও দেশের বন্ধুদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি - যদি দেশে একটা ভালো চাকরীর নিশ্চয়তা পান ও দেশে আপনার সামাজিক ও পারিবারিক স্ট্যাটাস ভালো অবস্থানে থাকে, তবে দেশেই ফিরে যান

৫৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:১০

বন্ধনহীন বলেছেন: বিদেশে সামাজিকভাবে ট্রেসলেস হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। যা দেশে হবে না।

৫৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:২৫

পলাশমিঞা বলেছেন: আপনার জন্য দেশে না যাওয়াটাই উত্তম হবে। দোয়া প্রার্থনা করে ভালো কাজ খুজেন এবং যোগ দেন। মেয়েকে নিজে যা শিক্ষা দেবেন তাতে সে শিক্ষিত হবে।
আমার মেয়েরা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।
পারলে মা বাবাকেও আনলে ভালো হবে। মন দিয়ে কাজ করতে পারবেন এবং মেয়েও ভালো শিক্ষা পাবে।

এটা আমার মত।

৫৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:২৫

ঢাকাইয়া টোকাই বলেছেন: সুখে থাকতে ভুতে কিলায়।

৫৯| ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৪৬

সালমান সিদ্দিকী বলেছেন:

অবশেষে কি ডিসিসন নিলেন ?

৬০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পয়লা বছর চলতাছে, পড়ালেখা এমুন কঠিন করতাছে যে ফাস্ট ইয়ার কমপ্লিট করতেই জান নিয়া টানাটানি, মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি আমার একমাত্র সম্বল সেই জানটাও নাই! এইখানে আইসা মনে হয় বাটে পড়ছি, দেশের চাকরিও ছাড়ছি, অখন ডিগ্রিটা নিয়াও টানাটানি। কই যাই! তাও আরও ২-৩ বছর ট্রাই কইড়া তারপর আপনের এই পোস্ট আবারও পড়ুম। অখনও অবজার্ভেই রাখলাম!

৬১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৬

রানা চৌধুরী বলেছেন: ভাই আপনার লেখাটা অনেকদিন পর চোখে পড়লো বলে তাই এখন রিপ্লাই দিচ্ছি। আমার মত হচ্ছে আপনি সবাই কাছ থেকেই সাজেশন নেবেন কিন্তু সিন্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। তবে এ দেশকে আমি খুব ভালবাসি। কিন্তু এ দেশের মানুষ্কে আমি মনে প্রানে ঘৃণা করি। কারন এ দেশের মানুষ সত্যিই ভাল না। তাই এ দেশের উন্নতি কোনদিন হবে না।পরম করুনাময় আল্লাহ যদি দয়া না করেন তবে এ দেশ আরো পিছিয়ে যাবে। ১/১১ তে আল্লাহ একটা সুযোগ দিয়েছিলেন। কিছু মীরজাফরের কারনে তার সুফল থেকে এ দেশের জনগন বঞ্চিত হয়েছে।

এ দেশ আমার মতে বসবাসের অনুপোযোগী একটি দেশে পরিণত হয়েছে। তাই এ দেশে না ফিরে বরং বাবা-মা কে আপনার কাছে নিয়ে যান। আপনার জন্য আশীর্বাদ রইল।

৬২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১১

রিফাত হোসেন বলেছেন: প্রথম যেটা আপনাকে করা উচিত তা হলে যে দেশে আছেন সে দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে না । যদি আপনার ২ কি ৩ বছর সময় লাগে তাহলে নিন । ১০ বা ১৫ বছর তো না ! তাই না ।

তারপর আপনি বলেছেন ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টির দিক দিয়ে । সত্যিকার অর্থে বাহিরে যা বাংলাদেশেও তা !

অবাক হচ্ছেন ? যদি হয়ে থাকেন তাহলে দয়া করে এই ১ টি মাস পত্র পত্রিকা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করবেন ।

এটা ঠিক ছেলে মেয়ে মানুষ করা শুধু নিজের উপর নয় বরং পরিবেশের উপরো নির্ভর করে । এর জন্য প্রতিকূল পরিবেশ ।

বিদেশ তো অবশ্যই প্রতিকূল না । প্রধান কারণ সংস্কৃতি ২য় কারণ ধর্মীয় । সেই হিসেবে আমাদের বাংলাদেশ থাকলেও তাও ধীরে ধীরে প্রতিকূলের দিকে ধাবিত হচ্ছে ।

একটা করতে পারেন । সব সময় ভ্রমন এর মধ্যে থাকবেন । তাহলে নির্দিষ্ট পরিবেশ আপনার পরিবারকে প্রভাবিত করতে পারবে না । যেমন মনে করুন ৪ কি ৫ বছর এক দেশে তারপর না হয় আরেক দেশে ।

আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ । সুতরাং আপনার কাজের অভাব হবে না । তাই আপনার মেধার অধিকার সর্ব দেশেই বিরাজমান ।

সে জন্য দরকার শক্তিশালী পাসপোর্ট । অন্তত ভ্রমন এর জন্য ।

পরিশেষে বলি যদি আপনি এক সময় মনে করেন আপনার স্বচ্ছলভাবে চলার ক্ষমতা আছে, দেশে ফিরেও তাহলে তাও করতে পারেন । আর যদি ভবিষ্যতে পারেন, তাহলে তা ভবিষ্যতেই করেন ।

আমি গেল বছর ৬ মাস কাটিয়ে এসেছি বাংলাদেশ থেকে । সুতরাং আমি আগ্রহ পাচ্ছি না । ঘন ঘন বাংলাদেশে যান । তাহলে এত টান থাকবে না । আর যদি পারেন পিতা মাতাকে কাছে টেনে আনুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.