![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
New Age পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির একুশের রাতের আলোচনায় বলছিলেন- শাসকরা সবসময় তাদের ভাষাকে শাসিতের ভাষা থেকে আলাদা রাখতে চেয়েছেন । এ তথ্য ঐতিহাসিকভাবে সত্য। মুগল আমলে শাসকরা ভারতবর্ষে উর্দু, ফারসি ভাষাকে রাজসভার ভাষা হিসাবে ব্যবহার করেছেন, যা ছিলো জনগণের ভাষা থেকে ভিন্ন । বৃটিশ আমলে রাজভাষা ছিলো ইংরেজী যা ছিলো জনগণের ভাষার সাথে সম্পর্কহীন । পাকিস্তান আমলে পশ্চিমা শাসক শ্রেনী উর্দূকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বৃহত্তর জন গণ গোষ্ঠীর উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বুকের রক্ত দিয়ে বাংগালী জাতি তা প্রতিরোধ করে ।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও আমরা শাসকের ঐ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি । আমরা ঘটা করে একুশে পালন করি, বইমেলা করি। কিন্তু শাসক শ্রেনী বাংলা ভাষাকে এখনো সর্বস্তরে প্রচলন করেনি। আমাদের শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে বাংলা সর্বস্তরে চালু হয়নি। আদালতের ভাষা হিসাবে বাংলা এখনও প্রচলিত হয়নি। ইংরেজী মাধ্যমে শিক্ষার ব্যয়ব হুল একটি ধারা ক্রমশ: গুরুত্ব পাচ্ছে। শাসক শ্রেনী এবং তাদের অনুগ্রহভাজনরা এই মাধ্যমে তাদের সন্তানদের দেশে বা বিদেশে শিক্ষিত করছেন এবং চাকরী ও অর্থনৈতিক সূবিধাদানের মাধ্যমে তাদেরকে একটি বিশেষ শ্রেনীতে পরিনত করছেন।
এভাবে বর্তমান বাংলাদেশেও কার্যত: শাসকের ভাষা শাসিতের ভাষা থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫
দোজা বলেছেন: হাউকাউ !
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৯
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: হাউকাউ