![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্ব শেষ হলো। এতে মৌলবাদী জামাত-ই- ইসলামী ৯৬টি উপজেলায়চেয়ারম্যান পদে ১৩টি আসনে জয়লাভ করে এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩০টি আসন পায় যা অপ্রত্যাশিত । জামাতের মত একটা সহিংস দল যারা ৫ই জানুয়ারীর আগে সারা দেশে চরম অরাজকতার সৃষ্টি করেছিলো তারা কিভাবে উপজেলায় এই অর্জন সম্ভব করলো তা অনেক প্রশ্ন, আলোচনা ও বিশ্লেষণের জন্ম দিয়েছে।
স্হানীয় সরকার নির্বাচন দলনিরেপক্ষ হওয়াতে জামাতে ইসলামী সম্ভবত: তাতে পরোক্ষভাবে অংশগ্রহনের সূযোগ নেয়।
অনেকে বলছেন জামাতের এই আসন পাওয়ার পেছনে বিএনপির ভোট কাজ করেছে। কিছু জায়গায় জামাত বিএনপির সাথে সরাসরি প্রতিদন্ধিতা করে জয়ী হয়েছে ।
জামাতের এই তূলনামূলক গ্রহনযোগ্যতার পেছনে সরকারেরও যে একটা ভূমিকা আছে তা অনেকে মনে করছেন । যুদ্ধপরাধীদের বিচারে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলীয়করন, ব্যাপক দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, সর্বোপরি সুশাসনের অভাব এবং ৫ই জানুয়ারীর একপেশে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করা দেশের জন গণকে আওয়ামী লীগ থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে।
সরকারকে তার অবস্হানকে পূন:মুল্যায়ন করতে হবে এবং মৌলবাদের উথ্থানকে প্রতিহত করার জন্য আরো গ্রহনযোগ্য ও গনতান্ত্রিক আচরণ নিশ্চিত করতে হবে ।
©somewhere in net ltd.