![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালিত হলো। মার কথা মনে পড়ছে।
মাকে কি কখনও নির্যাতিত মনে হয়েছে? না তো । কখনো মনে হয়নি। বাবা চাকরি করতেন। সাধারণ চাকরি। এর বাইরে কোন উপরি আয় নেই। বেশ কজন ভাই বোন আমরা। টানাপোড়োনের সংসার আমাদের। মা হাল ধরে ছিলেেন সমস্ত সংসারের। সারাদিন ব্যস্ত থাকেন সংসারের নানা কাজে। আমাদের সমস্ত আবদার, অনুযোগ-অভিযোগ সব মায়ের কাছে। মায়ের কাছেই আমাদের পড়াশুনা । বাবা কখনও বা পড়ার জন্য আমাদের শাসন করেছেন। কিন্তু বাবাকে কখনও দেখিনি মার উপর রাগ করতে বা অসন্তুষ্ট হতে।
মা তুমি কি গৃহবন্দী ছিলে ? তুমি ছিলে গৃহবাসী, গৃহকে আলোকিত করে, গৃহের মধ্যমনি হয়ে। এটা ভাবতেো কষ্ট হয় তোমার অবর্তমানে আমাদের দিন যেতো কিভাবে !
তুমি ছিলে 'বেগম'এর নিয়মিত পাঠক। আমাদের পড়ার অভ্যাসটা তোমার কাছ থেকে পাওয়া। বাবাও পড়তেন, কিন্তু তোমার মতো না। শব্দ কল্প সমাধানে তোমার ছিলো অপার আগ্রহ।
জানতাম, মা তুমি ছিলে বনেদী ঘরের মেয়ে। বাবা ছিলো সাধারণ ঘরের । বাবা কি কখনো তোমাদের কাছে যৌতুক চেয়েছিলো ? মনে হ্য়নি তো।
মা তোমার ছেলেমেয়েরা তোমার হাত ধরে আজ কেউ ডাক্তার, কেউ ইন্জিনিয়ার, কেউবা শিক্ষক। কেউ দেশে, কেউ বা বিদেশ। তারা তো সবাই শিক্ষিত, সচ্ছল। তাই বলে তুমি কি ভাবছো -ওরা সবাই স্বাধীন, মুক্ত।
না । না দেশ, না বিদেশ। কোন পার্থক্য নেই। এই আধুনিক যুগে , সভ্যতার মোড়কে, স্বাধীনতার্, সচ্ছলতার আড়ালে তারা তো নির্যাতিতই হচ্ছে।
তুমিই তো ভালো ছিলে। দৈন্যতার মধ্যে কি অপরূপ সৎ ও শান্তিময় ছিলো তোমার সংসার। এ যুগের সভ্যতা, সচ্ছতা তো সেই শান্তি নিশ্চিত করতে পারছে না ।
মা তোমাকেই আদর্শ মানি।
মা তোমাকে তো বাবার সেই চিঠির কথা বলার সুযোগ হয়নি। তুমি চলে যাবার কয়েকদিন পর সেলফ্ এর বইয়ের মাঝখানে বাবার হাতে লেখা চিঠিটা চোখে পড়ে। না পড়ে পারিনি। তোমার মরনোত্তর বাবার আবেগের সব প্রকাশ! সে তুমি বুঝে নিও।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৬
দোজা বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
হানিফ চৌধুরী বলেছেন: ভাল লাগলো কথা গুলো