নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একান্ত ভাবনা

নাগরিক

দোজা

একজন সাধারণ নাগরিক

দোজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় সংগীত ইসলামী ব্যাংক বিতর্ক

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৫

ইসলামী ব্যাংকের টাকাটা ফেরত দেয়া হয়েছে কিনা জানিনা। নির্মূল কমিটিও দাবী করেছে টাকাটা ফেরত দেয়া হউক।

তথ্য মন্ত্রী ইনু বলেছেন -টাকাটা ফেরত দে্য়া হবে।

সংস্কৃতি মন্ত্রী আমাদের প্রিয় আসাদুজ্জামান নুর বলেছেন কোন টাকা নেয়া হ্য়নি। কথাটা সত্য হলে সবচেয়ে ভালো হতো। কিন্তু ইসলামী ব্যাংক বললো-তারা ৩ কোটি টাকা দিয়েছে অর্থমন্ত্রীর উপস্হিতিতে।

নানামুখি বক্তব্যে আসল কথা হারি্য়ে যাবার অবস্হা।

ইসলামী ব্যাংক কি জামাতা ইসলামীর ব্যাংক? মানে জামাতে ইসলমী এর মালিক ? কোন রাজনৈতিক দল কি ব্যাংক খুলতে পারে ? তাহলে তো বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথমেই আপত্তি করা উচিৎ ছিলো । ইসলামী বাংকের মালিকানা নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন উঠেছিলো। দেখা গেলো- ইসলামী ব্যাংকের মালিকানায় সউদী আরবসহ ৭টি আরব দেশের অংশীদারিত্ব রয়েছে। এছাড়া পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী বলে উদ্দোক্তারা ছাড়াও লক্ষাধিক শেয়ার হোল্ডার রয়েছে । কোম্পানীর গ্রাহক সংখ্যাও কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এখন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অধিভুক্ত শীর্ষস্হানীয় ব্যাংকগুলির মধ্যে অন্যতম।

আমি ভাবছিলাম -ইসলামী ব্যাংককে জামাতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত করাতে জামাত কি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে?

আর সাধারন গ্রাহকরাই বা এই বিতর্ককে কিভাবে নিচ্ছে ?

আজ দেখলাম অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে একটা বিবৃতি দেয়া হয়েছে -বলা হয়েছে -ইসলামী ব্যাংকের টাকা জাতীয় সংগীত অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যে নেয়া হবে না । এই অর্থ খরচ করা হবে টি ২০ তে ।

তবু শেষ পর্যন্ত সরকার একটা অবস্হান নিয়েছেন।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৪

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: টাকা টা যেহেতু নিয়েই ফেলা হয়েছে তা আওয়ামিলীগের নির্বাচনী ফান্ডে জমা করা হউক

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

দোজা বলেছেন: আমার টি ২০তে আপত্তি নেই ।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৫

ভোরের সূর্য বলেছেন: ইসালামী ব্যাংকের টাকা নিলেই-বা কী ক্ষতি সেটাও আমি বুঝলাম না। কয়েকজন উদ্যোক্তা মিলে প্রথমে একটি ব্যাংক গঠন হয়, কিন্তু এর আসল সম্পদ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক যাদের টাকা বা আমানত নিয়ে ব্যাংক ব্যবসা করছে এবং লাভ করছে। ইসলামী ব্যাংকের টাকা যদি সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার হয় তাহলে ব্যাংকের ম্যানেজমেন্টকে আইনের আওতায় আনা কেন হচ্ছে না? তা না হলে সবার সব পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে ব্যাংকটি বন্ধ করা হচ্ছে না কেন যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ?

মেনে নিলাম যে ইসলামী ব্যাংকের মালিকরা সবাই জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত এবং ব্যাংকের ক্রমীরা সবাই শিবির কিংবা জামায়াত। কিন্তু যেখানে কয়েক লক্ষ মানুষের টাকা জমা আছে সেসব মানুষ কি সবাই জামায়াত বা সন্ত্রাসী? ব্যাংক তো এই সাধারণ আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করে মুনাফা করে। আজকে বাংলাদেশ সরকারকে টাকা দিলে তো সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের আমানতের লাভের টাকা থেকেই দিবে, তাহলে সেই টাকা নিতে এত অনীহা কেন? এতে কি সেসব মানুষকে অপমান করা হচ্ছে না?

২৬ মার্চ যারা জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন তাদের ভেতরেও অনেকেই ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকিং করেন। তাদেরকেও কি অপমান করা হচ্ছে না? আমার আশেপাশে অনেক খেটে-খাওয়া মানুষ, শ্রমিক, এমনকি পরলোকগত আমার পিতার (যিনি সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন এবং কোনোদিন কোনো দল করেননি) টাকাও ইসলামী ব্যাংকে রয়েছে। অথচ ইসলামী ব্যাংকের টাকা না নেওয়া মানে তো এদেরকে হেয় করা। এদের কী দোষ?

আর ইসলামী ব্যাংক তো নিজেদের টাকা সরকারকে দিচ্ছে; চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাস করে অর্জন করা টাকা বাংলাদেশ সরকারকে দিচ্ছে না। তাহলে এসব কেন হচ্ছে যে ইসলামী ব্যাংকের টাকা নেওয়া যাবে না? তারা খারাপ কাজ করলে তাদেরকে ধরা হোক, শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু কয়েক লক্ষ গ্রাহককে এভাবে ছোট করার কোনো মানে হয় না।

আরও মজা লাগে যে ইসলামী ব্যাংক তো সরকারকে শতকোটি টাকা ভ্যাট/ট্যাক্স দিচ্ছে, সেই টাকা নিতে লজ্জা করে না সরকারের? সেই টাকা দিয়ে তো সরকারের রেগুলার উন্নয়নকাজ হচ্ছে, সেই টাকা নিতে লজ্জা করে না আমরা যারা বিরোধিতা করছি তাদের?

তাদের যুক্তি যদি এই হয় যে ইসলামী ব্যাংকের টাকা জামায়াতের টাকা, তাহলে অনুদান নেওয়া আর ট্যাক্স হিসেবে নেওয়া তো একই ব্যাপার।

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

দোজা বলেছেন: সরকারের নিজের মধ্যেই একটা দ্বন্ধ কাজ করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.