![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কলেজে এসে প্রতিদিনকার মত লাস্ট বেঞ্চে বসে পড়লাম।
ক্লাসে finance and products এর স্যার রহমত আলী ঢুকলো।
সবাই সালাম দিয়ে বসলাম।
স্যার আমাকে কেন জানি দেখতে পারে না। হয়তোবা ভান ধরতে পারি না এজন্যে।
স্যার ক্লাসে ভালো পড়ায় না। তবুও ছাত্ররা বেশী নাম্বার পাবার আশায় স্যারের সাথে তাল মিলায়। কারন স্যার ডিপার্টমেন্টের হেড। আমি অবশ্য স্যারের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেই এজন্যে আমাকে কথা শুনতে হয়।
আজ ক্লাসে স্যার এসে বলা শুরু করলো,"শুনো বাবারা পরীক্ষার খাতায় নাম্বার পাওয়াটা সব থেইকা জরুরী। পরীক্ষার খাতায় নাম্বার নাই তোমার জীবন বরবাদ। এইযে বিল গেটসরে দেহো তার কইলাম ট্যাকার অভাব নাই। কিন্তু হেই কইলাম ভার্সিটি পাশও করবার পারে নাই। সুতরাং তার কুনু দাম নাই"।
কথাগুলো মানতে পারলাম না। তাই উঠে দাঁড়িয়ে বললাম,"স্যার পরীক্ষার খাতায় নাম্বার পাওয়াই সব নয়। শিক্ষা মানে নাম্বার বেশী পাওয়া কিংবা ভালো কোথায় চান্স পাওয়া নয়। শিক্ষা হচ্ছে নিজের ভেতরের ভালো গুনগুলোকে জাগিয়ে তোলা এবং সেই অনুসারে মানুষকে সাহায্য করা। আর বিল গেটসকে আপনি অপমান করতে পারেন না। উনি পৃথিবীতে না থাকলে পৃথিবী কমপক্ষে ৫০ বছর পিছিয়ে থাকতো। আর উনি মানুষের জন্য যা করেছে আজ পর্যন্ত কোন পরীক্ষার খাতা বেশী নাম্বার পাওয়া কেউ তা করতে পারেনি।"
স্যার থত্মত খেয়ে বললো,"বিল গেটসের কোন দাম নাই"।
মুচকি হেসে বললাম,"স্যার আপনার হাতের অই উইন্ডোজ ফোনটিও কিন্তু বিল গেটসের তৈরি করা প্রোগ্রামের সাহায্যেই চলে"।
ছুটি হবার আগের মুহুর্তে পিয়ন এসে আমাকে প্রফেসরের রুমে নিয়ে গেলো।
একগাদা কথা শুনলাম এবং বললো আবার বেয়াদবি করলে কলেজ থেকে বের করে দিবে।
বেয়াদবি করলাম কিভাবে সেটাই বুঝলাম না।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
ঠেলাগাড়ির পাইলট বলেছেন: ঘটনাটা আমার সাথেই ঘটেছিলো।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০৬
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: সেইম ওল্ড স্টোরি। আমাদের দেশের উন্নতি হবে না এই জন্যই।