![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলা হয়ে থাকে মালয়েশিয়ার কয়েক প্রকারের খাবার না পরখ করে দেখলে এই দেশ ভ্রমণই অপূর্ণ থেকে যায়। ভ্রমণ পিয়াসী যারা বৈচিত্রময় খাবার খুঁজে বেড়ান তাদের জন্য মালয়েশিয়ার লোভনীয় কয়েকটি খাবার আইটেম তুলে ধরা হলো।
নাসি লেমাক : নারকেল দুধের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকারের মসলা যেমন- আদা, গরম মসলা, দারুচিনি দিয়ে তৈরী এক থালা সুগন্ধি ভাত একজন অতিথির উপভোগ করাই অপরিহার্য কর্তব্য। ঐতিহ্যগতভাবে এই ভাতের সঙ্গে ভাজা মাছ, সিদ্ধ ডিম, বিশেষ সস, শশার টুকরা, মচমচে বাদাম এবং স্থানীয় রেনদাং ও মাংসের তরকারীযোগে পরিবেশন করা হয়। বহু মালয়েশিয়ান তাদের জীবনের প্রতিটি দিন এই খাবার তাদের তালিকায় রাখার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সাতায় : কাঠিতে বিদ্ধ করে কয়লার আগুনে ঝলসানো মুরগি বা গরুর মাংসের টুকরা এই খাবারের প্রধান উপকরণ। বাদামের তৈরী ডিপ, চালের কিউব, কাঁচা পেঁয়াজ এবং শশার কিউব সহযোগে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
তেহ্ তারিক : তেহ্ তারিক আক্ষরিক অর্থেই কড়া চা। অভিজ্ঞ হাতে তৈরী এই চা এক কাপ থেকে অপর কাপে স্থানান্তরের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরী হয়ে থাকে। চা-এর ঘ্রাণ বৃদ্ধির জন্যেই এর উত্তাপ কমানো হয়ে থাকে। ঘণ দুধের তৈরী এই চা দিনের যে কোন সময়ে উপভোগের জন্য আদর্শ পানীয়।
রোটি চানাই : ঐতিহ্যবাহী মালয়েশিয়ানদের সকালের নাস্তায় উপভোগ করার জন্য তৈরী এই রুটি মচমচে করে তৈরী করা হয়ে থাকে। এর সঙ্গে পরিবেশন করা হয় মুরগি বা বুটের তরকারি। আটার ছোট্ট একটি গোলক দক্ষ হাতে শূণ্যে উড়তে উড়তে বৃহদাকার রুটিতে পরিণত হয়। এরপর ভাজা হয় তাওয়াতে এবং এর পুরো নির্মান প্রক্রিয়া উপভোগ করতে করতেই আপনার সামনে হাজির হবে গরম রোটি চানাই। এরপর আপনার দ্বায়িত্ব একে উপভোগ করা।
রেন্দাং : রেন্দাং একটি গাঢ় এবং শুকনো মালয়েশিয়ান খাবার। এর প্রধান উপকরণ গরু অথবা মুরগির মাংস। রেন্দাং সাধারণত ভাত বা আঁঠালোভাবে তৈরী বিশেষ ভাত (গ্লাটিনাস)-এর সঙ্গে খাওয়া হয়। বিশেষভাবে হরি-রায়া উৎসবে এই খাবার থাকতেই হয়। রেন্দাং স্বাদে ঝাল এবং ‘মসলার স্বাদের’ হয়ে থাকে।
এয়ার বাতু কাম্পুর (এবিসি) : তপ্ত দুপুরের ক্লান্তি দূর করতে শীতল এই ডেজার্ট আইটেম-এর তুলনা নেই। খাবারটির অপর নাম এইস কাচাং। একটি বাটিতে বরফ কুঁচির সঙ্গে লাল শিমের বিচি, বাদাম, ভূট্টা এবং বিভিন্ন ফল সহযোগে তৈরী করা থাকে। স্বাদ বাড়ানোর জন্য ঘন দুধ এবং চিনির শিরা ব্যবহৃত হয়।
সেনডল : বরফ কুঁচির সঙ্গে নারকেল দুধ এবং স্বাদ বৃদ্ধির জন্য চিনির শিরা ব্যবহার করে তৈরী হয় সেনডল। এর প্রধান উপকরণ নুডুলস এবং সাজিয়ে পরিবেশনের জন্য ব্যবহার করা হয় সবুজ শিম এবং বাদাম।
নাসি বিরিয়ানি : রসনাবিলাসীদের মধ্যে যারা ভাত জাতীয় খাবার পছন্দ করেন তাদের জন্য লোভনীয় খাবার নাসি বিরিয়ানী। বাসমতি চাউলের সঙ্গে মাংস এবং বিভিন্ন প্রকারের মসলা সহযোগে এটি তৈরী হয়ে থাকে। ভোক্তার পছন্দ অনুযায়ী ডিম, মুরগি এবং খাশির বিরিয়ানী সহজেই পাওয়া যাবে ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানে। বিরিয়ানীর সঙ্গে বিশেষ ধরণের তরকারী এবং টক দই দিয়ে শশার সালাদ পরিবেশন করা হয়।
বাক কুট তেহ্ : বিভিন্ন ভেষজ উপকরনের সঙ্গে শূকরের মাংস দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে চাইনিজ ঘরানার এই খাবার তৈরী হয়। চারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচি, স্থানীয় দং কুয়েই, রসুন ইত্যাদি মাংসের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। বাড়তি ঘ্রাণ সংযুক্ত করতে এই মসলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একই খাবার হালালভাবেও তৈরী করা হয়ে থাকে মুরগির মাংস দিয়ে যার নাম চি কুট তেহ্।
চিকেন রাইস : খুবই সাধারণ এবং সবার জন্য উপাদেয় এই খাবারটি ভাত-এর সঙ্গে মুরগির রোস্ট, কাবাব বা ফ্রাই করে পরিবেশন করা হয়। সঙ্গে বাড়তি স্বাদ যোগ করার জন্য সঙ্গে দেয়া হয় আদার পেস্ট, মরিচের সস এবং সয়া সস।
লাকসা : এক অনন্য স্বাদের নুডুলস স্যুপের নাম লাকসা। খাবারে ব্যবহৃত অপর উপকরণ হলো নারকেল দুধ, সামুদ্রিক মাছ বা গুল্ম, শিমের বিচি, শশা এবং মসলা। খাবারটির ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ পেতে লাসকা পেনাং, লাসকা জহর এবং লাসকা সারাওয়াক গ্রহণ করতে হবে। এর প্রতিটির রয়েছে নিজস্বতা।
চার কুয়ায় তেঔ : চাইনিজ কিচেনের একটি অতি জনপ্রিয় সিজলিং চার কুয়ায় তেঔ-এ ভর্তি প্লেট আপনাকে দেবে রসনা বিলাসের এক অনন্য অভিজ্ঞতা। সাধারণ নুডুলসকে উচ্চতাপে ভেজে ঝিনুক, চিংড়ি এবং মুরগির মাংস দিয়ে তৈরী করা হয় খাবারটি। পরিবেশনকালে ব্যবহার করা হয় মচমচে বুট এবং বিভিন্ন ভেষজ উপকরণ। কখনো কখনো হাঁসের ডিম স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
অপার্থিব ছায়া বলেছেন:
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
বেথুন বলেছেন: জিভে জল চেলে আসছে.....
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৫
গেন্না বয় বলেছেন: মালয়েশিয়ায় যাইতে মুঞ্চায় :!> :#>
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১
নতুন বলেছেন: রোটি চানাই : ঐতিহ্যবাহী মালয়েশিয়ানদের সকালের নাস্তায় উপভোগ করার জন্য তৈরী এই রুটি মচমচে করে তৈরী করা হয়ে থাকে।
২০০৬ এ ১লা জানুয়ারী থিকে প্রায় ১ সপ্তাহ শুধু রোটি চানাই ই খাইছি ২/৩ বেলা কইরা... অন্য খাবার খাইতে পারিনাই...
অনেক খাবারের কথা মনে করাইয়া দিলৈন...
৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
েবনিটগ বলেছেন: খাব
৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪
লালপরী বলেছেন: আপনার লেখা পরেই মনে হয় জিভে পানি আসা খুব মজার খাবার :!>
মালয়েশিয়া যাওয়া দরকার
৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
শেখ আজিজুর রহমান বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন: