নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কতটুকু জানেন আপনার সন্তানকে?

২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩৩



ছবির এ চমৎকার ছেলেটির নাম মিনহাজ জামান। কানাডার প্রথম সারির ইউনিভার্সিটি ইয়র্কের ইন্জিনিয়ারিং এর ছাত্র ছিল। এখানে বলে রাখা ভালো কানাডার কোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া খুব সোজা ব্যাপার নয়। শুধু ভালো রেজাল্ট থাকলেই হবে না, তাকে হতে হবে সব কিছুতে চৈাকশ। এবং এর সব শর্ত পূরণ করেই ছেলেটি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ পায়। বাবা মা ছেলেটির ভর্তির সুযোগের পর বাসায় বিশাল পার্টির আয়োজন করে। তাদের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছিল।

এক বোন আর সাথে দাদীকে নিয়ে চমৎকার একটি সুখী পরিবার। অভিবাসী পরিবারের সেকেন্ড জেনারেশানের সন্তান তাই বাবা মায়ের সকল স্ট্রাগলের কিংবা সকল কষ্টের সমাধান চেয়েছিল ছেলে মেয়েকে প্রতিষ্ঠার মাঝে। ছেলের এ সাফল্যে বরাবরেই গর্বিত ছিল বাবা মা। তাই যখনই নতুন কারো সাথে পরিচয় হতো গর্বভরে ছেলের সাফল্যের গল্প শোনাতো।

এ বছরই ছেলেটির ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশান করার কথা। বাবা মা অধীর আগ্রহে দিন গুনছে কবে তারা গ্রাজুয়েশান পার্টিতে যাবে আর ছেলের গ্রাজুয়েশান ইউনিফর্মের সাথে ছবি তুলবে। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির পর ছেলেটির মাঝে অনেক পরিবর্তন আসে। ছেলে একা একাই রুমে পড়াশুনা করতে চায় ডোর ক্লোজ করে। কোথাও যেতে চায় না, কারো সাথে মিশতে চায় না। তাই তারা কেউই ছেলেটিকে কোনভাবেই ডিস্টার্ব করে না। তাকে তার মতো থাকতে দেয়।

২৯ জুলাই, ২০১৯ কানাডার পুলিশের কাছে একটি অনলাইন গেইম পোর্টাল ( Discord forum “Perfect World Void”) থেকে কল আসে যে তাদের একজন এ্যাক্টভি প্লেয়ার বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছে তাদের পোর্টালে। সেখানে সে রক্তাক্ত ছুরি হাতে এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের খুন করেছে বলে দাবী করে। এবং তার নীচে ম্যাসেজে লিখে যে, “I don’t want my parents to feel the shame of having a son like me.”



কানাডা পুলিশ দ্রুত ছেলেটির এ্যাড্রেস বের করে বাসায় হানা দেয় এবং উদ্ধার করে বাবা মা বোন দাদীর রক্তাত লাশ। নিজেই হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে মেহনাজ। কেন এমন করেছে তার উত্তরে সে জানায়;

গেমের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল। যার ফলে প্রথম বর্ষেই ফেল করে সে। কিন্তু লজ্জায় বাবা মা সহ কাউকেই জানাতে পারেনি। এবং এর থেকে বের হবারও চেস্টা করেনি। তারপর দিনের পর দিন বাবা মাকে মিথ্যে বলে আসছিল। ক্লাসের কথা বলে শপিং মলে ঘুরে বেড়াতো আর গেইম খেলতো। কিন্তু যখন গ্রাজুয়েশানের সময় আসলো ও বাবা মা তার রেজাল্ট ও অনুষ্ঠানের ডেইট জানতে চাইলো তখন সে এ লজ্জার হাত থেকে বাচাঁর জন্য এ খুনের পরিকল্পনা করে।

-
-
-
এবার আমার পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলছি, এর থেকে আমরা বা আমি অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি কি?

১) আমাদেরকে কি সন্তানদেরকে সবসময়ই নজরে রাখা উচিত নয় কি? ওরা কি করছে, কি পড়ছে, ওদের মানসিকতা, ওদের কষ্ট, দু:খ, ভালোলাগা, মন্দলাগার খোঁজ রাখি কি?

২) ওদেরকে স্বাধীনতা দেয়া উচিত, কিন্তু তা কতটুকু? তা নিয়ে হিসেব করা উচিত নয় কি?

৩) সন্তানের সাফল্য যেমন উদযাপন করা উচিত তেমনি ব্যার্থতাও মেনে নেয়া উচিত নয় কি? ওদের উপর নিজের প্রত্যাশার পাহাড় চাপানো উচিত কি?

৪) অনলাইন গেইম নামের এ অভিশাপ যেন আপনার আমার সন্তানকে গ্রাস না করে তার দিকে নজর দেয়া উচিত কি? (ব্যাক্তিগতভাবে আমি কোনভাবেই অনলাইন গেইম পছন্দ করি না। এটা আপনার জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে..... সে গল্প আরেকদিন)

৫) সন্তানের সাথে কঠোর টিচার নয়, শুধু অভিবাবক নয়, বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত; পরিবারই তার আশ্রয়ের স্থান হিসেবে গড়ে তোলা উচিত; তাই নয় কি?

৬) প্রতিদিনের কতটুকু সময় আমরা বরাদ্দ করি সন্তানদের জন্য, তার হিসেব রাখি কি?

-
-
প্রায় এক বছর হয়ে যাচ্ছে এ ঘটনার। এখনো আমি মনে করি সুন্দর মুখগুলি। আর ভীষন মন খারাপ করি। এ পরিবারটি বাস ছিল আমার বাসার খুব কাছে, যদিও ব্যাক্তিগতভাবে চিনতাম না। তারপর আর দশটা বাংলাদেশী পরিবারের মতোই পরিপূর্ণ পরিবার ছিল।

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৩

নজসু বলেছেন:


অভিভাবকদের বলতে শোনা যায়, যে এখনকার সন্তানেরা তাদের বাবা-মায়ের কথা শোনে না। তারা ইচ্ছামতো চলছে, ঘুরছে। মন যা চায় তা-ই করছে। ভালো-মন্দ, ঠিক-বেঠিক এমনকি পাপ-পুণ্যের বিবেচনা করছে না। তারা না বুঝে বিভিন্ন অন্যায়, অপরাধ ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের এ অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। অপরাধের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এখনই যদি এই লাগাম টেনে না ধরা যায় তাহলে এই কিশোর-কিশোরীদের জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যাবে।

প্রতিটি সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব স্ব ম্ব মা-বাবার। এরকম বয়সে তারা ভুল করতেই পারে। ভুল করাটাই স্বাভাবিক।
এজন্য তাদের প্রতি সুনজর দেওয়া সকল অভিভাবকের অবশ্যই কর্তব্য। উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা কী করে, কী দেখে, কোথায় যায়, কাদের সঙ্গে মেশে, কীভাবে সময় কাটায় সব ক্ষেত্রে মা-বাবার গভীর দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। সামান্য একটি ভুলে তাদের জীবন এলোমেলো হয়ে যেতে পারে এ কথা প্রত্যেক মা-বাবার স্মরণ রাখতে হবে প্রতিমুহূর্তে।

আপনার সাথে একমত সন্তানের সাথে প্রত্যেক পিতা-মাতার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

সোহানী বলেছেন: এখনকার বাবা মা দেরকে সব দোষ দেয়া ও ঠিক না কারন আমাদের সমাজ এবং কালচার যে মানসিকতার প্রষ্ঠপোসক তারা সে ধারনায়ই বড় হবে।

বাবা মায়ের দায়িত্বের কথা আমি বলেছি কিন্তু এ ঘুনে ধরা সমাজ থেকে কিভাবে আমার সন্তানকে বাচাঁবো? রাস্ট্র কি এ ভয়াবহতাকে একটু হলেও রুখতে সাহায্য করবে কি?

২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
বেশিরভাগ মা-বাবাই সন্তানের মন মানসিকতা বুঝতে চেষ্টা করেনা।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

সোহানী বলেছেন: ইয়েস...........

৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: খবরটা পত্রিকায় পড়েছিলাম।দুঃখজনক।প্রতিদিন কিছুটা সময় তাদের সাথে বন্ধুর মত মেশা উচিত কিন্ত অনেক মা বাবাই তা করে না।ছেলে মেয়েদের মানুষ করা এক বিরাট দায়িত্ব,যথাযথ ভাবে পালন করতে না পারলে সমস্যার শৃষ্টি হতে পারে।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

সোহানী বলেছেন: এ দায়িত্ব পালন অনেক অনেক কঠিন........

৪| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩০

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম।
সন্তানের জন্যে যে-সকল পিতামাতা বেশি কিছু করের তারা কমকিছুও পাননা। এটাই নিয়তি।
যে-সন্তান এত বাধা পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হতে পেরেছে তাকে কি পিতামাতা শিশুর মতো তদারকি করার দরকার আছে?
সন্তানের জন্যে আপনি কতটুকু করবেন? জীবনের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে আপনি সন্তানের জীবন সাজিয়ে দিয়ে পরে ভিক্ষুকের মতো কাল কাটাবেন? এমনটাই হচ্ছে আমাদের সমাজে। এ-জন্যে সন্তানরা নয় পিতামাতারাই দায়ী।
সন্তানকে কতটুকু আদর-স্নেহ ভালোবাসা দিবেন, কতটা ত্যাগ স্বীকার করবেন এর একটা পরিমিতি বোধ আছে এর ব্যত্যয় ঘটলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হয়।
বাস্তবে তাই দেখছি।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

সোহানী বলেছেন: পিতামাতা শিশুর মতো তদারকি করার দরকার নেই ঠিকই। কিন্তু একটি ছেলে বছরের পর বছর ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছে না সেটা কি বাবা মা কেন বুঝতে পারেনি বা অনলাইন গেইমের এ আসক্তি কেন তারা ধরতে পারেনি।

৫| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছেলেটির কী শাস্তি হয়েছিল?

আমরা কথায় কথায় বাবা মার ভুল বা দোষের কথা বলি। কিন্তু বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির রমরমা যুগে এর ভালো দিকগুলো সরিয়ে রেখে খারাপ দিকগুলো নিয়ে কথা বলি না। ভিডিও গেম, পর্ণগ্রাফির মতো সহজলভ্য অথচ ধ্বংসাত্মক বিষয়গুলো নিয়ে আরও বেশি বেশি উচ্চকণ্ঠ হওয়া উচিৎ। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে অত্যন্ত কঠোর হওয়া উচিৎ।
আমাদের যৌবনকালে এর চেয়ে অনেক লঘু দোষেও বাবা মার কঠোর শাসনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু তাতে আমাদের মঙ্গল ছাড়া কখনো অমঙ্গল হয়নি।

ধন্যবাদ বোন সোহানী।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

সোহানী বলেছেন: এখনো সম্ভবত বিচার চলছে।

হেনা ভাই, আমরা মা বাবার মারধর খেয়ে বড় হয়েছি তাই কোন অন্যায় করার সাহস রাখতাম না। আর এখন ওদেরকে মারতো দূরে বকাও দিতে পারি না। এতোটাই

৬| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী জঘন্য কান্ড। এসব শুনলে ভয় লাগে আপি :( আল্লাহ আমাদের সন্তানদেরকে সঠিক বুঝদান দিন

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

সোহানী বলেছেন: আমিন

৭| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সর্বনাশ। অতি ভয়ংকর কথা।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

সোহানী বলেছেন: হুম

৮| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: সত্যি বলতে কি এটা হচ্ছে প্রবাসের অভিশাপ। দেশে আমরা বড় হয়েছি বাবা মা,আত্মীয় স্বজন এবং প্রচুর বন্ধু বান্ধবের সান্নিধ্যে। বিশেষ করে বন্ধু বান্ধবের একটা বিশাল প্রভাব থাকে আমাদের ওপর। কিন্ত প্রবাসে দ্বীতিয় জেনারেসন এর বাচ্চারা এক ধরনের আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভোগে। বাঁংলাদেশের প্রতি তারা কোন মমতা বোধ করে না। ভীন দেশে অন্য জাতির মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হয় বেশী কিন্ত সেই বন্ধুত্বে আমাদের মত আত্মার সম্পর্ক থাকে না। যে কারনে ছেলেমেয়েরা বেড়ে ওঠে অনেকটাই একাকী পরিবেশে। একাকীত্ব থেকে পরিত্রান পেতে অনেকেই অনলাইন গেম এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এর পরিনতি যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার উদাহরন হচ্ছে ওপড়ের ঘটনাটি।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

সোহানী বলেছেন: সহমত

২৩ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৫২

সোহানী বলেছেন: সত্য, প্রবাসে এ জেনারেসন এর বাচ্চারা এক ধরনের আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভোগে। দেশের প্রতি তারা কোন মমতা বোধ করে না। অন্য জাতির মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হয় বেশী কিন্ত সেই বন্ধুত্বে আমাদের মত আত্মার সম্পর্ক থাকে না। যে কারনে ছেলেমেয়েরা বেড়ে ওঠে অনেকটাই একাকী পরিবেশে। তার উপর বাবা মা স্ট্রাগল পিরিয়ডের কারনে সময় দিতে পারে না। কাজেই তারা বিকল্প জীবনের দিকে ঝুঁকে।

৯| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: আহা ভয়ঙ্কর কষ্টের এ সংবাদ! আপনার কাছা কাছি ছিল বলে আপনার জন্য আরো বেশী কষ্টের তা অনুধাবন করছি। আসলে প্রতিটা পিতা মাতাই হয়তো ভাবেন তারা যে ভাবে সন্তানদের গাইড করছেন সেটাই সেরা! সন্তান লালন পালনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে একটা গাইড লাইন থাকা উচিত।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

সোহানী বলেছেন: হয়তো

১০| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ কি দায় এড়াতে পারে ।
আমাদের দেশের বাপ-মা একেক জন স্বৈরশাসক । তারা সন্তানকে শোষণ করে থাকেন । সন্তানও সুযোগ বুঝে এর প্রতিশোধ নেই

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

সোহানী বলেছেন: না বাবা মা স্বৈরশাসক নয়। আমাদের প্রত্যাশা যেমন বেশী ভালো্বাসাও তেমন বেশী। সন্তানরা যেমন বুঝে না তেমনি এর ভার নিতে পারে না।

১১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
কিভাবে যে অধঃপতন হয় ,মা-বাবা কেউ-ই দায় এড়াতে
পারে না । কি ভয়ঙ্কর ঘটনা পড়ে খারাপ লাগলো।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

সোহানী বলেছেন: ঠিক.............

১২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: প্রচন্ড দুঃখজনক।

আসলে বেশির ভাগ বাবা মা'ই তাদের সন্তানদের সম্পর্কে বেশি জানে না। অথচ তারা মনে করেন তাদের সন্তান সম্পর্কে সব জানেন। এবং বাবা মা ধারনা করেই রাখেন তাদের ছেলে মেয়ে বিপথে যাবে না।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

সোহানী বলেছেন: সহমত

১৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

ডি মুন বলেছেন:
কি ভয়ংকর ব্যাপার!

এখনকার তরুণ ছেলেমেয়েরা বেশিরভাগই অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমে আসক্ত।
আমরা স্কুল কলেজে থাকতে সারাবিকেল মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল খেলতাম। আর এখনকার ছেলেমেয়েরা দেখি বন্ধুরা একসাথে আড্ডা দিতে এসেও সবাই মোবাইল হাতে মাল্টিপ্লেয়ার গেম খেলতে লেগে যায় ।

অনলাইন গেমসগুলোও এত এডিক্টিভ করে তৈরি করা হয়, যে একবার খেলতে শুরু করলে নেশার মতো হয়ে যায়।

এসব নিয়ে সচেতন হওয়ার এখনই সময়।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

সোহানী বলেছেন: এ অনলাইন গেমসগুলো বন্ধ করা উচিত সাথে ফেইসবুক.................

২৩ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৫৪

সোহানী বলেছেন: বিদেশে বাচ্চাদের এ্যাক্টিভিটির অনেক ব্যাবস্থাই আছে। এখানেও কোনভা্বেই এ ধরনের অনলাইন গেমে উৎসাহ দেয় না। তারপরও একটা ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেকে কন্ট্রোল করার মতো ওষুধ নেই, যদি না সে নিজে বুঝে। তাই এ ক্ষেত্রে পরিবার একটা বড় মাধ্যম।

১৪| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

রাােসল বলেছেন: Thanks for your sharing and at the end your question to readers. Am I asking myself? Sorry to say, not regularly. Why?

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

সোহানী বলেছেন: হুম...

১৫| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভয়াবহ ব্যাপার!!

অনেক বাবা-মা'ই মনে করে সন্তান জন্ম দেয়ার মতোই সন্তান মানুষ করাও খুবই সহজ কাজ। এই ধারনা থেকেই তারা জীবনের অন্যান্য রুটিন ওয়ার্কের মতোই এটাকেও দেখে। আসলে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সঠিকভাবে চালানোর মতোই সন্তানকে সঠিকভাবে পরিচালিত করাও খুবই দুরুহ, একই সাথে কৌশলী একটা ব্যাপার।

বাবা-মায়েরা এটা যতো ভালোভাবে বুঝবে, ততোই তাদের......সাথে সাথে তাদের সন্তানদেরও মঙ্গল।

আশাকরি আপনের এডমিনিস্ট্রেশান ঠিক আছে। সময় থাকতে সাধু সাবধান!!!

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

সোহানী বলেছেন: আমার এডমিনিস্ট্রেশান ঠিক আছে কি না জানি না, সময়ই বলে দিবে।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৫৯

সোহানী বলেছেন: ভুয়া ভাই, অন্য কেউ হলে কথাটা এড়িয়ে যেতাম কিন্তু আপনি বলে একটু কড়া কথা শুনাই।

এবার উত্তর দেন, আমি প্রায়ই মেয়েদের ডিভোর্স নিয়ে লিখালিখি করি। তাহলে এ বিষয়ে লিখতে হলে কি আগে আমাকে আমার লাইফ পার্টনারনে ডিভোর্স দিয়া তারপর লিখতে হবে??? একটি লিখার সাথে লেখকের ব্যাক্তি জীবন টেনে আনা কতটুকু শোভন?

একজন লেখক তো সব কিছুর উর্ধ্বে বলেই সে লেখক!!! অন্যের অনুভূতিকে নিজের মাঝে ধারন করার ক্ষমতা রাখে বলেইতো সে লেখক!!!!......................... তাই নয় কি???????

১৬| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বর্তমান সময় সন্তানের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখা দরকার ।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

সোহানী বলেছেন: ইয়েস...

১৭| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

করুণাধারা বলেছেন: বাবা-মায়ের চাওয়াটা কি খুব বেশি কিছু ছিল? আমরা বাঙালি বাবা-মা মাত্রই সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, এজন্য নিজেদের অনেক স্বপ্ন জলাঞ্জলি দেই। পাশ্চাত্য সমাজে শুনেছি আঠার বছর হলে বাবা-মা সন্তানদের খরচ বহন করেন না। এই ছেলেটির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ তার বাবা-মাই নিশ্চয়ই বহন করছিলেন... ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট হবে এটা চাওয়া খুব বেশি বলে আমার মনে হয়নি।

কিন্তু এই কাহিনী পড়ে নতুন করে বুঝতে পারলাম অনলাইন গেম কতটা ভয়ংকর নেশা। যে কোন নেশাই ভয়ংকর, সব বাবা-মায়ের উচিত ছেলেমেয়েদের উপর নজর রাখা যেন তারা কোন নেশার জালে না জড়ায়। আমার ছেলের সাথে কলেজে একটা ছেলে পড়ত, তার ছিল গেম খেলার নেশা। প্রাইভেট কোচিং এ না গিয়ে সেই টাকায় খেলত, কলেজ পালিয়ে খেলত। ওর বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেও ছেলেকে এ নেশা থেকে বের করতে পারেন নি। পরে কী হয়েছিল জানিনা।

খুব দুঃখজনক ঘটনা। এই পোস্ট সব বাবা-মা কে সচেতন করবে সন্তানের সাথে বোঝাপড়ার সম্পর্ক গড়ে তুলতে।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

সোহানী বলেছেন: কি ভয়ংকর, এরাই তো এভাবে নিজেকে ধ্বংস করে।

এখানে কিন্তু বাবা মায়ের উদাসিনতা দেখি। কারন কানাডার উইনিভার্সিটির পড়ার খরচ মারাত্বক। আমরা সবাই বলতে গেলে গভ: লোন নেই। এবং পরে ধীরে ধীরে শোধ দেই। এ ছেলের পড়ার খরচ নিশ্চয় বাবা মা বহন করেনি। কারন মধ্যবিত্ত বাবা মায়ের এ খরচ বহন কারা মত সামর্থ্য থাকে না। তাহলে লোন নিয়েছে। তাহলে তার নজরদারীতো বাবা মায়েরই করার কথা। কারন ওরা রেগুলার মেইল দেয় বাসায়। বছরের পর বছর সে কিভাবে মিথ্যে বলে দিন পার করেছে, বাবা মা বোন কেউই কি বুঝতে পারেনি?

১৮| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভয়াবহ।
খুবই দুঃখজনক।

২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

সোহানী বলেছেন: হুম....

১৯| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




দুঃখজনক ঘটনা।
একটি প্রতিমন্তব্যে এটা ঠিকই বলেছেন - "আমাদের সমাজ এবং কালচার যে মানসিকতার পৃষ্ঠপোষক তারা সে ধারনায়ই বড় হবে।"
অনেক আগে এখানে একটি পোস্টে আমি প্রশ্ন রেখেছিলুম - " প্রশ্নটি আমার নিজেকেই – “ আমি কি জেনেশুনে একটা যুথবদ্ধ পারিবারিক বা সামাজিক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি ?”আপনি কি জানেন, আপনার স্নেহধন্য পুত্র সন্তানটি কিম্বা অতি স্নেহের কন্যাটি কিম্বা আপনার প্রিয় ভাইটি অথবা আদরের বোনটি এই প্রশ্নটির সাথে জড়িয়ে নেই ?
আপনার পোস্ট পড়ে সে কথাটিই আবার মনে পড়লো ।

পাশাপাশি ঠিক একবছর পরে এটাও লিখেছিলুম যে, টীনএজার” দের সামলাতে হয় কি করে । আপনার এই পোস্টে পাঠকদের উদ্দেশ্যে আপনার আহ্বান পড়ে মনে হলো সে লেখারও লিংকটি এখানে দেয়া যথাযথ হবে --হাউ টু ম্যানেজ টীনএজারস

সচেতনতার পোস্ট।


২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: আগে লিংকগুলো পড়ে আসি, তারপর মন্তব্য করবো।

২০| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৫

সোহানী বলেছেন: দু:খিত, সবার মন্তব্যে সংক্ষিপ্ত উত্তর দিতে হচ্ছে কারন একটু ব্যাস্ত আছি। সময় নিয়ে আবার আলোচনায় আসবো ...........

২১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এসব ঘটনা জানলে আতংকিত হয়ে পড়ে মন!

সভ্যতার গন্তব্য তবে কোথায়?
আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার ভারটা কি সন্তানের জন্য দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে?
সন্তান কেন বাবা- মার প্রতি আমাদের মতো টান অনুভব করে না!
অনেক প্রশ্ন! অনেক ধারনার মাঝে খেই হারিয়ে ফেলা সমাজ যেন আজ বিভ্রান্ত!

কেউ অর্থনৈতিক দায় মিটিয়েই ভাবছে সবইতো চাওয়া মাত্র দিয়েছি, তাহলে পারবে না কেন? করবে না কেন?
আবার অনেকের নূন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্তায়ও ব্রিলিয়ান্ট সন্তান হচ্ছে।

পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় চর্চাগুলোর সমন্বয়হীনতা একটা বড় সমস্যা।
বৃহত পরিবারে যে কোন বিষয়ে দাদা, দাদী, চাচা চাচি বা কাজিনরা বেশ সাপোর্ট দিতে পারে।
কিন্তু আমাদের ইদুর দৌড়ে ক্রমশ ক্ষুদ্র একক ইউনিট হয়ে পড়া এ সমস্যাকে আরো জটিল করে তুলছে।
ইন্ট্রোভার্ট ছেলেটা/মেয়েটা সহজে এক্সপ্রেস করতে পারছে না সহজে।শেয়ার করতে পারছেনা সূখ-দু:খ, হতাশা!
আবার যারা উল্টো তারা পুরাই লাগামহীন হয়ে পড়ছে! নেশাসক্ত হয়ে পড়ছে। গেমাসক্ত হয়ে পড়ছে।
আর আমাদের মিডিয়া বা সিনেমা সিরিয়াল তো মাশাল্লাহ
সো কলড পরকীয়া আর খুনসুটিতে দায় শেষ। সমাজ গড়ায় যে তাদের দায় আছে, মানসিক বীত গড়ে দেয়ায়
যে তাদের প্রভাব বিশাল কে কারে বুঝাবে?

অন্ধকারেই হাতড়ে হাতড়ে চলছে সময়।

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৪

সোহানী বলেছেন: পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় চর্চাগুলোর সমন্বয়হীনতা একটা বড় সমস্যা।.............. সহমত বিগু। এর দায় আমি ব্যাক্তি, পরিবারের পাশে দিবো রাস্ট্রকে। অনেক কিছুই আছে রাস্ট্র কন্ট্রোল করতে পারে। যেমন আমাদের মিডিয়া বা সিনেমা সিরিয়াল। আদর্শ, শিক্ষা, মানবিকতার কোন ধারে ধারে না। সো কলড পরকীয়া/লাইফ ভোগ/টাকা টাকা টাক....... এটাই মূখ্য বিষয়।

২২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বেদনা দায়ক ঘটনা । সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত না করতে পারলে এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে? সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সুশিক্ষিত সন্তান অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ।

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৪

সোহানী বলেছেন: সহমত কবি।

২৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৭

ইসিয়াক বলেছেন: মনটা কি যে খারাপ হয়ে গেলো কি আর বলবো। দুঃখজনক ঘটনা। তবে সবাইকে কৌশলী এবং সাবধান হতে হবে। বাচ্চাদের সাথে বন্ধুর মতো মিশতে হবে।তাদের আরো বেশি বেশি সময় দিতে হবে।
শুভকামনা।

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৪

সোহানী বলেছেন: সত্য।

২৪| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কি ভয়ংকর।
আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুণ।

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৫

সোহানী বলেছেন: আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুণ।

২৫| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আজকালকার বাচ্চাদের মানবিকতা বিকশিত হচ্ছে কম। বোধ বুদ্ধিরও ঘাটতি।

২২ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

সোহানী বলেছেন: হয়তো......

২৬| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হৃদয় বিদারক ।

২২ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই

২৭| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভয়ংকর।

২২ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

সোহানী বলেছেন: হাঁ, সত্যিই ভয়ংকর।

২৮| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৩

রোমিও মন্ডল বলেছেন: সত্যিই খুব বেদনাদায়ক

২২ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

সোহানী বলেছেন: হুম, তাই

২৯| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৩

মা.হাসান বলেছেন: যারা ভায়োলেন্ট গেম ডেভলাপ করে তাদের বড় শাস্তি হওয়া দরকার। এই ধরণের গেম বাচ্চাদের মনোজগতে (যারা খেলে বেশিরভাগই কম বয়সি) অনেক বড় নেগেটিভ প্রভাব রাখে।

বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের কাছে অনেক বেশি প্রত্যাশা করেন। আমি যত বাবা-মা দেখি, এদের শতকরা নব্বই জন চান ছেলে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হোক, যদিও ছেলে ১০ পর্যন্ত ঘরের নামতাও জানে না। সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিতে হবে বা এমনকি হাই স্কুল সফল ভাবে শেষ করতে হবে এর পিছনে কি যুক্তি? সব মানুষ ইন্টেলেকচুয়ালি সমান না। এশিয়ান সাব কন্টিনেন্টের বাবা-মারা এই সমস্যা বেশি তৈরী করেন। গ্রেট এক্সপেকটেশনে এস্টেলের একটা ডায়ালগ আছে - I am what you have made me. বাচ্চারা কেমন হবে এটার পিছনে ১০০% ভূমিকা বাবা-মার না হলেও বড় ভূমিকা আছে।

ওরা রেগুলার মেইল দেয় বাসায়। বছরের পর বছর সে কিভাবে মিথ্যে বলে দিন পার করেছে, বাবা মা বোন কেউই কি বুঝতে পারেনি?

প্রশ্ন সেটাই।

@ করুণাধারা আপা-- আমি মনে করি বাবা-মার চাওয়া বেশি ছিলো। প্রত্যাশা কম হওয়া উচিৎ। চাপ কম হওয়া উচিৎ। বিশ্বস্ততা-বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকা উচিৎ। ছেলে-মেয়ের জানা উচিৎ বাবা-মায়ের ভালোবাসা ছেলে-মেয়ের ডিগ্রি বা চাকরি বা বেতনের উপর নির্ভর করে না।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৫০

সোহানী বলেছেন: অনেক প্রশ্ন থেকে যায় এখানে। কিন্তু যেহেতু কেউই বেচেঁ নেই তাই এর প্রশ্নের উত্তরও জানা নেই শুধু অনুমান করতে পারি। যেহেতু ইউনিভার্সিটি লেবেলে চলে গেছে তাই হয়তো তারা ধরে নিয়েছে ছেলে ম্যাচুইরড লেবেলে চলে গেছে, ওর আর নজর দারীর দরকার নেই। আবার হয়তো বাবা মা নিজেদেরকে নিয়ে এতো বেশী ব্যাস্ত ছিল যে ছেলের দিকে তাকানোর সময়ও করতে পারেনি।

এক্সপেক্টেশান সব বাবা মায়েরই থাকে। দিন মজুর ও মনে করে তার ছেলে জর্জ হবে। সেটা কোন ভাবেই দোষের নয়। সমস্যা অনেক কিছুর, সেটা দু পক্ষের। চাওয়া পাওয়া ক্ষমতার ব্যালেন্স দরকার।

আর ভায়োলেন্স গেম বাজারে ছেড়ে বাচ্চাদের মাথা নস্ট করা একটা বড় ক্রাইম আমার মতে। এসব বন্ধ করা উচিত।

৩০| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আহা.....চেতেন ক্যান? আমি তো চেতনের কিছু কই নাই; খালি সরল মনে ইকটু আশাবাদ ব্যক্ত করছি! :P

কোন সমস্যা নিয়া আলাপ-আলোচনা করলেই হেইডা যে নিজেরও থাকতে হইবো, বা নিজের আগে সমাধান করতে হইবো এমুন কোন কতা নাইক্কা!

আপনে যেমন আপন মনে কইরা আমারে কড়া কথা হুনাইলেন (কইছেন.....ভুয়া ভাই, অন্য কেউ হলে কথাটা এড়িয়ে যেতাম কিন্তু আপনি বলে একটু কড়া কথা শুনাই।), আমিও তেমনই আপন মনে কইরা আপনেরে মনে করাইতে চাইছি, একইভাবে নিজেরেও কইছি। আপনে কইতে পারেন, আমি সব জানি দেইখাই তো এই পোষ্ট দিছি, কাজেই আমারে মনে করানোর দরকার নাই। তাইলে একটা উদাহরন দেই.......হক্কলেই জানে লাক্স সাবান মাখলে নায়িকাগো লাহান সুন্দরী হওন যায়, হেরপরেও হ্যারা সকাল-বিকাল আমাগো মনে করায় ক্যান?

'রিমাইন্ডার' কিন্তু খারাপ জিনিস না। অন্যরে এইটা দিলে নিজেরও পাওয়া হয়। কাজেই যতোটা আপনেরে কইছি, ঠিক ততোটাই নিজেরেও কইছি! :)

২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪৪

সোহানী বলেছেন: কুল ম্যান কুল। হোরাসের তাবিজ লাগায়ে ব্লগে আইসেন, তাইলে দেখবেন সব কিছু ফকফকা। সব্বাই খালি ভালো ভালো কমেন্ট দিবো B-))

হক্কলেই জানে লাক্স সাবান মাখলে নায়িকাগো লাহান সুন্দরী হওন যায়, হেরপরেও হ্যারা সকাল-বিকাল আমাগো মনে করায় ক্যান?

হ্যারা আমাগো মনে করায়ে দেয় যে আমরা ফইন্নির মতো দেখতে। লাক্স মাখলে আমরা ওগো মতো সুন্দরী হমু, তাগো মতো আধা খোলা কাপড় পড়ার সাহস অর্জন করুম............. B-)

৩১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অভিভাবকরা সন্তান মানুষ করার নামে 'লং টার্ম ইনভেস্টমেন্ট পলিসি' চালু করেছে। যেটা সন্তানদের জন্য ভয়ানক মানসিক চাপ।
আর সন্তান'রা 'ফ্রেন্ড-ফান-ফ্রাসট্রেশন' নামক আধুনিক ছকে বন্দী হয়ে যাচ্ছে।

আশা করি, এই ঘটনা আমাদের টনক নাড়িয়েছে। পারস্পারিক সম্পর্কের ব্যাপারে আরো মনোযোগী হওয়ার সময় এসেছে।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪৭

সোহানী বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা বাবা মা আর সন্তানের চাওয়া পাওয়া আর ক্ষমতার মাঝে বিশাল গ্যাপ। দু পক্ষের মাঝে এ বিশাল গ্যাপ কেউই বুঝতে চায় না বা ছাড় দিতে চায় না।

৩২| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

ইসিয়াক বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইলো আপু।
ঈদ মোবারক ।

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৫

সোহানী বলেছেন: বাসি ঈদ মোবারক ইসিয়াক ভাই।

৩৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ লেখাটা পড়ে রীতিমত শিউরে উঠলাম! কতদিকে আর মা বাবা খেয়াল রাখতে পারে? এই 'অন লাইন গেইম' এর অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ বহু প্রাণ সংহারের কারণ হয়ে উঠছে। সমাজের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে। যুবসমাজ দায়িত্বহীন আচরণ করছে, অধঃপতিত হচ্ছে।
"যে-সন্তান এত বাধা পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হতে পেরেছে তাকে কি পিতামাতা শিশুর মতো তদারকি করার দরকার আছে?" - বিএম বরকতউল্লাহ এর এ মন্তব্যটি বোধগম্য, অন্ততঃ আমার কাছে। তদুত্তরে আপনি বলেছেন, "কিন্তু একটি ছেলে বছরের পর বছর ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছে না সেটা কি বাবা মা কেন বুঝতে পারেনি বা অনলাইন গেইমের এ আসক্তি কেন তারা ধরতে পারেনি।" এ প্রসঙ্গে আমার মন্তব্য, মা বাবা বুঝতে পারলেও, কিসসু করার নেই, অসহায়ের মত দেখে যাওয়া ছাড়া। কিছু বললে এ সমস্ত ছেলে মেয়েরা খুব ভায়োলেন্ট আচরণ করে। ঘরের শান্তি, মনের শান্তি বিনষ্ট হয়।
"অনলাইন গেমসগুলোও এত এডিক্টিভ করে তৈরি করা হয়, যে একবার খেলতে শুরু করলে নেশার মতো হয়ে যায়। এসব নিয়ে সচেতন হওয়ার এখনই সময়" - ডি মুন এর এ পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ সঠিক।
আলোচ্য ক্ষেত্রে মা বাবা তো ছেলেকে ঠিকমত দেখে শুনে রেখেই পড়িয়েছেন, সে জন্যেই তো ছেলে এত ভাল একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পেরেছে। কিন্তু একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রকে আর মা বাবা কতটুকুই বা দেখে রাখতে পারে?
বিষয়টাকে শেষ পর্যন্ত 'নিয়তির নির্মম পরিহাস' বলেই মেনে নিতে হচ্ছে।
যাহোক, একটা স্পর্শকাতর প্রসঙ্গের অবতারণা করে আপনি মা বাবাদেরকে অশনি সংকেত সম্বন্ধে সতর্ক করেছেন, এবং আমার মত বুড়োদের পিলে চমকেও দিয়েছেন খানিকটা, এ জন্যে আপনি অবশ্যই ধন্যবাদ পেতে পারেন, যেহেতু উদ্দেশ্যটা জনহিতকর।
পোস্টে ত্রয়োদশ ভাল লাগা + +।

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২৩

সোহানী বলেছেন: এ ঘটনা কানাডায় অবস্থিত সকল বাংলাদেশীকে যেমন নাড়িয়েছিল তেমনি পুরো কানাডাই অবাক হয়েছিল। বিশেষ করে এশিয়ান বাবা মা অনেক বেশী সচেতন সন্তান নিয়ে তা এখানে সবারই জানা। সেরকম একটি পরিবারের এমন মর্মান্তিক ঘটনা হতবাক হবার মতো।

তবে এখানে দু'ধরনের কনফ্লিক্ট কাজ করেছে। এক, বাবা মায়ের প্রত্যাশা ও তা পুরোনের ব্যর্থতা আবার পশ্চিমা কালচারের প্রাইভেসী নামের এক অদ্ভুত কালচারের কারনে ছেলেকে শাসন না করা। আর ব্যার্থতার দায়ভার নেবার মানসিকতা, সত্য বলার সৎ সাহস, পরিবারের সাথে দূরত্ব, বন্ধুহীনতা........... অনেক কিছুরই তালিকা করা যায়। তারপরও সত্য হলো, ঘটনার নৃশংসতা। কোনভাবেই তা মেনে নেয়া যায় না।

৩৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমি জানতেই পারিনি এমন গুরুত্বপুর্ণ একটি লেখা সামুতে প্রকাশ করে রেখেছেন। সময়মত দেখতে পারিনি ।এটা আমার জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি তো সবসময়ই ছিলাম ব্যাক বেঞ্চার , এর ব্যত্যয় হলে যে আমার নীজের রেকর্ডই ভেঙ্গে যাবে।

প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের বিষয়ে বিশেষ করে পাষ্চাত্ত দেশে বসবাসকারী অভিভাবকেরা আজকাল খুবই কম ভাবেন । আজকালকার যুগে টিন এজারসহ প্রাপ্ত বয়স্ক সকলের কাছে প্রাইভেসি ও ব্যক্তি স্বাধিনতা বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছে ।ছেলেমেয়েরা ১৮ পেরিয়ে ভার্সিটিতে পা ফেলার সাথে সাথেই একেবারে স্বাধীনচেতা হয়ে যায়। তারা একেবারেই পছন্দ করেনা তাদের ব্যক্তিগত জীবনে অভিভাবক নাক গলাক, এমনকি একই পরিবারভুক্ত ছেলেমেয়েরা তাদের নিজস্ব গন্ডিতে এমনকি নীজ বাড়িতেও তার নিজের শয়ন কক্ষে একা একা দরজা বন্ধ করে টেলিফোনে বন্ধু বান্ধবদেরসাথে বাতচিত করাসহ কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক প্রোগ্রাম কিংবা গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে ।অনেক কুশেষ করেও তাদের অবকাশ মিলেনা অভিভাবকদের সাথে বসে খোশ গল্প করার । যাহোক, এটা হল এক পক্ষের কথা ।

ছেলে মেয়েদের বয়স যাই হোক না কেন অভিবাবকদের দায়িত্বের প্রশ্নগুলি কিন্ত এড়িয়ে যাওয়ার অবকাশ নেই । ছেলেমেয়েরা না চাইলেও সম্ভাব্য সকল উপায়ে একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত তাদের উপর অভিবাবকদের সতর্ক তবে বন্ধুত্বপুর্ণ দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। কারণ বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার অভাবে ছেলেমেয়েদের কাছে এই সমস্যা সংকুল জগতের অনেক বিষয়ই থাকে অজানা।
অনেক ভাববাদী কিংবা কিংবা স্বপ্ন বিলাসী অভিভাবকরা জীবনটাকে যেমনভাবে দেখেন কিংবা দেখে এসেছেন তার সন্তানেরা তাদের জীবনটাকে অনুরূপভাবে দেখবেন কিংবা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের ছবি আঁকবেন তাতো হবার নয় । সন্তানদের চিন্তা চেতনা ও তার বাস্তবায়ন ধরতে পারে ভিন্ন ভিন্ন রূপ। তবে তাদের আচার আচরনের বিষয়ে উদাসীন হলে ঘটতে পারে মারাত্তক বিপর্যয় ।

আমরা অভিভাবকেরা আমাদের সময় পিতামাতার কাছ হতে যে ধরনের প্যারেন্টিং পেয়েছি তা হয়তো এযুগে একেবারেই সেকেলে ধরনের হয়ে গেছে, এর সাথে এখনকার যুগের সন্তানদের চিন্তাভাবনা, আচার-আচরণ অনেক সময় মিল খায়না । আমাদের সময়ের জীবনের নিরাপত্তা, সামাজিক বন্ধন এখন অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে। এজন্য এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা তাদের জীবনকে যেভাবে দেখতে চায়, যেভাবে অনুভব করতে চায়, যে ভাবে উপভোগ করতে চায়, যে ভাবে নিজেদের জীবনের বিকাশ ঘটাতে চায় তার সাথে গদ বাঁধা পুরাতন নিয়মকানুন অনেকটাই বেমানান হয়ে যায় তাদের কাছে। এরকম একটা যুগ সন্ধিক্ষণে অভিভাবকের সাথে সন্তানদের বিশেষ করে বয়স্ক কিশোর সন্তানদের যোগাযোগ কিংবা বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক কেমন হবে এবং সন্তান ও অভিভাবক একে অপরের নিকট কতটুকু খোলামেলা কিংবা রক্ষণশীলতা বজায় রাখবে তা সমাজবিজ্ঞানীদের কাছে একটি বিশাল গবেষণার বিষয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

ইনফরমেশন টেকনোলজির এই বিকাশমান যুগে পাশ্চাত্ত দেশ এমন কি বাংলাদেশেও উচ্চবিত্ত সমাজের ছেলেমেয়েদের কাছে জীবন এখন মডার্ন যুগকে অতিক্রম করে পোষ্ট মডার্নযুগে প্রবেশ করেছে।উচ্চ বিত্ত সমাজের ছেলেমেয়েদের জীবনাচার এখন ডেমনসস্ট্রেশন ইফেক্টের কারনে মধ্যবিত্ত এমন কি নিন্মবিত্ত সমাজের ছেলেমেয়েদের মাজেও ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত গতিতে । অথচ সমাজ জীবনে আয়বন্টন এতটাই বৈষম্যমুলক যে সমাজের একটি শ্রেণীর মানুষের কাছে উচ্চবিত্তের জীবনাচার শুধু কম্পিউটারের বিবিধ প্রগ্রাম ও গেইমের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়নের প্রয়াস নিচ্ছে ।সমস্যা সংকুল জীবনের বাস্তবতায় তাদের চাওয়াগুলির একটি সহজ বাহন হল কাল্পনিক ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ । আর সে মাধ্যমে বিচরণ করতে গিয়ে সেটার প্রতি তারা ক্রমশই আশক্ত হয়ে পড়ছে । এর করুন পরিনতিতো আপনার পোষ্টেই প্রকাশ পেয়েছে সুন্দরভাবে ।

তাই পোষ্ট-মডার্ন যুগের আমাদের সন্তানদেরকে সেই অবক্ষয় বা স্বেচ্চাচারিতা থেকে উত্তরণের প্রয়াসকে বুজাতে হবে যে অবক্ষয় বা স্বেচ্ছাচারিতা দোর্দণ্ড প্রতাপবান আধুনিকতার আস্তাকুঁড়ে জন্ম লাভ করেছে। তাদেরকে বুজাতে হবে পোষ্ট মডার্ন যুগে এসে আমাদের সন্তানগন আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা থেকে যেন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায় আধুনিকতার কারণে। অবশ্য কোনো কোনো মহল, যেমন দৃষ্টান্তবাদীরা এটাকে তেমন গুরুত্বপুর্ণ কিছু মনে করেন না। তাদের মতে, অবক্ষয় বিভিন্ন কারণে আসতে পারে, কিন্তু এর জন্য কেবল আধুনিকতাকে দোষারোপ করা যায় না। যদি করা হয়, তবে পরোক্ষভাবে যুক্তিবাদিতা, ধর্মনিরপেতা ইত্যাদির মতোন আধুনিক আলোককে ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে ফেলা হয়। তাই আমাদের সময়ের পোষ্ট মডার্ননিষ্ট সন্তানদেরকে আধুনিক-পূর্ব সময়ের মিথ, উপকথা, লোকবিশ্বাস, ধর্মবিশ্বাসকে ধারণ করে সমাজের কৃষ্ণ দিকগুলি প্রত্যাখান/বর্জন করে আলোর দিকটির লালন পালনকে সামনে রেখে তাদের জীবন চর্চায় ব্রতী হতে অনুপ্রানীত করতে হবে।এটা আমাদের সকলের পারিবারিক দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বও বটে ।

মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:০৩

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা আপনি যদি ব্যাক বেঞ্চার হন তাহলে আমি কি!!!!!

আলী ভাই, কোন যুক্তি তর্ক না, শুধু একটাই কথা, আগের দিনে শিক্ষকরা বেত দিয়ে পিটায়ে পিঠের ছাল তুলে ফেলতো, মা বাবা মাইরের উপর রাখতো তাই আমরা লিখা পড়া শিখতে পেরেছি। আর এখন এসব পোলাপান পান থেকে চুন খসলেই গলায় দেবার জন্য দড়ি খোজেঁ। এগুলারে থাপড়ায়ে সোজা করা উচিত, নতুবা গ্রামে পাঠায়ে হাল চাষ করতে দেয়া উচিত। কিছুদিন মাঠে বলদ চালায়ে বুঝুক দুনিয়া কি জিনিস।

আর কানাডা আমেরিকায় ঝামেলা হলো ওই প্রাইভেসী। এই এক অদ্ভুত জিনিস পোলাপানের মাথা চিবায়ে খেল। আর সরকার যেহেতু তাদের জন্য মা বাবাকে পে করে তাই তারা জন্ম থেকেই ভাবে তারা কি জানি হনুরে!!! ওইগুলারে দেয়া উচিত সকাল বিকাল পাছায় বেত। তাহলেই সব ঠিক হবে। অবশ্য তাদেরকে দোষ কি দিবো, বাবা মা যে উশৃংখল জীবন কাটায় সেখানে তাদের কাছ থেকে কি আর আশা করা যায়।

৩৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

আমার পোষ্টে করা আপনার মন্তব্যের জবাবটি দেখে আসার জন্য অনুরোধ থাকল ।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:০৪

সোহানী বলেছেন: উপস্ সামু যে জিরো থেকে গননা করে সেটা ভুলে গেছিলাম।

৩৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

সপ্তাহ ধরে কোথায় ডুব দিয়েছিলেন ।
আপনার জন্য পরশ পাথর- ২য় পর্ব ধরে রেখেছি
পোষ্ট প্রকাশের পর গজব ঠেকানোর জন্য ।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৪

সোহানী বলেছেন: মেনি থ্যাংস।

বাবার হঠাৎ করোনা ধরা পড়েছিল। তারপর ১৫ দিন হসপিটাল থেকে বাসায় ফিরলো। তাই এ ক'দিন টেনশানে আর কোন কাজ মাথায় আসছিল না। বাবার বয়স প্রায় ৮০, তাই ভয়টা ছিল মারাত্বক। আলহামদুলিল্লাহ, এখন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন সবার দোয়ায় আমার বোনদের একান্ত চেষ্টায়। এ ক'দিন বোনরা এক বিন্দু ঘুমায়নি, খায়নি। সারাক্ষনই বাবার পাশে ছিল।

৩৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২৯

জুন বলেছেন: সোহানী এই ঘটনাটি কি পত্রিকায় এসেছিল? খুব পরিচিত মনে হচ্ছে। আসলে আমরা মা বাবারা নিজেদের অপুর্ন সাধ ছেলেমেয়েদের উপর চাপিয়ে দেই। বুঝতে চাইনা সেটা তাদের মন বা শরীরের উপর কতখানি চাপ সৃষ্টি করছে। আমার ছেলের সাথে আমার খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
কানাডার কি অবস্থা? মনে হয় যাতায়াত ব্যবস্থার দুয়ার এখানো পুরোপুরি খুলে যায় নি? আপনি ভালো আছেন তো সবাইকে নিয়ে ?
+

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

সোহানী বলেছেন: হাঁ, ঘটনাটা কানাডায় খুব আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

আমাদের জীবনের অপূর্ণতা, ব্যার্থতা্ সব কিছুর বলি বানানোর চেস্টা করি সেটা সত্য কিন্তু কানাডার মতো স্থানে বড় হয়ে এগুলো খুব বেশী প্রভাব ফেলে না। যেটা প্রভাব ফেলে সেটা হলো মানসিক স্বাস্থ্য। এখানে এটা মারাত্বক বিপর্য়য়ে আছে।

কানাডার অবস্থাতো মনে হয় যেকোন স্থানের তুলনায় ভালো। সবই বলতে গেলে খুলে দিয়েছে তবে যথেস্ট সাবধানে। মাস্ক/সেনিটাইজ মেন্ডেটরি সবখানে। আমরা আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। ঘুরাঘুরি কম করছি অন্যান্য সামারের তুলনায়।

৩৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অনলাইন গেমিং এর কথা শুনেছি, কিন্তু সেটা এত ভয়াবহ পর্যায়ে যেতে পারে, এমন করুণ পরিণতি ডেকে আনতে পারে, ভাবাই যায় না।

ছেলেটার বিচার কি হয়েছে? নাকি রিহ্যাবে পাঠিয়েছে?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩২

সোহানী বলেছেন: এখানে আমরা ও শকড্ ছিলাম।

কানাডায় কেউ খুব বেশী বিচার নিয়ে মাথাব্যাথা করে না। কারন আইন তার নিজস্ব নিয়মে চলে। তাই পত্রিকায় কোন ফলোআপ থাকে না যেটা বাংলাদেশে থাকে। কারন এখানে বিচারের নামে প্রহসন চলে তাই জনগন সারাক্ষন আপডেট জানতে চায়।

৩৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমার কোন সন্তান নাই। হোম মিনিষ্টারও নাই। আমি কি করি না করি সব আমার বাবা-মা জানে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪

সোহানী বলেছেন: গুড টু নো। এমন সম্পর্ক আছে বলেই আপনি ব্লগে লিখছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.