নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই বোকা মেয়েগুলাে তোমাদেরই বলছি............! পর্ব-৩

০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ৭:২২


(শিকার এবং শিকারীর ছবিটা দিলাম শুধুমাত্র লিখাটির গুড়ুত্ব বোঝাতে। আর সাথে নায়িকা পারভীন ববির ছবি)

মুনিয়া ইস্যু নিয়ে চারপাশে অনলাইন অফলাইনে এতো বেশী লিখালিখি হচ্ছে যে নিজের আর লিখতে ইচ্ছে করছিলো না। তার চেয়েও বড় কথা, বুকের মাঝে খুব কষ্ট লাগছিল ছোট্ট একটি সুন্দর মুখের জন্য। আহারে, মেয়েটি হয়তো হতে পারতো একজন ডাক্তার কিংবা এ্কাউনটেন্ট বা একজন নায়িকা অথবা একজন চিত্র শিল্পী। কিন্তু সব ছাড়িয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে নিদারুন দু:খে আত্মহননের পথ বেছেঁ নিল মেয়েটি। ঘটনার আগে পিছে কে তা জানার চেয়ে এরকম একটি ফুটফুটে মেয়ে কেন এ পথে গেল তা জানা খুব জরুরী। এর জন্য দায়ী কে মেয়েটি নিজে? তার পরিবার? সমাজ? রাস্ট্র? কালচার? নারী স্বাধীনতা? পূঁজিবাদ? পুরুষতন্ত্র?

বলিউড বিশ্বের নামকরা জগত। সে জগতের ৭০ দশকে নামকরা অভিনেত্রী পারভীন ববি। যখন সে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে হঠাৎই একদিন উধাও হয়ে যায় সে। অনেক জল্পনা কল্পনা হয়েছিল তাকে নিয়ে। এবং তখন যতটুকু শোনা গিয়েছিল এক আরব শেখ তাকে কিনে নিয়েছিল ও একটি প্রাইভেট জেট করে তাকে রাতের মাঝেই উধাও করেছিল। এবং সে কেনা-বেচাঁয় জড়িত ছিল বলিউড জগতের মহারথীরা। যাদের সাথে প্রতিনিয়ত লেনদেন হয় আন্ডারওয়ার্ড এর সাথে। এ আরব শেখরা পেট্রোডলারের বিনিময়ে সারা বিশ্বের সুন্দরীদের হাজির করে। কখনো রাতের জন্য, কখনো তার চেয়েও বেশী দিনের জন্য। সবখানেই টাকার খেলা। তোমার টাকা আছে তো ক্ষমতা, আইন, সুন্দরী, গাড়ি, বাড়ি..... সবই তোমার। তোমার টাকা নেই? তাহলে প্লাকার্ড হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিচার ভিক্ষা করো। যদি কখনো রাস্ট্রের দয়া হয় তাহলে বিচার পেলেও পেতে পারো নতুবা বিচারের নামে একটা মেলোড্রামা হবে। যেখানে সাক্ষী গায়েব থাকবে ও সাক্ষীর অভাবে খুনি বেকুসুর খালাস পাবে। এখানে আইন আদালতের করার কি আছে? বুঝতে হবে যে সাক্ষীই যেখানে নেই সেখানে খুনের হিসাব আসবে কোথা থেকে?

যেটা বলছিলাম, লিখাটা লিখার আগে আমি খুব মনোযোগ দিয়ে মুনিয়াকে নিয়ে যত খবর ছাপা হয়েছে, যত ভিডিও ইউটিউবে আছে তা প্রায় সবই দেখার চেস্টা করেছিলাম ঘটনার পুরো আবহ বুঝতে। তারপর নিজের মনেই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি, একটি ছোট্ট মেয়েকে এতদূর আনার পিছনে কি কি আনুসঙ্গ কাজ করেছে! কেন মাত্র ২১ বছর বয়সে মেয়েটি এরকম কঠিন একটি পথ বেছেঁ নিল, বুক ভরা কি তার এতো দু:খ ছিল। তারপর একে একে সে প্রশ্নের উত্তর জোড়া লাগানোর চেস্টা করেছি নিজের মনেই।

বাবা-মাহীন এতিম মেয়েটির অভিভাবক বলতে এক বোন ছাড়া তেমন কেউ ছিল না। ভাই থাকলেও তার দায়িত্ব নেবার মতো মানসিকতা ছিল কিনা তা জানতে পারিনি বা অন্তত তার কোন হদিস চোখে পড়েনি। এরকম একটি অভিভাবকহীন টিনএজ অসম্ভব সুন্দরীর অনেক অনেক সমস্যা থাকে। পরিবারের ভীতরের চাপ, পাড়ার মাস্তানের চাপ, আত্মীয়-অনাত্মীয় এর চাপ, চারপাশের প্রশংসায় নিজেকে আলো মেলে ধরার চাপ, গ্লামার জগতের হাতছানীর চাপ, ভবিষ্যত নায়িকা হবার চাপ, ধনী হবার চাপ, চমৎকার সেজেগুজে নিজেকে উপস্থাপনের চাপ, দামী সাজগোজ ড্রেসআপ কেনার চাপ, সবচেয়ে বড় কথা সবকিছু সামাল দেবার জন্য অনেক টাকা আয়ের চাপ।

আর এ চাপ থেকে মুক্তি পেতে সর্টকাট এ ধনী হবার সহজ সমাধান মডেলিং বা নায়িকা হবার পথ খোঁজে। তাই মুনিরাও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সে সর্টকাট পথের খোঁজে। কিন্তু মুনিরার মতো এ বাচ্চা মেয়েগুলো শুধু শোবিজ জগতের আলো ঝলমলে দিকটাই দেখে, তার পিছনের অন্ধকার দিকটা ওরা দেখতে পায় না। বা দেখতে দেয়া হয় না। ওরা জানে না এ শোবিজ জগতের টাকার খেলার পিছনে কাজ করে এক বিশাল অন্ধকার মাফিয়া জগত। সেখানে এরকম অল্পবয়সী সুন্দরীরা বিক্রি হয় কেজি দরে। একবার পা দিলে ওরা শুধুই হাত বদল হয় এক আনবীরের পর আরেক আনবীরের হাতে। দামী পোষাক, ঝলমলে আলো আধারের নেশার জগৎ, ভবিষ্যত জনপ্রিয়তার হাতছানি, কোটিপতি হবার নেশা.... তাদেরকে বন্দী করে রাখে এক লোভের জগতে।

এ জগতের সূতো কেটে খুব মেয়েই পারে ফিরে আসতে নিজের স্যাতস্যাতে ঘরে। বেশীর ভাগই হয়তো হারিয়ে যায় অন্ধকার জগতে। অল্পক'জন যারা চমৎকার খেলুড়ে সে অল্প ক'জনই হতে পারে লাস্যময়ী নায়িকা। তারা যখন জনপ্রিয় হয়ে যায় তখন তাদের জনপ্রিয়তাই সবাই দেখে, তার পিছনের উঠে আসার পিচ্ছিল গল্পটা ওরা কাউকে বলে না। তাই কেউই জানে না তার খবর। আর সে আলো ঝলমলে চেহারা দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুনিয়ার মতো বোকা সোকা মেয়েগুলো।

তারপর আছে রঙ্গীন নেট এর দুনিয়া। রঙ্গে ভঙ্গে ভরা ছবি ভর্তি ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, টুইটার.....। দামী পোষাক, দামী কসমেটিক্স, দামী রেস্টুরেন্ট, দামী বেড়ানোর স্পট এর শো-অফ চলে নির্লজ্জ ভাবে। এ ছোট ছোট বোকা মেয়েগুলো এসব ছবি দেখে স্বপ্নের জগতে চলে যায়। "ওর আছে, আমার কেন নেই"..... এই কেন এর উত্তর খুঁজতে আনবীরের মতো দামী গিফট্ দেয়া সুগার ড্যাডিদের খপ্পরে পড়ে। সেখানে নৈতিকতার কেউ ধার ধারে না, পরকীয়াকে কোন অপরাধ মনে করে না, শারীরিক সম্পর্ককে খুব খেলো মনে করে, ধর্মীয় অনুশাসন খুব হাস্যকর ঠেকে। শুধু থাকে স্বপ্নের পৃথিবীর লোভ, শুধুই লোভ। আর সে লোভের বলি হয় এ ছোট ছোট মুনিয়াগুলো।

আর আনবীরের মতো খেলোয়ারদের কাছে মুনিয়ার মতো স্বপ্নেবিভোর পাখীগুলো শুধুমাত্র স্বল্প থেকে সময়ের আনন্দ। ওরা কখনোই এক মুনিয়াকে বেশীদিন রাখে না, নেমে পড়ে নতুন মুনিয়ার খোঁজে। আর সেসব মুনিয়ার বয়স কিন্তু ১৮ থেকে ২১! এ বেশী নয় কিছুতেই! তারপরেই পাপোষের মতো ছুড়ে ফেলা হয় তাদের। কিন্তু এ ছোট্ট মুনিয়াগুলো বুঝে না এ জগতের খেলা, স্বপ্নেবিভোর মুনিয়াগুলো চোখে রঙ্গীন চশমা দিয়ে দেখেই যায় এ দুনিয়া। আর এক সময় যখন বুঝতে পারে তখন হয়তো ফেরার কোন উপায় থাকে না। কেউ বলি হয় অন্ধকার জগতে, কেউ স্বেচ্ছায় বেঁছে নেয় আত্ম হননের পথ। তারপরও ও ওরা জানে না আনবীরের মতো খেলোয়ারদের কাছে এসব সস্তা আবেগের কোনই মূল্য নেই। আর চলতে থাকে চক্রাকারে এ খেলা। এক মুনিয়া হারিয়ে যায় আরেক মুনিয়া সে স্থান দখল করে আনবীরদের কাছে।...........

ভালো থাকুক ওপারে মুনিয়া। আর সাবধান হোক বাকি মুনিয়ারা।

(দু'টো ছবিই গুগুল থেকে নেয়া।)

আগের লিখাগুলো যদি পড়তে চান........
এই বোকা মেয়েগুলাে তোমাদেরই বলছি............! পর্ব-২
এই বোকা মেয়েগুলাে তোমাদেরই বলছি............! পর্ব-1

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ৮:১৪

জটিল ভাই বলেছেন: শেষ লাইনটাই মতামত রেখে গেলাম......

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ৯:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আরবেরা বর্বর, নারীর দেহ লোভী, বদমাশ । একটা নিউজ দেখলাম মুনিয়ার ভাই আদালতে আবেদন করেছে যে এমপি পুত্র শারুনের নামে মামলা করার জন্য। তার সাথে নাকি প্রেম ছিলো মুনিয়ার। দেখার বিষয় জল কোথায় গড়ায় এবং বাকি মুনিয়ার কী শিক্ষা নেয়।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: টাকা যার দুনিয়া তার!! আর কত কিছু দেখবেনরে ভাই!!

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এই আনভিররা আরো একবার তাদের সহকর্মী কাম পার্টনার এক ইঞ্জিনিয়াকে খুন করেছিল তারো সুষ্ঠু কোন বিচার হয়নি।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০

সোহানী বলেছেন: বিচার??? টাকা যার দৃনিয়া তার। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ১০:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই মেয়েগুলি হয়ত বোকা, হয়ত লোভী, হয়ত উচ্চভিলাশি , হয়ত পরিস্থিতির শিকার কিংবা হয়ত অভাবের তাড়নায় এই অন্ধকার পথে পা বাড়ায়। কিন্ত সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সবাই মানুষ। বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। মুনিয়া নামের মেয়েটি কেমন ধরনের মেয়ে ছিল সেটা সে জীবিত অবস্থায় বিবেচ্চ ছিল। কিন্ত মেয়েটির অস্বাভাবিক মৃত্যূ হয়েছে। ময়না তদন্ত ও ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি কিন্ত গনমাধ্যমে বলা হচ্ছে আত্মহত্যা! যার দিকে সন্দেহের তীর , তাকে গনমাধ্যম এড়িয়ে চলছে ইচ্ছাকৃতভাবে। উল্টো হাইলাইট করা হচ্ছে মুনিয়ার অতীত জীবন!! এই যে বিবেকহীনতা, এই যে অপরাধীকে প্রশ্রয় প্রদান এটাই সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

সোহানী বলেছেন: ভাইরে, তৃতীয় বিশ্বের সাংবাদিকদের চরিত্র নিয়ে কথা বলার কোন জায়গাই নেই। পেটে ভাতে চাকরী করে আনভেরের বাপদের মতো মানুষদের। কত বড় সাহস আছে যে এ নিয়ে কেউ কথা বলবে?

৫| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ১০:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বসুন্ধরা কি পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটা বাহিরের মানুষ জানবে না। দেশের দরকারী পদের লোকগুলো বসুন্ধরার কাছে আটকা আছে।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

সোহানী বলেছেন: কিছু মানুষের হাতেই দেশের বিবেক আঁটকে আছে!

৬| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ১০:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই মুনিয়া হতে অন্য মুনিয়াদের শিক্ষা নেয়া উচিত। কিন্তু তা না দেখবেন ক'দিন বাদে এমন কত মুনিয়া ইস্যু হবে আবার হারিয়ে যাবে কালের অতলে। দুঃখ লাগে যেমন নাই পারিবারিক ইসলামিক মূল্যবোধ তেমনি আক্কল বুদ্ধিও ইতানতের কম। বড়লোকদের ছলচাতুরি কমই বুঝে। যে বেটার বউ বাচ্চা আছে সমাজে প্রতিষ্ঠিত সে লুকিয়েই সব করতে পারে। সামনা সামনি কখনো এমন কিছু করবে না যাতে পারিবারিক সামাজিক ভাবে হেয় হতে হয়। এসব মুনিয়ারা বুঝে না। বললেই হইলো বিয়ে করবে, ইশ প্রলোভন। দুই পক্ষেরই দোষ সবগুলার বিচার দরকার।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭

সোহানী বলেছেন: বুঝে না বা বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকে সেটাও প্রশ্ন। আনভীরের মতো লোক যতি বিয়েই করতো তাহলে এতো লুকিয়ে সম্পর্ক রাখতো না। মুনিয়ার অবশ্য যা দেখলাম পরিবার বলতে তেমন কিছু ছিল না। আর এ সুযোগই নিয়েছে এ লোকগুলো।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ১০:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা ছেলে বা মেয়ে, তার প্রতিভা বা ক্রিয়েটিভিটি অনুযায়ী, ছোটোবেলা থেকেই এক্সট্রা অর্ডিনারি ক্যারিয়ারের কথা ভাবতে পারে, বা সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিতে পারে। আজ থেকে ৩০ বছর আগে কোনো বাংলাদেশী মেয়ে মিস ওয়ার্ল্ড বা মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কথা ভাবতে পারতো না। এখন রীতিমতো তারা অংশগ্রহণ করছে, অনেকে ভালো রেজাল্টও করছে। এজন্য দেখা যায়, আজকের মেয়েরা, যারা একটু সুন্দরী, শিক্ষিত, তারা স্বপ্ন দেখে এসব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। এবং দেশেও এখন এর জন্য নানান অ্যাজেন্ট বা স্পন্সপর গড়ে উঠেছে। ইন্ডিয়াতে তো আগে থেকেই এসবের জন্য বিভিন্ন কর্মশালা বা প্রজেক্টের আয়োজন করা হতো।

তো, আমার মেয়েটাও তো এরকম স্বপ্ন দেখতে পারে। কিন্তু, তার এই অল্প বয়সে অন্ধকার জগতের খবরাখবর জানার কি সুযোগ আছে? কতটুকুই বা সে জানবে? সে দেখবে, ওখানে তার জন্য ঝলমলে উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। সেই উজ্জ্বল একটা ভবিষ্যের হাতছানিতেই এই ঝলমলে জগতে পা বাড়াবে। এই স্বপ্ন দেখায় তো কোনো অপরাধ নেই।

মুনিয়াকে বেশ সুন্দরী ও লাস্যময়ী মনে হয়। আমাদের সিনেমা বা নাট্যজগতে এ ধরনের মেয়েরা ভালো সাফল্য পায়। মুনিয়ারও হয়ত এরকমই কোনো সাধ ছিল। কিন্তু, এ জগতে পা বাড়ানোর মুহূর্তে, কিংবা তার আগেই সে পড়ে যায় আনভীরের মতো লোভী, নারীখেকোর নজরে। তার পরের ইতিহাসে আমাদের মাফিয়া মিডিয়া তাকে কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী হিসাবে উপস্থাপিত করেছে, কিন্তু যারা আনভীর গ্রুপের নুন খেয়েছে, তারা আনভীরের আত্মহত্যা প্ররোচনা বা হত্যাটাকে একেবারে জায়েজ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, অ্যাজ ইফ, কেই পতিতা, রক্ষিতা হলেই তাকে মেরে ফেলা যায়, তার জন্য হন্তারক অপরাধী হিসাবে বিবেচিত হবে না। এমনকি, আমাদের কোনো কোনো ব্লগারকেও দেখা যায়, আনভীরের অপকর্মকে জায়েজ করার জন্য মুনিয়াকে পতিতা, লোভী, রক্ষিতা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এরাও ঐ মাফিয়া গ্রুপেরই সদস্য- মুখে বড় বড় বুলি আওড়াইতেছে, আর এদিকে অনৈতিক ও জঘন্য অপরাধকে লাই দিতেছে।

পোস্টের কন্টেন্টে অনেক মূল্যবান কথা লিখেছেন আপু। তবে, চারপাশের অবস্থা ও পরিস্থিতি দেখে খুবই হতাশ হচ্ছি। আনভীরের বিদেশে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল বলে শুনলাম। পরেই শুনি সে দুবাই পাড়ি দিয়েছে। এটার সত্যমিথ্যা জানি না। সত্য হয়ে থাকলে এ তো এক বিরাট প্রহসন। আর যদি সে দেশেই থেকে থাকে, তাহলে তাকে অ্যারেস্ট করা হচ্ছে না কেন? অ্যারেস্টের খবর আমি শুনি নাই।

অপরাধীরা বার বার অপরাধ করে পার পেতে যাচ্ছে। মুনিয়া আত্মহত্যা করেছে, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, এটাও একটা ধোঁয়াশার মধ্যে আছে।

মুনিয়া ইস্যুতে আমাদের অন্ধকার জগত সম্পর্কে যেমন অনেক তথ্য উঠে আসছে, আমাদের মিডিয়াও যে কত নিয়ন্ত্রিত, তাও স্পষ্ট হয়ে গেল।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: আমি মনে আগে কোন এক লিখায় কপোঁরেট বেনিয়াদের কথা লিখেছিলাম। পুরো সমাজ, সংস্কৃতি, মানসিকতা নিয়ন্ত্রন করে গুটি কয়েক কপোঁরেট বেনিয়া। তারা যার ইশারা দেয় সেভাবে নামরা নাচি। আমি পার্থক্যগুলো এমন প্রকটভাবে ধরতে পারতাম না যদি না উন্নত দেশগুলোকে দেখতাম।

এখান বিলগেটস এর মতো ধনীও আছে কিন্তু আইন, মিডিয়া নিয়ন্ত্রনের চিন্তাও কেউ করে না।আর আমরা ছোট্ট এ দেশের গুটি কয়েক ধনী পুরো দেশ নিয়ন্ত্রন করে। দেশের আইন কানুন, সংস্কৃতি সব অসহায়।

ভাইরে, যে দেশের করোণার মতো মহামারী নিয়ন্ত্রনে ব্যাক্তি সুবিধথা দেখা হয় সেখানে এ মুনয়িা ইস্যুতো খড়কুটো!

আর মিডিয়ায় দরকার আলাভোলা সুন্দরী মেয়ে। তার জন্য প্রচারনা ফাঁদ দরকার। আর মরন ফাঁদে খুব সহজেই পা দেয় এ মেয়েগুলি। সুন্দরী প্রতিযোগীতা একটা দারুন ফাঁদ।

চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ১০:৪১

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ কাজী ফাতেমা ছবি , এই যে আপনি বললেন যে , দুই পক্ষেরই দোষ সবগুলার বিচার দরকার। । এই কথাগুলো যাতে মানুষ বলে সেটাই বসুন্ধারার কাছে বিক্রি হওয়া সাংবাদিককদের মুল উদ্দেশ্য।

জীবিত মুনিয়াদের সবাই ঘৃনা করে, করাও উচিত কিন্ত অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যূবরন করা মুনিয়া ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবিদার।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সোহানী বলেছেন: সহমত। বিচারহীনতাই এ দেশের প্রধান সমস্যা।

৯| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ১১:০২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: শো বিজনেসের আলো ঝলমলে দিকটাই প্রচার করে মিডিয়া। এতে সবারই চোখ ঝলসে যায়। কিন্তু এর পেছনের অন্ধকার সম্পর্কে সহজে জানা যায় না। ঐ আলো দেখেই আকৃষ্ট হয়ে তাতে আত্মাহুতি দেয় বোকা মেয়েগুলো, যেভাবে আলো দেখলেই তার চারপাশে ছোটাছুটি করে পোকামাকড়। ওসব অন্ধকারে পতিত হবার পর বেশির ভাগই মানিয়ে নিয়ে পারে না।যারা অন্ধকারে গা এলিয়ে দিতে পারে তারাই টিকে থাকে।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সোহানী বলেছেন: সেটাই বলতে চেয়েছি তমাল ভাই।

মিডিয়া আমাদের ছেলে-মেয়েগুলোর চোখে রঙ্গীন চশমা লাগিয়ে রেখেছে। কিছুতেই খুলতে দেয় না।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১২:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: একটা কমবয়সী মেয়ে মারা গেছে। মৃত্যুটা স্বাভাবিকভাবে হয়নি, কিন্তু আল্লাহ তাঁর হায়াত এ পর্যন্তই রেখেছিলেন। এখন কার দোষ বা ভুল, সেটা নিয়ে দিস্তা দিস্তা লেখা যাবে, কিন্তু সিস্টেমের পরিবর্তন হবে না। কারণ আমাদের ফোকাসটা ওই যায়গায় না। আর এ কারণেই কিছুদিন পর মুনিয়াও হারিয়ে যাবে তনু, ফেনির নুসরাত, রাজধানীর আনুশকা বা এরকম আরও অনেকের মতই।

প্রয়োজন আইনের সঠিক প্রয়োগ, বা সঠিক প্রয়োগে গণমত তৈরী করে রাষ্ট্রের উপর চাপ প্রয়োগ করা। সেটা কি সম্ভব মনে হয়।?

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

সোহানী বলেছেন: সম্ভব হবে না কোনভাবেই। রাস্ট্র যেখানে মাফিয়াদের হাতে বন্দী সেখানে বিচার কিভাবে সম্ভব? আইনের সঠিক প্রয়োগ কিভাবে সম্ভব? গণমত তৈরী করা কিভাবে সম্ভব? রাষ্ট্রের উপর চাপ প্রয়োগই বা কিভাবে সম্ভব?

আর এ কারণেই কিছুদিন পর মুনিয়াও হারিয়ে যাবে তনু, ফেনির নুসরাত, রাজধানীর আনুশকা বা এরকম আরও অনেকের মতই।

১১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: একজন নায়িকা না বলে একজন অভিনেত্রী বলুন।

হ্যা মেয়েটা বোকা এবং উচ্চভিলাশী। তবে একজন মানুষ যখন অবলম্বন হাড়িয়ে ফেলে তখন সে অবলম্বন খুঁজতে গিয়ে তার নিজের চয়েজ বিষয়টা আর থাকে না খড় কুটার মত যা পায় তাতেই ঝাপিয়ে পরে।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

সোহানী বলেছেন: আমি মুনিয়ার ক্ষেত্রে সেটাই বলতে চেয়েছি। মেয়েটি অন্য সবার চেয়ে আলাদা সমস্যায় ছিল। অভিভাবকহীন সুন্দরী মেয়েদের অনেক সমস্যা।

১২| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
তবু মেয়েরা সাবধান হবে না। সর্বনাশ হবে। তবে আমি চাই এই মেয়েটাকে যারা হত্যা করলো তাদের শাস্তি হোক।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: মেয়েরা সাবধান হয় না বলেই এতো সমস্যা। আর হয়তো অনেকের সাবধান হবার মতো ক্ষমতাই থাকে না।

১৩| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন: লোভ আর অহংকার সব পাপের মূল। পদে পদে হায়েনার দল ওত পেতে আছে নানা প্রলোভন নিয়ে এখানে।

শোবিজের জগত যে কতখানি নষ্টামিতে ভরা তা আমি হাড়ে হাড়ে জানি,এদের সাথে অনেক সাংবাদিক জড়িত থাকে, সুযোগের সৎ ব্যবহার করে তারা ।আঁধারের কথকতা কখনোই তারা সামনে আনে না। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেনা কোন। তাহলে যে তাদের অস্তিত্ব বিলোপ হয়ে যাবে।

রূপালী পর্দার একদিক আছে আলো ঝলমলে মায়াবী উজ্জ্বল চাকচিক্য, সেটা মেকী। আর অপরদিক গভীর তমশায় ঘেরা পিচ্ছিল পথ। সে পথে গুমরে কেঁদে মরে হাজারো মুনিয়ার অতৃপ্ত আত্মা। এর শুরু আছে শেষ নেই।

০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সোহানী বলেছেন: সেটাই বলার চেস্টা করে যাচ্ছি দিনের পর দিন। কিন্তু আমি আপনি ক'জন এর চিৎকার কোনভাবেই কানে পৈাছায় না মুনিয়াদের। আর এ কারনেই হারিয়ে যায় মুনিয়ারা।

১৪| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: সকালে প্রথম লাইকটা দিয়েছিলাম।
লেখা নিয়ে আর কিছু বলব না- সেইরকম হৈসে!

০৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্রো!

১৫| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


টাকার কাছে সাধারণ মানুষ খুব অসহায়।

০৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সোহানী বলেছেন: দুনিয়াটা টাকারই খেলারে ভাই।

১৬| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৮

শেহজাদী১৯ বলেছেন: বোকামেয়েরা সাবধান হোক। এই শ্লোগান চিরস্থায়ী হোক।

০৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সোহানী বলেছেন: বোকামেয়েরা সাবধান হয়না বলেই এতো ঝামেলা। চারপাশের লোভের হাতছানী তাদেরকে সাবধান হতে দেয় না কোনভাবেই।

১৭| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১১:০১

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমরা কেউ ধোয়া তুলসীপাতা না। আমরাও বিভিন্ন দোষে দোষী।
কেউ আমাদের দিকে আঙুল তুলছে না বলে তুলসীপাতা হয়ে অন্যের দিকে আঙুল তুলছি।
মানুষ খারাপ হোক বা ভালো, প্রতিটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিচার পাওয়া উচিত।

০৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সোহানী বলেছেন: আসলে আমাদের সিস্টেমটাই দিন দিন করাপ্টেড হয়ে যাচ্ছে। সমাজ, কালচার, ভাবনা-চিন্তা, রাস্ট্র...... সব যেন লাগামহীন ছুটছে। কেউই তুলসীপাতা নয়। তারপরও, প্রতিটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিচার পাওয়া উচিত।

১৮| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:





যে বয়সে মেয়েটি এতিম হয় সে বয়সটাতে চোখে রঙিন স্বপন বাসা বাঁধে। এসময় তরুণীরা নিজেদের রাজকন্যা মনে করে। পাংখা মেলে আজাশে উড়তে চায়। বয়সের সাথে শরীর আর মনের এই পরিবর্তন বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করে। এই সময়টায় মায়ের ভূমিকা থাকে সবচেয়ে বেশি। মায়েরা মেয়েদের পৃথিবীতে পা রেখে চলতে শেখান, কার সাথে মিশতে হবে, কাকে এড়িয়ে চলতে হবে তা শিখান। জীবনকে জানতে আচরণ আর অনুকরণের শিক্ষা দেন। এগুলো তাকে জীবনবোধের শিক্ষা দেয়।

মোসারাতের সে সুযোগ হয়নি।

আমাদের সমাজের সব পেয়েছিরা ওৎ পেতে বসে থাকে এসব পরীদের খাঁচায় বন্দি করার অভিপ্রায়ে। সফলও হয়। আমাদের মিডিয়া জগৎটা এখন এসব বখাটেদের দখলে। সুন্দরী প্রতিযোগিতা আর মডেলিং এর কথা বলে এরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত সহজ-সরল মেয়েদের জড়ো করে বিভিন্ন লোভনীয়া অফার দিয়ে আকৃষ্ট করে। মোসারাতের বেলায়ও তাই হয়েছিল। ভয়ঙ্কর এসব মাফিয়াদের এই ইনোসেন্ট মেয়েরা চিনতে পারে না। তাদের মিষ্টি কথা, টাকা, ক্ষমতা আর কুটচালে বন্দি হয়ে নিজের জীবনকে বিষিয়ে তুলে। যখন ভুল বুঝতে পারে তখন ফিরে আসার কোন সুযোগ থাকে না।

চমৎকার বিশ্লেষণ। এসব লেখা পড়লে ভাবনার খোরাক বাড়ে। ভালো থাকুন, আপু।

০৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সোহানী বলেছেন: ঠিক. এটাই বলতে চেয়েছি।

মুনিয়ার বেলায় পারিবারিক আবহ বিশাল একটা কিছু ছিল। তার বোন হয়তো অসহায় ছিল তার ব্যাপারে, আমরা জানি না। কিংবা মুনিয়াকে শাসন করার মতো যথেস্ট শক্ত ছিল না এ পথ থেকে ফেরাতে। আর মা-বাবা বা পরিবার না থাকার সুযোগটা হয়তো নিয়েছে মাফিয়ারা। তবে অনেকের ক্ষেত্রে পরিবারও ভূমিকা রাখে এরকম লোভে পা দেবার।

আর ওই সুন্দরী প্রতিযোগিতা আর মডেলিং হলো সুন্দরী মেয়েদের ধরার ফাঁদ। ভালো ড্রেস, কসমেটিক্স, খাবার দেখিয়ে লোভের জগতে টানে। এর থেকে ফেরা খুব কঠিন হয়ে পড়ে তাদের।

১৯| ০৫ ই মে, ২০২১ ভোর ৫:২২

অনল চৌধুরী বলেছেন: পারভিন ববি, জিনাত আমান, রেখা বা মুনমুন সেনকে কেউ কারো কাছে বিক্রি করেনি।
গরীব পরিবারের না হলেও এরা প্রত্যেকেই ছিলো চরম টাকা লোভী এবং পেশাদার .......... । পরের দুইজন এরশাদের সঙ্গী হওয়ার জন্য বাংলাদেশেও এসেছিলো।
মুনিয়াও ছিলো চরম লোভী। সে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হতে না চেয়ে সোজা পথ বেছে নিয়েছিলো।
আর বসুন্ধরা পরিবার তো ছিচকে চোর থেকে ডাকাত হয়েছে।
এরাই এখন বাংলাদেশের মালিক !!!!

০৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সোহানী বলেছেন: হয়তো ঠিক! মুনিয়া চরম লোভী ছিল কি না বা পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিল কিনা আমরা জানি না। নাকি সে তাদের কোন ফাঁদে পড়েছিল কিনা, তাও আমরা জানি না। তারপরও মুনিয়া হারিয়ে গেছে, এটাই সত্য। আর কোস মুনিয়া যেন হারিয়ে না যায় সেটাই কাম্য।

২০| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ৭:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সে যেই হোক, কোন প্রকারেই তার অকাল মৃত্যু কাম্য নয় ।
এ অকাল মৃত্যুটির বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হয়ে ন্যয় বিচার
করা হোক সে কামনাই করি । তবে ঘটনা দৃষ্টে মনে হয়
এ বয়সের মেয়েদের ও তাদের আত্মিয় স্বজনের আরো
সচেতন হওয়া প্রয়োজন , যাতে করে কেও যেন সমাজে
থাকা মুখোশদারী দানবদের খপ্পরে পরে পরিনামে নীজের
জীবন বিসর্জন দেয়ার পর্যায়ে না নিয়ে যায় । যে সমস্ত
নরপিশাচ দানব অর্থ ও প্রাচুর্যের লোভ দেখিয়ে এ
সমাজের কোমলমতি মেয়েদেরকে প্রভাবিত করে মৃত্যুর
দোয়ারে পৌঁছিয়ে দেয় ,তাদের জন্য কঠোর থেকে
কঠোতর শাস্তির ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ আশু
প্রয়োজন । পাপ বাপকেও ছাড়েনা এ কথাটি
যেন মিথ্যা প্রতিপন্ন না হয় সেটা সকলের
দেখা প্রয়োজন ।

শুভেচ্ছা রইল ।


০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:০৫

সোহানী বলেছেন: "কোন প্রকারেই তার অকাল মৃত্যু কাম্য নয়। এ অকাল মৃত্যুটির বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হয়ে ন্যয় বিচার করা হোক সে কামনাই করি।"

এরকম কিছু বিচার হলে অবশ্যই অপরাধীরা অপরাধ করার আগে ভয় পেত। কিন্তু হায়, এমন কিছুর বিচারতো দেখিনি। তাইতো ভয়, মুনিয়াগুলো শুধু হারিয়েই যাবে। আর অনেক সময় পরিবারও এ লোভের পিছনে কাজ করে। কিন্তু ছোট্ট মুনিয়াগুলো বুঝতেই পারে না কোন অন্ধকার জগতে ওরা ঢুবে যাচ্ছে।

২১| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,





গেলো বছরের জুন মাস এবং তার আগে থেকেই বোকা মেয়েগুলােকে বলে আসছেন। এর মধ্যে বুড়ীগঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। হায় ! বোকারা কি চালাক হয়েছে এতোদিনেও ?

এরকম বোকারা কখনও দেখেশুনেও চালাক হবেনা আর আপনাকেও এমন করে লিখতে হবে প্রস্থে প্রস্থে....।

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০০

সোহানী বলেছেন: এরা চালাতো দূরে থাক আরো বোকাই হচ্ছে দিন দিন। কারন ঝকঝকে তকতকে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবে ভেসে বেড়ানো ছবিগুলো দেখে ওরা দিন দিন ইর্ষাকাতরই হয়। আর ওই দিকেই ঝাপিয়ে পড়ে ।

আমি এবার দেশে যেয়ে খুব অবাক হয়েছিলাম। এ ইয়ং জেনারেশন শুধু ছবি আপলোডই ধ্যানজ্ঞান। নিত্য নুতন ড্রেস কেনা, নতুন সাজগোজ, রেস্টুরেন্টে খাওয়া..... এগুলোই তাদের মেইন কাজ। বাকি সব সেকেন্ডারী। কোন আদর্শের কথা নেই, দেশপ্রেম নেই, ভবিষ্যত চিন্তা নেই..........শুধু ছবি আপলোড। খুব ধাক্কা খেয়েছিলাম আমি। কেন যেন মনে হচ্ছিল আমি চরম একটা আনস্মার্ট ওই জেনারেশানের তুলনায়।

২২| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের বিচারবুদ্ধি ও বিবেকবোধ বলতে কিছু নাই, এবং মস্তিষ্কেও বিকৃতি ঘটেছে। একটা মেয়ের লোভটাকেই আমরা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড়ো করে দেখছি, কিন্তু যে তাকে এই লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেললো, মেরে ফেললো, তার বিচারের জন্য কোনো রা করছি না, উচ্চবাচ্য করছি না। মানুষ কীভাবে এত বিকৃত রুচির হয়, সেটাও একটা গবেষণার বিষয়।

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৩৩

সোহানী বলেছেন: এর উত্তর খুব সহজ। "পুরুষতান্ত্রিক সমাজ"। সেখানে মেয়েরাই প্রতিনিয়ত দোষী, তাদের দিকে আঙ্গুলই বরাবরেই উঠে। আর তার উপর বলতে গেলে এখানে অসম লড়াই চলছে। কোটি টাকার সাথে এক সাধারন মুনিয়া কিভাবে টিকবে?

২৩| ০৯ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৬

এম এ হানিফ বলেছেন: দুখের বিষয় এই যে আরো আরো নতুন নতুন স্বপ্নচারী নবযৌবনা মুনিয়া ফাঁদেই পা দেবে, ফাঁদে পড়বে। কেন পড়বে না? আমরা, আমাদের এই লোভী, নিষ্ঠুর সমাজ কি তৈরি করে রেখেছি এই নরম, কোমল, তুলোর মত তুলতুলে, ফুটফুটে ছোট বোনেদের জন্য?


যে সমাজ হারহামেশাই আনভীর তৈরি করে, আনভীরের মত জীবন, অর্থ, সম্পদ আর দাপটের জন্য প্রতিমুহূর্তে আমরা, আমাদের এই অসভ্য, মুখোশ পরা সমাজ প্রাণপনে, উল্কার বেগে ছুটে, সেখানে মুনিয়ারা শুধুই আফসোস।


ওপারে ভালো থাকুক মুনীয়ারা। এপারের এই নির্ল্লজ্জ, ঘৃণিত,বর্বর,প্রতারক, লোভী দুনিয়ার ছোট বড় দানবদের জন্য ঘৃণা, ঘৃণা আর ঘৃণা।


১২ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ হানিফ ভাই চমৎকার কিছু কথা বলার জন্য।

আমি সমাজকে অবশ্যই দায়ী করবো। একদিকে যেমন আনবীর তৈরী করছে অন্যদিকে মুনিয়াদের জন্য ফাঁদ তৈরী করছে। নৈতিকতা, আদর্শ, সৎ.... এ শব্দগুলো খুব ঠুনকো হয়ে গেছে এখন। শুধু ভোগ, আনন্দ, বর্তমানকে বাস করে এ সমাজ। আমি আতংকিত এই ভেবে যে দিন দিন আরো খারাপের দিকেই যাচ্ছে।

ওপারে ভালো থাকুক মুনীয়ারা। এপারের এই নির্ল্লজ্জ, ঘৃণিত,বর্বর,প্রতারক, লোভী দুনিয়ার ছোট বড় দানবদের জন্য ঘৃণা, ঘৃণা আর ঘৃণা।

২৪| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এক মুনিয়া হারিয়ে যায়, আরেক মুনিয়া সে স্থান দখল করে আনবীরদের কাছে" - এ এক ভয়ঙ্কর কালো জগত, মর্মন্তুদ সব কাহিনীর সূতিকাগার। এ থেকে যেন পরিত্রানের কোন পথ নেই, কোন না কোনভাবে এ দুষ্টচক্র শিকার ধরার জাল বুনতেই থাকে!

"এই যে বিবেকহীনতা, এই যে অপরাধীকে প্রশ্রয় প্রদান এটাই সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ" - ঢাবিয়ান এর এ কথার সাথে দ্বিমত করার কোন অবকাশ নেই।

"অভিভাবকহীন সুন্দরী মেয়েদের অনেক সমস্যা" (১১ নং প্রতিমন্তব্য) - একটি চরম সত্য কথা!

১২ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫৬

সোহানী বলেছেন: আমি সত্যিই আতংকিত .... কি হবে আমাদের ভবিষ্যত, কিভাবে বাঁচবে খুব সাধারন মানুষগুলো। মারা কাটো, যেভাবেই পারো ভোগে মত্ত হয়ে উঠো.... এ যেন এখনকার নীতি।

এই যে বিবেকহীনতা, এই যে অপরাধীকে প্রশ্রয় প্রদান .... কিভাবে রুখবে? কে রুখবে? সামাজিক বিপ্লবগুলো কে করবে?

খুব বিষন্ন মনে ভাবি। আমিতো পালিয়ে বেচেঁছি, কিন্তু পিছনে ফেলে আসা আমার স্বজনদের কি হবে?

২৫| ১১ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:




সোহানীপু প্রথমেই তোমার একটা গল্পের কথা বলি পার্ভার্ট
জীবন থেকে নেয়া গল্পটা পড়লাম । পাশ্চাত্যের কমন স্টোরি ।
এটাই আমার প্রথম তোমার লেখা গল্প পড়া । বাকিগুলোও পড়ে জানাবো ।

এই গল্পে যা ঘটেছে, সেইম না হলেও সিমিলার ঘটনা কিন্তু তোমার পোষ্টের মেয়েটির জীবনে ।
একটা অল্প বয়সী মেয়ে যে সময় বাবা মায়ের আদরে শাসনে বড় হবার কথা, তখন সে গার্ডিয়ানলেস জীবন যাপন করছে ।
তার আশেপাশে কেউ নেই । জীবনের মূল্যবোধ শিখবে কার কাছ থেকে !
এরকম অবস্থায় খুব সহজেই একটা ছেলে বা মেয়ে ডিরেইল্ড হয়ে যায় । উই ক্যান্ট ব্লেম দেম ।
আর বয়সটাই এরকম খুব সহজেই মোল্ড করা যায় আর এই সুযোগটাই নিয়েছে বা নেয় সমাজের সুবিধাবাদীরা সে টাকার কুমির হোক আর নাইবা হোক ।

ওভারঅল ঘটনাটা খুবই শকিং ! উই ক্যান্ট ডু এনিথিং বাট উইশ যেনো ক্ষমতা বা টাকার জোরে আসামি পার পেয়ে না যায় ।
যে বা যারাই এই ক্রাইমের সাথে জড়িত তাদের যেনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় ।



১২ ই মে, ২০২১ রাত ১১:০৪

সোহানী বলেছেন: একটু পার্থক্য আছে মিরু, পশ্চিমা সমাজে পরিবারহীনতা একটা বড় সমস্যা। কিন্তু রাষ্ট্র, সমাজ তাদেরকে সে অভাবটা পুরোনের চেস্টা করে। এই পরিবারহীনতার কারনে ব্রকলিনরা হারিয়ে যায় স্বল্প সংখ্যক আনভীরদের ভীড়ে। তারপরও সেখানে আইন আছে, বিবেক আছে, মানবতা আছে.... যা রুখার চেস্টা করে আনভীরদের।

আর আমাদের দেশে সমাজ তাদেরকে তৈরী করে। আনভীর মুনিয়ার দেখা মেলে প্রতি পদে পদে। আইন নেই, বিবেক নেই, মানবতা নেই, বিচার নেই.........। আনভীরদের রুখবে কে? আর টাকার বাইরে দেশে কোন কিছু নেই রে আপু। টাকা আছেতো পুরো দেশ তোমার।

ভালো লাগলো যে তুমি বইটি কালেক্ট করেছো ও পড়ছো। অনেক অনেক ভালো থাকো।

২৬| ১৩ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু আমি কোন জাজমেন্টে যাবো না, শুধু চাই অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর ন্যায় বিচার।

১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:০২

সোহানী বলেছেন: এ পর্যন্ত কোন বিচার পেয়েছি কিনা মনে করতে পারছি না। তারপরও আশা করতে তো সমস্যা নেই রে আপুনি!!

২৭| ১৩ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এত বলার পরও বোকা মেয়েগুলো বুঝেনা, আগুনে ঝাপ দিয়ে আত্মহুতি দেয়।

১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:০৩

সোহানী বলেছেন: বোকা মেয়েগুলো বাধ্য করে। ওরা অনেকটা অন্ধ কারন সমাজ, সংস্কৃতি, লোভ, মোহ তাদেরকে অন্ধ করে রাখে।

২৮| ১৪ ই মে, ২০২১ রাত ২:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মেয়রা এখন আর বোকা নেই ।
আমার বউ নীজেকে আমার চেয়ে
শতকরা ৫০০ভাগ বেশী চালাক ভাবে ।
যাহোক, এই ঈদে আপনি ও
পরিবারের সকলের প্রতি রইল

১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:০৬

সোহানী বলেছেন: আসলে মেয়েরা কোনভাবেই বোক নয়। ওরা বুঝে এবং বেশীই বুঝে বলেই ঝামেলায় পড়ে। পরিবারের উপদেশ, ধর্মীয় উপদেশ, নীতিবাক্য সবই তাদের কাছে হাস্যকর। আর সে কারনেই এতোটা অধ:পতন দেখতে হচ্ছে দিনের পর দিন।

ঈদ মোবারক প্রিয় লেখক। আমরা লকডাউনের মাঝে আছি বলে পানসে একটা ঈদ কাটালাম। খুবই বিরক্তিকর। লকডাউন শুধু বাড়াচ্ছেই আর বাড়াচ্ছে। আর ভালো লাগছে না এ বন্দী জীবন।

২৯| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমার বেশ কয়েকজন ব্রাদার ইন ল আর সিসটার ইন ল
কানাডার মন্ট্রিলে থাকে।গতকাল ভাইভারে তাদের সাথে
ভিডিউ কলে দেখলাম তারা অনেকটা নিষ্প্রাণভাবে নীজেরা
নীজেরা এবারের ঈদ উদযাপন করেছে । দেখে মনটা
বিষন্ন হয়ে গেছে । আমাদেরো ঈদ কেটেছে নিষ্প্রাণভাবে।
করোনায় নীকট আত্মীয়দের মাঝে অনেকেই করুনায়
আক্রান্ত ।

২২ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:৫১

সোহানী বলেছেন: নিকট আত্মীয় করোনায় আক্রান্ত এই মূহুর্তে? ইউএসতো অনেক ভালো অবস্থায় এখন, তাই নয় কি?

আমাদেরও প্রায় ভ্যাক্সিন প্রথম ডোজ শেষ। আক্রান্তও অনেক কম। তারপরও লকডাউন চলছে। যার কারনে ঈদও হয়েছে নিষ্প্রাণভাবে। আপনাদেরতো লকডাউন নেই। আমার ইউএস এ আত্মীয়রাতো ভালোই কাটিয়েছে।

আপনি ভালো আছেনতো?

৩০| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১০:২৫

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার লেখার তিনটি পর্বই পড়লাম আজ। সুচিন্তিত প্রতিটি লেখা। আমাদের বোকা মেয়েগুলো যদি এগুলো পড়তো আর নিজেদের সঠিক পথে ধরে রাখতে পারতো, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হতো খুব সহজে।
"মেয়ে" নয় যেদিন "মানুষ" হয়ে উঠবে আমাদের মেয়েরা, সেদিনই সমাজ থেকে বিলোপ হবে পুরুষতান্ত্রকতার নিষ্পেষণ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো সোহানী আপু।

৩০ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:২৯

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

""মেয়ে" নয় যেদিন "মানুষ" হয়ে উঠবে আমাদের মেয়েরা, সেদিনই সমাজ থেকে বিলোপ হবে পুরুষতান্ত্রকতার নিষ্পেষণ।".... কিন্তু আমাদের মেয়েরা যেন দিন দিন "মানুষ" নয় "মেয়ে মানুষ" হবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে দিন দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.