নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
মেয়েটির সাথে প্রথম দিনের পরিচয়ের পর থেকেই মোটামুটি সে আমার কঠিন ভক্ত হয়ে যায়...ভক্ত মানে একেবারে সুপার গ্লু। তার সকল কিছুর পরামর্শদাতা আমি...ডানে যাবো নাকি বামে, এটা করবো নাকি সেটা.... দিনে কম করে হলে ও ৬ বার ফোন।
পর্দা কিনবো কোথা থেকে?
প্রাইস চিন্তা করলে ওয়ালমার্টে থেকে কিনো আর কোয়ালিটি চিন্তা করলে হোমসেন্স থেকে।
কি কালার কিনবো?
(হাধা) ফার্নিচারের সাথে ম্যাচ করে কিনো।
আমার ফার্নিচারতো ব্লাক তাই পর্দা ও কি ব্লাক কিনবো?
(গাধা) ব্লাক পর্দা কিনে কি ঘরে ছবি ওয়াস করবা????
পর্দা রড কিনবো কোথা থেকে?
একই জিনিস বেশী দাম দিতে চাইলে হোমসেন্স থেকে কিনো।
এভাবে দশবার ফোনের পর, ওয়ালমার্টে দাড়িয়ে কল দেয় যে, রডতো কালো আর সাদা রং এর আছে, আমি কোনটা কিনবো?'
তাই বলে তাকে গাধা বলার কোনই কারন নেই, ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে ভালো চাকরী করে।
প্রায় ইউকএন্ডে সে তার দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমার বাসায় সারাদিন সময় কাটায়, যেকোন ইস্যুতেই আমার বাসায়,দরকারী বা অদরকারী সেটা কোন বিষয় না। খুব হাসিখুশী, প্রচন্ড পরিশ্রমী, অসম্ভব সুন্দরী। আমার বাচ্চারা শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করবে আজ কি আন্টি আসবে? কারন আন্টি মানেই অনেক মজার কেক, আইসক্রিম আর গিফ্ট।
মাঝে মাঝে একটু চিন্তা করি, এখানে তো কেউ কারো বাসায় সহজে আসে না আর সে প্রায় ফোন না করেই চলে আসে। কিন্তু কিছুতো বলা যায় না, সারাদিন বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটায়। আমরা প্রতিদিন নামাজ পড়ি দেখে প্রায় বলে, ''তুমি একটু আমার ছেলে-মেয়েদের ধর্ম নিয়ে কিছু বলো, ওরা জানুক ধর্ম পালনের উপকারিতা''। যদিও সে কোন ধর্মে বিশ্বাসী না কিন্তু সে চায় তার ছেলে-মেয়েরা একটা ধর্ম বেঁছে নিক।
একদিন বললো, আমি তোমার বাসায় প্রায় না বলে চলে আসি তুমি কি মাইন্ড করো?
আরে মাইন্ড করবো কেনো, আমার সহ বাচ্চাদের ভালো সময় কাটে।
ও বললো, ''ইউ আর সো হ্যাপি কজ ইউ হ্যাব এ লাভলি ফ্যামিলি।''
আমি হাসলাম, সবারইতো ফ্যামিলি আছে, এই তোমার ছেলে-মেয়ে, স্বামী সংসার চমৎকার ফ্যামিলি।
না, তুমি যা দেখছো তা ঠিক নয়। আমি তোমার বাসায় আমার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে প্রায় আসি কারন আমি শেখাতে চাই সত্যিকারের পরিবার কি? আমি কখনই আমার বাবাকে দেখিনি, আমি বড় হয়েছি আমার সৎ বাবা আর মায়ের কাছে। খুব চাইতাম বাবার আদর কিন্তু সৎ বাবা কখনই আমাকে কাছে টেনে নেয়নি। আমার যখন বয়স ১৭ তখন আমার ক্লাসের একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক হয়। ওর ঘরে আমার বড় ছেলের জন্ম আমার ১৯ বছরে, আমাদের সম্পর্ক তারপরে এক বছর টিকে ছিল। বড় ছেলে বয়স যখন পাচঁ তখন ছোট মেয়ের বাবার সাথে পরিচয়। মেয়ের জন্মের পর ওর সাথে সম্পর্ক তিন বছর টিকে ছিল। হেনরীর সাথে পরিচয় বছর কয়েক, ওকে আমি ভীষন ভালোবাসি। কিন্তু সে তো আমার বাচ্চাদের বাবা না, হেনরীও সেভাবে ও তাদের কাছে টেনে নেয় না।
দেখো, আমারও পরিবার আছে কিন্তু আমার বাচ্চারা তাদের বাবাদের চিনে না, কখনো বাবার ভালোবাসা পায়নি। আমি সারা জীবন একটা চমৎকার পরিবারের জন্য মুখিয়ে আছি, একটি সত্যিকারের পরিবার, বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী নিয়ে সত্যিকারের পরিবার। কিন্তু আমি পাইনি, আমার মাও পায়নি আর আমার সন্তানরা ও পাবে কিনা জানি না। তাই তাদের আমি এ বয়স থেকে বোঝাতে চাই পরিবার কি, সত্যিকারের পরিবার কেমন হয়, পরিবারের ভালোবাসা কেমন হয়।
আমি অবাক হয়ে তাকালাম তার দিকে। সত্যিই তো, আমরা বাবা-মা ভাই-বোন চাচা-মামা দাদী-নানী নিয়ে বিশাল পরিবারের মাঝে বড় হয়েছি। আমরা কখনই পরিবারের শূণ্যতা অনুভব করিনি। আদর, শাসন, দুস্টুমি, মারামারি, রাগ, অভিমান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা...... সবকিছুই শিখেছি পরিবার থেকে। এই পরিবারের কারনে আমরা হারিয়ে যাইনি জনসমু্দ্রে, বিপদে হতাশ হয়নি, কষ্টে ভেঙ্গে পড়িনি। পরিবার একটি ভীষন শক্তিশালী মাধ্যম।
শুধু তাই নয়, শুধুমাত্র পরিপূর্ণ একটি পরিবারই দিতে পারে একটি শিশুর পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ। সে যদি দেখে আদর ভালোবাসার একটি পরিবেশ তাহলে সে ও তার সন্তানদের দিবে এমনি একটি পরিপূর্ণ পরিবার।
ঠিক তার বিপরীতে যে শিশুটি দেখে পরিবারে অশান্তি, মা-বাবা একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ, সন্মান-ভালোবাসা অনুপস্থিত। তাহলে সেও শিখবে হিংস্রতা, সে ও পারবে না সন্মান দিতে, ভালোবাসতে।
এমন পরিবেশ কি আমাদের সন্তানদের জন্য রাখা উচিত?
আমরা কি পারি না সন্তানদের জন্য আমাদের রাগ-দু:খ, হিংসা-প্রতিহিংসা, উপহাস, অপমান, অসন্মান একটু সরিয়ে রাখতে? ওদেরকে একটা সুন্দর পরিবার উপহার দিতে?
সবাই ভালো থাকুন।
সোহানী
নভেম্বর ২০২৩
ছবি: গুগুল মামা
বি:দ্র: অনুরোধ উপরোধে লিখা-লিখির ঢেঁকি গিলেছি খায়রুল আহসান ও শেরজা তপন ভাইদের জন্য। এ লিখাটার মূল অংশ আমার অন্য লিখা থেকে নেয়া।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:২০
সোহানী বলেছেন: কেন হবে না! আপনি না আসতে পারলে আপনার সন্তানরা আসবে। তারপর তারা আপনাকে স্পন্সর করবে। না পারার কিছু নেই।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই আপু সুন্দর পরিবার সুন্দর পরিবেশ, সুখ আনন্দ এখানেই
এদিক দিয়ে বাংলাদেশ একটি পারিবারিক পরিবেশ সুন্দর
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:২৫
সোহানী বলেছেন: শুধু বাংলাদেশই না, সব দেশেই সুন্দর পারিবারিক পরিবেশ আছে। বরং আমাদের চেয়ে অনেক ভালো পরিবেশ আছে। আমরাই বরং ঘরের পরিবেশ বিষিয়ে রাখি যা পশ্চিমের মতো দেশে বরং কম। এখানে পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো না থাকলে তারা মিউচুয়াল এ আলাদা হয়ে যায় এবং বাচ্চাদেরকে সর্বোচ্চ গুড়ুত্ব দেয়। আর আমরা বাচ্চাদেরকে গোনায় ধরি না। সকাল বিকাল বউকে অপমান অপদস্থ করে অনেকেই। যা বাচ্চাদের ইফেক্ট করে।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
আমরা কি পারি না সন্তানদের জন্য আমাদের রাগ-দু:খ, হিংসা-প্রতিহিংসা, উপহাস, অপমান, অসন্মান একটু সরিয়ে রাখতে? ওদেরকে একটা সুন্দর পরিবার উপহার দিতে?
অবশ্যই পারো আপু এবং সেটাইতো করছো।
কিন্তু যে বা যারা পারেনা, তারাও কিন্তু খুব খুশি মনে ইচ্ছাকৃত করেনা, হয়তো সিচুয়েশনের শিকার।
মানুষের জীবনে কতরকম ভিন্নতা।
তোমার এই কাহিনীর মেয়েটার কথাই ধরো।
ওকে খুব ভালো একজন মানুষ বলেই মনে হচ্ছে কিন্তু তারপরও দেখো তার জীবনটা কত নাটকীয়!
পৃথিবী যতদিন থাকবে, মানুষে মানুষে এই ভিন্নতা থাকবে, সুখী অসুখী থাকবে।
থাকবে বাবা মা ভাইবোনের ভালোবাসা মাখানো পরিবার, আবার কোথাও বিচ্ছিন্ন পরিবারে কষ্টে বেড়ে উঠা ছেলে মেয়েদের পরিবার বিমুখ জীবন।
This is life.
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:২৯
সোহানী বলেছেন: আসলে আমার এ লিখাতে "বাবা মা ভাইবোনের ভালোবাসা মাখানো পরিবার" এর গুড়ৃত্বটা বোঝাতে চেয়েছি।
"পৃথিবী যতদিন থাকবে, মানুষে মানুষে এই ভিন্নতা থাকবে, সুখী অসুখী থাকবে।" তা সত্য। কিন্তু যখন মানুষ নিজের স্বার্থটাই চিন্তা করে, পরিবারের বাকিদের চিন্তা করে না তাদের কথা বলতে চেয়েছি।
মানুষের ভিন্নতা থাকবেই, তা কিন্তু বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে বাঁধা হয় না। বাধাঁ হয় যখন পরিবারে সুস্থ্য পরিবেশ থাকে না। আমি সেটাকেই বেশী গুড়ুত্ব দিতে চাই।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬
মিরোরডডল বলেছেন:
হুমায়ুন আহমেদের বহুব্রীহি নাটকের আলী জাকেরের মতো, তুমিও একটা পরামর্শ কেন্দ্র ওপেন করো আপু
তাই বলে তাকে গাধা বলার কোনই কারন নেই, ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে ভালো চাকরী করে।
তারপরও তুমি কিন্তু তাকে গাধা বললে!!!!
(গাধা) ব্লাক পর্দা কিনে কি ঘরে ছবি ওয়াস করবা????
আরে মাইন্ড করবো কেনো, আমার সহ বাচ্চাদের ভালো সময় কাটে।
একটু আগেই না অভিযোগ করলে ফোন না করেই চলে আসে, কিছু বলা যায় না
অনেকদিন পর তোমাকে লেখায় পেলাম সোহানীপু ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩২
সোহানী বলেছেন:
পরামর্শ কেন্দ্র ওপেন করেছি সেই সামহোয়ারের শুরু থেকে। আমার লিখাগুলো দেখো, সব হিতোপদেশ টাইপের। অনেকটা ইসপের গল্পের মতো................হাহাহাহাহা
এটা কিন্তু পুরোনো লিখা, একটু অদল বদল করেছি মাত্র
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ঠিক একই টাইপের আরেকটি খেলা কোথায় যেনো পড়েছি। সম্ভবতো হুমায়ূন আহমেদের কোনো লেখায়।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩৪
সোহানী বলেছেন: আপনার স্মরণশক্তি ভালো, এটা আমার পুরোনো লিখা। হুমায়ূন আহমেদের কোনো লেখায় পড়ে থাকলে আমার সাত জনমের ভাগ্য। এটলিস্ট আমার লিখাটা কাছাকাছি গেছে...................
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: একদা আমাদের এখানে যৌথ পরিবার ছিল, কত সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, প্রাণ-চাঞ্চল্যে ভরা ছিল আমাদের জীবন, তখন সমাজটা ছিল মূলত কৃষিভিত্তিক, মানুষের পেশার পরিবর্তনের সাথে সাথে যৌথ পরিবার ভেঙে গেল। এখন একক পরিবার আছে, কালের আবর্তে হয়তোবা পশ্চিমের মত আমাদের একক পরিবার কাঠামোটাও একদিন ভেঙে যাবে। তখন আমরাও আপনার গল্পের মেয়েটির মতোই পরিবার নামক সোনার হরিনের খোঁজে বের হব....
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩৫
সোহানী বলেছেন: ঠিক তাই। এখনো সময় আছে আমাদের সচেতন হতে হবে। নিজের স্বর্থপরতা থেকে বের হতে হবে। একক বা যৈাথ পরিবার বলে কথা নয়, আসল কথা হলো সবার ভালোবাসায় ভরা আনন্দমুখর পরিবেশ দরকার।
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পরিবারের সঠিক মূল্য সবাই বুঝতে সক্ষম হয় না।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩৭
সোহানী বলেছেন: আর এ কারনেই সে ব্যাক্তি যেমন ভোগে তেমনি সন্তানরাও ভোগে। অথচ পরিবারের সঠিক মূল্য বোঝাটা সবার জন্য সবচেয়ে গুড়ুত্বপূর্ণ বিষয়।
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পশ্চিমা বিশ্বে পরিবার প্রথা যে টিকে আছে সেটা এতটা স্টং নয়। এশিয়া তথা আমাদের দেশের পরিবারের মত বন্ধন অন্য কোথাও এতটা মজবুত নয়।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩২
সোহানী বলেছেন: কথাটা পুরোপুরি সঠিক নয়। সব দেশেই স্ট্রং পারিবিারিক প্রথা আছে, মজবুত বন্ধন আছে। অনেকক্ষেত্রে আমাদের চেয়েও মজবুত। কারন তাদের মাঝে ভান নেই, ছলচাতুরী নেই যা আমাদের মাঝে আছে।
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: একটি পরিবার, সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম - দ্বীমত করার কোন সুযোগ নেই।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ, সত্যিই তাই জ্যাক।
১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: পরিবার থাকলেই হবে না। একটা ভালো শিক্ষিত রুচিশীল, মানবিক পরিবার প্রয়োজন।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪
সোহানী বলেছেন: সেটাও আমার কথা। একটি ভালোবাসাপূর্ণ পরিবার। মারামারি কাটাকাটি পরিবার নয় কিছুতেই। ধন্যবাদ।
১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পরিবার যেন বট ছাঁয়া। ভঙ্গুর পরিবারে সুখ ধরাশায়ি। আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। পারিবাকি বন্ধনে আবদ্ধ থাকুন। সুখী পরিবারের দৃস্টান্ত হয়ে থাকুন।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুজন।
কথা ভঙ্গুর পরিবার নিয়ে। এ ধরনের পরিবার সন্তানদের মানসিক বিকাশে বরাবরেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: পশ্চিমা'রা তাদের পরিবার হারিয়ে পরিবার খুঁজে। আর আমরা পরিবার থাকার পরও তার মর্ম বুঝি না। বরং অনেক ক্ষেত্রে এটাকে বোঝা মনে করি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭
সোহানী বলেছেন: একদম সত্য কথা।
আমরা এতো সুন্দর পরিবার পেয়েও সেটাকে অনেক সময় সঠিক মূল্য দিতে জানি না। যার প্রভাব শূধু সন্তান নয় নিজের উপরও পড়ে।
১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৩
করুণাধারা বলেছেন: একটি পরিবার সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম, সন্দেহ নেই। কিন্তু আমাদের দেশেও পরিবার ব্যবস্থা ভেঙে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আজকালের তরুণ প্রজন্ম সিনিয়রদের জ্ঞানের এবং অভিজ্ঞতার সম্মান করার চাইতে সামাজিক মাধ্যম এবং গুগলের সাথে সময় বেশি পছন্দ করে।
তবে এই মেয়েটি নিজেই সমস্যা তৈরি করে তার জালে জড়িয়ে গেছে। একটা শিশুর দায়িত্ব নেয়া সহজ কাজ নয়। সে কিশোর বয়সে মা হয়ে গেছে। ধরলাম ভুল করেছিল প্রথমবার, কিন্তু বারবার ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে তার শাস্তি তো পেতে হবে। সন্তানকে একটা অবহেলাময় জীবনে নিয়ে তারপর এসে অন্যের পরিবার দেখালে সন্তানের জীবনে কোন পজেটিভ ইম্প্যাক্ট পড়বে বলে মনে হয় না। এই মেয়েটির জন্য নয়, তার সন্তানদের জন্য দুঃখ হচ্ছে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩
সোহানী বলেছেন: আসলে আপু প্রত্যেকেরই গল্পের পিছনের গল্পটা ভিন্ন। আমরা তার কিছুই জানি না। হয়তো সে বাধ্য হয়েছে কিংবা অন্য কিছু। (যদিও আমি জানি তার পিছনের গল্প, তাই বল্লাম)।
আমি লিখাটা গুছিয়ে লিখিনি। পুরোনো্ একটা লিখাকে একটু ঘষেমেজে দিয়েছি। তাই যা বলতে চেয়েছি তা ঠিকভাবে বলতে পারিনি।
পরিবার ব্যবস্থা যেমন ভেঙে যাচ্ছে দিন দিন তেমনি পরিবারের ভীতরে স্নেহ ভালোবাসাটা অনেকটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। কারন আমরা দিন দিন ভোগী হয়ে যাচ্ছি। সোস্যাল মিডিয়া আমাদেরকে লোভী ভোগী বানাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে বাচ্চাদের উপর।
১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৯
জুন বলেছেন: এটা চিরন্তন সত্য সোহানী। আজ বিভিন্ন মানুষের কার্যকলাপ দেখলে এটা পরিস্কার ফুটে উঠে। সুন্দর লিখেছো। ভালো লাগলো অনেক।
+
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুনাপু। কিন্তু কয়জনেই বা বোঝে পরিবারে গুড়ুত্ব।
১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: পরিবার তো সবারই আছে। কিন্তু পরিবার থেকে সঠিক পারিবারিক শিক্ষাটা নেই।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫
সোহানী বলেছেন: পরিবার থেকে সঠিক পারিবারিক শিক্ষাটা নিতে হলে বাবা-মা নিজেরা উদাহরন তৈরী করতে হবে। নিজেরা ধান্ধাবাজি করে বাচ্চাদেরকে ভালো কিছু শিক্ষা দেয়া সম্ভব নয়।
১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২
মেহবুবা বলেছেন: পরিবারের আরামদায়ক আশ্রয় তুলনাহীন। সেটা মাথায় রেখে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারলে সার্থক।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬
সোহানী বলেছেন: সত্য। সেটাই কথা, " পরিবারের আরামদায়ক আশ্রয় তুলনাহীন"। কিন্তু অনেকরেই যে বোঝার ঘাটতি আছে।
১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৪
দি এমপেরর বলেছেন: লেখাটায় সুন্দর একটা মেসেজ আছে। পারিবারিক সুখ থেকে বঞ্চিত সেই মেয়েটার জন্য শুভকামনা রইল।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৩
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার।
১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আবার আপা পরিবারে যদি সবার প্রতি সবার মমত্ব সমান না হয় তো পরিবার হয়ে যায় দোজখখানা । আমাদের দেশে টক্সিক ফ্যামিলির সংখ্যা বাড়ছে । পারিবারিক অশান্তি তুঙ্গে । সেক্ষেত্রে আসলে পরিবারের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায় !!
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৭
সোহানী বলেছেন: ঠিক এই বিষয়টার উপরেই আমি জোর দিতে চাচ্ছি।
একটি টক্সিক ফ্যামিলি শুধু সন্তান নয়, কারোই মঙ্গল আনতে পারে না। পারিবারিক অশান্তি দেখে যে সন্তানটি বড় হয় সে এটাকেই স্বাভাবিক ধরে নেয়। এর বাইরে যে একটি সুন্দর কিছু থাকতে পারে তা সে বোঝে না। যার কারনে তার সন্তানরাও অসুস্থ মানসিকতায় বড় হয়।
১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪২
শায়মা বলেছেন: লেখা আর মন্তব্য পড়ে একটা গানের লাইনই মাথায় এলো-
সবাই তো সুখী হতে চায়!!!
তবু কেউ সুখী হয় কেউ হয় না ......
জানিনা বলে যা লোকে সত্যি কিনা
কপালে সবার নাকি সুখ সয় না.......
ঠিক বলেছি না ???
০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৮
সোহানী বলেছেন: সুখ অসুখের প্রশ্ন নয় শায়মা, বড় প্রশ্ন সন্তানদের বেড়ে উঠা সুস্থ্য পরিবেশে।
কেউ সুখী হলো কি হলো না সেটা তার নিজস্ব ভাবনা। কিন্তু তার ভাবনা যদি আরেকজনকে এ্যাফেক্ট করে তাহলে সমস্যা।
২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
লেখার মূল বক্তব্যটি যথার্থ ।
মানব সভ্যতার ক্রমাগত বিকাশে সব কিছুর উৎকর্ষ হয়েছে বটে কিন্তু মানবিক গুনাবলীর, সহমর্মিতার ক্ষেত্রগুলিতে প্রচন্ড ধস নেমেছে। কারন এই সভ্যতায় টিকে থাকতে হলে জীবনযুদ্ধে মানুষকে জটিল সব প্রতিযোগিতায় জড়াতেই হচ্ছে ইচ্ছে কিম্বা অনিচ্ছায় যা মানুষের জীবন থেকে মানবিকতা, মূল্যবোধ, স্নেহ-ভালোবাসা কেড়ে নিয়েছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার কারনে মানুষকে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এর ফলে যৌথ পরিবারগুলি ভেঙে পড়ছে। যেটুকু টিকে আছে তা-ও জীবন-জীবিকার প্রতিযোগিতায় ক্রমাগত মমতাশূণ্য - হৃদয়হীন হয়ে যাচ্ছে। একক পরিবারেও ঘটছে তাই-ই!
সহ-ব্লগার গেঁয়ো ভূত এর মতোই শেষে বলতে হয় - "এখন একক পরিবার আছে, কালের আবর্তে হয়তোবা পশ্চিমের মত আমাদের একক পরিবার কাঠামোটাও একদিন ভেঙে যাবে। তখন আমরাও আপনার গল্পের মেয়েটির মতোই পরিবার নামক সোনার হরিনের খোঁজে বের হব......।"
পোস্ট লাইকড।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৩
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জী ভাই।
আসলে, চারপাশে এতো হতাশা, ব্যার্থতার গল্পগুলোর পিছনের কারন খুঁজতে শুরু করেছি ইদানিং। কেমন এমনভাবে হঠাৎ সবাই হিংস হচ্ছে, কেন সন্মান নামের শব্দটা ধুসর হয়ে যাচ্ছে, কেন এ যুগের সন্তানরা দিন দিন হতাশ হয়ে যাচ্ছে!!!!!
কারন, আমাদের পরিবার দিন দিন একটা কুরক্ষেত্র হচ্ছে। জীবন-জীবিকার প্রতিযোগিতা আমি বলবো না। আমরা লোভী আর ভোগী হয়ে যাচ্ছি আর তারই প্রভাব সন্তানদের উপর পড়ছে। তারা না পারছে মানতে, না পারছে সহ্য করতে। কেউই ভাবছে না এর সমাধান কি?
যাক্, বড় বড় ভাবনার কথা থাক। আপনার কি খবর বলেন। এখন কোথায়? কবে আসবেন আমাদের এখানে?
২১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৪০
শার্দূল ২২ বলেছেন: প্রায় কিছু ভিডিও দেখি কিভাবে সফল হবেন, সফল হতে চান আর ডেলকার্নেগির বই পড়েনি এমন যুবক পাওয়া মুশকিল । সফলতা বলতে আমরা শুধু বুঝি কার কত সম্পদ আছে। আসলে কিন্তু তা নয়। প্রাথমিক ভাবে সফলতা মানে ভালো থাকা, এই ভালো থাকা কখনো একাকি হতে পারেনা, একজন মানুষ হিসেবে সে জন্ম নেয়ার পর থেকেই অনক গুলো চরিত্র পেয়ে যায়, সেসবের সাথে সাথে সব চেয়ে বড় চরিত্র হলো পিতা মাতা, এইভাবে এক জীবনে সব গুলোর চরিত্রের সঠিক দায় সম্পাদন এর নামে সফলতা। এসবের কোন একটাকে অবহেলা করে কেউ পরিপুর্ন মানুষ হতে পারেনা। আর একজন অসম্পুর্ন মানুষ কোন ভাবেই সফল নয়, এই দুনিয়া এবং পরের দুনিয়া।
শিশু মন খুব বেশি স্পর্শকাতর হয়, এই সময়ে সব কিছু শিশু মনে মৃত্যু পর্যন্ত জায়গা করে রাখে । হোক সেটা ভালো আর মন্দ। শিশু শৈশবের পাওয়া সকল কিছু আদলেই একটা মানুষ গড়ে উঠে। মা বাবা বুক থেকে বুকে জড়িয়ে যা সন্তানের বুকে সরবরাহ করে তা এই দুনিয়ায় কেউ পারেনা, যা দিয়ে একটা মানুষ মানুষ হয়ে উঠে।
ভালো থাকুক সবাই সবাইকে নিয়ে,যদিও অনেক কিছু বলার ছিলো , অফিস থেকে বের হতে হবে তাই কিছু আগোছালো রেখে গেলাম,
শুভ কামনা
০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৭
সোহানী বলেছেন: কি সুন্দরভাবে কথাগুলো বললেন। এমন মন্তব্যের উত্তরে কিছু বলা যায় না। ধন্যবাদ ছাড়া।
২২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
যতার্থ বলেছেন একটি পরিবার হল সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম ।
জীবন চলার পথে ঘটে যাওয়া দুটি পরিবারের কথামালা নিয়ে সাজানো পোষ্টটিতে
থাকা বিষয় ও ঘটনা সত্যিই লেখাটির শিরোনামের যতার্থতার সাক্ষ দেয় ।
এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা যায় যে সর্ব বিজ্ঞ মহান আল্লাহ তায়ালা
পবিত্র কোরানেও বলে দিয়েছেন সারা মুসলিম জাহানের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম
কানুনের প্রবর্তন করা হয়েছে। তাদের সামাজিক জীবন, ব্যক্তিগত জীবন,
পারিবারিক জীবন সম্পর্কে নিয়ম-নীতি নির্দেশ দান করা হয়েছে(সুরা বাকারা)
এটা শুধু মুসলিম নয় সমগ্র বিশ্ব মানবতার জন্যই বলা চলে সমভাবে প্রযোয্য ।
সুষ্ঠ সুন্দর ও পুণ্যময় জীবনযাপনের জন্য র্ধর্মীয় ও সামাজিক নিয়ম রীতি মেনে
চলা একটি পরিবারই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাটফর্ম ।
অতি মুল্যবান সামাজিক বিষয় সম্বলিত পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৫
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই বরাবরের মতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিটা ধর্ম, কালচার, সমাজ পরিপূর্ণ পরিবারের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু আমরা ক'জনেই বা জানি বা বুঝি। পারিবারিক মূল্যবোধের চেয়ে আমাদের কাছে নিজেদের লোভ, ভোগ অনেক সময় এতো বড় হয়যে পরিবার সেখানে হারিয়ে যায়।
"সুষ্ঠ সুন্দর ও পুণ্যময় জীবনযাপনের জন্য র্ধর্মীয় ও সামাজিক নিয়ম রীতি মেনে চলা একটি পরিবারই সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম।"
এ সত্য বোধটুকু যে বড়ই প্রয়োজন। এমন বোধটুকু সবার মাঝে আসুক..........
২৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই সুন্দর ও সময়োপযোগী একটা পোস্ট লিখেছেন; তবে সবচেয়ে বেশি খুশি হলাম এই চমৎকার পোস্টের একেবারে শেষে এসে, সেখানে শেরজা তপন এর সাথে আমার নামটিও দেখে।
"একটি পরিবার, সবচেয়ে শক্তিশালী প্লাটফর্ম " - শিরোনামের এই কথাটার সাথে সম্পূর্ণ একমত। শিরোনামের ছবিটাও চমৎকার।
আরও কিছু কথা বলার জন্য এ পোস্টে আবারও আসবো আগামীকাল সকালে, ইন শা আল্লাহ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫৪
সোহানী বলেছেন: দু:খিত, আপনি আবার ফিরে এসেও আমি আসতে পারিনি। একটু ব্যাস্ততা যাচ্ছে তাই অনলাইনে সময় কম দিতে হচ্ছে।
আমার পুরোনো পোস্টে আপনার উপস্থিতি আমাকে বাধ্য করে লগইন করতে। আমি মাঝে মাঝে মোবাইলে অফলাইনে ব্লগে ঢুুঁকি কিন্তু লগইন করা হয় না কারন পাসওয়ার্ড মনে নেই। ল্যাপটপে সেইভ করা বলে বাঁচা। কিন্তু আপনার মন্তব্য দেখলে শত কাজের মাঝেও ঢুঁকি ব্লগে। আজ যেমন, রান্না চুলায় তার মাঝেই ব্লগে আছি।
২৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের জীবনে পরিবার স্রষ্টার একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ দান। ভালো-মন্দ, কম-বেশি মিলিয়েই একটি পরিবার; এখানে সবাই সমান নয় তবে সবার অধিকার সমান। যারা পরিবারবিহীন বেড়ে ওঠে, তাদের অনেক দুঃখ থাকে। পরিবার মানুষের জীবনে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঠশালা, আর মা তার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক।
এ ধরণের পোস্ট পড়লে আমার নিজ পরিবারকে কিছুক্ষণ আঁকড়ে ধরে থাকতে ইচ্ছে করে। আজ সকালে পোস্টটা আবার পড়েই প্রবাসী ছেলে, বউমা, নাতি ও নাতনির সাথে কথা বলে নিলাম। সন্দেহ হচ্ছিল, নাতি-নাতনি হয়তো ইতোমধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে, কারণ কাল সকালে নাতনির স্কুল আছে। ওদের মায়ের কাছে ফোন করে তাই প্রথমেই ওদেরকে চাইলাম। ওরা তখন ঘুমের প্রস্তুতি হিসেবে দাঁত ব্রাশ করছিল। নাতনি বাংলা লিখা নতুন শিখেছে। ও একটা সাদা কাগজে চটপট করে কিছু লিখে দেখালো। যেমনঃ 'দাদা ভাত খাও', 'দিদি চা খাও', ইত্যাদি।
মিরোরডডল এর প্রথম মন্তব্যটা ভালো লেগেছে। এ ছাড়া মেহবুবা, আহমেদ জী এস, শার্দূল ২২ এবং ডঃ এম এ আলী এর মন্তব্যগুলোও ভালো লেগেছে।
পোস্টে ষোড়শ 'লাইক'।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৬
সোহানী বলেছেন: আয়ানাকে অনেক অনেক ভালোবাসা। কি সুন্দর বাংলা শিখছে। 'দাদা ভাত খাও', 'দিদি চা খাও'.............. । এ ইংরেজি এনভায়রনমেন্টে বাংলা শেখা যে কি কঠিন কাজ তা আমি জানি। আমার মেয়েকে বাংলা শেখাতে আমার জান বের হয়ে গেছে। এখনো অনেক যুক্তাক্ষর জানে না। ফ্লুযেন্ট রিডিং এখনো পারে না।
আপনার অনেক লিখা আমি পড়েছি। বিশেষকরে আপনার বেড়ে উঠার কথা, আপনার বাবার কথা, মায়ের কথা। সেই স্কুল, চাকরী, রেলগাড়িতে ভ্রমণ, বাবার ভালোবাসা...........। তারপর নিজের সংসারের আদরের কথা। আপনার পরিবারের সবার কথাই আপনি উল্লেখ করেছেন।
আপনার সে সব লিখা পড়েই আমি পরিবার নিয়ে একটা লিখা ড্রাফট করেছিলাম অনেকদিন আগে কিন্তু লিখা শেষ করতে পারিনি। সেখানে আপনার কথাই ছিল আমার প্রথম উদাহরন। আমার কাছে আপনার পরিবার একটি চমৎকার আদর্শ পরিবার।
"মানুষের জীবনে পরিবার স্রষ্টার একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ দান।" যে এ সত্যটা বুঝতে পারে না তার মত অভাগা আর নেই। কিন্তু সত্যটা হলো অনেকেই বুঝে না। তাই সংসারে অশান্তি নিয়ে আসে আর তার ফল ভোগ করে সন্তানেরা।
আমার লিখাটা যে আপনাকে কিছুটা হলে প্রভাবিত করতে পেরেছে সেটাইতো আমার লিখার স্বার্থকতা।
অনেক ভালো থাকুন। আর ভালো থাকুক সব পরিবার।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
টরোন্টো আর এ জীবনে যাওয়া হলো না।