নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসেন ইক্টু ঘুরাঘুরি করি.... :-B

০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:২৩

এক কসাইয়ের লাশ আরেক কসাই কিভাবে কিমা বানাইলো কিংবা কত বিলিয়ন ট্যাকা টুকা লইয়া সাবেক আইজি সাব পগার পার.... এইসব নিয়া মাথা গরম কইরা কুনু লাভ নাইরে... আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবরের কাম নাই। আসেন মাথা ঠান্ডা করতে একটু ঘুইরা বেড়াই কানাডার কিছু প্রাচীন শহরে....।



সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি: ছবি বাঁকাত্যাড়া কহিয়া লজ্জা দিবেন না। ইহা নাকি আমার সিগনেচার ... বাণীতে মিরোরডল ;)

আচ্ছা Fall Season এর বাংলা কি? শরৎ নাকি হেমন্ত!!! আচ্ছা যাই হোক, এ ফল সিজন আমার অসম্ভব প্রিয়। বিশেষ করে কানাডায়, কারন, না শীত না গরম। শান্তিতে ঘুরাফিরা করা যায়। গায়ে বস্তা পড়ে ঘুরতে যেমন হয় না তেমনি কাপড়-চোপড় ছাড়াও চলতে হয় না। তারচেয়েও আসল কারনটা হলো, ফল সিজন মানেই চারপাশে হলুদ, লাল, কমলা, গোলাপী রঙ এর পাতার ছড়াছড়ি। মনে হয় যেন রুপকথার এক রাজ্য। এ সময়ে প্রায় প্রতিদিন আমি বিকেলে অফিস থেকে সর্টকাট পথে বাসায় না এসে ঘুর পথে বনের মাঝে ড্রাইভ করে বাসায় ফিরি। সে যে এক অদ্ভুত দৃশ্য চারপাশে ঠিক একটা স্বপ্নের রাজ্যে।



কানাডার বেশীরভাগ ছুটি-ছাটাগুলো খুব দারুন। নির্দিস্ট তারিখ না, নির্দিস্ট দিন হিসেবে ছুটি। যেমন, অক্টোবরের প্রথম সোমবার অমুকডে এর ছুটি, মার্চের শুক্রবার আরেক ডে ছুটি।। আর প্রায় সব ছুটিছাটাগুলো সোমবার কিংবা শুক্রবারেই থাকে। যার কারনে শনি-রবি মিলে লম্বা ছুটি যা আমরা লং উইকেন্ড বলি। এমনই এক লং উইকেন্ড, সাথে বাড়তি কিছু ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম কানাডার ফ্রেন্স সিটিগুলোতে ফল কালার দেখেতে।

আপনারা হয়তো জানেন যে কানাডায় দু'টো অফিসিয়াল ভাষা, ইংরেজি আর ফ্রেন্স। সব প্রভিন্সগুলোতে ইংরেজিই প্রধান ভাষা আর ফ্রেন্স হালকা পাতলা চললেও একমাত্র কুইবেক প্রভিন্সে পুরোপুরি ফ্রেন্স চলে, ইংরেজি খুবই কম। এমন কি রাস্তাঘাটের সাইন থেকে শুরু করে সাইনবোর্ডগুলোও ফ্রেন্স এ লিখা। যার কারনে আমার মতো মূর্খদের জন্য কুইবেক প্রভিন্স ঘুরতে যাওয়া মানে মাথায় বিপদ ডাকা। কিন্তু আমার দুই ছেলে-মেয়ে যেহেতু ফ্রেন্স এর অআকখ জানে। তাই তাদের উপর ভরসা করে বিসমিল্লাহ্ বলে বেড়িয়ে পড়লাম ফ্রেন্স সিটি সহ আরো কিছু পুরোনো শহর দেখতে।

প্রথম পর্ব

কিংস্টন সিটি: কানাডার প্রথম রাজধানী

কানাডার প্রথম রাজধানী। তাই কানাডার আদি সভ্যতার নির্দশন দেখতে চাইলে চলে আসতে হবে কিংস্টন সিটিতে। সেন্ট লরেন্স নদীর তীরে এ শহরকে ঘিরে আছে অনেক ইতিহাস। ইউরোপীয়ানরা কানাডায় এসে প্রথমেই এ শহরে বসবাস শুরু করে। তাই কানাডার সভ্যতার গোড়াপত্তন শুরু হয় এ শহর থেকে। পুরোনো সব দালানকোঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ঐতিহ্যবাহী এ শহর জুড়ে। কুইন্স ইউনিভার্সিটি, রয়েল মিলিটারী কলেজ, ফোর্ট দূর্গ, থাউজেন্ড আইল্যান্ড টাওয়ার সহ দেখার মতো অনেক অনেক কিছুই আছে এ শহরে। এ পুরোনো দালান-কোঠা দেখতে দেখতে শহরটাতে হাঁটলেই সময় কেটে যায় দ্রুত।




এটা খুব ভালো লেগেছে, পুরোনো দিনের গাড়ির মিটার। কয়েন ফেলে তবেই টিকেট প্রিন্ট করতে হয়।


তবে সব ছাড়িয়ে আমার ভালোলাগে এ শহরের পাশে সেন্ট লরেন্স নদীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য দ্বীপ। যাকে থাউজেন্ড আইল্যান্ড বলে। যদিও হাজার হাজার দ্বীপ আছে কিন্তু সরকারী হিসাব মতে ছোট বড় মিলে মোট ১৮৬৪ টি দ্বীপ এ মূহুর্তে রেজিস্ট্রেশান করা। কারন জোয়ার ভাটার সাথে সাথে এ দ্বীপের সংখ্যা বাড়ে কমে। হিসাবটা এরকম, ২ বর্গমিটার এলাকা এবং একটি গাছ থাকলে তাকে দ্বীপের মর্যাদা দেয়া হবে। এ দ্বীপগুলোর কিছু কানাডার মালিকানা, কিছু আমেরিকার। দুই থেকে চার ঘন্টার বোট ক্রুজে ঘুরে বেড়ায়ে যাবতীয় দ্বীপগুলো দেখা যায়। অনেক যুদ্ধের ইতিহাস এ নদীকে ঘিরে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় নদীর নীচের যুদ্ধের সময় ধ্বংস হওয়া সিপরেকগুলো এখনো একই অবস্থায় আছে। কানাডা বা আমেরিকা দু'পাশ থেকেই লোকজন ঘুরতে আসে এ থাউজেন্ড আইল্যান্ড এর সৈান্দর্য্য দেখতে। বিশেষকরে ফল সিজনে, হলুদ, লাল গাছের পাতার মাঝে মাঝে দ্বীপ ও এর উপর ছোট ছোট ঘর বাড়ি দেখা, এক কথায় অবিশ্বাস্য আকর্ষনীয়।



তবে এ থাউজেন্ড আইল্যান্ড এর সবচেয়ে আকর্ষন হলো বোল্ট ক্যাসেল বা Boldt Castle। জর্জ বোল্টের জীবনের গল্প যেন রোমিও এন্ড জুলিয়েটের গল্প। গল্প চলুন বোল্ট প্রাসাদের সে গল্প একটু জেনে নেই।









১৮৫১ জার্মানে জন্ম নেয়া জর্জ বোল্ট ভাগ্য ফেরাতে আমেরিকায় আসেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। কর্পদশূণ্য জর্জ সম্পূর্ণ নিজের চেস্টায় খুব অল্প বয়সেই হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়েন ১৬ বছরের লুইসের, বোল্ট তখন ২৫ বছর। তার পরের বছরই বিয়ে করেন তারা। তারপর দু'জনের চেস্টাতেই তাদের ব্যবসায় সফলতা আসে। থাউজেন্ড আইল্যান্ডে লুইস সময় কাটাতে খুব পছন্দ করতো সামারে। তাই প্রতি বছরেই দ্বীপে আসতো পুরো পরিবার কিছুদিন সময় কাটাতে। স্ত্রীর ভালোলাগাকে সন্মান জানিয়ে তার সারপ্রাইজ দিবে বলে ১৮৯৫ তে বোল্ট এ দ্বীপটি কিনে নেন। সে অনুযায়ী ১৮৯৯ সালে প্রাসাদের কাজ শুরু করেন, পরিকল্পনা ছিল ৫ বছরে প্রাসাদটি তৈরীর কাজ শেষ হবে। সে হিসেবে আইল্যান্ডটি ১৯০৪ এ ভ্যালেন্টাইন ডে যা স্ত্রীর জন্মদিনও অর্থ্যাৎ ফেব্রুয়ারীর ১৪ তারিখে দিন নির্ধারন করেন উপহার দেবার। কিন্তু সব কল্পনকে হার মানিয়ে ১৯০৪ এর জানুয়ারীতে ভ্যালেন্টাইন ডে র ক'দিন আগেই স্ত্রী মারা যান। সাথে সাথেই এক টেলিগ্রাম বার্তায় প্রাসাদের সব কাজ বন্ধ রাখেন বোল্ট। ১৯১৬ সালের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর কখনো ফিরে আসেননি সে দ্বীপে বা কাজ ও করাননি আর। অসামপ্ত এ কাজটি পড়ে ছিল বছরের পর বছর। ১৯৭৭ Thousand Island Bridge Authority সেটি কিনে নেয় ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় তারপর। এটি আমেরিকার মালিকানা তাই কানাডা থেকে দেখতে চাইলে অবশ্যই পার্সপোর্ট দেখিয়ে সেখানে ঢুকতে হবে।

তবে কথা হলো আপনিও ইচ্ছে করলেই সেখানে একটা দ্বীপ কিনতে পারেন। দাম খুব বেশী না, ছোটখাট একটার দাম ২/৩ মিলিয়ন ডলার। তবে চাইলে সেখানে কিছু রেস্টহাউজ আছে তাতে রাত কাটাতে পারেন। যাকগা, আদার ব্যাপারীর জাহাজের খোঁজ খবরের দরকার নাই। আর থাউজেন্ড আইল্যান্ড এর প্যানারমা ভিউ দেখার জন্য কানাডা আমেরিকার বর্ডারে আছে একটা টাওয়ার, প্রায় ৪০০ মিটার উঁচু। এ টাওয়ার থেকে এ নজরে পুরো দ্বীপের রাজ্য দেখা যায়।





আম্রিকা বর্ডারের চেকপোস্টে............


সারাদিন পুরো শহর টইটই করে ঘুরে বেড়ায়ে, বেশ ক'টা মিউজিয়াম ঘুরে ছবি টবি তুলে আমরা চলে গেলাম রাজধানী অটোয়াতে।




আপাতত: এতটুকুই, তবে বেশী দূরে যাবেন না। নেক্সট পর্বে আপনাদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবো রাজধানী শহর অটোয়াতে।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


সুন্দর আছে।

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪৭

সোহানী বলেছেন: আসলেই খুব সুন্দর। আমি দু'বার ঘুরে আসছি এবং মনে হয় বার বার যাই।

২| ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: সুন্দর সব ছবি । তবে ফলের ছবি কই ?

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫০

সোহানী বলেছেন: ফলের ছবিগুলো খুব স্পস্ট আসেনি। তাই খুঁজে পেতে যেগুলাে পরিস্কার আসছে সেটাই আপলোড দিলাম। ফলের ছবিতে আমার হার্ডড্রাইভ ভরা। কারন ফলে আমি সারাক্ষনই ঘুরে বেড়াই। তবে এ ট্রিপের ছবিগুলো ভালো হয়নি।

৩| ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হাজার কোটি টাকা চুরি করে একচোর পালিয়েছে সিঙ্গাপুরে; চিন্তার কিছু নাই সেখানেও শীর্ষ ধনীদের আছে তালিকায় বাংলাদেশীর নাম । সিঙ্গাপুর কিংবা সরকার কি ব্যবস্থা নিয়ে খতিয়ে দেখবে তাদের অর্থের উৎস কোথায় ?

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫১

সোহানী বলেছেন: সিঙ্গাপুর কিংবা সরকার কি ব্যবস্থা নিয়ে খতিয়ে দেখবে তাদের অর্থের উৎস কোথায় ?

না কখনই দেখবে না। কানাডায়তো হাজার হাজার আছে। সাধারন কানাডাবাসী অনেক চিল্লাপাল্লা করেছিল কিন্তু কেউই পাত্তা দেয়নি। আর পাত্তা কেনই বা দিবে.... যত আসবে তত লাভ। তাই আসুক না যত খুশী।

৪| ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,



আমাদের ইক্টু ঘুরাঘুরি করাইবেনই যখন, আসেন তার আগে আপনের কান্নিও ইক্টু ঠিক কইররা দেই। ক্যা্লি আন্নেরই পোস্টাইন্না ছবিগুলান ব্যাকাত্যাড়া হৈয়া যায় ? আর তো কারুডা হয় না!
এক কাম কৈররেন- ছবি পোস্টানোর সোমায় কম্প্যুর স্ক্রিনখানা ইক্টু কাইত কৈররা ধৈররেন। হেলে স্ক্রিন সোজা করলেই ছবিও সোজা দেখা যাইবে। :P :|
আর নেক্সট পর্বে অটোয়াতে আপনার সাথে ঘুরে বেড়াবো কিভাবে! ভিসা নেই যে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :((

মজা বাদ দিন, অনেক দিন পরে লেখা দিলেন। তবে "ফল" এর কথা যখন বললেনই, তখন "ফল" এর রঙিন রঙিন হয়ে যাওয়া সব গাছ-গাছালি আর পত্র-পল্লবের ছবি দিলে ভালো হতো। আরও ভালো হতো ছবির নীচে কিছু ক্যাপসান দিয়ে দিলে। তারপরেও মানতেই হবে এটা একটা "সমৃদ্ধ পোস্ট"।
পোস্ট লাইকড।

শুভেচ্ছা সহ....................।

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা বাঁকা ছবি আমার সিগনেচার পোস্ট :P....

" ক্যা্লি আন্নেরই পোস্টাইন্না ছবিগুলান ব্যাকাত্যাড়া হৈয়া যায় ? আর তো কারুডা হয় না!"

গোপন কথা হইলো গিয়া, একটা পোস্ট লিখতে আমি কয়েক মিনিট ব্যায় করি। একটা একটা করে ছবি ধরে সোজা করে পোস্ট দেয়ার সময় কই :P:P:P

"তবে "ফল" এর কথা যখন বললেনই, তখন "ফল" এর রঙিন রঙিন হয়ে যাওয়া সব গাছ-গাছালি আর পত্র-পল্লবের ছবি দিলে ভালো হতো।"

ঠিক ধরেছেন। কিন্তু আপলোড দিতে যেয়ে দেখি ফলের ছবিগুলোর অবস্থা যাচ্ছে তাই। কেমন অন্ধকার ঝাপসা আসছে। যেমন



তবে চিন্তা কুনু কারন নাই ফর সিজন আসিলেই আমিও ঝাঁপাইয়া পরিবো ও ছবি আপলোড দিবো ;)

"আরও ভালো হতো ছবির নীচে কিছু ক্যাপসান দিয়ে দিলে।"
ভাইরে, আমি হইলাম গিয়া ফাঁকিবাজ লেখক। কোনরকমে চালাই। কাজ-কর্ম, ঘুরাঘুরি, আড্ডা, সামাজিকতা শেষ করে খুব কম সময়ই মিলে লেখার। রিটায়ারমেন্টের পর লিখবো নিশ্চয় সময় করে............ ;)

অনেক ধন্যবাদ জী ভাই।

৫| ০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭

নতুন বলেছেন: কানাডায় ঘুরতে জামু কিন্তু টেকা নাই... :(

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৬

সোহানী বলেছেন: কানাডার ভিজির ভিসা এখন সহজ করেছে। আইসা পরেন......

৬| ০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন আপু। থাউজ্যান্ড দ্বীপের কথা পড়তে পড়তেই একটা দ্বীপ কেনার কথা ভাবছিলাম। পরে দেখলাম, আসলেই কেনা যায়। কিন্তু দামটা একটু বেশিই মনে হলো - ২/৩ মিলিয়ন ডলার। আরেকটু কম হলে চিন্তা করে দেখতাম :)


কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ বানান দেখে নিন :)

গড়পত্তন <<<গোড়াপত্তন
কর্পদশূণ্য <<<কপর্দকশূন্য
এ নজরে <<< একনজরে

থাউজেন্ড/থাউজ্যান্ড/থাউজন্ড - কয়েক জায়গায় থাইজেন্ড দেখে ভেবেছিলাম, নামটাই বোধ হয় এরকম :)

শীত কমে গেলে বা ফল করলে বোধ হয় তাকে ফল সিজন বলে। তাইলে হেমন্ত হওয়ার কারণ দেখি না। শীতের পর বসন্ত বা স্প্রিং হবে :)

জর্জ বোল্টের কাহিনিটা খুব করুণ। সে মনে হয় 'লুইসমহল' করতে চেয়েছিল।

পোস্টে প্লাসসহ ভালো লাগা রইল।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ২:৫৮

সোহানী বলেছেন: ইয়ে মানে ওস্তাদজ্বী বানান নিয়া ভাবা একটুখানি সমস্যায় আছি তাই আপাতত বিরতি দিয়েছি। নতুবা একটা লিখা লিখতে প্রায় ঘন্টা খানেক লাগবে। আমিতো লিখার পর তা একবার পড়ারও সময় পাই না প্রায়। যা মন চায় তাই লিখি। তবে আপনি যখন বলেছেনে তখন ঠিক করবো। #:-S :`>

"থাউজ্যান্ড দ্বীপের কথা পড়তে পড়তেই একটা দ্বীপ কেনার কথা ভাবছিলাম।"
হেহেহেহে...... কিনেন ভাইজান। ট্যাকা পয়সা হাতের ময়লা। রিয়েলেটর বা দালাল লাগলে বইলেন। ;)

"শীত কমে গেলে বা ফল করলে বোধ হয় তাকে ফল সিজন বলে। তাইলে হেমন্ত হওয়ার কারণ দেখি না। শীতের পর বসন্ত বা স্প্রিং হবে"
শীতের আগে ফল সিজন। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলে। হেমন্ত বলতে পারেন। আর শীতের পর বসন্ত। যেমন এখন চলছে।

কানাডার সিজন চারটা মানে চারটাই। একেবারে ভিন্ন রুপ। যেমন ফল সিজন মানে হলুদ/লাল/কমলা চারপাশ। শীত মানে শুধু সাদা আর সাদা। বসন্ত মানে চারপাশে ফুল ফুল আর ফুল সাথে সবুজ। গ্রীষ্ম মানে ধুসর ও ফল-সব্জীতে ভরা।

"জর্জ বোল্টের কাহিনিটা খুব করুণ। সে মনে হয় 'লুইসমহল' করতে চেয়েছিল।"
আসলেই তাই। এরকম প্রেম কাহিনী তো গল্পে হয়, বাস্তবে না। তবে তা তাজমহল থেকে ভালো হতো কারন শাহজাহান সাহেবতো আবার এক নারীতে তুষ্ট ছিলেন না ;) ;) ;) ;)

অনেক ভালো থাকেন।

৭| ০২ রা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:০১

শোভন শামস বলেছেন: পোস্টে ভালো লাগা রইল

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৩:০৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ শামস।

৮| ০২ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

শায়মা বলেছেন: বাহ লেখালিখি আর ছবিতেই ঘুরাঘুরি। টাকা আর ভিসা ছাড়া সত্যিকারের ঘুরাঘুরি হইবেক লাহে।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৩:০৬

সোহানী বলেছেন: আসো আসো চলে আসো। তোমার অস্ট্রেলিয়া ঘুরাঘুরি কি শেষ??

৯| ০২ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

শায়মা বলেছেন: আপুনি

প্রথম ছবিটা এক্কেবারে রুপকথার রাজ্য!!!

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৩:০৮

সোহানী বলেছেন: বোল্ট সেভাবেই বানিয়েছিল ক্যাসল। যাতে তার স্ত্রীকে চমকে দিতে পারে। সত্যিই সুন্দর। তবে দুইবার আমি থাউজেন্ড আইল্যান্ড ঘুরেছি। একবারও সেখানে নামতে পারিনি। করোনার সময় যে তা বন্ধ করেছে মাত্র এ বছরই খুলেছে। তাই মিস করেছি।

১০| ০২ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: চাবির সাথে ক্যাপশন দিনে ভালো হতো।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৩:০৯

সোহানী বলেছেন: ক্যাপশন দিতে হলে একটা একটা করে ছবি আপলোড দিয়ে সময় নিয়ে পোস্ট দিতে হয়। সময় নেইরে ভাই। কোনরকমে লিখে আপনাদের সাথে টাচে থাকি আর কি।

১১| ০২ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার আহ্বানে সারা দিয়ে আমিউ আপনার সাথে ইক্টো ঘোরাফিরা করলাম সেআনে ।
হাতে সময় কম থাকায় এখন প্রথম পর্বে তথা কিংস্টন পর্যন্ত্যই ঘোরাফিরা করলাম ।
পরে সময় করে থাউজেন্ড আইল্যান্ডে যাওয়ার প্রয়াস নিব ।

আহমেদ জী এস ভাই এর পরামর্শ আনুযায়ী লেপটপ বাকা করে আপনার খান কয়েক
বাকা ছবিকে সুজা করে দেখলাম । খুব সুন্দর হয়েছে । আশেপাশে কিছুটা ঘুরে আন্তরজালে
পাওয়া সেখানকার ফল সেসনের আরো অনেক সুন্দর ছবি দেখতে পেলাম । তবে আপনার
নীজ ক্যমেরায় তুলা ছবিগুলি অনন্য, অপনার সবগুলি ছবিই অনিন্দ সুন্দর ।

ঘুরাঘুরির সময় কানাডায় প্রথম রাজধানী কিংস্টনের বিষয়ে পাওয়া ইতিহাস ইক্টোখানি না বলে
গেলে কি হয়! তবে আপনার পোস্টে থাকা কথামালার তুলনা পাওয়া সহজ কথা নয় । যাহোক,
১৭ শতকে ক্রমবর্ধমান ইউরোপীয় অন্বেষণ এবং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের
বশে রাখার জন্য তাদের একান্ত কাছাকাছি উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউরোপীয়দের আকাঙ্ক্ষার
ফলে "ক্যাটারাকুই" নামে পরিচিত একটি স্থানে ১৬৭৩ সালে একটি ফরাসি বাণিজ্য পোস্ট এবং
সামরিক দুর্গের প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে জানা যায় । ক্যাটারাকুই এবং পরবর্তীতে ফোর্ট ফ্রন্টেনাক
নামে আউট পোস্টটি সে এলাকায় ইউরোপিয়ানদের বসতি স্থাপনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
তবে ১৭৫৯-১৭৬৩ সাল পর্যন্ত ফরাসিদের সাথে চলা যুদ্ধে বৃটিশরা দুর্গটি ধংস করে ফেলে ।

ফলে নিউ ফ্রান্স জয়ের পর কিংস্টনের জায়গাটি ব্রিটিশদের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃটিশরা অবশ্য পরে সেখানে নতুন করে বানিজ্য কেন্দ্র ও দৃর্গ গড়ে তুলে

ছবিটির সামনের অংশ ফোর্ট ফ্রন্টেনাক দুর্গের পূনরুদ্ধারকৃত , এবং পটভুমিতে নতুন করে তৈরী দুর্গ
ব্রিটিশরা দুর্গের দখল নেওয়ার পর কাটারাকির নাম পরিবর্তন করে কিংস্টন রাখা হয়
এবং বৃটিশের অনুগতরা ১৭৮০-এর দশকে ঐ অঞ্চলে বসতি স্থাপন শুরু করে।

১৮৪১ সালে কিংস্টনকে ইউনাইটেড প্রভিন্স অফ কানাডার রাজধানীর মর্যাদা দেয়া হয়।
অবশ্য মাত্র ৪ বছরের মাথায় ১৮৪৪ সনে এর রাজধানীর মর্যাদা লোপ পায় । তবে শহরটি
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে তার মর্যাদাকে ধরে রাখে যেখানে দুটি
বড় বিশ্ববিদ্যালয়, একটি বড় ভোকেশনাল কলেজ এবং তিনটি বড় হাসপাতাল রয়েছে বলে
জানা যায় ।

আজ এ পর্যন্তই , পরে সময় করে আপনার সাথে সাথে ইক্টো থাউজেন্ড আইল্যন্ডে ঘুরতে যাব ।

শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৩:১৭

সোহানী বলেছেন: আপনার মন্তেব্যের উত্তর দিতে আমার রীতিমত গবেষনা করতে হয় :P

তবে ইতিহাস বেশী লিখা না ভ্রমন কাহিনীতে তাহলে পাঠক ভাববে আমি ইতিহাসের ক্লাস নিচ্ছি......হাহাহাহা

শহরটা যতটুকু বইতে দেখা যায় তারচেয়েও সুন্দর। তবে আমি বলবো ফ্রান্স আর ব্রিটেনের যুদ্ধ ছাড়া তেমন কানাডার ইতিহাস খুব ছোট।

পুরো শহর জুরে অসংখ্য স্থাপনা। আর সব উন্নত দেশের মতো কানাডাও সে সব ধ্বংষ করেনি। একই রকম রেখেছে। আমি কয়েক'শ ছবি তুলেছি। এগুলো দিতে গেলে আপনারা বিরক্ত হবেন আর সামহোয়ারের সার্ভার জ্যাম এ পরবে।

শ'শরীরে থাউজেন্ড আইল্যন্ড ঘোরার আমন্ত্রন রইলো। আমার এখান থেকে ৪/৫ ঘন্টার ড্রাইভ। তবে আমেরিকার দিক থেকেও ঘুরতে পারেন। সেখানে নাকি দারুন সব প্যাকেজ আছে।

অনেক ভালো থাকেন।

১২| ০২ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা আপা। বিনা খরচে কানাডা ঘুরে এলাম...

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৩:১৮

সোহানী বলেছেন: আমি ইউরোপের বেশ কয়েকটা দেশ ঘুরেছি। কিন্তু আমার কাছে কানাডাই বেশী ভালো লেগেছে।

১৩| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

জিনাত নাজিয়া বলেছেন: বিনা খরচায় একটা এতো বড় ইতিহাস পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য লেখককে অশেষ ধন্যবাদ। বিশেষ করে জর্জ বোল্টের অনন্য প্রেম,সত্যি অসাধারণ।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৩:২০

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিয়া।

জর্জ বোল্টের প্রেম কাহিনী সত্যি অসাধারণ। এ দ্বীপে না গেলে এটা জানাই হতো না।

১৪| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:১১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কানাডার ভিজির ভিসা এখন সহজ করেছে। আইসা পরেন......

টিকিটের দাম তো মেলা। প্রায় ১০ হাজার ডলারের মতন :((

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৩:২২

সোহানী বলেছেন: টিকেটের দাম বেশি না। এখন বিমানের ডাইরেক্ট ফ্লাইট আছে। দাম ১০০০ ডলারের কাছাকাছি।

১৫| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কিছু কিছু ছবিতো ত্যাড়া হয়ে আছে!!

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৩:২৩

সোহানী বলেছেন: আরে ভাই এ ত্যাড়া ছবিইতো আমার বৈশিষ্ট্য :P :P :P :P

১৬| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সকাল থেকে বেশ কয়েকবারই আপনার সাথে ইক্টুইক্টু করে অনেকখানি ঘুরলাম। ভালোলাগা আপু।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৫২

সোহানী বলেছেন: কানাডা এমন একটা দেশ ঘুরে তুমি শেষ করতে পারবে না। প্রতিটা প্রভিন্সই আলাদাভাবে সুন্দর। আর সামার বা ফল হলে তার সৈান্দর্য্য হয় অপরুপ।

১৭| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়া ভালো করছেন। নয়তো ঘাড়ের কোন ইজ্জত থাকতো না।

বৈদেশের (ইউরোপ-আম্রিকার) সব প্রাকৃতিক দৃশ্যই মোটামুটি একই রকমের। খুব একটা উনিশ-বিশ নাই........কি কন? :)

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৫৫

সোহানী বলেছেন: অবশ্যই না। একে দেশের একেক রুপ। আমার স্বল্প ঘুরাঘুরিতে তাই মনে হয়।

সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি আপনার জন্য প্রযোজ্য নহে কারন আপনি অলিখিতভাবে আমার আগের ছবিগুলো ঠিক করে দিয়েছেন তাই একটুখানি অধিকার অধিকার ফির করি......... :P

১৮| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ২:০২

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই গ্রীষ্মে থাউজ্যান্ড আইল্যাণ্ড ঘুড়তে যাবার ইচ্ছা আছে। আপনার এই পোস্টটি সে কারণে বেশ সময়োপযোগী, উপকারী পোস্ট।
আপনাদের চার ঘন্টার নৌভ্রমণ সম্পর্কে আরও তথ্য পেলে ভালো হতো।

লেখা পড়ে মনে হলো আপনারা সম্ভবত থাউজ্যান্ড আইল্যাণ্ডে রাত্রি যাপন করেন নি, রাতে থেকেছেন কিংস্টনে। এই আইডিয়াটাও ভালো লাগলো।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:০৩

সোহানী বলেছেন: হায় হায় কন কিরে ভাই .... থাউজ্যান্ড আইল্যাণ্ডে রাত্রি যাপন করার মতো ধনী আমি না, গরীব মানুষ ভাই!!!... :P

আপনি চাইলে আম্রিকা থেকে বুক করতে পারেন থাউজ্যান্ড আইল্যাণ্ডে রাত্রি যাপন করার জন্য। কারন কানাডার অপশন খুব কম।

কিংস্টন এর গ্যানানিকিউ বা অন্যান্য জায়গা থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় ক্রুজ সিপ ছাড়ে। এর মাঝে শুধু দীর্ঘ সময় এরটাই বোল্ট ক্যাসেলে যায়। করোনার কারনে বোল্ট ক্যাসেল রাইড বন্ধ ছিল। এ বছর থেকে আবার যেতে পারেন কানাডার পাশ থেকে।

চাইলে আগেই বুক করতে পারেন তাহলে হ্যাসেল কম হবে। কারন সামারে দীর্ঘ লাইন থাকে। তার উপর অনেকগুলো ক্রুজ কোম্পানী। আম্রিকা কানাডা দু'পাশ থেকেই যায়। তাই ভীড় লেগে থাকে। তবে আম্রিকা থেকে গেলে অপশন বেশী পাবেন।

তবে ওয়েদার দেখে যাবেন। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ক্রুজ ট্রিপ মাঠে মারা যাবে।

শুভ হোক আপনার নেক্সট ভ্রমণ।

১৯| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পাথাইড়া ছবি কী পিসি উল্টায়ে দেখবো আপুন :)

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:০৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা একটুখানি না হয় উল্টাইয়াই দেখলা :P

২০| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

করুণাধারা বলেছেন: আকাশের ছবিগুলো অপূর্ব লাগলো! এত ঝকঝকে আকাশ আর এত চকমকে পানি!! ভাগ্যিস এত সুন্দর ছবিগুলো, একটা বাদে সবগুলো সোজা আছে, ঘাড় কাত করে দেখতে হয়নি। :)

ফলের রং বদলের ছবি আশাকরি সামনে কোনো পোস্টে পাবো!!

সত্যিই ক্লান্ত হয়ে গেছি লাশের চামড়া ছাড়িয়ে কিমা করা আর শুদ্ধাচার পদক ধারীর চুরির গল্প শুনতে শুনতে। অন্তত কিছুক্ষণের জন্য মন ঠান্ডা হলো ছবিগুলো দেখে।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:১১

সোহানী বলেছেন: ফলে এতো ঘুরে বেড়াই যে ছবির কোন শেষ নাই। আমার বাসার পাশেই যে ট্রেইল আছে তাও অপূর্ব। আমি মাঝে মাঝে বসে থাকি।



কি যে কমুরে আপু..... মানুষের হিংস্রতা কিরকম ছাড়িয়ে গেলে এমন কিছু করতে পারে। আর আইজি খুব ভালো করেই জানে কি হতে যাচ্ছে। তাই তার পথ-ঘাট অনেক আগেই সেট করে রেখেছিল। এরকম কত আইজি আছে দেশে আনাচে কানাচে। ক'জনের কথাই বা সামনে আসে। ধরা না পরলে সবাই সাধু। ধরা পরলেই বোঝা যায় কে সাধু আর খচ্চর.... B:-/ B:-/

২১| ০৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালোই ঘুরাঘুরি হলো আপনার কথা ও ছবির সাথে। + +
সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিটা এবারে আগেভাগেই জানিয়ে দিয়ে ভালো করেছেন। ব্যাঁকাত্যাঁড়া ছবি (সিগনেচার) নিয়ে এবারে আর কেউ কিছু বলতে পারবে না।
আমাকে যদি বিচারের ভার দেন, তবে আমি ফল সিজনের বাংলা হেমন্তের দিকেই টানবো। তবে বোধকরি, এতদঞ্চলের 'ফল' বাংলার শরৎ ও হেমন্তের মিলিত সংস্করণ। আর স্প্রিং যে বসন্ত, এ নিয়ে তো কারও কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়।
'ডাউন আন্ডার' অস্ট্রেলিয়া আর উত্তর আমেরিকার (কানাডা ও আমেরিকা) আকাশ এ যাবত আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর আকাশ; বাংলাদেশের শরতের আকাশও খুব সুন্দর। অবশ্য ইউরোপ আমি এখনও দেখিনি। শুনেছি ইউরোপের আকাশও অনিন্দ্যসুন্দর!
প্রথম ছবিটা সম্বন্ধে কিছু বলুন। এটা টরন্টোর কোথায়? নাকি কিউবেকে?
এমন সুন্দর একটি স্বপ্নরাজ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য অফিস থেকে ফেরার সময় একটু ডিট্যুর নিয়ে বনভূমির ভেতর দিয়ে ড্রাইভ করে বাড়ি ফেরার ইচ্ছেটা একটা অতি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। প্রকৃতির সৌন্দর্য মানব মনের উপরেও প্রভাব ফেলে।
আপনি কি ফ্রেঞ্চ ভাষায় কাজ চালানোর মত টুকটাক কথোপকথন করতে পারেন? ছেলেমেয়েরা নিশ্চয়ই স্কুল থেকেই শিখে গেছে/যাবে।
আবার আসবো এ পোস্টে....

১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:৫২

সোহানী বলেছেন: প্রথমেই দু:খিত দেরীতে উত্তর দেবার জন্য। দিন শেষে আর হাতে সময় থাকে না যে ব্লগে ঢুঁ দিবো।

প্রথম ছবিটা বোল্ট ক্যাসেলের পাওয়ার হাউজের। মূল ক্যাসেল দ্বীপের মাঝে হওয়াতে বোট থেকে ছবি তোলা যায় না। সবাই এটাকে ক্যাসেলের অংশ ভাবে। আসলে তা না। মূল্য ক্যাসেল বিশাল ও অনেক সুন্দর। এ ক্যাসেল এর আকর্ষনীয় বিষয় হলো সব ডিজাইনই প্রায় হার্ট শেপ করা। যেহেতু আমি ভীতরে যাইনি তাই বেশী কিছু বলতে পারছি না। যাবো অবশ্যই। যেহেতু দু'বার ঘুরে এসেছি তাই সময় নিচ্ছি তৃতীয়বার যাবার।

আসলে কানাডা সত্যিই সুন্দর। আনাচে কানাচে ছড়িয়ে অঅছে অপার মুগ্ধতা।

আমি ফ্রেঞ্চ এর বোনজো ছাড়া কিছু ই জানি না....... হাহাহা। শেখা দরকার কিন্তু এতো কঠিন ভাষা এ বয়সে শেখা বেশ কঠিন। ফ্রেঞ্চ ভাষার প্রতিটা শব্দের জেন্ডার আছে এবং সে ভেদে উচ্চারন ভিন্ন। এক ইরেজী শিখতেই জীবন শেষ :P ...।

আপনি কতদিন থাকবেন? এপাশে কি আসবেন না?

২২| ০৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সম্ভবতঃ একটি ভালো মধ্যাহ্নভোজের পর মনুষ্যবিহীন টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে বিশ্রামরত কিংস্টনের পাখিটিকে দেখে বোঝা যায়, সুখ কাকে বলে!
কয়েকটি স্থলভাগের উপর জলবেষ্টিত বাড়িঘর দেখে তো বাংলাদেশেরই ঘরবাড়ি বলে মনে হচ্ছে।
জর্জ বোল্ট আর লুইসের অমর প্রেমকাহিনী পড়ে মুগ্ধ হ'লাম। এ যেন নিয়তির এক নির্মম পরিহাস!
৪০০ মিটার উঁচু সেই টাওয়ারটাতে মানুষ ওঠে কিভাবে? লিফটে করে নাকি অন্য কোন উপায়ে?

"ধরা পরলেই বোঝা যায় কে সাধু আর (কে) খচ্চর...." - :D
এ রকমের পাপিষ্ঠদেরকে যে বা যারা শুদ্ধাচার পদক পরিয়ে দেন কিংবা সংসদীয় আসনে মনোনয়ন দেন, তার বা তাদের শুদ্ধাশুদ্ধ জ্ঞান কেমন তা নিয়ে আর কীই বা বলা যায়!

১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৩:০৪

সোহানী বলেছেন: ৪০০ মিটার উঁচু সেই টাওয়ারে লিফট্ আছে। নতুবা সম্ভব হতো না..............হাহাহা। শুধু লিফট্ ই না এখানে হুইলচেয়ার এক্সসেবল লিফট্ আছে। তবে অসাধারন। এতো উঁচুতে সবকিছু দেখার অভিজ্ঞতা দারুন।

জর্জ বোল্ট আর লুইসের অমর প্রেমকাহিনী সিনেমার গল্পের মতো। ঠিক একই কাহিনী আমার এক কাজিনের ও আছে। দুলাভাই আমার বোনকে বিশাল বাড়ি করেছিল স্ত্রীর পছন্দে। কিন্তু সারপ্রাইজ দিবে বলে বলেনি। তারপর হঠাৎ ক্যান্সার ধরা পরে এক মাসের মাঝে উনি মারা গেলেন। মৃত্যুর আগে জেনেছিলেন কিন্তু সে বাড়ি দেখে যেতে পারেননি।


"ধরা পরলেই বোঝা যায় কে সাধু আর (কে) খচ্চর...." - :D
এ রকমের পাপিষ্ঠদেরকে যে বা যারা শুদ্ধাচার পদক পরিয়ে দেন কিংবা সংসদীয় আসনে মনোনয়ন দেন, তার বা তাদের শুদ্ধাশুদ্ধ জ্ঞান কেমন তা নিয়ে আর কীই বা বলা যায়!

পুরো বিষয়টি এতোটা বিরক্তিকর যে এ নিয়ে কিছু বলতেও খারাপ লাগে। এরকম শুদ্ধাচার ব্যাক্তি মনে হয় লাখে ছাড়িয়েছে। সবাই জানে বুঝে চিনে কিন্তু বলার সাহস নেই। কি আর করা রে ভাই.............

২৩| ১৪ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দর বর্ননা, ভাষা নিয়ে ফরাসিরা খুব হিংশুটে আগেই জানতাম।

কানাডার সীমান্তের কাছাকাছি একবার গেছিলাম। লেক মিশিগান লেকে ঘুরতে গেছিলাম। হাতে সময় ছিল না, টরোন্টো কাছেই ছিল।

২১ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮

সোহানী বলেছেন: ফরাসিরা ঠিক হিংসুটে বলা যায় না। ব্রিটিশদের সাথে তাদের যুদ্ধ চলেছে দিনের পর দিন। আর সে কারনেই ফরাসিরা তাদের নিজেদের গন্ডি তৈরী করেছে। এবং বলা যায় সফল হয়েছে। কানাডার সব আইন দুইভাবে পালিত হয়। এক ফরাসি এলাকা কুইবেক আর বাকি পুরো কানাডা এক আইন। ;)

কুইবেক এরিয়াতে গেলে শুধু ভাষাই না সব কিছুই শিখতে হবে নতুন করে B:-)

২৪| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনি কতদিন থাকবেন? এপাশে কি আসবেন না?" - আছি আরও কয়েক মাস এখানে। টরন্টো যাওয়া হয়তো হবে, তবে মনে হয় কেবলই ট্রাঞ্জিট যাত্রী হিসেবে বিমানবন্দরের চৌহদ্দিতেই সীমাবদ্ধ থেকে। এর অন্যথা ঘটলে আপনাকে জানাবো।

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৩:৩৭

সোহানী বলেছেন: যদি কোন প্লান করে থাকেন অবশ্যই আমাকে আগে জানাবেন। আর ট্রান্জিট যদি বেশী সময়ের হয় তাও জানাবেন। কারন সামার বলে প্রায় শহরের বাইরে চলে যাই। আগে থাকতে জানালে আমার জন্য ভালো হয়।

সুযোগ পেলে ঘুরে বেড়ান কানাডার চারপাশের প্রভিন্সগুলো। একেকটা প্রভিন্স একেকরকম সুন্দর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.