নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের জন্য কতটুকু সময় রাখছি আমরা??

২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৯:০০

মনটা ভীষনরকম খারাপ। গত বছরই দু'জন খুব কাছের বন্ধুকে চির বিদায় দিয়েছি। তাদের মৃত্যুটা কষ্টের ছিল কিন্তু কিছুটা প্রস্তুতি পর্ব ছিল কারন তারা যে অসুখে ভুগছিল তার থেকে ফিরে আসা সত্যিই কঠিন ছিল। তাই শকিং এর মাত্রাটা সহনীয় ছিল বলা যায়। কিন্তু এবারের বন্ধুর মৃত্যুটা ভীষন রকমের শকিং ছিল। যতটুকু দেখেছি সে বরাবরেই যথেস্ট এ্যাক্টিভ ছিল ও আমাদের সব প্রোগ্রামগুলোতে এ্যাটেন্ড করতো। প্রফেশনাল জীবনে বলা যায় বেশ সাক্সেস ছিল। কারন একজন ডক্টরেট প্রফেসর ও Financial Reporting Council (FRC) এর চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে সফল বলতেই পারি। এবং সে সুস্থ্য ছিল বলেই জানতাম। কিন্তু হঠাৎ করে সামান্য হার্ট ইস্যু থেকে ক'দিনের মাঝেই একবারে চলে যাওয়াটা বড্ড হতবাক করেছে।

নিজেকে প্রশ্ন করছিলাম কেন সে এরকমভাবে হঠাৎ চলে গেল? সে কি একটুও টের পায়নি যে ভীতরে ভীতরে সে ক্ষয়ে যাচ্ছে?

উত্তরটা হলো, আমরা সংসার বা ক্যারিয়ার নিয়ে এতো বেশী ব্যাস্ত থাকি যে অন্য কিছুর দিকে মনোযোগ দেবার মতো সময় থাকে না। এবং এটি আমাদের দেশের প্রতিটা মানুষের জন্য সত্য সেটা পুরুষ কিংবা নারী। আমরা সংসারের সবার দিকে নজর রাখি, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা..... কে কি খেলো, কি করলো, কি করবে? কিন্তু নিজের যত্ন নিতে জানি না। নিজে কিভাবে ভালো থাকবো তার কথা কখনোই চিন্তা করি না।

আমি নিজেও এর বাইরে না। জীবনভর শুধু চিন্তা করেছি আমার স্বামী-সন্তান কিভাবে ভালো থাকবে, আমার মা-বাবাকে কিভাবে ভালো রাখবো, আমার ভাই-বোনদের জন্য কিভাবে একটু কিছু করবো, আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব........... সবার জন্য চিন্তা ছিল। কিন্তু কখনই চিন্তা করিনি নিজে কিভাবে ভালো থাকবো, কিভাবে নিজের যত্ন নিবো।

তবে কঠিন সত্যটা আমি শিখেছি কানাডায় এসে। আমার দেখা প্রায় প্রতিটা কানাডিয়ানই সবার আগে নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করে, কেরিয়ার নিয়ে ভাবে, ভবিষ্যত রিটায়ারমেন্ট নিয়ে প্লান করে। তারা ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মায়ের বা সংসারের চিন্তা অবশ্যই করে কিন্তু সেটার নিজের প্রয়োজনকে বাদ দিয়ে নয়, নিজের কেরিয়ার ধ্বংস করে নয়। তারা মারাত্বক রকমের সেল্ফ কনসাস।

তারা জিমে যায়, দেশ-বিদেশে ঘুরতে যায়, ক্লাবে যায়, সর্ট-লং ট্রিপে যায়, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কটেজে যায়, বারবিকিউ করে, কনসার্টে যায়, স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যায়............... হাজার রকমের আনন্দ খুঁজে বেড়ায়। বছরের ভ্যাকেশান লিভ, পার্সোনাল লিভ কোনটাই বাকি রাখে না।

ঠিক আমার সে বন্ধুটির কথাই ভাবছি। সে কি কখনো এরকম ছুটি কাটিয়েছে? নিজের আনন্দের জন্য সময় বের করেছে? তার হার্ট, কিডনি, লাংকস সুস্থ্য রাখার কথা একবারও ভেবেছে? হয়তো কখনই তা চিন্তা করেনি, শুধু দৈাড়েছে আর দৈাড়েছে। একবার কেরিয়ার, একবার স্ত্রী, একবার সন্তান, একবার ভাই-বোন..........। তারপর একদিন দেখলো সব শেষ, ফেরার কোনই পথ নেই।

তাই সময় থাকতে নিজের দিকে তাকাতে হবে, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা করতে হবে। দিন শেষে আপনার ভালো-মন্দ থাকার দায়িত্ব আপনার, আর কারো নয় কিছুতেই। আপনি চলে গেলেন তো, সবাই কিছুদিন শোক পালন করবে, তারপর? সবই আগের মতই চলবে, কেউই কারো জন্য ঠেকে না।

ভালো থাকিস ওপারে বন্ধু।

সোহানী
জুন ২০২৪

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রবাসীদেরকে দেখেছি ওরা কিভাবে সবসময় দৌড়ের উপর থাকে। কানাডার মত একটি শীতপ্রধান দেশে, যেখানে বছরে মাত্র চার/পাঁচ মাসের মত পাওয়া যায় নির্বিঘ্নে আউটডোর ক্রিয়াকলাপের জন্য, সেখানে সবাই মুখিয়ে থাকে কখন গ্রীষ্মকাল আসবে। আর এই চার/পাঁচ মাসের প্রতিটা সপ্তাহান্তের জন্য তাদের পরিকল্পনা করা থাকে কোন সপ্তাহান্তে কোথায় বেড়াতে যাবে। আর বেড়াতে যাওয়াতো চাট্টিখানি কথা নয়। তার জন্যেও খুঁটিনাটিসহ চূরান্ত পরিকল্পনা করে রাখতে হয়। এসব করার জন্য তো দৌড়ের উপর থাকতে হবেই। ঘড়ির কাঁটার সাথে যে জীবন বাঁধা, সে জীবন দৌড়ের উপরেই থাকে। টাইমলাইন মিট করতে করতেই একদিন নিজের চিরবিশ্রামের টাইম আচমকা এসে হাজির হয়।

আপনার প্রয়াত বন্ধুদের পারলৌকিক শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।

২১ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৩১

সোহানী বলেছেন: তারপরও সত্য কি জানেন খায়রুল ভাই, আমরা অনেক ভালো আছি। দৈাড়ের উপর থাকছি কিন্তু মাথায় কোন টেনশান নিয়ে ঘুমুতে যাই না। বাসায় ফিরে অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে হয় না। বাইরে গেলে নিরাপত্তা বা অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

আর দেশে প্রকিটা মূহুর্ত টেনশানে থাকতে হয় কি ঘরে কি বাইরে। বিদ্যুত থাকবে কিনা, পানি থাকবে কিনা, বাসায় বুয়া আজ আসবে কিনা, অফিসে কে কোন ভাবে পলিটিক্স করবে তার থেকে সতর্ক থাকা, প্রমোশনটা পেতে কাকে তেল দিবো, ঘুষ দিবো, বাইরে থেকে বাসায় ঠিকভাবে ফিরতে পারবো কিনা...........হাজার হাজার চিন্তা মাথায় থাকে। এতো সব টেনশানে নিয়ে আমাদের শরীরে সব কলকব্জা বিদ্রোহ করে বসে।

আপনার ঘুরাঘুরি তাহলে ভালোই চলছে। চলে আসুন আমাদের পাড়ায়। ক'দিন ঘুরে যান।

২| ২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ সমাজ থেকে শিখে।কানাডার সমাজ ও জীবনযাত্রা একটু অন্য রকম।চিকিৎসার জন্য এখানকার সরকার প্রচুর খরচ করে।সিনিয়র নাগরিকরা চিকিৎসা পত্র এবং ঔষধ বিনা পয়সায় পায়।আমি এখানে যে চিকিৎসাসেবা পাই দেশে থাকলে এর অর্ধেকটাও করতাম কিনা সন্দেহ আছে।

২১ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৩২

সোহানী বলেছেন: সত্য। ধনী কানাডার সাথে দেশের তুলনা চলে না।

দেশের অনেক কিছুরই সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু এর মাঝেই অঅমাদের বেঁচে থাকতে হবে।

৩| ২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




দুঃখজনক!!!
এই যে লিখলেন - "সে কি কখনো এরকম ছুটি কাটিয়েছে? নিজের আনন্দের জন্য সময় বের করেছে? তার হার্ট, কিডনি, লাংকস সুস্থ্য রাখার কথা একবারও ভেবেছে? হয়তো কখনই তা চিন্তা করেনি, শুধু দৌড়েছে আর দৌড়েছে। একবার কেরিয়ার, একবার স্ত্রী, একবার সন্তান, একবার ভাই-বোন..........। তারপর একদিন দেখলো সব শেষ, ফেরার কোনই পথ নেই।"
এটাই সত্য আমাদের অনেকেরই জীবনে।
যে দেশের কথা বললেন, তেমন সব দেশের জীবনযাত্রা প্রনালী শিশুকাল থেকেই শৃঙ্খলিত আর নিরাপত্তায় মোড়া। সুতরাং তারা অন্যভাবে জীবনটাকে উপভোগ করার শিক্ষা পেয়ে থাকে। আমাদের মতো "দিন আনা দিন খাওয়া" অবস্থার দেশে নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় কই ?
বলেছেন - " সময় থাকতে নিজের দিকে তাকাতে হবে, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা করতে হবে।" এমন করে শুধু নিজের কথা ভাবার শিক্ষা বা গরজটাই তো আমাদের দেশীয় সনাতন সমাজব্যবস্থায় অনুপস্থিত।

আপনার বন্ধুদের প্রয়ানে সমব্যথী। তারা ভালো থাকুন চিরঘুমের দেশে।

২১ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৩৭

সোহানী বলেছেন: আসলে তুলনা করতে চাই না। সে সাহস নেই। কিন্তু সেই নেই এর মাঝেও কিছুটা ভালো থাকা যায়। আমি তার কথাই বলছি।

অঅমি যখন দেশে ছিলাম আমার মনে পরে না যে কোন ছুটি কাটাতে পেরেছিলাম। বন্ধ/উইকএন্ড/ছুটিছাটা.......... কিছুই ছিল না জীবনে। শুধু কাজ আর কাজ। ঘরে কাজ, বাইরে কাজ, রাস্তায় কাজ.............. জীবনটা কঠিন ছিল। আর এখানে বস গুতাতে থাকে ছুটিতে কবে যাবা। সামারতো এসে গেল, যাও ছুটিতে...............।

কি ক্লান্ত ছিলাম তখন। এখন বুঝতে পরি।

৪| ২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নিজের কথা কে আর ভাবে। বিশেষ করে মেয়েরা। সবাই খাওয়ার পর কিছু না থাকলে মেয়েরা কোনোমতে হাবিজাবি কিছু দিয়া খেয়ে উঠে যায়। নিজের জন্য কখনো আলাদা কিছু করে না। সবারই উচিত নিজের মনের যত্ন নেয়া, নিজের শরীরের যত্ন নেয়া।

অবেলা যারা চলে যায় তাদের জন্য বড় কষ্ট হয়।

২১ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

সোহানী বলেছেন: আমাদের মেয়েদের কথা আর কি বলবো আপুনি। তারা নিজেরাতো খায়ই না তার উপর তা নিয়ে কখনো আক্ষেপই করে না। না পেতে পেতে তারা পাওয়ার চিন্তাই ভুলে গেছে।

কানাডায় আসলে বুঝবা মেয়েরা কি চিজ। ঘাড়ে ধরে সব আদায় করে ছাড়ে। আইন আদালত সব মেয়েদের। পান থেকে চুন খসলেই মামলা।............... আমরা বাঙ্গালী মেয়েগুলা এখনো হয়তো একই রকম আছি। তবে আমাদের জেনারেশানের পর আর থাকবে না। তারা বুঝে গেছে তাদের কি প্রয়োজন।

৫| ২০ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: দেশ বিদেশ ঘুরতে যাওয়া, ক্লাবে যাওয়া, শর্ট লং ট্রীপে যাওয়া, বন্ধু বান্ধব নিয়ে কটেজে যাওয়া , বারবিকিউ করা, কনসার্টে যাওয়ার সাথে শরীর সুস্থ রাখার কি সম্পর্ক বুঝলাম না। এগুলো হচ্ছে পার্থিব বিলাসবহুল লাইফ উপভোগের উপকরন। আরো ভাল করে বললে ফেসবুকীয় সুখের সংজ্ঞা। এর সাথে শরী্র সুস্থ বা অসুস্থ থাকার কোন সম্পর্ক নাই।

শরীর সুস্থ রাখার জন্য্য দরকার শরীর যন্ত্রের যত্ন নেয়া। একটা বয়সের পর খাবার হচ্ছে শরীরের জন্য বিষ। খাবার থেকে কার্বোহাইড্রেট , ফ্যট যথাসম্ভব কাট করতে হবে , ফলমুল ও শাক সবজি বেশি পরিমানে খেতে হবে । আর সবচেয়ে যেটা জরুরী সেটা হচ্ছে রেগুলার এক্সারসাইজ। এই এক্সারসাইজ করতে জিমে যাবার দরকার নাই। বরং বেশিরভাগ ডাক্তারই আজকাল জিম এভোয়েড করতে বলে বিশেষ করে মধ্যবয়সী ও বয়স্ক মানুষদের ।রেগুলার নিয়ম করে হাটাকেই ডাক্তাররা বেশি প্রাধান্য দেন। এছাড়া রেগুলার ব্লাড প্রেশার , ডাইবেটিস ইত্যাদি চেকআপের প্রয়োজন । সেই সাথে স্ট্রেস ফ্রি লাইফ লীডের জন্য আত্মীয় স্বজন, সম মনা বন্ধু বান্ধবের সাথে মেলামেশার প্রয়োজনীয়তা আছে। সেই সাথে প্রয়োজনীয়তা আছে নিষ্ঠার সাথে ধর্ম কর্ম পালন।

২১ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪

সোহানী বলেছেন: এগুলো শুধুমাত্র উদাহরন হিসেবে দেয়া হয়েছে। যে যার মতো আনন্দ খুঁজে নেয়াই আসল কথা।

শরীর সুস্থ রাখার জন্য্ যা বলেছেন এরপর কোন কিছু বলার থাকে না। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা হয়তো জানি কিন্তু মানি না বা মানার মতো সময় করে উঠতে পারি না।

৬| ২০ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

বিষাদ সময় বলেছেন: গত ছয় বছরে পরিবারের ৪ জনকে হারিয়েছি। ৮ জন থেকে কমে ৪ জন। এটা যে কি ভয়াবহ যন্ত্রনা তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। হয়তো সময় আছে কিন্তু নিজের দিকে খেয়াল করার সাহস, ইচ্ছা দুটোই হারিয়েছি।

নিজের যত্ন নিন। শোক কাটিয়ে উঠুন। অনেক ভাল থাকুন সেই কামনা।

২২ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৬:২৩

সোহানী বলেছেন: তারপরও ভালো থাকতে হবে বা ভালো থাকার চেস্টা করতে হবে।

৭| ২০ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২

এম ডি মুসা বলেছেন: নিজের ভিতরে ভাবার মাঝে সুখ নাই

২২ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৬:২৩

সোহানী বলেছেন: কিন্তু কখনো কখনো স্বার্থপর হতেই হবে।

৮| ২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যে যতদিন থাকার সে ততোদিনই থাকবেন এ যে চীরন্তন। তারপরেও আমরা আমাদের নিকটতম কারোর বিয়োগটা সহ্য করতে পারিনা। কিন্তু জীবনের এই পরিক্রমাতো আর আমাদের হাতে নয়। যাদের কথা বলে উদাহরণ দেওয়া হয় তারাও চলে যায় তাদের সুখ আর সমৃদ্ধ আমাদের চোখে পড়ে বেশি।
আপনার বন্ধুটির বিয়োগে সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

২২ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৬:২৫

সোহানী বলেছেন: চলে যাবো এটা চির সত্য কিন্তু চলে যাওয়া অবহেলা বা নিজের প্রতি যত্নশীল না হবার কথা বলছি। যকটুকু সামর্থ আছে তার মাঝেই আমাদের ভালো থাকার চেস্টা করতে হবে।

৯| ২১ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

নতুন বলেছেন: আমি হোটেল ইন্ড্রাস্টিতে কাজ করি।

ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন একস্থানে কাজ শুরু করি যেখানে বেতন ছাড়া অন্য আয় কম, মানে টিপস, ইনসেন্টিভ কম পাই।

কিন্তু ৯ টা -৬ টা অফিস করতে পারি।

যেখানে অন্য অনেক ডিপাটমেন্টে আমার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন বেতনের সুযোগ আছে কিন্তু হয়তো রাত ২টা ৩ টায় বাড়ী ফিরতে হয়।

আমি জীবনের কাজ আর সময়ের ব্যালেন্সের বিয়ষটা বুঝতে পেরে ঐ ডিপাটমেন্টেই আছি ১৬ বছর, অন্য খানে যাই নি।

আমার কলিগের অনেকেই বিষয়টাকে বোকামী মনে করেছে।

একজন তো বলেছিলো যে ভাই আপনি নতুন স্থানে বদলি হবার পরে ২ বছরে প্রায় ৯৫ হাজার দিরহাম টিপসই পেয়েছি। ( প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা) আপনি চলে আসলে ভালো করতেন, বিদেশে আমরা আসি তো টাকার জন্য।

আমি সেদিন মুচকি হেসেছিলাম।

এখন পদান্নদি পেয়ে বর্তমানের ডিপাটমেন্টেই অনেক ভালো আছি। সপ্তাহে ২ দিন ছুটি, রাতে ৭টা/৮টায় বাড়ী যাই। যখন ইচ্ছি ছুটি পরিবর্তন করতে পারি। সামাজিক অনুস্ঠানে অংশ নিতে পারি, কোথাও টুর পরিকল্পনা করতে পারি।

কিন্তু আমারই অন্য কলিগরা যারা হয়তো অল্প কিছু টাকা বেশি পাচ্ছে কিন্তু পরিবারকে সময় দিতে পারছেনা।

একটা সময় বাচ্চারা বড় হয়ে যাবে তখন আমাদের কাছে সময় থাকবে কিন্তু ওরা আর আমাদের সাথে সময় কাটাতে চাইবেনা।

অনেকে মনে করে জীবন একটা রেস শেষে জয়ী হয়ে জীবন উপভোগ করতে হয়।

কিন্তু জীবন আসলে একটা গানের মতন। প্রতিটা লাইনের কথা, মিউজিক উপভোগ করতে হয়।

২২ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৬:২৯

সোহানী বলেছেন: আপনার মতো এ উপলব্ধিটা সবার থাকে না। কারন আমরা প্রচন্ড লোভী। লোভ আমাদেরকে অন্ধ করে দেয়। তখন শুধু চাই আর চাই। তবে কখনো সেটা নিজের লোভ আবার কখনো সেটা পরিবারের লোভ।

যতক্ষন বেঁচে থাকবো ততক্ষনই উপভোগ করবো জীবনটা। জীবনতো একটাইম এক্সটেনশানতো নেই।

১০| ২১ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪

শায়মা বলেছেন: জীবন যতক্ষন আছে নিজের জন্যও প্রতিদিনই কিছু সময় আসলে বের করা উচিৎ।

আমি ছুটি পেলেই কিন্তু নিজের মত করে একটা দিন প্লান করে ফেলি। আজ যেমন সকালে উঠে ওয়াকিং স্যুইমিং ব্রেকফাস্ট তারপর বের হয়ে পড়লাম নিউ মার্কেটের উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যবিহীন। বই এর দোকান থেকে কিনলাম কবিতার বই, রঙতুলির দোকান থেকে অনর্থক ক্যানভাস, গ্রাফাইট পেনসিল, সিরামিক পেইন্ট হাবিজাবি। আমার কোনো আফসোস নেই জীবনের কাছে। নিজের আনন্দের জন্য আমি যা কিছু করি তাতে কারো যদি ক্ষতি না হয় তো আমার কানে তুলো .....

২২ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩৪

সোহানী বলেছেন: অসাধারন। এমনটা যদি সবাই ভাবতো তাহলে অনেক হিংসা রাগ দু:খ কমে যেত। কারন তুমি যখন সময়কে উপভোগ করতে শিখবে তখন হিংসা রাগ দু:খ কমে যাবে।

আমি এমন করে বেড়িয়ে পড়ি মাঝে মাঝে। তখন ড্রাইভ করি না। কারন পার্কিং নিয়ে প্যারা নিতে চাই না। খুব দূরে কোন ট্রেন বা বাস ধরে চলে যাই। হাবিজাবি কিনি, হাবজিাবি খাই............. ছবি তুলি, আপন মনে হাঁটি..........।

"নিজের আনন্দের জন্য আমি যা কিছু করি তাতে কারো যদি ক্ষতি না হয় তো আমার কানে তুলো ....."

ঠিক একই কথা আমার। কারাে যেন ক্ষতি না হয় সেটাই আমার চাওয়া। কারো ক্ষতি করে আমি জীবনের এম মূহুর্তও আনন্দ চাই না।

১১| ২১ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন:





তাই সময় থাকতে নিজের দিকে তাকাতে হবে, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা করতে হবে। দিন শেষে আপনার ভালো-মন্দ থাকার দায়িত্ব আপনার, আর কারো নয় কিছুতেই। আপনি চলে গেলেন তো, সবাই কিছুদিন শোক পালন করবে, তারপর? সবই আগের মতই চলবে, কেউই কারো জন্য ঠেকে না।

so true!

ছবির জায়গাটা কোথায়?



২২ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩৭

সোহানী বলেছেন: ছবির জায়গাটা নারায়নগন্জ। এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত ছিল। সেবারই প্রথম কারো বাসায় আলাদা বাটিতে করে ভাত তরকারী খেয়েছিলাম। আমি কম খাই বলে বল্লাম যে কমিয়ে দিতে, সে বন্ধু বললো যাকে যা দেয়া হয়েছে তা ফেরত নেয়া হয় না। এটাই আমাদের রীতি। তখন আরেক বন্ধু আমার ভাগেরটা নিয়ে নিলো...............হাহাহাহা

কত বছর আগের ছবি এটা জানো?? ৩০ বছর আগের!!!

১২| ২২ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমরা যারা মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের আছি তারা বেশিরভাগ সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের কে ভাল রাখতে নিজের ভাল থাকার বিষয়টা বেমালুম ভুলে যাই, কিন্তু এটা কখনোই ভাবি না যে পরিবারের অন্য সদস্যদের কে ভাল রাখতে চাইলেও তাদের স্বার্থেই আগে নিজেকে ভাল রাখার দরকার।

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ২:৫৬

সোহানী বলেছেন: মধ্যবিত্তরা হয় আবেগী। ভাবে, সবাইকে ভালোরাখার মাঝেই নিজের ভালো থাকা। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় কেউই থাকে না। এমন কি নিজের শরীরও তখন সাথ দেয় না। তাই অবশ্যই নিজের ভালো বুঝতে হবে। নিজে ভালো থাকলে তবেই অনেক কিছু করা সম্ভব। সবার জন্য করে করে নিজে মরে যেয়ে লাভ কি???

১৩| ২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: সাধারণভাবে বলতে গেলে, আমরা বাঙালিরা নিজের জন্য জীবনে খুব অল্প সময়ই রাখি। আমাদের জীবনে প্রথম জীবনে বাবা-মা, ভাই-বোনদের ভালো রাখার দায়িত্ব নেই। সেটার সাথে সাথে শুরু হয় সন্তানদের দায়িত্ব, তাদের লেখাপড়া শেষ হলো তো চাকরি হলো কিনা সেই চিন্তা, তারপর বিয়ে দেবার চিন্তা... অন্যের জন্য চিন্তার শেষ নেই, নিজের জন্য চিন্তার সময় নেই।

তারপর আছে ছেলেমেয়েদের জন্য অন্তত একটা বাড়ি করে দেবার চেষ্টা, সেটা করতে গিয়ে জীবনের অনেক আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থেকে যায়। এই জিনিসটা আমার খুব অদ্ভুত লাগে, কেন নিজে নানারকম কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের জন্য সম্পদ রেখে যেতে হবে!!এইসব দায়িত্ব পালন আর উদ্বেগময় জীবন যাপন করতে গিয়ে দেখা যায় জীবনের সময় হঠাৎ ফুরিয়ে যায়। অবশ্য এটা শুধু মধ্যবিত্তদের গল্প, কিন্তু তারাই তো সংখ্যা গরিষ্ঠ!! :|

তাই সময় থাকতে নিজের দিকে তাকাতে হবে, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই কাজটা আমি ঠিকমতোই করি, কিন্তু তবুও মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যায়, আর ভুগতে হয় চরমভাবে। তেরো দিন জ্বরের পর আজকে ভালো লাগছে। তাই ব্লগে এলাম, এই পোস্ট পড়ে ভাবলাম কথাগুলো খুব ঠিক, আর সহমত জানিয়ে গেলাম।

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৩:২৯

সোহানী বলেছেন: ওওওও নো... তেরো দিন পর!! তাহলে তো ভুগছেন আপনি। আশা করি দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।

আমরা বাঙালিরা নিজের জন্য জীবনে খুব অল্প সময়ই রাখি বা অনেক সময় তাও রাখি না। পরিবারের চিন্তা করতে করতে এক সময় দেখি সময় শেষ। তখন শরীর/মন/অর্থ/বিত্ত্............. কিছুই হয়তো থাকে না।

বয়স যত বাড়ে গয়তো আমাদের উপলব্ধি আসে কিন্তু তখন দেরী হয়ে যায়। নিজের প্রতি সামান্য যত্ন নিতেই হবে। এ ভুল করা যাবে না।

অনেক ভালো থাকুন আর তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে উঠুন।

১৪| ২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: @করুণাধারা, "তেরো দিন জ্বরের পর আজকে ভালো লাগছে। তাই ব্লগে এলাম" - তুলনামূলকভাবে আপনি একটু দীর্ঘ সময় ধরেই ব্লগে অনুপস্থিত থাকছিলেন বলে আমার মনেও এমনই একটা কু-ডাক দিচ্ছিল। যাক, এখন ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগছে। আশাকরি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং নিয়মিতভাবে বা স্বাভাবিক বিরতিতে ব্লগে থাকবেন।

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৩:৩০

সোহানী বলেছেন: আপুকে দেখে ভালো লাগছে। ব্লগে আসলে আপনাদের কিছু মানুষকে দেখলে মনটা ভালো হয়ে যায় যেন আপন মানুষদের মাছে আছি।

১৫| ২৩ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:১১

মৌরি হক দোলা বলেছেন: যেমন করে আমরা স্বার্থপর না হওয়ার শিক্ষা পেয়েছি, তেমন করে এখন আত্মসচেতন হওয়ার শিক্ষাও পাওয়ার সময় হয়েছে। আর আত্মসচেতন হওয়া মানেই যে স্বার্থপর হওয়া নয়, এটাও সবাইকে বুঝতে হবে।

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৩:৩৩

সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক বলেছো দোলা।

"আত্মসচেতন হওয়া মানেই যে স্বার্থপর হওয়া নয়, এটাও সবাইকে বুঝতে হবে।"

এটা আমরা বুঝি না। আমরা অনেকেই ভাবি নিজের প্রতি অযত্ন করে অন্যের প্রতি বেশী যত্নবান হওয়া দরকার। অবশ্যই অন্যের প্রতি বেশী যত্নবান হওয়া দরকার কিন্তু নিজের দিকেও তাকাতে হবে।

১৬| ২৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইদানীং নিজেকে এই কথাটাই বুঝাই, নিজেকে নিজেরই যত্ন করতে হবে, ভালবাসতে হবে।

মৌরি হক দোলা বলেছেনঃ "যেমন করে আমরা স্বার্থপর না হওয়ার শিক্ষা পেয়েছি, তেমন করে এখন আত্মসচেতন হওয়ার শিক্ষাও পাওয়ার সময় হয়েছে"। শতভাগ সহমত। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি অন্যের জন্য যতই করো, তা সবসময় লেনদেনের নিক্তিতে পরিমাপিত হয়। নিজের জন্য কিছু করা তার চাইতে ভালো। লেখাটি পড়তে পড়তে দুটি লাইন মাথায় খেলা করলো, তাই মন্তব্যে লিখে দিলামঃ

জীবন তোমার, দেহ তোমার
এর খবর রাখছো কি?
ভালবাসার হাজারো প্রিয়জন
নিজেকে ভালবাসছো কি?

তোমায় ঘিরে কত উৎসব
আলোকিত চারিধার,
ডুব দিয়ে দেখেছো কি
তোমার বুকের হাহাকার।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭

সোহানী বলেছেন: নিজের জীবন দিয়ে বেচারা মতিউর সব করলো ছেলে-মেয়ের জন্য। বাড়ি গাড়ি ছাগল :P .......... আজ সবাই অস্বীকার করছে তার পরিচয়। ..............

এইটাই জীবন।

১৭| ৩০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৩

শার্দূল ২২ বলেছেন: আজকে কয়দিন ধরে এমনি এক প্রশ্ন আমার মধ্যে বার বার ঘুরপাক খাচ্ছে। এর বিশেষ কারণ আমার এক আপনজনের বউএর অকাল মৃত্যু। মাত্র ৩০ বছর বয়স মেয়েটার। ছোট মেয়ে ২ বছর ২ মাস, বড় মেয়ে ৪ বছর। আমেরিকা এসেছে ১০ বছর, এই ১০ টা বছর দুজন মিলে অনেক যু্দ্ধ করেছে। গত মাসে একটা নতুন বাড়িতে উঠেছে। গত সপ্তাহে জানালার পর্দা কিনতে গিয়ে দুজনের পছন্দ মিলছেনা বলে ভাবি আমাকে কল দেয়, ভাইকে বলে শার্দলের পছন্দে কিনবো। আমাকে ভিডিও কলে পর্দা দেখাচ্ছে একেকটা করে। পর্দার রং দিয়ে জীবন রাঙ্গানো হলোনা ভাবির। শনিবারে রাতে হঠাৎ অসুস্থ্য। রাতেই হাসপাতাল আইসিইউ, মঙ্গলবারে শেষ নিঃশ্বাস। আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছেনা।

এবার অন্য এক কাহীনি- মানুষ পাগলা ঘোড়ার মত দৌড়াচ্ছে, আর ভাবছে এখন কাজ করি একদিন সব ভোগ করবো। আসলে কি মানুষ ভোগ করে যেতে পারে? আমার রিলেটিভ , উনি ১৯৮৪ সালে এই দেশে জাহাজ থেকে অবৈধ ঝাম্প, এমন কোন কাজ নেই সে করেনি, ১৯৮৮ সালে বৈধতা পায়। ৪ ছেলে সহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসে এখানে, ছেলেরা বড় ব্যসায়ী হয়ে উঠেছে আজ, সবার বিয়ে বউ সংসার। একদিন উনি অসুস্থ্য, আমি দেখতে গেলাম। গিয়ে দেখি বেসমেন্টএর এক কোণায় শুয়ে আছে, উপোরে ২ ফ্লোরের ৪ এপার্টমেন্ট ৪ ছেলে, সাথে ছেলেদের শশুর শাশুড়ি। তাই ওনার জায়গা হলো নিচে, প্রচুর ঠান্ডা । হিট সিস্টেম তেমন কাজ করছেনা। আমি বের হয়ে দোকান থেকে একটা হিটার কিনে এনে ওনার জমে যাওয়া জীবনে তাপ দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে আসলাম । আর ভাবছি ওনার সুখ কোথায়। ঐ নিচে থাকা অবস্থায় একদিন তিনি আরো নিচে নেমে গেলেন মাটির আরো গভীরে।

কিছু দিন আগেও আমার কাছে সফলতার সংজ্ঞা ছিলো এক রকম, আজকে আর তা নেই, আমার কাছে সফলতা হলো ভালো থাকা। সেটা একটা কুঁড়ে ঘরে ভালো থাকার নাম ও সফলতা হতে পারে। সফলতার জন্য ডেল কার্নেগির সকল বই আজ পুড়িয়ে ফেলা উচিৎ।

মানুষ সময় এসেছে নিজেকে ভালোবাসার এক রকম স্বার্থপরের মত, বাকি সব মিথ্যে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:০৪

সোহানী বলেছেন: দুটো ঘটনাই মনকে খুব নাড়া দিচ্ছে।

আমরা ঘর সাজাই, দোর সাজাই কিন্তু জানি না তা নিজের জন্য নাকি অন্য কারো জন্য। উপরে আমার তেমন এক আত্বীয়ের কথাই বলছিলাম। সব সাজানো শেষ তার জীবনও শেষ, ভোগ আর হলো না।

আর দ্বিতীয় ঘটনাটা খুব কষ্টদায়ক। এরকম আমিও দেখেছি। শেষ বয়সে সন্তানরা তাদের নিজেদেরকে নিয়ে এতো স্বার্থপর হয় যে বাবা-মাকে খুব সহজেই অস্বীকার করে।

আমি বলবো, সফলতার সংজ্ঞা একেক বয়সে একেক রকমের। এক সময় ভালো চাকরী বা একটা বাড়ি হয়তো সফলতার মাপ-কাঠি ছিল কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়।

ডেল কার্নেগি বৈসয়িক সফলতার কথা বলেছেন, নিজের মনের সফলতাতো সম্পূর্ণ ভিন্ন।

"মানুষ সময় এসেছে নিজেকে ভালোবাসার এক রকম স্বার্থপরের মত, বাকি সব মিথ্যে।".......... নিজেকে অবশ্যই ভালোবাসতে হবে কিন্তু তাই বলে অন্যকে অবহেলা করে নয়। কিংবা অন্যের জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়াও নয়, ঠিক একটা ব্যালেন্সিং জীবন।

চমৎকার মন্তব্যে অনেক ভালোবাসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.