নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস তোমাদেরকে আস্তকুড়ে ফেলবে অবশ্যই।

৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৩৩


অনলাইনে মানুষ জনের আচরন দেখে আমি কয়েকটা ভাগে ভাগ করেছি। এই যেমন;

১) অন্ধ গ্রুপ: যারা অন্ধের মতো সরকারের হত্যাকান্ডের সমর্থন শুধু করেইনি তার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেছে। আর সেই সাথে মেট্রোরেলে জন্য তাদের আহাজারি চোখে পড়ার মতো। এটা খুব স্বাভাবিক, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে কিছু রাজাকার আলবদর পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়ে হত্যা জুলুমের বৈধতা দেবার চেস্টা করেছিল।

এখন প্রশ্ন, এরা কারা? এরা হলো সেই কোটিপতি, চেতনা ব্যাবসায়ীরা, যারা মুক্তিযদ্ধের চেতনাকে বিক্রি করে খায়। তাদের মতের বাইরে কেউ কথা বললেই বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে চাপাতি লাঠি বৈঠা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে। দেশের টেন্ডার, ব্যবসা, চাকরী, পদ, সুন্দরী মডেল......... সবই তাদের। দেশে কোটি টাকার সম্পদ, বিদেশের ভিসা সবই তাদের। কয়েকবার হজ্জ্ব করে আখেরাতের পথও প্রায় ঝরঝরা।

২) আধা অন্ধ গ্রুপ: এরা কিছুটা সুযোগ সুবিধা পেয়েছে সময় সময়। বর্তমানে একটা ভালো অবস্থানে আছে। উগ্রভাবে সমর্থন না করলেও এরা ইনিয়ে বিনিয়ে হত্যাকান্ডের সমর্থন করে এবং এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করে না। কারন ভবিষ্যতের সুযোগ হাতছাড়া হবার ভয় তাদের। এতো মৃত্যু এদেরকে কাঁদায় না কিন্তু মেট্রোরেলে কেন আগুন তা নিয়ে তাদের আহাজারির শেষ নেই। কাঁদতে কাঁদতে তাদের নিউজফিড সয়লাব।

৩) ভীত গ্রুপ: এরা কোন এক সময় সরকারী দলের ডলা খেয়েছিল কিংবা এমনিতেই ভীত তাই ক্ষমতাধরদের বিরুদ্ধে যেতে সাহস করে না কখনই। এরা সর্বদাই ঝামেলা দেখলে বিছানার তলে প্রবেশ করে। কোন কিছুতেই নাই তারা, ক্ষমতাসীনদের প্রতি নিরব নি:শব্দ থাকে সর্বদা। সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কে জিতলো। তারপর তার দিকে হেলে পড়বে।

৪) বেকুব গ্রুপ: যেকোন অন্যায় দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বুক পেতে দেয় গুলির সামনে। কালোকে কালো সাদাকে সাদা বলতে দ্বিধা করে না।

১ থেকে ৩ গ্রুপের জন্য একরাশ ঘৃনা। ইতিহাস তোমাদেরকে আস্তকুড়ে ফেলবে অবশ্যই।

জুলাই ৩০, ২০২৪


ছবিটি শিল্পী প্রিমা নাজিয়া আন্দালিব একেঁছেন।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭

সামরিন হক বলেছেন: সত্যিই তাই।

৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:২৪

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: জাত-পাত ও জাতীয়তাবাদের কনসেপ্টেই আমি বিশ্বাস করি না। ধর্মের জন্য আমি জান দিতে রাজী নই।
সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা এক কথা আর কোন বুদ্ধি বিবেকহীন মহামূর্খ বিকৃত মগজধারী অস্ত্রহাতে সৈনিকের সামনে বুকচিতে দাঁড়িয়ে যাওয়া কতটা যৌক্তিক?
আজও আপনি বেঁচে আছেন বলে এই কথাগুলো লিখছেন- জোর গলায় অধিকারের সপক্ষে বলছেন। আজ আমার আপনার এভাবে মৃত্যু মানে পুরো একটা পরিবারের অকাল বিপর্যয় ( হ্যাঁ সেটা যে কোন মুহুর্তে বা দুর্যোগে হতে পারে) কিন্তু সে দায় দেশ জাতি কেউ নিবে না। ওরাই ভুক্তোভুগী হবে সূদীর্ঘকালের জন্য। এটাই সত্যিকারের বাস্তবতা।
আপনার গ্রুপিং এ গোলমাল আছে। এটা কট্টর টাইপ গ্রুপ হয়ে গেছে। আমরা ভীতু নই, কালোকে কালো সাদাকে সাদা বলার মত সাহস রাখি কিন্তু কাঁধের উপরে অনেক দায়ভার, তাই একটু দেখেশুনে এগোতে হয়।

৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৩৩

সোহানী বলেছেন: শেরজা ভাই, যখন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তখন আমার আপনার পরিবার তার নিজের কথা বা সংসারে বাকিদের কথা ভাবেনি। আর সে কারনেই স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। তারা যদি তাদের কাঁধের উপরে দায়ভারের চিন্তা করে একটু দেখেশুনে এগোতো তাহলে আমাদের স্বাধীনতা দেখতে হতো না্।

বাচ্চাগুলোতো কোন অন্যায় দাবী করেনি? তাদেরকে শুধু হত্যাই করেনি এখন তাদেরকে শিবির ট্যাগ দিয়ে মারছে। এখানে ট্যাগের কারন কি? আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়েছি, শিবিরের শব্দ শুনলেও আমরা ঘৃনাভরে রুম থেকে বের করে দিয়েছি। এখন এ সাধারন ছাত্র-ছাত্রী শিবির ট্যাগ দিয়ে হত্যার বৈধতার চেস্টা করছে। কাউকে যেকোন ট্যাগ করেই কি হত্যা করা যায়? এটাতো স্বৈরাচার!

পৃথিবীর কোন দেশে এরকম অন্যায়ভাবে ছাত্রদের উপর সরকারী বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে? এক উত্তর কোরিয়া বাদে!!

আমারটা কট্টর টাইপ গ্রুপ হয়ে গেলে, আপনার সাজেশান কি?

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আপু, কেমন আছেন?
আপনাদের ওখানে কি বিক্ষোভ করেন নাই?
দুবাইয়ে তো বিক্ষোভ করেছে সাহসী ছেলেরা।

আপনি কোন গ্রুপে?

০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:০৬

সোহানী বলেছেন: কানাডার মেইনস্ট্রিম নিউজে খুব গুড়ুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের খবর ছাপছে। এতো ছাত্রের মৃত্যুতে তারাও অবাক।

বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ সভা হচ্ছে। এবং আমি খুব অবাক হচ্ছি এ প্রজন্ম যারা কানাডায় জন্ম শুধু বাবা-মা বা দাদা-নানার দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে জানে তারাও ভীষন রকমের সোচ্চার। আসলে এরকম তাজা প্রানের মৃত্যু কোন সুস্থ্য মানুষ মেনে নিতে পারে না।

যারা এখনো এর পক্ষে সাফাই গাইছে এরা মানুষরুপী পশু। এরা অন্ধ, বধির...... এরা নিজেদের আখের রাখতে মরিয়া হয়ে গেছে।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: দেখুন আপু- আপনি যেটা বলছেন সেটা দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধ, আমরা ভীনদেশীয় দখলদার জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলাম। যে যুদ্ধটা আমাদের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল- আমাদের অন্য কোন উপায় ছিল না তখন, আপনি দেশের কোন প্রান্তে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদ ছিলেন না তখন। পরিস্থিতি ছিল; হয় মার না হয় মর।
আর এটা হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ! একদল ক্ষমতার জন্য মরিয়া হয়ে হিংস্র হবেই, এই হিংস্রতা ওদের ভয়ঙ্কর দুর্নীতি, স্বজনপ্রীয়তা, সহস্র অপরাধ-অনাচার, মুর্খতা আড়াল করার জন্য। আওয়ামীলীগ আজ যা করছে আমার ধারনা বি এন পি জামাত, জাতীয়পার্টি প্রায় তা-ই করত। ওদের জন্য যারা দলীয় ট্যাগে মায়াকান্না করছে তারাই তখন এটাকে জায়েজ করতে উঠেপড়ে লাগত।
আপনি কার জন্য জান দিচ্ছেন? আরেক জারজ স্বৈরাচারের পথ উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য নয়তো? রাজপথে শুধু কি তরুনেরাই জীবন দেবে- নেতারা নয় কেন? তরুনদের ঘাড়ে ভর করে তাদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলে আর কতদিন আমাদের উপমহাদেশের নেতারা তাদের ক্ষমতার পথ তৈরি করবে? আর একবার ক্ষমতায় পাকাপোক্ত হলেই সব অধিকার কেড়ে নিবে- ফের অধিকারের জন্য তরুনদের লড়াই- রক্ত, ফের আরেকদল বুড়োভাম ভণ্ডদের মায়াকান্না! ফের ক্ষমতার পালাবদল- আবার অধিকার কেড়ে নেয়া। এভাবেই চলছে ... চলুক না হয় বেশ!

০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:১৮

সোহানী বলেছেন: দু:খটা সেখানে, ভীনদেশীয় দখলদার জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল আমাদের পরিবার। অথচ আজ নিজের স্বাধীন দেশে সামান্য কথা বলার, অধিকার নিয়ে প্রতিবাদ করার জন্য তাদেরকে গুলি করে মারা হলো। তাদের সন্তানদের এভাবে হত্যা করার জন্য তারা যুদ্ধ করেছিল?

আই হেইট অল পলিটেকেল পার্টি। আমরা দেখেছি বিএনপির জ্বালাও পোড়াও, শিবিরের রগ কাটার সে কাহিনী, আওয়ামী বাহিনীর চাপাতি বৈঠার খেলা কিংবা আবরার মৃত্যু। এদের কাউকেই চাই না......... চাই শুধু এ বাচ্চাগুলোর সুন্দর একটা জীবন, দেশের মানুষগুলোর দু'মুঠো ভাত। চাই না কোটিপতিদের আলাদিনের চেরাগ।

আমি দেশ ছেড়েছি বা বলতে পারেন বাধ্য হয়েছি। যখন আপনার অফিস রুমে লোডেড পিস্তল নিয়ে কোন নেতার পিএস ঢুঁকে ফাইল সই করার জন্য থ্রেট দেয়। তারপর ফাঁকা গুলি করে শাসিয়ে যায় তখন আপনার জন্য তিনটি পথ খোলা থাকে। এক, মরো, দুই, ওদের সাথে যোগ দিয়ে বাকিদের মারো, তিন, পালিয়ে যাও দেশ ছেড়ে।

ভালো থাকুক আমার সোনার বাংলা।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: আমরা যেকোন ভাবেই বেঁচে থাকতে চাই। আমাদের রোজগারের উপর আমাদের পরিবার নির্ভরশীল, আমাদের বাবা মা নিশ্চিন্ত। তাই অন্যায়কে অন্যায় বলার সাহস আমাদের নেই। বেঁচে থাকার জন্য যত রকম অপমানের ভেতর দিয়ে যেতে হয় আমরা যাবো। আপনি যতই ঘৃণা করুন, আমরা নিরুপায়। আমরা বেঁচে থাকবো এবং বৃদ্ধ হয়ে গেলে যখন আমার আর পরিবারের পিছুটান থাকবেনা, তখন আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমি দু'হাত খুলে বুক চিতিয়ে বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে যাবো।

০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২২

সোহানী বলেছেন: আমি জানি ভাই সে কষ্টটা। আমরা সবাই একই পথের পথিক। কিন্তু এ তরুন প্রজন্মকে কিভাবে রুখবো? ওরাতো কিছু চায়নি শুধু একটু কাজ করতে চেয়েছে। একটা কাজ নিয়ে কোন রকমে জীবনটা চালাতে চেয়েছে। কেন আমরা তা দিতে পারছি না!!!! আর কত খেতে হবে ক্ষমতাসীনদের। হাজার কোটিতেও তাদের পেট ভরছে না?? এবারতো একটু দেশের দিকে তাকাও। অনেকতো খেয়েছো!!!

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২১

নয়া পাঠক বলেছেন: সবাই যদি একাট্টা থাকতে পারতো তবে আজ স্বৈরাচারের এত সাহস বাড়তো না এই দেশে, স্বৈরাচারী এরশাদের পতন হয়েছিল এমন একটি আন্দোলনে, কিন্তু সেখানে প্রাণহানী মাত্র কয়েকজনের হয়েছিল। আর আজ কত রক্ত ঝরল তবুও এই স্বৈরাচারের পতন দুরের কথা উল্টো সুরে কথা বলে কিছু লোকজন, হ্যাঁ হতে পারে তারা আওয়ামী সুবিধাভোগী শ্রেণী, আর যেহেতু তাতের হাতে অস্ত্র আছে, পকেট ভর্তি টাকা আছে, আছে গলাবাজী করার ক্ষমতা।

০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২৪

সোহানী বলেছেন: এক্সাক্টলি। কোনভাবেই তারা তাদের আলাদিনের চেরাগটা হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না। যেভাবে পারে তা ধরে রাখতে চাইছে। মরলে মরুক, তাতে তাদের কি? তাদের সন্তানতো কানাডায় টেসলা হাঁকায়।

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪

প্রহররাজা বলেছেন: আরব বসন্তের মতো উসকানি দিয়ে ছেলে মেয়েগুলাকে মৃতু্্যর মুখে নিচ্ছে কারা?

০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২৫

সোহানী বলেছেন: ছেলেগুলো নিজেরাই তাদের অধিকার আদায়ে মাঠে নেমেছে। আর নিরস্ত্র তাদের উপর শকুনরা থাবা দিয়ে ছিন্নভিন্ন করতে চাইছে।

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৩

নাহল তরকারি বলেছেন: আওয়ামীলীগ ভালো দল।

০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২৬

সোহানী বলেছেন: ভালো। আপনি নিশ্চয় কোটিপতি!!

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৩১

রবিন_২০২০ বলেছেন: আরেকটা গ্রুপ আছে। ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা গ্রুপ। হালুয়া রুটির ভাগ কপালে জোটেনি কিন্তু জুটতেও পারে এই আশায় লাফাচ্ছে। উপরের কমেন্টেই এদের দেখা পাবেন।

০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২৭

সোহানী বলেছেন: তারা গর্তজীবি। তিন নাম্বারের সাথে মিলে যায়।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬

রায়হান চৌঃ বলেছেন: আপু..... যারা রেমিট্যান্স বন্ধের ডাক দে, তাদের কোন গ্রুপে রাখবেন ?

০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২৯

সোহানী বলেছেন: এটা নিয়ে আমার আপত্তি আছে। দেশের ক্ষতি হোক এমন কোন কিছুতে আমি কোনভাবেই সাপোর্ট করতে পারি না। রেমিট্যান্স বন্ধ করে হুন্ডিতে টাকা পাঠালে দেশের ক্ষতি হবে মারাত্বক। এটা কোনভাবেই উচিত নয়।

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অন্ধরা সুবিধাভূগি । তারা সত্য মিথ্য বিচার জ্ঞান হারিয়ে নিজেরা বিভ্রান্ত অন্যদেরও বিভ্রান্ত করায় ন্যস্ত ।

০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৩০

সোহানী বলেছেন: সহমত। দেশে প্রচুর সুবিধাভুগী তৈরী হয়েছে বলেই আজ এ অবস্থা। তারা তাদের ক্ষমতা হারাতে চায় না।

১২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩

মিথমেকার বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা এক কথা আর কোন বুদ্ধি বিবেকহীন মহামূর্খ বিকৃত মগজধারী অস্ত্রহাতে সৈনিকের সামনে বুকচিতে দাঁড়িয়ে যাওয়া কতটা যৌক্তিক?

তারমনে কী আপনি বলতে চাইছেন; অন্যায়ের প্রতিবাদ করে একটি ছোট লাঠি নিয়ে পেটুয়া-খুনি পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া মহা অন্যায়ের? ৫২, ৭১, ৯০, এর সময়ে নিরস্ত্র মানুষেরা বুক চিতিয়ে অন্যায়ের অবিচার এর প্রতিবাদ করে বিবেকহীন মূর্খের পরিচয় দিয়েছে? যদি তাইইবিশ্বাস করে থাকেন তাহলে আপনি হয়তো "আধা অন্ধ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য"।

শেরজা তপন বলেছেন: আজও আপনি বেঁচে আছেন বলে এই কথাগুলো লিখছেন- জোর গলায় অধিকারের সপক্ষে বলছেন। আজ আমার আপনার এভাবে মৃত্যু মানে পুরো একটা পরিবারের অকাল বিপর্যয় ( হ্যাঁ সেটা যে কোন মুহুর্তে বা দুর্যোগে হতে পারে) কিন্তু সে দায় দেশ জাতি কেউ নিবে না। ওরাই ভুক্তোভুগী হবে সূদীর্ঘকালের জন্য। এটাই সত্যিকারের বাস্তবতা।
আপনার গ্রুপিং এ গোলমাল আছে। এটা কট্টর টাইপ গ্রুপ হয়ে গেছে। আমরা ভীতু নই, কালোকে কালো সাদাকে সাদা বলার মত সাহস রাখি কিন্তু কাঁধের উপরে অনেক দায়ভার, তাই একটু দেখেশুনে এগোতে হয়।


একটা দেশের প্রাণ শক্তি হলো সে দেশের জনগণ। এই প্রাণ শক্তি যদি দিনদিন সব কিছু সহ্যকারি জড়ো বস্তু বা পাথরে পরিণত হয় সে দেশটাকে আর দেশ বল যায় না। দেশটা ধুকতে ধুকতে মারা যায়। তাহলে এখন কী দেশের অন্যায়ের প্রতিবাদী সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ গুলোকে নিজ দেশ ছেড়ে শরৎচন্দ্রের মহেশ গল্পের সেই "ফুলবেড়ের চটকলে" যেতে বলছেন? যদিও স্বৈরচারের মাস্টার প্ল্যান এটাই; তারা কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের প্রতিবাদী দেখতে চায় না এদেশে। এ জন্যই তরুণেরা সব দলে দলে দেশ ছাড়ছে। দেশটা ধীরে ধীরে হয়ে উটছে বসবাসের অযোগ্য!

শেরজা তপন বলেছেন: যে যুদ্ধটা আমাদের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল- আমাদের অন্য কোন উপায় ছিল না তখন, আপনি দেশের কোন প্রান্তে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদ ছিলেন না তখন। পরিস্থিতি ছিল; হয় মার না হয় মর। আপনি কার জন্য জান দিচ্ছেন? আরেক জারজ স্বৈরাচারের পথ উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য নয়তো?

৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধটা এই দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়ে ছিলো? বাহ! বাহ! বাহ! এই আপনার ৭১ এর মুক্তি যুদ্ধের চেতনা? তাহলে পলাশী থেকে ৪৭ থেকে ৭১ সবই চাপিয়ে দেয়া সংগ্রাম? এখন কী দেশের মানুষ নিরাপদ? যে দেশে নিষ্পাপ শিশু নিজ ঘরে বাবা মায়ের কোলে গুলি খেয়ে মরে!!! যে দেশে নিরস্ত্র ছাত্রদের নির্মম ভাবে গুলি খেয়ে মরতে হয়!
শোনেন যখন কেউ নিজের জীবনটা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দান করে সেই মহান ব্যক্তি কারোর জন্য তাঁর জীবন দান করে না! সে তাঁর জীবনটা দিয়ে যায় মানবতার জন্য দেশের জন্য!
এই দেশের একটি গোষ্ঠীর বড্ড প্রিয় জিনিস হলো মন্দের ভালো খোঁজা। তারা মন্দকে মন্দ বলার মেরুদণ্ড রাখে না। যে দেশের মানুষের ভোট অধিকারই নেই সে দেশের আবার তথাকথিত সুখে বেঁচে থাকা!

শরৎচন্দ্রের মশেহ গল্প থেকে: "অন্ধকার গভীর নিশিথে সে মেয়ের হাত ধরিয়া বাহির হইল। গ্রামে আত্মীয় কেহ তাহার ছিল না কাহাকেও বলিবার কিছু নাই। আঙ্গিনা পার হইয়া পথের ধারে সেই বাবলাতলায় আসিয়া সে থমকিয়া দাঁড়াইয়া সহসা হুহু করিয়া কাঁদিয়া উঠিল। নক্ষত্র খচিত কাল আকাশে মুখ তুলিয়া বলিল, আল্লা! আমাকে যত খুশি সাজা দিয়ো কিন্তু মহেশ আমার তেষ্টা নিয়ে মরেছে। তার চ'রে খাবার এতটুকু জমি কেউ রাখেনি। যে তোমার দেয়া মাঠের ঘাস, তোমার দেয়া তেষ্টার জল তাকে খেতে দেয়নি, তার কসুর তুমি যেন কখন মাফ কর না।"

এই দেশে সুস্থ মস্তিষ্কের প্রতিবাদী প্রতিটি মানুষ হলো গফুরের মতো। এরা ডুকরে কাঁদছে! নিজের প্রিয় বস্তুকে হারিয়েও অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাচ্ছে।
কিন্তু এই দেশের কিছু তথাকথিত সুশীল মানুষ সব কিছু দেখেও আজ না দেখার ভান করছে। ইনিয়ে বিনিয়ে অন্যায়টাকে আড়াল করে। গণহত্যার মতো নিকৃষ্ট অন্যায় জাস্টিফাই করার ট্রাই করছে। ছিঃ!
এসব ল্যাংড়া-লোলা যুক্তি দিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে অন্যায়ের সাফাই গাইতে আসবেন না। শিরদাঁড়া থাকলে স্পষ্ট বাক্যে অন্যায় কে অন্যায় বলতে শিখুন।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: সুশীল সমাজ তাদের চামড়া বিক্রি করেছে কিন্তু এখন দেখি সবই বিক্রি করেছে। এরাতো দেখি বাথরুমের জুতা চাটতে পারে....। নতুবা কিভাবে এতগুলো মৃত্যু তাদেরকে স্পর্শ করে না!!!!

হায় দেশ, কিভাবে এ তাজা প্রানগুলোকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। মনে হচ্ছে কোন হরর মুভি চলছে দেশে।

১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: অসাধারণ। আমাদের বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই। বোকাই ভালো। তবুও জীবনের জয়গান করতে হবে।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:২০

সোহানী বলেছেন: বোকগুলো বড্ড বোকা। এক আবরার থেকে শুরু, আর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: @ মিথমেকার আমি মন্তব্যটা এমন একজনের পোস্টে করেছি যিনি আমার লেখা ও মন্তব্যের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। তিনি আমার ভাবনাটা বুঝতে পারবেন। সম্ভবত আপনি নন।

ভাই কিংবা বোন যেই-ই হন আপনি শুধু একটা কথা বলি এত দুঃসাহসী মানুষ আপনি তবে কেন ছদ্মনামে ব্লগিং করছেন?
আমি বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাস করা একজন মানুষের সাথে নাকি একজন প্রবাসীর সাথে আলোচনা করব তা-ই জানি না, একজন
বেনামী ছদ্ম পরিচয়ের মানুষের সাথে কোন এঙ্গেলে কথা বলব তাই ভেবে উঠতে পারছি না।
আমার শিরদাঁড়া বাঁকা, ভাঙ্গা-আমি নুলা, ল্যাংড়া অথর্ব, অপদার্থ অকর্মণ্য কাপুরুষ, গিরগিটি আপনার কোন সমস্যা?
আপনি দুঃসাহসী পুরুষ কিংবা রমণী হলে কিছু করে দেখান ...
দয়া করে আমাকে কোন পরামর্শ দিতে আসবেন না। প্লিজ

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:২৩

সোহানী বলেছেন: কুল ব্রাদার কুল। এ মূহুর্তে মাথা ঠান্ডা রাখা সত্যিই কঠিন। তারপরও বলি, কেউ আবেগ কন্ট্রোল করতে পারে কেই পারে না। যেমন আমি পারি না। আগে হয়তো কিছু পারতাম এখন বয়স বাড়ার সাথে সাথে আরো পারি না। মানুষের বুদ্ধি বাড়ে আর কমে।

১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মরে বেঁচে আছি
নাকি বেঁচে আছি মরে
সব কিছু আজ বড় ধোঁয়াশা লাগে।
বুকে জমা কান্না শত
চেতনায় একমুঠো ক্ষোভ
জেগে উঠবো কোন এক ভোরে
শেষবার মরে যাওয়ার আগে।


আমাদের মত আরও একটা দল আছে আপনার চারদলের বাইরে, যারা নিজের গণ্ডিতে প্রতিবাদ, ক্ষোভ নিয়ে জ্বলছে; তবে প্রকাশটা বড্ড সীমিত। কারণ এই দেশের উপর, দেশের আইনের উপর, শাসনব্যবস্থার উপর তারা নির্ভয় নয়, আস্থাশীল নয়। অতীত সময় থেকে তারা শিক্ষা নিয়েছে। শেরজা তপনের মন্তব্যটি যথার্থ বক্তব্য তুলে ধরেছে।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:২৭

সোহানী বলেছেন: "প্রকাশটা বড্ড সীমিত"........ এটা আমি মানি না। সীমিত প্রকাশ মিলে অনেক বড় কিছু হয়।

এই যেমন কানাডায় একটু একটু করে পুরো দেশ জানছে, তারা তাদের সমর্থন জানাচ্ছে ছাত্রদের প্রতি। এটার রেজাল্ট অবশ্যই পাবে একদিন।

আজ একজন আদিবাসীর সাথে পরিচিত হলাম। আমার দেশের কথা বলতেই সে বললো, হাঁ আমি জানি যে তোমার দেশের সরকার ছাত্রদের মারছে একের পর এক।

এবার বলো, বর্হিবিশ্বে কিভাবে বার্তা যাচ্ছে দেশ নিয়ে।

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

মিথমেকার বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: @ মিথমেকার আমি মন্তব্যটা এমন একজনের পোস্টে করেছি যিনি আমার লেখা ও মন্তব্যের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। তিনি আমার ভাবনাটা বুঝতে পারবেন। সম্ভবত আপনি নন।

ভাই কিংবা বোন যেই-ই হন আপনি শুধু একটা কথা বলি এত দুঃসাহসী মানুষ আপনি তবে কেন ছদ্মনামে ব্লগিং করছেন?
আমি বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাস করা একজন মানুষের সাথে নাকি একজন প্রবাসীর সাথে আলোচনা করব তা-ই জানি না, একজন
বেনামী ছদ্ম পরিচয়ের মানুষের সাথে কোন এঙ্গেলে কথা বলব তাই ভেবে উঠতে পারছি না।
আমার শিরদাঁড়া বাঁকা, ভাঙ্গা-আমি নুলা, ল্যাংড়া অথর্ব, অপদার্থ অকর্মণ্য কাপুরুষ, গিরগিটি আপনার কোন সমস্যা?
আপনি দুঃসাহসী পুরুষ কিংবা রমণী হলে কিছু করে দেখান ...
দয়া করে আমাকে কোন পরামর্শ দিতে আসবেন না। প্লিজ


আমি ছদ্মনামে নিজের নামে ব্লগিং করি সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যপার। এটা নিয়ে আপনার কথা বলার কোন অধিকার আপনার নেই।
এসব ফিশিং কোশ্চেন করে ব্লক রেইড করে নিরপরাধ মানুষকে ধরছে পেটুয়া বাহিনী। তাদের গুম করছে খুন করছে। আমার পরিচয় জানতে পারলে হায়নার পালের কালো খাতায় সেই তথ্য দিবেন নাকি!?? আপনাদের এসব চালাকি মানুষ এখন বোঝে! এসব করা বাদ দিন।
বেনামী ছদ্ম পরিচয়ের মানুষের সাথে কোন এঙ্গেলে কথা বলব তাই ভেবে উঠতে পারছি না।
পরিচয় জানতে পারলেই তো সুবিধে!!

আমার শিরদাঁড়া বাঁকা, ভাঙ্গা-আমি নুলা, ল্যাংড়া অথর্ব, অপদার্থ অকর্মণ্য কাপুরুষ, গিরগিটি আপনার কোন সমস্যা?

সমস্যা যে কার সেটা গোটা জাতি দেখছে। আমি পরিষ্কার করে বলছি; আমি আপনাকে "শিরদাঁড়া বাঁকা, ভাঙ্গা-আমি নুলা, ল্যাংড়া অথর্ব, অপদার্থ অকর্মণ্য কাপুরুষ, গিরগিটি" এই শব্দ গুলো বলি নাই, আমর মন্তব্য বিকৃত করে ভিক্টিম কার্ড প্লে করার অপচেষ্টা করবেন না।
আমার মন্তব্য ছিল পরিষ্কার; "এসব ল্যাংড়া-লোলা যুক্তি দিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে অন্যায়ের সাফাই গাইতে আসবেন না। শিরদাঁড়া থাকলে স্পষ্ট বাক্যে অন্যায় কে অন্যায় বলতে শিখুন।"

আপনি দুঃসাহসী পুরুষ কিংবা রমণী হলে কিছু করে দেখান ...

আমি কী করেছি, করছি, বা করব সেসব দেখানোর বাধ্যবাধকতা দেয়ার আপনি কে? আমি জানি আমি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে। সত্যের পক্ষে। আমার অবস্থান পরিষ্কার।

দয়া করে আমাকে কোন পরামর্শ দিতে আসবেন না। প্লিজ

এন্ড ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন: আমি একবারও বলি নাই আমি "শেরজা তপন" আপনাকে এই পরামর্শ গুলো দিচ্ছি। আমি আপনর মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছি যেটা আমি রুলস অনুযায়ী করতেই পারি।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:২৯

সোহানী বলেছেন: ওকে।

১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: @ মিথমেকার হাঃ হাঃ হাঃ কোন কথাকে কোন লাইনে নিয়ে গেলেন!!!
আপনি পারেন বটে - স্যালুট আপনাকে।
তবে আপনি দেশের জন্য কী পেরেছেন,পারছেন বা পারবেন সে আমি সুস্পষ্টভাবে বুঝে ফেলেছি। প্লিজ আমার উদ্দেশ্যে হাতিঘোড়া মারা মন্তব্য করে আর হাসাইয়েন না।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:২৯

সোহানী বলেছেন: কুল ব্রাদার।

১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: @ শেরজা তপন ভাই , অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলতে চাই যে, পরিবার কি শুধু আপনারই আছে ? আর কারো নাই? ভাবেন যে সারা দেশের মানুষ যদি এই চিন্তাধারা ধারন করত তাহলে কি আজকের আন্দোলন কি এভাবে স্ফুলিং হয়ে উঠতে পারতো ? দেশের ক্রান্তি লগ্নে যদি ছাত্রদের পাশে দাড়াবার সাহস আমরা না ধারন করতে পারি তাহলে কেবল মুখে মুখে '' আমি সাদাকে সাদা বলার সাহস রাখি '' বলা সাজে না।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৩০

সোহানী বলেছেন: দেশ কেন যেন এখন ভীষন রকমের বিভক্ত। ভালো থাকুক আমার দেশ।

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মিথমেকার বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: @ মিথমেকার হাঃ হাঃ হাঃ কোন কথাকে কোন লাইনে নিয়ে গেলেন!!!
আপনি পারেন বটে - স্যালুট আপনাকে।
তবে আপনি দেশের জন্য কী পেরেছেন,পারছেন বা পারবেন সে আমি সুস্পষ্টভাবে বুঝে ফেলেছি। প্লিজ আমার উদ্দেশ্যে হাতিঘোড়া মারা মন্তব্য করে আর হাসাইয়েন না।

তবে আপনি দেশের জন্য কী পেরেছেন,পারছেন বা পারবেন সে আমি সুস্পষ্টভাবে বুঝে ফেলেছি।

আপনি কী বুঝেছেন সেটা আমিও বাজতে পেরেছি। এই জন্যই বলছি; এই জন্যই বলছি ইগোকে দমন করে সত্য কে মেনে নিন। টং দোকানের আর্গুমেন্ট স্টাইল পাবলিক এখন বোঝে! ননসেন্স ডিফেন্স না করে, পারলে নিজের গ্রহণযোগ্য অরবিট্রেশন দিন।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৩১

সোহানী বলেছেন: কুল ব্রাদার কুল।

২০| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:০৫

করুণাধারা বলেছেন: প্রথম তিন গ্রুপের মানুষেরা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে পড়বে অবশ্যই। কিন্তু এই তিন শ্রেণীর মানুষ আমাদের সমাজের মোট মানুষের অর্ধেকের কম। আর বেকুব শ্রেণি, এই শ্রেণীর মানুষ মোট সংখ্যার জনসংখ্যার বড়জোর ১০%, যারা যে কোন অন্যায় দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ে, একবারও ভাবেনা এর ফলে তার জীবনও চলে যেতে পারে...

কিন্তু এর বাইরেও একটা বিশাল শ্রেণী আছে, যারা নিরুপদ্রব জীবন কাটাতে পছন্দ করে। দুরন্ত আশা কবিতা থেকে উদ্ধৃত করছি:

ভদ্র মোরা, শান্ত বড়ো,
     পোষ-মানা এ প্রাণ
বোতাম-আঁটা জামার নীচে
     শান্তিতে শয়ান।
দেখা হলেই মিষ্ট অতি
মুখের ভাব শিষ্ট অতি,
অলস দেহ ক্লিষ্টগতি—
     গৃহের প্রতি টান।

লোভী নয়, অসৎ নয়, কিন্তু এরা ভীরু এবং আত্মকেন্দ্রিক। এরাই সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ । আমিও এদেরই একজন, না হলে আমারও এখন আন্দোলনকারীদের সমর্থন দিতে রাস্তায় থাকবার কথা...

সত্যিকারের সমাজের কথা বাদ দেই, আমাদের এই ভার্চুয়াল জগতের সামুতেও কিন্তু এমন গা বাঁচিয়ে চলা মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: আপনি কোনভাবেই ভীরু বা আত্মকেন্দ্রিক নন। আপনি আপনার জায়গাতে প্রতিবাদী। প্রতিবাদ মানেই রাস্তায় নামা নয়। যার যা ক্ষমতা আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরা। আমি লিখি তাই তা নিয়ে এসেছি। যে ছবিটা এড করেছি এটা প্রিমার আঁকা। প্রিমা কিন্তু দেশের নামকরা আর্টিস্ট। সে তার ক্ষমতাটুকু ছড়িয়ে দিয়েছে।

"সত্যিকারের সমাজের কথা বাদ দেই, আমাদের এই ভার্চুয়াল জগতের সামুতেও কিন্তু এমন গা বাঁচিয়ে চলা মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ।"
হয়তো তাই। শেরজা সেটা উপরে বলেছে। তারপরও আমি বলি এরা এখন চুপ আছে কিন্তু সময়ে প্রয়োজনে অবশ্যই কথা বলবে।

২১| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: করুনাধারা আপু, আপনার সাথে একমত হতে পারছি না বলে দুঃখিত। ব্লগিং এর শুরু থেকেই আপনাকে সব সময়েই অন্যায়ের বিপক্ষে বলিষ্ঠ পোস্ট ও কমেন্ট করতে দেখে আসছি। কাজেই আপনি নিজেকে গা বাচিয়ে চলা সুবিধাবাদী গ্রপে বা তিন নম্বর ভীত গ্রুপে কোন অবস্থাতেই ফেলতে পারেন না। আর রাস্তায় নামার বিষয়টা সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে পারি যে আজ যদি আপনি স্টুডেন্ট থাকতেন , তবে অবস্যই রাস্তায় নামতেন। আমিও নামতাম , এটুকু অবস্যই জোড় গলায় বলতে পারি। এখন সেই বয়স আর নাই আমাদের । তাই অনলাইনে ফেসবুকে , ব্লগে যতটুকু প্রতিবাদ করা সম্ভব তা জারী রেখেছি।

গা বাচিয়ে চলা সুবিধাবাদীদের পক্ষে আসলে কোন সাফাই হয় না। জুলুমের দিনে যে নিরব থাকে সে প্রকৃতপক্ষে জালিমের সঙ্গই দিল।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৩৭

সোহানী বলেছেন: এক্সাক্টলি। সেটাই আমি বলছি করুণাধারা আপুকে।

২২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটু গালিগালাজ হলেই একদলকে বলতে দেখি - দেশে বাক্‌স্বাধীনতা আছে বলেই এভাবে গালি দিতে পারলা। কিন্তু ঐ ডিকহেড বুঝতে পারলো না, দেশে বাক্‌স্বাধীনতা নেই বলেই সে বাক্‌স্বাধীনতার প্রশ্নটা তুলেছে। বাক্‌স্বাধীনতা কত ভয়ঙ্করভাবে চাপা দেয়া হয় এ দেশে গত কয়েকদিন ইন্টারনেটসহ সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ রাখায় তা পরিষ্কার বোঝা গেল। 'অপপ্রচার বন্ধের' নামে অপপ্রচার চালিয়ে এভাবেই বাক্‌স্বাধীনতা এদেশে হরণ করা হয়। আর বাক্‌স্বাধীনতা নেই বলেই অনেকেই অনেক কিছু লিখতে পারে না, বলতে পারে না। তারাই ভীত গ্রুপ, আধা ভীত গ্রুপ, বা অন্ধ গ্রুপ। আমি নিজেও অনেক লেখা পাবলিশ করেছি, আবার ড্রাফটে নিয়েছি, ড্রাফট ওপেন করেছি, আবার ড্রাফটে নিয়েছি। জীবনের ভয় সবারই আছে, শুধু নাই ক্ষুদিরাম, নূর হোসেন, আবু সাঈদের মতো ক্ষণজন্মা বীরপুরুষদের।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

সোহানী বলেছেন: আমরা ভুলে যাইনি আবরারের কথা। সামান্য ফেসবুকে পোস্ট লিখে তাঁকে জীবন দিতে হলো। কি পৈচাশিক!! একমাত্র স্বৈরাচারই কথা বলার অপরাধে সাজা দেয়। আমি লিখছি কারন দেশের বাইরে। দেশে থাকলে হয়তো এব কথা বলার সাহস করতাম না।

২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:০১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এমন দেখব বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। কেননা এই সরকারতো স্বাধীনতার পক্ষের সরকার, কী করে মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল পরাতে পারে! কী করে এতোগুলো লাশের লিষ্ট বানাতে পারে!!! লজ্জা বড়ই লজ্জা। প্রতিবাদ জানাই এমন ঘৃণ্য কর্মের।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৪১

সোহানী বলেছেন: "প্রতিবাদ জানাই এমন ঘৃণ্য কর্মের।"

কষ্টটা সেখানে, যারা নিজেদেরকে বোদ্ধা বলে তারা আজ এ হত্যাকান্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। ছি: তাদেরকে।

২৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আপনি আমাকে যে প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর আপনার পরের মন্তব্যে স্পষ্ট করেছেন। আর্গুমেন্ট এভাবে করা উচিত ।
একজন বললেন, এসব ফিশিং কোশ্চেন করে ব্লক রেইড করে নিরপরাধ মানুষকে ধরছে পেটুয়া বাহিনী। তাদের গুম করছে খুন করছে। আমার পরিচয় জানতে পারলে হায়নার পালের কালো খাতায় সেই তথ্য দিবেন নাকি!?? আপনাদের এসব চালাকি মানুষ এখন বোঝে! এসব করা বাদ দিন। ~ তাঁর মানে আমি বর্তমান সরকারের পেটুয়া বাহিনীর একনিষ্ঠ কর্মী কিংবা গুপ্ত তথ্যদাতা।
সেদিন আরেকজন বলেছিলেন, আমি রাজাকার,দেশোদ্রোহী!
এসব কথা শুনে আমি এখন নিজের পরিচয় গুলিয়ে ফেলছি। কি সব ভয়ঙ্কর হাস্যকর কথাবার্তা!
ব্লগে মতের মিল অমিল হতেই পারে। একেকজন তাঁর ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা শেয়ার করবেন- সেখানে মতের অমিল হলেই এভাবে ট্যাগিং করে অন্যের চক্ষুশুল করে দেয়া বা মুখ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করা কোন অপরাধের মধ্যে পড়ে কি বলে আপনার মনে হয়?
আমার দ্বিতীয় মন্তব্য প্রথম মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যের সুত্র ধরে এসেছে- সেখানে আমি ভণ্ডামীর আশ্রয় নেইনি। এখানে অনেকেই প্রতিনিয়ত রঙ পাল্টাচ্ছে, ইনিয়ে বিনিয়ে নিজেকে দেশপ্রেমী ও দুঃসাহসী হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করছে। আমি যা আমি তাই বলেছি।
যদি ভাবেন আমি একেবারেই নিবীর্য তবে আমার এই পোষ্টগুলো দেখে আসতে পারেন। সেখানে কিছু একটা প্রতিবাদ করার চেষ্টাতো করেছি।
ওই যে আপনি বললেন, সেই বয়স আর নেই। আজকে আমার গিন্নী বলছে, সে এখন ছাত্রী থাকলে কোনভাবেই তাঁকে কেউ আটকে রাখতে পারত না। এমনটা হয়তো আমার ব্যাপারেও হত। এখন ভাবি মেরে কেটে আর কিছুদিন- চলে গেলে তো চলেই গেলাম ...
ভাল থাকবেন।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: ব্রাদার এখন তর্ক করার সময় নয়। এখন সব তর্ক বাদ দিয়ে বাচ্চাগুলোর জীবন বাঁচানোর সময়। যারা এখনো বেঁচে আছে তাদেরকে যেযন মরতে না হয়।

২৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২০

কামাল১৮ বলেছেন: দিনে দিনে বড় রাজনৈতিক নেতৃ হয়ে যাচ্ছেন। যে হারে রাজনৈতিক পোষ্ট দিতে শুরু করছেন।

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৪৬

সোহানী বলেছেন: কেন ভাই রাজনৈতিক পোষ্ট দিতে শুরু করছি বলে কি রগ কাঁটবেন নাকি কিরিচ দিয়ে গলা কাঁটবেন নাকি প্রেটোল বোমা মারবেন। আপনারা সবই পারেন কারন আপনারা মানুষ না, পিচাশ।

২৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


অসাধারণ একটি মন্তব্য।



৪. ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০৬৩

শেরজা তপন বলেছেন: দেখুন আপু- আপনি যেটা বলছেন সেটা দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধ, আমরা ভীনদেশীয় দখলদার জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলাম। যে যুদ্ধটা আমাদের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল- আমাদের অন্য কোন উপায় ছিল না তখন, আপনি দেশের কোন প্রান্তে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদ ছিলেন না তখন। পরিস্থিতি ছিল; হয় মার না হয় মর।
আর এটা হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ! একদল ক্ষমতার জন্য মরিয়া হয়ে হিংস্র হবেই, এই হিংস্রতা ওদের ভয়ঙ্কর দুর্নীতি, স্বজনপ্রীয়তা, সহস্র অপরাধ-অনাচার, মুর্খতা আড়াল করার জন্য। আওয়ামীলীগ আজ যা করছে আমার ধারনা বি এন পি জামাত, জাতীয়পার্টি প্রায় তা-ই করত। ওদের জন্য যারা দলীয় ট্যাগে মায়াকান্না করছে তারাই তখন এটাকে জায়েজ করতে উঠেপড়ে লাগত।
আপনি কার জন্য জান দিচ্ছেন? আরেক জারজ স্বৈরাচারের পথ উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য নয়তো? রাজপথে শুধু কি তরুনেরাই জীবন দেবে- নেতারা নয় কেন? তরুনদের ঘাড়ে ভর করে তাদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলে আর কতদিন আমাদের উপমহাদেশের নেতারা তাদের ক্ষমতার পথ তৈরি করবে? আর একবার ক্ষমতায় পাকাপোক্ত হলেই সব অধিকার কেড়ে নিবে- ফের অধিকারের জন্য তরুনদের লড়াই- রক্ত, ফের আরেকদল বুড়োভাম ভণ্ডদের মায়াকান্না! ফের ক্ষমতার পালাবদল- আবার অধিকার কেড়ে নেয়া। এভাবেই চলছে ... চলুক না হয় বেশ!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

২৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



নারী কোটা বাদ দেওয়াতে এই আন্দোলনকে আমার কাছে অনর্থক মনে হয়েছে ।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ হলেও নারী কোটা রাখা দরকার ছিল।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২২

সোহানী বলেছেন: সেটা একান্তই আপনার ভাবনা।

২৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৫১

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:নারী কোটা বাদ দেওয়াতে এই আন্দোলনকে আমার কাছে অনর্থক মনে হয়েছে ।

@মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন , ছাত্রদের আন্দোলনে কি নারী কোটা বাদ দিতে বলেছিলো ? তাদের দাবি ছিল কোটা ব্যবস্থার সংস্কার। না জেনে লিখেছেন , নাকি ইচ্ছা করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন ? আপনার জন্য আফসোস !

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২৩

সোহানী বলেছেন: সবকিছুই এখন হিসেবের বাইরে। ভালো থাকুক আমার দেশ।

২৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:১৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: @ শেরজা তপন , ভাই আপনি ভুল বুঝবেন না। আপনার লেখায় যে প্রতিবাদ নাই, সেটা আমি কখনই বলি নাই। কিছুদিন আগে অনিকেত বৈরাগী তুর্যের এক পোস্টে বিরোধিতা করায় যে আপনাকে জামাত শিবির ট্যাগিং করা হয়েছিল তা ভুলি নাই। আপনি লেখক মানুষ। আপনার ইলিশ নিয়ে পোস্টটা এই ব্লগের অন্যতম সেরা একটি পোস্ট। বর্তমান সময় নিয়ে আপনার প্রতিবাদি একটা লেখা যে ব্লগ জগতে ঝড় তুলতে পারে তা আমরা ্সবাই জানি। হতে পারে আপনি স্বনামে লিখেন এটা একটা বড় সীমাবদ্ধতা। তবে এই সীমাবদ্ধতার কারনটা সামনে এনে আর দশজনকে বিভ্রান্ত না করাই এখন ভাল। সময়টা এখন শীড়দাড়ার পরীক্ষা দেবার সময়।এ কারনেই সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যপক ভাবে প্রচারিত হচ্ছে ক্ষুদিরামের এক বানি -

লড় ——
না লড়তে পারলে বলো ।
না বলতে পারলে লেখো ।
না লিখতে পারলে সঙ্গ দাও ।
না সঙ্গ দিতে পারলে যারা এগুলো করছে তাদের মনোবল বাড়াও ।
যদি তাও না পারো, যে পারছে,
তার মনোবল কমিও না ।
কারণ, সে তোমার ভাগের লড়াই লড়ছে ।
——ক্ষুদিরাম বসু।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২৪

সোহানী বলেছেন: লড় ——
না লড়তে পারলে বলো ।
না বলতে পারলে লেখো ।
না লিখতে পারলে সঙ্গ দাও ।
না সঙ্গ দিতে পারলে যারা এগুলো করছে তাদের মনোবল বাড়াও ।
যদি তাও না পারো, যে পারছে,
তার মনোবল কমিও না ।
কারণ, সে তোমার ভাগের লড়াই লড়ছে ।
——ক্ষুদিরাম বসু।

অসাধারন। কপি করলাম।

৩০| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:০০

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি বলেছিলেন ,আপনি রাজনীতি থেকে দুরে থাকেন,তাই বলা।আমি শিবির করি না যে রগ কাটবো।এটা শিবিরের কাজ।আপনি সচেতন মানুষ, আপনার কাছে ভালো শব্দ আশাকরি।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৩০

সোহানী বলেছেন: সবাইকে স্কিপ করে আপনাকে উত্তর দিলাম।

"আপনি সচেতন মানুষ, আপনার কাছে ভালো শব্দ আশাকরি।"

আমার সন্তানদের বুকে গুলি চালাবেন, পিটিয়ে মারবেন, ধরে ধরে টর্চার করে মারবেন ........... এরপর আমার কাছ থেকে ভালো শব্দ আশা করবেন!!!!! বাহ্ ভালো তো, ভালো না???

আপনি কি ভাই সত্যিই মানুষ? এতোগুলো লাশ আপনাকে কাঁদায় না? মুক্তযুদ্ধের এর পর এতো তরুন তাজা লাশ আর দেখেছেন?

অবশ্য রাজাকার আলবদররা ও কাঁদেনি। বাসায় বাসায় ঢুঁকে ধরে নিয়ে হত্যা করে বধ্যভূমিতে ফেলে রেখেছিল। মিল পাচ্ছেন আপনাদের কাজ কর্মে????

৩১| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



২৮. ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৫১১

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:নারী কোটা বাদ দেওয়াতে এই আন্দোলনকে আমার কাছে অনর্থক মনে হয়েছে ।

@মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন , ছাত্রদের আন্দোলনে কি নারী কোটা বাদ দিতে বলেছিলো ? তাদের দাবি ছিল কোটা ব্যবস্থার সংস্কার। না জেনে লিখেছেন , নাকি ইচ্ছা করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন ? আপনার জন্য আফসোস !


বিভ্রান্তি ছড়ানোতেই আমার আনন্দ।
আমি পুরো জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চাই।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২৫

সোহানী বলেছেন: বিভ্রান্তি ছড়ানোতে আনন্দের কিছু নেই।

৩২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৫২

অক্পটে বলেছেন: শেরজা তপন ভাই, লেখক হিসেবে আপনি ভালো। কিন্তু আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে যা বলেছেন তা খুবই দৃষ্টিকটু আপনার মন্তব্য যে কেউই পড়লে বুঝতে পারবে আপনি আসলে কি বলতে চাইছেন। একটু লেখাজোখার অভ্যাস আছে বলে মন্তব্য লিখে লিখে আপনার ভেতরের মানুষটাকে আপনি লুকানোর হাস্যকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনি কোন গ্রুপের সদস্য এটা আপনিই পরিস্কার করেছে।আপনি অত্যন্ত ভীরু এবং আত্মকেন্দ্রিক। সাঈদের আত্মত্যাগকে আপনি "বুদ্ধি বিবেকহীন মহামূর্খ বিকৃত মগজধারী" এই আমলের ২০২৪ এর নব্য রাজাকার আপনি।

স্যরি ভাই, জানি লেখার হাত আছে বলে উল্টা ঠেলতে পারছেন। তবে ভাই আপনাকে হানাদার বাহিনীর দোসর এবং রাজাকার বলতে পেরে আমার শান্তি লাগছে। এই সময়ে এসে একজন বিকৃত মগজধারীর পক্ষেই সম্ভব সাঈদ ভাইকে বুদ্ধি বিবেকহীন মহামূর্খ বলা। শেখ হাসিনাও তাই বলে আপনিও বললেন। আসলে শেখ হাসিনা রাক্ষসীর সাথে সাথে আপনাদেরও পতন চাই আমরা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২৫

সোহানী বলেছেন: শান্ত হোন ভাই। এখন দরকার সবার ঐক্যতা।

৩৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অক্পটে বলেছেন: @সোহানী, স্যরি মেম!
আপনার এই সময়োপযোগী লেখায় মন্তব্য না করে আমি শেরজা তপনকে প্রতিমন্তব্য করেছি। শেরজা তপনকে যেমন জানি তার কাছ থেকে এমনটা আশা করিনাই। এতগুলো মৃত্যু!!! এতগুলো তরুণের চলে যাওয়া! ওহ খোদা বিবেক কোথায় মানুষের! বুকের ভেতর আর চাপ নিতে পারছিলামনা। দুখী এবং বিরক্ত হয়ে গেছিলাম।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২৭

সোহানী বলেছেন: বুকের ভীতর যে চাপ তা বলে বোঝানো যাবে না। কি যে কষ্ট হচ্ছে এই বাচ্চাগুলোর জন্য, আমার দেশের জন্য। ভালো হয়ে উঠুক আমার দেশ।

৩৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: ৭১ রে আমি পরিপূর্ণ যুবক।এর থেকে হাজার গুন বেশি লাশ দেখেছি।আমি গুলি চালিয়েছি রাজাকারের বুকে।
এখানে আমি গুলি চালাই নি।আমি আপনার পাশেই থাকি।এবং প্রথম থেকেই আপনাকে ফলো করি।ছাত্রদের আন্দোলন আমি সমর্থন করি কিন্তু শিবিরের আন্দোলন সমর্থন করি না।জীবনের বেশিরভাগ সময় রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম।তাই রাজনৈতিক পোষ্ট দেখল মন্তব্যে আসি,নিজে লিখি না কিছুই।আপনার কোন পোষ্টে এই আমার শেষ মন্তব্য।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৩৪

সোহানী বলেছেন: যতটুকু জানি আপনি কানাডায় থাকেন। এখন একটা প্রশ্ন, কানাডায় বিনা বিচারে একটা পাখি মারা গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হয়। এরকম একটা পরিবেশে থেকে আবার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে কিভাবে হাজার তরুন লাশ দেখেও আপনার কোন বিকার নেই।

এ আন্দোলনে শিবির কোথা থেকে আসলো?? একটু প্রমান দিবেন কি? আমার বুঝতে সুবিধা হতো।

পুরো দেশ যেখানে নেমেছে একমাত্র লীগের গুন্ডা বাহিনী ছাড়া সেখানে সবাইকে ঢালাওভাবে শিবির বলাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? আর শিবির বা ভিন্ন মত হলেই তাকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করার বৈধতা আপনাদেরকে কে দিয়েছে? রাষ্ট্রের কোন আইনে আছে যে ভিন্ন মত হলে তাকে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে হত্যা করতে হবে???

আপনি বা আপনাদের সুস্থ্যতা কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.