নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
টিকটকার মামুন, হিরো আলমদেরকে দেখে এতোদিন একটা নেগেটিভ ধারনা ছিল এ তরুন প্রজন্মকে ঘিরে। সবাই তাদেরকে টিকটক প্রজন্ম বলেই ভাবতো। কিন্তু কি অদ্ভুতভাবে সবার সব হিসেব নিকেশ পাল্টে গেল মূহুর্তেই। যা আমরা করতে পারিনি, যা এতো বছর বড় বড় দলগুলো করতে পারেনি তা ক'দিনেই করে দেখিয়ে দিয়েছে এ বাচ্চাগুলো।
সিনেমার কোন স্যুটিং নয়, সত্যিকারের বুলেটের সামনে তারা দাঁড়িয়ে বুক পেতে দিলো। মরতে লাগলো একের পর এক কিন্তু কোনভাবেই তাদেরকে দমাতে পারলো না লীগের গুন্ডাবাহিনী, পুলিশ, বিডিআর, র্যাব। অস্ত্রের মুখে খালি হাতে কিংবা কিছু লাঠি বা ইটের টুকরো নিয়ে প্রতিহত করতে লাগলো এ বাচ্চাগুলো। চারপাশ থেকে ছুটে এসে পাশে দাঁড়ায় বাবা-মা, দাদু-দিদা....। কেউ খাবার নিয়ে, কেউ পানি নিয়ে, কেউ ভিজে টাওয়াল হাতে নিয়ে ছুটে যায় বাচ্চাগুলোর পাশে। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, এমন দৃশ্য শুধু আমার দেশেই দেখা যায়।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি | সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি।
তারপর দাম্ভিক স্বৈরাচার হঠাৎ করেই পালিয়ে বাঁচলো কিন্তু পিছনে রেখে গেল তার গুন্ডা বাহিনী। ক্ষমতার পালা বদলের সুযোগে হয়তো পুরোনো গুন্ডা বাহিনী বা সুযোগ সন্ধানী বাহিনী নেমে পড়লো ধ্বংসযজ্ঞে। জ্বালাও, পোড়াও কিংবা ডাকাতির মাধ্যমে দেশকে অস্থির করার চেস্টা শুরু করলো। আর এর সাথে প্রতিবেশী দেশ একচ্ছত্র অধিকার হারানোর শোকে শুরু করলো প্রপাগান্ডা। হিন্দু পরিবার বা মন্দির আক্রমন হচ্ছে বলে দাঙ্গা লাগানোর ব্যার্থ চেষ্টা করে যেতে লাগলো তারা।
পুলিশ বা অন্য বাহিনী কর্মবিরতিতে, সরকার প্রধান এখনো ক্ষমতায় নেই, তারপরও সব বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে আবারো মাঠে নেমে পড়লো বাচ্চাগুলো লাঠি, বাঁশি হাতে। দিনের ট্রাফিক সামলাচ্ছে, বাজার দেখভাল করছে, রাস্তা পরিস্কার করছে আর রাতের ডাকাত দলকে তাড়া করছে তারা। প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা ৫৩ বছরের জন্জাল পরিস্কার করতে।
কি অভূতপূর্ব দৃশ্য চারপাশে। এরাই আমাদের ছেলে, এরাই আমাদের ভবিষ্যত। হাঁ ওরাই পারবে, ওদের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। যা আমরা পারিনি এ ৫৩ বছরে আজ তারা জেগেছে, অবশ্যই তারা পারবে।
আর অতীতের সকল গুন্ডা ও ব্যার্থ বাহিনী ও তাদের সুবিধাভোগীদের উদ্দেশ্যে বলছি, ৫৩ টা বছর দেশকে লুটেপুটে খেয়েছেন। ধ্বংস করেছেন দেশকে। দূর্নীতি, চুরি, বিদেশে টাকা পাচার, বিচার বর্হিভুত হত্যা, গুম ............... অনেক কিছুই করেছেন এ ৫৩টা বছরে। যথেস্ট করছেন ও বয়স হইছে আপনাদের। এবার অবসরে যান। আপনাদেরকে ছাড়াই দেশটা চালাক এ নতুন প্রজন্ম।
আর যারা ক্ষমতা হারিয়ে পাগলপ্রায়, তাদেরকে বলছি: তরুনদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছেন তা বন্ধ করেন। আম্রিকা/চীনার ষড়যন্ত্র বলে যে চিল্লাপাল্লা করছেন তা বন্ধ করেন। দেশ আফগানিস্তান/পাকিস্তান হয়ে যাবে তার চিন্তা বাদ দেন।
দেশ এখন সংস্কার চলছে। এবং এর দায়িত্ব নিয়েছে একদল তরুন। আর তরুনদের উপর পূর্ণ আস্থা আছে আমাদের। ওদের বুকে আগুন, সৎ, দূর্নীতিগ্রস্থ নয়, দেশকে এগিয়ে নেবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারা। তারা পারবেই পারবে। আর আমার দেশ সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্বের মাঝে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবে অবশ্যই।
যারা শহীদ হয়েছে দ্বিতীয় এ যুদ্ধে, আমরা তোমাদের কখনই ভুলবো না। তোমাদের আত্মত্যাগেই আমরা পেয়েছি এ নতুন স্বাধীনতা।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
সোহানী
আগষ্ট ০৮, ২০২৪
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১৫
সোহানী বলেছেন: দেখুন সাজ্জাদ ভাই, এসব চিন্তা করে মাথা খারাপ করার কোন প্রয়োজন নেই। কি করতে হবে, কি করতে হবে না সেটা তারাই বুঝবে। আমাদের উপদেশ নিয়ে তারা আন্দোলন করেনি তাই আমাদের এখন গায়ে পরে উপদেশ মানায় না।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কোমলমতিরা যেহেতু তাদের ভাষায় একটি সফল বিপ্লব বা ছাত্র অভ্যুত্থান করতে পেরেছে তাহলে তাদের প্রথমেই উচিত ছিল বর্তমান সংবিধান স্থগিত রাখা।
কেননা, এখন যেকাজগুলোই করা হচ্ছে সবগুলি সংবিধান পরিপন্থী ।
এরা পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধন করতে যাবে।
সেটা করতে চাইলে নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে রাখতে হবে।
যদি নিজেদের অনুকূলে নির্বাচনের ফলাফল রাখতে চায়ই সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কোনভাবেই অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে না
কেননা, সংবিধান সংশোধনের জন্য এই বিপ্লবী সরকারকে অবশ্যই দুই শয়ের উপরে আসন পেতে হবে ।
যেটা একেবারেই অসম্ভব একটি ব্যাপার।
আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে সংবিধান সংশোধন করা এত সহজ কাজ হবে না। সেই নির্বাচনে বিএনপি ১৬০টির মতো আসন পেতে পারে এবং আওয়ামী লীগ পেতে পারে ১৪০টি আসন ।
তাহলে লেগে যাবে ক্যাঁচাল
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১৬
সোহানী বলেছেন: প্লিজ, এতো চিন্তা করবেন না। অনেকতো দেখেছি অন্যান্য দলের রাজনীতি। এবার না হয় রাজনীতি ছাড়াই ধেম পরিচালনা দেখি।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: আামরা এত বেশী আশাহত হয়েছি বার , সেজন্যই আর কারো প্রতি ভরসা রাখতে পারি না যেন ...
আমাদের অগ্রজেরা আশায় বুক বেঁধে পাকিস্তানভুক্ত হয়েছিল~ সেখানে ভয়াভহ আশাভঙ্গের বেদনা
ফের ভাষা আন্দোলন, গন আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ, দেশ স্বাধীন করল~ সেখানে আশাভঙ্গ
বঙ্গবন্ধু হত্যা~ পুরো দেশের ভবিষ্যত নিমিষে পালটে গেল! তার হত্যা না হলে হাসিনা- খালেদা রাজনীতিতেই আসতে পারত না কোনদিন। এরশাদের মত ব্যাকবোনলেস মানুষের তো প্রশ্নই আসে না।
৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন~ ফের একের পর এক স্বৈরাচারের আগমন আর আমাদের আশাভঙ্গ।
****
অবশেষে এবার আমরা ফের স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগের দ্বারপ্রান্তে। পাল্টে যাবে দেশ পাল্টে- যাবে ভবিষ্যত, অপেক্ষা ছাড়া উপায়ই কি-ই বা আমাদের।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২১
সোহানী বলেছেন: আমি খুব আশাবাদী মানুষ। হাজার অন্ধকারের ভীড়ে একটু আলো দেখলেই আমি আশাবাদি হয়ে উঠি।
এবার যা দেখেছি তা কল্পনার বাইরে। সামান্য একটি বিষয় যে এরকম একটি রেজাল্ট দিবে তা কি কেউ চিন্তা করেছিল?
প্রচুর রাজনৈতিক খেলা দেখেছি এতোদিন। এবার না হয় লেখা ছাড়াই সাধারন মানুষের লড়াই দেখি।
আর অপেক্ষা করছিই। যা ছিল এতোদিন তারচেয়ে কি খারাপ হবে? কারন খারাপের সর্বোচ্চ দেখে ফেলেছি আমরা।
আর যাদের নেগেটিভ পোস্ট দেখছি তারা মারাত্বক অর্ন্তজ্বালায় ভুগেছে। কিছু করতে পারছে না তাই ব্লগে এসে বাণী দিচ্ছে। এরা ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা। এদেরকে নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা করে না এখন এদেশের মানুষ।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
এগুলো বাচ্চা নয়, এগুলো কোমলমতি ট্রেনিং প্রাপ্ত কমন্ডো, যারা ছাত্রদের কৌশলে রাস্তায় এনে পুলিশের হাতে হত্যা করায়ে, পুরো জাতিকে রাগান্বিত করে, তাদের নিজেদের প্ল্যান কার্যকরী করেছে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৩
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা
আপনি মনে হয় রাগে অন্ধ হয়ে গেছেন। প্লিজ একটু রেস্ট নেন। ক'দিন ব্লগে কম বিচরন করেন নতুবা আপনার পাগলামীর মাত্রা আরো বেড়ে যাবে।
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
স্বৈরাচারের পলায়নে কিছু লোক দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তাদের উল্টাপাল্টা কমেন্টস দেখলেই তা অনুমান করা সহজ।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৫
সোহানী বলেছেন: পাগলে কি না বলে...........
সব কথা গুড়ুত্ব দিতে হয় না। খুব স্বাভাবিক, ক্ষমতা হারিয়ে পাগল হয়ে গেছে। তারা ভেবেছিল এতো জুলুম ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবে, কিন্তু হায় তারা চিনেনি এ তরুন সমাজকে।
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আওয়ামিলীগের সকল নেতা কর্মীও আওয়ামী সুবিধাভোগীদের জাস্ট অবসরে পাঠাইলে হবে ? তাদের কঠিন থেকে কঠিন্ তম সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশাক্ত সাপদের ছেড়ে দিলে তারা সুযোগ বুঝে ছোবল দেবার অপেক্ষায় থাকবে। সেই ছোবলের হাত থেকে এরপর আর কেউই রেহাই পাবে না। তাই বিপ্লব এখনও শেষ হয়নি। সামনে কঠিন সময়। জাতিগতভাবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৭
সোহানী বলেছেন: সাজা অবশ্যই পাবে। শুধু সময় দরকার। আর জাতিগতভাবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবেই হবে। এরা চাইবেই তাদের ক্ষমতা ফিরে পেতে।
৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
@মেঠোপথ২৩ ,
আওয়ামী লীগ আগামী ভোটে (যদি কখনো হয় ) অংশ নেবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৮
সোহানী বলেছেন: অবশ্যই অংশ নিবে। এটাইতো গণতন্ত্র। যদি ভোটে আসে তাহলে আবার ক্ষমতায় বসবে
৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: ২০১১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াদের জন্য বিচার চাইতে গিয়ে দেখেছি, স্যোশাল মিডিয়ায় অনেকে লাফ ঝাপ করলেও, বিচারের দাবীতে ব্যানার হাতে প্রথম কয়েকদিন দাঁড়িয়ে ছিলাম মাত্র ৩ জন! এরপর এল মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীরা কয়েকজন। কিন্তু কতজন আসার কথা ছিল, আসেনি। কত মানুষ পাশ দিয়ে হেটে চলে গেছে, তাকায়ও নাই। কত মিডিয়ার গাড়ি উকি দিয়ে চলে গেছে, পাশে দাড়ায়নি।
এভাবে কেটেছে কয়েক বছর।
এরপর সড়ক নিরাপত্তার দাবীতে ছাত্র আন্দোলন। ততদিনে পেশায় জড়িয়ে গেছি। সরাসরি থাকতে পারলাম না। কি নিপীড়নই না সহ্য করেছিল ছেলে-মেয়েগুলো।
এরপর ২০১৮ এর কোটা আন্দোলন।
আর
চুড়ান্ত বিজয় এল, ২০২৪ এ।
আমরা অনেকেই চেষ্টা করেছিলাম। নানা কারনে পারিনি। কিন্তু এরা পেরেছে। যারা রাস্তায় নামতে ভয় পেত, তাদেরকে নামিয়েছে। যারা পাশ কাটিয়ে চলে যেত, তাদের দাড় করিয়ে সাথে নিয়েছে। যে মিডিয়া উকি দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যেত, তাদেরকে দিনের পর দিন ক্যামেরা মাইক্রোফোন হাতে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে শামিল করতে পেরেছে। এদের এই বয়েসটা আমি পার করে ফেলেছি। আমাদের জেনারেশন মাঠের কাজটা পারি নাই, এরা পেরেছে।
তাই ওদেরকে বাহবা দিতেই হবে। ধন্যবাদ দিতেই হবে।
কিন্তু ওদেরও ভুল হতে পারে, কারন অভিজ্ঞতায় ওরা এখনো পিছিয়ে। এটা ওদের অযোগ্যতা, দোষ বা দায় নয়। আমাদের ঊচিত এখন ওদের পাশে থাকা।
আমি এখন মাঠে বেশিক্ষন থাকতে পারব না বটে, পেপারওয়ার্ক, পর্যবেক্ষন, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে কাজে লাগবে এমন আইডিয়া শেয়ার করতে পারি। এটাই সবাই করেন।
অযথা কেন অনেকেই বসে বসে পেছন থেকে টানছেন?
পরাজিত স্বৈরাচারী দল কিংবা ক্ষমতার লোভে বসে থাকা প্রাক্তন চৌর্যবৃত্তির দলের কথা শোনার কোন মানে নাই। এরা সবাই একই। এরা চায় যত দ্রুত সম্ভব, "ক্ষমতা"।
এরা কেউ একবারও বলেনি জনগন যেদিন " দায়িত্ব" দিবে সেইদিন "দায়িত্ব" নেব। ঠিকমত পালন করব। এরা শুধু চায় "ক্ষমতা"। এরা শাসনের ধান্ধায় আছে, সেবার নয়।
যুগে যুগে এরাই বিপ্লব ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমজনতার মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগের সম্পদ হয়ে গেল! ছাত্র জনতার বিপ্লবকে এখন অমুকের ক্রেডিট, তমুকের ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রচার করে ছিনতাইয়ের পায়তারা চলছে।
অতএব, সবাই সচেতন হোন। এই বিপ্লব জনতার থেকে বেহাত হতে দেবেন না। আর প্রতারিত হবেন না, প্লিজ।
উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিও আমাদের আহবান, আমাদের বিশ্বাস ভাঙবেন না। জনবিচ্ছিন্ন হবেন না অনুগ্রহ করে।
এর ফল কখনোই ভাল হবেনা আমাদের জন্য।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
সোহানী বলেছেন: আসলে আমাদের সবার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছিল তাই এবার সবাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
সেই আবরারকে হত্যার মধ্যেই সবার ক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সাথে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা আন্দোলন ছির। এরই ছাত্রলীগের গুন্ডামী এমন অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে মানুষ মুক্তির জন্য ছটফট করছিল। এবং সব কিছুর ফলাফল পলায়ন।
আপনাদেরকে স্যালুট। আমরা যা পারিনি, আপনারা শুরু করেছিলেন আজ নতুন প্রজন্ম বিজয় এনেছে।
আমি আশবাদী। ভালো কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য দেশের জন্য।
৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আবেগ দিয়ে অনেক কিছু বলা যায়, অনেক স্বপ্ন দেখানো যায়, অনেক স্বপ্ন দেখা যায় ।
কিন্তু বাস্তবতা বড়ই নির্মম ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের ছোট দেশ, সম্পদ কম এবং বিশাল তার জনসংখ্যা ।
এগুলোকে সম্পদে পরিণত করা চারটি খানি কথা নয়।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৪২
সোহানী বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই, আপনাকে সিঙ্গাপুর আর চীনের ইতিহাস পড়ার অনুরোধ করছি।
যে চীন এক সময় বাংলাদেশে মুচি আর দাঁত ফেলার কাজ করতো তারা এখন কানাডার মতো দেশে বিলিয়ন ডলার ডোনেশান দেয়।
কিভাবে জানেন?
তারা তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা অতিরিক্ত জনগণ তাদেরকে কাজে লাগিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি বেইজ ইকোনমি গড়ে তুলেছে। ক্ষুদ্র মাঝারি ইন্ডাস্ট্রিকে প্রমোট শুরু করেছে। সরকারী সাহায্যে কম মূল্যে কাঁচামাল আমদানী বা উৎপাদন শুরু করেছে। যার ফলশ্রুতিতে আজ সারা বিশ্বের বাজার তারা দখল করেছে কারন তাদের চেয়ে সন্তায় মাল কেউই দিতে পারে না।
আমরা সে পথে অবশ্যই এগােতে পারি। দেশ এগিয়ে যাবেই যাবে।
১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৮
করুণাধারা বলেছেন: ক্ষমতার পালাবদলের সুযোগে হয়তো পুরনো গুন্ডাবাহিনী বা সুযোগ সন্ধানী বাহিনী নেমে পড়ল ধ্বংসযজ্ঞে। জ্বালাও পোড়াও কিংবা ডাকাতির মাধ্যমে দেশকে অস্থির করার চেষ্টা শুরু করল। আর এর সাথে প্রতিবেশী দেশ একচ্ছত্র অধিকার হারানোর শোকে শুরু করল প্রোপাগান্ডা। হিন্দু পরিবার বা মন্দির আক্রমণ হচ্ছে বলে দাঙ্গা লাগানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে যেতে লাগলো তারা।
সম্ভবত প্রতিবেশী দেশে পেইড এজেন্ট হবে, না হলে এরা সামু ব্লগেও একই রকম প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে কেন!!
দেশ এখন সংস্কার চলছে। এবং এর দায়িত্ব নিয়েছে একদল তরুণ। আর তরুণদের উপর পূর্ণ আস্থা আছে আমাদের। ওদের বুকে আগুন, সৎ, দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তারা। তারা পারবেই পারবে।
যে সমস্ত পরজীবী এই তরুণদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের ধিক্কার জানাই।
আর আমার দেশ সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে অবশ্যই
অবশ্যই। নতুন করে এখন স্বপ্ন দেখছি।
১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৩
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা আপু, সামুর পেইড এজেন্টদের মাথা খারাপ হয়েগেছে হঠাৎ ক্ষমতা হারিয়ে। তারা কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারেনি যে তাদেরকে কেউ সরাতে পারে। এতো এতো গুন্ডা বাহিনী থেকে তারা ক্ষমতা থেকে সরে যাবে তারা তা কল্পনাও করেনি। তাই এরা পাগল হয়ে গেছে।
কিছুদিন এরকম পাগলামী করতে থাকবে তারপর হয়তো গণপিটুনি খেয়ে থামতে বাধ্য হবে।
আমি দেশ নিয়ে অসম্ভব পজিটিভ। এরা পারবেই পারবে। আমরা শুধু ওদেরকে সাপোর্ট দিবো বিরোধিতা নয়। ব্যাস এটুকুই চাওয়া।
১১| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই ছাত্র-জনতা আন্দোলন হাজারো পরিস্থিতির এমন কিছু ছবি আমাদের সামনে এনেছে, যার সাথে আমরা কোনদিন পরিচিত ছিলাম না। কি সাহস, কি প্রতিবাদের ভাষা, কি ত্যাগ...........আমি যতো দেখেছি, ততোই মুগ্ধ হয়েছি। আমি এখন জানি, এই তারুন্যের জোয়ারকে আর কোন বাধ দিয়েই রোখা যাবে না।
এই তারুন্যই আমাদের আগামীর পথ দেখাবে। এদের মাধ্যমেই আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাবো। আমি প্রচন্ড রকমের আশাবাদী।
না দেখে থাকলে ভারতীয় ইউটিউবার আকাশ ব্যানার্জীর এই ভিডিওটা দেখতে পারেনview this link
১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৭
সোহানী বলেছেন: আমি অসম্ভব আত্ববিশ্বাসী হয়ে উঠেছি ওদেরকে নিয়ে। ওরা পারবেই পারবে। কি যে ভালো লাগছে এরকম একটি দেশ দেখে তা বলে বোঝাতে পারবো না। সেই ইউনিভার্সিটি জীবনে ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে। আবার সবকিছু শুরু করতে ইচ্ছে হচ্ছে ওদের সাথে।
আমাদের সম্পদ কম, বেকারত্ব........ অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু একদিন ঠিকই এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। শুধু এ গুন্ডা বাহিনীকে থামাতে হবে। এরা যেন কোন ক্যাচাল তৈরী করতে না পারে।
আকাশ আর ধ্রুব কে আমি বরাবরেই ফলো করি। ভারতীয় প্রপাগান্ডার মাঝে এ দু'জন অন্তত সত্য নিউজ দেবার চেস্টা করে।
১২| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরোপুরি একমত আপনার পোস্টের সাথে।
১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৮
সোহানী বলেছেন: আপনি মনে হয় এ প্রথম আমার কোন পোস্টে পুরোপুরি একমত হয়েছেন
১৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: না। আগেও আপনার অনেক পোস্টে পুরোপুরি একমত হয়েছি তবে হয়তো মন্তব্য করিনি সেই পোস্টে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কোমলমতিরা যেহেতু তাদের ভাষায় একটি সফল বিপ্লব বা ছাত্র অভ্যুত্থান করতে পেরেছে তাহলে তাদের প্রথমেই উচিত ছিল বর্তমান সংবিধান স্থগিত রাখা।
কেননা, এখন যেকাজগুলোই করা হচ্ছে সবগুলি সংবিধান পরিপন্থী ।
এরা পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধন করতে যাবে।
সেটা করতে চাইলে নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে রাখতে হবে।
যদি নিজেদের অনুকূলে নির্বাচনের ফলাফল রাখতে চায়ই সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কোনভাবেই অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে না
কেননা, সংবিধান সংশোধনের জন্য এই বিপ্লবী সরকারকে অবশ্যই দুই শয়ের উপরে আসন পেতে হবে ।
যেটা একেবারেই অসম্ভব একটি ব্যাপার।
আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে সংবিধান সংশোধন করা এত সহজ কাজ হবে না। সেই নির্বাচনে বিএনপি ১৬০টির মতো আসন পেতে পারে এবং আওয়ামী লীগ পেতে পারে ১৪০টি আসন ।
তাহলে লেগে যাবে ক্যাঁচাল