নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাডাবাদ থেকে সুররিয়ালিজম: অবিস্মরণীয় সেই শৈল্পিক উত্তোরণ

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ৮:৪৯





ডাডাবাদ। বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভের ইউরোপীয় একটি শিল্প আন্দোলন; একই সঙ্গে এটি একটি শিল্পতত্ত্বও বটে। ডাডাবাদী চিন্তাধারা সূত্রপাত হয়েছিল পূর্ব ইউরোপে-বিশেষ করে রুমানিয়ায়। রুমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বেই ডাডাবাদী কবিতা ও গদ্যের স্ফূরণ লক্ষ করা গিয়েছিল। অতিরিক্ত যৌক্তিক চিন্তা ও বুর্জোয়া মূল্যবোধ মানবসভ্যতার অমঙ্গল করে; কাজেই যৌক্তিকতাবিরোধী ও শিল্পবিরোধী অবস্থান নেওয়া অনিবার্য হয়ে উঠেছে-এই বিশ্বাসই ডাডাবাদী চিন্তাচেতনা । এমনটা ভাবার কারণ? তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) ঘনিয়ে এসেছিল।

কয়েকজন রুমানিয় শিল্পী প্রথম মহাযুদ্ধের প্রারম্ভে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে সেটেল করে। এদের মধ্যে হুগো বেল, এমি হেমিংস্, ট্রিসটান জারা, জ্যাঁ আর্প, মার্সেল জানকো, রিচার্ড হিউয়েলসেনবেক, সোফি টাওবের উল্লেখযোগ্য । এদের সবাই যে রুমানিয়-তাও না। ১৯১৬ সাল। প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। জুরিখের এক ক্যাফেতে বসে এরাই এক নতুন শিল্পবিরোধী শিল্পরীতির ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।

সেই কাফের কাছেই একটি অ্যাপার্টম্যান্টে রাশিয়ার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করছিলেন ভ­াদিমির ইলিচ লেলিন ।

ডাডা শব্দের উদ্ভবও রুমানিয় ভাষার সঙ্গে জড়িত। দুজন রুমানিয় শিল্পী - ট্রিসটান জারা ও মার্সেল জানকো- এরা প্রায়ই ‘ডা’, ‘ডা’ করতেন। রুমানিয় ভাষায় ‘ডা’ হচ্ছে: ঠিক। ইংরেজি ইয়ে ইয়ে বা হ্যাঁ হ্যাঁ। কারও কারও মতে অবশ্য ডাডাবাদের উদক্তোরা জুরিখের সেই ক্যাফেতে বসে নতুন শিল্প আন্দোলনের জন্য যুৎসই একটি নাম খুঁজছিল। কার হাতে ছিল একটি ফরাসি-জার্মান অভিধান । সেখানেই ডাডা শব্দটি ছিল। ফরাসি ভাষায় ডাডা মানে: খেলনা ঘোড়া।

যা হোক। এভাবেই সুইজারল্যান্ডের জুরিখের একটি কাফেতে ডাডাবাদের সূচনা হল; যা ১৯১৬ থেকে ১৯২২ সাল অবধি তুঙ্গে ছিল। মূলত যুদ্ধ বিরোধী আর প্রচলিত শিল্পধারনার বিমূখ এই শিল্প আন্দোলনটি তৎকালীন শিল্পসাহিত্য কবিতা শিল্পতত্ত্ব মঞ্চ গ্রাফিক ডিজাইন-প্রভৃতি শিল্পমাধ্যমে ছাপিয়ে যায় ।







দাদাবাদকে এক ধরনের প্রতিশিল্পও বলা যায়।



বিরাজমান সংস্কতি যুদ্ধের জন্ম দেয়; কাজেই এর বিরোধীতা করা উচিত। শিল্পকে হতে হবে বিমূর্ত । কেননা, এটি পরিকল্পনা ও যৌক্তিক চিন্তাধারার বিপরীত। পরিকল্পনা ও যৌক্তিক চিন্তাধারা জন্ম দেয় যুদ্ধের আবহ। রিচার্ড হিউয়েলসেনবেক বলেছেন-""[A]bstract art signified absolute honesty for us." এ কারণেই ডাডাবাদকে বলা যায় উত্তরাধুনিক শিল্পের জনক। ডাডাবাদী ধ্যান ধারনা তারপর জুরিখ থেকে অপরাপর ইউরোপীয় শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায়।এর কর্মীসমর্থকরা মিছিল মিটিং বিক্ষোভ করে। নিয়মিত বইপত্র-জার্নাল প্রকাশ করে । ডাডাবাদ পরের শিল্পান্দোলনকেও প্রভাবিত করেছিল। আজ যে আমরা বিমূর্ত (যা মূর্ত নয়) কবিতা ও চিত্রকলার কথা বলি -ডাডাবাদ তারই পথ তৈরি করে দিয়েছিল। উত্তরাধুনিক শিল্পের সূচনা করেছিল। পরাবাস্তববাদের ভিত্তিপ্রস্তর রচনা করেছিল।







১৯২৪ এর দিকে ডাডাবাদী আন্দোলনটি কেমন থিতিয়ে আসে। যুদ্ধ শেষ সেই ১৯১৮ সালেই। প্যারিসে ডাডাবাদ পরাবাস্তববাদ শিল্প আন্দোলনে বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। ডাডাবাদী শিল্পীরা ক্রমশ অন্যান্য আধুনিক শিল্পরীতির দিকে ঝুঁকে পড়ছিলেন। যেমন: সুররিয়ালিজম, সমাজবাস্তবতা। তিরিশ-চল্লিশের দশকের প্রাক্কালে অনেক ইউরোপীয় ডাডাবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। অনেকেই হিটলারের মৃত্যুশিবিরে প্রাণ দেন শিল্পকে বিকৃত করার অজুহাতে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ডাডাবাদ ঝিমিয়ে আসে। আরও কিছু নতুন শিল্প আন্দোলনের জন্ম হয়। যেমন, সিচুয়াশনিষ্ট এবং কাকোফনি সোসাইটি।

তবে সুররিয়ালিজম বা পরাবাস্তববাদই ডাডাবাদের সার্থক ও সফল উত্তরসূরী।







দিনক্ষণ গুণে কোনও নতুন শিল্পআন্দোলনের সূচনা হয় না। ফরাসী কবি গিয়োম অ্যাপোলিনিয়ার (১৮৮০ ১৯১৮) লেখায় বদলে যাচ্ছিল প্রকাশের বৈশিষ্ট্য। তাঁর লেখা কবিতা আদি-সুলিয়ালিস্ট কাব্যের নির্দশন হয়ে রয়েছে।



শ্বেত তুষার



আকাশে দেবদূতগন

একজন পরেছে অফিসারের পোশাক

একজন আজ পরেছে রাধুঁনির পোশাক

অন্যরা গান গাইছে



চমৎকার আকাশ-রঙা অফিসার

ক্রিসমাসের পরের বসন্ত

তোমাকে সুন্দর সূর্যে সাজাবে

চমৎকার সূর্য



রাঁধুনি হাঁস বাছছে

আহ! তুষার পতনের শব্দ

পতন এবং আমি আমার আলিঙ্গনে

তোমাকে পাচ্ছি না ...



ডাডাবাদী আন্দোলনের গোঁড়ায় একাধিক শিল্পী জড়িত ছিল;- পরাবাস্তববাদের শুরুতে অবশ্য একজন ব্যাক্তির উদ্যেগ ছিল অতীব গুরুত্বপূর্ন। তিনি হলেন ফরাসি লেখক ও কবি আন্দ্রে ব্রেঁতো (১৮৯৬-১৯৬৬)। চিকিৎসাবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানও চর্চা করেছিলেন ব্রেঁতে। ১৯২৪ সালে 'দ্য সুরলিয়ালিস্ট মেনোফ্যাস্টো’ প্রকাশ করলেন। এভাবেই পরাবাস্তবাদের উত্থান ও বিকাশ ঘটল প্রথম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে। পরাবাস্তববাদের উত্থান হয়েছিল ডাডাবাদ থেকে। ডাডাবাদ ছিল যুক্তি ও শিল্পবিরোধী। পরাবাস্তববাদ জোর দিল সদর্থক প্রকাশের ওপর। তবে এর অবস্থানও যুক্তিবাদের বিরুদ্ধে। পরাবাস্তবাদের সমর্থকরাও বললেন: যৌক্তিকতাবাদ ইউরোপীয় সংস্কৃতির কেন্দ্রে থাকায় মহাযুদ্ধের জন্ম দিয়েছে। আন্দ্রে ব্রেঁতো বললেন : অভিজ্ঞতার চেতনাচেতনে পরিভ্রম করে পরাবাস্তববাদ এক ধরনের স্বপ্নময় ফ্যান্টাসির জন্ম দেয়-যা পরিপূর্ন বাস্তবতা বা পরাবাস্তবাদ সৃষ্টি করে। ফ্রয়েড নির্জ্ঞান মনের তত্ত্ব জানতেন ব্রেঁতো। বললেন: অবচেতন মন হতে পারে কল্পনায় অশেষ উৎস। এই অধরা প্রদেশে অবগাহন করার জন্য তিনি শিল্পীসাহিত্যিকদের আহবান জানালেন।

এই ঘোষনার পর শুরু হল এক বিস্ময়কর যাত্রা।





কেবল অবচেতন মনের আবিস্কারই নয়-পরাবাস্তববাদে আরও বহু উপাদান সংযুক্ত হল। যেমন, সারপ্রাইজ, অভাবিত উদ্ভট পরিবেশনা, যুক্তির শিথিলতা। পরাবাস্তববাদের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল প্যারিস। পরে, গোলার্ধের সর্বত্রই অভিনব ধারনাটি ছড়িয়ে যায়। জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অটোমেটিক রাইটিং। স্বপ্নের আর বিবরণ। ফ্রয়েড ছাড়াও মার্কস ও হেগেলও প্রভাব রেখেছিলেন পরাবাস্তব ধ্যানধারণায়।

এভাবে শুরু হল উত্তরাধুনিক এক শিল্প ঘরানার। উত্তরাধুনিক শিল্পের অনেক কলাকৌশলই পরাবাস্তববাদে প্রয়োগ করা হয়েছিল।

ডাডাবাদ ও পরাবাস্তব বাদ উভয়ই যুদ্ধ বিরোধী। ডাডাবাদে অবচেতন মনের গুরুত্ব না থাকলেও এই আন্দোলনটির অবস্থান ছিল প্রথম মহাযুদ্ধের বিরুদ্ধে- যে কারণে মানবিক। একই সঙ্গে জাতীয় বুর্জোয়া ভাবধারা ও ঔপনেবেশিক শাসনশোষনের বিরোধী ছিল ডাডাবাদী চিন্তাচেতনা। কেননা, তারা বিশ্বাস করতেন যুদ্ধের মূল কারণ জাতীয় বুর্জোয়া মূল্যবোধ। যে শিল্পকলা যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট -ডাডাবাদীরা সেই শিল্পকলার বিরোধী ছিল। পরাবাস্তববাদও তাই মনে করে: পুঁজিবাদী সমাজের যুক্তিবাদ মানুষকে আলটিমেটলি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। সে কারণে সুরিয়ালিস্ট শিল্পীরা সচেতন ভাবে যৌক্তিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাস্তবতা বা রিয়ালিটির বিকৃতি সাধন করেন মানবজাতির কল্যানে। মনে থাকার কথা ডাডাবাদী শিল্পী রিচার্ড হিউয়েলসেনবেক বলেছিলেন-"[A]bstract art signified absolute honesty for us."



সব কটি ছবিই ডাডাবাদী ও সুরিয়ালিষ্ট শিল্পী মার্সেল ডুকাম্পের



তথ্যসূত্র: ড. বিমলকুমার মুখোপাধ্যায়। সাহিত্য-বিবেক।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১২/-১

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ৯:০০

জটিল বলেছেন: আজকে একটা কিছু আঁকি তবে ...

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ৯:১৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: তা হলে তো খুব ভালো হয়। এ ধরনের -মানে- ডাডাবাদী ছবির লিংক:

Click This Link

২| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ৯:১৮

ইন্ডিয়ানা জোন্স বলেছেন: সরি, বস, পোস্ট টা পড়ি নাই... শুধু সারিয়ালিঝম শব্দটা দেইখা আর নিজেরে থামায়া রাখতে পারলাম না!!!! জীবনে তো কম সারিয়াল ব্যাপার স্যাপার এক্সপিরিয়েন্স করলাম না!!! যারে আমার কাছে প্রায় unreachable মনে হইত তারে যেদিন নিজের আলিংগনের ভিতর আবিষ্কার করলাম ব্যাপারটা সারিয়াল ই মনে হইতাছিল...

একবার মাঝনদীতে প্রচন্ড ঝড়ের মাঝে নৌকার মাঝে শুয়া থাকতে হইছিল কারন বইসা থকলে হয়তোবা বাতাসের তোড় উড়ায়া নিয়া যাইতে পারে আমাদের.. শুধু সেই তরুণ মাঝি ব্যাটা বইসা নৌকারে কন্ট্রল করতাছিল... তার দক্ষতায়ই বাইচা আছি... এই এক্সপিরিয়েন্সটাও কম সারিয়াল মনে হয় না যখন রিকালেক্ট করি!!!.........

কতশত সারিয়াল ঘটনার মাঝে বাইচা থাকি.. শুধু দালি'র সারিয়ালিঝম টাই বুঝিনা!!!! এরা কি বানায়া বানায়া ছবি আকে তাইলে? :(

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ৯:২৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: দালি'র সারিয়ালিঝম টা আসলে মানুষের বিশেষ মুহূর্তের ভাব। অন্য কিছু নয়। আমি তখন লিখলাম না-কেবল অবচেতন মনের আবিস্কারই নয়-পরাবাস্তববাদে আরও বহু উপাদান সংযুক্ত হল। যেমন, সারপ্রাইজ, অভাবিত উদ্ভট পরিবেশনা, যুক্তির শিথিলতা।

দালি'র সারিয়ালিঝম টা ও তেমন। সব বোঝার দরকার নাই। মানে-অবচেতন মনের সবটা বোজা যায় না।

যাক। আপনার নদীর অভিজ্ঞতা ভালো লাগল। তবে বাহিরের ঘটনা না-সুরিয়ালিজমে মনের অনুভূতিই আসল।
অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ৯:৪৪

ত্রিভুজ বলেছেন: অবচেতন মনে মানুষের চিন্তা-চেতনা খুব কমই যৌক্তিক থাকে। আর আবেগ ও বিশেষ কিছু ঘটনার জন্য যৌক্তিকতার প্রয়োজনও হয় না। তাই এগুলোর জন্য আলাদা -ইজম ইনস্টল করতে হয় না। তবুও খুব বেশী বস্তুবাদ ও যৌক্তিক (যারা সবকিছুর যৌক্তিক ব্যাখ্যা চায়) জগতের জন্য ডাডাজমের দরকার ছিলো মনে হওয়ায় বিষয়টা আগ্রহ নিয়েই পড়েছিলাম। কিন্তু বেশীদূর যাওয়া হয় নাই... যেকোন কারণেই হোক আমার কাছে ভাল লাগে নাই বা আকর্ষনী বা নতুন কিছু মনে হয় নাই।

আর যতদূর জানি ডাডাজমের সূত্রপাত কোত্থেকে হয়েছে বা কবে হয়েছে এটা কেউ পরিষ্কার করে জানে না। সূত্রপাতের বিষয়টা ধারনাগত..

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:০১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অবচেতন মনে মানুষের চিন্তা-চেতনা খুব কমই যৌক্তিক থাকে। আর আবেগ ও বিশেষ কিছু ঘটনার জন্য যৌক্তিকতার প্রয়োজনও হয় না। তাই এগুলোর জন্য আলাদা -ইজম ইনস্টল করতে হয় না।

আপনি এই কথাটা এখন বলছেন। ১৯২৪ সালে কি বলতেন-যখন অবচেতন আবিস্কার হল?

আপনি বলেছেন-আর যতদূর জানি ডাডাজমের সূত্রপাত কোত্থেকে হয়েছে বা কবে হয়েছে এটা কেউ পরিষ্কার করে জানে না। সূত্রপাতের বিষয়টা ধারনাগত..

সেটা আপনার মনে হতে পারে। ইতিহাসবিদ্যা ইউরোপে অনেক এগিয়ে গেছে। কেউ জানে না বলাটা আমাদের প্রথা ...


৪| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:০২

অনাহূত বলেছেন: পোষ্ট টা পড়ে ভাল লাগল, ডাডাবাদ সম্পর্কে খুব ভাল ধারনা ছিল না, এখন আরো অজানা অনেক কিছুই জানলাম.....ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর একটি পোষ্ট এর জন্য।

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অল্প কথায় মূল কথাগুলি বলার চেষ্টা করেছি।
এ নিয়ে আরও আলোচনা ভবিষ্যতে করব।
ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:০৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ইমন এক্টা অনুরোধ। এ অঞ্চলের শিল্প বিকাশ নিয়ে সিরিজ লিখুন।

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অবশ্যই । সেরকম পরিকল্পনাও রয়েছে।
ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:১৮

ইন্ডিয়ানা জোন্স বলেছেন: বস.. আপনার ব্লগে যদি অনুরোধের আসর যদি বসেই, তবে আমার অনুরোধটা আগে রাখেন.... প্লীঝ সিলেটী ভাষা নিয়া একটা পোস্ট দেন... আফটার অল আপানার উপর আমার দাবি বেশী... শরতের থিকা আী বেশী কমেন্ট করছি আপনার ব্লগে!!! :)

সিলেটী যে একটা ভাষা আর এইটা যে এক্টা ডায়ালেক্ট না এইটা কবে যে পাব্লিক বুঝবো???? আী মুজতবা আলীর মত ভাষাবিদ না... কিন্তু আমার জানা ভাষা গুলার মাঝে সিলেটী ভাষা টাই... আহ.. ভাষা একখান...সামান্য এক্সেন্টে ভাবের কত পরিবর্তন ঘটায় এই ভাষাটা.. আাআাআাআাআহহহহহহহহহহহহহহহহহ....

মারেন একটা পোস্ট প্লিঝ...

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:২৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সিলেটি ভাষা নিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন-

Click This Link

পরে আমিও লেখার চেষ্টা করব। আমি সিলেটের না হলেও যে কোনও কারণেই হোক সিলেট, সিলেটের মানুষ ও সিলেটের ভাষা আমাকে ভীষন টানে।

ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:২০

অন্যরকম বলেছেন: গতকালই ডাডাবাদ ও সুররিয়ালিজম নিয়া পড়তেছিলাম উইকি আর গুগলে। আমার এ বিষয় নিয়ে অনেক আগ্রহ ছিল কিন্তু পরিষ্কার ধারণা ছিল না। আজকে কিছুটা পরিষ্কার হল। আমার এই মাত্র দেয়া পোস্টে এটা নিয়ে হালকা একটা আলোচনা করেছি। পারলে ঘুরে আইসেন।
আর এটা নিয়ে আরও ডিটেইলস লিখলে আরও বেশী উপকৃত হব! ধন্যবাদ।

+ এবং প্রিয়তে!

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:৩০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। পড়ব।

পরে আরও ডিটেইলস লিখব। মাত্র শুরু করলাম। অন্যান্য শিল্পরীতিও আসবে।
ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:৫১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যারা ফিল্ম ও নাটক নিয়ে কাজ করতে চায়, যারা ছবি আঁকতে চায়, যারা কবিতা লিখতে চায়, যারা যে কোন শিল্প মাধ্যমে কাজ করতে চায়, তাদের কি উপায় আছে এই সব ইজম না বোঝা ? তাদের এগুলি বুঝতেই হবে।
অনেকে এগুলো না বুঝেই অনর্থক তর্ক করে।
শিল্পকলার ইজমগুলো নিয়ে আরও পোস্ট চাই। খুব ভালো লেগেছে। আপনার লেখার খুবই ঝরঝরে।

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:৫৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সবচে বড় কথা পরাবাস্তববাদ ও ডাডাবাদ একান্তভাবেই যুদ্ধবিরোধী ও বুর্জোয়া ফাঁপা জীবনধারার বিরোধী। কাজেই ইউরোপ বলতে সাম্রাজ্যবাদী ব্লেয়ার-বুশ না বুঝে-ইউরোপের মানবতাবাদী শিল্পীদের জীবনদর্শন বুঝতে হবে।

ধন্যবাদ। শিল্পকলার বিভিন্ন মতবাদ নিয়ে আরও লিখব।

৯| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:০১

বাফড়া বলেছেন: থ্যংকিউ বস... আপনার দেয়া আপনার ছোট ভাইয়ের লিংকটা ঘুরে দেখলাম... থ্যংস.. ৈটা প্রিয় পোস্টে নিছি... সিলেটী ভাষা নিয়া যেকোন পোস্টই ক্লোঝ টু মাই হার্ট.. :)

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:১৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আকাশ আমার ভাই। ডাবলিনে ছিল। স্টিলের ওপর থিসিস শেষ করে এখন ঢাকায় ফিরেছে। গ্রামের স্কুলে শিশুদের পড়াবে। এই রকমই ইচ্ছে। সিলেটের নিজস্ব বর্ণমালাও ছিলো শুনে টাশকি খাইছি।

১০| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:০৫

বাফড়া বলেছেন: নাহ বস..। এই নিকে আকাশ অম্বরের ঐ পোস্ট টারে শোকেসে ঢুকানো গেল না !!! :(

০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:১৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আচ্ছা।

১১| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫২

মাহবুব রশিদ বলেছেন: দাদা বাদ সুররিয়ালিজমে উত্থানের সোপান একথার সাথে একমত পোষণ করে আরেকটি ব্যাপারে ইমন জবায়েরে'র দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই। দাদাবাদ মনে করতে পারি, খুব স্বল্পস্থায়ী আন্দোলন,১৯২১-২৩ পর্যন্ত এর বিস্তার মনে হয়,কিন্তু খুব প্রভাব বিস্তারি ছিল। কিন্তু একে কেবল সুররিয়ালিজমের পূর্বসুরি বললে এর উপর কেবল সুররিয়ালিজমের গুণ আরোপ করা হয়, আসলে দাদাবাদ একটি পৃথক আন্দোলন, apetite for destruction এর মুল কথা, এই destruction এর উদ্দেশ্য হল সমাজের অনাচা, অনিয়ম ,পাগলামি কে ধ্বংশ করা। বিষে বিষক্ষয়।distortion এর মাধ্যমেই distortion কে জয় করা যাবে, এমনি ছিল তাদের মানবতাবাদী দর্শন।আমি মূলতঃ যা বলতে চাচ্ছি, তা হল, দাদাবাদ আলাদা ভাবে বিবেচনার দাবী রাখে, কোন আন্দোলনের পূর্বস্তর হিসেবে এর বর্ণনা এর পরিচয় কে খন্ডিত করবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ডাডাবাদ অবশ্যই এক পৃথক শিল্প আন্দোলন। এর অব্যবহিত পরের আন্দোলনটিই পরাবাস্তবাদ। সেই উত্তোরণ কী ভাবে হয়েছিল আমি অল্প কথায় তাইই দেখাতে চেয়েছি। পূর্বাপর বলে একটা কথা আছে। আমি লিখেছি -বিরাজমান সংস্কতি যুদ্ধের জন্ম দেয়; কাজেই এর বিরোধীতা করা উচিত। শিল্পকে হতে হবে বিমূর্ত । কেননা, এটি পরিকল্পনা ও যৌক্তিক চিন্তাধারার বিপরীত। পরিকল্পনা ও যৌক্তিক চিন্তাধারা জন্ম দেয় যুদ্ধের আবহ। রিচার্ড হিউয়েলসেনবেক বলেছেন-""[A]bstract art signified absolute honesty for us." এ কারণেই ডাডাবাদকে বলা যায় উত্তরাধুনিক শিল্পের জনক।

যা আপনার বক্তব্যের সঙ্গে বিরোধপূর্ন নয়।
উত্তরাধুনিক শিল্প নিয়ে আপনার লেখাটা পড়েছি। ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।

১২| ০৯ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৩

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: পড়লাম ... জানালাম ..

সুরিয়ালিজম সম্পর্কে সব সময়ই ভাসা ভাসা জানা ছিল

কেমন যেন ছোয়া যায় না , মাথার মধ্যে গাথেও না ।

দালীর বিড়াল ছুড়ে পানি ছুড়ে ছবিটা দেখেছেন

অদ্ভুত জিনিষ!

০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: দালির অনেক ছবিই দেখেছি। তিনি অনেকের মধ্যেও আলাদা।

পরাবাস্তববাদ নিয়ে আরও লিখব।

১৩| ০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:২৪

কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন:

তুমি আমারে অশেষ করেছ


জুবায়েরদা, অনেক ধন্যবাদ

০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অশেষ? এই মাত্তর শুরু। দেখনা শিল্পের গুষ্টি নিয়ে কী করি।

১৪| ০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৩৭

মাঠশালা বলেছেন: মোটাদাগে ভালো একটা পোষ্ট। ধন্যবাদ।

০৯ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ জুবেরী।

১৫| ০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৪১

কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন:
অশেষ জুবায়েরদা, অ-শেষ।


দেখনা শিল্পের গুষ্টি নিয়ে কী করি।

আমি চাই আপনি সেটা করেন যেকরেই হোক

০৯ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:১২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: করব না আবার? লোকের এত উৎসাহ সুররিয়ালিজম নিয়ে।

১৬| ০৯ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫০

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম।

০৯ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:১৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ, শুভ্র। এই বেসিক কথাগুলোন সবারই জানা দরকার।

১৭| ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৪৬

নাজিম উদদীন বলেছেন: বিশশতকের প্রথমদিকে একসাথে অনেকগুলো আন্দোলন দানা বাঁধে কিন্তু বেশিরভাগই টিকে নাই, যেমন ফভিজম। এর জন্যে কি প্রথম বিশ্বযুদ্ধই দায়ী, তত্ত্ব হিসেবে তত ভাল না, শিল্পীদের নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট , কোনটা দায়ী ছিল বলে আপনি মনে করেন।

১০ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:১৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ডাডাবাদ সম্বন্ধে বলব-এই আন্দোলনের না টেকার কারণ বিচ্ছিন্নতা। কিছু মানি না বলে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। যেকারণে পরবর্তীতে সুররিয়ালিজম বাস্তব-অবাস্তব অনেক কিছুই মানল। এমনকী বলল যে-সাহিত্য সমাজ পরিবর্তনও করতে পারে।

১৮| ১০ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:৩১

অন্যরকম বলেছেন: লেখক বলেছেন: অশেষ? এই মাত্তর শুরু। দেখনা শিল্পের গুষ্টি নিয়ে কী করি।

কই? শিল্পের গুষ্ঠি নিয়ে তো আর কিছু করলেন না। ;)
অপেক্ষায় থাকলাম!

১১ ই মে, ২০০৯ ভোর ৬:৩৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: করব। ধীরে ধীরে।

১৯| ১২ ই মে, ২০০৯ ভোর ৬:৩৬

প্রবর রিপন বলেছেন: আমি সেই দানবটাকে খুজছি যে কবিতা নামক সাড়ে ৫২ কোটি বছর বয়েসী বুড়ী থুরঠুড়ি চর্বিয়ালা গণিকাকে খুন করার জন্য পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে

আমার কাছে তার ঠিকানা ছিল কিন্তু বড় বড় মাল
লাইক রবীন্দ্রনাথ বাবা, জীবনানন্দ মামা, বোদলেয়র খালু,
র‌্যাবো চাচা, আরও অনেক আত্মীয়স্বজনের পাল্লায় পড়ে হারিয়ে ফেলেছি

আপনি কি একটু দিতে পারবেন সেই হত্যাকারীর ঠিকানা???
আমার খুব দরকার
আমার মৃতদেহ করতে চাই নিজের রক্তে সৎকার

১২ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:৩৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমিও সেই হত্যাকারীর ঠিকানা খুঁজছি। পেলে জানাব।

২০| ১২ ই মে, ২০০৯ ভোর ৬:৩৭

আলিফ মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় পোস্টে নিলাম।

১২ ই মে, ২০০৯ সকাল ৭:৩৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৮

সুবিদ্ বলেছেন: এইটা আমি প্রিয়তে না নিয়ে পারলাম না..

চমৎকার।

১০ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৯

এম এম রেজওয়ানুর রহমান বলেছেন:
এই কবিতাটিকে আপনি কি ধরণের কবিতা বলতে চাইবেন, কোন ছাঁচে ফেলতে চাইবেন, ডাডাবাদী নাকি সুররিয়ালিজম ? নাকি, কোনোটিই নয় ?

স্বচ্ছ রেজওয়ানুর রহমান
একটি ঘুড়ির জন্য

ঘটনাটি নব্বইয়ের কিনা,
ঠিক মনে করতে পারছি না।
রমনার সামনে,
একটি ঘুড়ি, রাস্তার উপরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল,
নাটাইওয়ালাকে দেখলাম না।
অন্য একদিন, তার কিছুটা দূরে,
আর্মির গাড়িতে, এক কিশোরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো সেনারা
তার হাতে একটি নাটাই ছিল, কিন্তু তার সাথে কোনো ঘুড়ি ছিল না,
এমনকি, তার সাথে, ছিলোনা তার মা !
আর একদিন, পত্রিকায় এক মধ্যবয়সী রমণীর সংবাদ ছেপেছিল,
যে কিনা নিয়মিত আন্দোলনে যেত।
একদিন বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে,
সে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ওই ঘুড়িটির মতো,
সেসময়ে, তার এক হাতে একটি ঘুড়ি ছিল, অথবা একটি পতাকা।
অন্যহাতে আগলে রাখা চারকোনা ফ্রেমের ভিতরের ছবির ছেলেটির চেহারা ছিল ওই কিশোরের মতো,
যার হাতে একটি নাটাই ছিল, কিন্তু কোনো ঘুড়ি ছিল না !
ওই মধ্যবয়সী রমণীর চেহারা কি, আমার কোনো পুরানো প্রেমিকাদের সঙ্গে মিলে যায় কিনা,
তা আমার জানা ছিল না
তাইতো তাকাইনি তার দিকে,
আসলে, স্বাধীনতার দিকে, কাপুরুষের মতো তাকানো যায় না !
কবি এই তিনটি ঘটনাকে জুড়ে দিয়ে, এক কালজয়ী সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন।
কবি থেকে চিত্র নির্মাতা হওয়ার খায়েশের জন্য,
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলো।
এইবার আমজনতা মুড়ি খাবে,
আর কাঁঠালজনতা, কোর্মা-পোলাও !
অথচ, আসামির কাঁঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সেদিন,
তার অবিচলিত কণ্ঠে কবি বলেছিলেন,
একদিন কাঁঠাল পেঁকে গেলে,
আমজনতা স্বাধীনতা খাবে,
আর, শাসকজনতা মুড়ি খাবে সেইদিন ।
পাছে, কাঁঠালজনতা শুনে ফেলে কবির এই সাক্ষ্য,
তার আগেই, তার ফাঁসির সাজা শুনিয়ে দিল রাষ্ট্রপক্ষ!
একদিন কাঁঠাল পাকবে,
আর স্বাধীনতার জন্য, ঘুড়িটিও উঠে যাবে আকাশে,
এই ভয়ে, ফাঁসি হয়ে গেলো ওই কিশোরের !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.