![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]
সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই নারীর স্বাভাবিক বিকাশের পথটি রুদ্ধ করতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কত বিধিবিধানই না রচনা করেছে। নারীর স্বাধীনতা খর্ব করতে উদ্ভাবন করেছে অজস্র পদ্ধতি । চিনা মেয়েদের পা ছোট করে রাখা সেই নির্মম ইতিহাসেরই অংশ। আশ্চর্য এই-সেই অমানবিক মানবতাবিরোধী পদ্ধতির পিছনে ছিল তথাকথিত চৈনিক দার্শনিকদের প্রত্যক্ষ মদদ এবং সে সব একদেশদর্শী দার্শনিকদের রচনা নারী সম্বন্ধে হীন মন্তব্যে পরিপূর্ণ। যেমন দার্শনিক কনফুসিয়াস বিশ্বাস করতেন: A husband may marry twice, but his wife must never remarry.এভাবে নারীকে হীন এবং অধঃপতিত করে দেখালে নারীকে বিকলাঙ্গ করে রাখতে সহজ হত ...
চিনের মানচিত্র। চিনে আজ নারী স্বাধীনতা স্বীকৃত হলেও প্রাচীন কাল থেকেই চিনা নারীরা ছিল পুরুষতান্ত্রিক সমাজের খেয়ালখুশির শিকার। আর পুরুষ চিন্তাবিদের তাতে সমর্থ ছিল।
চিনে কীভাবে উদ্ভব হল ওই কুপ্রথার?
বলা হয়ে থাকে-কোন্ চিনা রাজপুত্রের মেয়েদের ছোট পায়ের ওপর fetish ছিল। fetish মানে- object arousing sexual desire. এর মানে হল: মেয়েদের ছোট পা দেখে সেই চিনা রাজপুত্রের যৌনবোধ জাগ্রত হত । ব্যস। এরপর চিনদেশে মেয়েদের পা ছোট রাখার পদ্ধতি আবিস্কার হল। বলা বাহুল্য পদ্ধতিটি ছিল যন্ত্রণাদায়ক। তথাপি চিনে সমাজে এই ধারণা ছড়িয়ে পড়ল যে -ছোট পা হল আভিজাত্যের প্রতীক, সেই ছোট পা কে বলা হল ‘পদ্ম-পা’।
এতটুকু মেয়েদের বিকলাঙ্গ করা হত
চিনে মেয়েদের পা ছোট করে রাখার প্রথা প্রচলিত হয় সুং শাসনামলে। সময়কাল- ৯৬০ থেকে ৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ। কারও কারও মতে অবশ্য সপ্তম শতকে এই প্রথার উদ্ভব। প্রথম প্রথম এর চর্চা ছিল সীমিত। পরবর্তীকালে, অর্থাৎ, দশম শতকের পর ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। কেবলমাত্র অভিজাত সমাজই নয়- এমনকী মধ্যবিত্ত সমাজেও পদ্মপায়ের লোভে মেয়েদের পা বিকৃত করে ফেলা হত। ... কেবল মাত্র নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়েরা রেহাই পেয়েছিল। যেহেতু ওদের কাজ করে খেতে হত।
যুগ যুগ ধরে চিনা মেয়েদের ওপর এই অমানবিক নির্যাতন চলেছে
তিন বছর বয়েসি শিশুর পা বিকলাঙ্গ করা হত ;এসময় পায়ের বাঁকা হাড় ও আঙুল ঠিক মতো বিকাশ লাভ করে না। সাধারনত শীতকালে এই বিকৃতিকরণ করা হত। এ সময় ঠান্ডায় পা জমে থাকত বলে ব্যথা কম হত। প্রথমে দুটি পা-ই উষ্ণ ভেষজ ও পশুরক্তে ভিজিয়ে নেওয়া হত। এতে পা নরম হত, আঙুলগুলি বাঁকিয়ে বেঁধে ফেলতে সুবিধে হত। এরপর যদ্দূর সম্ভব পায়ের আঙুলের নখ কেটে ফেলা হত । তারপর ম্যাসেজ করা হত। তুলার ব্যান্ডেজ উষ্ণ ভেষজ ও পশুরক্তে ভিজিয়ে নেওয়া হত। এরপর আঙুল ও বাঁকানো হাড় নীচের দিকে চাপ দিয়ে ভেঙে ফেলা হত! ভাঙা পায়ে শক্ত করে ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে বাঁধা হত। শিশু তীব্র যন্ত্রনায় কাৎরাত। কী আর করা ! প্রথা বলে কথা! মেয়েরা হাঁটত গোড়ালির ওপর ভর রেখে।
বিকৃত পায়ের এক্সরে।
পুরুষশাসিত সমাজে পা বিকৃত না করে উপায় ছিল না। তার ওপর এটি হয়ে উঠেছিল ফ্যাশন। কর্মহীন পায়ের মর্যাদা গড়ে উঠেছিল। পা যত ছোট তত অভিজাত। মধ্যবিত্ত সমাজেও চলত প্রতিযোগীতা- কার মেয়ের পা কত ছোট। যদিও মেয়েরা সংসারের কাজ ঠিকঠাক করতে পারত না।
বিকলাঙ্গ পায়ের জন্য নির্মিত বিশেষ জুতা।উচ্চবিত্ত সমাজে কন্যার পা ছোট না থাকলে বিয়েই কঠিন হয়ে পড়ত।
তবে পা বিকৃতির মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েরা যাতে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে না পারে। আমরা জানি প্রাচীন ও মধ্যযুগে চিনা সমাজে দার্শনিক কনফুসিয়াসের (৫৫১-৪৭৯ খ্রিস্টপূর্ব) দারুন সম্মান ছিল। এই নৈতিকতার ধ্বজাধারী ব্যাক্তিটি একবার বলেছিলেন ... A woman's business is simply the preparation and supplying of food and wine. She may take no step of her own motion, and may come to no conclusion in her own mind. Beyond the threshold of her apartments she should not be known for good or evil. She may not cross the boundaries of a state to accompany a funeral. (মেয়েদের কাজ হল রান্নাবান্না করা ও মদ তৈরি করা এবং সেসব পরিবেশন করা। সে স্বেচ্ছায় এক পাও নড়বে না। নিজস্ব বিবেচনায় কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হবে না। বাড়ির বাইরের ভালোমন্দ সম্বন্ধে জানবে না। রাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে শেষকৃত্যে যোগ দেবে না। )
এখন যেন মেয়েদের পা ছোট করে রাখার বিষয়টি অনেকখানি পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে।
মেয়েরা যেন হাঁটতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা। কারও সাহায্য ছাড়া বেশি দূর যেতে পারত না। যন্ত্রণা হত।
২৮ সেপ্টেম্বর কনফুসিয়ারে জন্মদিন। প্রতি বছরই চিনা বিশ্বে মহাসমারোহে দিনটি পালিত হয়। হংকং-এ কনফুসিয়াসের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্টানে নারীর উপস্থিতি বিস্ময়কর ঠেকতেই পারে।
চিনা সমাজে কনফুসীয় এই নারী বিদ্বেষী কুপ্রথা টিকেছিল প্রায় ১০০০ বছর। ১৯১১ সালে চিনে মাঞ্চু রাজবংশের পতনের পর নতুন প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়। তার পর এই প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়। পথাটিকে ‘চাইল্ড অ্যাবিউজ’ বলে আখ্যাহিত করা হয়। তবে সে সময় যাদের পায়ের বাঁধন খুলে ফেলা হয়েছিল তাদের পায়ে দীর্ঘকাল ক্ষত বহন করতে হয়েছিল। এমন কী ১৯৯০ সালেও কোনও কোনও চৈনিক বৃদ্ধার পায়ের সমস্যা ছিল।
সমগ্র বিশ্বের চোখ এখন প্রচন্ড গতিতে অগ্রসরমান চিনের দিকে । কিন্তু প্রশ্ন হল- চিনা সমাজে মেয়েদের ওপর পুরুষতন্ত্রের শাসন কতখানি শিথিল হয়েছে?
চিনে পা বিকৃতির কারণ সম্বন্ধে কোন্ এক চিনা রাজপুত্রের মেয়েদের ছোট পায়ের ওপর fetish এর কথা বলা হয়। আসলে সেই রাজপুত্র রক্ষিতাদের বন্দি করে রাখতেই এক কুপ্রথার জন্ম দিয়েছিল আর সে ‘যথার্থ’ কাজে ফনফুসিয় ‘মহান’ বাণীর দৃঢ় সমর্থন তো ছিলই ...এভাবে পুরুষেরা যুগ যুগ ধরে শাস্ত্রের বাণী ইচ্ছে মতো ব্যাখ্যা করে নিজ উদ্দেশ্য সিদ্ধি করে চলেছে ...
হাই হিল। সম্ভবত এই আধুনিক শৈলীর পাদুকাটির পিছনে রয়েছে চিনে মেয়েদের গোড়ালীর ওপর ভর দিয়ে হাঁটার দুঃসহ স্মৃতি ... অনেকে যেমন বলেন বাঙালি মেয়ের হাতে রিনরিন করে বাজা চূড়ি হল পূর্বযুগের দাসত্বের চিহ্ন ...
তথ্যসূত্র
Click This Link
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। অতীতের সময়টা অনেক কঠিন ছিল।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩১
রেজোওয়ানা বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগলো লেখাটা ইমন ভাই।
আমার মনে হয় বর্তমান কালের পেন্সিল হিলের ব্যাপারেও এই বিষয় গুলো খাটে, পেন্সিল হিল পড়লে যে সব শাররীক সমস্যার হয় সেই ব্যাপার গুলো তেমন ভাবে কখনোই সামনে আনা হচ্ছে না (পেন্সিল হিলেও জোটরে হাটা বা দৌড়ানো অনেক কঠিন)।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: পেন্সিল হিল, হাই হিল -উদ্দেশ্য এক; নিয়ন্ত্রনের বস্তটি যেন গতিশীল না হয়। আর হাতে যেন চুড়ি থাকে ...রিনরিন করে বাজলে টের পাওয়া যায়-বস্তুটি আছে কোথায় ...
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৪০
রুচি বলেছেন: ছোটবেলায় চীনা মেয়েদের লোহার জুতো পড়ে থাকার কথা বইয়ে পড়লেও ব্যপারটা এতটা গভীরভাবে জানতাম না।
অনেক ধন্যবাদ
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৪৯
ইমন জুবায়ের বলেছেন: বিষয়টি আসলেই ভয়ানক। নীচের লিঙ্কটি দেখুন:
http://en.wikipedia.org/wiki/Foot_binding
ধন্যবাদ।
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৪৫
আইরিন সুলতানা বলেছেন: পা ছোট রাখার যে পদ্ধতি বললেন, তা তো অমানবিক! মর্মান্তিক!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৫০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ।
এই লিঙ্কটি দেখুন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Foot_binding
ধন্যবাদ।
৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:০১
কৌশিক বলেছেন: নো ভাষা!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: মর্মান্তিক!
৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
ৃৃৃশান্ত বলেছেন: অনেক জ্ঞান গর্ভ আলোচনা। ধন্যবাদ ইমন ভাই।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন:
অনেক কিছু জানলাম । লেখার জন্য ধন্যবাদ ।
..তবে আমার মনে হয় এ ব্যাপারে কনফুসিয়াস এর বাণীর অপব্যবহার করা হয়েছে। উনি একজন মহামানব ছিলেন ।
আজও চিনারা তার বাণী স্মরণ করে ও মানে ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:০৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি লিখেছি ....চিনে পা বিকৃতির কারণ সম্বন্ধে কোন্ এক চিনা রাজপুত্রের মেয়েদের ছোট পায়ের ওপর fetish এর কথা বলা হয়। আসলে সেই রাজপুত্র রক্ষিতাদের বন্দি করে রাখতেই এক কুপ্রথার জন্ম দিয়েছিল আর সে ‘যথার্থ’ কাজে ফনফুসিয় ‘মহান’ বাণীর দৃঢ় সমর্থন তো ছিলই ...এভাবে পুরুষেরা যুগ যুগ ধরে শাস্ত্রের বাণী ইচ্ছে মতো ব্যাখ্যা করে নিজ উদ্দেশ্য সিদ্ধি করে চলেছে ...
নারী সম্বন্ধে মহামানবের চিন্তা এখানে পাবেন ...
Click This Link
৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫
আমি রিফাত বলছি , , , , , , , , , , , , , , , বলেছেন: ভয়ানক !
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৪৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: মর্মান্তিক।
৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৯
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: কনফুসিয়াস এর বুদ্ধিবিবেচনা দেইখ্যা বিস্মিত হইলাম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৪৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: তার আরও কিছু মহান বাণী পড়েন ...
" A woman's duty is not to control or take charge."
"Woman's greatest duty is to produce a son."
"A woman ruler is like a hen crowing."
"A husband can marry twice, but his wife must never remarry."
"We should not be too familiar with the lower orders or with women."
"The woman with no talent is the one who has merit."
" It will be womens neither to do wrong nor to do good. Only about the spirits and the food will they have to think."
"Disorder is not sent down by Heaven, it is produced by women."
"Those who cannot be taught, cannot be instructed. These are women and eunuchs."
" Man is honored for strength; a woman is beautiful on account of her gentleness."
"There are three unfilial acts: the greatest of these is the failure to produce sons."
"Women are to be led and to follow others."
"A woman ruler is like a hen crowing."
"A husband may marry twice, but his wife must never remarry."
"We should not be too familiar with the lower orders or with women."
"Women's nature is passive."
"A woman should look on her husband as if he were Heaven itself, and never weary of thinking how she may yield to him."
১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১১
সজীব আকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। বেশ দরকারি একটা লেখা। কনফুসিয়াসের ব্যাপারটা জেনে অবাক হলাম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ। কনফুসিয়াসের চিন্তাভাবনা অবাক হওয়ার মতোই বটে। তবে তার সব কথাই অর্থহীন নয়, ভালো ভালো কথাও বলেছেন ...
Click This Link
১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২০
লিলি বিন্তে সো্লায়মান বলেছেন: শিউরে উঠলাম......।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:২৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: শিউরে ওঠার মতোই।
১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৯
বাল্যবন্ধু বলেছেন: কি ভয়ংকর???
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:২৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: মর্মান্তিক।
১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪৩
দীপান্বিতা বলেছেন:
এ বিষয়ে একদিন natgeoতে দেখেছিলাম, সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার!.......... বাঙালীদের মধ্যেও একটা ধারণা আছে মেয়েদের ছোট পা হলে নাকি লক্ষ্মী হয়!
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:২৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: লক্ষ্মী মেয়েরা একা একা কোথাও যায় না।
১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৯
সায়েম মুন বলেছেন: অমানবিক এক দর্শন জানলাম তাও আবার কনফুসিয়াস নামের দার্শনিকের দর্শন থেকে প্রবর্তিত। সত্যি অবাক করার মত এবং নিষ্ঠুর/ অমানবিক একটা ব্যাপার। নারী নিয়ে তার উক্তিগুলোও তো দেখি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের স্বপক্ষের উক্তি, স্বার্থান্বেশী উক্তি। এখন থেকে এই যুগের পেন্সিল হিল জুতাগুলা সেই চীনের দুর্শশাগ্রস্থ নারী/ শিশুদেরই বারবার মনে করিয়ে দেবে। ছোটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে পড়েছিলাম চীন-জাপানের শিশুদের লোহার জুতা পরিয়ে পা ছোট করা হতো। কিন্তু সেটা যে এতই নির্মম জানতাম না। আপনার পোষ্ট পড়ে বেশ ধারণা হলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ইমন ভাই!
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:২৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: চীন-জাপানের শিশুদের লোহার জুতা পরিয়ে পা ছোট করা হতো। আমিও এমনই জানতাম। ঘটনা আসলে অন্যরকম। অত্যন্ত মর্মান্তিক।
১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:২৭
মেকগাইভার বলেছেন: তবে পা বিকৃতির মূল উদ্দেশ্য ছিল মেয়েরা যাতে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে না পারে।
ঠিক একি কারোনে ভারত উপমহাদেশে নুপুরের ইউজ শুরু হয়।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৩০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই নারীর স্বাভাবিক বিকাশের পথটি রুদ্ধ করতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কত বিধিবিধানই না রচনা করেছে। নারীর স্বাধীনতা খর্ব করতে উদ্ভাবন করেছে অজস্র পদ্ধতি ...
১৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪
সুদীপ্ত শর্মা বলেছেন: ধন্যবাদ...
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৮
ধ্রুব০০৭ বলেছেন: ইমন ভাই, খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
রেজোওয়ানা বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগলো লেখাটা ইমন ভাই।
আমার মনে হয় বর্তমান কালের পেন্সিল হিলের ব্যাপারেও এই বিষয় গুলো খাটে, পেন্সিল হিল পড়লে যে সব শাররীক সমস্যার হয় সেই ব্যাপার গুলো তেমন ভাবে কখনোই সামনে আনা হচ্ছে না (পেন্সিল হিলেও জোটরে হাটা বা দৌড়ানো অনেক কঠিন)।
হ্যাঁ, পেন্সিল হিল শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর ঝুকিপূর্ণও বটে।
হাই হিলের জুতো ব্যবহার করলে নিতম্বের গড়ন সুন্দর লাগে, আকর্ষনীয় একটা শেপ আসে।(পুস্তক বলে!!)
এর প্রচলনের পেছনেও নারীকে ভোগ্য সামগ্রী হিসেবে দেখার মানসিকতা কাজ করতে পারে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:০১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। হাই হিলের প্রচলনের পেছনেও নারীকে ভোগ্য সামগ্রী হিসেবে দেখার মানসিকতা কাজ করেছে।
১৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৪
সাদাচোখ বলেছেন:
পা ছোট করার বিভৎস বর্ণনা শুনে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেল।
পোস্ট খুব পছন্দ হয়েছে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:০২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৮
নষ্ট কবি বলেছেন: ঘৃণা-----------------------------------------------------------
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: শিউরে ওঠার মতোই।
২০| ২৯ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৫৮
নীরব 009 বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।ধন্যবাদ লেখককে।
প্রিয়তে।
২৯ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১৯
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: খুব ভাল লাগলো।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৬:২৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩১
সৈয়দা আমিনা ফারহিন বলেছেন: ভয় পেলাম খুব... মেয়ে হয়ে জন্মানোর এযুগের জ্বালা তো কিছুই না দেখছি...!!!