নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন ভারতের গুপ্ত সাম্রাজ্য : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৩



প্রাচীন ভারতের সভ্যতার মধ্যে গুপ্ত সাম্রাজ্য অন্যতম । সাম্রাজ্যটি বাংলাদেশের কুমিল্লা (সমতট) থেকে পশ্চিম ভারতের গুজরাট থেকে পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল । সাম্রাজ্যটির সময়কাল ৩২০ থেকে ৫৫০ খ্রিস্টাব্দ । গুপ্ত সাম্রাজ্যকে বলা হয়- ‘ধ্রুপদি সভ্যতা’। কেননা, এই প্রথম ভারতের উচ্চবিত্ত শ্রেণি উন্নত জীবনযাত্রার সান্নিধ্যে এল। অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মান উন্নত ছিল বলে গুপ্ত যুগটি ‘ভারতের স্বর্ণযুগ’ হিসেবেও চিহ্নিত। কবি কালিদাস( চতুর্থ শতক); গণিতবিদ আর্যভট্ট (৪৭৬ -৫৫০ খ্রিস্টাব্দ); পঞ্চতন্ত্রের লেখক বিষ্ণুশর্মা (তৃতীয় শতক) কামসূত্রের রচয়িতা বাৎসায়ন (চতুর্থ শতক) প্রমূখ ছিলেন গুপ্ত যুগের অনন্য প্রতিভা । এ ছাড়া জ্যোতিষ বরাহমিহির (৫০৫-৫৮৭) ছিলেন গুপ্ত সম্রাট ২য় চন্দ্রগুপ্তের নবরত্নের অন্যতম । গুপ্তযুগেই ভারতীয় মহাকাব্য এবং পুরাণ পরি পূর্ণতা লাভ করে এবং এভাবে বৈদিক যুগের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ রচিত হয়।







গুপ্ত সাম্রাজ্যের মানচিত্র। গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র যা বর্তমান বিহার রাজ্যের পাটনা শহর। রাষ্ট্রভাষা ছিল সংস্কৃত। যে ভাষাটি ঘিরে হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদের উত্থান ঘটেছিল। তবে গুপ্তসমাজে বৌদ্ধধর্মটিও সমান জনপ্রিয় ছিল। তবে বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক অ-ভারতীয় (কুষাণ) হওয়ায় এর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ হিন্দু জাতীয়তাবাদ উত্থানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণ্যধর্মের বিকাশ লাভ করেছিল । এর প্রভাব হয়েছিল সুদূরপ্রসারী। উনিশ শতকে ইংরেজরা যখন বলল: ‘ভারতের ইতিহাস নেই।’ তখন উনিশ শতকেরর ভারতীয় ঐতিহাসিকগণ গুপ্তদের উদাহরণ দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাঙালি ঐতিহাসিক রাখালদাশ বন্দ্যোপাধ্যায়।



মৌর্য সাম্রাজ্যের (৩২২-১৮৫ খ্রিস্টপূর্ব) পতনের পর ভারতবর্ষে শতবর্ষব্যাপী এককেন্দ্রীক শাসনের ক্ষেত্রে বিরাজ করছিল অথই শূন্যতা । অনেক উচ্চাকাঙ্খী বীরপুরুষই সেই শূন্যতা পূরণের প্রয়াস পেয়েছেন। তবে তারা সকলেই ব্যর্থ হন। শেষাবধি গুপ্ত পরিবার মগধে (বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্য) একটি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সফল হয়। কিন্তু কারা এই গুপ্ত? এই অনিবার্য প্রশ্নটি উত্থাপিত হলেও অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গেই বলতে হয় যে- গুপ্তদের শিকড়টি কুয়াশায় আবৃত। এ কারণে ঐতিহাসিক Romila Thapar লিখেছেন: The origin of the Guptas is somewhat obscure. It is possible that the family was one of wealthy landowners who gradually gained political control in the region of Magadha. ( A History of India: Volume 1. page 136) গুপ্ত বংশের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীগুপ্ত (২৪০-২৮০ খ্রিস্টাব্দ)। ৬৯০ খ্রিস্টাব্দে ইৎসিং নামে একজন চৈনিক পর্যটক ভারতে এসেছিলেন । শ্রীগুপ্ত মগধের ভূস্বামী ছিলেন- এমন একটি তথ্য তার বর্ণনায় জানা যায় । শ্রীগুপ্ত এরপর ক্রমশ রাজনৈতিক শক্তির অধিকারী হন। শ্রীগুপ্তের পুত্র ঘটোৎকচ গুপ্ত (২৮০-৩১৯) ছিলেন গুপ্ত বংশের দ্বিতীয় শাসক। তবে এদের দু-জনের শাসনামলে সীমাবদ্ধ গুপ্ত রাজ্যটি সাম্রাজ্যের রূপ লাভ করেনি। ঘটোৎকচ গুপ্তর পুত্র প্রথম চন্দ্রগুপ্ত গুপ্তের সময়েই প্রকৃত সাম্রাজ্যের উত্থান ঘটে।







৩৩৫ থেকে ৩৮০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সমুদ্রগুপ্তের আমলে প্রাপ্ত মুদ্রায় রানী কুমারদেবী এবং রাজা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ।



প্রথম চন্দ্রগুপ্তই (৩২০-৩৩৫) গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রথম নৃপতি। এ প্রসঙ্গে একজন ঐতিহাসিক লিখেছেন: The Gupta dynasty first seems to be in eminence with the accession of Chandra Gupta I, son of Ghatotkacha to the throne of the ancestral Gupta kingdom. গুপ্ত সাম্রাজ্যের সূচনাকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩২০ খ্রিস্টাব্দ । প্রথম চন্দ্রগুপ্ত মহারাজাধিরাজ উপাধি ধারণ করেছিলেন। লিচ্ছবি গোত্র মগধে শক্তিশালী ছিল। প্রথম চন্দ্রগুপ্ত লিচ্ছবি গোত্রে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম কুমারদেবী। সুতরাং বিয়ের উদ্দেশ্যটি ছিল একেবারেই রাজনৈতিক। প্রথম চন্দ্রগুপ্ত প্রয়াগ (এলাহাবাদ) সাতেক (অযোধ্যা) এবং মগধ (বিহার) জনপদ শাসন করেন।







সমুদ্রগুপ্তের স্বর্ণমুদ্রা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গুপ্ত শাসন আরম্ভ হয়েছিল সমুদ্রগুপ্তের শাসনামলে । বাংলার কালিঘাট হুগলি তমলুক ও যশোর গুপ্তযুগের প্রচুর মুদ্রা পাওয়া গেছে।



প্রথম চন্দ্রগুপ্তর পুত্র সমুদ্রগুপ্ত ৩৩৫ খ্রিস্টাব্দে মগধের শাসনভার গ্রহন করেন। তিনি সর্বমোট ৪৫ বছর শাসন করেন। এই সময়কালে তিনি কুড়িটি রাজ্য জয় করেন এবং হিমালয় থেকে দক্ষিণের নর্মদা নদী এবং ব্রহ্মপুত্র থেকে যমুনার মধ্যবর্তী বিপুল ভূখন্ড গুপ্ত সাম্রাজ্যের অর্ন্তভূক্ত করেন। অনন্য সামরিক প্রতিভার কারণে সমুদ্রগুপ্ত কে ভারতীয় নেপোলিয়ান বলা হয় । তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞ করতেন ... ছিলেন বিষ্ণুর পূজারী (অর্থাৎ বৈষ্ণব)। ধর্মীয় বিষয়ে অবশ্য সমুদ্রগুপ্ত সহনশীল ছিলেন। তাঁর সময়ে শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ রাজা Sirimeghvanna কে গয়ায় একটি বৌদ্ধমঠ নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। কেবল কুশলী সমরবিদ কিংবা উদার শাসকই নন, শিল্পসাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সমুদ্রগুপ্ত । কবিতা লিখতেন। সংগীত চর্চা করতেন। রাজকবি হরিষেন, বৌদ্ধ ভিক্ষু বসুবন্ধু এব বৌদ্ধ যোগী আসঙ্গ এইসব আলোকিত মানুষ তাঁর রাজদরবার আলো করেছিল।

বাংলাদেশে গুপ্ত শাসন আরম্ভ হয়েছিল ওই সমুদ্রগুপ্তের শাসনামলেই । সমুদ্রগুপ্ত বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবাংলা) জয় করেছিলেন। এ সময়ে বঙ্গদেশ নতুন অধ্যায়ের প্রবেশ করে। কেননা, বঙ্গে যে স্বাধীন রাজ্যগুলির মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাত চলছিল তার অবসান হয়। কেবল তাই নয় বঙ্গদেশ প্রায় দেড় শতক ধরে গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে সর্ম্পকিত ছিল। পরবর্তীকালে বঙ্গদেশ যখন নিজেই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল- তখন সেই অভিজ্ঞতা তার কাজে লেগেছিল।







২য় চন্দ্রগুপ্তের মুদ্রা।



সমুদ্রগুপ্তর মৃত্যুর পর তাঁর জ্যেষ্ট পুত্র রামগুপ্ত মগধের সিংহাসনে বসেছিলেন ঠিকই তবে এক বিস্ময়কর ঘটনার পর শেষাবধি মগধের ক্ষমতা লাভ করেন ২য় চন্দ্রগুপ্ত। রামগুপ্ত ছিলেন দূর্বল শাসক । তিনি শকরাজা ২য় রুদ্রসেন-এর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। মূলত শকরা ((Saka)) ছিল কাস্পিয়ান সমুদ্রের তীরবর্তী গোত্র। এদের বলা হয় Scythian । এদেরই একটি গোত্র মাইগ্রেট করে ভারতের রাজস্থান অবধি চলে এসেছিল । এবং গুপ্তদের মুখোমুখি হয়েছিল। দূর্বলচিত্ত শাসক রামগুপ্ত তাঁর জীবনের বিনিময়ে তাঁর স্ত্রী ধ্রুবদেবীকে শক রাজা ২য় রুদ্রসেন হাতে তুলে দিতে উদ্যত হন । তবে ২য় চন্দ্রগুপ্ত এইরূপ হীন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি । ২য় চন্দ্রগুপ্ত নারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে শক শিবিরে পৌঁছে শকরাজা ২য় রুদ্রসেন কে হত্যা করেন। এরপর রামগুপ্ত কেও হত্যা করেন এবং ধ্রুবদেবীকে বিয়ে করেন। ( ফিলম তৈরি জন্য এমন একটি দূর্দান্ত প্লট গেমস আর রোবট নিয়ে ব্যস্ত শাহরুখ খান মিস করেন কি ভাবে? কাপুরুষ রামগুপ্তর স্ত্রী ধ্রুবদেবীর চরিত্রে ঐশ্বরিয়া রাই অনিবার্যভাবে মানিয়ে যাবেন ... কবি কালিদাস তো ২য় চন্দ্রগুপ্তর সভাকবি ছিলেন ...কাজেই ... :)।)... যাই হোক। ২য় চন্দ্রগুপ্ত ‘বিক্রমাদিত্য’ উপাধি গ্রহন করেন। এবং ৩৮০ থেকে ৪১৩ খ্রিস্টাব্দ অবধি প্রায় চল্লিশ বছর শাসন করেন। এই সময়ে তিনি ভারতের পশ্চিম উপকূল থেকে বঙ্গোপসাগর অবধি গুপ্ত সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান। সাম্রাজ্যের কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ায় উজ্জীয়িন- এ দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করেন। ভারতের পশ্চিম উপকূলে বন্দরগুলি সক্রিয় থাকায় ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে বানিজ্য সুগম হয়েছিল। ২য় চন্দ্রগুপ্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপে দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক সর্ম্পক সুদৃঢ় করেন। তার আগে শকদের পশ্চিম-ভারত থেকে সম্পূর্ণরূপে উচ্ছেদ করেন। তাঁর আমলে বঙ্গদেশে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল। সুতরাং তিনি পূর্নবার বাংলা জয় করেন। নানা কারণে সম্রাট ২য় চন্দ্রগুপ্তর শাসনামল উল্লেখযোগ্য। কবি কালিদাসের কথা আগেই উল্লেখ করেছি। তাছাড়া চৈনিক পর্যটক ফাহিয়েন তাঁর সময়েই ভারতবর্ষে এসেছিলেন।







প্রথম কুমারগুপ্তর আমলের লৌহস্তম্ভ। বর্তমানে এটি রয়েছে দিল্লির কুতুব কমপ্লেক্সে। যদিও লৌহস্তম্ভটি প্রথমে ছিল মথুরায়। স্তম্ভের উপরে ছিল গরুড়। এই লৌহস্তম্ভ সম্বন্ধে বলা হয়:The iron pillar is one of the world's foremost metallurgical curiosities.



প্রথম কুমারগুপ্ত ছিলেন ২য় চন্দ্রগুপ্তর পুত্র। এর সময়কাল ৪১৫-৪৫৫ খ্রিস্টাব্দ । ইনিও একজন যোগ্য শাসক ছিলেন। বাংলা থেকে গুজরাট এবং হিমালয় থেকে নর্মদা অবধি গুপ্ত সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ ঐক্যটি অক্ষুন্ন রেখেছিলেন। প্রথম কুমারগুপ্ত চল্লিশ বছর শাসন করেন। অবশ্য দক্ষিণের পুষ্যমিত্র বংশের হুমকি এবং পশ্চিমে শেষ হূনদের আক্রমনের কারণে তাঁর রাজত্বের শেষ অধ্যায়টি ভালো যায়নি। প্রথম কুমারগুপ্ত অবশ্য শক্রদের দমন করেছিলেন। এবং অশ্বমেধযজ্ঞ করেছিলেন।







গুপ্তযুগের স্থাপত্য



স্কন্ধগুপ্ত ছিলেন গুপ্ত বংশের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য সম্রাট। তাঁর সময়কাল ৪৫৫-৪৬৭ খ্রিস্টাব্দ। ঐতিহাসিকরা ওই সময়ে অর্থাৎ প্রথম কুমারগুপ্তর মৃত্যুর পর মগধে গৃহযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল বলে অনুমান করেন। একটি শিলালিপিতে গৃহযুদ্ধের কথা উল্লেখ রয়েছে। যা হোক। প্রথম কুমারগুপ্ত দক্ষিণে পুষ্যমিত্র বংশের হুমকি এবং পশ্চিমে শেষ হূনদের আক্রমন দমন করলেও স্কন্ধগুপ্ত এদের আক্রমনে পর্যদস্ত হন।







আজও ভারতবর্ষের পথে পথে গুপ্তযুগের দালানকোঠা চোখে পড়ে



এবার গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন সম্বন্ধে দু-চার কথা বলা যাক। একে গুপ্ত সাম্রাজ্য বিশাল আকার ধারণ করেছিল। কাজেই স্থানীয় বিদ্রোহের ফলে কেন্দ্র তার রাজ্য হারাচ্ছিল। মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মতো ৫০০ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম দিক থেকে হুন আক্রমন আরম্ভ হয়। দু-জন হুন শাসক তোরামানা এবং মিহিরকুল এর আক্রমনে গুপ্ত সাম্রাজে্যর পশ্চিম ভাগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। অবশ্য ৪৫৫ খ্রিস্টাব্দে স্কন্ধগুপ্ত হূনদের দমন করতে সমর্থ হন। এতে অবশ্য রাষ্ট্রকে বিপুল ব্যয়ের ভার সইতে হয়েছিল।(পরিস্থিতি অনেকটা বর্তমান কালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া আক্রমন করতে চায় কিন্তু বিপুল ব্যয়ের কথা ভেবে পিছু হটে ...) এবার সাম্রাজ্যটির পতনের অভ্যন্তরীণ কারণগুলির দিকে তাকানো যাক। উদার গুপ্ত সম্রাটরা ব্রাহ্মণদের বড় বড় গ্রাম দান করতেন। এটি ভারতের ইতিহাসে বিরল না হলেও ব্রাহ্মণদের কর আদায়ের ক্ষমতা দিয়েছিলেন তাঁরা। কাজেই এতে ক্ষুদ্র ক্ষদ্র (অনুৎপাদনশীল) অর্থনৈতিক জোন তৈরি হয়েছিল। যা পরিনামে সাম্রাজ্যটিকে অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল করে তুলেছিল । গুপ্ত রাজারা বিহারের নালন্দা এবং বিক্রমশীলা মহাবিহারে (বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে) প্রচুর অর্থ দান করতেন। এটিও ছিল অনুৎপাদনশীল খাত। তাছাড়া গুপ্ত রাজারা ছিলেন বৈষ্ণব । তবে সম্রাট প্রথম কুমারগুপ্ত সন্ন্যাস ধর্মের প্রতি ঝুঁকেছিলেন। একটি মুদ্রায় তাকে সন্ন্যাসীর পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায় । তিনি এক ধরনের মুদ্রার প্রবর্তন করেছিলেন যাকে "অপ্রতিঘ ধরন" বলা হয়। প্রতিঘ শব্দের মানে ক্রোধ। কাজেই অপ্রতিঘ মানে অক্রোধ। কাজেই অহিংস একজন সম্রাটের পক্ষে কঠোর হাতে রাজ্যশাসন কিংবা রাজ্যবিস্তার সম্ভব না।

এসব কারণেই গুপ্ত সামাজ্যের পত তরান্বিত হয়েছিল।







অজন্তা গুহা। গুপ্ত আমলের শিল্পীদের অপূর্ব সৃষ্টি। যা আসলে গুপ্ত সম্রাটদের শিল্পের প্রতি ভালোবাসার উজ্জ্বল নিদর্শন। অজন্তা গুহার অবস্থান বর্তমান ভারতের মহারাষ্ট্রের পশ্চিমে। তৎকালে যেখানে বাকাটাক রাজ্য শাসন করত । গুপ্তদের সঙ্গে এদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল। কাজেই The rich and sensuous life at Vakataka court and of Gupta India in general is realistically displayed in these murals. গুপ্ত যুগে তন্ত্রেরও চর্চা হত। আজও অজন্তার ইরোটি স্থাপত্য তারই প্রমাণ ধরে রেখেছে







এসব দালানকোঠা এক ধূসর যুগের স্মৃতি নিয়ে পড়ে আছে ...







পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে ভারতবর্ষের ইতিহাসে গুপ্তযুগকে বলা হয় ধ্রুপদি সভ্যতা এবং স্বর্নযুগ। কেননা, সেই প্রথম ভারতের উচ্চবিত্ত শ্রেণি উন্নত জীবনযাত্রার স্বাদ পেয়েছিল। তবে সাধারণ মানুষের ভাগ্য ‘ ধ্রুপদি সভ্যতায়’ বিশেষ বদলায় নি। এদের কাঁধের ওপর ভর করেই দাঁড়িয়ে ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্য । যেমনটা আজও আধুনিক ভারতবর্ষ সমাজের গরীব পদদলিত মানুষের বুকের ওপর পা রেখে দাঁড়িয়ে আছে । লাভ যা হয়েছে তা ওই উচ্চবিত্তেরই। আজও যাদের হাতে অবাধ দূর্নীতির ছাড়পত্র ...কাজেই বর্তমানে ভারতবর্ষজুড়ে যে অহিংসপন্থী আন্না হাজারে এবং সহিংসপন্থী মাওবাদী আন্দোলনের উত্থান ঘটেছে তার কারণ সহজেই অনুমেয়। সাহসী শিখ যুবকের হাতে দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীর চড় খাওয়ারও কারণটিও আমরা ভারত-ইতিহাসের বিভেদ এবং বৈষম্যের ভিতর অনুসন্ধান করতে পারি ...



তথ্যসূত্র:



সুনীল চট্টোপাধ্যায়: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস (প্রথম এবং ২য় খন্ড)

Majumdar, R.C., Raychaudhuri, H. C., Datta, Kalikinkar; AN ADVANCED HISTORY OF INDIA

Romila Thapar A History of India: Volume 1

এই পোস্টটি গুপ্তযুগ সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা মাত্র। কাজেই যারা গুপ্ত যুগ সম্বন্ধে বিশদভাবে জানতে চান তারা নীচে লিঙ্কগুলিতে পর্যাপ্ত তথ্য পাবেন ...

http://india.mrdonn.org/gupta.html

http://www.nupam.com/Sgupta1.html

Click This Link

Click This Link

Click This Link

http://www.ushistory.org/civ/8e.asp

Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৬

রাতুল রেজা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, প্রিয়তে নিলাম, পরে পরব

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৮

নামেকি আসেযায় বলেছেন: সোজা প্রিয়তে

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৯

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: অসাধারন পোস্ট ভাইয়া। পোস্ট পড়া শেষ করে দেখতে গেলাম কে লিখেছে এই পোস্ট। এরপর নাম দেখেই বুঝলাম আসল কাহিনী। লিঙ্কে ঢুকেছিলাম নাম খেয়াল না করেই।

সত্যি অসাধারন পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৯

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: কিছুদিন আগেই এর উপর কত ঘাটাঘাটি করে একটা নোট করলাম।অথচ আজ সে সবই কি সুন্দর করে গুছানো এক জায়গায় পেলাম।ইশ আর কয়টা দিন আগে কেন যে লিখলেন না?তারপরও প্রিয়তে রেখে দিলাম।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০০

জীবন্মৃত০১ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৪

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: গুপ্ত সাম্রাজ্যের পর কি পাল সাম্রাজ্য আসে?
‘বিক্রমাদিত্য’ এই নামে এক রাজার কিছু গল্প শুনেছি, সেটাই কি ২য় চন্দ্রগুপ্ত ?
পোষ্ট টা বেশ ভাল লেগেছে, ক্লাস ৬/৭ এ গুপ্ত সাম্রাজ্য নিয়ে সমাজবিজ্ঞানে একটা অধ্যায় ছিল, সেইখান থেকে এই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস জানার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। গুপ্তদের পর বৌদ্ধ পাল রাজাদের শাসন শুরু হয়েছিল। বাংলা ও বিহারে। বিক্রমাদিত্য’ নামে যে রাজার গল্প শুনেছেন, তিনিই ২য় চন্দ্রগুপ্ত ।
ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৬

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: লেখাটা পড়া শুরু করেছিলাম দেড় ঘন্টা আগে। পড়তে পড়তে মনে হল- ধারাবাহিকতাটা (গুপ্ত যুগের আগে ও পরের ইতিহাস) ভালভাবে অনুধাবন করতে বাংলার ইতিহাসটা আরেকবার ঝালাই করে আসি। বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবসাইট আর উইকিপিডিয়া পড়ে এই তবে মন্তব্য করতে বসলাম।
আসলে লেখাটা পড়তে গিয়ে বেশকিছু প্রশ্ন মাথায় খেলছিল; তাই ভাবলাম একটু পড়ে দেখি।

প্রথম: আমি দেখতে চাচ্ছিলাম আমাদের ভূখন্ডের প্রথম ডকুমেন্টেড নামকরা শাসক কে। গুপ্তরা তো আর বাঙ্গালি না। সেই হিসেবে কৃতিত্বটাকি শশাঙ্ককে দেয়া যায়?

দ্বিতীয়: আরেকটা বিষয় মাথায় ঘুরঘুর করছিল। অনেক আগে পড়েছিলাম শশাঙ্ক হর্ষবর্ধনের বোন রাজ্যশ্রীকে অপহরণ করেছিলেন বা এই জাতীয় কিছু। রাজ্যশ্রী খুব সম্ভবত কিছুটা সময় বনজঙ্গলে শশাঙ্কের সাথেও ছিলেন (শশাঙ্কের অঙ্কশায়িনী ছিলেন?? :P ;) ) এই ঘটনাকে নিয়ে কোন রোমান্টিক ঐতিহাসিক গল্প/উপন্যাস ফাঁদা যায়না?

তৃতীয়: আমার জানা মতে বাংলার প্রাচীনতম রাজবংশ হল পাল বংশ (বাঙ্গালি শাসক বংশ হিসেবে; অর্থাৎ বহিরাগত নয়)। কিন্তু, জনাব আকবর আলি খানকে একটা টকশোতে বলতে শুনেছিলাম পালরা নাকি মূলত: বাঙ্গালি ছিলনা। তাদের মূল নিবাস নাকি ছিল বিহার। বিষয়টা যদি একটু ভেঙ্গে বলেন....
ধন্যবাদ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: (১)আমাদের ভূখন্ডের প্রথম ডকুমেন্টেড নামকরা শাসক হিসেবে কৃতিত্বটা অবশ্যই শশাঙ্ককে দেয়া যায়।
(২)শশাঙ্ক হর্ষবর্ধনের বোন রাজ্যশ্রীকে অপহরণ করেছিলেন ...কিছুটা সময় বনজঙ্গলে শশাঙ্কের সাথেও ছিলেন এবং এ নিয়ে গল্প তো লেখাই যায় :) । জয় গোস্বামীর লেখা একটি লাইন মনে পড়ছে ...জানি পুরুষের কাছে দস্যুতাই প্রত্যাশা করেছে :)
(৩) পালরা বাঙালি না -এ তথ্য জনাব আকবর আলি খান কোথায় পেলেন বলতে পারি না। অবশ্য গুপ্ত এবং সেনরা বাঙালি ছিল না। পাঠ করুন। The Pāla Empire was one of the major middle kingdoms of India existed from 750–1174 CE. It was ruled by a Buddhist dynasty from Bengal in the eastern region of the Indian subcontinent, all the rulers bearing names ending with the suffix Pala (Modern Bengali: পাল pāl), which means protector.
http://en.wikipedia.org/wiki/Pala_Empire
ধন্যবাদ।

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৭

পারভেজ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ। শোকেসে রাখলাম।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৬

মামুণ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। ধন্যবাদ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫১

দস্যু রত্নাকর বলেছেন: বরাবরের মতোই অসাধারন এবং তথ্যবহুল । ভালো লাগা রইলো

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: লেখার ভয় যদি না থাকত আমি নির্ঘাত ইতিহাস নিয়ে পড়তাম। এতই ভালো লাগে ইতিহাসের এই কাহিনী গুলো । না পড়লেও এখন ঠিকই জানতে পারছি আপনাদের সুন্দর সব পোস্টের জন্য :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৩

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। +++

প্রিয়তে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:০৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৬

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ।
শশাঙ্ককে নিয়ে গল্প লিখুন না; আপনার প্রাচীন বাংলার ইতিহাস নির্ভর গল্পগুলো মিস করছি।
আমার সামান্য পড়ালেখার কোথাও পালদেরকে অবাঙ্গালি হিসেবে উল্লেখ পাইনি। আকবর আলি খান সাহেবে মন্তব্য সুস্পষ্টভাবে ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড মনে আছে। খুব কনফিডেন্টলি বলছিলেন। উনি বোঝানর চেষ্টা করছিলেন বাঙ্গালি যে এত unruly তার কারণ তারা সবসময় বহিরাগতদের দ্বারা শাসিত হয়েছে; কখনোই নিজেদেরকে নিজে শাসন করেনি। যে পাল রাজাদের কথা বলা হয় তারাও আদতে বাঙ্গালি ছিলেন না। তারা এসেছিলেন বিহার থেকে।
যাইহোক, আপনার কাছ থেকে জানতে পেরে নিশ্চিত হলাম।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:০৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: লিখব। ধন্যবাদ।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৪

নীরব 009 বলেছেন: অসাধারণ...

অসংখ্য প্লাস রইলো। আর পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে গেলাম। :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:০৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৬

বাল্মীকি বলেছেন: পরে পরুম, বুকমার্ক কইরা রাখলাম, ভাল লাগা দিয়া গেলাম(আপনার লেখা বাই ডিফল্ট গুড কোয়ালিটির হয়, না পইড়াই ভাল লাগা দেয়া যায় B-) )

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:০৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৩২

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: সোজা প্রিয়তে

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:০২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: ++++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :) ধন্যবাদ।

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৭

মঈনউদ্দিন বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট +++++++++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শাহেদ খান বলেছেন: দারুণ পোস্ট !

+++++++

১৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৩৪

পথিক!!!!!!! বলেছেন: লেখাটি পড়ে যারপরনাই মুগ্ধ হলাম। ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয়।

২৭ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৪৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:০৫

রাজর্ষি রায় বলেছেন: অসাধারণ !

২৭ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২২

আকাশী কন্যা বলেছেন: দাদু ঠিক এই সময়কালে হিমালয়ের আশেপাশের বর্ণনা পাবো এরকম কোন লিঙ্ক আছে কি?

আমি মুলত তাদের শাসন পদ্ধতি, শাসক, মুদ্রা, ধর্ম, দর্শন, ভূপ্রকৃতি এবং প্রানীজ সম্পদের ওহ নদী, মানে ডিটেইলস পাবো এরকম একটা লিঙ্ক কি আমাকে দিতে পারবেন? বা কয়েকটা লিঙ্ক?

আর তখনকার উপজাতিদের সম্পর্কেও আমি জানতে আগ্রহী।


ছোটবেলায় রাজা বিক্রমাদিত্যের একটা রুপকথার বই গিফট পেয়েছিলাম।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:২২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ওই সময়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের তথ্য পাওয়া মুশকিল। তারপরও চেস্টা করব ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.