![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]
সময়টা খ্রিস্টীয় ষষ্ট শতকের মাঝামাঝি। ভারতবর্ষে গুপ্তযুগের অবসান হয়েছে। এই সময়ে ভারতবর্ষে হিন্দুধর্মের এক নবজাগরণ আন্দোলন সূচিত হয়; যে আন্দোলনের মূল সুরটি ছিল ভক্তিবাদের। ভারতবর্ষের সমাজে মঠবাসী বৌদ্ধদের পাশাপাশি বৈদিক কর্ম ও যজ্ঞের জনপ্রিয়তা বাড়ছিল। গুপ্তযুগেই বৌদ্ধধর্মে যাদুবিদ্যা তান্ত্রিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। ভারতবর্ষ থেকে বৌদ্ধধর্মের উচ্ছেদ সাধন করতে দক্ষিণ ভারতীয় এক ব্রাহ্মণ বেদান্ত দর্শন প্রচার করেন। এই দক্ষিণী ব্রাহ্মণের নাম শঙ্করাচার্য (খ্রিস্টাব্দ ৭৮৮-৮২০); তিনি যে বেদান্ত দর্শন প্রচার করেছিলেন তা অদ্বৈতবাদ নামে পরিচিত।
শঙ্করাচার্য ভারতবর্ষের অন্যতম বিখ্যাত এবং প্রভাবশালী দার্শনিক হিসেবে পরিচিত; আজও বর্হিঃবিশ্ব ভারতীয় দর্শন বলতে মূলত শঙ্করাচার্যর অদ্বৈতবাদী বেদান্ত দর্শনকেই বোঝে। অবশ্য শঙ্করাচার্য কে দার্শনিক বলা হলেও তাঁর প্রধান ভূমিকা ছিল ধর্মগুরুর। ভারতীয় দর্শনের ইতিহাসে শঙ্করাচার্যর গুরুত্ব এত বেশি যে অনেকেরই ধারণা যে শঙ্করাচার্যই গীতা রচনা করেছেন । এ প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ লিখেছেন, ‘অনেকে এরূপ অনুমান করেন যে, গীতাখানি শঙ্করাচার্য-প্রণীত । তাঁহাদের মতে-তিনি উহা প্রণয়ন করিয়া মহাভারতের মধ্যে প্রবেশ করাইয়া দেন।’ (দ্র: ড, আর এম দেবনাথ সিন্ধু থেকে হিন্দু। পৃষ্ঠা; ১৬৯)
শঙ্করাচার্যর জন্ম কেরালায়। অল্প বয়েসে তিনি মায়ের অনুমতি নিয়ে সন্ন্যাস গ্রহন করেছিলেন। তাঁর প্রথম গুরুর নাম গোবিন্দ। শঙ্করাচার্যর আরেক গুরু ছিলেন বিখ্যাত বেদান্ত দার্শনিক গৌড়পদ ; ইনি, অর্থাৎ, গৌড়পদ অসংখ্য বৈদান্তিক সূত্র রচনা করেছিলেন। এবং এঁর কাছেই শঙ্করাচার্য অদ্বৈত বেদান্তের ধারণা লাভ করেন।
আলোচনার এই পর্যায়ের প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক যে -বেদান্ত কি? বেদান্ত দর্শনই- বা কি? বিষয়টি পরিস্কার করা যাক। ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বে প্রাচীন ভারতে অনুপ্রবেশকারী আর্যদের একটি প্রাচীন শ্রুতিগ্রন্থ (oral traditions) ছিল -সেই শ্রুতিগ্রন্থের নাম বেদ। বেদান্ত দর্শন হল এই বেদ-এরই ঈশ্বর সম্বন্ধীয় দার্শনিক আলোচনা। অর্থাৎ, Vedanta is the philosophy that developed out of Vedic oral traditions and scriptures.It is translated as the 'conclusion' of the Vedas, which includes texts like the Upanishads, the Brahma-sutras and the Bhagavad-Gita. These writings are even older than the Bible and there are scholars who see the origin of all major religions in these 'revelations of Truth'. The Jnana Yogi Ramana Maharshi once said that the whole Vedanta is contained in the two Biblical statements: "I am that I AM" and "Be still and know that I am God."
জ্ঞানযোগী রামন মহাঋষির বক্তব্যের প্রকৃত অর্থ উপলব্দি করতে হলে আমাদের প্রাচীন ভারতের বৈদিক যুগে একবার ফিরে যেতে হবে।
তরুণ শ্বেতকেতু বেদ পাঠ সমাপ্ত করেছে। শ্বেতকেতুর পিতা উদ্দালক আরুণি ছিলেন অতিশয় প্রাজ্ঞ ব্যক্তি। তিনি উপলব্দি করলেন যে পুত্রের বেদজ্ঞান পরিপূর্ণ হয়নি, অর্থাৎ বাস্তবতার প্রকৃত স্বরূপ সম্বন্ধে শ্বেতকেতুর ধারণা পরিপূর্ণ হয়নি। পুত্রকে তিনি ডুমুরের উদাহরণ দিয়ে বোঝালেন কীভাবে প্রতিটি বস্তুতে অভিন্ন নির্যাস থাকে। ডুমুরের বীজ ও গাছের ভিতরে রয়েছে ডুমুরের গুণাগুন ।
উদ্দালক আরুণি বললেন, জলভরতি একটা পাত্র আন।
শ্বেতকেতু পিতার আদেশ পালন করে।
এবা পাত্রে এক কিছু নুন রাখ।উদ্দালক আরুণি বললেন।
শ্বেতকেতু পিতার আদেশ পালন করে।
পরদিন।
উদ্দালক আরুণি শ্বেতকেতুকে জিজ্ঞাসা করলেন, জলভরতিপাত্রে গতকাল যে নুন রেখেছিলে সেটা কোথায় গেল?
শ্বেতকেতু বলল, নুন জলে মিশে গিয়েছে।
উদ্দালক আরুণি বললেন, এখন পাত্রের এই কোণ থেকে চুমুক দাও। তারপর বল স্বাদ কেমন?
লবনাক্ত। শ্বেতকেতু চুমুক দিয়ে বলল।
উদ্দালক আরুণি বললেন, মাঝখান থেকে চুমুক দাও। তারপর বল স্বাদ কেমন?
লবনাক্ত। শ্বেতকেতু চুমুক দিয়ে বলল।
উদ্দালক আরুণি বললেন, ঠিক আছে এবার এই কোণ থেকে চুমুক দাও। তারপর বল স্বাদ কেমন?
লবনাক্ত। শ্বেতকেতু চুমুক দিয়ে বলল।
উদ্দালক আরুণি বললেন, শোন। নুন সব সময়ই ছিল যদিও তুমি তা দেখতে পাওনি। যেভাবে বিশুদ্ধ নির্যাস সমগ্র বিশ্বের গঠনকে সৃষ্টি করেছে। এটাই সত্যি। তুমিই সেই সত্তা (আত্মন) শ্বেতকেতু ...(ছান্দোগ্য উপনিষদ। ৬:১৩)
হাজার বছর পর দক্ষিণী ব্রাহ্মণ শঙ্করাচার্যর অদ্বৈতবাদী দর্শনে যেন বৈদিক ঋষি উদ্দালক আরুণির এই বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শুনি। কেননা, শঙ্করাচার্যর অদ্বৈতবাদের মূলকথাই হল- ‘একের মধ্যে বহু, বহুর মধ্যে এক।’ শঙ্করাচার্য মনে করতেন, সেই এক বা ব্রহ্মন কে জানলেই মুক্তি সম্ভব। কিন্তু, কে এই ব্রহ্মন? এর উত্তরে বলা যায়- In Hinduism, Brahman is the one supreme, universal Spirit that is the origin and support of the phenomenal universe. আমাদের মনে রাখতে হবে- ব্রহ্মন কিন্তু ব্রহ্মা নন। ব্রহ্মা হলেন শিব ও বিষ্ণুর মতোই একজন দেবতা। আর ব্রহ্মন হলেন ultimate reality!
সে যাই হোক। শঙ্করাচার্যর মতে জীবাত্মা (আত্মন) মৌলিক ভাবেই পরমাত্মার (ব্রহ্মন-এর) সঙ্গে অভিন্ন। এই ভাবনাকে উপনিষদে বলা হয়েছে ‘তত্ত্বমসি’, অর্থাৎ তুমিই সেই। মানবসত্তা সেই ব্রহ্মন- এর সত্তা থেকে পৃথক- এই দৃষ্টিভঙ্গীর মূলে রয়েছে অজ্ঞতা। জীবাত্মা মৌলিক ভাবেই পরমাত্মার (ব্রহ্মন-এর) সঙ্গে অভিন্ন; এবং এই কারণেই মানবীয় অভিজ্ঞতার জগতের (অর্থাৎ সংসারের ) স্বাধীন বাস্তবতা নেই। এ হল মায়া। এ হল ভ্রান্তিবশত দড়িকে সাপ মনে করা। আসলে এই স্বপ্নময় জগৎটি হল ব্রহ্মন-এরই বিশুদ্ধ চৈতন্য। একে মানবিক সত্তা থেকে পৃথক ভাবলে গভীর অজ্ঞতাই প্রকাশ পায়। অদ্বৈতবাদ সম্বন্ধে ঐতিহাসিক Romila Thapar লিখেছেন, "Shankara maintained that the world we see around us is an illusion (maya), for the reality lies beyond and cannot be perceived through existing human senses. Asceticism alone enables one to control these senses and direct them in a manner which permits of a glimpse of the Reality." (A History of India (vol.1) page,185) শঙ্করাচার্য আরও মনে করতেন, বিগত জীবনের কর্মফলের জন্য জগতের সকল জীব সংসারে কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে রয়েছে। সংসার বন্ধন থেকে মুক্তির সঠিক উপায় হল; ‘জ্ঞান’। প্রকৃত বাস্তবতার (ব্রহ্মন বা ultimate reality ) সঙ্গে নিজেকে অভিন্ন বোধ করাই হল জ্ঞান। The key to achieving release from samsara is right knowledge (jñana), which through a spontaneous mystical illumination reveals the fundamental oneness of reality. এই সুগভীর উপলব্দির জন্যই শঙ্করাচার্য আজও ভারতবর্ষের অন্যতম বিখ্যাত এবং প্রভাবশালী দার্শনিক হিসেবে পরিচিত; এবং এই গভীর উপলব্দির জন্যই বর্হিঃবিশ্ব ভারতীয় দর্শন বলতে আজও মূলত শঙ্করাচার্যর অদ্বৈতবাদী বেদান্ত দর্শনকেই বোঝে।( ভারতীয় দর্শনের প্রতি মুগল যুবরাজ শাহাজাদা দারাশিকোর গভীর আগ্রহের কারণটিও উপলব্দি করা যায়। )
শঙ্করাচার্যর অদ্বৈতবাদী বেদান্ত দর্শনের অসাধারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিশিষ্ট বাঙালি সাধক স্বামী বিকেকানন্দ। এ ক্ষেত্রে স্বামী বিবেকানন্দর অতুলনীয় ভাষা বাঙালির গৌরব; বেদান্ত দর্শনের ভাষ্য বাঙালি মনীষার অন্যতম নিদর্শন। বস্তুত স্বামী বিবেকানন্দর ভাষ্য ব্যতীত অদ্বৈতবাদী বেদান্ত দর্শনের উপলব্দি সম্ভব নয়। অদ্বৈতবাদের মূল বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ লিখেছেন, ‘... আত্মন বলতে আছেন একজনই; সেখানে দুই বলে কিছু নেই ... সমগ্র বিশ্বে অস্তিত্ব বলতেও আছে একটিই। এই অস্তিত্বকে যখন আমরা ইন্দ্রিয়মাধ্যমে দেখি তখন তাকে বলি জগৎ, অর্থাৎ জড়জগৎ। আবার যখন দেখি মনের মাধ্যমে তখন বলি চিন্তা, অর্থাৎ ধারণার জগৎ,এবং যখন যথার্থরূপে দেখি তখন বলি ইনিই সেই অনন্ত সত্তা। এই কথাটি মনে রাখবেন যে মানুষের মধ্যে আত্মা বলে কিছু নেই ...অস্তিত্ব বলতে বোঝায় কেবল একটিই এবং তিনিই সেই আত্মন, সেই পরমাত্মা। এই পরমাত্মাকে যখন আমরা ইন্দ্রিয়মাধ্যমে দেখি তখন তিনি হন আমাদের দেহ; যখন দেখি চিন্তার মাধ্যমে তখন হন মন; এবং যখন দেখি স্বরূপে,তখন হন আত্মন, অর্থাৎ একমেবাদ্বিতীয়ম। ...দেহ মন ও আত্মাকে আমরা স্বতন্ত্রভাবে উল্লেখ করে থাকি তবু একথা ঠিক নয় যে এই একের মধ্যেই রয়েছে তিনের অস্তিত্ব। প্রকৃতপক্ষে সমস্তটাই হল আত্মন। এই এক সত্তাই দৃষ্টির তারতম্যে কখনও দেহরূপে, কখনও মনরূপে আবার কখনও পরমাত্মারূপে অভিহিত হচ্ছে।’( বিবেকানন্দ সমগ্র । তৃতীয় খন্ড। রিফ্লেক্ট পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫)
আলোচনার শুরুতে বলেছিলাম যে শঙ্করাচার্যর জন্ম হয়েছিল কেরালায়। অল্প বয়েসে তিনি মায়ের অনুমতি নিয়ে সন্ন্যাস গ্রহন করেছিলেন। এবং গুরু গোবিন্দ এবং বেদান্ত দার্শনিক গৌড়পদ-এর কাছে বেদপাঠ সমাপ্ত করেছিলেন। মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শঙ্করাচার্য কেরালা ফিরে আসেন এবং শেষকৃত্যাদি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি অদ্বৈত বেদান্ত দর্শন প্রচার করার জন্য ভারত ভ্রমন করেন। এ প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক Romila Thapar লিখেছেন ‘His own enthusiasm in debating with the opponents of Vedanta spurred the philosophical centres into new speculative thinking, where earlier they had tended to be stagnant. (A History of India (vol.1) page, 185)
শঙ্করাচার্যর মেধায় আকৃষ্ট হয়ে অসংখ্য ভক্ত তাঁর শিষ্যত্ব বরণ করে । অদ্বৈত বেদান্তকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে শঙ্করাচার্যর পুরী, দ্বারকা, বদ্রিনাথ এবং দক্ষিণ ভারতের শৃঙ্গেরিতে মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় গড়ে ওঠে। শঙ্করাচার্য শিষ্যদের মঠের গুরু নির্বাচিত করেন। একারণেই এ লেখার শুরুতে বলেছি, শঙ্করাচার্য কে দার্শনিক বলা হলেও তাঁর প্রধান ভূমিকা ছিল একজন ধর্মগুরুর। সেই যাই হোক। হিমালয়ের নিকটবর্তী একটি স্থানে মাত্র ৩১ বছর বয়েসে শঙ্করাচার্য মারা যান ।
শঙ্করাচার্যর প্রধান রচনা হল ব্রহ্মসূত্রভাষ্য। এছাড়া তিনি বৃহদারণ্যক এবং তৈত্তিরীয় উপনিষদের ভাষ্যও রচনা করেন। শঙ্করাচার্যর উপনিষদ ছাড়াও গীতা এবং বেদান্তসূত্রের ভাষ্যে লিখেছেন।
পরিশেষে বলব যে অদ্বৈতবাদী বেদান্ত দর্শন একই সঙ্গে তত্ত্ব এবং আন্দোলন। কেননা, তান্ত্রিকতায় আচ্ছন্ন বৌদ্ধধর্মকে ভারতবর্ষ থেকে উচ্ছেদ সাধন করতেই শঙ্করাচার্য বেদান্ত দর্শন প্রচার করেছিলেন। মঠ ধারণাটি স্বয়ং গৌতম বুদ্ধের। তার মানে শঙ্করাচার্য ভারতবর্ষ থেকে বৌদ্ধদের দমন করতে বৌদ্ধদের পদ্ধতিই গ্রহন করেছিলেন।
কিন্তু এই ধর্মীয় আন্দোলনের পরবর্তী ফলাফল কি হয়েছিল?
এ প্রসঙ্গে Romila Thapar লিখেছেন,' But Shankara’s philosophy contained within it the possibilities of a negative reaction as well; if the world around us is an illusion then there is no incentive to try to understand its functioning or to derive empirical knowledge from it.This logical corollary may have been in part the cause of the rather pedantic intellrctualism which became characteristic of these centres in later centuries.’ (A History of India (vol.1) page,186)
তথ্যসূত্র:
বিবেকানন্দ সমগ্র; তৃতীয় খন্ড।
ড. আর এম দেবনাথ; সিন্ধু থেকে হিন্দু।
Constance A. Jones এবং James D. Ryan সম্পাদিত Encyclopedia of Hinduism.
Kim Knott; Hinduism; A Very Short Introduction
Koenraad Elst; Who is a Hindu?
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: বেদান্ত দর্শনের ক্ষেত্রে মাধবাচার্য এবং বল্লভের মতও উল্লেখযোগ্য। ক্রমান্বয়ে এঁদের সম্বন্ধেও লিখব। এঁদের মধ্যে শঙ্করাচার্যই অন্যতম; ইনি ভারতীয় বেদান্ত দর্শনকে অতি উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।
ধন্যবাদ।
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৭
নষ্ট কবি বলেছেন: আত্ম তত্ত্ব যেই জেনেছে
দিব্যজ্ঞানী সেই হয়েছে
কুবৃক্ষে সুফল ফলেছে
আমার মনের ঘোর গেলনা
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হুমম ...
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫০
নাজিম উদদীন বলেছেন: ওম শংকরায় নমঃ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন:
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৭
ভারসাম্য বলেছেন: লেখাটা খুবই ভাল লাগল। তবে একই সাথে জনৈক মন্তব্যকারীর আপ্রাসঙ্গিক ভাবে অন্য একটি ধর্মের পেছনে কোন দর্শন নাই বলে অহেতুক কূটতর্কের সূত্রপাত করার অপচেষ্টা মোটেই ভাল লাগলনা।
সুন্দর এই লেখার মূল বিষয়বস্তুর মধ্যেই সবার আলোচনা সীমিত থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ধন্যবাদ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৫৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৪
তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: এই মাত্র রাহুল সংকৃত্যায়নের দর্শন-দিগ্ দর্শন পড়ে শেষ করলাম; আর এর সর্বশেষ অংশটিই শঙ্করকে নিয়ে। অবশ্য ওখানে বয়স উল্লেখ করা আছে ৩২ (not a big deal)।
বইটাতে কপিলকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা নেই দেখে আশ্চর্য হয়েছি। আর শান্তরক্ষিতকে নিয়ে শুধুমাত্র ওটুকুই আছে যা আপনি আগের একটি পোস্টে লিখেছেন।
উনার ইন্টারপ্রিটেশনে শঙ্করের প্রতি উনাকে খুব একটা প্রসন্ন মনে হয়নি। তবে আপনি নিশ্চয় জানেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি উনার দুর্বলতা ছিল; সে কারণেই হয়ত শঙ্করকে তিনি খুব একটা কল্কে দেননি। আপনার কি মনে হয়?
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:০০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: রাহুল সংকৃত্যায়নের দর্শন-দিগ্ দর্শনবইটা আমার কাছে আছে গত কুড়ি বছর যাবৎ ও বইতে কপিল শব্দটি খুব কমই উচ্চারিত হলেও সাংখ্য দর্শন নিয়ে আলোচনা রয়েছে। আসলে আমরা আমরা আমাদের সময়ে বসে সেই প্রাচীন সময়ের দিকে একটু ভিন্নভাবে তাকাচ্ছি। আর শঙ্করাচার্যের ওপর রাহুল সংকৃত্যায়নের প্রসন্ন না-হওয়ারমূল কারণ হল রাহুল সংকৃত্যায়ন মার্কসবাদী তথা বস্তুবাদী। আর শঙ্করাচার্য ভাববাদী। কাজেই শঙ্করাচার্যের ওপর রাহুল সংকৃত্যায়ন এর প্রসন্ন হওয়ার কথা নয়।
ধন্যবাদ।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৩
দীপান্বিতা বলেছেন: শঙ্করাচার্য সম্পর্কে জেনে খুব ভাল লাগলো...মাত্র ৩১বছরে এত কাজ করেছিলেন!...এঁনারাই কর্মী মানুষ!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:২৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। এঁনারাই কর্মী মানুষ!
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫১
দস্যু রত্নাকর বলেছেন: ব্রহ্ম সত্য জগন্মিথ্যা , জীব ব্রহ্মৈব , নাপর - অর্থাত শঙ্করের মতে ব্রহ্মই একমাত্র সত্য , জগত মিথ্যা এবং জীব ব্রহ্মস্বরুপ । শঙ্কর কেবলাদ্বৈতবাদী আর তাঁর এই মতের পরিপ্রেক্ষিতে রামানুজ গড়ে তোলেন তাঁর বিখ্যাত বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ । এদুজনের দর্শন পড়তে সবসময়ই ভালো লাগে । শঙ্করচার্যের প্রতি থাকলো শ্রদ্ধা । কেন জানি মনে হয় তাঁরা এত এত বছর আগে বিশ্বমানের দর্শন তৈরী করে যেতে পারেন আর আমাদের সময়ে এতটাকা খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী করেও নতুন কোন তত্ব , মৌলিক জ্ঞাণচর্চা , মুক্তবুদ্ধির বিকাশ করতে পারিনা কেন ? লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।