নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরপ্পা সভ্যতা (প্রথম পর্ব)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২২

হরপ্পা সভ্যতা ভারতবর্ষের প্রাচীনতম সভ্যতা । সভ্যতাটির আবিস্কার ভারতের ইতিহাসে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কেননা, এই আবিস্কারের পূর্বে মনে করা হত যে আর্যদের ভারতবর্ষে আসার পর থেকে ভারতের ইতিহাসের সূচনা । হরপ্পা সভ্যতা আবিস্কারের পর ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাচীনত্ব এবং মৌলিকত্ব প্রমাণ হয়েছে। অন্তত পাঁচ হাজার বছরের পুরনো হরপ্পা সভ্যতাটি প্রাচীনত্বের দিক থেকে মিশর-ব্যাবিলন আসিরিয়ার সমকক্ষতা অর্জন করেছে। সে যাই হোক। প্রাগৈতিহাসিক ভারতবর্ষে হরপ্পা সভ্যতা গড়ে ওঠার সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল। মাঠ পর্যায়ে গবেষনা করে প্রত্নতাত্ত্বিকগণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, নবোপলীয়, অর্থাৎ নব্যপ্রস্তর যুগে খাদ্য ও ঘাসের অভাব দেখা দিয়েছিল। মানুষ এবং পশুখাদ্য যোগানোর জন্য নদীর তীরই ছিল উপযুক্ত জায়গা। কাজেই ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ নদীর তীরে বসতি গড়তে থাকে। এই ঘটনা ঘটেছিল ২২০০ খ্রিস্টপূর্বের আগে। কেননা, ঐতিহাসিকদের মতে হরপ্পা সভ্যতার কালসীমা খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ থেকে ১৭০০। সে যাই হোক। মিশর কিংবা মেসোপটেমিয় সভ্যতার তুলনায় হরপ্পা-সংস্কৃতি সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান সীমিত। এর প্রধান কারণ হরপ্পা সভ্যতার লিখিত দলিলের অভাব। হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন নগরে প্রায় হাজার দুয়েক সীল পাওয়া গেলেও আজও সেগুলির পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি। প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননের (archaeological excavation) ফলে যে তথ্যসমূহ পাওয়া গিয়েছে তারই ভিত্তিতে হরপ্পা সভ্যতা সম্বন্ধে আমাদের ধারণা গড়ে উঠেছে। অবশ্য মহেনজোদারোয় ভূগর্ভস্থ কয়েকটি স্তর জলমগ্ন থাকায় খননকার্যও পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। হরপ্পা সংস্কৃতি সুবিশাল ভূখন্ডে ছড়িয়ে আছে। আয়তন সব মিলিয়ে ১২,৫০,০০০ বর্গ কিলোমিটার ।এ প্রসঙ্গে একজন ভারতীয় ঐতিহাসিক লিখেছেন:The total geographical area over which this civilization flourished is more than 20 times of the area of Egyptian and more than 12 times of the area of Egyptian and Mesopotamian civilizations combined.







হরপ্পা সভ্যতার মানচিত্র



প্রথম দিকে হরপ্পা সংস্কৃতিটি সিন্ধ সভ্যতা নামেও পরিচিত ছিল। তবে, হরপ্পা সংস্কৃতি কে "সিন্ধ সভ্যতা" অবহিত করলে ভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। কেননা প্রথম দিকে প্রাচীন এই সভ্যতাটির আবিস্কার সিন্ধ নদীর উপত্যকায় হলেও পরবর্তীকালে তার বাইরেও বহু প্রত্নক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে যা হরপ্পা-সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যসূচক। তাছাড়া হরপ্পার এক নগরে সভ্যতাটির প্রাথমিক নিদর্শন পাওয়া যায় বলেই সভ্যতার নাম হরপ্পা সভ্যতা হওয়াই যুক্তিযুক্ত। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় ঐতিহাসিক মাখখান লাল লিখেছেন: A culture may also be named after the site from where it came to be known for the first time.







হরপ্পা সভ্যতা ভারত এবং পাকিস্তান -এ দু দেশেই ছড়িয়ে আছে।



এবার কী করে হরপ্পা সভ্যতা আবিস্কৃত হল সে বিষয়ে কিছু বলি।

১৮২৬ খ্রিস্টাব্দ। চার্লাস ম্যাসন (প্রকৃত নাম অবশ্য জেমস লুইস) নামে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন সৈন্য এবং অবিস্কারক পাঞ্জাবে যান। উদ্দেশ্য পাঞ্জাবের মহারাজা রণজিৎ সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ। ওই পাঞ্জাবেরই পশ্চিমে মন্টোগোমারি জেলায় ইরাবতী নদীর পূর্ব তীরে হরপ্পার অবস্থান। চার্লাস ম্যাসন হরপ্পায় ঢিবি দেখেছিলেন। এবং তার লেখায় চার্লাস ম্যাসন ঢিবিটিকে ‘প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে সম্ভাবনাময়’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তখন ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের প্রধান ছিলেন ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব চর্চার পথিকৃৎ মেজর জেনারেল কানিংহাম । ইনি ১৮৫৩ এবং ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কয়েকবার হরপ্পা পরিদর্শন করেন। এবং সীল ও ছুরির ফলা সম্বলিত সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তা সত্ত্বেও পন্ডিতমহলে হরপ্পা নিয়ে তেমন আগ্রহ তৈরি হয়নি। যাই হোক। মহেনজোদারোর অবস্থান বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলার খয়েরপুর বিভাগে। মেজর জেনারেল কানিংহাম কর্তৃক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পঞ্চাশ বছর পর মহেনজোদারোর প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন করা হয়। সেসময় একই ধরনের সীল পাওয়া যায়। সংবাদটি ‘ইলাষ্ট্রেটেড লন্ডন নিউজ’ এ প্রকাশিত হলে প্রত্নতাত্ত্বিক মহলে সাড়া পড়ে যায়।







হরপ্পা নগরের ধ্বংসাবশেষ



হরপ্পা সভ্যতার আবিস্কারের সঙ্গে একজন বাঙালি ঐতিহাসিক জড়িত। তিনি ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্ধ্যোপাধ্যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সৈন্য এবং অবিস্কারক চার্লাস ম্যাসন হরপ্পায় যে ঢিবি দেখেছিলেন ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্ধ্যোপাধ্যায় সেটি বৌদ্ধ উপাসনালয়ের ধ্বংসাবশেষ ভেবেছিলেন । সে যাই হোক। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে তিনি হরপ্পায় খননকার্য শুরু করেন এবং অচিরেই প্রাগৈতিহাসিক যুগের মৃৎপাত্র এবং পাথরের তৈরি শিল্পকর্ম আবিস্কার করতে সক্ষম হন। হরপ্পা সভ্যতার অন্য আবিস্কারক হলেন প্রত্নতাত্ত্বিক পন্ডিত দয়ারাম সাহানী। এঁরা দুজনই হরপ্পা ও মহেনজোদারোতে দুইটি নগরের সন্ধান পান।







হরপ্পা। খননকার্য চলছে।



১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় সিন্ধ অঞ্চলে সব মিলিয়ে চল্লিশটির মতন প্রত্নক্ষেত্র আবিস্কার হয়েছিল। এর পর গত ৫০/৬০ বছরে সব মিলিয়ে ১৪০০ প্রাচীন বসতি আবিস্কৃত হয়। এর মধ্যে ৯২৫ টি ভারতে; এবং ৪৭৫ টি পাকিস্তানে। কাজেই বর্তমানকালের রাজনৈতিক সীমানায় হরপ্পা-সংস্কৃতির বিশ্লেষন সম্ভবপর নয়, কাজেই ভৌগোলিক প্রেক্ষপটেই হরপ্পা-সংস্কৃতির সমীক্ষা চালানো সমীচীন যা, আগেই ইঙ্গিত দিয়েছি যে বিশাল এক ভূখন্ডে ছড়িয়ে রয়েছে- পশ্চিমে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের সুতকাজেন্দর; পুবে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মিরাট জেলার আলমগীরপুর; দক্ষিণে মহারাষ্ট্রের আহমদনগর জেলার ধাইমাবাদ; এবং উত্তরে জন্মু এবং কাশ্মীরের আখনুর জেলার মানডা। পুব-পশ্চিমে সব মিলিয়ে ১৬০০ কিলোমিটার। এবং উত্তরদক্ষিণে ১৪০০ কিলোমিটার।







মানচিত্রে সরস্বতী নদীর অবস্থান। বর্তমানে নদীটি মজে গেলেও অতীতে খরস্রোতা ছিল এবং এই নদীর পাড়েই হরপ্পার ৮০% প্রাচীন বসতি গড়ে উঠেছিল; যে কারণে হরপ্পা সংস্কৃতিটি সরস্বতী সভ্যতা নামেও পরিচিত।



নব্যপ্রস্তর যুগে হরপ্পা-সংস্কৃতির বেশির ভাগই গড়ে উঠেছিল নদীর কিনারে। যার কারণটি পূর্বেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। হরপ্পা সভ্যতার ৪০% গড়ে উঠেছিল সিন্ধু নদের অববাহিকায়; ৮০% বসতি গড়ে উঠেছিল সিন্ধু এবং গঙ্গার মধ্যবর্তী অঞ্চলে বয়ে যাওয়া সরস্বতী নদীর তীরে । সরস্বতী নদীটি যদিও বর্তমানে মজে গেছে। অতীতে সরস্বতী নদীর তীরে ২৫০ বসতি গড়ে উঠেছিল, এর কিছু আবার গুজরাটে, কিছু মহারাষ্ট্রে। কাজেই হরপ্পা সভ্যতাটি কে ঠিক সিন্ধসভ্যতা নয় বরং এককালে প্রবাহমান সরস্বতী নদী সৃষ্ট সভ্যতা বলাই সমীচীন! একারণে হরপ্পা সভ্যতাকে কোনও কোনও ঐতিহাসিক বলেন সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতা, কেউ-বা সরস্বতী সভ্যতা।









হরপ্পা-সংস্কৃতির মৃৎপাত্র; যা এক উৎকর্ষ শিল্পমানের ইঙ্গিত দেয়



হরপ্পা ও মহেনজোদারোয় খননকার্যের ফলে জানা গেছে যে ওসব অঞ্চলে প্রাগৈতিহাসিক কালেই নগর গড়ে উঠেছিল। হরপ্পা ও মহেনজোদারো ছাড়াও কালিবানগান, লোথাল, সুরকোটাডা ও ধোলাভিরা ইত্যাদি অঞ্চলে সুপ্রাচীন বসতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নগরের চারপাশে ছিল কৃষিজমি। এমনটাই স্বাভাবিক। কেননা কৃষির উদ্বৃত্ত থেকেই সাধারণত নগর গড়ে ওঠে। নগর ঘিরে কৃষিজমি বাদেও ছিল নদী, বনভূমি এবং চারণভূমি। এতে করে শিকারী এবং খাদ্য সংগ্রাহক শ্রেণির অস্তিত্বের কথা অনুমান করা যায়। চারণভূমি নগরে দুধ, মাংস, হাড় ও চামড়ার যোগান দিত । নদীপথে গড়ে উঠেছিল নৌবাণিজ্য ।







বর্তমান কালের শিল্পীর চোখে হরপ্পা নগর।



তো, কারা নির্মাণ করেছিল হরপ্পা সভ্যতা?

ঐতিহাসিকগণের অভিমত হল: প্রাচীন ভারতে দ্রাবিড় ভাষাভাষী জাতিই হরপ্পা সংস্কৃতি নির্মাণ করেছে। আর্যরা ভারতবর্ষে আসার আগেই প্রাচীণ ভারত দ্রাবিড়-অধ্যূষিত ছিল। বেলুচিস্তানের পাহাড়ি ব্রাহুই আদিবাসীরা আজও দ্রাবিড় ভাষায় কথা বলে। দ্রাবিড়দের আদিভূমি দক্ষিণ ভারত। প্রাচীন হরপ্পাবাসীর দেহগত নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের দ্রাবিড়দের সাদৃশ্য প্রমাণিত। দুই সংস্কৃতির মানুষই শৈব (এরা শিবের ভক্ত) ও শাক্ত (এরা আদ্যশক্তি মহাদেবীর ভক্ত) ধর্মের অনুসারী। দুটি সংস্কৃতিতেই লিঙ্গ পূজার প্রচলন ছিল। তাছাড়া এদের মধ্যে ভাষাগত ঐক্যও লক্ষ করা গিয়েছে। আর্যরা অনার্যদের পরাজিত করেছিল বলে ঋক বেদ-এ উল্লেখ রয়েছে। এ অনার্য জাতিই ভারতীয় ভূমিপুত্র দ্রাবিড় জাতি।









হরপ্পা সভ্যতার অন্যতম নগর ধোলাভিরা-র ধ্বংসাবশেষ



কোনও কোনও ঐতিহাসিকের মতে আর্যরাই হরপ্পা সংস্কৃতির স্রষ্টা। দাবীটি অযৌক্তিক। কয়েকটি যুক্তি তুলে ধরছি। (১) আর্য সভ্যতা ছিল গ্রাম ভিত্তিক। আর্যরা পশুপালন ও কৃষিকাজ করত। অন্যদিকে হরপ্পা সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল নগর। বৈদিক সাহিত্যে আর্যদের বলা হয়েছে ‘নগর ধ্বংসকারী’। প্রধানতম বৈদিক দেবতা ইন্দ্রকে ‘পুনন্দর’ বলা হয়ে ছে। এর মানে,‘পুর (নগর) ধ্বংসকারী’। (২) হরপ্পা সংস্কৃতিতে আর যাই থাক, লোহা ছিল না; অথচ বৈদিক সভ্যতায় তামা ও লোহার ব্যাবহার ছিল। (৩) হরপ্পা এবং মহেনজোদারোর নগরগুলিতে ইটের দোতলা এবং তিনতলা বাড়ি ছিল; আর্যরা ঘর বানাতো মাটি বাঁশ ও খড় দিয়ে। (৪) ঘোড়ার সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সম্পর্ক ক্ষীণ বলে ধারণা করা হয়। অথচ বহিরাগত আর্যদের প্রধান বাহনই ছিল অশ্ব বা ঘোড়া। (৫) হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের জীবন ছিল স্থায়ী; অন্যদিকে আর্যরা ছিল যাযাবর । (৬) ষাঁড় ছিল হরপ্পা সভ্যতার পূজ্য দেবতা। আর্যসমাজে গাভী পূজনীয় ছিল। (৭) আর্যরা লিঙ্গ পূজাকে নিন্দনীয় মনে করত। হরপ্পা সভ্যতায় লিঙ্গ ও মাতৃদেবীর পূজা। (৮) আর্য সংস্কৃতিতে পুরুষ দেবতার আধিক্য থাকলেও হরপ্পায় মাতৃদেবী বা নারীদেবী হরপ্পার লিখিত ভাষা ছিল; আর্যদের ছিল না। (৯) আর্যরা ভারতবর্ষে এসেছিল ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বে; হরপ্পা সভ্যতার সূত্রপাত তিন হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে।

কাজেই, দ্রাবিড় ভাষাভাষী জাতিই হরপ্পা সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে।



ক্রমশ ...



ছবি: ইন্টারনেট।

তথ্যসূত্র: শেষ কিস্তিতে সংযুক্ত করা হবে।



মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: চমৎকার। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। কবে আসছে?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ২/১ দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় পর্বটি পোস্ট করবার ইচ্ছে রয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ জুহালা ভাই।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: প্রথম ভালোলাগা। সুন্দর পোস্ট ভাইয়া। :)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪

১১স্টার বলেছেন: চমৎকার একটি তথ্যবহুল পোস্ট।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৯

মঈনউদ্দিন বলেছেন: দারুন তথ্যবহুল পোস্ট, ভাল লাগলো

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০১

মাকিন বলেছেন: Onek din meth pori na!:-( aj onek ojana jante parlam

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৮

ফাইয়াদ ইফতিখার রাফী বলেছেন: দারুন জিনিস :) অনেক অজানা জিনিস জানলাম :)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: !:#P

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৮

মুনসী১৬১২ বলেছেন: অনেক কছু জানা হলো

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৪২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩০

অসম্ভব০০৯ বলেছেন: ভাল লেগেছে >>

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৪৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২১

রং রিয়াজ বলেছেন: কিছুদিন আগেই একবার পড়েছিলাম আবার পড়লাম। ভালো লাগল। আমার অবাক লাগে যে ওই সময় রাস্তার নীচ দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল যা আজও অনেক দেশেই নেই।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ, পরবর্তী পর্বে এই ড্রেনেজ সিসটেম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২৭

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়....

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আজ-কালেই মধ্যেই পোস্ট করব।
অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৯

দূর্যোধন বলেছেন: সুন্দর এবং সাবলীল ইমন ভাই।
বলতে গেলে পাঠ্যবইয়ের অকিঞ্চিতকর জানা থেকে এখন অনেক কিছুই আপনার পোস্টের কল্যানে জানলাম।

ভালো লাগা জানালাম :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:১৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:২৭

রমিত বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট, ভাল লাগলো

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪১

বীরেনদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ । তথ্যবহুল। তবে আমার অভিযোগ " মন্ত্রী কহে আমার ও ছিল মনে / কেমনে ব্যাটা পেরেছে সেটা জানতে" পুরোনো সভ্যতা আমার প্রিয় বিষয়। এ সম্পর্কে পড়াশোনা করতাম অনেক আগে থেকেই। ব্লগে লিখতে এসে প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে দু একটা লিখেছি ও। ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতা হরপ্পা এবং মহেনজেদারো নিয়ে লিখব ভাব ছিলাম । আপনার লেখা পড়ে আপাতত সে চেস্টায় ইতি।
এই রকম আরো একটা ঘটনা, অল্প কিছুদিন আগের। এবারকার বিজয় দিবসের আগে কিছুটা লিখে রেখেছিলাম জর্জ হ্যারিসন এবং বাংলাদেশ কনসার্ট নিয়ে , ভেবেছিলাম পরদিন বাকিটুকু লিখে পোস্ট করব। পরদিন সকালে ঘুম থেকে ব্লগে বসেই দেখি অন্য কোন এক লেখকের লেখা এ সম্পর্কে, সুতরাং তা বাদ পড়ল।
যাই হোক আপনার লেখাগুলো পড়ছি। সুন্দর। অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সে কী! না, না। আপনিও লিখুন। দুজনের উপস্থাপনা তো আর একই রকম হবে না। সেই ভিন্নতাই পাঠকের আনন্দ।
অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩৭

স্রাবনের রাত বলেছেন: পরের পর্বর অপেক্ষায় থাকলাম

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আজই ২য় পর্বটি পোস্ট করব। অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৪

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ৮ম ভাললাগা


চমৎকার পোস্ট

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চয়ন ।

১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

নষ্ট কবি বলেছেন: +

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৪২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ

১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:১২

রাশমী বলেছেন: সেই সময় কি আর্যদের আগে দ্রাবিঢ় দের বেশি বসবাস ছিল?? আমার জানতে ইচ্ছা এর ও আগে এই দেশে মানুষ কেমন ছিল....!!

ঐ সভ্যতার সময়কালে উন্নয়ন তো ব্যাপক হয়েছিল কিন্তু পতন ঘটলো কেন??

সুন্দর পোস্ট!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: দ্রাবিড় জাতিই ভারতীয় উপমহাদেশের সবচে প্রাচীন অধিবাসী ।আর্যরা ভারতে আসার আগে এরাই ছিল সংখ্যালঘু। কারও কারও মতে অবশ্য দ্রাবিড়রা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে ভারতে এসেছিল। আবার কারও কারও মতে দ্রাবিড়রা ভারতের মাটিরই সন্তান। এবং হরপ্পা সভ্যতা দ্রাবিড় সভ্যতা, যাদের নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।
হরপ্পা সভ্যতার পতনের নানা কারণ ছিল। এক হল স্থবিরতা। বহ বছরেও সভ্যতাটির বদল ঘটেনি। কেননা হরপ্পাবাসী সহজে বৈদেশিক প্রযুক্তি গ্রহন করত না। তাছাড়া সভ্যতার পতনের কারণ হিসেবে আবহাওয়ার পরিবর্তন, মরুকরণ এবং নদীর গতিপথের বদলে যাওয়া এবং জমিতে লবনের হার বৃদ্ধি পাওয়াকে ধরা হয়। তাছাড়া এককালে খরস্রোতা সরস্বরী নদীটি মজে গিযেছিল যে নদীর পাড়ে তিন শতাধিক হরপ্পান বসতি ছিল।
ধন্যবাদ।

১৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৯

অনিক আহসান বলেছেন: বস.. সিন্ধু নদীর অব্বাহিকায় প্রলয়ংকারী বন্যারো একটা প্রভাব আছে মনে হয়

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। পরের পর্বগুলি তে সে আলোচনা থাকবে। ধন্যবাদ।

১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:২৪

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: ++++

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৭

ব্লাক উড বলেছেন: অসাধারন সুন্দর!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৯

ডাঃ মাহবুব গাউস বলেছেন: ইমন ভাই, এত সুন্দর লেখেন কেমনে ??
এত কিছু জানেনই বা কেমনে??

ভালো থাকবেন :)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: প্রথম দুটি প্রশ্নের উত্তর তো চিকিৎসা বিজ্ঞানের আওতায় :)

২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ভাল লাগছে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৫৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১১

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আমি কয়দিন ধরেই যে প্রশ্নটি জানতে চাচ্ছি তা হল আপনি বার বার বলছেন আর্যরা এসেছিল বাইরে থেকে।কিন্তু তারা আসলে কই থেকে এসেছে বলবেন কি?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আর্যরা ভারতবর্ষে এসেছিল ইরান (পারস্য) থেকে।
ধন্যবাদ।

২৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪

সকাল রয় বলেছেন:
পড়লাম। এই বিষয়ে বাংলায় আরো জানার সুযোগ কোথায় আছে বলতে পারেন?

২৫| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০৩

মিরাজ মুস্তাফা বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।

২৬| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০৫

মিরাজ মুস্তাফা বলেছেন: অতি উত্তম পোস্ট।
Samadhan for Students





২৭| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:০৮

মিরাজ মুস্তাফা বলেছেন: ইতিহাস খুব ভালো লিখেন।
https://www.rashtrakutas.com/2018/08/Feature-sindhu-valley-civilization.html

২৮| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৪১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর করে একটি অজানা সভ্যতার সম্পর্কে ইহিহাসি দলিল সহ লিখলেন। পরের পর্ব দেখার ইচ্ছায় অপেক্ষমান।

২৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৭

মানতাশা বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
We never forget you,still alive in our heart.
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.