নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুফিবাদ: সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (প্রথম পর্ব)

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১৪

সুফিবাদ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। সে কারণেই এই বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখার ইচ্ছে হল। তথ্যের জন্য একান্তভাবে নির্ভর করেছি ড. মুহম্মদ এনামুল হক- এর বিখ্যাত ‘বঙ্গে স্বূফী প্রভাব’ বইটির ওপর । সুফিবাদের ওপর ড. মুহম্মদ এনামুল হক- এর গভীর পন্ডিত্যের কথা বাঙালি পাঠক অবহিত। তাঁর তথ্যবহুল ‘বঙ্গে স্বূফী প্রভাব’ বইটিও আকর গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে। যদিও ড.মুহম্মদ এনামুল হক ‘সুফি’ বানানটি লিখেছেন ‘স্বূফী’ । কিন্তু, আমরা সুফি-ই লিখব।ড. মুহম্মদ এনামুল হক অন্যান্য অনেক ইসলামি পরিভাষার বানানও ফারসি উচ্চারণে লিখেছেন। যেমন, অদৃশ্যবস্তু কে ‘ঘয়ব’ লিখেছেন। কিন্তু, আমরা লিখব ‘গায়েব’। আমরা আমাদের পরিচিত এবং জানা বানানই লিখব।

সে যা হোক। এক কথায় সুফিবাদ হল ইসলামের মরমি (এই মরমি বানানটি অশুদ্ধ নয়) ভাষ্য, যা বাংলাদেশে ‘মারেফাত’ নাম পরিচিত। শরিয়ত বাংলাদেশে একটি বহুল পরিচিত শব্দ।শরিয়ত হল ইসলামের কর্মমূখী/আচরণবাদী দিক। আর মারেফাত হল ইসলামের মর্মমুখী বা মরমি দিক। তবে সুফি মতবাদটি ঠিক মৌলিক নয়; তার মানে ইসলামের এই মরমি মতবাদটির উদ্ভবের পরে সুফিবাদের ওপর প্রথমে পারস্য এবং পরবর্তীকালে ভারতীয় সভ্যতার অনিবার্য প্রভাব পড়েছিল। যার ফলে সুফিরা ইসলামী বিশ্বাস থেকে সরে এসেছেন বলে সুফিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী শাস্ত্রবাদী ওলেমারা সংস্কার অন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন, যে কারণে অনেক সুফির জীবনই বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। তবে সুফিবাদের অগ্রগতি ও বিস্তার রোধ করা সম্ভব হয়নি। মতবাদটি দুর্বার গতিতে প্রথমে পারস্যে, পরবর্তীকালে পারস্য থেকে উত্তর ভারতে এবং উত্তর ভারত থেকে বাংলায় এসে পৌঁছেছিল। কি ছিল সেই মরমি সুফিদের প্রাণশক্তির উৎস? এসব প্রশ্নে আজও আমরা বিস্মিত হই। পাশাপাশি বিচিত্র সুফি মতবাদের কারণে আজও সুফিবাদ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের যেন কমতি নেই।

তবে সুফিবাদ নিয়ে বির্তকও কম নেই। এসব সত্ত্বেও বাংলার জনসমাজে প্রায় হাজার বছর ধরে মতবাদটি দারুন জনপ্রিয় ও গ্রহণীয়। বাংলার সুফি-দরবেশদের চিন্তাধারা আজও বাঙালি মুসলমানের মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে।

সুফিবাদের উদ্ভব আরবে, বলা যায় ইসলামের অভ্যূদয় লগ্নে। প্রাথমিক যুগের সুফিদের অনুপ্রেরণা ছিল কোরান শরীফের বিশেষ বিশেষ আয়াত। পরবর্তীকালে অবশ্য সেই আদি সুফিমত অনেকটাই বিকৃত হয়ে পড়েছিল এবং সর্বশ্বেরবাদী ধ্যানধারনায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। এরপর প্রথমে পারস্যে, তারপর ভারতবর্ষে এবং পরবর্তীকালে মধ্যযুগের বাংলার সুপ্রাচীন যোগ ও তন্ত্রের প্রভাবে সুফিবাদ ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায়। এভাবে উদ্ভব ঘটেছিল "লৌকিক ইসলাম" এর; যার মূলে রয়েছে ‘বেদাত’‘শিরক’-এর মতো ইসলামবিরোধী ধ্যানধারণা। অপরদিকে সুফিবাদের জাতপাত, বর্ণ, শ্রেণি এবং সাম্যবাদী ধ্যানধারণা গৌড়িয় বৈষ্ণব মঠের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল; প্রভাবিত করেছিল বাংলার বাউলদর্শনকেও । পরিশেষে সুফিবাদ থেকে বাংলায় উদ্ভব ঘটে পীরবাদ- যা ইসলামের আমূল বিকৃতি। এসব বিষয়ই ড.মুহম্মদ এনামুল হক- এর ‘বঙ্গে স্বূফী প্রভাব’ বইটির তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লেখা এই ধারাবাহিক পোস্টে থাকবে । এবং এই প্রথম পর্বের আলোচনার বিষয় সুফিবাদের উত্থান পর্বের ইতিবৃত্ত।

কিন্তু, সুফি শব্দটির উদ্ভব হল কিভাবে?

এই প্রশ্নটির মীমাংশা বেশ জটিল। কেননা, গবেষকগণ এ বিষয়ে একমত নন। কারও মতে ইসলামের প্রাথমিক যুগে যে সমস্ত দরিদ্র মুসল্লী মসজিদের প্রাঙ্গনে বসে নামাজীদের কাছ থেকে ভিক্ষাগ্রহন করতেন তারাই সুফি। অন্যমত হল: গ্রিক Philosophos (প্রজ্ঞাপ্রিয়) শব্দের আরবি অপভ্রংশ হল ‘ফয়লসূফ’; এর মানে দার্শনিক। অর্থাৎ, ‘ফয়লসূফ’ শব্দ থেকে সুফি শব্দের উৎপত্তি। অন্যরা বলেন: গ্রিক Philosophos শব্দ থেকে নয় গ্রিক Sophisma শব্দ থেকেই সুফি শব্দটির উদ্ভব। সফিসমা বা জ্ঞান শব্দের আরবি অপভ্রংস হল সফসত্বী-এর অর্থ: ‘ভ্রান্তকূটতার্কিক’। ধর্মের ক্ষেত্রে বিপথগামী হয়ে যারা কূটতর্ক করে তারাই ‘সুফি’। তবে বেশিরভাগ আরবি পন্ডিতদের মতে আরবি ‘ইসমু-জামিদ’ শব্দ থেকে সুফি শব্দটির উদ্ভব। এই ‘ইসমু-জামিদ’ শব্দের মূলে রয়েছে ‘স্বূফ’‘ইসমু-জামিদ’ শব্দের অর্থ: পশম। এসব পন্ডিতদের মত হল-ইসলামের প্রাথমিক যুগে যে সব উদাসীন মানুষ পশমের জামা পরে সংসার থেকে নির্লিপ্ত থাকবার চেস্টা করতেন তারাই ‘সুফি’। এঁরা পশমী জামা পরিধান করতেন। আরবের অধিবাসীরা তাদের বলত ‘পশমী জামা পরিধানকারী’ । ইসলামের প্রাথমিক যুগে পশমী পোশাক ছিল অনাসক্তি ও ভোগবিলাস বিরোধী প্রতীক। সাম্যবাদী খলিফা উমর (র) পরতেন লম্বা ঢোলা পশমী জোব্বা ।

আমরা জানি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দ) ও চার খলিফার শাসনব্যবস্থার অবসানের পর ইসলামী বিশ্বে রাজতন্ত্রের উদ্ভবের সঙ্গে সঙ্গে বিলাসিতা, আড়ম্বর ও ধনদৌলতের প্রতি আসক্তি অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল। সেই সময়ই একদল সৎ, উদাসীন ও আল্লাহভক্ত মানুষ নিজেদের এসব থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁরা সাদাসিদে পশমের পোশাক পরতেন। তারা অনেকটা নিরবেই বিলাসিতা, আড়ম্বর ও সংসার আসক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মূখর হয়ে উঠেছিলেন। ইসলামী সমাজে আগের যুগের সাম্যবাদী ধ্যান-ধারণা ফিরিয়ে আনার জন্যেই সেই সব ত্যাগী আর সৎ মানুষদের অনেকটা বাধ্য হয়েই একটা মরমি আদর্শ দাঁড় করাতে হয়েছিল। সেসময় তাদের বলা হল সুফি বা ‘পশমী জামা পরিধানকারী।’

সুফি শব্দের উদ্ভবের বিষয়টি তো জানা গেল। কিন্তু সুফি মতবাদের উদ্ভব কিভাবে হয়েছিল? এই বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। আসলে সুফি মতবাদ হল মানুষের স্বাভাবিক চিন্তাধারা ও মরমী জ্ঞানের স্ফূরণস্বরূপ। সভ্যতার উন্মেষলগ্ন থেকেই মানুষের এক্সটারনাল বা বাহ্যিক জ্ঞান বিকাশ লাভ করেছিল। তারই পাশাপাশি অতি স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মরমি চেতনারও বিকাশ হয়েছিল। তার কারণ মানুষ চিরদিনই অজানা অদৃশ্যলো সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করতে চেয়েছে। দৃশ্যের ওপারের দৃশ্য দেখার নেশা মানুষের বরাবরের। অজানা অনন্তকে জানার এই যে অনন্ত প্রয়াস এটি মানুষের হৃদয়ে সদা জাগরূকই থাকে । এটি মানুষের এক স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। ড.মুহম্মদ এনামুল হক তাঁর ‘বঙ্গে স্বূফী প্রভাব’ বইয়ে লিখেছেন: ‘স্বূফী-মতবাদ উদ্ভবের মূলেও ঠিক এমনই একটি তীব্র প্রেরণার অনুভূতির সন্ধান আমরা পাইয়াছি। (পৃষ্ঠা:২৬)

প্রতিটি নতুন ধর্মেই দুটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। একটি হল নবীন ধর্মটি মানুষকে মরমি চৈতন্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তাকে ঐশি প্রেরণায় অনুপ্রাণিত করে। দ্বিতীয়টি হল-নবীন ধর্মটি মানুষের কর্মমুখী প্রবনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মানুষকে কর্মশীল করে বাস্তবাদী সামাজিক জ্ঞানের পথে তাকে পরিচালিত করে। একটি নবীন ধর্ম হিসেবে ইসলামের ক্ষেত্রেও তাইই হয়েছিল। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দ) ও চার খলিফার শাসনব্যবস্থার সময় এই দুটি প্রবণার চমৎকার ভারসাম্য আমরা লক্ষ্য করি। কিন্তু, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দ) ও চার খলিফার শাসনব্যবস্থার অবসানের পর আরবদের মধ্যে কর্মমূখী দিকটিই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে এবং আরবদের বাস্তববাদী পদক্ষেপগুলি যেন আরব চেতনার অর্ন্তগত মরমি চেতনাকে গ্রাস করতে উদ্যত হল। ফলে এই অপ্রত্যাশিত ভারসাম্যহীনতার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবেই পশমী জামা পরিধানকারীদের অর্ন্তমূখি মরমি মতবাদ বা সুফিবাদের উদ্ভব ঘটে।

মানবসভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতায় সাধকপুরুষদের আবির্ভাব ঘটেছে। বিশ্বের সকল সাধু ও সুফিদের লক্ষ অভিন্ন। অজানার সন্ধানে ছুটে চলা, অজ্ঞাতকে বোধের সীমানায় নিয়ে আসা। কিন্তু এই সব সাধুসন্তদের সঙ্গে আরব সুফিদের পার্থক্য কোথায়? আরব সুফিদের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সাধুসন্তদের পার্থক্য আসলে সাধনপদ্ধতিতে বা বলা যায় পার্থক্যটি মার্গজ। সাধনাপদ্ধতির পার্থক্যের কারণ হল বিশেষ সামাজিক পরিবেশ। প্রাথমিক যুগের সুফিরা আরব-উদ্ভূত, আরব-জাত। প্রাথমিক যুগের সুফিরা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দ) এবং চার খলিফার সাদাসিদে জীবনাদর্শ অনুসরণ করতেন। যে কারণে সেই সব সুফিদের জীবন ছিল পবিত্র। ওই সময়কার কয়েকজন উল্লেখযোগ্য সুফিসাধক হলেন: হাসান বসরি (মৃত্যু ৭২৮:খ্রিস্টাব্দ); রাবেয়া বসরি (মৃত্যু: ৭৫৩ খ্রিস্টাব্দ); ইব্রাহীম ইবনে আদম (মৃত্যু: ৭৭৭ খ্রিস্টাব্দ); আবু হাশিম (মৃত্যু ৭৭৭ খ্রিস্টাব্দ);মারূফ করখী (মৃত্যু: ৮১৫ খ্রিস্টাব্দ) প্রমূখ। এদের নাম আজও ইসলামি বিশ্বে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয় এবং এক পবিত্র ছবি ভেসে ওঠে। এরা সবাই ছিলেন আরববাসী । এঁরা ইসলামের আওতার মধ্যে থেকেই ইসলামের মরমি দিক বা তরিকত বা সুফিসাধনায় মগ্ন হয়েছিলেন । অবশ্য এঁদের মধ্যে ভাবের প্রবল্য ছিল। তার কারণ ছিল। এঁরা কর্ম কোলাহল মূখর কর্মমুখী জীবন পরিত্যাগ করে মরমি-নির্জন জীবনে অত্যধিক ঝুঁকে পড়েছিলেন। এই সুফিদের মধ্যে নবম শতক অবধি নতুন কোনও চিন্তার স্ফূরণ ঘটেনি। হয়নি। আদি সুফিবাদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল- আরবের সুফি আন্দোলন একেবারেই সংগঠিত ছিল না। কেননা, সুফিদের মরমিসাধনা ছিল একান্তই ব্যক্তিগত। সুফিরা নিজস্ব ধারণা অবলম্বন করে সাধনা করতেন। এই জন্যেই বিশিষ্ট সুফিদের সাধনপদ্ধতি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়।

আরববিশ্বে একচ্ছত্র রাজতান্ত্রিক আধিপত্য ও ভোগবিলাসে দরুনই সম্ভবত খ্রিস্টীয় নবম শতকের প্রথম ভাগ থেকে সুফিদের মধ্যে বৈরাগ্য ও অনাসক্তির ভাব প্রবল হয়ে ওঠে। ইসলাম যদিও বৈরাগ্য ও অনাসক্তির অতিরিক্ত প্রশ্রয় দেয়নি কখনও। তবুও ইসলামের পরিধীর মধ্যে থেকেই সুফিবাদের আওতা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছিল। সেই সঙ্গে সুফি মতবাদ আরবের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়ছিল। বিখ্যাত সুফিরা সুফিতত্ত্বের ব্যাখ্যা বয়ান করছিলেন। এভাবে দশম শতাব্দীর মধ্যেই সুফিমত একটি নির্দিষ্ট রূপ পরিগ্রহ করে।

কিন্তু, ওই যুগের সুফিরা কি ব্যাখ্যা বয়ান করতেন?

তারা বলতেন যে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দ) তাঁর জামাতা ও বন্ধু হযরত আলী (রা) কে গুপ্তজ্ঞান বা ইলমু-ল-মরফত (Esoteric Knowledge) দান করেছিলেন । তাঁরা আরও বলতেন: মহানবী তাঁর জীবদ্দশায় সত্তর জন লোক কে এ বিষয়ে দীক্ষা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে চারজনকে ইলমু-ল-মরফত- এর শিক্ষা প্রচার করার জন্য খলিফা বা প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিলেন। এর পর সুফি মতবাদ এই চারজন খলিফার মাধ্যমে আরব জাহানে ছড়িয়ে পড়েছিল। ড.মুহম্মদ এনামুল হক তাঁর ‘বঙ্গে স্বূফী প্রভাব’ বইয়ে লিখেছেন: ‘এই সকল কথার কোনই ঐতিহাসিক সত্যতা নাই।’ (পৃষ্ঠা, ৩০) সুফিরা আরও বলতেন যে, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দ) এর শিক্ষায় ইসলামের বাহ্যিক আচার আচরণ ও নিয়মকানুন ছাড়াও একটি গুপ্তজ্ঞানের দিক ছিল। সমাজ রাষ্ট্র ও নীতির কথা প্রচার করলেও মহানবী এই গুপ্তজ্ঞানের বিষয়টি একেবারেই আড়ালে রাখেননি। কারণ কোরান শরীফেও এই গুপ্তজ্ঞানের বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৎকালীন সুফিরা কোরান শরীফের বিশেষ ছয়টি আয়াতের কথা বলেন। যেমন সূরা বাকারার ১৫১ সংখ্যক আয়াত -



‘আমি তোমাদের মধ্যে তোমাদেরই একজনকে রসূল করে পাঠিয়েছি, যে আমার আয়াত (বাক্য) সমূহ তোমাদের কাঠে পাঠ করে, তোমাদের পবিত্র করে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়। এবং তোমরা যা জানতে না তা শিক্ষা দেয়।’



দ্বিতীয় আয়াতটিও সুরা বাকারার ৩নং আয়াত-



‘যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, যথাযথভাবে নামাজ পড়ে ও তাদের যা দান করেছি তা হতে ব্যয় করে।’



তৃতীয় আয়াতটি কোরান শরীফের চতুর্বিংশ সূরা নূর- এর ৩৫ সংখ্যক আয়াত -



‘আল্লাহই আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীর জ্যোতি (নূর)’।



চতুর্থ আয়াতটি কোরান শরীফের ৫০ সূরা নং সুরা ক্বাফ-এর ১৬ সংখ্যক আয়াত -



‘আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার অন্তরের নিভৃত কু-চিন্তা সম্বন্ধে আমি অবহিত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী অপেক্ষাও নিকটতর।’



পঞ্চম ও ষষ্ট আয়াত দুটি কোরান শরীফের ৫১ নং সূরা যারিয়ার ২০ ও ২১ নং আয়াত-



২০. নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে নিদর্শন রয়েছে। এবং

২১. এবং তোমাদের মধ্যেও । তোমরা কি অনুধাবন করবে না।



(আমি আয়াতসমূহের বাংলা অনুবাদ নিয়েছি মাওলানা মোবারক করীম জওহর-এর অনুবাদ করা ‌"কুরআন শারীফ" থেকে। হরফ প্রকাশনী। কলিকাতা।)



কাজেই কোরান শরীফের বিশেষ বিশেষ আয়াতের ব্যাখ্যা বয়ানের ওপরই পরবর্তীকালের সুফিমত একটা কোরানিক ভিত্তি লাভ করে। এবং এই ছয়টি আয়াতের গভীর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন অব্যাহত থাকে। তাতে সুফি-পরিমন্ডলে নতুন এক চিন্তার উদ্ভব ঘটে। যেমন: কোরান শরীফের আয়াতে উজ্জীবিত হয়ে সুফিরা অদৃশ্য বস্তু বা ঘয়ব (গায়েব)- এর সঙ্গে মিলন এবং তার মধ্যে বিলীন (ফানা) হয়ে যেতে আকূল হয়ে ওঠেন। এই বিলীন হওয়ার জন্য সুফিরা চারটি পর্যায় নির্দিষ্ট করেন।



১. ইমান। (অদৃশ্য বস্তুতে বিশ্বাস)

২. তলব। (অদৃশ্য বস্তুর অনুসন্ধান)

৩. ইরফান। (অদৃশ্য বস্তু সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ)

৪. ফানা। (অদৃশ্য বস্তুতে বিলীন।)



এভাবে, আমরা লক্ষ্য করি যে- সুফিচিন্তা আদি পর্যায় থেকে একটি নির্দিষ্ট রূপ পেল। প্রথমতঃ সূফিকে গায়েবে পরিপূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করতে হবে। এই দৃশ্যমান জগৎ ও বস্তুর বাইরে সাধারণ জ্ঞানের অগোচরে আরও এমন এক জগৎ আছে যা বলা হল ‘আলিমুল গায়েব’। সুফিরা বললেন, আলিমুল গায়েব সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন না করতে পারলে মানুষের জ্ঞান অপূর্ণ রয়ে যায়। কাজেই আলিমুল গায়েব- এর অনুসন্ধান হয়ে উঠল অনিবার্য। তবে সে সন্ধান দূরবর্তী ধূ ধূ প্রান্তরে কিম্বা দূর্গম পার্বত্য শিখরে আবশ্যক নয়। কেন নয়? কেননা, সুফিরা কোরান শরীফের ৫০ সূরা নং সুরা ক্বাফ -এর ১৬ সংখ্যক আয়াত উল্লেখ করলেন। যে আয়াতে আছে-‘আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার অন্তরের নিভৃত কু-চিন্তা সম্বন্ধে আমি অবহিত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী অপেক্ষাও নিকটতর।’ কাজেই, এই পৃথিবীতে এমনকী মানবদেহে সেই অনামা অদৃশ্যের পরিস্ফূট চিহ্ন বর্তমান। পাশাপাশি সুফিরা কোরান শরীফের সূরা গাষীয়াহ্- র বিশেষ পাঁচটি আয়াত উল্লেখ করলেন। যে আয়াতে আছে- ‘তবে কি ওরা লক্ষ্য করে না উষ্ট্র কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? কিভাবে আকাশ ঊর্ধ্বে স্থাপিত হয়েছে; পর্বতমালা কিভাবে সংস্থাপিত হয়েছে? এবং ভূতলকে কিভাবে সমতল করা হয়েছে? অতএব তুমি উপদেশ দাও। তুমি তো শুধু একজন উপদেষ্টা। ’(আয়াত ১৭-২১) এই আয়াতের ওপর সুফিরা বললেন, এই দৃশ্যমান জগতের সৃষ্টিরহস্যের ভিতর দিয়ে সেই আলিমুল গায়েব-এর ইঙ্গিত, ইশারা ও অভিব্যাক্তির আভাস বুঝত হবে। যে ব্যাখ্যা-বয়ান সুফিবাদকে সর্বেশ্বরবাদ বা Pantheism এর ধারণায় পৌঁছে দিয়েছিল। সুফিবাদের প্রাথমিক যুগে সুফি মতবাদটি সর্বেশ্বরবাদী হয়ে উঠেছিল বলেই আমরা সর্বেশ্বরবাদ বা Pantheism -এর বিস্তারিত সংজ্ঞাটি পাঠ করব।



Pantheism, doctrine that identifies the universe (Greek pan, “all”) with God (Greek theos). The thinker may start from an awareness of the divine reality and then begin to speculate on the relationship of the nondivine to the divine; this position is commonly called acosmic pantheism. Conversely, the thinker may start from an apprehension of the full reality of finite, changing entities and give the name God to their all-inclusive totality; this is called cosmic pantheism.(সূত্র: Microsoft ® Encarta ® 2008. © 1993-2007 Microsoft Corporation. All rights reserved.)





কোরান শরীফের বিশেষ কয়েকটি আয়াতের ওপর সুফিরা এই সিদ্ধান্ত নিলেন যে আল্লাহ বুঝি এই দৃশ্যমান জগতে ব্যাপ্ত, একে ছাড়িয়ে নন। আল্লাহ এই দৃশ্যমান জগতের ভিতর দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করেন। কাজেই দৃশ্যমান জগতের বাইরে আল্লাহর নিজস্ব অস্তিত্ব নেই, নিজেকে প্রকাশ করতে আল্লাহর দৃশ্যমান জগতের দরকার। মনে হল অদৃশ্য বস্তু বা আলিমুল গায়েব আর গায়েব নাই, চোখের সামনে চলে এসেছে। এই অবস্থার বর্ণনা দিয়ে ড.মুহম্মদ এনামুল হক তাঁর ‘বঙ্গে স্বূফী প্রভাব’ বইয়ে লিখেছেন, ‘হঠাৎ তাঁহার জ্ঞাননেত্র খুলিয়া যায়-তিনি তাহাকে যাবতীয় সৃষ্টির মধেও তাহার বাহিরে সর্বত্র বিরাজিত অবস্থায় প্রত্যক্ষভাবে দেখিতে পান, প্রত্যক্ষভাবে বুঝিতে পারেন ও প্রত্যক্ষভাবে উপলব্দি করিতে পারেন। ইহাই ইরফান বা জ্ঞানলাভ বা বোধিলাভের অবস্থা।’ (পৃষ্ঠা, ৩৩)

সুফি অদৃশ্য ও দৃশ্য বস্তুর মধ্যে কোনও প্রভেদ বোধ করেন না। এমনকী নিজের অস্তিত্বও বিস্মৃত হন। সুফি নিজেই অদৃশ্য বস্তুতে বিলীন হয়ে যান। এই অবস্থায় অনেক সুফিই আমিই সত্য আমিই সুন্দর আমিই শাশ্বত বা আনাল হক-এমন সব অসাধারণ বাক্য অচৈতন্য অবস্থায় বলে ফেলেন। কোরান শরীফে আছে, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইয়াহি রাজিউন।’ (নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তাঁহার নিকট ফিরিয়া যাইব। ) এই কারণে প্রশ্ন ওঠে-মানুষ মৃত্যুর পর আল্লাহর কাছে ফিরে আল্লাহর কাছে বিলীন হবে? না আল্লাহর কাছে বিলীন না হয়ে মানুষ অন্য কোথাও অবস্থান করবে? মুসলিম শাস্ত্রবিদগণ অবশ্য বলেন, মানবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে মিশতে পারে না। মানুষের জন্য সিজ্জীনইল্লীন নামে আলাদা বাসস্থান আছে। কেয়ামতের পর মানুষের আত্মা বেহেস্ত বা দোজখে যাবে। বেহেস্তবাসী মাঝেমাঝে আল্লাহর দর্শন পাবে। এসব মত উপেক্ষা করে সুফিরা বলেন, মানবাত্মা পরমাত্মা থেকে উদ্ভূত। সে কারণে মানুষ মূলের (আস্বল=আসল) সঙ্গে না মিশে পারে না। মানবাত্মা পরমাত্মাতে বিলীন হয়েই অবস্থান করবে। এভাবে মানবাত্মা পরমাত্মায় নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে মিশে যাওয়াকে সুফিবাদের পরিভাষায় বলা হয় ‘বক্বা বিল্লাহ’ বা আল্লায় স্থায়িত্ব প্রাপ্তি। সুফিদের মতে ফানা হল অহংবোধের বিলুপ্তি আর ‘বক্বা বিল্লাহ’ হল আল্লায় স্থায়ীভাবে বিলীন হওয়া।



ক্রমশ...

মন্তব্য ৮১ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৮১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৩৮

সজীব আকিব বলেছেন:
দারুন।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৫৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন: খুব চমৎকার পোস্ট ইমন ভাই!

আফসোস এই লেখটা যদি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পাইতাম, তাহলে একদম ২০/১৮ কনফার্ম ছিল :(

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:০৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। :)

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৫

পারভেজ আলম বলেছেন: চালায়া যান। অনুসরণ করছি।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ওকে। :)

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৬

~মাইনাচ~ বলেছেন: বিরাট লেখা :(

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৬

~মাইনাচ~ বলেছেন: ৪র্থ ভাল লাগা

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:১৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: প্রথম কৃতজ্ঞতা!

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২২

ঝটিকা বলেছেন: ভালো লাগলো।
আশা করি এই সিরিজ থেকে সূফীবাদ সম্পর্কে একটা সম্মক ধারনা পাওয়া যাবে।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি সে জন্যই লিখছি।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২৭

রাজদরবার বলেছেন: ছূফী মতবাদ যোগ ও তন্ত্রের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়নি, বরঞ্চ যোগী ও তান্ত্রিকরা ছূফী মতবাদ থেকে গ্রহণ করে বৈষ্ণব ও বাউল ধর্মের সূত্রপাত ঘটিয়েছে টিকে থাকার লক্ষ্যে।

যোগ ও তন্ত্রে হাজারো বিকৃত আচারপ্রথা রয়েছে। মানবদেহ নিঃসৃত নাপাক জিনিস তারা ভক্ষণ করে থাকে। বাউল ও বৈষ্ণব মতবাদে যেগুলো করার নির্দেশ রয়েছে।

কিন্তু তাছাউফ এর নিজস্ব শাজরা বা সিলসিলা রয়েছে যা গুরুশিষ্য পরম্পরায় স্বয়ং হুযূর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌছে। সুতরাং ছূফী মতবাদই প্রকৃত ইসলাম, এর সাথে যোগ ও তন্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ছূফীদের কারণে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ দেওবন্দের অনুসারী ছিল না, তারা ছিল ফুরফুরার পীরসাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। দেওবন্দীরা ৪৭ এ ভারতের সাথে যুক্ত থাকার পক্ষে ছিল, কিন্তু তাছাউফপন্থীরা ছিল আলাদা বাসভূমির পক্ষে।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৭

চেয়ে চেয়ে দেখলাম বলেছেন: সুফিবাদ এ গ্রন্থে সূফীবাদের হাকীকত, সূফীদের কতিপয় বাণী, ওলী কাকে বলে? কাসীদায়ে বুরদা কি? দালাইলুল খাইরাত গ্রন্থের পরিচয় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৪০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কের জন্য। আপনার দেওয়া বইটির মূলকথা পরবর্তীতে এই ধারাবাহিক রচনায় সংযোজন করার ইচ্ছে রইল।
অনেক ধন্যবাদ সহযোগিতার জন্য।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৪৪

ভুং ভাং বলেছেন: ভাল লাগলো। ২য় পর্বের অপেক্ষায়.....................।ভাল থাকবেন।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫৬

মুখচোরা বলেছেন: বাকি পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৫

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ++++++++++

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০৮

রাজদরবার বলেছেন: ৮ নং মন্তব্যে যে বইটির লিঙ্ক দেয়া হয়েছে তা তাছাউফবিরোধী বই। সৌদি ওহাবীদের লেখা বই। তারা ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রচার করছে। মূলত সৌদি রাজারা হলো দস্যু ইবনে সৌদের বংশধর। যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়ে তুরস্কের বিরোধিতা করেছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তারা ছিল ইসরায়েলের পক্ষে।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ৭নং মন্তব্যে আপনি লিখেছেন ... এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ছূফীদের কারণে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ দেওবন্দের অনুসারী ছিল না, তারা ছিল ফুরফুরার পীরসাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। দেওবন্দীরা ৪৭ এ ভারতের সাথে যুক্ত থাকার পক্ষে ছিল, কিন্তু তাছাউফপন্থীরা ছিল আলাদা বাসভূমির পক্ষে।

এবং আরও লিখেছেন ... সৌদি ওহাবীদের লেখা বই। তারা ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রচার করছে। মূলত সৌদি রাজারা হলো দস্যু ইবনে সৌদের বংশধর। যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়ে তুরস্কের বিরোধিতা করেছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তারা ছিল ইসরায়েলের পক্ষে।

এই দুটি বিষয়ে বিস্তারিত জানার আগ্রহ বোধ করছি। অনুগ্রহ করে একটি পোস্টে বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২৭

শহিদুল বলেছেন: চমৎকার

সুফিবাদ সমন্ধে আবছা কিছু জানতাম

আপনার এই পোষ্ট সহ পরবর্তী পোষ্ট গুলোয় সুফি বৃত্তান্ত একটা ভালো ধারণা হবে

চলুক

ধন্যবাদ :)

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: চমৎকার সুন্দর লেখা


++++

১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৪৮

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
সূফিবাদের সূত্রপাত হজরত মোহাম্মদ সাঃ-এর জামাতা হজরত আলী রাঃ থেকে। আপনার এ তথ্য আমিও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি। পরে তা' কালে কালে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়াকালীন কিছুটা/অনেকটা বিকৃত রূপ ধারণ করে। এক পর্যায়ে ঈমাম গাজ্জালী রাঃ কঠোর লেখনীতে সূফিবাদের একটা তাত্ত্বিক ভিত্ পায়। সুসংহত হয়। এবং পুনর্জীবিত হয়। একদিকে ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে ইমাম গাজ্জালী রাঃ "সূফীবাদ"-কে তাত্ত্বিক ভিত্তি দান করে, অন্যদিকে মাওলানা রুমী ইসলামের এই মরমি দিকটিকে অতি চমৎকার রূপক-প্রতীকের আশ্রয় নিয়ে সাহিত্যিক ব্যঞ্জনায় বিশ্ববিখ্যাত মসনবী শরীফ রচনা করে। এতে সূফীবাদ আরও অনেকটা সংহত ও মজবুত আসন গাড়ে মানুষের মনে।

(পুরনো স্মৃতি হাতড়ে অফিসে বসেই মন্তব্যটি করলাম। তথ্যগত / ঐতিহাসিক ভ্রান্তি আছে কি-না নিশ্চিত নই। অনেক আগে পড়া। ) :)

ধন্যবাদ।


০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনি লিখেছেন ...এক পর্যায়ে ঈমাম গাজ্জালী রাঃ কঠোর লেখনীতে সূফিবাদের একটা তাত্ত্বিক ভিত্ পায়। সুসংহত হয়। এবং পুনর্জীবিত হয়। একদিকে ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে ইমাম গাজ্জালী রাঃ "সূফীবাদ"-কে তাত্ত্বিক ভিত্তি দান করে, অন্যদিকে মাওলানা রুমী ইসলামের এই মরমি দিকটিকে অতি চমৎকার রূপক-প্রতীকের আশ্রয় নিয়ে সাহিত্যিক ব্যঞ্জনায় বিশ্ববিখ্যাত মসনবী শরীফ রচনা করে। এতে সূফীবাদ আরও অনেকটা সংহত ও মজবুত আসন গাড়ে মানুষের মনে।

এই জন্যই ইমাম গাজ্জালী রাঃ রচিত এহইয়াউ উলুমিদ্দীন বইটি বাংলাদেশে এত সমাদৃত। এবং মাওলানা রুমীও শ্রদ্ধেয়।

আপনার লেখায় তথ্যগত বা ঐতিহাসিক বিভ্রান্তি নেই।
অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫২

আমি লিখতে চাই না বলেছেন: দুঃসাহশ দেখে অবাক হচ্ছি!
পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে।
শফিকুর রহমানের অনূদিত রূবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম বইয়ের ভূমিকা অধ্যায় আপনার গবেষনার জন্য আনেক সাহায্য করবে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: জ্ঞানের রাজ্যে নিজেকে শিশুই ভাবি। শিশুরাই দুঃসাহস দেখাতে পারে। :) কাজেই ... আর শফিকুর রহমানের অনূদিত রূবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম বইটি এই মুহূর্তে আমার সংগ্রহে নেই। অবশ্যই সংগ্রহ করব।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫৮

অর্ণব আর্ক বলেছেন: এনামুল হকের সুফিবাদের গোষ্ঠী পইড়া উদ্ধর কইরা ফালাইছি। এইটারে প্রাথমিক শিক্ষার অ আ ক খ এর ও প্রথম স্টেজ মনে হইতেছে। যাউকগ্যা লেকা ভালু পাইলাম। ব্লগেও ইতিহাস চর্চা হতে দেখলে সত্যি আমুদিত হই। আর ইমন যুবায়ের ভাইয়ের লেখার তো বরাবরের ফ্যান আমরা।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: বোঝা যাচ্ছে আপনি সত্যিকারের পড়ুয়া।তাই শ্রদ্ধা রইল। যা হোক। অনেকেই বইটির নাম অবধি শোনেনি।তার ওপর সাধুভাষা ডরায়। তাদের জন্যই এই সংক্ষিপ্তসার। আমিও ঝালিয়ে নিচ্ছি।
ধন্যবাদ।

১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:১৩

পরব বলেছেন: ভাল লাগল

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৪

রঙপেন্সিল বলেছেন: ভালো লাগলো।+++++++

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

মুখচোরা বলেছেন: দ্বিতীয় মন্তব্য: সুফিবাদ শুধু শুনেই এসেছি কোন দিন জানা হয়নি। আপনার লেখা সহজবোধ্য। আগ্রহ জন্মাল। মনে হচ্ছে নতুন একটা বিষয়ের দ্বার খুলে গেল। ৭ নং মন্তব্যকারীর উথ্থাপিত বিষয়গুলো এবং ৮ নং মন্তব্যকারীর উল্লেখিত বইতেইবা কি আছে এবং এদের পারস্পরিক বিরোধগুলো আপনার লেখায় খোলাসা হলে ভাল হবে।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনি লিখেছেন ...৭ নং মন্তব্যকারীর উথ্থাপিত বিষয়গুলো এবং ৮ নং মন্তব্যকারীর উল্লেখিত বইতেইবা কি আছে এবং এদের পারস্পরিক বিরোধগুলো আপনার লেখায় খোলাসা হলে ভাল হবে।

এই বিষয়গুলি আমার লেখায় আসবে। তবে শেষের দিকে। কেননা, ৮নং মন্তব্যে ব্লগার চেয়ে চেয়ে দেখলাম যে বইটির লিঙ্ক দিয়েছেন সেই বইটি আগে পড়তে হবে। পড়া এক কথা আর লেখার জন্য পড়া অন্য ব্যাপার। সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কাজেই সময় লাগবে।

ছূফী মতবাদ যোগ ও তন্ত্রের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়নি, বরঞ্চ যোগী ও তান্ত্রিকরা ছূফী মতবাদ থেকে গ্রহণ করে বৈষ্ণব ও বাউল ধর্মের সূত্রপাত ঘটিয়েছে টিকে থাকার লক্ষ্যে।

ব্লগার রাজদরবারের ৭ নং মন্তব্যের এই বিষয়টিও আলোচনায় আসবে বাংলায় সুফিবাদ প্রসঙ্গে।
অনেক ধন্যবাদ।

২১| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৩৪

ক্ষ্যাত বলেছেন: ড. মুহম্মদ এনামুল হক- এর বিখ্যাত ‘বঙ্গে স্বূফী প্রভাব’ বইটি কোথায় পাওয়া যেতে পারে? সুফিবাদ নিয়ে আমার প্রচণ্ড আগ্রহ। এ পর্যন্ত হাবিজাবি যা পেয়েছি তাই পরে ফেলার চেষ্টা করেছি। পরিশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই কষ্টকর প্রয়াশের জন্যে। অপেক্ষায় রইলাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ড. মুহম্মদ এনামুল হক- এর ‘বঙ্গে স্বূফী প্রভাব’ বইটি আজিজ মার্কেটে পাবেন আশা করি। প্রকাশ করেছে রেমন (আসল বানান লিখতে পারলাম না। আসল বানান হবে র য়ে য ফলা দিয়ে। মানে রেব যেভাবে লেখে সেরকম ) পাবলিশার্স। তবে যদি বাংলাদেশে থাকেন তো ফোন করে রকমারি ডটকমে অর্ডার দিতে পারেন।
রকমারি ডট কমের ফোন নং 01841 115 115
তারা মূল বইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কোনও প্রান্তে ডেলিভারি কস্ট ৩০ টাকা যোগ করবে।
http://rokomari.com/

http://rokomari.com/search?term=বঙ্গে+সুফি+এনামূল+হক

ধন্যবাদ।

২২| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ব্লগে ইতিহাস আর ঐতিহ্য পূর্ণ লেখার পক্ষে আমি সর্বদা। অনেক তথ্যপূর্ণ লেখা মনে হচ্ছে, সবটুকু পড়তে পারিনি, প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম,
আপনি কিন্তু অনুসরনে রইলেন, সো, জলদি জলদি পরের অংশ গুলো দিয়ে দেন :) :D

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: দেব।তবে জলদি নয়। জলদি দিলে আপনিই ঠকবেন :-B
ধন্যবাদ।

২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩৯

হাসান বায়জিদ বলেছেন: ভালো লাগলো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।

২৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটাই হোক সত্য আর মিথ্যার ফায়সালাকারী!


তথ্য, তত্ত্ব, যুক্তি আর প্রমাণের মাধ্যমে সবাই একটা সমাধানে পৌছাক।

আপনার পরিশ্রম সার্থক হোক।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

২৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

এম আশিক বলেছেন: সুফিবাদের পরিচয় নিয়ে কিছু বিরূপ ধারণা পাওয়া যায় যেমন ভিক্ষাগ্রহনকারি , কুটতার্কিক। এগুলো তৈরি করেছে সুফিবাদের এন্টিগ্রুপ। সুফিরা কখনো ভিক্ষাবৃত্তি করেননি। এবং কূটতর্কও করেননা। তবে বর্তমানে কিছু মাজারকেন্দ্রিক ভন্ড পীরদের বিকৃত সুফিবাদের ব্যখ্যা দেখে পুরা সুফিবাদ কেই অনেকে ইসলাম বহির্ভুত বলে থাকেন।এ বিষয়ে প্রমান ভিত্তিক একটা পোস্ট দেব ভাবছি।
এক মন্তব্যে (বাংলাদেশের মানুষ দেওবন্দের অনুস্বারী ছিলনা) বলে একজন সুফিবাদ কে তাদের স্বদলিও দাবী করার চেষ্টা করেছেন (কুটতর্ককারী এদের বেলায় প্রযোজ্য। সুফিদের জন্য নয়। ) পোষ্টদাতাকে ধন্যবাদ।

২৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ রাত ৩:০৮

মো: আবু জাফর বলেছেন: ভাই আমার গ্রাম কে নিয়ে একটি গল্প লিকতে পারবেন ভাই ? আপনি সুন্দর করে লেখেন, আমারতো সবকিছুই এলোমেল ! :(

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:৩৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: লিখব। সময় করে। ধন্যবাদ।

২৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:১৮

আবু সালেহ বলেছেন: জুবায়ের ভাই আপনি পারেনও.....

+++

চলুক.....

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :) ধন্যবাদ।

২৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:০৯

chai বলেছেন: ++++

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

রাতুলবিডি বলেছেন: আমি সুফিবাদের একজন ছাত্র। শুধু এজন্যই এই পোষ্টে আমার আগ্রহ অপরিসীম। সুফিবাদ সম্পর্কে আমার ধারনা অলপ কথায় লিখতে পারব না। তবে নিজের মন-প্রাণের বিষয়ে কিছু লেখার আগ্রহ আটকে রাখতে পারলাম না।

সুফিবাদের ধারা দুটি : মুল ধারা ও দুষ্টু ধারা। মুল ধারার ভিত্তি ইসলাম তথা কোরান - হাদিস।
দুষ্টু ধারা ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতে গড়ে উঠেছে : সুনির্দিষ্ট ভিত্তি নেই ( স্বার্থ ও অর্থ - ই এর মুল এদের কেউ কোরান - হাদিস সরাসরি অস্বিকার করে কেউ অপব্যাক্ষা করে )

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

রাতুলবিডি বলেছেন: তবে সুফিবাদের বিরোধি - একদলের মতে সুফিবাদের কোনধারাই কোরান হাদীসের অনুসারী নয়, আমি তাদের মতের সাথে একমত নই।
তাদের সাথে যুক্তি তর্কের অবকাশ অবশ্যই আছে, তবে তার আগে মুল ধারা ও দুষ্টু ধারার পার্থক্য আলোচনা করি ।

বিস্তারিত শব্দ নির্ভর সংগা আর কঠিন তাত্ত্বিক বিশ্লষণের চেয়ে কিছু বাস্তব উদাহরণ এই পার্থক্য বেশী স্পষ্ট করতে সাহায্য করবে, তাই আগে কিছু উদাহরণ টানছি :

১। দুষ্টু ধারার কিছু নমুনা হচ্ছে : আটরশি, চন্দ্রপুরী, দেওয়ানবাগী, রাজারবাগী, মাইযভান্ডারী, বেরেলভী, রিজভীসহ সকল মাজারপন্হী, ওরশপন্হী, জটাপীর, নেংটাপীর, এবং আরো যারা নেশা-ভাং খোর তারাও বিভিন্ন প্রকার মারেফত, কারামত, বাতেনী গায়েবী বিষয়ের দাবিদার।


২। মুল ধারার নমুনা হচ্ছে : হাসান বসরী ( হিজরী : ১ম শতক ), আব্দুল কাদের জিলানী এবং গাযযালী ( ৫ম শতক), মুজাদ্দিদে আলফে সানী ( ১০ম শতক) এছারা হাতেম আসেম, শিবলী, জুনাইদ, মইনুদ্দীন চিশতী, শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়াদরদী, বাহাউদ্দীন নকশব্নদী ওনারা কালজয়ী অনুসরণিয় সুফী।


মাজারপন্হী, ওরশপন্হী, অনেকে আমার মতের সাথে একমত হবেন না।
তাদের সাথে যুক্তি তর্কের অবকাশ অবশ্যই আছে - তবে আপাতত: সেদিকে যাচ্ছিনা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৩২

রাতুলবিডি বলেছেন: প্রসংগিক হলেও আলোচনা দীর্ঘায়িত না করার প্রয়াশে সুফীবাদের চার সিলসিলার আলোচনা আপাতত: করব না, সামুর অধিকাংশ পাঠকের জন্যই খুব একটা দরকার মনে হয়নি তাই।

অনেক নিষ্ঠাবান মুসলমানই - এই প্রশ্ন করে থাকেন, বর্তমানে ভাল/সঠিক সুফী আছে কিনা? তাদের পরিচয় পাবার উপায় কি? তাদের শিক্ষা কি? ইত্যাদি।

ইসলামের মুল বিধিবিধান গুলোর আন্তরিক চর্চা, স্রষ্টার গোলামীর মরিয়া চেষ্টা, অন্তরকে পাপ মুক্ত করার সাধনা - এসবই সুফীদের লক্ষ্য, আর এর মাঝেই আছে তাদের পরিচয়। আর 'ইসলামের মুল বিধিবিধান', 'স্রষ্টার গোলামী', 'অন্তরকে পাপ মুক্ত করা' - এসব বিষয়ের খুব স্পষ্ট জানাশোনা ছাড়া - সুফীদের পরিচয় বা সুফীবাদের অনুধাবন সম্ভন নয়।

এছাড়া অনেক কৌতুহলী লোকেরা নিছক জানার জন্য জিগেস করেন বা জানতে চান। কিন্তু ইসলামের কঠোর সাধনা ছাড়া সুফীবাদের মুল শিক্ষা অনুধান সম্বভ নয় - এটা প্রমাণিত সত্য। সব যুগের সট্যপন্হী সুফীরা ইসলামের কঠোর সাধনা করেছেন, আর ইসলামের এই দিকটি সামান্যই তাত্ত্বিক আর তার চেয়ে অনেক বেশী সাধনা বা চর্চার বিষয়।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: : ধন্যবাদ।

৩২| ০৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৪৩

রাতুলবিডি বলেছেন: রাজদরবার বলেছেন: সৌদি রাজারা হলো দস্যু ইবনে সৌদের বংশধর...... দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তারা ছিল ইসরায়েলের পক্ষে।

- বেশ মজার, আমার জানা মতে ইসরায়েলের জন্ম(১৯৪৭-৪৮) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের(১৯৩৯-৪৫) পর!!

http://en.wikipedia.org/wiki/Israel

০৬ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:৪৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৩| ১১ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

জোবাইর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক এই লেখাটির জন্য সহস্র ধন্যবাদ।

১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:১৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২৭

মেঘের কথকতা বলেছেন: ভীষণভাবে খু্জঁছিলাম, আর কিছুটা দিশাহিন থাকায় বুঝতে পারছিলাম না কোথা থেকে শুরু করব। আপনি পথটা ধরিয়ে দিলেন বলে কৃতজ্ঞতা।

২৮ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:২৯

মাসুদুল হক বলেছেন: সুফীবাদ নিয়ে আমার আগ্রহ আছে, তবে তেমন কিছু জানি না বলতে পারেন। সিরিজটা ফলো করলাম

আর অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকলাম । কেমন আছেন?

৩১ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:৪২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ভালো আছি। ধন্যবাদ।

৩৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫

উন্নত মম িশর বলেছেন: সূফীবাদ নিয়ে লেখাটা আমার অনেক ভাল লেগেছে। কেননা এই ব্যাপারটা এখন অনেকে ভূল ব্যাখ্যা করে তাই এটা একটা রেফারেন্স হিসেবে কাছে রাখা যাবে । এই টাইপের লেখা আরো চাই।ধন্যবাদ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭

সত্য সবার উপর বলেছেন: সূফীবাদ হচ্ছে একটা খিচুড়ি আর সেটা পরিবেশন করা হচ্ছে ইসলামের প্লেটে। সূফীবাদ থেকে সাবধান কারন এরা ইসলামের নামে শিরক এবং কুফরকে মানুষের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় গোপনে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭

স্বপ্নের লেখক বলেছেন: ইমন ভাই, আল্লাহ পাক যেন আপনাকে তাঁর নৈকট্য দান করেন ...

৩৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

আহমদ হাসান বলেছেন: সুন্দর লেখা। কৃতজ্ঞতা।

৪০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

আহমদ হাসান বলেছেন: সুন্দর লেখা। কৃতজ্ঞতা।

৪১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

আহমদ হাসান বলেছেন: সুন্দর লেখা। কৃতজ্ঞতা।

৪২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

আহমদ হাসান বলেছেন: সুন্দর লেখা। কৃতজ্ঞতা।

৪৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

আহমদ হাসান বলেছেন: সুন্দর লেখা। কৃতজ্ঞতা।

৪৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

আহমদ হাসান বলেছেন: সুন্দর লেখা। কৃতজ্ঞতা।

৪৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১১

েমাহামদ মাসুক িমঞা বলেছেন: Excellent... I was looking for this type of article for long...Where is more part?

৪৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

IDEALISTIC বলেছেন: সুফিবাদ এ এসে দেখা যাচ্ছে একটা ভারসাম্যহীন অবস্থা। ইসলাম সর্বদা ভাব বিশ্বাস ও পালনীয় এ দুটির মধ্যে মিলেমিশে অবস্থান করেছে। কোনোটাই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যা মহানবী (স). চর্চা করেছেন। তার সাহাবীরা করেছে। কিন্তু আলাদা করে যে সুফিবাদ একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে চিন্তাভাবনা গূলি কিছুটা ইচ্ছেস্বাধীন মনে হচ্ছে। ভাবের দিকে একটু বেশি ঝুকে পড়া লক্ষণীয়। অথচ কর্মের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
ধন্যবাদ আপনাকে। খুবই খোলাসা করে লিখেছেন। সুফিবাদ বিষয়ে আগ্রহ জন্মাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.