![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুদিন আগে মহাখালী'র ইন্সটিটিউট অফ পাবলিক হেলথের ক্যান্টিনে বসে সকালের নাস্তা খাচ্ছিলাম। আমি এবং আমার বন্ধু তৌহিদ। আমাদের পাশের টেবিলে ২ জন মানুষ এসে বসল। একজন পুরুষ আর একজন নারী। পুরুষ টি সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরিহিত। মুখে চাপ দাড়ি, গাত্র বর্ণ, উচ্চতা ঘটনার সাথে সামঞ্জস্য নয়। আর নারীটি কালো বোরখা পরিহিত। দুইজনেই মধ্যবয়সী এবং স্বামী-স্ত্রী মনে হলো তাদের কথাবার্তা এবং আচরণে। দেখে বোঝাই যায় দুজনে শহুরে জীবন যাত্রায় এখনও অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি।
যাইহোক, দুজনে সকালের খাবারের জন্য রুটি আর ডাল-ভাজি অর্ডার দিল। আমাদের অর্ডার আগে আসতে দেরি হচ্ছে। আমি বসে থেকে আশে পাশে দেখছিলাম (এটা আমার একটা অভ্যাস-খারাপ কি ভাল জানি না। সব কিছু-মানুষের খাওয়া, কথা বলা কিংবা কাজ করা প্রভৃতি।) ইতমধ্যে, একজন পুরুষ সম্ভবত আইসিডিডিআর'বি- এর স্টাফ (আইডি কার্ডের ফিতা দেখে তাই মনে হোল) এসে সেই নারী-পুরুষের টেবিলে বসল। নতুন আগত ব্যক্তি এই ক্যান্টিনের নিয়মিত কাস্টমার। উনি ওনার প্রতিদিনের স্বাভাবিক আচরণে কোন দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে নাস্তা করতে লাগলেন।
এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়লেন নারীটি। পুরুষটি ফোনে কথা বলতে বলতে খাইতে লাগলেন আর নারীটি কি করবে? না করবে? পুরুষ টি খেতে লাগলেন নির্দ্বিধায়- আর নারীটি অনেক ভেবে চিন্তে ধীরে ধীরে রুটির টুকরো ছিড়ে দেয়ালের দিকে মুখ ফিরে নেকাব তুলে আস্তে আস্তে মুখে দিলেন। রুটি ডাল ছাড়া। একটু প্ররে পুরুষটি কে তার ডালের বাটিটাও এগিয়ে দিলেন। নারীটি দুটি তন্দুর রুটি কোন কিছু ছাড়াই শুকনো খেয়ে ফেললেন।
কি এমন বিশ্বাস যে তাকে এই ধরনের আচরণে বাধ্য করলো। জীবন ধারনের জন্য খাওয়ার চেয়ে নেকাব রক্ষা করা কি এতই জরুরী। তিনি একান্ত বাধ্য না হলে নিশ্চিত এই পুরুষ সমাগত হোটেলে আসতেন না। কিংবা আমরা পুরুষরা কিভাবে নির্বিচার ভাবে নিজেদের উদার পূর্তিতে ব্যস্ত।
এই ঘটনা আমার দেখা এই প্রথম না।এবং শুধু মধ্যবয়সী কিংবা পৌঢ় নয়; তরুণ এবং নতুন মেয়েদের ক্ষেত্রেও (যারা শহুরে জীবনের এবং তথাকথিত 'আধুনিক' শিক্ষায় শিক্ষিত)।
অনেক আগে যখন রোকেয়া সমগ্র পড়েছিলাম। এখন ঘটনা টা ঠিক হুবহু মনে নাই। কিন্তু যতদূর মনে আছে উনি ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন। একজন পর্দায় আবৃত নারী বিপদে পড়েছেন। কিন্তু পর্দা নষ্ট হবে বলে তার সহযাত্রী এবং বিপদাক্রান্ত নারী নিজেও কাউকে সাহায্য করতে দিচ্ছেন না।
বেগম রোকেয়ার যুগ এখন আর নাই। কিংবা আমরা পুরুষরা আমাদের সুখ- সুবিধা গুলো দেখছি। কিন্তু আমাদের আর একটি অংশকে পর্দার নামে বাইরে বের করে মানসিক অত্যাচার করছি কি না? নিজের বিবেক বারবার সেই প্রশ্ন করছে আমাকে।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
ঝড়ের পাখি বলেছেন: ভিডিও টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
মদন বলেছেন: আমার জানামতে মুখের নেকাব খুইব জরুরী নয়, যদিও অনেকেই মুখের নেকাব অনেক জরুরী মনে করেন। কেননা মানুষের সৌন্দর্যৈর একটি বড় অংশে মুখেই।
বিশ্বাসের উপরে কথা নেই। আপনার কাছে অস্বস্তি বা কষ্টকর মনে হলেও উনি তার স্থানে হয়তো খুশি মনেই সেটি মেনে নিয়েছে।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমি @ মদন ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত---
আমি জেন্ডার নিয়ে কাজ করি --- আমি কট্টর নারীবাদী নই --- আমি মানবতাবাদী। আমি মনে করি কেউ যদি কাউকে জোর করে কিছু করাতে বাধ্য করে তাহলে সেটা একটা সমস্যা । কিন্তু কেউ যদি সাচ্ছন্দে এটা গ্রহণ করে এবং গতিশীলতার ক্ষেত্রে কোন বাধা না হয় তাহলে ঠিক আছে।
আমার মনে হয় উনি এমনিতেই রুটির সাথে তরকারি খেতে চা্য় নাই --।
আমরা চাই নারীরা ঘরের বাইরে বের হোক, পড়ালেখা, চাকুরীসহ অন্যান্য কর্মকান্ড পরিচালনা করুক। যদি কেউ বোরকা পরে বের হয় এবং কাজগুলো করতে কোন সমস্যা না হয় --- তবে অন্যের তো সমস্যা হওয়ার কোন কথা নয়----------বোরকা যেমন পুরুষতানিন্ত্রক সমাজের চাপিয়ে দেয়া একটা পোষাক, ঠিক তেমনি হিন্দুদেরও শাঁখা এবং সিঁদুরও । কারণ নারীরা শাখা এবং সিদুর পড়ে স্বামীর কল্যানে -- যা স্বামী ব্যক্তিটি তার বউয়ের কল্যানে কোন কিছুই পড়ে না ------। যাইহোক সমাজে চলতে গেলে অনেক কিছুই করতে হয় ------ সে অনেক প্যাচাল ------ আপনার জন্য শুভকামনা
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩
সোহানী বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। পর্দা অবশ্যই করা উচিত তাই বলে নতুন ভায়ের ভিডিও্ এর মতো নয় কিছুতেই। মুখ ঢাকো বাট খাওয়ার সময় ও !!!!!
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
প্রবিন৭১ বলেছেন: ইসলামে পর্দা মানে হচ্ছে মুখমন্ডল এর্ং দু হাতের কবজি ব্যতিত সকল অংঙ্গ ডিলাডাল করে ডেকে রাখা এমন ভাবে যাতে শরীর দেখে কারো অন্তরে সেক্সে করার কামনা না জাগে । সুতারং ................
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
নতুন বলেছেন: ইসলামে শ্বালীন পোশাষ পড়তে বলা হয়েছে...
কিন্তু এই পদা`র নামে আমাদের দেশের মানুষ নারীর অস্তিত্ব উধাও করে ফেলৈ....
যদি একটা মানুষ খাবার সময়েও ঠিক মতন খেতে পারেনা তার পদা` করতে হয়... তবে তা অবশ্যই বাড়াবাড়ী..
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮
উমার বলেছেন: @ নতুন । উক্ত মহিলা যদি স্বেচ্ছায় মুখ ঢেকে খাবার খায় তবে চুশিলদের এত চুলকানি শুরু হয় কেন তা আমার বুঝে আসে না ? কই আমি তো কখনো বলি না এই গরমের মধ্যে মোটা চিপা জিন্সের প্যান্ট পরা মানবতা বিরোধী , বাড়াবাড়ি । যদি কোউ স্বেচ্ছায় কোন পোশাক পরে , তবে সেটা পরার স্বাধীনতা তার আছে এবং আপনি তার পোশাক নিয়ে কোন ধরনের নেগেটিভ কমেন্ট করতে পারেন না । আর হ্যা আমার মা ভাবি এটা পরছে , আমি কখনো এটা পরার জন্য তাদের বাধ্য করি না ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
নতুন বলেছেন: এটা বাড়াবাড়ি... এই সময়ে এইরকমের কাজ অমানবিক...
যারা এটাকে সমথ`ন করে তাদের কয়েক দিন এই জীবন জাপন করে দেথতে বলা দরকার...