| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমবায় সমিতির নাম করে আবারো জনগনের টাকা লুট করা হয়েছে । প্রায় ৩ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে দুই কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠান। হেল্পলাইন, আইডিয়েল এর পর ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স এমসিএস লিমিটেড ও ডায়মন্ড ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি। অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে অবৈধ ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে এ অর্থ সংগ্রহ করেছিল প্রতিষ্ঠান দুটি।ম্যাক্সিম গ্রুপ এক লাখ টাকা জমা রাখলে মাসে তিন হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে।২০০১ সালে তৎকালীন সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সুপারিশে সমবায় অধিদফতর থেকে যুগ্ম নিবন্ধন দেওয়া হয় ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্সকে। এ সময় তাদের শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তারা শুধু ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নিবন্ধন নেওয়ার ৬ মাস পার না হতেই প্রতিষ্ঠানটি শুরু করে প্রচলিত ব্যাংকিং। তারা দেশের অধিকাংশ জেলায় শাখা স্থাপন করে আমানত সংগ্রহ শুরু করে। ঋণ দেওয়ার জন্য তারা বেছে নেয় দেশের বিভিন্ন বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি সমবায় আইন লঙ্ঘন করে তারা এ প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করে। এমন প্রেক্ষাপটে সমবায় অধিদফতর থেকে ২০০৭ সালের জানুয়ারির দিকে তাদের সতর্ক করে দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ পাওয়ার পরও তারা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। প্রথমদিকে তারা গ্রাহকদের মুনাফা দিলেও ৭ মাস ধরে তাও বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া যারা স্থায়ী আমানত রেখেছিলেন, মেয়াদ পূর্ণ হলেও তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। একইভাবে ডায়মন্ড ম্যাক্সিম গ্রুপ ২০০৬ সালে তাদের ব্যবসা শুরু করে। তাদের সারাদেশে ১০৩টি শাখা রয়েছে। গ্রাহকদের মুনাফার টাকা না দিয়ে ইতিমধ্যে শাখাগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ডায়মন্ড ম্যাক্সিমের এমডি গোলাম মোস্তফা রানা পলাতক রয়েছেন।
কে এই হাবিব ও রানা :ম্যাক্সিম গ্রুপের এমডি হাবিবুর রহমানের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কলমেশ্বরদি গ্রামে। ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৫-৯৬ সালে তিনি শিবিরের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি যোগ দেন ইসলামী ব্যাংকের ফরিদপুর শাখার কর্মকর্তা হিসেবে। আর্থিক অনিয়মের কারণে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় সমবায় অধিদফতর থেকে নিবন্ধন নিয়ে তিনি প্রতারণার এ ব্যবসা শুরু করেন। তিনি জামায়াত নেতা মুজাহিদ মুক্তি পরিষদের সভাপতি। ডায়মন্ড ম্যাক্সিমের মালিক গোলাম মোস্তফা রানার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার বলই গ্রামে। ছাত্রজীবনে তিনি টঙ্গিবাড়ি ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি রামপুরা বনশ্রীতে একটি মুদি দোকানে চাকরি নেন। এ চাকরি ছেড়ে তিনি ম্যাক্সিম গ্রুপে চাকরি নেন। এক পর্যায়ে এ গ্রুপের পরিচালকও হন তিনি। এমডির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০০৬ সালে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে কোম্পানির ২২টি শাখার মধ্যে ১১টি শাখা নিয়ে ভাগ হয়ে যান। নতুন সে কোম্পানির নাম দেন ডায়মন্ড ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি।
ক্লিক করুন
http://www.shamokal.com/
©somewhere in net ltd.