নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না, আমি সবাই।

অনিন্দ্য অবনী

আমি কেউ না,, আমি সবাই।।

অনিন্দ্য অবনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি ব্লগ ( ইতিহাসের কিছু প্রাচীনতম নিদর্শন)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৫


খেরুয়া মসজিদ
বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ননিদর্শন। মুঘল-পূর্ব সুলতানি আমলের স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে মোগল স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয়ে নির্মিত এই মসজিদ। প্রায় ৪৩৮ বছর ধরে টিকে থাকা এই মসজিদের অবস্থান বগুড়া শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলা সদর হতে মাত্র ১০ মিনিটের দুরত্বে । শেরপুর উপজেলা হতে সিএনজি বা রিক্সা যোগে ভ্রমন করে আসতে পারেন।এই মসজিদের সামনের দেয়ালে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে এর ইতিহাস জানা যায়, ১৫৮২ সালে জওহর আলী কাকশালের পুত্র মির্জা মুরাদ খান কাকশাল এটি নির্মাণ করেছিলেন। মির্জা মুরাদ খান কাকশালের বিশদ পরিচয় পাওয়া যায় না। শেরপুর সে সময় ঘোড়াঘাটের অধীনে একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। ঐতিহাসিকদের অনুমান মির্জা মুরাদ খান কাকশাল শেরপুরের জায়গিরদার বা ফৌজদার ছিলেন।

বেহুলার বাসর ঘর
বেহুলার বাসর ঘর বগুড়া সদর থানাধীন গোকুল গ্রামে খননকৃত একটি প্রত্নস্থল যা গোকুল মেধ (Gokul Medh) নামে পরিচিত। গোকুল গ্রামটি মহাস্থানগড় থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এ স্থানটিকে লক্ষ্মিন্দরের মেধও বলা হয়ে থাকে। ১৯৩৪-৩৬ সালে এন.জি মজুমদার কর্তৃক উৎখননের ফলে এখানে একটি বিশাল মন্দিরের বা স্তূপের ভিত্তি উন্মোচিত হয়েছে।বেহুলার বাসরঘরে ১৭২টি কুঠুরি বিভিন্ন তলে মাটি দিয়ে ভরাট করে নিচ থেকে উপরের দিকে ক্রমহ্রাসমান করে এমন ভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে এগুলি কোনো সুউচ্চ মন্দির বা স্তূপের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহূত হতে পারে। এ রূপ স্তরে স্ত্তরে উঁচু করা বহুতল বিশিষ্ট সমান্তরাল ঠেস দেওয়ালযুক্ত ভিতের উপর প্রকৃত স্থাপত্য নির্মাণ রীতি প্রাচীন বাংলাদেশের একটি তাৎপর্যপূর্ণ স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য। এ মন্দিরের সঙ্গে পরবর্তী গুপ্তযুগের (ছয়-সাত শতক) কতগুলি পোড়ামাটির ফলক পাওয়া গেছে। সেন যুগে (১১শ- ১২শ শতক) এখানে বারান্দাযুক্ত একটি বর্গাকৃতির মন্দির নির্মিত হয়েছিল। এ মন্দিরে বহু গর্তযুক্ত একটি ছোট প্রস্তর খন্ডের সঙ্গে ষাঁড়ের প্রতিকৃতি উৎকীর্ণ একটি সোনার পাত পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা হয় যে, এটি একটি শীব মন্দির ছিলো।
বেহুলার বাসরঘর একটি অকল্পনীয় মনুমেন্ট। বর্তমান গবেষকদের মতে, এ মনুমেন্ট ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৈদ্যমঠ। এ স্তূপটিই বাসরঘর নয়। এ স্তূপটির পশ্চিমার্ধে আছে বাসরঘরের প্রবাদ স্মৃতিচিহ্ন। পূর্বার্ধে রয়েছে ২৪ কোণ বিশিষ্ট চৌবাচ্চা সদৃশ একটি বাথরুম। ওই বাথরুমের মধ্যে ছিল ৮ ফুট গভীর একটি কূপ। কথিত আছে কূপটিতে বেহুলা লক্ষিনদর মধুনিশি যাপনের পর কূপে রক্ষিত জলে স্নান করে তাতে শুদ্ধতা লাভ করতে সক্ষম হতেন। বগুড়ার মহাস্থানগড় দেখে ফিরবার পথে আপনি বেহুলার বাসরঘর দেখে ফিরতে পারেন ।


ভবানীপুর শক্তিপীঠ
বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার শেরপুরে করতোয়াতটে অবস্থিত সতী মাতা তারার একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম। হিন্দু ভক্তদের জন্য এটি একটি পবিত্র তীর্থস্থান ।এই মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়, সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর সতী মাতা দেহ ত্যাগ করলে মহাদেব সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করলে বিষ্ণু দেব সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখন্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত হয় এবং এ সকল স্থানসমূহ শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিতি পায়। বিভিন্ন সূত্র মতে, করতোয়াতটের এ ভবানীপুরে সতী মাতা তারার বাম পায়ের অলঙ্কার বা বাম পাঁজর বা ডান চোখ বা বিছানা পড়েছিল বলে জানা যায়। ভবানীপুর বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত শক্তিপীঠসমূহের মধ্যে অন্যতম। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ-বিদেশের ভক্তরা সারা বছর এখানে তীর্থে আসেন।
কথিত আছে যে এখানে একদা একজন শাঁখাওয়ালা (শাঁখা নির্মাতা) ভবানীপুর মন্দিরের ধারের গভীর জঙ্গলের পাশের একটি পুকুরের ধার অতিক্রম করছিলেন। এমন সময় সিঁথিতে সিঁদুর দেয়া একটি ছোট মেয়ে তার কাছে গিয়ে বলেছিল যে সে নাটোর রাজবাড়ির রাজকন্যা। সে শাঁখাওয়ালার কাছ থেকে এক জোড়া শাঁখা কিনল এবং বলল যে শাঁখাওয়ালা যেন নাটোরের মহারাণীকে বলেন যে প্রাসাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা ঝুড়ি থেকে তার শাঁখার দাম দিয়ে দেন। শাঁখাওয়ালা মেয়েটির বিনীত কথায় মুগ্ধ হয়ে তাকে শাঁখা দিয়ে দিলেন। শাঁখাওয়ালার মুখ থেকে ছোট মেয়েটির কথা শুনে মহারাণী লোকজন ও সেই শাঁখাওয়ালাকে নিয়ে মেয়েটির বলা জায়গায় গেলেন। শাঁখাওয়ালার প্রার্থনা শুনে মা ভবানী সেই শাঁখা-পুকুর থেকে তার দুই হাতের শাঁখা তুলে দেখালেন। মহারানী ও সেখানে উপস্থিত লোকজন এতে বিস্মিত হলেন এবং মা ভবানীর (মা তারার) মহিমা এই উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ল। এই কিংবদন্তির শাঁখা-পুকুরে তীর্থযাত্রীরা স্নান করেন।।
তথ্যসুত্র ::: ইন্টারনেট।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রাচীন স্থাপত্য দেখার এক আকর্ষণ আমার আছে।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: প্রাচীন নিদর্শন গুলো কি সরকার দেখভাল করে না।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এই প্রথম খেরুয়া মসজিদ দেখলাম। চাপাইনবাবগঞ্জের আতিয়া জামে মসজিদের সাথে কারুশৈলীর যথেষ্ট মিল রয়েছে।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৯

শের শায়রী বলেছেন: প্রাচীন নিদর্শন দেখতে সব সময়ই আমার ভালো লাগে। পোষ্টে ভালো লাগা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.