নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডফগডগ

বিচিত্র জিসান

জিবনের সন্ধানে এসে আমি মৃত্যুর কাছাকাছি এসেছি

বিচিত্র জিসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাসে ছুটির দিনগুলো- দেশে ফেরা

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

হলান্ডের রিচার্ড ও আর্নি ছুটিতে দেশে যাবে না। তারা ভাবছে কোথায় যাওয়া যায়। প্রায় তিন চার মাস পর ছুটিতে প্রিয়জনের মুখ দেখবে না একি কথা। প্রবাসে কর্মরত প্রায় সব বাংলাদেশীরাই দেশে আসার জন্য দিন গুনে। সোলেমানিয়ার বরফ তখন গলতে শুরু করেছে। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। আংগুর, আপেল,কমলা গাছে ফল ধরবে ধরবে করছে। শীতের বরফ গলা পানিতে সারা কুর্দিস্থান প্রান ফিরে পায়। রিচার্ড,আর্নি এবার ঠিক করল থাইল্যান্ড যাবে। আমি থাইলান্ডে গিয়েছি শুনে জিজ্ঞাসা করল দেশটা কেমন লেগেছে তোমার কাছে ? বললাম ভালই লেগেছিল। ওরা গাইড বই ঘেটে বের করেছে সেখানে স্কুবা ডাইডিং করা যাবে সাথে প্যারাগ্লাইডিং এর ও সুযোগ আছে। ছুটির দিন গুলোতে তারা এসব ট্রেনিং শেষ করবে। থাইল্যান্ডে বেশ কম খরচে এগুলো করার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। ইউরোপে অনেক খরচ। তাই তারা দেশে যাবে না। কারণ তেমন নিকট আত্মীয় কেউ ফ্রি নেই। রিচার্ড এর ভাই হলান্ডের কোন এক শহরে থাকে। বাবা ম্ ানেই। তার সখ বোটিং, কুর্দিস্থানে আসার আগে তার জিনিষ পত্র সব বিক্রি করে দিয়েছে শুধু প্রিয় বোটটা অনুমতি নিয়ে ভাই এর বাসার নীচে রেখে এসেছে। এখন যদি দেশে যায় তাহলে হোটেলে থাকতে হবে। দিনে কম করে হলেও একশত ডলার হোটেল ভাড়া, সব মিলিয়ে ছুটিতে তাদের তিন চার হাজার ডলার খরচ হবেই। তাই এর চেয়ে অনেক কম খরচে থাইল্যান্ডে যাবার জন্য তারা তৈরী। খরচের পর যা বেঁচে থাকবে তা দিয়ে তারা হিল ও রক আরোহনের গিয়ার কিনে আনবে। যেহেতু এ সব জিনিষ আনলে বিমানে ওজন অনেক বেশী হবে তাই অতিরিক্ত ভাড়ার কথাও তারা হিসেব করে নিয়েছে। কোন বাংলাদেশীর মাথায় এ ধরনের সখ আসে কিনা জানা নেই হয়ত ভবিষ্যতের বুকে এর উত্তর আছে। রিচার্ড ও আর্নির পূর্বপুরুষদের আবাস ছিল ইন্দোনেশিয়াতে। ইন্দোনেশিয়া ডাচ কলোনী হওয়ার সুবাদে বহু ইন্দোনেশিয় খৃষ্টান হলান্ডে পাড়ি জমায়। রিচার্ড এর দাদী ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ডাচ স্বামীর হাত ধরে হলান্ডে পা রাখে। তার পরবর্তী প্রজন্ম রিচার্ড। আর্নির বাবা ইন্দোনেশিয় মা ডাচ। দুজনেই মৃত আর্নি ও তার এক বোন আছে। আর্নি বিয়ে করেনি বোনের বিয়ে হয়েছে বাচ্চা কাচ্চা আছে। রিচার্ড খুব হাশিখুশি তবে তার জীবনের দুঃখ শোনার মত ইউরোপে কম লোকই আছে। রিচার্ডের প্রথম বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। কম টাকাতে চলে না তাই বউ তাকে ফেলে চলে গেছে। কিছু দিন মন খরাপ ছিল, বিয়ে করবে না বলে ঠিক করেছিল পরে হঠাৎ করে বারে এক মহিলার সাথে পরিচয় হয়ে যায়। মহিলাও ডিভোর্সি তবে প্রনয়ের প্রথম দিকে জানেনি যে মহিলার একটা বাচ্চাও আছে। যখন তারা বিয়ে করবে ঠিক করল তখন মহিলা জানালো তার বাচ্চা তার সাথে থাকে। রিচার্ড বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে নতুন জীবন শুরু করল। বেশী পয়সার চাকুরী প্রয়োজন, তাই লরি ড্রাইভারের চাকুরী নিল। ইউরোপের একদেশ থেকে অন্যদেশে কন্টেইনার নিয়ে যেতে হয়। ঝুঁকি আছে,পরিশ্রম আছে, তবে বেতন ভাল। নতুন সংসার ্েগাছানোর জন্য তাই সে এই চাকুরীই বেছে নেয়। তবে সমস্যা হলো কখনো দুই তিন রাত কখনো সপ্তাহ জুড়ে বাইরে কাটাতে হয়। কাজের জন্যই বাইরে থাকা,বরফ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে লরী নিয়ে একা একা কখনো ইতালী কখনো জার্মানী কখনো ফ্রান্সে বা অন্য দেশে যেতে হয়। ঘরে ফিরে আসে টাকা হাতে প্রিয়ার হাসিমুখ দেখার জন্য কিন্তু এসে দেখে অন্য চেহারা, যা তার ক্লান্ত শরীর মন কখনো চায়না। কোথায় ঘরে ফিরে উষ্ণ গোসল একটু বিশ্রাম কিংবা মজার খাবার খাবে তার বদলে স্ত্রীর সন্দেহ দুর করার জন্য হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতে তার কান মন প্রান ঝালাপালা। তাতে ও কি শান্তি আসে,নতুন নতুন সমস্যা, কথার পিঠে কথা আরো তিক্ত করে দেয় সম্পর্ক। কোথায় ভাবল সংসার করলে সুখী হবে। বাচ্চা ও মার জন্য বাসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে এখন সে বাসাই তার জন্য অসহ্য হয়ে গেছে। মনের দুঃখে আবারো সম্পর্কের ইতি টানা। লাভের মধ্যে কষ্টের পয়সা ভাগাভাগির বেদনা এবং আইন আদালত। রিচার্ড বলে কত বিপদ তুচ্চ করে টাকার জন্য,একটু সুখের জন্য কঠিন পেশা বেছে নিয়েছিলাম, তার বদলে কি পেলাম। মনের দুঃখে তাই সব ছেড়ে দিয়ে কুর্দিস্থানে মানবিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে জীবন যাপন করতে এসেছে। আন্তঃ দেশীয় লরি চালনার খারাপ দিক হলো কন্টেইনারে অনেক সময় মূল্যবান জিনিষ পত্র থাকে। মাফিয়া চক্র এগুলোর খবর জানে এবং দুর্গম কোন এলাকায় তারা লরি হাইজ্যাক করে এবং মালপত্র নিয়ে নেয়। যাবার সময় নিরীহ লরি চালককে হত্যা করে। এ ধরনের ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে। বিপদ বেশী বলে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও বেশী তবে সব নিরাপত্তা ভেংগে এসব হত্যাকান্ডও ঘটে থাকে। তাই তাদেরকে বেতন ও বেশী দেয়। তাছাড়া ঘুমহীন রাত জাগা এবং রাতের বেলা ট্রাক চালনার ক্লান্তি থেকেও মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। রিচার্ডের বিয়ের আর তেমন সখ নেই। তাই আর্নির সাথে দুজনে থাইল্যান্ডে যাবে ঠিক করেছে।

ছুটি শেষে পিঠে বিশাল বোঝা নিয়ে তারা সোলেমানিয়াতে হাজির। গায়ের চামড়া পুড়ে গেছে। শরীর ও বেশ টান টান তবে মুখে হাসিটা দেখার মত। সময় কেমন কেটেছে বলাতে দুজনেই খুশী মনে বলল চমৎকার, এরকম সময় বহু বছর পাইনি। বিকেলে গল্প শোনা যাবে। থাইলান্ডে যাওয়ার আগেই তারা একটা এজেন্সির সাথে গোটা ভ্রমনের পরিকল্পনা করেছিল। সাথে গাইডও ছিল। একজন থাই গাইড তাদেরকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করে হোটেলে নিয়ে গেছে। বেশ আন্তরিক মেয়ে। দুজনেই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাদের জন্য কম খরচে হোটেল ঠিক করে দিয়েছে। ট্যাক্সি ভাড়া কমিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখিয়েছে। পরে তাদেরকে হোটেলের বদলে কটেজ এ থাকার প্রস্তাব দেয় এতে টাকা বেশ সাশ্রয় হয়েছে। গাইড এর এক বান্ধবীও ফ্রি আছে তারা চাইলে সেও এসে তাদের নতুন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে ও অন্যান্য সাহায্যে লাগতে পারে। তাকেও তেমন বেশী কিছু দিতে হবে না। দুজনেই রাজি কাজেই দু বান্ধবী গাইড ডাচ দুই ভ্রমনকারীর সাথে মাস খানেকের জন্য বুক্ড। কয়েকদিন পর হোটেলে খাবার বদলে তারা দুজনে বাজার করে রান্না করত একদম পরিবারের মত সময় কেটেছে তাদের। দুপুরে ওরা স্কুবা ডাইভিং এর ট্রেনিং এ যেত বিকেলে ও রাতে তাদের সব ধরনের সেবা নিয়ে গাইড দুজন হাজির। অনেক কম খরচে এত আনন্দ পেয়ে তারা স্ফুর্তিতে বাকবাকুম। ভবিষ্যতে দেশে না গিয়ে সব ছুটিতে তারা থাইল্যান্ডে কিংবা ফিলিপাইনে সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। আরো অনেক নাম্বার ও যোগাযোগের ঠিকানা তারা এনেছে ভবিষ্যতের জন্য। বহু দিন পর তাদের দেখে খুশী মনে হলো। আমাকে বলল, রক আরোহনের যন্ত্রপাতির জন্য এয়ারপোর্টে অতিরিক্ত ওজন বাবদ দুশো ডলার বেশী দিয়েছে । তারা এখন থেকে ছুটির দিনে আশে পাশের রুক্ষ পাহাড় গুলোতে উঠতে চায়। দুজনে অধীর আগ্রহ নিয়ে এই কঠিন আনন্দ পেতে ছুটির দিনের অপেক্ষায় আছে। যার যেমন ভাল লাগে। পৃথিবীর সবাই তাদের নিজেদের মত সুখে থাক।



দেশে ফেরা



এক বছর আগে অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ছেড়ে ইরাকের কুর্দিস্থানে এসেছিলাম। সময় তার নিজ গতিতে এগিয়ে যায়, সারা বছরের সব ঋতু ছুয়ে সময়ের পাতা আজ বিদায় জানাতে এসেছে। মনটাও বহুদিন ধরে উড়ু উড়ু হয়ে আছে প্রিয়জনের বিরহে। একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করে ছিলাম কুর্দিস্থানে কি থাকা যায়? উত্তর এসেছে না না কখনোই নয়। এদেশ আপন হবার নয়। একজন মানুষ একজন প্রেমিক একা এদেশে বাঁচতে পারবে না। হাজার অনিশ্চয়তার সাথে বসবাস করে কুর্দিরা শক্ত হয়ে গেছে। সেখানে মাত্র এক বছরে এক বাংলাদেশী কিভাবে টিকে থাকবে।

অক্টোবরের শেষে শীতের ঠান্ডা হাওয়া কুর্দিস্থানের মালভুমি মাতিয়ে রেখেছে। মাওয়াতের পাহাড় চূড়ায় বরফ পড়া শুরু হয়েছে আর দুই এক মাসের মধ্যেই চারিদিক বরফে সাদা হয়ে যাবে ও তার আগেই আমাদের বিদায়। এখানকার বাসাগুলোতে যেহেতু সব জিনিষপত্রই আছে তাই আমাদের মালামাল তেমন কিছুই নেই। দুই একটা ব্যাগেই সব জিনিষপত্র নেয়া হয়ে গেছে।

নভেম্বরের এক সকালে সুলেমানিয়া ছেড়ে ইরবিলের পথে বেরিয়ে পড়লাম। যাওয়ার আগে বহু সহকর্মী বিদায় জানালো। গত দুই তিন দিন ধরেই অনেকে এসে বিদায় জানিয়ে যাচ্ছে। এক সময় এদের কাউকেই চিনতাম না, গত এক বছরে আমি নিজেই অনেককে বিদায় জানিয়েছি। আজ আমার বিদায় বেলায় এরা এসেছে দেখা করতে। এক বছর ধরে চলা সেই পথে ইরবিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। সোলেমানিয়ো সিমেন্ট ফ্যাক্টরী,চামচামাল , দোখানলেক পার হয়ে খাইবার সুলতানের নীচের চায়ের দোকানে বিশ্রামের জন্য থামলাম। কাকা চোয়ানী ? বলে আমাদের চা অফার করল দোকানী চা খেয়ে বাসি,সারচাও, বলে পাহাড়ী আকাবাকা পথে পাহাড় শ্রেণীর ওপারে চলতে লাগলাম। পাহাড় পার হয়ে কোইসিনজাক, দিঘালা,মাইদান শহরতলী পার হয়ে এক সময় ইরবিলের দৃশ্য দুর থেকে দেখতে পেলাম ফেলে আসা পথে আর কখনো কি ফেরা হবে? ইরবিলে এসে জিনিষ পত্র গুলো রেখে কিছু ফর্মালিটিজ শেষ কররাম। তারপর এনকাওয়া ও তার আশে পাশের এলাকা দেখতে বের হলাম। সোভান আগের মতই আছে। নিয়ন্ত্রিত আবেগ। যেন সে জানে যারা এসেছে তারা চলে যাবে আবার নতুন কেউ এখানে আসবে। তবুও বিদায় জানালো আমাদেরকে। ইরবিলে একরাত ছিলাম। সকাল বেলা বাগদাদের পথে রওয়ানা হলাম।

ইরবিলে আমাদের পাশের বাসায় এক মহিলা এসেছে তার ছেলে বন্ধুর কাছে। বন্ধুত্ব নতুন, কুকুর মহিলার খুব প্রিয় কিন্তু ছেলে বন্ধু তা তেমন পছন্দ করে না। কুকুরটাকে বাইরে রেখে মহিলা তার বন্ধুর সাথে ভেতরে আছে। কুকুর কুইকুই শব্দ করছে। এটা এক সময় মহিলার সাথে নরম গদিতে বিছানায় থাকত। আজ তার এই দশা, যেন সে মানতে পারছিল না। মহিলা কিছুক্ষণ পরপর বাইরে এসে কুকুরটাকে আদর করে যাচ্ছে, তার বয়ফ্রেন্ডের চেহারায় বিরক্তির ছাপ,তবে কিছু বলছে না। সন্ধ্যায় লনে গল্প করতে করতে মজার দৃশ্য দেখছিলাম।

সকালে নাস্তা সেরে বাগদাদের উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে চড়ে বসলাম। কুর্দিস্থানের রাজপথ দিয়ে বাস মসুল চেক পয়েন্টের দিকে চলতে শুরু করল। কুর্দিস্থানকে বিদায় জানিয়ে চেক পয়েন্টে কাগজপত্র জমা দিয়ে অনুমতি পত্র দেখানো শেষে বাস মসুল শহরে ঢুকল। সেই মসুলের রাজপথ, হযরত ইউনুস ( আঃ ) এর মাজার পেছনে ফেলে বাস ছুটে চলছে বাগদাদের পথে। প্রায় ৪০০ কিঃমিঃ পথ, বাগদাদে কতবার এসেছিলাম এই পথে । বিকেল বেলা বাগদাদ এসে পৌছালাম। আপাতত ক’দিন হোটেলে থাকতে হবে। শেষ ক’দিন বাগদাদ শহরটা একটু ঘুরে ফিরে দেখলাম। কয়েকটা আরবী শব্দ শেখা হয়েছিল ততদিনে,রাস্তাঘাট ও কিছুটা চেনাজানা হয়েছে। হোটেলের লোকজনের সাথেও পরিচয় হয়েছে। ভালাই লাগছিল শেষ দিকের সময়টা। এক বছর আগে বাগদাদ ছিল মনমরা শহর। এখন মনে হয় কিছুটা প্রাণ আসছে এই শহরে। নতুন নতুন দোকান পাট দেখলাম,হোটেলেও বোর্ডার বেড়েছে। মোটামুটি প্রানচাঞ্চল্য আসছে বোঝা যায়। এর মধ্যে সময় করে বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) মাজারে নামাজ ও জিয়ারত করে আসলাম একদিন। প্রয়োজনীয় ফর্মালিটিজ শেষ করে বিদায় দিনের সকালে অপেক্ষা করছি হাব্বানিয়া এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য । হাব্বানিয়ার কাষ্টমস বেশ ভালভাবে চেক করল । তাদের দেশের কিছু নিয়ে যাচ্ছি কিনা। সবশেষে বাগদাদকে বিদায় জানিয়ে হাব্বানিয়া এয়ারপোর্ট থেকে কুয়েতের উদ্দেশ্যে বিমান উড়াল দিল।

ঘন্টা দুয়েক পর কুয়েত এয়ারপোর্ট। কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে বাংলাদেশ আসতে হবে। এয়ারপোর্টে ঘন্টা দুই এর মত অপেক্ষা । এখন আর তেমন কিছুই ভাল লাগছিল না। ডিউটি ফ্রি শপে কিছু চকলেট কিনে রেষ্ট এরিয়াতে বিশ্রাম নিলাম। কুয়েত এয়ারওয়েজ এর বোর্ডিং পাস নিয়ে বিমানে। বিমান দোহার উদ্দেশ্যে উড়াল দিল। দোহাতে এক ঘন্টা যাত্রা বিরতি নতুন যাত্রী উঠল কিছু। দোহা থেকে সরাসরি ঢাকা। এক বছর পর প্রিয় স্বদেশে ফিরে এলাম। ফিরে এলাম আমার ভালবাসার বাংলাদেশে। এখানে সম্পদের প্রাচুর্য না থাকতে পারে তবুও এই দেশই আমার মনকে প্রাচুর্যের আনন্দে ভরিয়ে দেয়। বিদায় ইরাক, বিদায় কুর্দিস্থান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.