নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বল বীর, চির উন্নত মম শির

বিদ্রোহী নজরুলের উত্তরসূরী

বিদ্রোহী নজরুলের উত্তরসূরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দুদের মন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ নির্মাণ হয়নি

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭



ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা যে অভিযোগ করে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেছিল, সেই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে। অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে ভারতের প্রধান বিচারপিত বলেন, ‌‘বাবরি মসজিদ ফাঁকা জায়গায় নির্মিত হয়নি। তার নিচে কাঠামো ছিলো। তবে তার নিচে মন্দিরই ছিল, এটি ঠিক না।’

বিচারপতিরা বলেন, কবে মসজিদ তৈরি হয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার খননের ফলে যেসব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে সেগুলি নন ইসলামিক। বাবরের সহযোগী মির বাকি এই মসজিদ তৈরি করেছিলেন। তবে সেখানে হিন্দুদের মন্দির ছিল না। হিন্দুরা সেখানে রামের জন্মভূমি ছিল বলেই এটাকে বিশ্বাস করলেও কারো বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার হরণ না করে।

তবে বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির না থাকলেও শেষ পর্যন্ত উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের কাছে বলতে গেলে আত্মসর্মণ করে সেখানে মন্দির নির্মাণের রায়ই দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, অযোধ্যার সেই বিতর্কিত ২.৭৭ একর জায়গা রাম মন্দির ট্রাস্টের অধীনে যাবে আর মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ কোনো জায়গায় সুন্নি বোর্ডকে ৫ একর জমি দিতে হবে।

এখন ভারতীয় মুসলমান এবং প্রগতিশীল ব্যক্তিত্বরা স্বাভাবিকভাবেই তুলছেন, অযোধ্যার বিতর্কিত সেই জায়গায় মন্দির থাকার প্রমাণ যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট পাননি, তাহলে এখন মসজিদের জায়গা মন্দিরের জন্য দিয়ে দেওয়া হলো কেন? এটা কি ন্যায়বিচার হলো? নাকি হিন্দুত্ববাদের কাছে হেরে গেল সুপ্রিম কোর্ট?



এমনই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উত্তর প্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের নেতা এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য জাফরিয়াব জিলানী অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই রায়ের মধ্যে অনেক ‘স্ববিরোধিতা’ ও ‘তথ্যগত ভুল’ আছে বলে মনে করেন তারা। তবে যেহেতু এটি সুপ্রিমকোর্টের রায় তাই আমরা শ্রদ্ধা করছি। তবে আমরা এখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে স্থির করব আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। সবাই একমত হলে আমরা রিভিউ পিটিশন দাখিল করব।

বাবরি মসজিদ মামলার এমন রায় মানতে কষ্টকর হলেও এটা সত্য যে, সেটা নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ভারতের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং সেখানকার মুসলমানরা রয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে সেই ১৯৯২ সালের মতো বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা কিংবা তাদের মন্দির, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা যেন না ঘটে, সেই বিষয়ে আমাদের সবার খেয়াল রাখতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪

বুবলা বলেছেন: যেগুলো কে ইসলামিক স্থাপনা বলা হয় সেগুলো আসলে ভারতের প্রচুর হিন্দু স্থাপত্য ভেংগে করা হয়েছে, এতা ইতিহাস প্রমানিত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.