![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসলেও শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনের কাছে এসে দুর্বল হয়ে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশের স্বনামধন্য একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দুর্বল হলো যে কারণে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনের নিচে একজন পাঠক মন্তব্য করেছেন, ‘যে সুন্দরবন আমাদের বাঁচানোর এত চেষ্টা করে, সেই সুন্দরবনকে ধবংস করার জন্য আমাদের কত আয়োজন!’
‘আর’ অদ্যাক্ষরের ওই পাঠক সাধারণভাবে বলতে গেলে ঠিক মন্তব্য করেছেন। কারণ, সুন্দরবন আমাদের এত উপকারী হলেও তা ধ্বংস করে বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট তৈরির মহোৎসব চলছে রাষ্ট্রীয়ভাবে। তবে তিনি তার মন্তব্যের প্রথম অংশে যা বলেছেন, তার দ্বিমত পোষণ করতেই এ লেখা।
তিনি বলেছেন, ‘যে সুন্দরবন আমাদের বাঁচানোর এত চেষ্টা করে...।’ সুন্দরবনের পক্ষে লিখতে গিয়ে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এভাবে মন্তব্য করছেন। কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এমনটা বলছেন, তা নয়। কিন্তু নিজের অজান্তেই শিরক করে ফেলছেন তারা। কারণ, সুন্দরবন বাঁচানোর মালিক না, যেকোনো বিপদ থেকে মানুষকে বাঁচানোর মালিক একমাত্র আল্লাহ। এক্ষেত্রে সুন্দবন উছিলা মাত্র। সুতরাং এ বিষয়ে আরও সতর্ক হয়ে কথা বলা উচিৎ। এবং সুন্দরবন রক্ষার্থে আলোচনা অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই।
বুলবুলের তাণ্ডবে নিহতের সংখ্যা
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে বাংলাদেশের ৪ জেলায় ৬ জন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ২ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে বুলবুল উপকূলীয় এলাকা অতিক্রমের সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পটুয়াখালীতে ২ জন, বরগুনায় ১ জন, খুলনায় ২ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আগে থেকেই এসব অঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্রে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন। রোববার সকাল থেকে তারা নিজেদের ঘরে ফিরছেন।
ক্ষয়ক্ষতি
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে চিংড়ির ঘের। গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। বাগেরহাটে ভারি বৃষ্টিপাতের সাথে বেশ কিছু জায়গায় উপড়ে গেছে গাছ। ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশনে বুলবুলের আঘাতে ২০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে আহত হয়েছেন ১৫ জন। এছাড়াও উপকূলজুড়ে বুলবুলের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার রাতভর উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে বুলবুল দুর্বল হয়ে পড়েছে স্থলভাগে এসে। এখন স্থলভাগের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। আজ বিকেলে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বুলবুলের আঘাতে বরগুনায় ৬৪ মাঝি-মাল্লাসহ ৭টি মাছধরার ট্রলার নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সাগর উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন ১২শ’ পর্যটক।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২২
বিদ্রোহী নজরুলের উত্তরসূরী বলেছেন: সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগ বাড়িতে আপনাকে সুস্বাগতম
পর্যটকদের আর ট্রলারগুলোর এখন কি অবস্থা ?
সর্বশেষ একটা আপডেট দেন !
চমৎকার লেখনী। আপনার লেখা অনেক সুন্দর। আপনি চাইলে অতি দ্রুত প্রথম পাতায় সুযোগ পেতে পারেন। এজন্য আপনাকে সুন্দর শৈল্পিক লেখা প্রকাশের পাশাপাশি অন্যের লেখায় গঠনমূলক মন্তব্য চালিয়ে যেতে হবে । সেই সাথে নিজেকে সক্রিয় রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
শুভকামনা থাকলো সবসময়ের জন্য ।