নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বল বীর, চির উন্নত মম শির

বিদ্রোহী নজরুলের উত্তরসূরী

বিদ্রোহী নজরুলের উত্তরসূরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাবি শিক্ষকদের হাতাহাতিতে শেষ হলো ২০১৯

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬



হিংসা, বিদ্বেষ আর পুরনোকে বিদায় জানিয়ে সবাই যখন ২০২০ সালকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত, তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটলো লজ্জাজনক ঘটনা। যে শিক্ষকদের আমরা জানি জাতির মেরুদণ্ড গড়ার কারিগর হিসেবে সেই শিক্ষকরাই ঘটালেন এমন ঘটনা, যা কখনোই কাম্য নয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালের শেষ দিনে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ও অন্য এক শিক্ষকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।

কী কারণে ঘটলো এমন ঘটনা
সোমবার একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মু. আলী আসগর শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে প্লানিং কমিটি ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

তবে মঙ্গলবার বিভাগের সভাপতি কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাঝে হঠাৎ করেই বিভাগের কাওছার আলী, নূরুল আলমসহ কয়েকজন শিক্ষক এসে সাইফুল ইসলামের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও উচ্চবাচ্যের ঘটনা ঘটে। এতে সংবাদ সম্মেলনটি পণ্ড হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম, অধ্যাপক যুগোল কুমার সরকার, সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম আবদুল বারীসহ সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মু. আলী আসগর বলেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সদস্যদের ছাড়াই প্লানিং কমিটির সভা করেছেন বিভাগের সভাপতি ড. সাইফুল ইসলাম। সদস্যরা উপস্থিত না থাকলেও তাদের উপস্থিতি দেখিয়ে সভা সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সভার তারিখ গোপন ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন প্লানিং কমিটির অন্য সদস্যরা। এসময় বিভাগের শিক্ষক কাওছার আলী, নূরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু এ বিষয়ে পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে প্লানিং কমিটির সদস্যদের ২২ ডিসেম্বর ৫৭তম সভার ও ২৬ ডিসেম্বর একই বিষয়ে ৫৮তম সভার আহ্বান করি। সভায় প্লানিং কমিটির সদস্যরা অনুপস্থিত থাকায় সভা করা সম্ভব হয়নি। পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সভা সম্পন্ন করি।

হাতাহাতির কারণ কী
সংবাদ সম্মেলনে হাতাহাতির কারণ জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল তারা যখন সংবাদ সম্মেলন করেছেন আমরা সেখানে যাইনি। কিন্তু আজ সংবাদ সম্মেলনকে পণ্ড করতেই তারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন।

শিক্ষা
জাতির মেরুদণ্ড গড়ার কারিগর যারা তারা যদি নিজেদের মধ্যে এমন হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটান, তাহলে এই লজ্জা রাখার জায়গা কোথায়? মত-দ্বিমত-ভিন্নমত থাকবেই, তবে এজন্য কোনোমতেই কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটানো যাবে না। এমন শিক্ষা তো শিক্ষকদের দেয়ার কথা। তারা নতুন বছর ও নতুন দশকে নিজেদের মনে এটা লালন ও ধারণ করবেন বলেই আশা করি।

শুভ নববর্ষ ২০২০। চলতি শতাব্দীর তৃতীয় দশক শুভ হোক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.