| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
বল বীর- 
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'
ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না -
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত!
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,
আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব-ভিন্ন!
আমি চির-বিদ্রোহী বীর -
আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!
(সংক্ষেপিত) 
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর বিদ্রোহী কবিতায় এই একটা লাইন নিয়ে আলাপ উঠেছিল শ্রদ্ধেয় একজন নজরুল গবেষকের সামনে। অত:পর এই এক লাইন বুঝতেই পাঠ করতে হয়েছিল –ভৃগুর সাতকাহন।
কে এই ভৃগু? কেন তিনি ভগবানের বুকে পদচিহ্ণ রেখেছিলেন। প্রশ্ন থেকেই শুরু অন্বেষার। প্রথমেই খুঁজে পাই 
ভৃগুর শাব্দিক অর্থ :ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {ঋষি |  হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন  | বিমূর্ত-সত্তা | সত্তা |}
ভৃগু নিয়ে ধর্ম শাস্ত্র যা বলেছে তার শুরুতেই পাই ভৃগু কর্ত্তৃক মনু-সংহিতা কথনারম্ভ- 
“ততস্তথা স তেনোক্তো মহর্ষিমনুনা ভৃগুঃ ।
তানব্রবীদ্ ঋষীন্ সর্বান্ প্রীতাত্মা শ্রূযতামিতি ।।৬০”
অর্থ: অনন্তর মহর্ষি ভৃগু ভগবান মনু কর্ত্তৃক এই প্রকার অভিহিত হইয়া ‘শ্রবণ করুন’ বলিয়া তাঁহাদিগকে বলিতে লাগিলেন। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–  প্রজাপতি, ঋষি এবং ভার্গব বংশের প্রতিষ্ঠাতা। ভৃগুকে ধনুর্বেদ বিদ্যার জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। 
 
একবার ব্রহ্মা বরুণের একটি যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করলে, ভৃগু উক্ত যজ্ঞ থেকে জন্মগ্রহণ করেন। এঁর স্ত্রীর নাম ছিল পুলোমা। উল্লেখ্য, ভৃগুর স্ত্রী হওয়ার পূর্বে পুলোমা নামক এক রাক্ষস এঁকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু পুলোমা'র পিতা রাক্ষস-পুলোমার হাতে কন্যাকে সমর্পণ না করে ভৃগুর সাথে বিবাহ দেন। ফলে রাক্ষস  ভৃগুপত্নীকে অপহরণের সুযোগ খুঁজতে থাকেন। একবার গর্ভবতী পুলোমাকে ঘরে রেখে  ভৃগু স্নানে যান।  ভৃগু যাবার সময় ঘরের অধিষ্ঠিত অগ্নির উপর স্ত্রীর রক্ষাভার দিয়ে যান। এই সুযোগে রাক্ষস পুলোমা ভৃগুপত্নীকে অপহরণ করতে আসেন। তিনি অগ্নির কাছে প্রশ্ন করেন যে, পূর্বে আমি এই কন্যাকে স্ত্রী হিসাবে পাওয়ার জন্য মনে মনে বরণ করেছিলাম। এরপর ভৃগু একে স্ত্রী হিসাবে লাভ করেন। আইনত পুলোমা (ভৃগুপত্নী) তাঁরই স্ত্রী হওয়া উচিৎ। উত্তরে অগ্নি বলেন যে,– যেহেতু মন্ত্রপাঠ করে তুমি তাঁকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ কর নি তাই সে তোমার স্ত্রী নয়। এরপর রাক্ষস বরাহরূপ ধারণ করে, ভৃগুপত্নীকে অপহরণ করে রওনা হন। কিন্তু পথিমধ্যে ভৃগুপত্নী'র গর্ভস্থ সন্তান চ্যাবন ভূমিষ্ট হয় এবং চ্যাবনেরর তেজে এই রাক্ষস ভস্মীভূত হয়। ভৃগু গৃহে প্রত্যাবর্তনের পর, কেন অগ্নি তাঁর স্ত্রী পুলোমাকে রক্ষা করেন নাই, এই কারণে অগ্নিকে 'সর্বভুক্ হও' অভিশাপ দেন। এরপর অগ্নি নিজেকে অগ্নিহোত্র যজ্ঞ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেন। ফলে দেবতারা হব্য থেকে বঞ্চিত হতে থাকলে- ব্রহ্মা অগ্নিকে বলেন যে, কেবলমাত্র গুহ্যদেশের শিখা ও ক্রব্যাদ (মাংসভক্ষক) শরীর সর্বভুক হবে এবং মুখে যে আহুতি দেওয়া হবে, তাই দেবগণের ভাগরূপে গৃহীত হবে।     
[মহাভারত, আদিপর্ব, পঞ্চম-সপ্তম অধ্যায়। ] ১
বিষ্ণুপুরাণের মতে– ইনি ব্রহ্মার মানস পুত্র। মনু সংহিতার মতে ইনি দশজন প্রজাপতির অন্যতম। ইনি কর্দমের কন্যা খ্যাতিকে বিবাহ করেছিলেন। খ্যাতির গর্ভে তাঁর দুটি পুত্র এবং একটি কন্যা জন্মে। দুই পুত্রের নাম ছিল– ধাতা ও বিধাতা এবং কন্যার নাম ছিল লক্ষ্মী। লক্ষ্মীর সাথে বিষ্ণুর বিবাহ হয়। 
[বিষ্ণুপুরাণ। দশম অধ্যায়। ভৃগু আদি বংশ পর্যায়] 
 কবার বীতহব্য নামক এক রাজা প্রতর্দন নাম এক রাজপুত্রের কাছে পরাজিত হয়ে ভৃগুর শরণাপন্ন হন। প্রতর্দন পরাজিত শত্রুকে খুঁজতে খূঁজতে ভৃগুর আশ্রমে এলে– ইনি বীতহব্যকে রক্ষার করার জন্য বলেন, তাঁর আশ্রমে ব্রাহ্মণ ভিন্ন কোন ক্ষত্রিয় নাই। ভৃগুর এই বাক্যের প্রভাবে বীতহব্য ব্রাহ্মণত্ব লাভ করেন। একবার দেবতারা ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের মধ্যেকে শ্রেষ্ঠ কে, তা জানার জন্য ভৃগুর শরণাপন্ন হন। ভৃগু এই তিন দেবতাদের পরীক্ষার জন্য প্রথমে ব্রহ্মার কাছে যান। ইনি ইচ্ছা পূর্বক ব্রহ্মার প্রতি সম্মান না দেখালে, ব্রহ্মা তাঁর প্রতি তীব্র ক্রোধ প্রকাশ করেন। পরে স্তব দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে মহাদেবেরর কাছে যান। মহাদেবকে সম্মান না দেখানোর কারণে, মহাদেব তাঁকে হত্যা করতে উদ্যত হন। এবারও ভৃগু স্তব করে মহাদেবকে সন্তুষ্ট করেন। এরপর ইনি বিষ্ণুকে পরীক্ষা করার বিষ্ণুর আবাসস্থল গোলকধামে যান। সেখানে বিষ্ণুকে নিদ্রিত অবস্থায় দেখে ইনি বিষ্ণুর বক্ষে পদাঘাত করেন।
 
 বিষ্ণু ঘুম থেকে জেগে উঠে ভৃগুর পায়ে আঘাত লেগেছে মনে করে তাঁর পদসেবা করতে থাকেন। এরপর ভৃগু বিষ্ণুকেই শ্রেষ্ঠ দেবতা হিসাবে স্বীকৃতি দেন। উল্লেখ্য এরপর থেকে বিষ্ণুর বুকে ভৃগুর পদচিহ্ন আঁকা রয়েছে। 
ভগবান শ্রী বিষ্ণু বা গোপালের বিগ্রহ তৈরি করা হয় তখনি ভগবানের ডান বক্ষের দিকে ভৃগু মুনির চরন অংকন করা হয়। ভৃগু মুনির চরন ছাড়া গোপাল ঠাকুরের বিগ্রহ হয় না। 
 
 
হিন্দু পুরাণে বিখ্যাত বা কুখ্যাত অভিশাপগুলোর কাহিনীতেও ভৃগু, তাঁর পত্নী, সন্তানদের প্রসংগ এসেছে বহুভাবে।
একবার দেবতা ও দৈত্যদের দুর্দান্ত যুদ্ধ চলছিল | দেবরাজ ইন্দ্রের নেতৃত্বে সুরকুল বীরবিক্রমে এগিয়ে চলেছে | ক্রমশ পশ্চাদপটে চলে যাচ্ছে দৈত্য বংশ | তাঁদের গুরু শুক্রাচার্য অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে গেলেন মহাদেবের নিকট | তাঁর কৃপা প্রার্থনা করলেন | যাতে যুদ্ধে জয়লাভ করে দেবতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে আনা যায় মৃত সঞ্জীবনী সিদ্ধি | 
শুক্রাচার্য চলে যাওয়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়ল অসুরদের আবাস স্থল | এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাঁদের আক্রমণ করলেন দেবতারা | দিকভ্রান্ত হয়ে দৈত্যরা গেলেন ভৃগুপত্নীর কাছে | পুরাণে কোথাও তিনি কাব্য | কোথাও দিব্য | তিনি আচার্য শুক্রের মাতা | তাঁর কাছে বরাভয় ও আশ্রয় প্রর্থনা করলেন দৈত্যকুল |
ভৃগুপত্নী আশ্বস্ত করলেন দৈত্যদের | ঐশী ক্ষমতায় দেবতাদের তিনি স্থবির করে দিলেন | চলৎশক্তিহীন হয়ে স্থানুবৎ রইলেন দেবতারা | সেই সুযোগে পাল্টা আঘাত হানলেন দৈত্যরা | লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল স্বর্গলোক | 
চলন শক্তিহীন দেবতারা মনে মনে প্রার্থনা করলেন ভগবান বিষ্ণু সমীপে | ভগবান বুঝলেন তাঁকে খুব সাবধানে অগ্রসর হতে হবে | কারণ ভৃগুপত্নী একজন নারী | বিষ্ণু দেবতা হয়ে একজন নারীকে আঘাত করতে পারেন না | এদিকে ভৃগুপত্নীর মৃত্যু না হলে দেবতারা চলনক্ষম হবেন না |
শ্রী বিষ্ণু এরপর ভয়ঙ্কর পশুর রূপে আক্রমণ করলেন ভৃগুপত্নীকে | আচার্যানী বুঝলেন তাঁর সামনে অবতাররূপী স্বয়ং বিষ্ণু | কিন্তু তিনি অভিশাপ দেওয়ার আগেই বিষ্ণু তাঁর মস্তক ছিন্ন করেন সুদর্শন চক্রে |
নিহত স্ত্রীর নিষ্প্রাণ দেহে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন আচার্য ভৃগু | কমণ্ডলু থেকে মন্ত্রপুত জলের স্পর্শে | 
ক্রোধে অন্ধ হয়ে তিনি শ্রী বিষ্ণুকে অভিশাপ দেন | তিনি যে অবতার রূপে বধ করেছেন এক নারীকে‚ সেই অবতারেই তাঁকে আবির্ভূত হতে হবে | একবার নয় | বারবার অবতীর্ণ হতে হবে ধরাধামে | তার মধ্যে থাকবে মনুষ্য জন্মও | তাঁকেও ভোগ করতে হবে জীবনের দুঃখ কষ্ট | 
ভৃগুর অভিশাপেই বিষ্ণুর দশাবতার | তবে সেখানেও তিনি নারী হন্তারক | রামচন্দ্র অবতারে বধ করেছেন তারকা রাক্ষসীকে | শ্রীকৃষ্ণ অবতারে হত্যা করেছেন পুতনাকে | অর্থাৎ অধর্মকে পরাস্ত করে ধর্ম সংস্থাপনার্থায় নারীও অবধ্য নয় | 
চিরাচরিত ভাবে দেবতাদের আচার্য হয়ে থাকেন বৃহস্পতি | দৈত্যদের গুরু শুক্র | দুই পক্ষের বিরোধ পুরাণের ছত্রে ছত্রে |
মহর্ষি ভৃগু ছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মার মানসপুত্র | ঋক বৈদিক যুগে তিনি মনুর সমসাময়িক | মনুর সন্তান হল মানব | ভৃগুর সন্তানদের বলা হয় ভার্গব |
বৈদিক জনপদ ব্রহ্মবর্তে দোশি পর্বতে বধূসার নদীর পাশে ছিল তাঁর আশ্রম | এখন এই অঞ্চল পরে রাজস্থান হরিয়ানা সীমান্তে | স্কন্ধ পুরাণ অনুযায়ী‚ ভৃগু পরে চলে যান ভৃগুকচ্ছে ( আজকের গুজরাতে‚ নর্মদা নদীর পাশে )‚ জায়গাটির নাম কালক্রমে হয়ে দাঁড়ায় ভারুচ |
ভৃগুর এক পত্নী হলেন দক্ষকন্যা খ্যাতি | তাঁদের দুই পুত্র হলেন ধাতা ও বিধাতা | কন্যার নাম ভার্গবী | যিনি আবার বিষ্ণুপত্নী | আর এক পত্নী কাব্যমাতার পুত্র হলেন শুক্র | যিনি আবার শুক্রাচার্য রূপে অসুরদের গুরু হন | ভৃগুর পত্নী পুলোমা জন্ম দেন ঋষি চ্যবনের | আবার ভৃগুর এক পুত্র হলেন জমদগ্নি | যিনি আবার পরশুরামের পিতা |
প্রসঙ্গত বিষ্ণু ব্যতীত ত্রিদেবের ব্রহ্মা ও মহেশ্বরকেও অভিশাপ দিয়েছিলেন ভৃগু | সে বিষয়ে পূর্বে উল্লেখ করেছি | আর একটি কথা জানিয়ে রাখা বাঞ্ছনীয় | এই পৌরাণিক কাহিনীগুলি সূত্র থেকে সূত্রান্তরে পরিবর্তিত হয় | পাঠকের যদি মনে হয় দেবতার বিপরীতে মনুষ্য-ঔদ্ধত্যের এই আখ্যান ভিত্তিহীন‚ তবে বলে রাখি এর উৎস মৎস্যপুরাণ | ২
ছোটকাল থেকে আমরা যে সপ্তর্ষীমন্ডলের কথা শুনে এসেছি, বা দেখেছি আগ্রহ ভরে আকাশের দিকে চেয়ে- সেই সপ্ত ঋষির একজন ছিলেন ভৃগু। হিন্দু পুরাণের নানা উৎসে সাত ঋষির নাম পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে | সাত ঋষি হলেন ভৃগু‚ অত্রি‚ অঙ্গীরা‚ বশিষ্ঠ‚ পুলস্থ্য‚ পুলহ ও ক্রতু |
পৃথিবীতে যতপ্রকার কঠিন ও দুর্বোধ্য শাস্ত্র রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্র তার মধ্যে অন্যতম একটি শাস্ত্র । সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনের জন্য যত প্রকার শাস্ত্র পৃথিবীতে আছে তার মধ্যে জ্যোতিষ শাস্ত্র অন্যতম। অতীব আকর্ষনীয় ও বিষ্ময়কর শাস্ত্র। দর্শন কলা , বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার গবেষণায় মহামিলন ঘটেছে এই জ্যোতিষ শাস্ত্রে। বাস্তুশাস্ত্র এটিও জ্যোতিষ শাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত । জ্যোতি এর সাথে ঈশ ধাতু যুক্ত হয়ে জ্যোতিষ হয়েছে। জ্যোতি মানে আলো তাহলে জ্যোতিষ মানে হয় জ্ঞানের আলো। যে প্রদীপের আলোক শিখা যত বেশি প্রসারিত থাকে সেই প্রদীপ তাতো দূর আলোকিত করতে পারে অর্থাৎ যত জ্ঞান ততই দূরদর্শিতা। তাই জ্যোতিষ কে বেদ এর চক্ষু ও বলা হয়েছে। 
মনু স্মৃতি মতে,মহর্ষি ভৃগুই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি জ্যোতিষশাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। এবং তাঁর সেই জ্ঞান তিনি লিপিবদ্ধ করেন ‘ভৃগু সংহিতা’য়। প্রথমে তিনি ৫ লাখেরও বেশি ভবিষ্যতবাণী লিপিবদ্ধ করেন বলে জানা যায়। এটা স্মর্তব্য যে মহর্ষি ভৃগু রচনা করেছেন জ্যোতিষ-সহ অন্যান্য শাস্ত্রের প্রামাণ্য আকর গ্রন্থ ভৃগুসংহিতা | 
কয়েক জনমেও জ্যোতিষ শাস্ত্রের সব জ্ঞান জানা সম্ভবপর নহে । জন্ম জন্মান্তরের বিষয় এটি । চর্চাই জ্ঞানের ধারক ও বাহক । সংযম ও মহাসাধনা ছাড়া এক জনমে এই শাস্ত্র আয়ত্ব করা সম্ভব নয়। 
নটে গাছটি মুড়ালো
ভৃগু মুনির সাতকাহন ফুরালো 
 
এই বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও আছে ইউটিউবে। জানতে চাইলে দেখতে পারেন।
https://www.youtube.com/watch?v=L_xbg98LTbg
কৃতজ্ঞতা: 
১  http://onushilon.org/myth/hindu/vrigu.htm
২  Click This Link
সকল তথ্য অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
সকল ছবি সূত্র: গুগল
 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। 
আমারো খুবই প্রিয়।
সেই থেকেই আইিড বিদ্রোহী ভৃগু পছন্দ করেছি।
এরপর বুঝতে বেগ পাবার কিছু নেই যদি জানার আগ্রহ থাকে 
 
কবিতাটা পাঠের পর যখন এ বিষয়ে আগ্রহ জন্মেছিল- কে এই ভগু? কেন তিনি ভগবানের বুকে পদচিহ্ন আঁকলেন-
সেই জিগিষা থেকেই যে টুকু জেনেছি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে  ![]()
শুভেচ্ছা রইল
২| 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:২৮
নজসু বলেছেন: 
সুন্দর পোষ্ট। 
পৌরণিক কাহিনীগুলো কেন জানি খুব ভালো লাগে।
 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া।
ভাললেগেছে জেনে কষ্ট সার্থক মনে হলো 
 
নিজের আইডির প্রতি কৃতজ্ঞতা হেতুই এর সারাৎসার অংশ আপনাদের করকমলে পেশ করলাম 
 
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩| 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:৩৯
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: 
দারুন । শুধু মাত্র ভৃগু নিয়েই এত কিছু । 
আহা মুনি ঋষিরা জীবন ছিল । 
আমি একদিন মহাপুরুষ হবো । সেদিন আমিও সবাইকে দেখে নেবো । 
তবে আমি নজরুল ভক্ত হওয়ার কারনে প্রচন্ড পরিমানে ভালবাসি এই কবিতা । আর একটি কবিতা আছে মানুষ ।
 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: 
 
তবে আর বলিছ কি?
শ্রদ্ধেয় নজরুল গবেষক যদি সেদিন ইশারা না দিতেন হয়তো আর দশটা লাইনের মতো কেবল আবৃত্তিই করে যেতাম জীবন ভর!
অথচ কি সুবিশাল কাহিনী লুকানো সেখানে!
আমরা অপেক্ষায় রইলাম নতুন মহাপুরুষের আগমনের। 
 
আপনার মানুষ কবিতাটা কি ব্লগে দিয়েছেন? দিয়ে না থাকলে দিয়ে দিন। সবাই স্বাদাস্বাদন করি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভায়া 
৪| 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:৫৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: নজরুলের ''বিদ্রোহী '' তো আমাদের সবারই পড়া। আর ভৃগুর ব্যখ্যা আজ পেলাম। নামের সাত কাহন ভাল লেগেছে।
 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৯:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: 
 
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া 
শুভেচ্ছা অফুরান
৫| 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৯:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ বাহ নিজের নিক এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ভালো লাগেছে;
আমরা ও কিছু পৌরাণিক কাহিনী জানতে পারলাম। 
সত্যি বলতে কি, নজরুলের এই কবিতার প্রতিটি শব্দ ই ব্যখ্যার দাবী রাখে। এত বৈচিত্র্য শব্দে।
 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৯:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: 
 
সত্যিই তাই! এত ব্যাপক এই কবিতা ভাবনাতীত।
শুধু  আমি  বিদ্রোহী ভৃগু ভগবান বুকে এঁকে দিই পদচিহ্ণ - খুঁজতে কত গ্রন্থ কাহিনী জনালে পরে সে ভাব অনুভবে আসে ভাবা যায়?
পুরো কবিতানুভবে কি বিশাল জ্ঞান ভান্ড প্রয়োজন তবে!
অথচ তুলনামূলক গবেষনা কাজ নেই বললেই চলে।
জাতীয় কবির সৃষ্টির প্রতি এত অবহেলা -পীড়াদায়ক।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা'পু 
 
৬| 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৯:২৮
হাবিব  বলেছেন: 
এক কথায় অসাধারণ লেখা.......
খুব খুব খুব ভালো লাগলো...
দু:খিত, একটার বেশি লাইক দেয়া যায় না!!!
 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ১০:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ![]()
এত এত ভাললাগায় একটা লাইকই যথেষ্ট ![]()
অফুরান শুভেচ্ছা আর মুভকামনা রইল
৭| 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৯:৩৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: ভৃণ্ডের ব্যাখ্যা জানার আগ্রহ জন্মালো কবিতা থেকে  
 
পড়েই গেলাম ভালোমতে বুঝতে পারিনি  
 
কিছুটা হলেওতো জানলাম  
  
 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ১০:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। নয় কেন? একি চাট্টিখানি কথা!
খোদ ভগবানের বুকে পদচিহ্ণ আঁকা! ঘটনা টা কি ছিল! প্রচন্ড আগ্রহ জন্মেছিল সেই সময়েই!
কিছূটা জেনেছেন জেনে প্রীত হলাম 
 
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভায়া
৮| 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৯:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
আরে...আরে... এতো ভৃগুর সাতকাহন নয় চৌদ্দকাহন হয়ে গেছে!  
  
পৌরানিক ভৃগুর পদাঘাতেই  স্বয়ং বিষ্ণু  যদি সেই ভৃগুরই পদসেবা  করতে পারেন তবে একালের বিদ্রোহী ভৃগুর পদাঘাতেও  নব্য দেবতারা কিছু সেবা-টেবা করেন কিনা, সেটা দেখার অপেক্ষায়!  
 
আর জ্যোতিষশাস্ত্রে পারদর্শী ভৃগু যদি গণনা করে  আমাদের আগামী দিনগুলোর সাতকাহন বলে দিতে পারতেন ....................   
 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ১০:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জিএস ভায়া ![]()
কেমন আছেন? 
সেই একদিনের দেখায় অতৃপ্ততা রয়েই গেল। আর হলোনা দেখা!!!!
ভাল বলেছেন। কিন্তু সমস্যা হলো বিষ্ণু ভৃগুর সেবা করলেও নব্য দেবতারা যে সব ব্রহ্মা আর মহাদেবের ফটোকপি 
 
তাই দূরাশা না রাখাই মঙ্গলময় 
 
আর এখন নাসার উপর ঈমান রাখা মানুষেরা কি আর ভৃগু সংহিতার সত্য বিশ্বাস করবে? 
  বড়ই দুর্লভ!
হা হা হা
অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভেচ্ছা আর শুভকামনা
৯| 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ১০:২১
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: কবিতার পরের অংশ মাথার ওপর দিয়ে গেল ভ্রাতা। 
  তাই পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম বোঝার জন্য।
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ৯:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেকি ভায়া! 
পৌরানিক কাহিনী তো মজা করে বোঝার কথা! সংস্কৃত শো্লকটুকু বাদে 
 
প্রিয়তে রেখেছেন জেনে ভাল লাগল।
বোঝা হলে আবার আপনার বুঝদার মতামতে অপেক্ষায় রইলাম 
 
অনেক অনেক শুভেচ্ছা
১০| 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ১০:২৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মহাবিদ্রোহী রন ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত।
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ৯:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল 
আকাশে বাতাসে ধ্বনিবেনা
অত্যাচারীর খড়গ কৃপান ভীম রণভূমে রণিবেনা
মহাবিদ্রোহী রন ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত। 
 
অনেক অনেক শুভেচ্ছা
১১| 
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ১০:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত উপস্থিতি জানান দিলাম।  পরে সময় নিয়ে আবার আসছি।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় কবি ভাইকে।
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ৯:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আর প্রীতানুভব প্রিয় পদাতিক দা' 
 
সময় নিয়ে এসে সময় করে বলা কথা শোনার অপেক্ষায় রইলাম ![]()
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফূরান
১২| 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ১২:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন: 
মা'রিফাতুল ইসম (নামের রহস্য) একেবারে উদাহরণসহ বুঝাইয়া দিয়াছেন! ধন্যবাদ। 
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ৯:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
যথার্থই বলেছেন ভায়া 
 
নামে নামে না কি কি হয় 
 আমারো তো তেমনি ছায়ার প্রভাবই বেশ লক্ষ্যনীয় মনে হয় ![]()
হা হা হা
অনেক অনেক ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা্ার শুভকামনা জানবেন।
১৩| 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ২:৪৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!
জানেন, আপনার নিকনেমটি অনেকদিন আগে (তখন হয়ত চিনতামও না সেভাবে) সাম্প্রতিক ব্লগার লিস্টে দেখে আমি সার্চ দিয়েছিলাম গুগলে, ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল, তাই মানে বুঝতে চেয়েছিলাম। যে ইতিহাস বললেন তার কিছুটা তখনই জেনেছি। আজ এতকিছু পড়লাম! পোস্টটির অর্ধেক বা কাছাকাছি একবার এসে পড়েছি, পরে সময় করে আবার এসে শেষ করে মন্তব্য লিখতে বসেছি। 
অনেক বেশি গভীর গো সখা, অনেক বেশি গভীর! 
আমার অনেক সময়েই মনে হয়েছে নজরুলকে আমরা সেভাবে ধারণ, লালন, চর্চা করতে পারিনি। উনি অনেক বেশি বড় মাপের কেউ, তার নামের পাশে যতোই উপাধি বসাই না কেন সেই অর্থে সম্মান দিতে পারিনি। রবীঠাকুরকে যেমন আমরা পরাণে বাঁধি, তার লেখা গান, কবিতা নিত্যদিনের সঙ্গী, নজরুলের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। আমি দুজনের তুলনা করছিনা কোনভাবেই, ব্যাস মনে আসা কথাগুলো লিখলাম। 
ভালো থাকুন সখা! যেমন আছেন তেমনই থাকুন। আপনাকে এমনই মানায়!
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ৯:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি! জেনে বেশ লাগলো 
 পূর্ন পাঠে পূর্ন মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
চাইছি তো আরো গভিরে হারিয়ে যেতে, যেখানে কেউ পাবেনা খূুঁজে! গুরু নজরুলের সেই অভিমানী ভাষায় - - 
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, 
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে - 
বুঝবে সেদিন বুঝবে! 
ছবি আমার বুকে বেঁধে 
পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে 
ফিরবে মরু কানন গিরি, 
সাগর আকাশ বাতাস চিরি' 
যেদিন আমায় খুঁজবে - 
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে, 
কাহার যেন চেনা-ছোওয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে, - 
জাগবে হঠাৎ চমকে! 
ভাববে বুঝি আমিই এসে 
ব'সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে, 
ধরতে গিয়ে দেখবে যখন 
শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন! 
বেদনাতে চোখ বুজবে - 
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
গাইতে ব'সে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না, 
ব'লবে সবাই - "সেই যে পথিক, তার শেখানো গান না?" 
আসবে ভেঙে কান্না! 
প'ড়বে মনে আমার সোহাগ, 
কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ! 
প'ড়বে মনে অনেক ফাঁকি 
অশ্রু-হারা কঠিন আঁখি 
ঘন ঘন মুছবে - 
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ'রবে তোমার অঙ্গন, 
তুলতে সে-ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ - 
কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন! 
শিউলি ঢাকা মোর সমাধি 
প'ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি'! 
বুকের মালা ক'রবে জ্বালা 
চোখের জলে সেদিন বালা 
মুখের হাসি ঘুচবে - 
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
তাইতো অভিমানী কবি আমাদের এই অভিশাপ দিয়ে গেছেন!  মনের কতনা কষ্ট বুকে লুকিয়ে, চোখের নিরব জলে।
আমরা তো সেই অভিমানেরও মূল্যও বুঝি দিতে জানিনে!
জনম দিবসে মরণ দিবসে দুটো ফুল দিয়ে, সেলফি সেশনে নিজেকে জাতে তোলার চেষ্টা করি বটে! 
কবির ভাব, দু:খ ব্যাথা, স্বপ্নকে নিজের আপন করে নিতে শিখিনি। তাই বুঝি অভীমানী কবির অভিমান নিরবে অশ্রুপাত করতে করতে আমাদের নিত্য শাপান্ত করে যায়!
আমরা যে আহ্লাদে কবির অভিমানকে বুকে জড়িয়ে খুশির কান্নায় বদলে দিতে পারিনি! 
নজরুলকে আমরা সেভাবে ধারণ, লালন, চর্চা করতে পারিনি। উনি অনেক বেশি বড় মাপের কেউ, তার নামের পাশে যতোই উপাধি বসাই না কেন সেই অর্থে সম্মান দিতে পারিনি। রবীঠাকুরকে যেমন আমরা পরাণে বাঁধি, তার লেখা গান, কবিতা নিত্যদিনের সঙ্গী, নজরুলের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি।
এক্কেবারে মনের কথাগুলোই বলেছেন সখি! না তুলনার কথা নয় সেটা বুঝি। ভালবেসে হৃদয়ে জায়গাটুকু দেয়াতেই বড্ড বেশি কৃপন জাতি যেন আমরা। তাতে কবির যে খুব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে তাতো নয়। বরং আমরাই বঞ্চিত হচ্ছি।
আন্তরিক কথাগুলো ছুঁয়ে গেল বলে দেখো দিকি কত্ত কথা বলে ফেল্লাম 
 
শুভকামনায় কৃতজ্ঞতা 
 
সখিও ভাল থাকো জনম জনম
লয়ে এমনি শুভকাম-শুভনাম সত্যম শিবম ![]()
১৪| 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  দুপুর ১২:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভৃগুর সাতকাহন জানলাম।
ভগবানের বুকে পদ চিহ্ন আকলে সে আর ভগবান থাকার জন্য।
কবিতাটা কিন্তু জনরুলময় হয়েছে। আবার  ভৃগুময়ও বলা যায়।
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  দুপুর ১:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
হুম এখন তো বাল গোপালের বুকেই তার ঠাই ![]()
আগুন জ্বালা এ বিদ্রোহী কাব্য অনন্ত আগুন জ্বালানোর ক্ষমতায় ভাস্বর!
কিন্তু সব যেন নেতানো ভেজানো খর! ধোঁয়াও ঠিক মতো হচ্ছেনা!!  
শুভেচ্ছা রইল
১৫| 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  দুপুর ১:২৬
অগ্নি সারথি বলেছেন: ভৃগু-র কলিজা অনেক বড় আছিল! তথ্যবহুল পোস্ট। কলিযুগের ভৃগুকে ধন্যবাদ।
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  বিকাল ৫:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
শুধু কলিজা না ভায়া, জ্ঞানেও ছিল সেইরকম!
বিষ্ণু আর মহাদেবের চেত কেমনে ঠান্ডা কইরা দিল ![]()
উরব্বিাস! ভুই পাইছি ভায়া 
 
আপনার বচন সত্য হোক! তথাস্তু ভ্রাত  
 
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা
১৬| 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  দুপুর ২:১২
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার হয়েছে ভৃগুর সাতকাহন।
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  বিকাল ৫:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া 
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা সতত:
১৭| 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৪০
আরোগ্য বলেছেন: স্যার, পোস্টটি প্রিয়তে রাখলাম। আমার এমন লেখা পড়তে খুব ভাল লাগে। আশাকরি আজ রাতেই পড়ে মন্তব্য করতে পারবো।
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৬:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য 
 
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম
শুভেচ্ছা অন্তহীন
 প্রথাগত ভাবে আমরা শিক্ষককেই স্যার সম্বোধনে অভ্যস্ত!
যদি সরাসরি কোন ভাবে ছাত্রত্ব না থেকে থাকে, ভাই বললেই খুশি হবো।
স্যারে কেমন জানি পর পর দূরের মনে হয় ![]()
১৮| 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:০১
ফয়সাল রকি বলেছেন: 
  ![]()
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ![]()
১৯| 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পৌরাণিক কাহিনীগুলি আমার কাছে বড়ই গোলমেলে ঠেকে ।
 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেকি ভায়া! 
গোলেমালে গোলেমালে যেথা পুরা জীবন
পৌরানিকে আর কেন তবে ঠেকে থাকা এমন! 
 
হা হা হা
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভায়া
২০| 
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ১০:১২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আহারে! কেন যে আপনাদের এত সুন্দর লেখতে পারিনা । 
 সুন্দর হয়েছে । ![]()
 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ৮:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
কি যে বলেন! এতো সনাতন মিথকে শুধু সাজিয়ে গুছিয়ে পাতে তুলে দেয়া!
নিজের নিকের একটা বিস্তারিত ব্যাখা জানানোর ইচ্ছাও ছিল দীর্ঘ দিনের।
 
ভাল লাগায় অনুপ্রাণ পেলাম![]()
শুভেচ্ছা ভায়া
২১| 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ১:৩৫
আরোগ্য বলেছেন: ভৃগুদা স্যার ডেকেছিলাম শ্রদ্ধা করে যেহেতু আপনি অনেক সিনিয়র। ভৃগু ভাই উচ্চারণ কঠিন মনে হয়। আশা করছি ভৃগুদা ডাকলে কিছু মনে করবেন না। 
শুরুতেই ভেবেছি মন্তব্যে ভৃগু মানে জানতে চাইবো কিন্তু পোস্টেই উত্তর পেয়ে গেছি। সহজ কথায় ঋষি বা সত্তা।
প্রিয় কবি নজরুলের কবিতাটা পড়ে বেশ ভাল লাগলো। অতপর বিদ্রোহী ভৃগুর পদ চিহ্ন পর্যন্ত ঠিকই বুঝেছি কিন্তু পরেই গোলমাল বাধলো। নামগুলো এতো কঠিন  এক্কেবারে দাঁতভাঙা। খুব পেচিয়ে যাচ্ছিলাম , কেমন যেন গুলিয়ে ফেলেছিলাম। মনে হয় সনাতন মীথ একটু কঠিনই। আমার কাছে গ্রীক মিথোলজিও মোটামুটি সহজ লেগেছে। দেখি সময় করে আবার এই পোস্টটা পড়ার চেষ্টা করবো। ভৃগুদা মনে হয় ইংলিশে লিখলে আরও সহজ হতো। বাংলা শব্দগুলো বেশ কঠিন  ![]()
 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ৮:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। অনেক অনেক ধন্যবাদ
ভৃগু দা'য় কি দারুন আন্তরিকতা ভাবুন 
 
কত স্বল্প এ জীবনে এই আন্তরিকতা ভালবাসা যে কি অমূল্য, মানুষ যদি বুঝতো !!!
জন্মচক্রে কত ক্ষনিক সময়ের অবস্থান এ ভুবনে, মিছে জাত পাত উচু নীচু, বড় ছোট ভাবনায়ই বয়ে যায়!
নিরেট ভালবাসার অনাবিল সূখটুকু াধরাই রয়ে যায় অগোচরে!
হুম। নীচে সোহানীপুও একই কথা বললেন 
 
আসলে আগের দিনের নাম চরিত্র গুলোই ছিল সম সমায়িক মাত্রার। পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো আরো এতো বেশী সহজতায় অভ্যস্ত হবে আমাদের জনমার নাম কাহিনী তাদের কাছে খটোমটো লাগবে 
 হা হা হা
অনেক অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য ভায়া ![]()
২২| 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৩:১১
সোহানী বলেছেন: ওওওও আচ্ছা আচ্ছা এবার বুঝলাম ভৃগু নামের কাহিনী বিগু....।  তুমিতো আসলেই সর্বোশ্রেষ্ঠ নাম ধারন করেছো!!!
যাহোক কাহিনীর কিছু মাথার উপর দিয়ে গেছে কিছু কানের পাস দিয়ে শুধু একটাই কানের ভিতর দিয়ে গেছে সেটা হলো দেবতারা অভিশাপ দেবার ব্যাপারে দারুন অস্তাদ ছিল  
 । কারন অকারনে যুক্তি তর্কের ধার না ধেরে সমানে অভিশাপের বণ্যা ছুটাতো। যেমন ভৃগু এর বউ অন্যায় করলো (অবশ্যই অন্যায় কারন এভাবে দেবতাদের হারালো), তারপরও ভৃগু মহাশয় ত্রানকর্তাকে বিনা কারনে অভিশাপের বাণে জর্জরিত করলো। বেচারার তো হিরো নাম্বার ওয়ান হবার কথা ছিল  
 । তা না করে মানুষ বানায়ে তারে স্বর্গের মহাসুখ থেকে বঞ্চিত করলো...... এর কোন মানে হয়  
 
যাহোক, তোমার এমন ধরনের লিখা মনে হয় এই প্রথম পড়লাম, দারুন লাগলো কিন্তু যদিও সেই একই কথা কিছু গেছে মাথার উপ্র ..........
 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ৮:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমমম . . 
এই চরিত্রটা গুরু নজরুলের কবিতা বোঝার পর থেকে খুব প্রিয় চরিত্র ছিল।
তখন পুরোটা জানতাম না -শুধু মনে হতো ভগবানের বুকে পা দিয়েছে! কি দুরন্ত সাহসী আর প্রতিবাদী! বাপ্রে!
আমজনতার সহজাত প্রতিবাদী অসহায় স্বত্ত্বা তাকেই স্বপ্নাসনে বসিয়ে রাখলো!
জীবনের সমাজের চলমান অসংগতির পীড়া, কিছু করতে না পারার অসহায় যাতনা মুছে দিতে যেন নামটিই 
শেষ খড়কুটো! এমনি ভালবাসায় ধারন !
হা হাহা 
তা যা বলেছো ভায়া! অভীশাপের বন্যা ছুটাত! আর নিজেদের খেয়াল খূশি পুরনের জন্যেও সমস্ত শক্তি ব্যবহার করতো!
মাথার উপ্রে দিয়ে যাবার দায় মনে হয় আমারই! আরেকটু ছাটকাট করলেই ভাল হতো মনে হচ্ছে!
যাক ! নেক্সট টাইম 
 
অনেক অণেক ধন্যবাদ।
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা
২৩| 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  দুপুর ১:২২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: দারুন বিশ্লেষণ। অনেক কিছু জানা হলো।  ভালো লাগলো শ্রদ্ধেয়  
।  
ভগবানের বুকে পদচিহ্ন আঁকলেন ভৃগু।  বিদ্রোহী কবি ভগবান বলছে নিশ্চয় শাসকদের বুঝিয়েছেন।
 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  বিকাল ৪:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া 
 
রুপকে অনুভব করলে তাও বোঝায় বৈকি! তবে মিথে কাহিনী সত্য বলেই বর্ণিত। 
কবি সেই রুপকাশ্রয়ে দখলদার ব্রিটিশ শাসকদের মিন করতেই পারেন। 
কি অদ্ভুত আত্মজাগরনি দ্রোহের এক অমর কাব্য! 
যতবার পাঠ করি ততবারই নতুন লাগে! রক্তের কণায় কণায় ঢেউ ওঠে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৪| 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:০৮
জুন বলেছেন: ঘন্টাখানেক লাগিয়ে পড়লাম ভৃগুর কিচ্ছা , এত জটিল কেন তাদের জীবনী  
  
ব্লগার দীপান্বীতার মহাভারতের কথা মনে পরলো ।
লেখায় প্লাস না দিলে আবার আমার উপর অভিশাপ বর্ষিত হয় কিনা সেই ভয়ে একটা 
+ দিলাম।
 
 
 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
সেই রামও নেই সেই রাবনও নেই - - - 
অভিশাপের ভয়ও নেই জুনাপি 
 
আহারে এত্ত কষ্ট করেছেন দেখে আপনাকেও একটা প্লাস ফিরিয়ে দিলাম ![]()
 
শুভেচ্ছা শুভকামনা অফুরান
২৫| 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৩৮
ল বলেছেন: নামের রহস্য উদঘাটন সাথে অনেক কিছু জানা হলো।
দারুণ।
 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া 
 
 
দারুন লেগেছে জেনে কষ্ট সার্থক  হলো।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান
২৬| 
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯  দুপুর ১২:০৫
আখেনাটেন বলেছেন: পেন্নাম হে মহাত্মন! ভৃগু মুনি!!! এছাড়া যে উপায়ও নেই, নইলে যদি অভিশাপে ভস্মীভূত হয়ে যাই।  
  
অসাধারণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। চোখ স্থির করে গোটা লেখাটা পড়লাম। এই পৌরাণিক কাহিনিগুলো আমাকে বেশ টানে। 
নজরুলের সেই 'ভগবানের বুকে পদচিহ্ন আঁকা' নিয়ে কাঠমোল্লারা তাঁর জীবন ঝালাপালা করে দিয়েছিল। কেউ কাফের, কেউ মুরতাদ ঘোষণা করে যতদূর জানি। 
আসল ইতিহাস জেনে ভালো লাগল। প্রিয়তেও রাখলাম।
 
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯  দুপুর ১:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
না ভায়া শাপান্তের ভয়হীন পাঠ করুন। 
সময় বদলেছে না! 
  
পৌরানিক কাহিনীর একটা আলাদা স্বাদ  আছে্ ।অনুভবে এলে দারুন টানে্বটে।
হুম। কারো আছৈ নাস্তিক, কারো আছে কাঠমোল্লা কারো কাছে বখে যাওয়া! আবার কালের বিচার দেখুন সেই কাঠমোল্লারাই এখন সুর করে পড়ে তাঁর নাতে রাসূল সা:
বিদ্রগহী ভৃগু আইডিটা সেই কবিতার স্পিরিট থেকেই নেয়া। তাই মনে হল মূল কাহিনীটা শেয়ার করি।
ভাল লাগা প্লাস প্রিয়তে নেয়াতে ভীষন ভাবে পরিশ্রত স্বার্থক মনে হলো। কৃতজ্ঞতা ভায়া।
শুভেচ্ছা অন্তহীন।
২৭| 
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯  দুপুর ১:৩১
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আচ্ছা! তাহলে এই হল ভৃগুর ঠিকুজি-কুষ্ঠি!! তা দাদা দেশকে নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী কি করা যায় না? হা হা হা।
 
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্বি জনাব! ইজাই ঠিকুজি-কুষ্ঠি 
 
যেই দেশে দুধের দাম ঘিয়ের দাম সমান! সেখানে ভবিষ্যতবাণী করতে বলেন!!!!!!! 
যেই দেশে জনসাধারনের ভোট আর দলীয় কর্মীর ভোট একই মূল্যমান! সেখানে !!!
মগের মুল্লুকের রাজা বৈকুন্ঠ স্বগ্গের লোভে ফাসির দড়ি নিজের গলায় নিলেও হেথা তা হবার নয়! ভায়া
তাই ভবিষ্যতের বানীতে নয়, বর্তমানের কর্মে হোক ভবিষ্যতের সোপান 
 
অনেক অনেক শুভেচ্ছা 
২৮| 
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯  সন্ধ্যা  ৭:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: পুরো পড়ে তারপরে মন্তব্য করবো।
 
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম প্রামানিক দা 
 
২৯| 
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:২৫
অন্তরন্তর বলেছেন: লাইক এবং প্রিয়তে নিতেই হল এত সুন্দর পোস্টটি কারন পৌরাণিক কাহিনি পড়তে ভাল লাগে তাই। ভৃগুর ভগবানের বুকে পদচিহ্ন এঁকে দেবার কারন খুঁজতে আপনার এই পোস্ট আমার জানার পরিধি বাড়িয়ে দিল। ভৃগু কে এবং কেন পদচিহ্ন একে দিয়েছিল তার বর্ণনা খুব ভাল হয়েছে। শুভ কামনা।
 
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা! এমন মন্তব্য পেলে খালি লিখতেই ইচ্ছে করে। 
 
লাইক এবং প্রিয়তে নিয়ে কৃতজ্ঞতার বাঁধনে বেঁধে নিলেন।
হুম,  নিজের নিকের ভাললাগার কারণ, রহস্যটা সবার সাথে শেয়ার করার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে পূরণ করতেই লেখা
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা
৩০| 
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৯:১৬
প্রামানিক বলেছেন: ভৃগুর সাত কাহন খুঁটে খুঁটে পড়লাম। মনুসংহিতা আমার কাছেও আছে এখন কর্ম ব্যাস্ত হওয়ায় পড়ার সময় পাই না। তবে ভৃগুকে আমি দেবতা হিসাবেই জানতাম কিন্তু ভৃগুর যে এত ক্ষমতা এটা জানতাম না। আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন, নজরুল কেন ভগবানের বুকে পদচিহ্ণ এঁকে দিলেন এটার বিস্তারিত জানা ছিল না, আপনার পোষ্টটি পড়ে জানতে পারলাম। বোঝা গেল হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কবি নজরুলের যথেষ্ঠ জ্ঞান ছিল যার ছিটে ফোটাও আমাদের নেই। পোষ্টটি পড়ে বিদ্রোহী কবিতা সম্পর্কে অনেক কিছু ক্লিয়ার হলো। ধন্যবাদ এমন একটি মূল্যবান পোষ্ট দেয়ার জন্য। এই রকম পোষ্ট আরো চাই।
 
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ১১:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পাঠান্তে দারুন পুন: মন্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভায়া 
 
আপনার ভাললাগায় পরিশ্রম স্বার্থক বটে। অনুপ্রেরণায় সাহসী হলাম।
নজরুলের শ্যামাসংগীত, শাক্তগীতি, আগমনী গান, কীর্তন, বাউল, ভজনসহ বিভিন্ন ভক্তিমূলক গান অসাধারন!
এবং সকল বিষয়োপরী মুক্ত মনে উচ্চস্তরের জ্ঞান অর্জনেই যা সম্ভব হয়েছে।
আমরা নজরুলকে খুবই কম অনুভব করেছি, করতে পারছি। অথচ আরো বেশী বেশি চর্চা আমাদেরই আরো জ্ঞানী, আরো মুক্ত মনা এবং আরো সমৃদ্ধ করতো।
ধন্যবাদ অন্তহীন
৩১| 
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ১১:২৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ভিগুদা, খবর ভালো?  
আপনার মন্তব্যগুলো পড়লে হিংসে হয়, শব্দনীড়ের মুরুব্বীর কথা মনে পড়ে। আপনারা পারেনও মাইরি। বুড়ো বয়সেও...![]()
 
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯  সকাল ১১:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
জান্নাতী হয়ে যান ভায়া 
 
মানে বুঝলেন না? !!!
! 
!
!
জান্নাতে সবাই চির যুবক-যুবতি 
  
 
 
 
 
৩২| 
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯  সকাল ১০:২৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মন + অ = মনু, ভৃগু + অ = ভার্গব। 
আপনার বিশ্লেষণ চমৎকার লেগেছে 
 
কোনো একটা বইয়ে এ বিষয়ে পড়েছিলাম।  হাজারো বইয়ের ভীড়ে নামটা মনে নাই। 
তবে আপনার নামকরণের হেতু বুঝলাম  ![]()
 
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯  রাত ৯:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: 
 
আকলআন্দকে লিয়ে ইশারাইয় কাফি 
=
বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট!
নিকটার আকিকা দিলাম বলতে পারেন। 
একটা সময গেছে অনেকে সনাতন ধর্মীও ভাবতো!
অবশ্য শ্রী কৃষ্ণ দর্শনের পর যে কেউ মনে হয় বলতেই পারে সে সেরা সনাতনী বটে 
 
হা হা হা
এত্ত পুরানা পোষ্টে হাজিরায় কৃতজ্ঞতা ![]()
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন।
৩৩| 
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সব্বে সত্তা সুখিতা হোন্তু, অবেরা হোন্তু, অব্যাপজ্ঝা হোন্তু, সুখী অত্তানং পরিহরন্তু 
পাশে ছিলাম- পাশে আছি- পাশে থাকবো
 
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৮:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: 
 
শুভেচ্ছা অন্তহীন
৩৪| 
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:০৫
শের শায়রী বলেছেন: লেখা কিন্তু অনেক আগে প্রিয় তে নিয়েছি, কয়েক বার পড়ছিও ম্যাভাই।
 
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরেহ ম্যাভাই, এত পুরানা লেখায় এতদিন পরে হাজিরা 
 
প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে আপ্লুত ![]()
অনেক অনেক ধন্যবাদ ম্যাভাই ![]()
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯  রাত ৮:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: কাজী নজরুল ইসলামের কবিতাটি আমার অসম্ভব প্রিয়।
কিন্তু এর পর যা লিখেছেন তা বুঝতে আমার বেশ বেগ পেতে হয়েছে।