নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসুল আল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মি’রাজ বা উর্ধ্ব গমন : স্বচক্ষে খোদার দীদার লাভ ও সূরতে হাক্কী-র আত্মপ্রকাশ

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১২

আজ পবিত্র শবে মেরাজ। এই মহমিান্বিত রজনীতে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধুকে দর্শন দিয়েছিলেন। দর্শন করিয়েছিলেন সৃষ্টির গুপ্ত রহস্য সমূহ। এই পবিত্র রজনীতে অনেকেই যারা বিস্তারিত অবহিত নন, তাদের জন্য সংকলিত পোষ্ট শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই জ্ঞান সমুদ্রে অবগাহনের সুয়োগ দিন।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মোজেযা সমূহের মধ্যে মেরাজ গমন একটি বিস্ময়কর মোজেযা। এজন্যই মেরাজের ঘটনা বর্ণনা করার আয়াতের শুরুতেই আল্লাহ পাক “সুবহানআল্লাহ” শব্দটি ব্যবহার করেছেন যা আশ্চর্যজনক ঘটনার সময়ই ব্যবহার করা হয়।
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল। [সুরা বনী ইসরাইল : ০১]

স্বশরীরে মেরাজের গমনের প্রমাণ স্বরূপ কোরআনের ‘বিআবদিহী’ শব্দটি তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা ‘আবদুন’ শব্দটি দ্বারা বুঝান হয় রূহ ও দেহের সমষ্টিকে। তদুপরি বোরাক প্রেরন ও বোরাক কর্তৃক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার মধ্যেও স্বশরীরে মেরাজ গমনের প্রমাণ পাওয়া যায়। স্বপ্নে বা রূহানীভাবে মেরাজের দাবী করা হলে কুরাইশদের মধ্যে এত হৈ চৈ হত না। মেরাজের ঘটনাটি নবীজীর জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, এর সাথে গতির সম্পর্ক এবং সময় ও স্থানের সংকোচনের প্রশ্নটি জড়িত।

আলোর গতি সেকেন্ডে একলক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল। পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছাতে লাগে আট মিনিট। এ হিসেবে পৃথিবী হতে সূর্যের দূরত্ব নয় কোটি তিরিশ লক্ষ মাইল। অথচ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুহূর্তের মধ্যে চন্দ্র, সূর্য, সিদরাতুল মুনতাহা, আরশ-কুরসি ভ্রমণ করে লা-মাকানে খোদার দীদার লাভ করে নব্বই হাজার কালাম করে পুনরায় মক্কা শরিফে ফিরে এলেন। এসে দেখলেন বিছানা তখনও গরম রয়েছে। এর চেয়ে আশ্চর্যের আর কী হতে পারে?

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর গতি কত ছিল তা এ থেকে অনুমান করা যেতে পারে। কেননা তিনি ছিলেন নূর। নূর অর্থ
শুধু আলো নয়। আলো এবং শক্তি। মিরাজের মধ্যে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল -অন্যান্য নবীগণের মোজেজা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যে একত্রিত হয়েছিল। হযরত মুসা আলাইহিস সালাম তুর পর্বতে খোদার সাথে কালাম করেছেন। হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম স্বশরীরে আকাশে অবস্থান করছেন। হযরত ইদ্রিস আলাইহিস সালাম স্বশরীরে বেহেস্তে অবস্থান করছেন। তাঁদের চেয়েও উন্নত মাকামে ও উচ্চ মর্যাদায় আল্লাহ পাক নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সবার উপরে তাঁকে মর্যাদা প্রদান করেছেন। মুসা আলাইহিস সালাম নিজে গিয়েছিলেন তুর পর্বতে। আর আমাদের প্রয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তাআলা দাওয়াত করে বোরাকে চড়িয়ে ফেরেস্তাদের মিছিল সহকারে বাইতুল মোকাদ্দাসে নিয়েছিলেন। সেখানে সমস্ত নবীকে স্বশরীরে উপস্থিত করে হুজুর করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মোক্তাদি বানিয়েছিলেন। সমস্ত নবীগণ অষ্ট অঙ্গ দিয়ে স্বশরীরে নামাজ আদায় করেছিলেন।

মেরাজের রাত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রথম সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছিল জিবরাঈল, মিকাইল ও ইস্রাফিল ফেরেশতাত্রয়ের অধীনে সত্তর হাজার ফেরেশতা দিয়ে।
দ্বিতীয় সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছিল নবী আলাইহিস সালামগণের মাধ্যমে।
তৃতীয় সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছিল আকাশের ফেরেশতা ও হুর দিয়ে।
চতুর্থ ও শেষ সম্বর্ধনা দিয়েছিলেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা।
সিদরাতুল মুনতাহা অতিক্রম করার পর স্বয়ং আল্লাহ একশতবার সম্বর্ধনামূলক বাক্য ‘হে প্রিয় বন্ধু মুহাম্মদ আপনি আমার অতি নিকটে আসুন’ - বলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মানীত করেছিলেন।

কোরআন মজীদে ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى (অতঃপর নিকটবর্তী হল ও ঝুলে গেল।) “সুম্মা দানা ফাতাদাল্লা আয়াতটি এই দিকেই ইঙ্গিতবহ বলে তফসিরে মুগনী ও মিরসাদুল ইবাদ গ্রন্থদ্বয়ের বরাত দিয়ে রিয়াজুন্নাসেহীন কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত কিতাবখানা সাত শত বৎসর পূর্বে ফারসি ভাষায় লিখিত। মেরাজের ঘটনা ঘটেছিল নবুয়্যাতের ১১ বছর ৫ মাস ১৫ দিনের মাথায়। অর্থাৎ নবুয়্যাতের দায়িত্ব অয়ালনের মাঝামাঝি সময়ে। সে সময় হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বয়স হয়েছিল ৫১ বছর ৫ মাস ১৫ দিন।
তিনটি পর্যায়ে মেরাজকে ভাগ করা হয়েছে।
মক্কা শরিফ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত অংশকে বলা হয় ইসরা বা রাত্রি ভ্রমণ।
বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে সিদরাতুল মুনিতাহা পর্যন্ত অংশকে বলা হয় ই’রাজ। কিন্তু সাধারণভাবে পূর্ণ ভ্রমণকেই মেরাজ নামে অভিহিত করা হয়।

মেরাজের প্রথম পর্যায়
রজব মাসের ২৭শে রাত্রের শেষাংশে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিবি উম্মেহানী রাদ্বিআল্লাহু আনহা এর ঘরে অবস্থান করছিলেন। উক্ত ঘরটি ছিল হেরেম শরিফের ভেতর। হযরত জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরের ছাদ দিয়ে প্রবেশ করে নূরের পাখা দিয়ে, অন্য রেওয়ায়েত (বর্ণনা) মোতাবেক গাল দিয়ে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কদম মুবারকের তালুতে স্পর্শ করতেই নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তন্দ্রা ছুটে যায়। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আল্লাহর পক্ষ হতে দাওয়াত জানালেন এবং নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জমজমের কাছে নিয়ে গেকেন। সিনা মুবারক বিদীর্ণ করে জমজমের পানি দ্বারা ধৌত করে নূর এবং হেকমত দ্বারা পরিপূর্ণ করলেন। এ যেন মহাশূণ্যে ভ্রমণের প্রস্তুতি পর্ব শেষ করলেন। নিকটেই বোরাক দন্ডায়মান ছিল।
মূলতঃ বোরাক ছিল বেহেস্তি বাহন - যার গতি ছিল দৃষ্টি সীমান্তে মাত্র এক কদম। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বোরাকে সওয়ার হওয়ার চেষ্টা করতেই বোরাক নড়া চড়া শুরু করল। জীব্রাইল আলাইহিস সালাম নবললেন - তোমার পিঠে সৃষ্টির সেরা মহামানব সওয়ার হচ্ছেন। সুতরাং তুমি স্থির হয়ে যাও। বোরাক বলল, কাল হাশরের দিনে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার জন্য খোদার দরবারে শাফায়াত করবেন বলে ওয়াদা করলেই আমি শান্ত হব। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়াদা করলেন। তিনি বোরাকে সওয়ার হলেন। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম সামনে, মিকাইল আলাইহিস সালাম পেছনে এবং ইস্রাফিল আলাইহিস সালাম গদি ধরে অগ্রসর হলেন। পেছনে সত্তর হাজার ফেরেস্তার মিছিল। এ যেন দুলহার সাথে বরযাত্রী। প্রকৃতপক্ষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন আরশের দুলহা (তফসিরে রুহুল বয়ান)।

মক্কা শরিফ থেকে রওনা দিয়ে পথিমধ্যে মদীনার রওজা মোবারকের স্থানে বোরাক থামল। জিবরাইলের ইশারায় সেখানে তিনি দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন। এমনিভাবে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মস্থান বাইতুল লাহাম (বেথলেহেম বলে পরিচিত) এবং মাদইয়ান নামক স্থানে হযরত শুআইব আলাইহিস সালাম এর গৃহের কাছে বোরাক থেকে নেমে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’রাকাত করে নামাজ আদায় করলেন। বরকতময় স্থানে নামাজ আদায় করা সুন্নাত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, আমি বোরাক থেকে দেখতে পেলাম হযরত মুসা আলাইহিস সালাম তাঁর মাজার শরিফে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন।

অতঃপর জিবারইল আলাইহিস সালাম বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদের সামনে বোরাক থামালেন। সমস্ত নবীগণ পূর্ব হতেই সেখানে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। জিবরাইল আলাইহিস সালাম দড়ি দিয়ে সেখানে বোরাককে ছাখরা নামক পবিত্র স্থানে পাথরের সাথে বাঁধলেন এবং আজান দিলেন। সমস্ত নবীগণ সমস্ত নবীগণ নামাজের জন্য দাঁড়ালেন। জিবরাইল আলাইহিস সালাম নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পেশ মোসাল্লাতে ইমামতী করার জন্য অনুরোধ করলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল আম্বিয়ায়ে কেরাম এবং সত্তর হাজার ফেরেশতাকে নিয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন। তখনও নামাজ ফরজ হয়নি। প্রমাণিত হল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন ইমামুল মুরসালীন এবং নবীউল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম। নামাজ শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় নবীগণ নিজেদের পরিচয় দিয়ে বক্তব্য পেশ করলেন। সবশেষে সভাপতি হিসেবে (মীর মজলিস) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভাষণ দান করলেন। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সভাপতির ভাষণে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে বললেন, আল্লাহ তাআলা আমাকে আদম সন্তানগণের মধ্যে সর্দার, আখেরী নবী এবং রহমাতাল্লিল আলামিন (মহাবিশ্বের জন্য রহমত) হিসেবে পাঠিয়েছেন।
এখানে একটি আক্বিদার প্রশ্ন জড়িত আছে। আম্বিয়া কেরামগণের মধ্যে কয়েকজন ব্যতীত ইতিপূর্বে সকলেই ইন্তেকাল করেছেন। এবং তাঁদের রওজা মুবারকও বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত। যে চারজন নবী ইন্তেকাল করেননি তাঁরা হচ্ছেন -
হযরত ইদ্রিস আলাইহিস সালাম - বেহেশতে,
হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম - আকাশে,
হযরত খিজির আলাইহিস সালাম জলভাগের দায়িত্বে এবং
হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালাম স্থলভাগের দায়িত্বে।
জীবিত ও ইন্তিকালপ্রাপ্ত সকল আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালামগণকে মেছালী শরীরে বায়তুল মোকাদ্দাসে উপস্থিত করেছিলেন।” নবীগণ মেছালী শরীর ধারন করে মুহূর্তের মধ্যে আসমান জমিন ভ্রমণ করতে পারেন এবং জীবিত লোকদের মতই সব কিছু শুনতে ও দেখতে পারেন (মেরকাত ও তাইসির)।…

মেরাজের দ্বিতীয় পর্যায়
মেরাজের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয় বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে শেষ হয় সিদিরাতুল মুনতাহাতে গিয়ে। প্রথম আকাশে গিয়ে জিবরাইল আলাইহিস সালাম ডাক দিলেন প্রথম আকাশের ভারপ্রাপ্ত ফেরেস্তাকে এবং দরজা খুলে দিতে বললেন। উক্ত ফেরেস্তা পরিচয় নিয়ে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম শুনেই দরজা খুলে দিলেন।
প্রথমেই সাক্ষাৎ হল হযরত আদম আলাইহিস সালাম এর সাথে। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে সালাম দিলেন। কেননা ভ্রমণকারীকেই প্রথমে সালাম দিতে হয়। হযরত আদম আলাইহিস সালাম নবীগণের আদি পিতা। তাই তাঁকে দিয়েই অভ্যর্থনা জানানো হল। হযরত আদম আলাইইস সালাম এর নেতৃত্বে অন্যান্য আম্বিয়ায়ে কেরাম এবং প্রথম আকাশের ফেরেস্তারা উক্ত অভ্যর্থনায় যোগদান করেন। এমনিভাবে দ্বিতীয় আকাশে হযরত ঈসা ও হযরত ইয়াহিয়া আলাইহিস সালাম এবং অন্যান্য নবী ও ফেরেস্তারা উক্ত অভ্যর্থনায় যোগ দিলেন। এমনিভাবে দ্বিতীয় আকাশে হযরত ঈসা ও হযরত ইয়াহিয়া আলাইহিমুস সালাম এবং অন্যান্য নবীগণ ও ফেরেস্তারা অভ্যর্থনা জানালেন। হযরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামও উক্ত অভ্যর্থনায় শরীক ছিলেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন - যখন আপনাকে করাত দিয়ে দ্বিখন্ডিত করা হচ্ছিল, তখন আপনার কী অনুভব হয়েছিল?
উত্তরে জাকারিয়া আলাইহিস সালাম বললেন - তখন আল্লাহ তাআলা আমার সাথে সাক্ষাৎ দিয়ে বললেন - আমি তোমার সাথে আছি। এতদ্বর্শনে আমি মউতের কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম।
প্রকৃতপক্ষে আশেকগণের মউউতের সময় মাশুকের দিদার নসিব হয় এবং মউতের কষ্ট অনুভূত হয় না। [বেদায়া ওয়ান নেহায়া : জাকারিয়া অধ্যায়]
তৃতীয় আকাশে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম এর নেতৃত্বে অন্যান্য নবী ও ফেরেস্তাগণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অভ্যর্থনা জানান এবং সালাম ও কালাম বিনিময় করেন।
চতুর্থ আকাশে হযরত ইদ্রিস আলাহিস সালাম, পঞ্চম আকাশে হযরত হারুন আলাইহিস সালাম ফেরেশতাগণসহ অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করেন। ষষ্ঠ আকাশে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এর সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি অভ্যর্থনা জানিয়ে বিদায়কালে আফসোস করে বললেন -- “এই যুবক নবী শেষে এসেও আমার পূর্বে বেহেস্তে যাবেন এবং তাঁর উম্মতগণ আমার উম্মতের পূর্বে বেহেস্তে প্রবেশ করবে।” হযরত মুসা আলাইহিস সালাম নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর উম্মতের বিশেষ মর্যাদা দেখে আনন্দাশ্রুর কান্না কেঁদেছিলেন। যেমন মা সন্তানের কোন সুসংবাদ শুনতে পেলে আনন্দে কেঁদে ফেলেন। তাঁর আফসোস ছিল আনন্দসূচক ও স্বীকৃতিমূলক।
হযরত মুসা আলাইহিস সালাম সে সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট একটি হাদিসের ব্যখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। হাদিসটি হল -- “আমার উম্মতের জাহেরী বাতেনী এলেম সম্পন্ন আলেমগণ বনী ইসরাইলের নবীগণের মতো (এলমের ক্ষেত্রে)।”
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রিহানী জগত থেকে ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এর সামনে হাজির করলেন। হযরত মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, “আপনার নাম কী?” উত্তরে ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি নিজের নাম, পিতার নাম, দাদার নাম, পরদাদার নামসহ ছয় পুরুষের নাম বললেন। হযরত মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, আমি শুধু আপনার নাম জিজ্ঞেস করেছি। আপনি এত দীর্ঘ তালিকা হাজির করলেন কেন? ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি আদবের সাথে জবাব দিলেন প্প আড়াই হাজার বৎসর পূর্বে আপনিও তো খোদা তাআলার ছোত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দীর্ঘ বর্ণনা দিয়েছিলেন। ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর এলেম ও প্রজ্ঞা দেখে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম মুগ্ধ হয়ে যান এবং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস খানার তাৎপর্য স্বীকার করে নেন। [রুহুল বয়ান : তৃতীয় পারা, ২৪৮ পৃষ্ঠা] ...
হযরত মুসা আলাহিস সালাম থেকে বিদায় নিয়ে জিবরাইল আলাইহিস সালাম নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম সহ সপ্তম আকাশে গেলেন। সেখানে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ফেরেশতাগণসহ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অভ্যর্থনা জানালেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন -- “আমি হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে একটি কুরসিতে বসে বাইতুল মামুর মসজিদের গায়ে হেলান দিয়ে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়েছি।” [রুহুল বয়ান]
হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম দুনিয়াতে আল্লাহ্‌র ঘর কাবা শরিফ তৈরী করেছিলেন। তার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সপ্তাকাশের বাইতুল মামুর মসজিদের মোতওয়াল্লীর ন্যায় সম্মান প্রদর্শন করেছেন।

আসমানে ভ্রমণের সময়ই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেহেশত ও দোযখ প্রত্যক্ষ করেছেন। বিভিন্ন পাপের কী রকম শাস্তি পরকালে হবে তার কিছু নমুনা তিনি মেছালি সুরতে প্রত্যক্ষ করেছেন।… বেহেস্তে হযরত খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর জন্য সংরক্ষিত প্রাসাদ, হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর প্রাসাদ, হযরত বেলালের পাদুকার আওয়াজ -- এসব দেখেছেন এবং শুনেছেন।
বেহেশতের চারটি নহরের উৎস স্থল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখানো হয়েছে। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এর চারটি শব্দের চারটি হরফ থেকে চারটি নহর প্রবাহিত হয়ে হাউজে কাউসারে পতিত হয়েছে। দুধ, পানি, শরবত ও মধু -- এই চার প্রকারের পানীয় বেহেশতবাসীকে পান করানো হবে। যারা ভক্তি ও ঈমানের সাথে ভাল কাজ বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবে, তাদের জন্য এই নেয়ামত রাখা হয়েছে। তফসীরে রুহুল বয়ানে বিসমিল্লাহর ব্যখ্যায় এর বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। সপ্তম আকাশ ভ্রমণের পর জিবরাঈল আলাইহিস সালাম গাইদ ও খাদেম হিসাবে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সিদিরাতুল মুনতাহা বা সীমান্তের কুল বৃক্ষের নিকট নিয়ে গেলেন। হাদিসে এসেছে -- “এই বৃক্ষের পাতা হাতির কানের মত বড় এবং ফল ওহোদ পাহাড়ের ন্যায় বড়। শহীদগণের রূহ মোবারক সবুজ পাখির সুরতে উক্ত বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করছেন।” নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বচক্ষে তা দর্শন করেছেন। এই বৃক্ষ পৃথিবীর সপ্ত তবক নিচ থেকে চৌদ্দ হাজার বৎসরের রাস্তা দূরে অবস্থিত। এখান থেকে আরশের দূরত্ব ছত্রিশ হাজার বৎসরের রাস্তা। সর্বমোট পঞ্চাশ হাজার বরসরের দূরত্বে আরশে মোয়াল্লা। আরশে মোয়াল্লা থেকে আল্লাহ তাআলার যাবতীয় নির্দেশ ফেরশতাদের নিকট আসে। হযরত জিবরাইল আলাহিস সালাম সিদরাতুল মুনতাহা থেকেই আল্লাহ তাআলার যাবতীয় নির্দেশ গ্রহণ করে থাকেন।

মেরাজের তৃতীয় পর্যায়
সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বিদায় নিলেন এবং বললেন
“ সিদরাতুল মুনতাহা থেকে এক আঙ্গুল অগ্রসর হলে আমার ছয়শত নূরের পাখা খোদার নূরের তাজাল্লীতে জ্বলে পুড়ে যাবে।
সোবহানআল্লাহ!! যেখানে নূরের ফেরেশতা জিবরাইল আলাইহিস সালাম জ্বলে যায় সেখানে আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বশরীরে সামনে অগ্রসরমান। ...বিদায়ের সময় জিবরাইল আলাইহিস সালাম একটি আরজ করেছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে -- আল্লাহ যেন হাশরের দিন পুলসিরাতের ওপর তাকে ছয়শত নূরের পাখা বিছিয়ে দেয়ার অনুমুতি দান করেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মতগণ যেন ঐ পাখার উপর দিয়ে পার হয়ে যেতে পারে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্‌র দরবারে জিবরাইলের এই ফরিয়াদ পেশ করলে আল্লাহ তাআলা এই প্রার্থনা মনজুর করেন সাহাবায়ে কেরাম ও আহলে মুহব্বতের লোকদের জন্য। ” [মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া]

জিবরাইল আলাইহিস সালাম থেক বিদায়ের পর রফ রফ নামে এক বাহন এসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরশে আযিমে পৌঁছিয়ে দেয়। এ পথে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্তরটি নূরের পর্দা ভেদ করেন। এক এক পর্দার ঘনত্ব ছিল পাঁচশত বৎসরের রাস্তা। এ হসাবে ৩৬ হাজার বৎসরের রাস্তা অতিক্রম করে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরশের মাকামে পৌঁছান। এ পথে যখন তিনি একাকীত্ব অনুভব করছিলেন, তখন হযরত আবু বকর সিদ্দিকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু এর আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন এবং শান্ত হয়েছিলেন। আর একটি আওয়াজও তিনি শুনতে পেয়েছিলেন --
“হে প্রিয় মুহাম্মদ (দরুদ), আপনি থামুন, আপনার রব সালাত পাঠ করছেন।”

আল্লাহ্‌র দিদারের সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্‌র দরবারে এই দুটি বিষয়ের রহস্য জানতে চাইলান।
আল্লাহ তাআলা বললেন, আমার সালাত অর্থ আপনার উপর দরুদ পাঠ করা। আর আবু বকর এর সুরতে এক ফেরেশতা সৃষ্টি করে আবু বকরের আওয়াজ নকল করা হয়েছিল যেন আপনি শান্ত হন।
মহিউদ্দিন ইবন আরাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর তফসিরে বলা হয়েছে -- হযরত আবু বকর সিদ্দিকীই রুহানীভাবে তথায় উপস্থিত ছিলেন। এটা ছিলে তার কারামত। কেননা, তিনি ছিলেন রাসুলে পাকের নিত্য সঙ্গী। তিনি দুনিয়া ও মাজারে এবং হাশরের ময়দানে ও জান্নাতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গী থাকবেন।
আরশে পৌঁছার পর লওহে মাহফুজ অবলোকনের সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখতে পেলেন সেখানে একটি বাক্য লেখা ছিল -- “আমার রহমত আমার গজবের উপর প্রাধান্য বিস্তার করে আছে।”
… নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরশকে জিজ্ঞাসা করলেন -- আমি সমগ্র জাহানের জন্য রহমত। তোমার জন্য কিরূপ রহমত?
আরশ তখন আরজ করল -- আল্লাহ যখন আমার মধ্যে কালেমার প্রথম অংশ ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ লিখলেন, তখন আল্লাহ্‌র জালালী শানে আমার মধ্যে কম্পন শুরু হয়েছিল। মনে হয়েছিল আমি টুকরো টূকরো হয়ে যাব। তার পর যখন তার পার্শ্বে আপনার জামালী নামের অংশটুকু -- ‘মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লিখে দিলেন, তখন আমার কম্পন বন্ধ হয়ে গেল (শানে হাবীব)! সুতরাং আপনি আমার জন্যও বিরাট রহমত।


(চলবে)
সংকলিন সূত্র:
গ্রন্থ সূত্র : নূর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
রচনা : অধ্যক্ষ হাফেজ আবদুল জলীল।
ফেসবুক পোস্ট : আনিসুল আরওয়াহ- انیس الارواح-রুহের বন্ধু

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এ মেরাজের সৌভাগ্যে ভাগ্যবান হোন।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক কষ্টের পোস্ট। বিশাল পোস্ট। প্রিয় বিষয়ে প্রিয় পোস্ট।

সময় নিয়ে পড়ার ইচ্ছে। +++

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লাহর রাহে এ তো অতি সামান্যেরো সামান্য!

পাঠোত্তর মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। ভায়া :)

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভৃগু'দা অনেক সুন্দর করে লিখেছেন।
আসুন আমরা ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যে
যথাযথভাবে এই রাত
পালন করি

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
অনেক ভাল লাগছে সিরিজটা । তাই এ পবিত্র রাতে যারা জানেনা তাদের জানানোর দায় থেকেই শেয়ার!

হুম।
গভীর অভিনিবেমে ডুবে আপনা মাঝে
খুঁজে ফেরা মহাসত্য
আনাল হক চিৎকারে
ইউরেকা! বিস্ময়ের বি্স্ময়! :)

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০২

ঢাকার লোক বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=0sphoZwRb3c

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। দেখলাম।
ইসলামে বিরোধ করার উপলক্ষ্যেরও অভাব নাই। মানুষেরও অভাব নাই।

বিদায় হজ্বে রাসুল সাং: বলে গেছেন আরবে অনারবের মাধ্যমে মৌলিক সত্য। স্থান বা অবস্থানের চেয়ে আমলের গুরুত্ব বেশি।
আর সত্যানুভবের মানদন্ড রাসূল সা: নিজে। উনার মিরাজ সম্পন্ন করুন। সকল দ্বিধা মিটে যাবে।
অনেক অনেক শুভকামনা।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৩৩

নতুন বলেছেন: মেছালি সুরতে এর অথ` কি বুঝিনাই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মেছাল মানে উপমা, উদাহরন! বে-মিছাল যার তুলনা নেই! অতুলনীয়!
মেছালী সুরতে মানে উদাহরন হিসেবে! এডিটিংয়ের ভাষায় প্রোমো বলতে পারেন।
মূল বিসয়ের সার সংক্ষেপ প্রিভিউ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া।
শুভকামনা রইল :)

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১৮

সোহানী বলেছেন: বিগু, তুমি যাই লিখো তাতেই সোনা ফলে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ অধমের প্রতি এ গভীর ভালবাসায় আপ্লুত!

মেরাজের সত্যালোকে জাগ্রত হোক হৃদয়!
আপনাতে আপনি ডুবে
জেগে উঠো চিৎকারে
একি সত্য! একি বিস্ময়

জীবনে অনন্ত চক্রে মুক্তির স্বাদ আস্বাদনে
জন্ম-মৃত্যুর চক্র জয়ে চিনে নাও নিজেকে নিজে

শুভকামনা

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: বড় রহস্যময়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

খুলে যাক অনুভবের দরোজা
রহস্য খুলে যাক বিস্ময়ের সত্যনন্দ অনুভবে।

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আল্লাহ্‌র দিদারের সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্‌র দরবারে এই দুটি বিষয়ের রহস্য জানতে চাইলান।

প্রিয় বিদ্রোহী ভৃগু,
লেখার লেখার ওপরের কোট করা অংশটুকু সূরা আল আননামের ১০৩ নাম্বার আয়াতের সাথে মনে হয় সাংঘর্ষিক হয়ে গেলো । সূরা আল আননামের এই আয়াত কিন্তু বলছে, "দৃষ্টিসমূহ তাঁকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ (No vision can grasp Him, but His grasp is over all vision: He is above all comprehension, yet is acquainted with all things.)"। মুসলিম শরীফে হজরত আয়েশার (রাঃ) ন্যারেশনে মনে হয় সহীহ একটা হাদিস আছে এই নিয়ে যে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজ চোখে আল্লাহকে দেখেছেন যে বলে সে বলে সে সত্য বলছে না বা তার ধ্বংস হোক এ'ধরণের। এই মুহূর্তে রেফারেন্সটা দিতে পারছি না।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

বাহ্যানুভেব তাই মনে হয়।
কিন্তু আপনি ভাবুন- মেরাজের সময় রাসূল সা: কি এই আম সুরতে আম মানব রুপে ছিলেন?
এর আগে উনার দু বার সিনাচাক হল। আবার মেরাজ রাজনীতেও সিনাচাক হল। জমজমের পানিতে ধৌত করা হল। নূর দ্বারা পূর্ণ করা হলো। আল্লাহর সাক্ষাত, ভ্রমন এবং দর্শনের যোগ্য করা হলো। তখন তো তিনি্ সেই স্তরেই পৌছে গেলেন যে স্তরে সত্য বিরাজে।
এবং সাধারন মানবিক স্বত্তার যে বাঁধা বা সীমাবদ্ধতা তার বহু উর্ধে উঠে গেলেন।

এই আয়াতে যা বলা হয়েছে তা সাধারন আম মানুষের জন্য। তাদের বাহ্য দৃষ্টি সেই নূর দর্শন শক্তি ধারন করতে পারবে না। যেমন পারেননি মূসা আ: । তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন নূরের তাজাল্লিতে। কিন্তু উম্মতে মোহাম্মদীর অনেক কামেল উম্মতই যদি বণী ইসরাইলের নবীদের সমান বা তাদের চেয় মর্যাদাবান হতে পারেন- তাহলে রাসুল সা: এর হাকীকত আমার আপনার ধারনারও বাইরে।

জা্রত হৃদয়ের অনুভবে রেফারেন্স খুব জরুরী নয়। জেগে উঠূন আপনাতে আপনি পবিত্র স্বত্তার স্বাক্ষ্য লয়ে।
:)


৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় বিদ্রোহী ভৃগু,
হাদিসটা খুঁজে পেলাম ।এই হাদিসের ব্যাপার আমার কোনো মন্তব্য নেই । আমি যেটুকু জানি সেটা বললাম । হাদিসটা হলো :

পরিচ্ছদঃ ১/৭৫. আল্লাহ তা'আলার বাণীর অর্থঃ অবশ্যই তিনি [মুহাম্মাদ (ﷺ)]-তাকে [জিবরীল (আঃ)-কে] আরেকবার নাযিল অবস্থায় দেখেছেন আর নাবী (ﷺ) কি মি'রাজের রজনীতে তার পালনকর্তাকে দেখেছেন?
১১২. ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মনে করবে যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রবকে দেখেছেন, সে ব্যক্তি মহা ভুল করবে। বরং তিনি জিবরীল (‘আঃ)-কে তাঁর আসল আকার ও চেহারায় দেখেছেন। তিনি আকাশের দিকচক্রবাল জুড়ে অবস্থান করছিলেন। সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৫৯; সৃষ্টির সূচনা, অধ্যায় ৭, হাঃ ৩২৩৪; মুসলিম, পর্ব ১: ঈমান, অধ্যায় ৭৭, হাঃ ১৭৭, হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
(এই হাদিসটা আমি নিয়েছি Click This Link থেকে।)
এর ইংরেজি ভার্সনটা এরকম :
Narrated Aisha: Whoever claimed that (the Prophet) Muhammad saw his Lord, is committing a great fault, for he only saw Gabriel in his genuine shape in which he was created covering the whole horizon. (Chapter 60:THE Book of the Beginning of Creation, Hadith No. 3234)
এই হাদিসটা মুত্তাফাকুন আলাই -বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে সহীহ হিসেবেই গ্রেড করা হয়েছে । এটা আল লু'লু' ওয়াল মারজানে ইনক্লুডেড ৮৮২তা হাদিসের মধ্যে ১১২ নাম্বার হাদিস হিসেবে আছে ( বাংলাদেশের তাওহীদ প্রকাশনীর বাংলা অনুবাদ) ।

আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব এই হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে আমাকে বলেছেন রাসূল (সাঃ) একটা পর্দার আড়াল থেকেই কথা বলেছেন । আবারো বলছি আমার নিজের কোনো বক্তব্য নেই এ ব্যাপারে । কিন্তু কুরআনের সূরা আল আনআমের ১০৩ আয়াত আর এই হাদিসটা কিন্তু সামঞ্জস্যপূর্ণ ।ধন্যবাদ নেবেন লেখার জন্য ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগের মন্তব্যের উত্তটা আশা করি বোধগম্যর ভেতরেই আছে।

হুম। জিব্রিল আ: মহানবীর সাথে কি কি রুপে দেখা দিতেন সে প্রসংগে এ হাদীস। জিব্রিল আ:কে বিভিন্ন রুপে দেখা এবং উনার হকীকি রুপে দেখার বিষয়ে! বর্ণনা।
তার সাথে আল্লাহ দর্শন প্রসংগ আসবে কি করে? তাতো ভিন্ন প্রসংগ।
তিনি আকাশের দিকচক্রবাল জুড়ে অবস্থান করছিলেন।- মেরাজ তো দিকপক্রবালে হয়নি! তাহলে এই হাদীস জিব্রিল আ: সম্পর্কতিই । মেরাজ সম্পর্কিত নয়। মেরাজ সম্পন্ন হয়েছে সৃষ্টি জগতের সীমার বহু বহু উর্ধে।


১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

হাবিব বলেছেন: মেরাজ বিষয়ে অনেক কিছুই জানা হলো। নাইমুল ইসলাম ভাই যে হাদিস উল্লেখ করেছেন তা আমারও জানা।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ হাবীব স্যার ভায়া :)
হুম।
প্রতিমন্তব্যটুকুো তবে আপনার জন্যেও :)

অনেক অনেক শুভকামনা রইল্

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৪

নাসির ইয়ামান বলেছেন: এতো দীর্ঘ আলোচনার জন্যে ধন্যবাদ!

তবে কয়েকটা প্রশ্ন:
প্রথমত; আল্লাহর নবি নূরের তৈরী,এটা আপনাকে কে জানালো?

দ্বিতীয়ত; কমেন্টে উল্লিখিত "আনাল হক্ব" দ্বারা আপনি কি হুলুলিয়্যাতের আক্বীদা ব্যাপারে বলতে চাচ্ছেন? সেটা কীভাবে?
তৃতীয়ত;স্বশরীরে লায়লাতুল মেরাজ এর কথা বিশ্বেস করতে হবে,কিন্তু তা উদযাপনের কথা কোরান হাদিসে কই পেলেন?
আশা করি সঠিক উত্তর পেশ করবেন!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ অনেক প্রশ্ন সহ মন্তব্য করেছেন।

আমার সকল জানার উৎস আল কোরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস।
সাহাবায়ে কেরাম (ইয়াজিদী বংশ ব্যাতিত) , সালেহীন সলফেসালেহীন,
চার মাজহাবের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইমামগণ এবং বুজুর্গানে দ্বীন গণ।

সকল সৃষ্টি আল্লাহ থেকে। আল্লাহ নিজেই নূর। সুতরাং নবিজীও নূরের। সাধারন অনুভব।
পবিত্র কোরআনে সূত্র “নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ্‌ পাক-এর পক্ষ হতে এক মহান নূর এবং একখানা সুস্পষ্ট কিতাব এসেছে।” (সূরা মায়িদা-১৫)

আনাল হক তত্ত্ব নিয়ে পড়শোনা করুন। আশা করি নিজেই উত্তর পেয়ে যাবেন। আর সকল কিছুতে অবিশ্বাসের ধারনা থাকলে ভিন্ন কথা। আবু জেহেলর সামনে নবিজী ছিলেন। শত শত মুজেজা দেখার পরো বিশ্বাস করতে পারেনি।

ইসলামী দিবস উদযাপন নিয়ে অতি সাম্প্রতিক এক ধরনের বিরোধীতার জিগির উঠেছে। এবং যতটুকু জানি সউদ বংশ অনুপ্রানীত তাদের পেট্টোডলারের লোভে বাঁধা পড়া কিছু গ্রুপ তার চর্চা জোরেসোরে চালাচ্ছে!
আমি ব্যক্তি গত ভাবে সউদ গংকে বিশ্বাস করিনা। তাদের কর্ম এবং আচরনে যে ধর্ম বিশ্বাস প্রকাশিত তার কারণে।
তারা রাসুলের সুন্নাহ পাগড়ী বাতিল করে নিজেদের লাল কাপড় চালু করেছে। নবীর সুন্নতের বিরোধীতা করেছে।
তারা মুসলিম বিশ্বের স্বার্থের বিপরীতে সর্বদা দন্ডায়মান। ইসলাইলের মতো অপশক্তির পক্ষে নগ্ন লেজুর বৃত্তি করছে।
যা ইসলামী রীতিনিতি এবং বিশ্বাসের পূর্ন বিপরীত। স্রেফ এই একটা দেশপ্রকৃত ইসলামী চেতনায় চললে সারা বিম্ব মুসলিম আজ মহা শক্তিশালি জাতি হিসেবে বিশ্বে বিরাজকরতো।
সো তারা এবং তাদের কথিত গ্রন্ড মুফতির ফতোয়াবাজি দেখলে যে কোন সাধারন জ্ঞানের মানুষ সত্য-মিথ্যা বুঝতে পারে। সামুতেই আছে আগ্রহ থাকলে খুঁজে দেখতে পারেন গ্রান্ড মুফতির নামে কি জঘন্য সব ফতোয়াবাজি চলছে আরবে।

দিবস পালনে আপনাদের আপত্তিটা কোথায়? একটা উসিলায় কিছু মানুষ যদি ভাল কাজ করে, দান করে, ইবাদত করে তাকে অনুৎসাহিত করছেন কেন? আমরাতো জানি কেবল শয়তানই মানুষকে ভাল কাজ করা থেকে বিরত রাখতে নানা ফাঁদ পাতে। জাল বিছিয়ে রাখে যাতে মানুষ ভাল কাজ বাদ দিয়ে মন্দ কাজ করে। নয় কি?


১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টটি একটু বড় হলেও মেরাজের মত ঘটনাকে বিবৃত করার জন্য অনেক সংক্ষিপ্ত।
চমৎকার পোস্টটিতে মেরাজের আদ্যোপান্ত তুলে ধরা হয়েছে।
ধন্যবাদ নিন ভৃগু ভাই ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

আসলেই তাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল প্রিয় ভায়ার জন্য :)

১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:২০

আরোগ্য বলেছেন: সব কিছু কি সহীহ্ হাদিস থেকে সংকলিত?
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলা।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভায়া কি বলবো?
সৎ সত্য সুন্দর এমন ইউনিক যে আপনার হৃদয় আপনাতেই অনুভব করবে।
কোন সনদ, রেওয়াতের উল্লেখ ব্যতিরেকেই।

প্রেমিক মাত্রই যেমন অনুভব করতে পারে প্রেমিকার আবেগ। :)

আগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা অফুরান।

১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিরাট পোষ্ট.....ধীরে-সুস্থে পড়বো। তাই প্রিয়তেও নিয়ে রাখলাম। পরের অংশ তাড়াতাড়ি দিয়েন। অপেক্ষায় থাকলাম।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

প্রিয়তে রাখায় কৃতজ্ঞতা।
হুম।

অপেক্ষা যে দায় বাড়িয়ে দিল ভায়া!
ইনশাল্লাহ!

শুভকামনা রইল

১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

আনু মোল্লাহ বলেছেন: আল্লাহ সত্য। আল্লাহর রাসূল (দঃ) সত্য। তেমনি রাসূলের মেরাজ সত্য।

অনেক পরিশ্রম করে তথ্য সমৃদ্ধ একটা পোস্ট দিলেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।

আল্লাহর রাসূলের অতুলনীয় বৈশিষ্ট সম্পর্কে আরো জানা যাবে, শানে হাবীবুর রহমান[আহমদ ইয়ার খান নঈমী রঃ] , মাদারিজুন নবুয়ত [শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী রঃ] এই বই গুলোতে।

প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষ হাফেজ আবদুল জলীল কৃত আরো দুয়েকটা বই পড়েছি (যেমন হায়াত মওত কবর হাশর, বুখারী শরীফ[সম্পাদনা] ফতোয়ায়ে ছালাছীন) খুব ভাল লেগেছিল। পড়ে উনাকে অনেক উঁচু স্তরের জ্ঞানী মনে হয়েছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

আল্লাহ, রাসুল সা: সম্পর্কে জানতে শুধু অগাধ পড়াশোনাই নয়, চাই ব্যক্তিগত কঠোর রিয়াজত।
কাগজ কোরআনই তখন সুগন্ধির সুবাস ছড়িয়ে আপনাকে পৌছে দেবে অনুভবের গভির জগতে।
আপনার যত গভিরে আপনি ডুবতে পারবেন ততই নিকটতর হবে অপ্রকাশ্য জগতে জ্ঞান।

হুম।
কিন্তু ইদানিংকার পুথিগত বিদ্যা আর সনদ ওয়ালা পোষাকি কিছু কাঠ মোল্লাদের ওযাজে চিৎকারে মনে হয় সেইসব মহা মনিষীরা বুঝি কিছূই জানতেন না। সব জানা তারা জেনে গেছে -অল্প বিদ্যার ঝলকানিতে! আর সর্বনাশের গোড়াতে সউদ নামের এক অপশক্তি ইসলামী লেবাসে সবচে বেশি ক্ষতি করছে ইসলামের।
আল্লাহ সত্য মিথ্যার ব্যবধান ঘুচিয়ে দিন। সত্যকে বিজয়ী করুন।

১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ তাহলে মেরাজের তিনটি পর্যায়। বেশ! চলতে থাকুক..
আগামী অপেক্ষায় রইলাম।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় কবি ভাইকে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় পদাতিক দা,
অপেক্ষার কথা বলে তো পালপিটিশন বাড়িয়ে দিলেন ;)

হুম আমরাও অপেক্ষায় থাকি আপনার দারুন মিরিচিকার আশে :)

অনেক অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা ভায়ার জন্য

১৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর উপস্থাপন।

যদিও এই ঘটনা ও ইতিহাস পড়া আছে তবুও পড়তে ভাললাগলো।

যাদের কপালে হেদায়েত নাই তাদের কাছে এগুলো আজগুবী মনে হবে।
++++

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথার্থ বলেছেন ভায়া!

হেদায়েত খুবই মূল্যবান সবচে মূল্যবান নেয়ামত।
আবু জেহেল যেমন সারাজীবন রাসুল সা: কে দেখে, পরীক্ষা করেও ঈমান আনেনি।
আজো তেমন লোকের সংক্যা নেহায়েত কম নয়।
তাদের জন্য দোয়া রইল।

অন্তহীন শুভেচ্ছা রইল

১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা বিদ্রোহী কবি ভাই। মরীচিকার একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে দুটি বুক রিভিউ দিয়েছি। আপনার দাওয়াত থাকলো।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

নেমতন্নে প্রীত হলাম। প্রায়ই ঢু মারি নতুন কিছূর খোঁজে! আসছি দাদা শীঘ্রই :)

১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ঢাকার লোক বলেছেন: ভাই, রাগ করবেন না, আমাদের সবার লক্ষ্য এক, আল্লাহ পাকের হেদায়েত লাভ করা, সঠিক পথে থেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচা ও জান্নাত লাভ করা।
এখানে তিনজন বিশিষ্ট আলেমের বক্তব্য পেশ করা হলো, দয়া করে শুনবেন, এ ছাড়া নিচে এ বিষয়ে সৌদি আরবের বিখ্যাত শেইখ মুহাম্মদ সালিহ আল মুনাজিদ এর তত্বাবধানে পরিচালিত ওয়েব সাইট "islamqa" র ফতোয়ার লিঙ্কও দেয়া হলো । আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক পথ চেনা ও সে পথে চলার তৌফিক দান করুন।
https://www.youtube.com/watch?v=tZYafqfmu6M
https://islamqa.info/en/answers/60288/celebrating-the-night-of-the-isra-and-miraaj

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম কথা সত্য আল্লাহ পাকের রহমত লাভ সবারই অভিষ্ট।

জান্নাত জাহান্নাম সৃষ্ট বস্তু। যে মালিক কে খোঁজে সে মালিকের ক্ষুদ্র বস্তু লাভের সাধনা করেনা।
আর যে করে সে মালিকের প্রেমে মগ্ন নয়। সে ভিন্ন প্রসংগ।

লিংকের জন্য ধন্যবাদ। সময় করে দেখে কিছূ বলার হলে জানাব ইনশাল্লাহ।

ভাল থাকুন। শুভকামনা রইল

২০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

বলেছেন: মেরাজ সত্য-এই বিশ্বাস রাখা কি ফরয?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লাহ এবং রাসূলে বিশ্বাস করলে সম্পৃক্ত সকল কিছুতেই বিশ্বাস রাখা আবশ্যিক নয়কি?

যাকে ভালবাসী তার সকল কিছূতেই যেমন প্রকৃত প্রেমিক লক্ষ্য রাখে, কোন অজুহাত ছাড়াই
ভালবাসার সকল দাবী পূর্ণ করে, তেমনি বিশ্বাসে যার যত গভীরতা তার বিশ্বাসের বিস্তৃতি যত গভীর।

ভাল থাকুর ভায়া
শুভেচ্ছা

২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩০

ঢাকার লোক বলেছেন: উপরে ল এর প্রশ্নের জবাব বিদ্রোহী ভাই দিয়েছেন , আমিও দুটো কথা বলতে চাই কিছু মনে না করলে,
মিরাজ বলতে আমাদের দেশে সাধারানত রাসুল্লাহ (স) এর রাত্রিকালীন ভ্ৰমণের দুইটা অংশকেই বুঝায়, প্রথম অংশ মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) পর্যন্ত যাওয়া যাকে বলা হয় ইসরা এবং বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে উর্ধাকাশে যাওয়া যাকে বলা হয় মিরাজ । ইসরা সম্পর্কে কোরানে আল্লাহ পাক স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন (১৭:১), মিরাজের বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে সহী হাদিস থেকে । এই দুই অংশই বিশ্বাস করা একজন মুসলমানের জন্য অপরিহার্য্য ।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক পথ চেনা ও সে পথে চলার তৌফিক দান করুন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুটো কথা বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ ঢাকার লোক ভায়া

সেটাই, আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক পথ চেনা ও সে পথে চলার তৌফিক দান করুন।
আমিন।

শুভেচ্ছা

২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫২

নাসির ইয়ামান বলেছেন: কেবল আপনার জানার উৎস হলেই সেটা সত্য হতে পারে না,ভুল উৎস থেকেও জ্ঞাত হতে পারেন!
ইসলামের বিধিবিধান ও জ্ঞানের উৎস হলো_কোরান,হাদিস,ইজমা ও ক্বিয়াস; পর্যায়ক্রমে একটার জটিলতা ও ব্যাখ্যায় অপরটি,তুলনামূলক দুর্বল উৎস শক্তিশালীর মোকাবেলায় গ্রহণযোগ্য নয়। (উলুমুল হাদিস)
চার মাজহাবের ইমাম সর্বজন শ্রদ্ধেয়,কিন্তু সর্বজন অনুসৃত নয়।
ইসলামকে ধ্বংসের মূলে যারা আছে,এদের মধ্যে অন্যতম হলো 'কথিত বুজুর্গানে দ্বীন'!

সবকিছু সৃষ্টিতো আল্লাহই করেছেন,তবে তিনি হতে কোন কিছু সৃষ্ট নয় (সূরা ইখলাস)
নবিজী নূরের তৈরী নন,সাধারন অনুভব! (قل إنما أنا بشر مثلكم،...يوحى إلي)
সূরা মায়েদাহ এ উল্লিখিত আয়াতে "নূর" দ্বারা কিতাবই উদ্দেশ্য যার ব্যাখ্যায় "কিতাবুম মুবিন এসেছে"।আর কিতাব হলো আল্লাহরই কালাম!

জানি না,"আনাল হক্ব" বিষয়ে কতটুকু পড়াশুনা করেছি,তবে এটুকু জেনেছি ফেরাউন বলেছে: 'আমি সর্বোচ্চ রব'মানে "আনাল হক্ব",নমরূদ বলেছে 'আমি জীবন মৃত্যু দান করি'মানে "আনাল হক্ব"; তারই সিলসিলাধারী মনছুর হাল্লাজ বলেছে '"আনাল হক্ব"'সে থেকেই....

এছাড়াও আধ্যাতিক সাধনা বা মেডিটেশন তো হলো_কোয়ান্টাম মেথড যা সব ধর্মেই আছে,শুধু ইসলামে নয়।তদ্রূপ কোন আইন আহকাম কেবল শরীয়তের দ্বারাই পরিচালিত হবে,তাছাড়া ত্বরীকত,মারেফাত,সুলুকাত,ওগুলো তো দিয়ানাত বা আধ্যাত্বের বিষয়!

আবু জেহেল মোজেযা বিশ্বেস করেনি,কারণ সেতো কাফের ছিল; আর মুসলিম তো কোরান সুন্নাহএ বিশ্বাসী,আমিও তাই!

ইসলামী দিবস উদযাপনে,আপনেরে কে নিষেধ করেছে(?)তবে যেটা ইসলামে পালনীয় নয়,তা ইসলামিকীকরণে কী ফায়দা আছে! বরং এটা ধর্মে নতুন সংযোজন।যেমন ঈসায়ীরা করেছে,তাই ওরা পথভ্রষ্ট,আর যেই এরূপ করবে সেও পথভ্রষ্ট!

আর আপনি ইসলামি বিধিবিধান মানা নামানা নিয়ে নির্দিষ্ট কোন গোত্র-সম্প্রদায়কে দায়ী করছেন! যা চরম নির্বুদ্ধিতারই পরিচয়।! কোন লোক বা কোন ব্যক্তি দূষিত হতে পারে,এতে ইসলামের যায় আসে না! চরম সত্য তো হলো_যার বোঝা সেই বহন করবে!
আর কাবা অভ্যন্তরেই তো এককালে শত শত মূর্তি ছিল,তাই বলে কী কাবা তাওয়াফ করা যাবে না!

আমিও ব্যক্তিগতভাবে সউদগংদের পসন্দ করি নে!
জাতীয়তাবাদ কায়েম করে,ওরা ভুল পথে গিয়েছে!
হ্যাঁ ওরা ইসলামি চেতনায় চললে,সারাবিশ্বের মুসলিমরা সংঘবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী হয়ে টিকে থাকতে পারবে হয়তো!
আবারো বলছি,কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি ,প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের বিচ্যূতি ইসলামের বিচ্যূতি নয়!

যেকোন উসিলায় এবাদত করলেই চলবে না,ইসলামে সেটা অবশ্যই পালনীয় হতে হবে!
আর শয়তান কিন্তু নেক সুরতেও ধোকা দেয়,সে বিষয়টা ঘিলুতে রাখা জরূরী!

আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুন: মন্তব্যে ধন্যবাদ। আপনার অবস্থান জানা হলো।
মতভিন্নতা জ্ঞান, বিম্বাস, অবস্থান, আপেক্ষিকতায় ভেরি করে। করবেই।
শিশুতোষ সত্য শিশুকালে চরম সত্য। কিন্তু্বড় হবার পরে স্মৃতিচারণে আপনা মনে হেসে উঠতে হয় নিজের বিশ্বাস কর্ম আর আচরণে। আবার এখনকার অবস্থান নিয়ে ভবিস্যতে হয়তো এমনই অনুভব হবে। এ ভাবনার নিত্যতা।

বীজ যখন খোলসে থাকে তাও সত্য
যখন চারা হয় তাো সত্য
বৃক্ষ হয়ে ফুল দেয় ফল দেয় তাও সত্য

জ্ঞান, অন্বেষা এবং হেদায়েতের মাত্রার উপর বিশ্বাসের মানদন্ড দোলে।
আপনার জন্য হেদায়েতের দোয়া ও শুভকামনা।

২৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ পরিশ্রমি তথ্যাহুল পোষ্ট , সরাসরি প্রিয়তে ।
সপ্তম আসমানে সিদ্রাতুল মুন্তাহা বা সীমান্ত কুল বৃক্ষের নিকট এসে নবিজীর (সঃ) সাথে থাকা হযরত জিবরাঈল আলায়হিস সালাম বললেন, এটাই আমার শেষ সীমানা; এই সীমানা অতিক্রম করলে আমি পুড়ে ছারখার হয়ে যাব। এখন শুধু আপনি আর আপনার রব। তারপর সিদ্রাতুল মুন্তাহা থেকে তিনি রফ্রফে চড়ে ৭০ হাজার নূরের পর্দা পাড়ি দিয়ে স্থান- কালের উর্ধে লামাকান ও লাযামানে উপনীত হন। তিনি নিকট থেকে নিকটতর হলেন। নূর আর নূরের আতিশয্যে তিনি একাকার হয়ে গেলেন। আল্লাহর দিদার লাভ করলেন। বিস্ময়, আনন্দে নৈকট্য ও পরিপূর্ণতার অপূর্ব অনুভবে অভিভূত হয়ে গেলেন। মিরাজ শরীফের মাধ্যমে প্রিয়নবী হযরত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম জানা-অজানা, প্রকাশ্য ও গোপন তাবত জ্ঞানের নিদর্শন সরেজমিনে অবলোকন করেন এবং আল্লাহর কুদরতের সীমা-পরিসীমা প্রত্যক্ষ করে শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ মাকামে উন্নীত হন। আল্লাহ্ উম্মতে মুহম্মদীকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করে দেন। এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের মরতবাও জানিয়ে দেন, বলা হয়েছে : আস্সালাতু মিরাজুল মুমিনীন- সালাত (নামাজ) হচ্ছে মুমিনের জন্য মিরাজ। আমাদের জন্য আল্লার তরফ হতে তিনি কত বড় নিয়ামত নিয়ে আসলেন তা কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরন করা ও তাঁর প্রতি দুরুদ পাঠ করা আমাদের সকলের কর্তব্য ।

আপনার বর্ণবাদী জঙ্গি ব্রেন্টন, ব্লাক সান, ক্রাইষ্ট চার্চ এবং মানবতার মুক্তির পথ পোষ্টে ছোট একটি মন্তব্য রেখে এসেছি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কত সাধনায় এমন ভাগ্য মেলে - - - গানটাই মনে পড়ল আপনার মন্তব্য পাঠান্তে :)

প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে কৃতার্থ হলাম।
আপনাকে মিস করেছি দীর্ঘদিন।
আশা করি পূর্ণ সুস্থ আছেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভায়া
শুভেচ্ছা শুভকামনা অফুরান।

২৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

নাসির ইয়ামান বলেছেন: আপনি আবারো নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিচ্ছেন!
মেকী উপদেশদাতা সাজা কেবল অজ্ঞদের মাঝেই সম্ভব!

আপনি আমার সাথে জ্ঞানমূলক আলোচনা করুন!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি সীমা অতিক্রম করছেন। সীমা অতিক্রমকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।

আমি আপনার সীমাবদ্ধতা অনুভব করেই আলোচনায় আগ্রহী নই।
বোঝার মতো যথেষ্ট প্রাজ্ঞ মন্তব্য করেছি আগে।
আপনার মন্তব্যের মাঝেই আপনার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রকাশিত।

ভাল থাকুন।

২৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৮

নাসির ইয়ামান বলেছেন: সবজান্তা মুনে লয়!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না ভাই তালিবে ইলম মাত্র :)

জ্ঞান সমুদ্রে ইমাম গাজ্জালী রহ: সমুদ্রের তীরে বালুকনার নাড়াচাড়ার উপমাতেই অনুভব করতে হয়
আসলেই আমরা জানা পথে কতদূর এগুতে পেরেছি।

ভাল থাকুন। শুভকামনা

২৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

অনুভব সাহা বলেছেন: আপনার সূত্র ধরে, "আনিসুল আরওয়াহ- انیس الارواح-রুহের বন্ধ" সার্স দিলাম। অধ্যক্ষ হাফেজ আবদুল জলীল রচিত, পোস্টটা পড়লাম মোবাইল থেকে পড়েছি, https://mobile.facebook.com/ aneesularwah/posts/ 723044571410405
(উল্লেখ্য, "নূর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম"। এখানে নূর মানে আলো→আলোকবর্তিকা→পথপ্রদর্শক)

আপনার পোস্টে কয়েক জায়গায় খটকা আছেঃ (১১ নং মন্তব্যে যেটা বলেছে). এ নিয়ে আমি আরেকটু পড়লাম
১. নবীজী কি নূরের তৈরী? ... নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরের তৈরী, না মাটির তৈরী? - Abdullah Arif Muslim or, ahlus-sunnah / / নবীজী ﷺ মাটির না নূরের তৈরী? – দারসে মানসূর
2. হযরত ইলিয়াস (আ.) ও হযরত খিজির (আঃ) কি জীবিত? নাকি মৃত?
*হযরত খিজির (আঃ) কি আজো জীবিত নাকি মৃত ? - Jaalhaq
হযরত ইলিয়াস (আ.)-এর জীবনী


(কোন লিংক কাজ না করলে শিরোনাম লিখে গুগলে সার্স করবেন। আশাকরি পড়ে, বুঝে প্রতিউত্তর করবেন।)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া

আসলে খটকার কিছু নেই। বিষয়টা আক্বিদাগত। নবীজির ওফাতের পূর্ব মুহুর্তেই যে বিভাজন হয়েছিল,
কারবালায় যে বিভাজন হয়েছিল সেখানেই সত্য আর মিথ্যার পার্থক্য সূচিত।
আপনি কি ইমাম হোসাইনের পক্ষে না ইয়াজিদের পক্ষে তার উপর আপনার আক্বিদা নির্ভর করে।
সে অনুপাতে যুক্তি তথ্য প্রমাণ রেফারেন্স উপস্থাপিত হয়।

আহলে বায়াত পাক পাঞ্জাতনের উপর বিশ্বাস ঈমান আনার শর্ত। এটা আমার আক্বিদা।
ইয়জিদের দু:শাসনের সময় অনেক সাহাবায়ে কেরাম রা: কে নির্যাতন করা হয়েছে, দেশত্যাগে বাধ্র করা হয়েছে
অনেক হাদীস ম্যানিপুলেট করা হয়েছে। খোতবায় প্রকাশ্যে নবী বংশকে গালিগালাজ করা হয়েছে! যে নবীর কারণে ইসলাম পেলাম উনার উপর আক্রমন, উনার পরিবারের উপর আক্রমন, উনার সিলসিলাকে আক্রমন কখনোই প্রকৃত ইসলাম পন্থীর হতে পারে না। চাই তার যত দীর্ঘ দাড়ী থাকুক, টুপি থাকুক বা আজানু লম্বিত পোষাক থাকুক। আক্ষরিক অনুবাদ যেমন মূল অর্থকে রিপ্রেজেন্ট করে না তেমনি ধর্মাচারে আচার সর্বস্বতায় মৌলিক সত্য মেলে না। সেই সকল সূত্র আমার কাছে পরিত্যাজ্য! তা যত পুরানোই হোকনা কেন। তাদের সিলসিলাও। তারাই নবীকে খাটো করতে উনাকে সাধারন আম মানুষ হিসেবে প্রতিস্থাপিত করার চক্রান্ত করে আসছে শুরু থেকে।


খিজির আ: এর বিষয়ে কোরআনে যথেষ্ট ইশারা আছে। এরপর আর কোন দ্বিধা থাকার কথা নেই। আর বাকী নবী আ: গণ বা পূন্যাত্মা শহীদদের ব্যাপারেও কোরআনে স্পষ্ট বলা আছে- তাদের তোমরা মৃত বলোনা বরং তারা জীবীত। জান্নাত থেকে তাদের রিজক দেয়া হয়। এরপর আর দ্বিধার অবকাশ আছে কি?

আর বুঝের ব্যাপারটা আপেক্ষিক। আমি যতই বলি আপনি ততক্ষন বুঝবেন না যতক্ষন সেই হেদায়েতের নূর আপনাকে পথ প্রদর্শন না করবে। তাই চরম বা চূড়ান্ত কোন কিছু নেই।

ভাল থাকুন। শুভকামনা সবসময়।

২৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

ঢাকার লোক বলেছেন: নবী রাসূলগণ তাদের কবরে বরযাখী জীবনে জীবিত আছেন, তার অর্থ এই নয় যে তারা আমাদের দুনিয়ার জীবনের মতো জীবিত আছেন, খানা দানা করেন। এরকম মনে করা ভুল, এ ভিডিও দুইটা দোয়া করে দেখুন,
https://www.youtube.com/watch?v=4aI5zqrkY4s
https://www.youtube.com/watch?v=WotLRhHgd5c

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি আপনার মতো 'ভুল' বা শুদ্ধ কোন ফতোয়া দেব না।
তবে আপনাকে অবহিত করতে চাই- এ বিষয়ে আরো অনেক বেশী জানার আছে। জানার চেষ্টা করুন।

নবী, রাসুল, সিদ্দিক, শহীদ, সালেহীন, মুমেনীন গণ দেহত্যাগ করেন মাত্র।
তাঁরা বারযাখ জীবনে সব খবর লাভ করেন। এবং সালাতে রত থাকেন। জমায়েত বদ্ধ হয়েও সালাত আদায় করেন।

ভাল থাকুন। শুভকামনা রইল

২৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ।
++++

শুভকামনা কবি

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নীলপরি।

ভাললাগা আর প্লাসে কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা অন্তহীন।

২৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

নাসির ইয়ামান বলেছেন: ২৬ ও ২৭ নং মন্তব্যের উত্তরে_

আবার ফিরে এসে বলছি,
আমি বিদ্রোহী ভৃগুর উদ্দেশে বলতে চাই,
সে/তিনি বেশ কয়েকজন মন্তব্যকারীকে বলেছেন,'আরো অনেক জানতে হবে,জানার শেষ নাই,ইত্যাদি ইত্যাদি'

"সে/তিনি কোরান হাদিসের বাইরে ইসলাম জানার জন্যে বড়ো কোন উৎস খুঁজে পেয়েছে"? নাকি জাল যয়ীফ হাদিস ও ইসরাঈলী বস্তাপঁচা রেওয়াতের খনি থেকে আবর্জনা উত্তোলন করে বিশেষ 'গেনে' "গেনি" হয়ে গ্যাচে(? )

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার অদ্ভূত মন্তব্যে হতবাক!

যা বলেছি তাকি ভুল? মানুষের জানার কি শেষ আছে?

কোরআন হাদীসের বাইরে কিছূকি বলা হয়েছে? হয়নি। অথচ অদ্ভুত ভাবে আপনার উর্বর মস্তিষ্কজাত
কল্পনায় যা খূশি তাই বলে গেলেন। বাক স্বাধীনতার অপ প্রয়োগ অনুচিত কাজ।
ভিন্নমত থাকতেই পারে। মাজহাবও চারটা স্বীকৃত। ভিন্নতার জন্যই। কিন্তু মৌলিক বিষয়ে এক থাকায়
পারষ্পারিক স্মপ্রীত সৌহার্দ এবং জ্ঞান চর্চার বহুমূকতাই তাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।

আপনার শুভ বোধের উদয় হোব, শুভকামনা রইল।

৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রিয় ভাই,
কথা দিয়েছিলাম ফিরে আসব, এত দারুন একটা লেখা না পড়ে থাকা যায়!
আল্লাহর রাসূল (দঃ) সত্য। তেমনি রাসূলের সশরীরে মেরাজ সত্য। যারা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের এই প্রশ্নের জন্য যথাযথ উত্তর দিতে হবে একদিন।

অনেক পরিশ্রম করে তথ্য সমৃদ্ধ একটা পোস্ট দিলেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।

মিরাজ নিয়ে আমি অনেক কিছুই জানতাম না। আমি পড়ে মুগ্ধ। সোজাসুজি প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। মাঝে মাঝে আবার পড়া যাবে।

ব্লগে যে কয়জনের লেখা আমি মুগ্ধতা নিয়ে পড়ে আপনি তার মধ্য একবারেই শীর্ষস্থানীয়।

২য় পর্ব পড়ার জন্য যাচ্ছি।
সালাম এবং শুভ কামনা রইল আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য।
ধন্যবাদ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় কথা শিল্পী ভায়া

লেখার যাদুকর যদি এত প্রশংসা করে লজ্জ্বাই পেতে হয়।
আমি ভায়া অনুলিখন করেছি শুধু, হালকা কিছূ সংযোজনায়। বিষয়টার গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখেই
তা উল্লেখও করে দিয়েছি।
সকল প্রশংসা মূল লেখকের প্রতি উৎসর্গ করা হলো।

আল্লাহ এবং রাসূলের প্রতি আপনার ভালবাসা এবং বিশ্বাসে দৃঢ়তায় মুগ্ধ।
আল।লাহ কবুল করুন।

শুভেচ্ছা শুভকামনা অন্তহীন

৩১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১২

নাহিদ০৯ বলেছেন: ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে এত উর্দু ভারী শব্দ থাকে যে পড়ার মতো ধৈর্য্য থাকে না বেশিরভাগ সময়

তুলনামূলকভাবে সহজ ভাষায় লিখেছেন। সবটা পড়ে শেষ করলাম। এর আগে জুমার বয়ানে শুনেছি, ছোটকালে মার কাছে শুনেছি। আজকে আপনার এখানে পড়লাম। ধন্যবাদ। আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
যথার্থ বলেছেন।

আমি চেষ্টা করছি আরবী এবং ফার্সী উর্দু শব্দগুলোর যথোচিত বাংলা প্রতিশব্দ ব্যবহারের।
আমার আধ্যাত্ববাদী কবিতায় লক্ষ্য করে থাকবেন অনেক প্রজলিত আরবী শব্দকেও বাংলা প্রতিশব্দই ব্যবহার করেছি।
অনেকে বুঝতে কষ্ট হয় কিন্তু যারা অনুসন্ধানী তারা তৃপ্ত হয়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। উৎসাহিত করায় কৃতজ্ঞতা।
নতুন প্রজন্মতো যে হারে সিরিয়াল আর ফেসবুকে বুদ তারা বোধকরি আমাদের মতো বলতে পারবে না
মায়ের কোলে শোনার কথা। ইসলামী শক্তিগুলো সংস্কৃতির বিসয়ে পুরাই উদাসীন
আর তাইতো বাচ্চা মেয়েটাকে যদি বলেন -বিয়ে মানে কি?
সে অবলিলায় বলে- কপালে সিদূর হাতে শাখা আর কলাগাছে সাতপাকে দিলেই বিয়ে হয়ে যায়!!!!

এভাবেই দেখৈ অভ্যস্ত জন্মের পর থেকে, মায়ের কোলে থেকে!
তাকে আর দোষ দেব কি।!

এক অসীম শুণ্যতাই যেন সামনে-যদিনা আল্লাহ বিশেষ রহম করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.